একদিন তুমিও ভালোবাসবে ❤️ পর্ব-৩৮

0
9680

‘ একদিন তুমিও ভালোবাসবে ‘ 🌸❤️
||পর্ব~৩৮||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

৫৬.
রাজ নিজের ঘরে বেডে বসে আছে বালিশ বুকে জড়িয়ে। একমনে কিছু একটা ভাবছে সে, সেই সময় ঘরের দরজায় কেউ “ঠকঠক” করলে রাজের হুঁশ আসে।

রাজ: কে?

__আমি আদিত্য!

রাজ: আয়।

আদিত্য ঘরে ঢুকেদরজা লক করে লাফ মেরে বেডে উঠে রাজের পাশে গিয়ে বসলে রাজ ভ্রু কুঁচকে চোখ বড়ো বড়ো করে বলে,

রাজ: বান্দরের মতো লাফালাফি করতে হলে চিড়িয়াখানাতে যা আমার ঘরে কি করছিস? কলা নেই আমার কাছে।

আদিত্য: চুপ করে শুয়ার।😒

রাজ: কেন? ওহ আচ্ছা আজকে তো তোর লাফালাফি করার কারণ আছে। নাচ করেছিস কি না বউয়ের সাথে। বুঝতে পারছি, বুঝতে পারছি। তা নিজের ঘরে গিয়ে গান চালিয়ে নাচ, আমার ঘরে কি?

আদিত্য: আমি এসেছি বলে খুব সমস্যা হচ্ছে তোর? ফাইন আমি চলে যাচ্ছি। (অভিমান করে)

রাজ: ড্রামাবাজ!

আদিত্য: (রাজের দিকে ঘুরে) এই তুই কি বলতে চাইছিস? আমার মধ্যে কি ইমনশনস নেই নাকি?

রাজ: সবে তৈরী হয়েছে।

আদিত্য: আব, সে যাই হোক! আছে তো। (আমতা আমতা করে)

রাজ সামান্য হাসে আদিত্যের ব্যবহার দেখে। আদিত্য এবার সিরিয়াস হয়ে রাজকে জিজ্ঞেস করে,

আদিত্য: কি হয়েছে তোর? বিকেল থেকে দেখছি কেমন চুপচাপ। অফিসে কোনো প্রবলেম নাকি কোয়েলের সাথে কিছু হয়েছে, কোনটা?

রাজ: কিছু না। বাদ দে, আমার ভালো লাগছে না এসব নিয়ে কথা বলতে।

আদিত্য: এসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগছে না কিন্তু ভাবতে ভালো লাগছে? এমন কেন? আমার থেকে লুকিয়ে লাভ আছে রাজ?

রাজ: (নিশ্চুপ)

আদিত্য: (কাঁধে হাত দিয়ে) কি হয়েছে? বল আমায়?

রাজ উঠে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে সবটা বললো আদিত্যকে যা যা ও দেখেছে ভার্সিটিতে। রাজের কথা শেষ হতেই আদিত্য হো হো করে হেসে ওঠে। রাজ সেটা দেখে কিছু বলে না কারণ তার ভীষণ রাগ উঠছে। আদিত্য সেটা বুঝে নিজেকে স্বাভাবিক করে রাজকে বললো,

আদিত্য: আবে গাধা! অঙ্কিত কোয়েলকে না মৌমিতাকে ভালোবাসে। (হেসে দিয়ে)

রাজের বেশ কয়েক সেকেন্ড লাগলো আদিত্যের কথাটা বুঝতে। কিন্তু কথাটা বুঝে উঠতে লাফ মেরে আদিত্যের কাছে যেতে দেরী হলো না। আদিত্যের কাছে উঠে বসলেই আদিত্য বলে,

আদিত্য: এইবার তুই কেন বান্দরের মতো লাফালি? আমাকে তো খুব বলছিলি।(টোন করে)

