‘ একদিন তুমিও ভালোবাসবে ‘ 🌸❤️
||পর্ব~৪৯||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা
৭১.
মৌমিতা কাঁদতে কাঁদতে ঘরে চলে এলে কোয়েল তা দেখে ঘাবড়ে যায়। মৌমিতার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,
কোয়েল: কি হয়েছে মৌ? তুই তো সব ঠিক করতে গেছিলি তাহলে?
আমি কোয়েলকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললাম। কোয়েলকে সবটা জানাতেই কোয়েল আমাকে সোজা করে বললো,
কোয়েল: তুই কি পাগল হয়ে গেছিস মৌ? তুই জানিস যখন রাতে যন্ত্রণায় তুই কাতরাচ্ছিলি তখন আদিত্যদা সারারাত তোর পাশে বসে ছিলো। এর আগে ভার্সিটি কম্পিটিশনে ও তোর সাথে পারফর্ম করতে চেয়েছিল বাট জিয়ার জন্য পারেনি। একসিডেন্ট হওয়া সত্বেও তোকে হ্যারাস যাতে না হয় তোর কপি ফেরত দিয়ে জিয়াকে শাস্তি দিয়েছে, আমাকে বলেছে তোর খেয়াল রাখতে নিজের কথা না ভেবে। ভার্সিটিতে তোকে জিয়ার থেকে অলওয়েজ গার্ড করে রাখার চেষ্টা করেছে। তুই’ই বল, তোদের ফুলশয্যার রাতের পর থেকে আজ অবধি আদিত্যদা তোর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে? এখানে আসার পরেও তোকে সবসময় দেখে রেখেছে, পাগলের মতো করছিল যখন তোর একসিডেন্ট হলো। আর কি করবে মৌ? আর কি করলে তুই বিশ্বাস করবি যে আদিত্যদা তোকে ভালোবাসে? আজকেও ও তোকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতো সবার সামনে বাট তুই সুযোগ দিসনি। মানুষ কিন্তু নেশার ঘোরে সত্যি কথাই বলে মৌ। এইবার কিন্তু তোকে পস্তাতে হবে। যেই শাস্তিটা তুই আদিত্যদাকে দিচ্ছিস ও সেটা ডিজার্ভ করে না।
মৌমিতা: আমি দিতে চাই না কোনো শাস্তি! (চিৎকার করে কেঁদে) আমি ওনাকে কোনো শাস্তি দিতে চাই না। ওনাকে কষ্ট দেওয়ার কথা আমি ভাবতেও পারিনা কারণ আমিও কষ্ট পাই উনি কষ্ট পেলে। আমি সবটা ঠিক করতেই তো গেছিলাম কিন্তু আমি জানি না আমার কি হয়ে গেলো। আমি কেন ওনাকে এসব বললাম সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। না আমি ওনাকে দূরে সরাতে পারছি আর না কাছে টেনে নিতে পারছি।
আমি জোরে কেঁদে উঠলে কোয়েল আমাকে বলে,
কোয়েল: একবার আদিত্যদার চোখের দিকে তাকাস মৌ! দেখবি তোর মনে যা যা ভয়, সংশয় আছে তা আপনে আপ মিটে যাবে। যা আদিত্যদার কাছে, নেশার ঘোরে কিছু যদি করে বসে তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবি না।
মৌমিতা: ক..কিন্তু আমি যদি আবার ওনাকে কষ্ট দিয়ে ফেলি?
কোয়েল: তুই কাছে না গেলে আরো বেশি কষ্ট পাবে। সবটা ঠিক করে নেওয়ার সময় এসে গেছে মৌ।
আমি হ্যাঁ বোধক মাথা নেড়ে বেরোতে যাবো এমন সময় রাজদা ঘরে ঢুকলো। আমি রাজদাকে জিজ্ঞেস করলাম,
মৌমিতা: ওনাকে দেখেছেন?
রাজ: আদি আপসেট হয়ে গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে গেছে, একা থাকতে চায় বলে।
আমি আর অপেক্ষা না করে দৌঁড়ে বেরিয়ে গেলাম গেস্ট হাউস থেকে। গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে রোডে উঠলাম ভয়ে ভয়ে কারণ সত্যি যদি নিজের কোনো ক্ষতি করে বসেন? তখন তো আমি জীবনেও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। আমি রোড ধরে সোজা হাঁটতে হাঁটতে রোডের ধারে রেলিং ঘেষে একটা বসার জায়গা দেখতে পেলাম।
মৌমিতা: উনি বলেছিলেন আরেকটু এগিয়ে গেলে রাস্তার পাশেই একটু বড় জায়গা আছে যেখানে বসার জায়গা আছে। জায়গাটা ভিউ দেখার জন্য। উনি কি ওখানেই..?
