একদিন তুমিও ভালোবাসবে ❤️ পর্ব-৪২

0
9348

‘ একদিন তুমিও ভালোবাসবে ‘ 🌸❤️
||পর্ব~৪২||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

৬৩.
আদিত্য সবাই উঠেছে কি না, ঠিকঠাক ভাবে বসেছে কি না দেখছিল সে সময় ওর ফোন বেজে ওঠে। ফোনটা দেখে ও রাজকে বলে,

আদিত্য: রাজ?

রাজ: হ্যাঁ বল।

আদিত্য: তুই এদিকটা একটু সামলেনে, আমি আসছি।

রাজ: কোথায় যাচ্ছিস?

আদিত্য: আরে ওই বাইকগুলো ভাইরা নিয়ে যাবে, ওরা এসে পরেছে তাই কল করেছিলো আমাকে।

রাজ: আচ্ছা আমি দেখে নিচ্ছি, তাড়াতাড়ি আসবি তিরিশ মিনিটের মধ্যে ট্রেইন ছাড়বে।

আদিত্য মাথা নেড়ে চলে গেলে রাজ মাথা ঘুরায় আর কোয়েলকেদেখতে পায়। মৌমিতা কথা বললেও কোয়েল তেমন একটা কথা বলছে না চুপচাপ বসে আছে। রাজ ওদিকে এগিয়ে গেলে কোয়েল হঠাৎ মাথা তুলতেই চোখে চোখ পরে যায়। রাজকে এগিয়ে আসতে দেখে কোয়েল সাথে সাথে উঠে পিছন দিকে চলে যায়।

রাজ: তোমরা নিজেদের জিনিস দেখে নিয়েছো তো?

মৌমিতা: হ্যাঁ, সব ঠিক আছে।

রাজ: কোয়েল কোথায় গেলো?

মৌমিতা: হুট করেই চলে গেলো কিছু না বলে। ট্রেইনে ওঠার পর থেকে দেখছি কেমন চুপচাপ।

রাজ: আমি দেখছি।

রাজদা কথাটা বলেই চলে গেলেন কোয়েল যেদিকে গেছে সেদিকে। আমি জানতাম কিছু না কিছু একটা হতে চলেছে। আশা করছি রাজদা ঠিক মানিয়ে নেবেন কোয়েলকে। কিন্তু আদিত্য কোথায় গেলেন? একটা ফোন করবো? নাহ থাক ব্যস্ত আছেন হয়তো। ঠিক সময়ে চলে আসবেন।

অন্যদিকে,

কোয়েল চুপচাপ ট্রেইন থেকে নেমে ফাঁকা একটা জায়গা দেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একমনে লোকেদের যাওয়া আসার ব্যস্ততা দেখছে। রাজ কোয়েলের পিছনে দাঁড়িয়ে আস্তে করে বললো,

রাজ: আই অ্যাম স্যরি কুহু!

কোয়েল কিছুটা কেঁপে উঠলো রাজের কথাটা শুনে। শরীর দিয়ে যে শিহরণ কোয়েলের বয়ে গেছে তা রাজকে টের পেতে না দিয়ে চুপচাপ একভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো।

রাজ: আমি তখন তোমার সাথে মজা করছিলাম, আমি ভাবিনি তুমি হার্ট হবে। প্লিজ, ক্ষমা করে দাও। তুমি এভাবে মন খারাপ করে থাকলে আমার ভালো লাগে না। আর লাগবেই বা কি করে যেখানে আমার জন্যেই তুমি মন খারাপ করে আছো। কুহু…

