#এক_মুঠো_প্রণয়
#পর্ব_২৯
লেখনীতেঃ একান্তিকা নাথ
মেহেরাজের পরনে শুভ্র রাঙ্গা শার্ট,টাই আর কালো প্যান্ট।ফর্মাল ড্রেসাপে লম্বা চওড়া শরীরটা আরো সুদর্শন বোধ হলো। জ্যোতি এক নজর তাকিয়েই চোখ ফেরালো।ঘড়ির কাঁটা তখন নয়টার ঘরে। ছোট্ট শ্বাস ফেলে অগোছাল চুল গুলো নিজের হাতে করে খোঁপা করতে নিতেই মেহেরাজ এসে উপস্থিত হলো সম্মুখে। হুট করেই বলিষ্ঠ হাত বাড়িয়ে আটকে দিল জ্যোতির হাত।অগোছাল এলোমেলো চুলগুলো আগের ন্যায় খুলে দিয়ে গভীর চাহনীতে তাকাল জ্যোতির মুখপানে। জ্যোতির মুখ শুকনো।গালের ডানপাশে ঘষে যাওয়া দাগ কালচে হয়েছে।কপালের কোণায় ব্যান্ডেজের চিহ্ন।মুখে সদ্য ফুলে উঠা কয়েকটা লালচে ব্রনের অস্তিত্ব।চিকন ঠোঁট জোড়ায় ফোলা ভাবটা কমেছে।ঠোঁটের কোণায় আঘাতের চিহ্নটা শুঁকাতে শুরু করেছে।মেহেরাজ কিয়ৎক্ষন তাকিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল পুরো মুখ, মুখের ক্ষত আর ডাগর চোখজোড়া। জ্যোতি অস্বস্তিতে গলা ঝাড়ল এবার। হালকা স্বরে বলল,
” মেহেরাজ ভাই, কোন দরকার আছে কি?”
মেহেরাজ দৃষ্টি সরাল না। বুকে হাতজোড়া গুঁজে নিয়ে একইভাবে তাকিয়েই গম্ভীর স্বরে বলে উঠল,
” হ্যাঁ, আছে।”
” কি দরকার?”
আগের ন্যায় গম্ভীর স্বরে উত্তর আসল,
” বলতে ইচ্ছুক নই তোকে।”
এবারের কথাটায় জ্যোতি ভ্রু কুঁচকে নিল। মুখ মলিন করে থমথমে চাহনী নিয়ে স্পষ্ট স্বরে বলে উঠল,
” এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন মেহেরাজ ভাই?”
মেহেরাজ ভ্রু উঁচু করল। চাহনীতে স্পষ্ট বোঝা গেল প্রশ্নটা তার পছন্দ হয়নি। কপাল কুঁচকে নিয়ে বিরক্তির সহিক বলে উঠল,
” তাকাচ্ছি তো আমি,তুই তো তাকাস নি। তোর অসুবিধা কোথায় তাই তো বুঝলাম না।”
জ্যোতির স্থির আর স্পষ্টভাবে তাকাল। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে সোজাসুজি উত্তরে বলে উঠল,
” অসুবিধাটা হলো আপনি আমারই দিকে তাকিয়ে আছেন।”
মেহেরাজের কপালের ভাজ ঘন হলো। ভ্রু নাচিয়ে শুধাল,
” তো? তাকিয়েছি কেবল, কিছু তো করে ফেলিনি যে অসুবিধা হবে।”
” তাকাবেন কেন? ”
মেহেরাজ দাঁতে দাঁত চাপল। মুখ টানটান করে দৃঢ় গলায় উত্তর দিল,
” তাকাব, তোর সমস্যা?”
” এভাবে একটা মেয়ের প্রতি একটা পুরুষ মানুষের নজর নিশ্চয় অস্বস্তির কারণ।আপনার উচিত নজর সরানো। ”
” তুই তো আর যেকোন একটা মেয়ে নোস। সাক্ষাৎ মেহেরাজের বউ বলেই মেহেরাজ তোর দিকে তাকিয়েছে। এবার বল অনুচিত হবে?”
