‘ একদিন তুমিও ভালোবাসবে ‘ 🌸❤️
||পর্ব~৫০||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা
৭৩.
সকাল বেলা কোয়েলের ঘুম ভাঙতেই কোয়েল ঘুম ঘুম চোখে চারিদিকে তাকায়। নিজেকে বেডে দেখে ওর মনে পরে ও রাতে তো রাজের সাথে ছিলো আর এটা তো রাজের ঘর না। কোয়েল উঠে বসে রাতের কথা মনে করতেই একটু লজ্জা পায়।
কোয়েল: তাহলে কি রাজ আমাকে ঘরে দিয়ে গেছে? (লাজুক হেসে)
কোয়েল হেসে পাশে তাকাতেই যখন জায়গাটা ফাঁকা দেখে তখন মৌমিতার কথা মনে পরে ওর। গত রাতে যেভাবে ছুটে বেরিয়ে গেছিলো তারপর থেকে তো আর কোনো খোঁজ নেই। কোয়েল তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে রাজের ঘরে চলে গেলো। রাজের ঘরে ঢুকতেই দেখলো রাজ উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে। কোয়েল রাজকে ঘুমাতে দেখে ওর পাশে গিয়ে বসলো আর আলতো করে ওর চুলে হাত দিলো। রাজ নড়ে উঠলেই কোয়েল হাত সরিয়ে নেয়।
কোয়েল: (মনে মনে– এখন কি ওকে ডাকাটা ঠিক হবে? ইশ! এভাবে কাঁচা ঘুমটা ভাঙ্গানো ঠিক হবে না। আমি বরং একাই যাই ওদের খুঁজতে।)
কথাটা ভেবে নিয়ে কোয়েল উঠতে গেলে রাজ কোয়েলের হাত ধরে রেখে কোয়েলের কোলে নিজের মাথা তুলে দেয়। তারপর কোমর দু-হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলে,
রাজ: এট্টু হাত বুলিয়ে দাও না। (বাচ্চাদের মতো করে)
এত শত চিন্তার মাঝেও কোয়েলের হাসি পেয়ে যায় রাজের এরকম কথা শুনে। কোয়েল রাজের এমন আবদার উপেক্ষা করতে না পেরে রাজের চুলে বিলি কেটে দিতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর আস্তে করে রাজকে ডাকতে শুরু করে কোয়েল।
কোয়েল: রাজ, রাজ? শুনছো?
রাজ: উম, বলো।
কোয়েল: মৌ আর আদিত্যদা এখনও গেস্ট হাউসে ফেরেনি।
কোয়েলের কথাটা শুনে রাজ ঝট করে চোখ খুলে সাথে সাথে উঠে বসে। কোয়েলও একটু ঘাবড়ে যায় রাজকে এভাবে উঠে বসতে দেখে।
রাজ: শিট! কালকে রাতে তো আদি ড্রাংক ছিলো?
কোয়েল: তুমিও!
রাজ কোয়েলের কথা শুনে চোখ নীচে নামিয়ে নিলো। কপালে দু-আঙুল রগড়ে কোয়েলকে কিছু বলতে গেলে কোয়েল রাজকে থামিয়ে বললো,
কোয়েল: তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও, ওদের খুঁজতে বের হবো। আমি আমাদের ঘরে আছি।
বলে এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে কোয়েল বেরিয়ে গেলে রাজ অসহায় দৃষ্টির সাথে কোয়েলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর বেশি না ভেবে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হতে চলে গেলো কারণ দেরী করলে কোয়েল আরো রেগে যাবে। ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হয়ে নিয়ে কোয়েলকে সাথে করে গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে গেলো রাজ। এখনও কেউ ওঠেনি ওদের ভার্সিটির।
কোয়েল: কোথায় খুঁজবো বলো তো ওদের? যদি একসাথে না থাকে তাহলে তো আরো সমস্যা।
রাজ: (মনে মনে– একসাথে না থাকলে আদির অবস্থা কেমন এটা ভেবেই আমার ভয় লাগছে। এটা কোয়েলকে বললে ও আরো টেনশান করবে, না থাক। কিছু বলবো না এখন।)
কোয়েল: কি হলো, কি ভাবছো?