রাজ: এই আদি! তোকে আমি কলার কাঁদি কিনে দেবো। আমাকে পুরো ব্যাপারটা বোঝা, আমি বুঝলাম না। (আগ্রহ প্রকাশ করে)

আদিত্য: কথাই বলবো না হুর! (তেজ দেখিয়ে)

রাজ: আচ্ছা আচ্ছা আর বলবো না কিন্তু তুই আমাকে বোঝা ভাই। এটা তুই কি বললি? কোয়েলের থেকে তো তুই আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিলি। আশার আলো দেখিয়ে এভাবে নিভিয়ে দিস না। বল না ভাই! তোরে না আমি প্রেমের মনে বুঝলাম? তুই আমার সাথে এমন করবি? (অসহায় মুখ করে)

আদিত্য: হুহ! ঠিক আছে, ঠিক আছে। ওতো পাম দেওয়া লাগবে না, বলছি।

রাজ: হ্যাঁ, বল।

আদিত্য: অঙ্কিত মৌমিতাকে ভালোবাসে এটা আমি আন্দাজ করেছি। রণিতকে নিয়ে আমার রিয়াকশন দেখে অঙ্কিত মে বি কিছু একটা আন্দাজ করেছে আমাকে আর মৌমিতাকে নিয়ে।

রাজ: মে বি? (মন খারাপ করে)

আদিত্য: আরে সেটা আমাদের দুজনকে নিয়ে ও কি ভাবে সেটা নিয়ে। মৌমিতাকে ও ভালোবাসে এটা সিওর। ওর বিহেভিয়ারেই আমি বুঝে গেছি। আমি তো কি কোয়েল আর মৌমিতাও জানে দেখ গিয়ে। তুই সবে এসেছিস তাই জানিস না কারণ অঙ্কিতের সাথে তো তোর আজকেই দেখা।

রাজ: তাহলে কোয়েল কি করছিলো ওর সাথে?

আদিত্য: দেখ গিয়ে সান্তনা দিচ্ছিলো। ও হলো গিয়ে সান্তনা মাসি। (হেসে ফেলে)

[সুমি তোর বররে সামলা কইয়া দিলাম।😒]

রাজ: (হেসে) তারমানে ও ম্যানেজ করছে ব্যাপারটা?

আদিত্য: আমার যতদূর মনে হয় অঙ্কিতকে কোয়েল সবটা জানিয়ে দিয়েছে তাই অঙ্কিত গায়েব ছিলো। এখন এব্যাপারে মৌমিতা কি জানে সেটা আমি জানি না। কোয়েল আমাদের মাঝখানে তৃতীয় কাওকে আসতেই দেবে না, এই জন্যেই তো রেখেছি ওকে। (হেসে😁)

রাজ: (স্বস্তি ফিরে পেয়ে) বাঁচলাম। আমিই গাধার মতো আজে বাজে ভাবছিলাম।

আদিত্য: হ্যাঁ কারণ তুই তো গাধাই। তোর তো চিড়িয়াখানা থাকা উচিত ছিলো। (শুয়ে শুয়ে)

রাজ: আমি বরং যাই, আন্টিকে বলি তুই মৌমিতার সাথে বিয়ের পর থেকে কেমন ব্যবহার করেছিস। কি বলিস?

আদিত্য: (লাফ মেরে উঠে) এ ভাই! সোনা ভাই আমার। আমি না তোকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিলাম? হ্যাঁ? তুই আমার সাথে এমন করবি? এমন করে না ভাই। (তোষামোদ করে রাজকে)

রাজ: আব আয়া না উট পাহাড়কে নিচে। চাল চাল বাজু হাট! হাওয়া আনে দে।(ভাও খেয়ে)

[এই নাহলে আমার বর।😗]

আদিত্য: কি দিনকাল পড়লো রে বাবা…

রাজ: হ্যাঁ যে, বান্দর চিড়িয়াখানাতে না থেকে ঘরে থাকছে।

আদিত্য: তোকে তো আমি..