মেহেরাজের কন্ঠে কিছু ছিল নাকি কথাগুলোতে বুঝে উঠল না জ্যোতি। তবে বুকের ভেতর কেমন জানি করে উঠল তার। ঠোঁট ভিজিয়ে প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলল,
“অযথা কথা বাড়ছে। কিছু কি বলবেন মেহেরাজ ভাই?”
মেহেরাজ তাকাল। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে অন্যমনস্ক হয়েই বলল,
” না, কিছু একটা করব ভাবছি।”
জ্যোতি বুঝল না কি করবে। তাই ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
” কি করবেন?”
মেহেরাজ একদৃষ্টিতে জ্যোতির ঠোঁটে তাকিয়ে থাকল।আকস্মিক খাটের একপাশে বসে ডান হাতটা ছুুঁয়ে দিল জ্যোতির কোমল ঠোঁটের কোণে। যেখানাটায় সেদনিকার রাস্তার খসখসে জমিতে লাঘা আঘাতটা মাত্রই শুঁকাতে আরম্ভ করেছে।মেহেরাজ আঙ্গুল ছুঁয়ে বুক টানটান করে মুহুর্তেই এক মিথ্যে বলে বসল দক্ষভাবে,
” তোর ঠোঁটটা এখনো ফুলে আছে।খেয়াল করিস নি তুই?”
জ্যোতির ভ্রু জোড়া কুঁচকে এল।আকস্মিক ঠোঁটে মেহেরাজের হাতের ছোঁয়া পেয়ে অবাক হলেও ঠোঁট ফোলার কথাটা মাথায় আসতে স্বাভাবিক ভাবেই নিল । সহসা হাত গেল নিজের ঠোঁটের কাছে।মনে হলো না ঠোঁট অতোটা ফোলা। তবুও মেহেরাজ মিথ্যে বলবে না ভেবে বিশ্বাস করে নিল। বলে উঠল,
” ফোলা তো কমে যাওয়ার কথা। দুদিন হয়ে গেল, এখনও ফোলা কমল না?”
মেহেরাজ মনে মনে চাপা হাসল। তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে আকস্মিক জ্যোতির কোমল ঠোঁটজোড়ায় বুলিয়ে মুখ এগোলো। মুহুর্তেই নিজের পুরু ওষ্ঠদ্বয় আলতো করে ছুঁয়ে দিল জ্যোতির ঠোঁটজোড়ায়। জড়ানো গলায় মৃদু আওয়াজে ঠোঁট নাড়িয়ে বলতে লাগল,
” কেঁটেছে না রাস্তার খসখসে জমিতে?তাই কমে নি।এবার আমার ঠোঁট ছুঁয়ে দিল তোর ঠোঁট। ফোলা কমে যাবে। ”
মেহেরাজ কথাগুলো বলার সময় বারংবার তার পুরু ঠোঁটের ছোঁয়া পড়ল জ্যোতির চিকন,কোমল ঠোঁটে।উষ্ণ নিঃশ্বাস উপচে পড়ল জ্যোতির মুখপানে।জ্যোতি এক মুহুর্তের জন্য স্তব্ধ হলো। পরমুহুর্তেই অনুভব করল শরীর জুড়ে তীব্র শিহরণ। যার দরুণ মুহুর্তেই কেঁপে উঠল সর্বাঙ্গ৷ কিঞ্চিৎ কাঁপতে লাগল নরম ঠোঁটজোড়া ও। স্পষ্টভাবে কথা বলা মেয়েটা স্পষ্টভাবে কথা বলা তো দূর, প্রথম পুরুষালি ওষ্ঠের উষ্ণ ছোঁয়ায় স্পষ্টভাবে তাকানোও দায় হয়ে পড়ল। তুমুল অস্বস্তিতে এবার হাত পায়ের আঙ্গুল খিচে এল। বার কয়েক শ্বাস টেনে কাঁপা স্বরে বলতে লাগল,