রাজ: (চমকে উঠে) হ্যাঁ? না কিছু না। আদি রোডে উঠেছিল সো রোড ধরেই আমাদের যাওয়া উচিত কারণ এখানে রোডের ধারে রেলিং ঘেষে অনেক বসার জায়গা আছে।
কোয়েল: আচ্ছা।
এদিকে,
হঠাৎ করেই মৌমিতার ঠান্ডা বেশি লাগায় সে জড়োসড়ো হতে শুরু করে আর এমন সময় মৌমিতাকে কেউ পরম যত্নে নিজের বুকে ভালো মতন আগলে নেয়। আবেশের বশে মৌমিতাও তাঁকে জড়িয়ে ধরে কিন্তু কিছুক্ষণ পর ঘুমের রেশ একটু কাটতেই মৌমিতা চোখ মেলে ভালো ভাবে তাঁকায়।
মৌমিতা: আদিত্য? আমি, আমি সারারাত ওনার বুকে এভাবে এখানে ঘুমিয়েছি? (চারিদিক দেখে)
মৌমিতার রাতের কথা মনে পরলে লজ্জায় কুঁকড়ে যেতে শুরু করে। আদিত্যের বুকেই সে মুখ লুকায়। তখনই,
আদিত্য: তো আমি ছাড়া এখানে কে আছে শুনি?
আমি ওনার গলার স্বর শুনে ওনার দিকে তাকালে উনিও আমার দিকে তাঁকায় আর মুচকি হাসে। আমি চোখ নীচে নামিয়ে নিয়ে লাজুক ভাবে জিজ্ঞেস করলাম,
মৌমিতা: আপনি কখন উঠেছেন?
আদিত্য: সকাল হতেই ঘুম ভেঙে গেছে। তাই একটু আশেপাশের পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম…উইথ মাই ওয়াইফ! (মৌমিতার কানে আস্তে করে)
ওনার কথাটা কানে আস্তেই আমার চোখ বন্ধ হয়ে গিয়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। আমি কি বলবো ভেবে না পেয়ে উঠে যেতে নিলে উনি আমাকে আরো শক্ত করে ধরে ধমক দিয়ে উঠলেন।
আদিত্য: আমি উঠতে বলেছি?
মৌমিতা: ইয়ে..ফিরবো না গ..গেস্ট হাউসে? রাতে তো ফিরিনি। কোয়েল, রাজদা হয়তো চিন্তা করছে।
আদিত্য কিছু বলতে যাবে তাঁর আগেই পিছন থেকে আওয়াজ এলো,
রাজ: ও যদি আমাদের কথা ভাবতো তাহলে তো হয়েই যেতো। কয়েক মাস ধরে ওর মাথায় শুধু মৌমিতা নামটাই মোঁ মোঁ আর ভোঁ ভোঁ করছে।
রাজ আর কোয়েলকে একসাথে আসতে দেখলে আদিত্য আমাকে ছেড়ে দেয় আর আমি দূরে সরে এসে উঠে দাঁড়াই। ইশ! কি লজ্জার ব্যাপার। বলেছিলাম আগে ছাড়তে কিন্তু না, শুনলেন না আমার কথা।
কোয়েল: বলি তোদের কি ঠান্ডা লাগে না? এই শীতে সারারাত এভাবে কাটিয়ে দিলি? (বিস্ময় নিয়ে)
আদিত্য কোয়েলের কথা শুনে হুট করেই দাঁড়িয়ে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
আদিত্য: আমি ছিলাম তো ওকে গরম রাখার জন্যে। (মুচকি হেসে)
ওনার কথা শুনে আমি কি রিয়াকট করবো বুঝে উঠতে পারছি না। এটা কোনো উপায় হলো সবাইকে সবটা জানানোর? উফ, পুরোই নির্লজ্জ।
রাজ: আচ্ছা? এই ব্যাপার?
আদিত্য: ইয়েস! তোরা এতো সকাল সকাল কি করছিস?
রাজ এবার আদিত্যের কথা শুনে বাঁকা হেসে পিছন থেকে একহাতে কোয়েলের কোমর জড়িয়ে ধরে আরেক হাত কোয়েলের গলা হয়ে কাঁধে রাখে। কোয়েল একটু চমকে গেলে রাজ কোয়েলর কাঁধে চিবুক রেখে হেসে বলে,
রাজ: এই একটু তোদের খোঁজার বাহানায় প্রেম করতে বেরিয়েছি। তোদের খোঁজা তো হয়ে গেলো এইবার প্রেম করার পালা।
আমি আর আদিত্য হেসে একে অপরের দিকে তাকালাম কিন্তু কোয়েল পরেছে আমার পরিস্থিতিতে। কোয়েল চোখ রাঙিয়ে রাজদার দিকে তাকালে,
রাজ: ছল্লি!