আদিত্য আর রাজ ঘরের মধ্যে দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করলো। একটা সময় হাঁপিয়ে গিয়ে একজন সোফায় আর একজন বেডে শুয়ে পড়লো। হাসতে হাসতে দুজন দুজনকে বালিশ ছুড়তে লাগলো।

আদিত্য: হেব্বি ভয় পেয়েছিলি বল? (বালিশ ছুড়ে, উঠে বসে)

রাজ: (বালিশটা ধরে নিয়ে) না ভয় পেয়ে কি উপায় আছে? এটা আমার ভাগ্য বস! যা চাইবো তা সহজে তো দূর কঠিন ভাবেও পাওয়ার চান্স নেই বললেই চলে। (তাচ্ছিল্য হেসে)

আদিত্য: সবটা ঠিক হয়ে যাবে দেখিস। কোয়েল সত্যিটা জানলে তোর উপর আর অভিমান করে থাকবে না কিন্তু…

রাজ: তোর এই কিন্তু টা নিয়ে আমারও ভয়। আর দেখিস, আমরা যেটা ভাবছি সেটাই হবে। তার থেকে মারাত্মক কিছু হলেও অবাক হবো না আমি।

আদিত্য: এখন ঘুম দে। কালকে সকালে তাড়াতাড়ি ভার্সিটিতে যেতে হবে। একটা কাজ করিস, কালকে তুই কোয়েল আর মৌমিতাকে নিয়ে ভার্সিটি চলে আসিস। আমি আগে চলে যাবো।

রাজ: হ্যাঁ ঠিক আছে। আসল কথা তো তুই বলবি, আমি না হয় পরে গিয়ে ম্যানেজ করে নেবো।

আদিত্য: ঠিক আছে।

আদিত্য ধপাস করে বেডের একপাশে শুয়ে পড়লে রাজ অবাক হয়ে বলে,

রাজ: নিজের ঘর কি করতে আছে? নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমা।

আদিত্য: তোর ঘর মানেই আমার ঘর। গুড নাইট দোস্ত!

আদিত্য বালিশ চাপা দিয়ে দিল কানে যাতে রাজের আর কোনো কথা কানে না যায়। রাজ হেসে নিজের হাতে থাকা বালিশটা আদিত্যের দিকে ছুড়ে মারলো আর ব্যালকনিতে গিয়ে জ্যাকেটের পকেটে হাত গুঁজে দাঁড়ালো। বেশ ঠান্ডা পড়েছে তবে আকাশের চাঁদটা পরিষ্কার। এখন বেশ রিলিফ লাগছে রাজের। কিছুক্ষণ আগে যেই চিন্তা, যেই অস্বস্তিটা হচ্ছিলো আদিত্যের কথায় তা আর নেই।

রাজ: (মনে মনে– কোয়েল এই বিষয় নিয়েই হয়তো কথা বলবে বলছিলো। ভাগ্যিস আদি আগে বলে দিলো নাহলে কোয়েল বলা অবধি অপেক্ষা করতে গেলে দেখা যেতো আমার প্রাণটাই বেরিয়ে গেছে। উফ ভগবান! এই ভালোবাসাও আজব জিনিস মাইরি। নিজের করতে না পারলেও রাতের ঘুম উড়ে যায় আর না পারলেও ঘুম উড়ে যায়।)

হঠাৎ করে এতো রাতে রাজের ফোন বেজে উঠলে রাজের বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়। তার মন বলছে কোয়েল ফোন করেছে। ফোন বার করতেই কোয়েলের নামটা ভেসে উঠলে রাজের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে। আর দেরী না করে সে রিসিভ করে নেয় কলটা।

রাজ: বল।

কোয়েল: কখন ফিরেছো অফিস থেকে?

রাজ: এক ঘন্টা মতো হয়েছে।

কোয়েল: রাত দশটা অবধি অফিসে থাকা লাগে?