কোয়েল তৎক্ষণাৎ রাজের দিকে ঘুরে রাজকে থামিয়ে বললো,

কোয়েল: আমাকে এই নামে ডাকা বন্ধ করো রাজ। তোমার কি মনে হয় তুমি এতদিন পর হুট করে এসে আমাকে এই নামে ডাকবে আর আমি সেটা মেনে নেবো? তুমি আমাকে এই নামে ডাকার অধিকারটা তখনই হারিয়ে ফেলেছো যখন কোনো কিছু বলার প্রয়োজন না মনে করেই চলে গেছিলে। রইলো বাকি আজকের কথা, হাহ! সে তো তুমি প্রথম থেকেই আমাকে শুধু হার্ট করে এসেছো, কষ্ট দিয়ে এসেছো। এটা আর কি এমন নতুন কথা? তোমার কথায় মন খারাপ করে আমার সময় নষ্ট করার কোনো ইচ্ছাই নেই। কে তুমি যে তোমার কথায় আমি মন খারাপ করে থাকবো? তুমি থাকো আর না থাকো এতে এখন আর আমার কিছুই যায় আসে না।

মৌমিতা: কোয়েল বলছিলাম…

আমি আদিত্যকে ফোনে না পেয়ে বাধ্য হয়ে রাজদাদের কাছে এলে দেখি রাজদা চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কোয়েল আমাকে দেখে শুধু বললো,

কোয়েল: ট্রেইনে চল, ট্রেইন ছাড়বে কিছুক্ষণের মধ্যে।

মৌমিতা: আসলে আমি সে জন্যই এসেছি। আদিত্যকে ফোনে পাচ্ছি না, ট্রেইন ছাড়ার তো সময় হয়ে গেছে। আপনি কি একটু দে…

রাজ: হ্যাঁ আমি দেখছি।

রাজদা মাথা নিচু করে কোনোরকমে উত্তরটা দিয়ে চলে গেলেন। আমি কোয়েলের দিকে তাকাতেই কোয়েলও চলে গেলো ট্রেইনে। আমি আর কি করবো দাঁড়িয়ে থেকে এই ভেবে চলে গেলাম কোয়েলের পিছু পিছু।

মৌমিতা: এই কোয়েল? কি হয়েছে বল তো?

কোয়েল: কি হবে? কিছু না তো।

মৌমিতা: মিথ্যে বলিস না আমায়।

কোয়েল: কিছুই হয়নি মৌ। এত বেশি ভাবিস না এই নিয়ে। আদিত্যদা কে আরেকবার ফো… ওই তো আদিত্যদা!

আমি কোয়েলের কথা শুনে পিছন ফিরে দেখলাম আদিত্য আসছেন আমাদের দিকে। আদিত্য আমাদের সামনে এসে দাঁড়াতেই আমি রেগে বললাম,

মৌমিতা: কোথায় ছিলেন আপনি এতক্ষন? জানেন না ট্রেইন ছাড়ার সময় হয়ে গেছে? ট্রেইন ছেড়ে দিলে কি হতো হ্যাঁ? ফোনটাও ধরছিলেন না, চিন্তা হয় না নাকি? এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কি করে হতে পারেন আপনি? (একনাগাড়ে)

আদিত্য: রিল্যাক্স মৌমিতা! আমি আমার ভাইদের সাথে কথা বলছিলাম তাই জন্যে কল রিসিভ করতে পারিনি। আ’ম স্যরি ফর দ্যাট বাট তুমি এতটা হাইপার কেন হয়ে যাচ্ছো? (মৌমিতাকে শান্ত করে)

ওনার কথা শুনে আমি চুপ করে যাই। সত্যিই তো, একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে পরেছিলাম আমি। এইবার নিজেরই লজ্জা লাগছে।

আদিত্য: আচ্ছা রাজ কোথায়? (এদিক ওদিক দেখে)

কোয়েল: রাজ তো তোমাকেই খুঁজতে গেলো মৌয়ের কথা শুনে। দেখা হয়নি ওর সাথে তোমার? (চিন্তিত সুরে)

আদিত্য: হ্যাঁ ও আমাকে জাস্ট বললো মৌমিতা চিন্তা করছে তাই তাড়াতাড়ি যেতে আর তোকে এই প্যাকেটটা দিতে বললো।

কোয়েল আদিত্যের হাত থেকে প্যাকেটটা নীচে দেখলো ওর সকালে পরা স্টাইলিশ টুপিটা যেটা ও কিছুক্ষণ আগে রাগের বশে ফেলে দিয়েছিল। সাথে ওর ফেভারিট চকলেট কেকের দুটো প্যাকেট রয়েছে আর কয়েক প্যাকেট চিপস। কোয়েল জিনিসগুলো দেখে সঙ্গে সঙ্গে আদিত্যকে বললো,

কোয়েল: রাজকে খুঁজে নিয়ে এসো আদিত্যদা প্লিজ!

