#এক_মুঠো_কাঁচের_চুরি
#পর্ব_০৮
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
তোমার অনুপস্থিতিতে যদি তোমার ছবি দেখে-ও কারো চোখে জল চলে আসে।তাহলে সেই মানুষটা’কে ঠকানোর অধিকার তোমার নেই ইফাদ”।(“তানহা”)
অপেক্ষার শেষটা যদি সাদা কাপড়ে হয়’।তাহলে ভেবে নিও,আমার ভালোবাসা মিথ্যা ছিল না ইফাদ”।(“তানহা”)
ভোরের আজান কানে আসতে-ই প্রতিদিনে’ র মতো আজকে-ও তানহা’র ঘুম ভেঙে যায়’।উঠে অজু করে নামাজ পড়ে নেয়’।এত সকালে সবাই খায় না’।আবার শুইয়ে পড়ল তানহা’।কিছু ভালো লাগছে না’।শুইয়ে শুইয়ে কালেমা পড়েছিল তানহা’।বেশকিছু সময় অতিবাহিত হবার পরে,তানহা ডায়েরি নিয়ে বসলো’।নিজের মনের কথাগুলো ডায়েরি’তে যত্ন সহকারে লিখে রাখে’।মন খুলে কথা বলার মতো মানুষ নেই তানহা’র।তাই নিজের মনের কথা শোনার সঙ্গী হিসেবে ডায়েরি’কে বেছে নিয়েছে’।সবাই বেইমানি করলে,ডায়েরি কখনো বেইমানি করবে না’। দুই বছর ধরে হাজার হাজার শব্দ লেখা আছে ইফাদ’কে নিয়ে’।বড্ড বেশি ভালোবাসে তার স্বপ্নের পুরুষ,
শ্যামপুরুষ’কে”।আজকে-ও দুই লাইন লিখে ফেললো ইফাদকে নিয়ে’।লিখা শেষ হলে,ডায়েরি বন্ধ করে রেখে দিল’।বিছানা ঠিক করে রান্না ঘরের দিকে গেলো তানহা’।তানহা’র রান্না শেষ হবার আগেই সবাই জেগে উঠেছে’।চৈতালি,রোকেয়া বেগম ভোরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে যায়।ইফাদ নামাজ পড়ে না।সেজন্য ইফাদ’কে বেশ বিরক্ত লাগে তানহা’র।
–ভাবি তাড়াতাড়ি খেতে দাও।আমার ক্লাস আছে।
–আরো একটু ঘুমাবে’।তাহলে ক্লাসে যেতে পারবে দ্রুত।
চৈতালি কোনো কথা না বলে খেতে শুরু করলো’।সবাই’কে খাবার দিয়ে নিজে-ও খেতে শুরু করলো তানহা’।খাবার শেষ করে সবাই সবার মতো চলে গেলো’।ইফাদ একটা চাকরির খোঁজ করছে’।বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগছে না ইফাদে’র।তাছাড়া বেকার ছেলেদে’র এই সমাজে কোনো মূল্য নেই’।ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল ইফাদ।
সারাদিন কাজ করে সময় কোনো রকমে সময় কেটে যায় তানহা’র।কিন্তু বিকাল থেকে সময় একদম ভালো যায় না’।সবাই সবার মতো থাকে’।কথা বলার মতো তেমন কেউ নেই।চৈতালি একটু গল্প করে।বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা আর ফোনের পেছনে ব্যয় করে’।রোকেয়া বেগম রাতে নামাজ পড়ে খেয়ে ঘুমিয়ে যায়।ইফাদ তো’ তানহার সাথে কথাই বলে না।এই সময়ে টুকু তানহার দম বন্ধ হয়ে আসে’।বিকেলে নামাজ পড়ে তানহা রোকেয়া বেগমের কাছে গেলেন’।
–আম্মা রাতে ডিম রান্না করতে বলছিলেন’।কিন্তু বাসায় ডিম নেই।এখন কি করবো’।
–ইফাদকে বলো’।