রাজ: একটু কাজ ছিল।

কোয়েল: নতুন কিছু বলো, এই এক বাহানা আর শুনতে ভালো লাগছে না।

রাজ: নতুন কিছু বলতে গেলে ভাবা লাগবে, ওটা নেক্সট দিন বলবো তাহলে। (হেসে)

কোয়েল: হুহ! ঘুমাওনি কেন?

রাজ: ভাগ্যিস ঘুমাইনি নাহলে এত সুন্দর ঘুমটা ভেঙে যেত আমার। (মজা করে)

কোয়েল: আচ্ছা। গুড নাইট!

রাজ: আরে শোন তো…

কোয়েল: ঘুম পেয়েছে।

রাজ: হম, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পর। কালকে সকালে ঠিক সময় রেডি থাকবি দুজন, আমি নিতে আসবো। গুড নাইট।

কোয়েল ফোন রাখতেই রাজ তাড়াতাড়ি করে ঘরে চলে গেলো ঘুমাতে। এদিক কোয়েল শুয়ে শুয়ে ভাবছে রাজকে কখন জানাবে সবটা। না জানে সে কি না কি ভেবে বসে আছে, আদৌ কিছু দেখেছে নাকি এমনিই মুড অফ ছিল। কিছুই বুঝতে পারছে না কোয়েল। এইসব আকাশপাতাল ভাবতে ভাবতেই কোয়েল ঘুমিয়ে পড়লো, মৌমিতা অনেক আগেই ঘুমিয়ে গেছে।

৫৭.
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতেই কোয়েল আমাকে জানায় রাজদা আসবে নিতে। তাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আমরা ঠিক সময়ে নিচে নামতেই দেখি রাজদা গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে।

মৌমিতা: (মনে মনে– রাজদা তো নিজের গাড়ি নিয়েই এসেছেন। তাহলে উনি কোথায়?) উনি কোথায়?

রাজ: কে আদি? আদি ভার্সিটিতে আছে।

কোয়েল: এত আগে কেন? সব ক্লাস তো শুরু হয় ১০:৩০ টায়। (অবাক হয়ে)

রাজ: হ্যাঁ, আজকে কিছু কাজ আছে তাই। তোমাদেরকে পৌঁছে দিয়ে আমিও ওর সাথে দেখা করবো। তোমাদের আজকে গ্যাপ আছে কোনো?

মৌমিতা: না। আজকে পর পর তিনটে ক্লাস।

রাজ: দ্যাটস গ্রেট। চলো আর দেরী করা ঠিক হবে না।

রাজদা গাড়িতে উঠে গেলে আমি কোয়েলকে ধাক্কা দিয়ে রাজদার পাশে অর্থাৎ সামনে বসতে পাঠিয়ে নিজে পিছনের সিটে উঠে যাই। আমি আগে উঠলে রাজদার সাথে আমার চোখে চোখ পড়ে আর তখন রাজদা আমায় ইশারায় থ্যাংক ইউ বলে। আমিও চোখের ইশারায় সম্মতি জানাই আর কোয়েলও গাড়িতে উঠে পরে।

কোয়েল: (মনে মনে– আজকে তো মুড ভালোই আছে দেখছি। কালকে রাতেও তো ঠিকঠাক লেগেছে। তাহলে হয়তো অফিসের কাজের জন্যেই মুড অফ ছিলো ওই সময়। যাক গে, আমি আমার যা বলার বলে দেবো তাহলেই হলো।)

আমরা ভার্সিটি পৌঁছে ক্লাসের দিকে গেলে রাজদা প্রিন্সিপ্যালের রুমের দিকে চলে যায়। আদিত্য তারমানে ওখানে আছেন? আবার কি হবে কে জানে। বেশি না ভেবে আমরা ক্লাস অ্যাটেন্ড করতে চলে গেলাম। ফাস্ট ক্লাস শেষ করে সেকেন্ড ক্লাস করতে ঢুকছি এমন সময় আমি আদিত্যকে দেখতে পেলাম, উনি অনার্স লাস্ট ইয়ারের ক্লাসে ঢুকছেন রাজদাকে নিয়ে।

কোয়েল: স্যার আসছেন। চল ভিতরে।

কোয়েলের কথা শুনে ক্লাসে আমি ক্লাসে ঢুকে পড়লাম। ক্লাস শুরু হওয়ার কুড়ি মিনিটের মাথায় আদিত্যের গলার আওয়াজ পেলাম।

আদিত্য: আসতে পারি স্যার?