রাজদা বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে কোয়েলের ঘাড়ে মুখ গুঁজে ফেলে। সেই দেখে কোয়েলও হেসে ফেলে। আমি আস্তে করে বলি,
মৌমিতা: কি কিউট!
হুট করে সাথে সাথে আদিত্য আমার গালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলে আমি ওনার দিকে অবাক চোখে তাকালে উনি বলেন,
আদিত্য: আমিও! (বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে)
আমি নিজের হাসি চেপে রেখে কিছু বলতে যাবো তাঁর আগেই কোয়েল বলে উঠলো,
কোয়েল: ঠিক আছে এইবার আমাদের ফেরা উচিত কারণ স্যার ম্যাডামরা যদি জানতে পারেন তাহলে…
রাজ: তাহলে কি? বলবো ঘুম থেকে উঠে সকালের ভিউ দেখতে বেরিয়েছি। সিম্পল! আমি এখন গেস্ট হাউস যাচ্ছি না ব্যাস।
আদিত্য: ঠিক আছে তোরা থাক, আমরা ফ্রেশ হয়ে এসে তোদের জয়েন করছি। ততক্ষণ একটু তুইও প্রেম করেনে আমিও করে নিচ্ছি। (চোখ টিপ মেরে)
রাজ: একদম।
আদিত্য: চলো বউ।
মৌমিতা: ধ্যাৎ!
আমি ওনার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে এলাম। লজ্জার মাথা খেয়ে বসে আছেন লোকটা। উনি আমার পিছন পিছন এসে আমাকে বুকে আগলে নেন হাসতে হাসতে। এদিকে কোয়েল রাজকে বলে,
কোয়েল: অসভ্য ছিলে জানতাম, তা নির্লজ্জটা কবে হলে শুনি? (রেগে)
রাজ: কথায় কথায় এত রাগ দেখাও কেন? একটু ভালোবেসে বলতে পারো তো নাকি? (আদুরে গেলে)
কোয়েল: আহা! শখ কম না। ছাড়ো এবার আমাকে।
রাজ: ছাড়ার জন্য তো ধরিনি কুহু! একবার যখন ধরেছি তখন মৃত্যুর আগে অবধি ছাড়বো না।
কোয়েল: রাজ প্লিজ, কিসব আজে বাজে কথা…
কোয়েল কথাটা বলতে গিয়েও আটকে গেলো কারণ রাজ কোয়েলের ঘাড়ে নাক ঘষে আলতো করে নিজের ঠোঁটের ছোঁয়া দিচ্ছে। কোয়েল চোখ বন্ধ করে একটা নিশ্বাস নিয়ে জোর করে রাজের থেকে দূরে সরে এসে বললো,
কোয়েল: এটা রাস্তা ইডিয়ট!
লজ্জা পেয়ে কোয়েল গিয়ে সামনে থাকা বেঞ্চে বসে পরলে রাজ বাঁকা হেসে নিজের চুলটা একটু নাড়িয়ে কোয়েলের পাশে গিয়ে বসে।
৭৪.
আমি গেস্ট হাউসে ফিরে ওনাকে নিজের ঘরে জোর করে পাঠিয়ে ফ্রেশ হতে চলে এসেছি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে শাওয়ার নেওয়ার পর চুল মুছতে মুছতে বের হতেই আদিত্যকে আমার ঘরে দেখে আমি চমকে উঠি।
মৌমিতা: আপ…
আদিত্য এক মুহূর্তে আমার কাছে এসে, আমাকে নিজের সাথে মিশিয়ে আমার মুখ চেপে ধরলেন। কিছুক্ষণ আমাকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার পর আমার মুখের থেকে হাত সরিয়ে আমার কপালে ঠোঁট ছুঁয়ালে আমি চোখ বন্ধ করেনি।
আদিত্য: এখন থেকে আপনি না। শুধু তুমি! আপনি শুনলে আমি তোমার সাথে কথা বলবো না। আর আমাকে আদি বলে ডাকবে ওকেই?