–উনি এখনো বাসায় ফিরেনি’।কিছু মনে না করলে,আমি সামনের দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসবো’।
–আচ্ছা মা যাও।দেখেশুনে যাবে।কারো সাথে বেশি কথা বলার দরকার নেই’।যাওয়া’র সময় আমার থেকে টাকা নিয়ে যাবে’।
–আম্মা এখনই যাব।রাত হয়ে আসলে আর যেতে পারবো না’।
রোকেয়া বেগম তানহাকে টাকা দিলে তানহা বেড়িয়ে পড়ে’।রফিক চাচার দোকানে এসে দেখলো দোকান বন্ধ’।তানহা একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলো’।ইফাদ হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল এক ফ্রেন্ডের সাথে,তানহা’কে দেখে রাস্তা পার হয়ে তানহার কাছে আসলো’।
–এই মেয়ে তুমি কোথায় যাচ্ছো’।মেয়ে মানুষ শাড়ি পড়ে বের হয়েছো কেনো”?বোরকা পড়ে বেরোতে পারো না’।
–আম্মা রাতে ডিম রান্না করতে বলেছে।কিন্তু বাসায় ডিম নেই।তাই নিতে আসছিলাম’।
–আমাকে ফোন দিয়ে বললেই তো’ হতো।আমি নিয়ে যেতাম তোমার আসার কি দরকার ছিল।
–আমাকে দশটা ফোন কিনে দিয়ে রাখছেন।যে,সেগুলো দিয়ে আপনাকে ফোন দিব’।
ইফাদ চুপ হয়ে গেলো’।কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল’।
–আচ্ছা ঠিক আছে।কিনে নিয়ে আসো’।আর এভাবে বাহিরে বের হবে না’।
তানহা কোনো কথা বলল না’।ইফাদ দাঁড়িয়ে আছে।তানহা দোকানে’র দিকে এগোতে লাগলো’।হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ ইফাদ’কে ডাক দিল।
–কি রে’ তুই ইফাদ না’।কতদিন পরে তোকে দেখলাম।কেমন আছিস।কবে আসলি বিদেশ থেকে’।করিম চাচাকে দেখে ইফাদ আবার রাস্তার ওপাশে গেলো’।
–আলহামদুলিল্লাহ চাচা ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন।সোমবারে আসছি আমি’।
–আল্লাহ রাখছে বাবা।ওটা তোর বউ নাকি’।
–জ্বী চাচা আমার বউ’।
–মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর।তোর বউডা বাসা থেকে বেশি বের হয় না’।ইফাদ করিম চাচার সাথে কথা বলছিল’।তানহা সামনের দিকে এগোতে গিয়ে-ও থেমে যায়।মুখটা খুশিতে চিকচিক করে উঠেছে’।মুখ দিয়ে অটোমেটিক বের হয়ে আসলো।আবির ভাইয়া।আবির তানহার দিকেই এগিয়ে আসছে’।আবির আর সেই আগের আবির নেই’।গোলাপি ঠোঁট দু’টো নিকোটিনে পুড়ে পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে’।চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে’।মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি গড়িয়েছে’।চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে’।দেখেই মনে হচ্ছে নিজের যত্ন একদমই নেওয়া হয় না’।তানহা খুশি হয়ে আবিরে’র কাছে গেলো’।আনন্দিত হয়ে বলল।
–ভাইয়া কেমন আছো’?কবে দেশে আসলে”?চেহারার একি হাল করেছো’?