আদিত্য: হ্যাঁ কিন্তু…

আদিত্যের কথা শেষ হওয়ার আগেই আমার নড়ে উঠলাম কারণ ট্রেইন ছেড়ে দিলো। আদিত্য সাথে সাথে নিজের পকেট থেকে ফোন বার করে রাজদা কে কল দিতে দিতে ট্রেইনের দরজার সামনে চলে গেলেন। আমরা ওনার পিছু পিছু গেলে উনি বলেন,

আদিত্য: রাজ ফোন ধরছে না। শিট! আমরা তো স্টেশন ক্রস করে যাচ্ছি।

আদিত্যের কথা শেষ হতে না হতেই আমরা স্টেশন ক্রস করে ফেললাম। আমি কোয়েলের দিকে তাকাতেই কোয়েল ভিতরে চলে গেলো। আদিত্য আমাকে বললো,

আদিত্য: রাজ হয়তো ইচ্ছা করেই ট্রেইনে উঠল না। ওদের মধ্যে নিশ্চই কিছু হয়েছে যার জন্য রাজের মন ভালো ছিলো না। আমার সাথে কথা বলার সময়েই আমি সেটা বুঝেছি।

মৌমিতা: আমি তো আপনাকে বলেছিলাম কিছু একটা হতে চলেছে ওদের মধ্যে। সেই থেকে কোয়েলও চুপচাপ ভীষণ। কি হবে এবার? রাজদা এটা ঠিক করলো না।

আমি আর আদিত্য ভিতরে আসতেই দেখলাম কোয়েল চুপচাপ প্যাকেটটা হাতে নিয়ে রাস্তার মাঝেই দাঁড়িয়ে আছে।

মৌমিতা: কোয়েল এভাবে দাঁড়িয়ে থাকিস না রাস্তার মাঝে। সিটে বসে পর, এখন তো কিছু করার নেই বল?

আমার কথা শুনে কোয়েল প্যাকেটটা মুঠো করে ধরলো। হুট করেই ডানদিকে তাকালো ও। কিছুক্ষণ ওদিকে তাকিয়ে থেকে আমার দিকে না তাকিয়েই প্যাকেটটা আমার হাতে দিয়ে ওদিকে চলে গেলো।

মৌমিতা: ও ওদিকে যাচ্ছে কেন? ওটা তো অন্য কেবিন।

আদিত্য: আমিও বুঝলাম না। আমি দেখে আসছি ওয়েট।

আদিত্য কোয়েলের পিছন পিছন গিয়ে একটু উঁকি দিতেই দেখে ট্রেইনের দরজার সামনে রাজ দাঁড়িয়ে আছে আর কোয়েল সবে গিয়ে ওখানে দাঁড়িয়েছে। এটুকু দেখেই আদিত্য সরে আসে। এসে মৌমিতাকে জানায় রাজ উঠে গেছে ট্রেইনে ওই দিকের দরজা দিয়ে।

কোয়েল: এগুলো কেন পাঠিয়েছো আদিত্যদাকে দিয়ে? নিজে দিতে পারোনি? (শান্ত ভাবে)

রাজ: (নিশ্চুপ)

কোয়েল: ফোন ধরছিলে না কেন? (শান্ত ভাবে)

রাজ: (নিশ্চুপ)

কোয়েল: সিগারেটটা ফেলো হাত থেকে।

রাজ এবার তাচ্ছিল্য হেসে উঠলো। কোয়েলের কথা শুনে সিগারেটটা ফেলার বদলে তাতে জোরে একটা টান দিলো। কোয়েল তা দেখে চোখটা বন্ধ করে একটা নিশ্বাস ছেড়ে রাজের কাছে গিয়ে সিগারেটটা ফেলে দিতে গেলে রাজ সিগারেটটা সরিয়ে নেয় কিন্তু ভুলবশত কোয়েলের হাতে ছ্যাঁকা খায়।

কোয়েল: আহহ!