কথা শেষ করেই উনি আমার গালে ঠোঁট ছোঁয়ালে, আমি মৃদু কেঁপে উঠলাম। সোজা হয়ে উনি আমার দিকে উত্তরের আশায় তাকালে আমি নীচের দিকে তাকিয়ে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লাম। অর্থাৎ আপনি বলবো না আর আদি বলে ডাকবো। উনি আমার কানের নীচ দিয়ে হাত প্রবেশ করিয়ে আমার মুখ তুলে জিজ্ঞেস করলেন,
আদিত্য: এতো সকালে এতক্ষন শাওয়ার নেওয়ার কি দরকার ছিলো? (সামান্য রেগে)
মৌমিতা: এমনিই। সারারাত ঠিক করে ঘুম হয়নি তাই মাথাটা একটু ধরেছিল।
আদিত্য: মাথা তো আমার ধরে রয়েছে। (আস্তে করে)
মৌমিতা: তা ধরবে না কেন? ওইসব ছাইপাশ ওভাবে গিললে তো হবেই।
উনি আমার দিকে করুন ভাবে তাকিয়ে বললেন,
আদিত্য: ট্রাস্ট মি, আমি ইচ্ছা করে খাইনি। সবাই এতো জোর করলো আমাকে আর রাজকে যে আমরা বাধ্য হয়ে ছিলাম। এতদিন পর সবাই জোর করছিলো সো…
মৌমিতা: তাই বলে অতটা? আমি একদম পছন্দ করি না ড্রিংক করা। (অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে)
আদিত্য: আ’ম স্যরি! আর হবে না। (মৌমিতার কানের কাছে আস্তে করে)
আমি ওনার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সরে আসতে চাইলেও পারি না। উনি আমাকে পিছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলে আমি বলি,
মৌমিতা: ক..কি করছেন টা কি? ছ..ছাড়ুন।
আদিত্য: কি বললাম আমি কিছুক্ষণ আগে? (বেশ রেগে)
আমি জিভ কাটলাম আদিত্যের কথা শুনে। ভুল করে ওনাকে আপনি বলে সম্বোধন করে ফেলেছি।
মৌমিতা: আসলে এতদিনের অভ্যেস তো তাই ভুল হয়ে গেছে। স্যরি!
আদিত্য: উম, ভুল যখন করেছো দ্যান পানিশমেন্ট তো পেতে হবে তাই না?
মৌমিতা: (কাঁচুমাচু মুখ করে) পানিশমেন্ট?
আদিত্য আমার কথা শুনে বাঁকা হেসে আমার ঘাড়ে মুখ গুঁজলেন। আমাকে আরো শক্ত করে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আমার ঘাড়ে আলতো স্পর্শে ঠোঁট ছোঁয়াতে শুরু করলে আমার বুঝতে বাকি রইলো না উনি কি চাইছেন। ওনার স্পর্শ পেয়ে আমার নিশ্বাস ভারী হয়ে আসলে আমি দু হাতে নিজের জামা মুঠ করে ধরি। অনুভব করি ওনার নিশ্বাস ও আমার মতই ভারী হয়ে এসেছে। ওনার উষ্ণ নিশ্বাস নিজের কাঁধে এবং শীতল ছোঁয়া নিজের শরীরে পেতেই আমি নিজেই ঘুরে গিয়ে ওনাকে জড়িয়ে ধরি চোখ বন্ধ করে। উনি আমার মুখটা দু হাতের মাঝে আগলে, সামনে এনে কপালে ঠোঁট ছোঁয়ান। আমি চোখ মেলে ওনার চোখে চোখ রাখতেই উনি আমার ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ান আর আমি আবেশে চোখ বুজে ওনার শার্ট খামচে ধরি।
বেশ কিছুক্ষণ পর,
আদিত্যকে জড়িয়ে ধরে স্থির ভাবে ওনার কাঁধে মাথা রেখে আছি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই। এখন মনে হচ্ছে আরো আগে ওনাকে মেনে নিলে, আমার শান্তির জায়গাটা আরো আগে পেয়ে যেতাম। আমি ওনাকে ডাকতে গিয়েও থেমে গেলাম। মুচকি হেসে ডাকলাম,
মৌমিতা: আদি! কোয়েল আর রাজদা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। ছাড়ো এবার আমাকে। (আদিত্যের ঘাড়ে মুখ গুঁজে)
আদিত্য আরো শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমি বুঝতে পারি আমার কথা শুনে খুশিতেই আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। ও আস্তে করে আমার কানের কাছে বললো,
আদিত্য: ওদেরকে ওদের মতো টাইম স্পেন্ড করতে দাও আর আমাদেরকে আমার মতো। আমি চাইছি না এখন কাওর সাথে তোমাকে শেয়ার করতে। (কাঁধে নাক ঘষে)
আমি কিছু বলতে গিয়েও বললাম না, থেমে গেলাম। ওর সাথে যতটা বেশি সময় কাটাবো ততো বেশি ভালো হবে সেটা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]
আইডি- কোয়েল ব্যানার্জী