আবির কোনো কথা বলছে না’।চোখ দু’টো অসম্ভব ভাবে লাল হয়ে আসছে’।হঠাৎ করেই তানহা’র গালে কষে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো’।আবিরে’র হঠাৎ আক্রমনে তানহা অবাকে’র শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেলো’।তানহাকে আরো অবাক করে দিয়, আবির তানহার গলা চেপে ধরলো’।
–বেইমান কোথাকার’!আমাদের খেয়ে,আমাদের পড়ে আমাদের সাথেই বেইমানি করলি’।আমার পরিবার তোকে কিসে কম রেখেছিল।তোর প্রেম করে বিয়ে করতে হলো’।
আবির খুব শক্ত ভাবে তানহা’র গলা চেপে ধরে আছে’।তানহা’র শ্বাস দিতে কষ্ট হচ্ছে।আবির’কে ছাড়িয়ে দাওয়ার জন্য নিজের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে।পুরুষ মানুষের শক্তির সাথে পেরে উঠা খুব কঠিন।তানহার কাশি উঠে গেলো’।ইফাদ ঝড়ের গতিতে এসে আবির’কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল’।তানহা কাশতে কাশতে মাটিতে বসে পড়ল’।আবির ইফাদের কলার চেপে ধরে বলল’।
–তোর সাহস কি’ করে হয় আমার আর তানহা’র মধ্যে আসার’।ইফাদ আবিরে’র নাক বরাবর ঘুষি দিয়ে আবিরের কলার চেপে ধরে বলল’।
–তোর সাহস কি’ করে হয়।আমার স্ত্রীরর শরীরে হাত দেওয়া’র।তোর হাত আমি কেটে ফেলবো।
–তানহা আমার বোন হয়।আমি আমার বোনের সাথে যা’ ইচ্ছে খুশি করতে পারি’।
–তোর বোন আমার ঘরের বউ।ওর সাথে কথা বলতে হলে-ও তোকে আমার অনুমতি নিতে হবে’।শরীরে হাত দেওয়া’র আগে হাজার বার ভাবতে হবে’।তুই আমার সামনে আমারই স্ত্রীরর শরীরে হাত দিস।তোর এত বড় কলিজা হয়েছে।তোর বড় কলিজা,কিভাবে ছোট করতে হয়।তা’ ইফাদে’র ভালো করেই জানা আছে। বলেই দু’জন মারামারি শুরু করে দিয়েছে।আশেপাশে সবাই দৌড়ে আসলো’।দু’জনকে আলাদা করে দিল’।তানহা অসহায় দৃষ্টিতে দু’জনের দিকে তাকিয়ে আছে।চারপাশে লোকজন হয়েছে’।করিম চাচা বলে উঠলো’।
–কে তুমি”?তোমার সাহস তো’ কম না’।আমাদের এলাকায় এসে।আমাদের ছেলের বউয়ে’র গায়ে হাত দাও।
–চাচা এই ছেলের সাথে এত ভালোভাবে কথা বলছেন কেনো’?এই ছেলে’কি ভালো ব্যবহার পাওয়া’র যোগ্য’।
–তানহা আমার বোন হয়।আমাদের ব্যক্তিগত কথা থাকতেই পারে।
–এই মিয়া তানহা তোমার বোন হয়।তুমি ভাই হয়ে কিভাবে রাস্তার মধ্যে বোনের গায়ে হাত তুলতে পারো’।তোমার ভেতরে শিক্ষার অভাব আছে’।কেমন বোন হয় তোমার তানহা।নিজের বোন বলে,তো’ মনে হয় না।নিজের বোনের গায়ে কেউ এইভাবে হাত তুলে’।
–বলি’কি মানুষ চিনো।আমাদের এলাকায় এসে আমাদের মেয়ে-বউয়ে’র হাত তুলবে।আমরা ছেড়ে কথা বলবো।চৌদ্দ শিকের ভাত খাইয়ে ছাড়বো।
–আপনার এত কথা বলছেন কেনো’।মেরে হাত-পা ভেঙে রাস্তায় ফেলে দিন।আপনারা না পারলে আমাকে বলুন।বলল ইফাদ।
তানহা উঠে দাঁড়াল ভিড় ঠেলে ভেতরে গেলো’।সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল’।