” ক্ কি.. ”
বাকিটুকু বলতে পারল না। মেহেরাজ ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসেই ফিসফিসিয়ে বলল,
” প্লিজ জ্যোতি, চুপ কর।মুহুর্তটাকে তোর উল্টাটাল্টা লজিক দিয়ে থামাবি না বললাম।”
এবারও ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ হলো কয়েকবার। জ্যোতি থম মেরে গেল। ঘনঘন শ্বাস টেনে ক্ষীন চাহনিতে মেহেরাজের দিকে তাকাতেই মেহেরাজ ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে ঠোঁট ছোঁয়াল ডান গালের কালচে আঘাতের জায়গাটায়। ফিচেল স্বরে ফিসফিসিয়ে বলে উঠল,
” শখের পুরুষের ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়ায় নারীর আঘাত এক মুহুর্তেই সারে। তোর আঘাতগুলোও সেরে উঠবে।খুব শীঘ্রই।তখন আর ভেতর, বাহিরে কোন আঘাতই অবশিষ্ট থাকবে না। না মানে,এই যে ছুঁয়ে দিলাম তোর আঘাত গুলো।দেখবি খুব শীঘ্রই সেরে গেছে।”
জ্যোতির চাহনী তখনো স্থির।লজ্জ্বায় নাকি অস্বস্তিতে তা জানা না থাকলেও এটুকু টের পেল দুই কান উষ্ণ অনুভব হচ্ছে৷ বুকের ভেতর তোলপাড় কম্পন আরম্ভ হয়েছে।অস্থিরতায় নিঃশ্বাস ঘন হচ্ছে। যেন সবকিছুই জড়িয়ে যাচ্ছে। সবকিছুই আটকে যাচ্ছে। বার কয়েক শুকনো ঢোক গিলতেই মেহেরাজ ঠোঁট সরাল। জ্যোতির এমন চুপসে যাওয়া অবস্থা দেখেই এক পেশে হাসল। পরমুহুর্তেই মুখচোখ গম্ভীর করে বলে উঠলল,
” রোমান্টিকতা নেই বলে হাসফাঁস করছিলি বান্ধবীদের সামনে, অথচ রোমান্টিকতা দেখাতেও এমন ভাবে হাসফাঁস করছিস কেন?কিছু করেছি আমি?শুধু তোর আঘাত সারার জন্য ঠোঁটের স্পর্শ দিয়েছি, চুমুও তো খাইনি৷ ”
কথাগুলো মেহেরাজ এতোটাই গম্ভীর স্বরে বলল যেন সে বাধ্য হয়েই ঠোঁট ছুঁইয়ে দিল। আসলেই কি শখের পুরুষের ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়ায় নারীর আঘাত সারে? মেহেরাজ কি শুধু এই বাক্যটা মানতেই এই কাজটা করল? জ্যোতি বুঝে উঠল না। মেহেরাজ তখনও বসা ছেড়ে উঠল না।কানের কাছে মুখ নিয়ে পুনরায় ফিসফিসিয়ে বলে উঠল,
” অল্প রোমান্টিকতা দেখাচ্ছি বলে কষ্ট পাস না আবার। তুই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলে পুরোপুরি রোমান্টক হয়ে যাব। ”
কথাগুলো বলেই বাঁকা হেসে চোখ টিপল মেহেরাজ। সটান উঠে দাঁড়িয়ে বুক টানটান করে গম্ভীর চাহনী করে এমন ভাবে পা বাড়াল যে একটু আগে কিছুই হয়নি।যেন একটু আগে কিছুই ঘটেনি।
.