কোয়েল নিজের হাত ধরে হালকা চিৎকার করতেই রাজ সাথে সাথে সিগারেটটা ফেলে দেয় আর কোয়েলের হাত ধরে রেগে বলে,

রাজ: চাইছিস টা কি তুই বলবি? আমাকে কি শান্তিতে থাকতে দিবি না একটুর জন্যেও? কিছুক্ষণ আগেই তো বললি আমি কেউ হই না, আমার থাকা না থাকায় কোনো যায় আসে না তাহলে এখন এত খোঁজ কেন নিচ্ছিস? কি এমন হতো আমি না গেলে? ভালোই তো হতো তোর, তোকে অবিশ্বাস করা লোকটা তোর আশেপাশে থাকতো না শান্তিতে থাকতে পারতিস তুই। (একনাগাড়ে)

কোয়েল চুপচাপ মাথা নিচু করে থাকলে চোখের জল গাল গড়িয়ে রাজের হাতে পরে যেই হাত দিয়ে রাজ কোয়েলের হাতটা ধরে রেখেছে। রাজ নিমিষেই দমে যায়। কিছুক্ষণ আগেই রাজের এতটা খারাপ লেগেছিল কোয়েলের কথায়, এতটা অভিমান হয়েছিল তা এক মুহূর্তে রাজ ভুলে যায়। সে নিজে কোয়েলের কটূকথা সহ্য করে নিতে পারে কিন্তু তাঁর কথায় কোয়েল কষ্ট পেলে সেটা সহ্য করতে পারে না, নিজেকে তার অপরাধী মনে হয়। এখনও সেটাই হলো, রাজ উত্তেজিত হয়ে পরে কোয়েলকে নিয়ে।

রাজ: কুহ.. কোয়েল আ’ম স্যরি। আমার ভুল হয়ে গেছে আমি তোকে ওভাবে বলতে চাইনি। আ’ম রিয়েলি রিয়েলি স্যরি! আমি এই বিষয়ে তোকে আর কিছুই বলবো না। তুই চাস আমি তোর আশেপাশে না থা…আউচ্!

রাজকে কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়েই কোয়েল রাজের বুকে মারতে শুরু করে। রাজ এক কদম পিছিয়ে গেলে ট্রেইনের পিঠ ঠেকে যায়।

কোয়েল: সব সময় মহান সাজা তাই না? ইচ্ছে করে তুমি এমন বিহেভ করছো যাতে আমি নিজেই নিজের কাছে অপরাধী হয়ে যাই। কিছুক্ষণ আগে যে আমি তোমাকে খারাপ কথা বলেছি তুমি তাতে হার্ট হয়েছো, সেই জন্য আমাকে এখন কথা গুলো বলেছো সেটা আমি ভালো ভাবেই জানি। কিন্তু যেই আমি চোখের জল ফেললাম আমার খারাপ লেগেছে বুঝতে পারলে অমনি তুমি নিজের খারাপ লাগাটা ভুলে গিয়ে আমার কাছে স্যরি চাইছো? আমার খারাপ ব্যবহার করার বদলে খারাপ ব্যবহার না করে, ভালো ব্যবহার করে আমাকে অপরাধী সাজাতে চাইছো তাই তো? খালি ভালো মানুষী তাই না? আমি কিছু বুঝি না ভেবেছো? কেন করলে এমন? (কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে)