কথাটা মাথায় আসতেই আমি হাঁটার গতি বাড়ালাম। হাঁটতে হাঁটতে জায়গাটা পৌঁছাতেই দেখলাম কেউ একজন জায়গাটায় বসে আছে। না, না! একজন না দুজন। আমি আরেকটু এগিয়ে গেলাম, গলার স্বর পেতে লাগলাম। এটা তো জিয়ার গলার স্বর আর জিয়া তো সারাক্ষন ওনার পিছনেই ঘুরঘুর করে। ইচ্ছা করে এগিয়ে গিয়ে ঠিক ওদের পিছনে দাঁড়ালাম। শুনলাম,
জিয়া: আদি, আদি প্লিজ! কেন এভাবে বসে আছো তুমি? ওই একটা মিডিল ক্লাস মেয়ের জন্য এভাবে মন খারাপ করে বসে থাকবে?
আদিত্য: জিয়া প্লিজ! প..প্লিজ আমি তোকে রিকুয়েস্ট করছি তুই চলে যা এখন। আমার একদম ভালো লাগছে না কিছু। আমাকে একটু একা থাকতে দে।
আদিত্যের কথা শুনে জিয়া আরেকটু ঘেষে বসলো আদিত্যের দিকে। আদিত্য একদম নিস্তেজ হয়ে বসে আছে আর সেটার সুযোগই হয়তো জিয়া আজ নিতে চাইছে।
জিয়া: আমি আছি তো আদি, আমি সবসময় তোমার পাশে আছি। তুমি মন খারাপ করে থাকলে আমার একটুও ভালো লাগে না। ওই মিডিল ক্লাস মেয়েটা (আদিত্য জিয়ার দিকে তাকালে ভয় পেয়ে) ম..মানে মৌমিতা! ও কতো সহজে তোমাকে কষ্ট দিয়ে দিলো কিন্তু আমি? আমি পারিনা তোমাকে কষ্টে থাকতে দেখতে কষ্ট দেওয়া তো দূরের কথা। আই লাভ ইউ আদি! আই লাভ ইউ স..
জিয়া কথাটা বলতে বলতে আদিত্যের কাঁধে মাথা রাখতে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় আমি আর সহ্য করতে না পেরে ওদের সামনে গিয়ে জিয়াকে টেনে তুলে সজোরে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম জিয়ার গালে। আমাকে ওখানে দেখে উনিও উঠে দাঁড়ালেন হতবাক হয়ে। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে আমি ওনার দিকে তাকালে উনি মাথা নীচু করে নেন আমি জিয়ার দিকে তাকাই। ও গালে হাত দিয়ে আমার দিকে তাকালে আমি ওকে বলি,
মৌমিতা: অনেক বাড়াবাড়ি সহ্য করেছি তোর আর নয়। আদিত্য যখন বলেছেন উনি একা থাকতে চান তাহলে কেন তুই ওনার কাছে আসার চেষ্টা করছিলি? তোর কি মনে হয় ওনাকে নেশা করিয়ে তুই ওনার কাছে আসতে পারবি? হাহ! এতোটাও নেশায় উনি নেই যে তোর আর আমার মধ্যের পার্থক্য বুঝতে পারবেন না। আর বারবার ওনার সামনে আমাকে ছোট করলেই আমি ছোট হয়ে যাবো না জিয়া, এটা বুঝতে তোর আর কতদিন সময় লাগবে?
জিয়া: তুই আমার গায়ে হাত তুললি? (দাঁত কিড়মিড় করে)
মৌমিতা: হ্যাঁ, আমি তো তোর মত ক্রিমিনাল নই তাই পাহাড় থেকে ধাক্কা মারার চেয়ে একটা চড় মেরেছি। একটা কথা মাথায় ভালো ভাবে ঢুকিয়ে নে, আজকের পর থেকে জানো তোকে আমি ওনার ত্রিসীমানায় না দেখি। বুঝেছিস? প্রবলেম আমাদের মধ্যে, ওটা আমরা মিটিয়ে নেবো তুই থার্ড পারসন হয়ে ঢোকার চেষ্টা করিস না ফল ভালো হবে না। যা এখান থেকে, যা বলছি!