–আবির ভাইয়া আমার চাচাতো ভাই হয়।ভাই দেশের বাহিরে ছিল।আমি ভাইয়াকে না জানিয়ে বিয়ে করে নিয়েছি তো’।সেজন্য ভাইয়া রাগ করছে’।
–তোমার চাচাতো ভাই বুঝলাম।এখন তোমার চাচাতো ভাইকে-ও বুঝতে হবে।তুমি আর তাদের বাড়ির মেয়ে নেই।অন্যের বাড়ির বউ হয়ে গেছো।এভাবে যখন-তখন যেখানে-সেখানে রাস্তার মধ্যে মারতে পারে না।তানহার কথা শুনে,ইফাদ রাগ করে বেড়িয়ে চলে গেলো।তানহা-ও ইফাদের পেছনে পেছনে গেলো।তানহা বাসায় আসতেই ইফাদ তানহার দুই বাহু শক্ত করে চেপে ধরে বলল’।
–কে হয় ঐ’ ছেলে তোমার।কিসের এত দরদ ঐ’ ছেলের জন্য।
–আমার চাচাতো ভাই হয়।
–আমি কি’ করে বিশ্বাস করবো।ছেলেটা তোমার চাচাতো ভাই হয়।নাকি অন্য কিছু হয়’।
–বিশ্বাস না হলে আপনি আমার চাচার বাসার গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
–চলো।
–কোথায়।
–তোমার চাচার বাসায়।বলেই তানহাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল।রোকেয়া বেগম অবাক হয়ে দু’জনের কান্ড দেখছিল।উনি প্রশ্ন করারা আগেই দু’জন হাওয়ার মতো মিলিয়ে গেলো’।তানহা আর ইফাদে’র বাসার দুরত্ব পনেরো মিনিটের মতো’।তানহা গাড়িতে উঠে,তার চাচার বাসার ঠিকানা বলল।গাড়ি আলা যথাসময়ে তানহাদে’র চাচার বাসার সামনে পৌঁছে দিল।তানহা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।ভেতরে ভেতরে কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে।কলিং বেলে চাপ দিবে কি’ না ভেবেই সময় পার করে দিচ্ছে।ইফাদের ধমকে চমকে উঠলো তানহা।
–কি হলো এখানে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকবো নাকি।তানহা কলিং বেলে চাপ দিতেই,হাসনা বেগম এসে দরজা খুলে দিলো।তানহাদে’র দেখে প্রচুর অবাক হন।মুখে প্রকাশ করলেন না।মুখে হাসি রেখে বলল।
–আরে তানহা তুই।ভেতরে আয়।
তানহা আর ইফাদ ভেতরে প্রবেশ করলো।আবির বাসায় আসার সময় এক্সিডেন্ট করেছে।হাত-পা হালকা কেটে গিয়েছে।মাথায় একটু আঘাত পেয়েছে।আবির ইফাদ আর তানহা’কে দেখে শান্ত হয়ে বসে আছে।মাহতাব সাহেব ছেলেকে ঔষধ লাগিয়ে দিচ্ছিলেন।তানহা আর ইফাদকে দেখে বললেন।
–তুমি ইফাদ না।
–জ্বী আংকেল’।এই ছেলেটা কি’ আপনার ছেলে।মানে তানহার চাচাতো ভাই তাই তো’।
–হ্যাঁ বাবা আবির আমার ছেলে তানহার ভাই।দাঁড়িয়ে আছো কেনো’?বাবা বসো।
–না আংকেল আজ আর বসবো না।একটা কথা বলতে এসেছি।কিছু মনে করবেন না।আপনার ছেলের শিক্ষার প্রচুর অভাব আছে।তা-না হলে,রাস্তায় মধ্যে অন্যের বাড়ির বউয়ের গায়ে হাত তুলে।তানহার ভাই বলে,আজকে বেঁচে গিয়েছে।একই ভুল যদি দ্বিতীয় করে।তাহলে আপনার ছেলের হাত আমি টুকরো টুকরো করে ফেলবো’।বলেই তানহাকে নিয়ে বেড়িয়ে আসলো ইফাদ।
–তুমি তানহা’কে মেরেছো।তোমার সাহসের তারিফ করতে হয়।বললেন মাহতাব সাহেব।
–মেরেছি বেশ করেছি।দরকার পড়লে আরো মারবো।তানহাকে অন্য কারো পাশে সহ্য হয় না আমার।আমি তানহাকে একদম মেরে ফেলবো’।