মেহু, নাবিলা, নাফিসা সবাই মিলেই সন্ধ্যার দিকে মেহেরাজের রুমে জ্যোতির সাথে আসর জমাল। সারাদিনে খাওয়া, ওয়াশরুম যাওয়া হতে বিভিন্ন কাজেই এই তিনজন সবরকম ভাবে সাহায্য করে গেছে জ্যোতিকে। অবশেষে চারজনে মিলেই আড্ডা জমাল। সে আড্ডার সময় এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা করে অনেকটা সময় কেঁটে গেল৷আকস্মিক নাবিলা হেসে বলে উঠল,
” জ্যোতি?দুটো ইন্ট্রোভার্টের সংসার কেমন হয়? না মানে ইন্ট্রোভার্টরা কি নিজেদের একসাথে কাঁটানো মুহুর্ত গুলো ও এমন বোরিং ভাবেই গম্ভীর হয়ে কাঁটায়? কি বিরক্তিকর!এরা তো বোধহয় সবকিছুতেই গম্ভীর থাকে। যেমনটা তুই আর রাজ ভাইয়া।দুইজনই কেমন জানি ফাংসে! ”
কথাগুলো একটানে বলেই থামল নাবিলা। নাফিসা আর মেহু হাসল। নাবিলা পরমুহুর্তেই আবার কি ভেবে অতি উৎসাহী নজর ফেলে ভ্রু উঁচু করে শুধাল,
” আচ্ছা বাই এনি চান্স ইন্ট্রোভার্টরা প্রেম করতে পারে তো? তোদের মাঝে আসলে প্রেম ট্রেম কিছু ঘটেছে জ্যোতি? আমার তো রাজ ভাইয়াকে দেখে কিশোরীকাল থেকেই মনে হতো উনার বউ উনার প্রেমে পড়ে চুমু খেতে গেলেও রাজ ভাইয়া গম্ভীর গলায় আদেশ করে বলবে যে প্রেমে পড়া বারণ!এত বেশি গম্ভীর রাজ ভাইয়া।”
কথাগুলো শুনে হঠাৎ জ্যোতির মনে পড়ল সকালের ঘটনা। মেহেরাজকে উপর দিক দিয়ে যতোটা গম্ভীর দেখায় আসলেই কি অতোটা গম্ভীর? যতোটা প্রেমিক সত্ত্বা বিহীন বোধ হয় অতোটায় কি প্রেমিক সত্ত্বা বিহীন সে?নিশ্চয় নয়। যদি প্রেমিক সত্ত্বা তার মাঝে নাই থাকত তবে নিশ্চয় এতগুলো বছর সামান্তার সাথে প্রেম টিকত না তার।সামান্তা নামক রমণীটা পাগলের মতে আচরণ করত না এই যুবকের জন্য।নাবিলা ফের আবারও বলল,
” রাজ ভাইয়া আর সাঈদ ভাইয়া দুজনই বন্ধু। অথচ দুইজন দুই মেরুর। একজন ভীষণ প্রেমিক মানুষ, অন্যজন একদম প্রেমবিদ্বেষী। এদিক থেকে সাঈদ ভাইয়া দারুণ মানুষ কিন্তু।”
মেহু জ্বলে উঠল মুহুর্তেই। শুধাল,
” তুই কি করে বুঝলি সাঈদ ভাইয়া প্রেমিক মানুষ? প্রেম হয়েছে তোর উনার সাথে?”
নাবিলা ঠোঁট টিপে হাসল। বলল,
” উহ! কি যে বলো, উনার সাথে প্রেম হওয়া লাগে নাকি?উনার সাথে তো আমার সে জম্মকাল থেকেই প্রেম। ”
মেহু হাসার চেষ্টা করে বলে উঠল,
” বাহ! তো এতকাল প্রেম না করে বিয়েটা করে নিলেই তো পারিস। ”
নাবিলা হাসল।চোখ টিপে বলল,
” উহ আপু,কি যে বলো। আমি এসব বিয়ে টিয়ে তে নেই।তবে পৃথিবীর সব প্রেমিক পুরুষেরই প্রেমে পড়তে রাজি আছি। আর সাঈদ ভাইয়া তো সেখানে সাক্ষাৎ প্রণয়পুরুষ। প্রেমে না পড়ে পারি?একদম পিঁছলে পড়ে গিয়েছি।”
নাফিসাও সে সুরে তাল মিলিয়ে বলে উঠল,
” সত্যিই সাঈদ ভাইয়া মানেই ভালোবাসা। আমার সাথে সাঈদ ভাইয়ার বয়সের পার্থক্য আছে। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স ডাজ’ন্ট ম্যাটার। তাই না মেহু আপু?”