শেষের কথাটা জোর দিয়ে বলতেই জিয়া একবার আদিত্যের দিকে তাকালো তারপর আমার দিকে তাকিয়ে ফুঁসতে ফুঁসতে ওখান থেকে চলে গেলো। আমি সাথে সাথে পিছন ফিরলে দেখি আদিত্য এখনও মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি ওনার দিকে এগিয়ে গেলে উনি চলে যেতে নেন আর আমি বাঁধা দেই। তাও আমার দিকে তাকাননি এখনো। আমি আস্তে আস্তে ওনার কাছে এগিয়ে গিয়ে আলতো ভাবে ওনাকে জড়িয়ে ধরে বলি,
মৌমিতা: আমি তখন ওভাবে আপনাকে কিছুই বলতে চাইনি। ওই কথাগুলো আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করতাম কিন্তু অন্য সময় অন্যভাবে। আমার ভুল হয়ে গেছে, স্যরি!
আদিত্য: হম। ঠিক আছে। রাত হয়ে গেছে গেস্ট হাউসে…
মৌমিতা: আই লাভ ইউ!
আমি ওনার “হম” শুনে মাথা তুলে আনার দিকে তাকাই। কথার মাঝেই বলেদি আমার কথা। সেটা শুনে এই প্রথম উনি আমার চোখের দিকে তাকান, অবাক ভাবে। আমি লজ্জা পেয়ে আবার ওনার বুকে মুখ গুঁজি। উনি আলতো করে আমার দু-গালে হাত রেখে আমাকে সোজা করে আমার চোখে চোখ রেখে উনি জিজ্ঞেস করেন,
আদিত্য: তুমি, তুমি সত্যি আমাকে….?
মৌমিতা: হ্যাঁ, ভালোবাসি আমি আপনাকে। সেই প্রথম থেকে আপনি আমাকে, আমাদের সম্পর্ক না মানলেও আমি মেনেছি। আপনার জীবনে যেমন আমি প্রথম ভালোবাসা, আমার জীবনেও আপনি প্রথম ভালোবাসা। শুধু বলতে পারিনি আমি আপনাকে কিছু সংশয়ের জন্য। যেটা কিছুক্ষন আগে আপনি মিটিয়ে দিয়েছেন।
আদিত্য: আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছো?
মৌমিতা: অনেক আগেই।
আদিত্য আর কিছু না বলে আমার কপালে কপাল ঠেকালে আমি চোখ বন্ধ করেনি। কিছুক্ষণ বাদে উনি মাথা সোজা করলে আমি ওনার চোখে চোখ রাখি। উনি বলেন,
আদিত্য: আমি আর তোমাকে কোনোরকম অভিযোগ করার সুযোগ দেবো না মৌ। আমি তোমার সাথে সারাটা জীবন থাকতে চাই। পারবো না তোমাকে ছাড়া থাকতে। প্লিজ, যেও না আমাকে ছেড়ে। (কাঁপা কণ্ঠে)
মৌমিতা: আমিও আপনার সাথেই সারাজীবন থাকতে চাই। কোথাও যাবো না আমি আপনাকে ছেড়ে।
আমি ওনার চোখে আমার জন্য স্পষ্ট ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছি, আমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় দেখতে পাচ্ছি। ওনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে উনি আমার এতটা কাছে চলে এসেছেন বুঝতে পারিনি। ওনার নিশ্বাস আমার মুখে পড়তেই টের পেলাম, উনি আমার কতটা কাছে। চোখ সরাতে চেয়েও কেন জানো চোখ সরাতে পারছি না আমি, একটা মায়ায় আটকে গেছে হয়তো। উনি ধীরে ধীরে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার ঠোঁট স্পর্শ করলেন আর মুহূর্তেই আমার শরীর দিয়ে একটা শিহরণ বয়ে যাওয়ায় আমি চোখ বন্ধ করে ওনার হাত খামচে ধরলাম।
আদিত্য মৌমিতার কোমর এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। মৌমিতার ঠোঁটজোড়া পুরোপুরি নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিল। মৌমিতাও পারছে না আদিত্যকে আটকাতে কিংবা বলা উচিত চাইছে না আটকাতে। কিছুক্ষণ মৌমিতা আবেশে চোখ বন্ধ করে আদিত্যের ভালোবাসা অনুভব করার পর নিজেও আদিত্যকে সাড়া দিলো। এক হাত আদিত্যের চুলের ভিতর প্রবেশ করিয়ে আরেক হাতে আদিত্যের কাঁধ শক্ত করে ধরলো। আদিত্য মৌমিতার সাড়া পেয়ে উত্তেজিত হয়ে মৌমিতাকে পিছিয়ে নিয়ে রেলিংয়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়ালো। এখন তাঁরা ব্যস্ত একে অপরকে ভালোবাসতে, ঠোঁটের স্বাদ গ্রহণে।
৭২.