–নিজের সীমা অতিক্রম করো না আবির।মেয়েটা’কে ভালো থাকতে দাও।একবার তোমার মা’ মেয়েটার জীবন নষ্ট করেছে।এখন তুমি মেয়েটার জীবন নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছো।মানুষের জীবনে বিয়ে কতবার হয়।দুই বিয়ে করা নারীকে সমাজের মানুষ ভালো চোখে দেখে না।তুমি ছেলে তোমার শরীরে কলঙ্ক লাগলে।তা’ সময়ের সাথে মিলিয়ে যাবে।কিন্তু তানহা একটা মেয়ে তানহার শরীরে কলঙ্কের দাগ পড়লে সারাজীবন তার দায় বইয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।তানহার আশা ছেড়ে দাও।নিজের জীবন নিয়ে ভালো থাকো।
–তোমার জ্ঞান তুমি রাখো।আমাকে একদম জ্ঞান দিতে আসবে না।তানহাকে আমার যেকোনো মূল্য চাই।দরকার পড়লে আমি ওর’ সংসার ভেঙে দিব।
–আমাকে রাগিও না আবির ফলাফল ভালো হবে না।তুমি তানহাকে এত ভালোবাসো।তানহার প্রতি এত দরদ দেখাচ্ছো।তাহলে..আমার মুখ খুলতে বাধ্য করো না।তুমি হেরে যাবে।আমি থাকতে তোমাকে আর তোমার মাকে মেয়েটার জীবন নষ্ট করে দিব না।বলেই চলে গেলো মাহতাব সাহেব।
তানহা বাসায় এসে সোজা ছাদে চলে গেলো’।চারিদিকে উঁচু উঁচু বিল্ডিং।এক তলার ছোট ছাদের ওপরে বসে তানহা কান্না করছে।গলায় হাত দিতেই ব্যথা অনুভব করলো তানহা।
–আমার আবির ভাই বদলে গিয়েছে।আমার আবির ভাই আগের মতো নেই।আমি এই আবির ভাইকে চিনি না।চাচি আমার গায়ে হাত তুললে,যে আবির ভাই পুরো বাসায় ভাঙচুর করে শেষ করে ফেলতো।সেই আবির ভাই আজ আমাকে মারলো।আমি তাদের সাথে কিভাবে বেইমানি করলাম।শুধু শুধু আমার নামে কেনো মিথ্যা অপবাদ দিল।আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল তানহা।চোখ দিয়ে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে ঘাড় ঘুরে তাকালো তানহা।ইফাদকে দেখে বেশ অবাক হলো তানহা।ইফাদ নরম কণ্ঠে বলল।
–বেশি ব্যথা পেয়েছো।
তানহা দুই দিকে মাথা নাড়িয়ে বোঝালো।না সে,ব্যথা পাইনি’।
–এভাবে কান্না করছো কেনো।
–আমার আবির ভাইয়া।এমন ছিল না।আমি বিশ্বাস-ই করতে পারছি না।আবির ভাই আমাকে মারতে পারে।
–এত আবির ভাই আবির ভাই করছো কোনো।নিজের স্বামীর সামনে অন্য পুরুষের নাম নিতে হয় না।
–কেনো’?
ইফাদ কোনো উওর না দিয়ে উঠে চলে যেতে লাগলো।তানহা পিছু ডাকলো।
–শুনুন’!
ইফাদ ভ্রু কুঁচকে তাকালো।তানহার দিকে চেয়ে আছে।তানহা কি বলতে চায়।তা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে।
–আপনি আর প্রবাসে যাবেন না।দেশে থেকে কিছু একটা করবেন।
–আমি কেনো প্রবাসে যাব না।
তানহা ইফাদের মতো কোনো উত্তর না দিয়ে নিচে নেমে আসলো।ইফাদ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।মাথায় চুলকিয়ে সে-ও নিচে নেমে আসলো’।
চলবে…..
(শেষের দিকে মনে হয় একটু এলোমেলো হয়েছে।কালকে শেষর অংশ ডিলিট হয়ে গিয়েছিল।সবাই একটু গুছিয়ে পড়ে নিবেন।ধন্যবাদ)