মুহুর্তেই নাবিলা ক্ষেপে উঠল। নাফিসা, নাবিলা দুইজনই মুহুর্তে এক পুরুষ নিয়ে ঝগড়া বাঁধাল। মেহুর বুকের ভেতর জ্বলে উঠল হঠাৎ। মুখ হয়ে উঠল থমথমে। কেন সব মেয়েরা তার জন্যই পাগল হবে? কেন সবাই তাকে চাইবে?মেয়েদের সাথে এতোটা গভীরভাবে মেশারও কি প্রয়োজন? মুখ থমথমে করে আর বসে না থেকে নিজের রুমে গিয়ে গা এলিয়ে দিল মেহু। পরমুহুর্তেই কি বুঝে সাঈদকে কল করল। কল রিসিভড হতেই ঝাঝালো স্বরে বলে উঠল,
” আপনাকে আমার সহ্য হয় না সাঈদ ভাইয়া। জাস্ট হেইট ইউ।”
সাঈদের বোধ হয় আকস্মিক কথাটা বুঝে উঠতে সময় লাগল। পরমুহুর্তেই বলল,
” আমি আবার কি করেছি মেহু?এভাবে বউয়ের মতো রাগ দেখাচ্ছো কেন?পরে বউ ভেবে কিছু বলে ফেললে বা করে ফেলল তো দোষটা আমারই হবে।”
মেহুর রাগ বাড়ল। বলল,
” কল রাখুন, আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছে নেই।”
সাঈদ বোধহয় হাসল। বলল,
” কল কিন্তু তুমিও রাখতে পারো।”
” এসব কেন পাঠিয়েছেন আমায়? চিরকুটে কি লিখেছেন? আমি বলেছি পাঠাতে?এসব করেই মেয়েদের পটিয়ে নেন তাই না? ”
সাঈদ হাসল৷ ফিচেল স্বরে বলে উঠল,
” তুমি পটেছে কিনা তাই বলো প্রিয়। ”
মেহু দাঁতে দাঁত চেপে শুধাল,
“আমি আপনার পেছনে ঘুরঘুর করা সেসব মেয়েদের পর্যায়ে পড়ি না। আপনি একটা জঘন্য মানুষ সাঈদ ভাইয়া। জঘন্য! ”
সাঈদ প্রশ্ন ছুড়ল,
” কেন?”
” আপনি সবসময় মেয়েদের সাথেই ঝুলে থাকেন। অসহ্যকর একটা লোক আপনি। ”
সাঈদ পুনরায় প্রশ্ন ছুড়ল,
” তুমি জ্বেলাস?”
মেহু থমথমে কন্ঠে উত্তর দিল,
” না, একদমই নয়।তবে আপনি চতুর,চরিত্রহীন একটা মানুষ। মেয়েদের মনে জায়গা করতে দক্ষ।আমাদের নাফিসার বয়স কত?ওকে পর্যন্ত আপনি ছাড়লেন না?”
সাঈদ চুপসে যাওয়া কন্ঠে অতি নিরীহ ভাবে বলে উঠল,
” কসম মেহু, আমি নাফিসাকে ধরিওনি, ছাড়া তো দূর। তুমি উল্টাপাল্টা দোষ চাপাতে পারো এই নিরীহ মানুষটার উপর। ”
মেহু এবার হুট করেই কল রাখল। মোবাইলটা বিছানার এককোণে ফেলে রেখেই চোখ বুঝল। ওপাশ থেকে বারংবার কল আসল। মোবাইলের আওয়াজ হলো। কিন্তু মেহু কল তুলল না।কল তোলার নুন্যতম ইচ্ছাও হলো ন।
#চলবে…
[ কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।দেরিতে দেওয়ার জন্য দুঃখিত।আরেকটা কথা, রেসপন্স করলে কাল দুই পর্ব পাবেন। ]
গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/