রাজ: বিকজ আই ক্যান্ট বেয়ার ইউর টিয়ার্স! আমার দ্বারা হয় না তোর চোখে জল দেখা।

রাজের এমন ঠান্ডা গলার স্বর শুনে কোয়েলও এবার দমে গেলো। একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলো রাজের লাল হয়ে যাওয়া মায়াবী চোখগুলোর দিকে, যা এখন বেশ ভয়ংকর লাগছে। কারণ সবুজ মণিজোড়ার চোখগুলো যখন লাল রং ধারণ করে তখন ভয়ংকর তো লাগবেই। কিন্তু কোয়েল এই চোখজোড়ার মাঝে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায় তাই সে কিছুতেই চোখ সরাতে পারে না। এইবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, কোয়েল টেরই পায়নি কখন রাজ তার কোমর জড়িয়ে তাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে, আকড়ে ধরেছে তাঁকে শক্ত করে। রাজ কোয়েলের কানের নীচে হাত প্রবেশ করাতেই কোয়েল চোখ সরিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু রাজ তা হয়ে দেয় না। কোয়েলের মুখ নিজের দিকেই ঘুরিয়ে রাখে আর বলে,

রাজ: আমি তোকে অপরাধী করতে চাইনি বিশ্বাস কর। আমি পারি না তোর চোখের জল সহ্য করতে এর জন্য আমাকে যা করতে বলবি আমি তাই করবো, স্যরি বলাটা তো সামান্য বিষয়। আমি জানি তুই খুব ভালো ভাবেই তোর প্রতি আমার ফিলিংসগুলো বুঝিস কিন্তু কোনোদিনও স্বীকার করিসনি। আজ আমি সকালে তোকে হার্ট করতে চাইনি, আমি কখনো নিজের ইচ্ছায় তোকে হার্ট করার কথা ভাবি না।

কোয়েল: তাহলে কেন ছেড়ে গেছিলে আমাকে? কেন অতটা একা করে দিয়েছিলে আমাকে হুট করে? তুমি জানো আমি প্রতিটা মুহূর্তে তোমাকে কতটা মিস করেছি?

রাজ: আমি বাধ্য ছিলাম, নাহলে তোকে ছেড়ে যাওয়ার কথা আমি ভাবতেও পারি না। আমি তোকে অবিশ্বাস কখনোই করিনি। তোকে আর অঙ্কিতকে ওভাবে দেখে আমি কষ্ট পেয়েছিলাম। পরে আদি যখন আমাকে বললো, তুই আমাকে বললি তখন আমি যে কতটা রিলিফ পেয়েছি তোর ধারণা নেই। আমি তোকে অবিশ্বাস করিনি তোকে সারাজীবনের জন্য পেতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছি এইভেবে ভিতরে ভিতরে শেষ হয়ে গেছি প্রতিটা মুহূর্তে।

কোয়েল রাজের কথা শুনে নড়ে চড়ে উঠলে রাজ কোয়েলকে আরেকটু কাছে টেনে কোয়েলের চোখে চোখ রেখে বলে,

রাজ: আই লাভ ইউ! আই রিয়েলি রিয়েলি লাভ ইউ কোয়েল! আমি আর পারছি না তোকে ছাড়া থাকতে। প্লিজ, প্লিজ বি মাইন! ভীষণ ভালোবাসি তোকে।

কোয়েল রাজের দিকে অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর সরে আসে রাজের থেকে। তারপর বলে,

কোয়েল: এতো সহজে তোমাকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না রাজ। আমি যতক্ষন না জানতে পারছি তুমি কেন আমাকে ছেড়ে গেছিলে ততক্ষণ অবধি আমার মনে খটকা থেকেই যাবে আমি পারবো না তোমাকে মেনে নিতে, কিছুতেই না!

কথাগুলো বলে কোয়েল চলে গেলো ভিতরে। রাজ একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে সামান্য হাসলো আর বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলো।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

আইডি- কোয়েল ব্যানার্জী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here