স্যার: হ্যাঁ, হ্যাঁ এসো।

আদিত্য আর রাজদা ক্লাসে ঢুকে স্যারের সাথে দু-একটা কথা বলে ক্লাসের সবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করলেন,

আদিত্য: তোরা সবাই নতুন আমাদের ভার্সিটিতে সো তোরা মে বি জানিস না আমাদের ভার্সিটি থেকে প্রত্যেক ইয়ারে একটা উইন্টার ট্যুর করা হয়। এইবারও হচ্ছে আর সেটা দার্জিলিং। আমরা জাস্ট এখন সবাইকে জানাচ্ছি, পরের ক্লাসের মধ্যে ফুল নোটিস পেয়ে যাবি।

আদিত্য আমার দিকে তাকালেন কথা শেষ করে আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। স্যার বললেন,

স্যার: তা রাজ? তুমি যাচ্ছো তো? লাস্ট ইয়ার হলেও এটাই তো তোমার ফাস্ট ইয়ার। এত বছর তো আদিই সবটা সামলেছে। এইবার ওকে একটু হেল্প করো।

রাজ কিছু বলতে যাবে তার আগেই আদিত্য রাজের গলা আর কাঁধ চেপে ধরে বললো,

আদিত্য: ও যাবে না ওর ঘাড় যাবে।

রাজ: আবে, ছাড় আমায় নাহলে আমার ভুত যাবে।

আদিত্যের কাজকর্ম আর রাজের কথায় স্যারও হেসে দিলেন। আদিত্য আর রাজ স্যারকে বলে তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। আমি কোয়েলকে জিজ্ঞেস করলাম,

মৌমিতা: যাবি তুই?

কোয়েল: আদিত্যদা যাচ্ছে আর আমায় নেবে না এমনটা হতে পারে? আমি ভার্সিটিতে যখন ছিলাম না তখনও গেছি, আদিত্যদাই নিয়ে গেছে। কিন্তু এবার আর বোর হতে হবে না কারণ তুই যে থাকবি। (চোখ টিপ দিয়ে)

মৌমিতা: আমি? আমি যাবো না হুর। তুই ঘুরে আয়।

কোয়েল: ও হ্যালো! তোর বর ইউনিয়নের হেড আর এই পুরো ট্যুরের হর্তাকর্তা। তোর শ্বশুরমশাই ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন আর তুইই যাবি না? ওয়াহ ভাই ওয়াহ! তুই যেতে না চাইলেও তোকে যেতে হবে। টেনশন নট! (হেসে)

স্যার: আচ্ছা, আচ্ছা সবাই শান্ত হও। এই নিয়ে পড়ে আলোচনা করবে এবার ক্লাসে মনোযোগ দাও।

আমরা আর কথা না বাড়িয়ে ক্লাসে মনোযোগ দিলাম। পরের ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নোটিস চলে এলো। ওখানে বলা আছে সামনের সপ্তাহ অর্থাৎ সোমবার থেকে আগামী এক সপ্তাহ অর্থাৎ রবিবার অবধি ছুটি থাকবে ভার্সিটি। এই সময় যারা যারা ট্যুরে যাবে তাঁরা বাড়িতে যাবে নিজেদের লাগেজ গোছানোর জন্য আর বাদ বাকি যারা যাবে না তাদের আরো এক সপ্তাহ অর্থাৎ মোট দু সপ্তাহ ছুটি। সোমবার সকালে সবাই ভার্সিটিতে এসে মিট করবে এবং তারপর সবাই বাসে একসাথে রওনা হবে।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]

আইডি- কোয়েল ব্যানার্জী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here