কোয়েল মৌমিতার পিছনে যেতে চাইলেও রাজ তাঁকে যেতে বাঁধা দেয়। কোয়েল কিছু জিজ্ঞেস করবে তাঁর আগেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়ায় রাজ কোয়েলকে নিয়ে। কোয়েল রাজকে সরানোর চেষ্টা করলেও পারে না। রাজ চুপচাপ শুধু কোয়েলের দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকলে কোয়েলের ভীষণ অস্বস্তিবোধ হতে শুরু করে।
কোয়েল: কি হচ্ছে টা কি রাজ? এভাবে কেন আটকে রেখেছো আমাকে?
রাজ: আর কত অপেক্ষা করাবে? (অসহায় ভাবে)
কোয়েল: দূরে সরে যাও আমার থেকে। নেশা করে আমার কাছে আসার সাহস কি করে হলো তোমার? (রেগে)
রাজ: সরে যাবো, সারাজীবনের মতো সরে যাবো। শুধু একটাবার আমার প্রশ্নের উত্তর হিসেবে এই কথাটা আমার চোখে চোখ রেখে বলো। আমি দুরে সরে যাবো তোমার থেকে আর কোনোদিন ফিরে আসবো না।
কোয়েলের বুকটা “ধুক!” করে উঠলো রাজের কথাটা শুনে। তবুও ভাবলেশহীন হয়ে রইলো, কোনো সাড়া দিলো না রাজকে। রাজ কোয়েলের দিকে আরেকটু ঝুঁকে বললো,
রাজ: আমি এখনও বলছি আমি বাধ্য ছিলাম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সারাজীবনের জন্য ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে গেলে ক্ষনিকের দুরত্ব সহ্য করতে হয়। তুমি একা না আমিও কষ্ট পেয়েছি তোমার সাথে সাথে। এরপরেও যদি তোমার আমাকে কষ্ট দেওয়ার হয় তাহলে আমাকে বলো, আমি সরে যাবো তোমার জীবন থেকে। এতে আমি কষ্ট পেলেও তোমার সামনে থেকে অবহেলার কষ্ট পাওয়ার থেকে একটু হলেও কম কষ্ট পাবো। তোমার যদি আমাকে শেষ করার হয় তাহলে একবারে শেষ করে দাও, এভাবে তিলে তিলে শেষ করো না। আমি আর পারছি না এতো কষ্ট সহ্য করতে, হাঁপিয়ে গেছি ছোটো থেকে একের পর এক কষ্ট সহ্য করতে করতে। হাঁপিয়ে গেছি আমি!
রাজ কথা শেষ করে কোয়েলের কাঁধে কপাল ঠেকালো। কোয়েল এখনও নীরবে নীচের দিকে তাকিয়ে আছে। রাজ একটা নিশ্বাস নিয়ে সরে আসতে নিলে কোয়েল রাজের বুকে মাথা এলিয়ে দেয়, রাজের কোমরের কাছে শার্টটা শক্ত করে ধরে। মৃদু হাসে রাজ, হেসে কোয়েলের কোমর ধরে কাছে টেনে ওর কাঁধে মুখ গুঁজে দেয়। ধীরে ধীরে কোয়েলের দু-হাত রাজের পিঠে আবদ্ধ হয়। রাজ সোজা হলেও কোয়েল রাজকে ছাড়ে না, তাই রাজ কোয়েলের মুখটা সোজা করে কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে নিজের কপাল ঠেকায় চোখ বুজে।
কোয়েল: ত..তুমি আর যাবে না তো আমাকে ছেড়ে? (কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে)
রাজ: মাথাতেও আনিনা এই কথাটা আমি। নিজের প্রাণপাখিটা যদি নিজের সাথে না থাকে তাহলে কীভাবে বাঁচবো আমি? তোমাকে সারাজীবনের মতো নিজের করবো দেখেই তো দূরে থাকার কষ্টটা সহ্য করেছি। আই লাভ ইউ কুহু!
কোয়েল: আই লাভ ইউ মোর!
রাজ নিজের বাহুবন্ধনের দ্বারা বুকের কাছে কোয়েলকে শক্তভাবে চেপে ধরে। কোয়েলও রাজের বুকেই মুখ গুঁজে থাকে চুপচাপ।
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]
আইডি- কোয়েল ব্যানার্জী