এক_শ্রাবণ_হাওয়ায়
পর্ব_৪
#কায়ানাত_আফরিন
-এইযে চুলে যত্নবান নারী ! চুলে তো ভালোই নজর দিচ্ছেন,,,এইদিকে শাড়ির কুচি যে খুলে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল আছে? ইয়া খোদা ! প্রথমদিনই এই অবস্থা। পরে আবার কি খুলে টুলে যাবে আল্লাহ মালুম!
এমন উচ্চস্বর শুনে তড়িঘড়ি করে পেছনে তাকালাম আমি। আনভীর বসে আছে বিছানায় হেলান দিয়ে। ভাবভঙ্গি স্বাভাবিক,,,তবে প্রখর চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। আমি এবার চরম মাত্রার অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম । একটু আগের কথাগুলো ঢেউয়ের মতো আমার কানে বেজে চলছে। উনার কি আসলেই মুখে কোনো লাগাম নেই? আমি অপ্রস্তুত হয়ে শাড়ির কুচি ভালোমতো আকড়ে ধরলাম এবার। মৃদু কন্ঠে বিছানায় বসে থাকা আনভীরকে বললাম,,
-‘আপনি,,,,,,,আপনি কখন উঠলেন?’
-‘যখন নায়িকাদের মতো সারাঘরে চুলের পানি ছিটিয়ে বন্যা বানাচ্ছিলে তখনই।’
উনার আড়ষ্ট কন্ঠ। এই লোকটার কথা শুনলেই গায়ে কেমন করে যেন আগুন ধরে যায় আমার। হ্যাঁ মানছি যে আমার ভুলের জন্যই আমাকে বিয়ে করতে হয়েছে তাই বলে উল্টাপাল্টা কথা দিয়ে এমন মাথা খেয়ে ফেলবেন আমার?আমায় চুপ থাকতে দেখে হঠাৎ সোজা হয়ে বসলো আনভীর। চোখের ঘুমুঘুমু ভাবটা এখনও রয়ে গিয়েছে। পাশের টেবিল থেকে চিকন ফ্রেমের খয়েরী চশমাটা পড়ে নিতেই আবারও অন্যরকম একটা ভাব চলে আসলো উনার মধ্যে। কিছু কিছু ছেলেরা আছে যাদের চশমা পড়লে চরম হ্যান্ডসাম লাগে,,,,এককথায় বিপদজনক হ্যান্ডসাম। আমায় উনার দিকে এমন বড়ো বড়ো চোখ করে তাকিয়ে থাকতে দেখে আনভীর ভ্রু কুচকে বলে ওঠলো,,
-‘ওয়েট! গতরাতে তুমি গোসল করেছিলে না?’
-‘হ্যাঁ।’
-‘তাহলে সকালে উঠেই আবার গোসল করলে কেনো?…..একমিনিট,,,একমিনিট। গতকাল আমাদের বাসররাত ছিলো। আমাদের চুক্তি অনুযায়ী আমি এককদমই তোমার দিকে এগোয়নি। এট এনি চান্স,,,,তুমি কি আমার ঘুমের ফায়দা উঠিয়েছো নাকি যে পরদিন সকালেই গোসল করতে হলো?’
আমার মাথায় এবার যেন বিশাল আকাশ ভেঙে পড়লো। আনভীর আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কৌতুহলতার সাথে। এমন কথা শুনে আমার মাথা কাজ করা যেন বন্ধ করে দিয়েছে। লাইক সিরিয়ালি! আমি উনার ঘুমের ফায়দা উঠাবো? আমি এবার রেগে গেলাম প্রচন্ড। জোর গলায় বললাম,,,
-‘আমি কেনো আপনার ফায়দা উঠাবো? আপনি কোন চকলেটের খনি , একটু শুনি?’
-‘আমি চকলেটের খনি নাকি ক্যাটবেরী ডেইরী মিল্ক তা তো তুমি জানো। আর এভাবে গোসল সেরে নায়িকাদের মতো চুলের পানি ছিটিয়ে বান ভাসাচ্ছো কেনো?তোমার এই পেত্নী টাইপ ভেজা চুল দেখিয়ে জীবনেও আমায় পাগল করার চেষ্টা করতে পারবে না। সো এসব বুলশিট বাদ দাও। ছয় মাস তোমায় সহ্য করবো দ্যান ইউ মে গো।’
উনি মানুষটা আসলেই সাংঘাতিক। একের পর এক উদ্ভট কথাবার্তা শুনে আমি উনার দিকে তেড়ে যেতেই উনি বাকা হেসে বললেন,,
-‘এইযে ম্যাডাম! কুচি খুলে যাচ্ছে কিন্ত।’
ব্যাস !আমি সেখানেই চুপ। পরাজয়ী ভাবে কুচি ধরে তাকালাম উনার দিকে। চশমিশ বিলাইটা ঠোঁট চেপে হাসছে। এখানে আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কোনো মানেই হয়না। আগে বাথরুমে এই শাড়িটা ঠিক করতে হবে। বিড়বিড়িয়ে তাই বলে ফেললাম,,
-‘আপনাকে পরে দেখে নেবো।’
______
ডাইনিং রুমে শিউলি ভাবির সাথে খাবার সার্ভ করছি আমি। তখনকার ওই ঘটনাটির জন্য যেমন লজ্জা পেয়েছিলাম আনভীরের শেষ কথাগুলো শুনে কান্নাও পেয়েছিলো অনেক। নিজেকেই ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে হচ্ছিলো বারবার । তাই বাথরুম থেকে শাড়ি ঠিক করে এক সেকেন্ডও দাঁড়াইনি উনার রুমে। চলে এলাম রান্নাঘরের দিকে। ওই মানুষটা আর আমি,,,,,যাই হোক কখনও একসাথে আজীবন থাকতে পারবো না। তবুও চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম আমি,,তবে মনে হয়না সফল হবো। তাহলে যেটা হওয়ার সেটাই হোক, আমি এখানে থাকবো শুধু মাত্র উনার চুক্তিবদ্ধ স্ত্রী হয়ে।
আনভীরের বাবা খাবারগুলো দেখে বলে ওঠলেন,
-‘বাব্বাহ ! আজ এত আয়োজন?এখন তো পেটপুরো খাওয়া যাবে।’
আমি বিনয়ী হাসলাম এবার। আজরান ভাইয়াও বললেন,,
-‘আসলেই তো আহি। এত সকালে উঠে এত খাবার রান্না করলে কিভাবে? খেতেও তো ভালো হবে মনে হচ্ছে। আমার বউ যদি এভাবে সকালে একটু রান্না করতো !’
শেষ কথাটা আজরান ভাইয়া বিদ্রুপের সাথে বললেও শিউলি ভাবি কড়া চোখে উনার দিকে তাকালো। তবে মা’র জন্য কিছু বললেন পারলোনা সে।ইতিমধ্যেই ডাইনিং টেবিলে এসে পড়লেন আনভীর। উনি একেবারেই গোসল সেরে পরিপাটি হয়ে এসেছেন। পরনে গ্রে কালার শার্ট,কালো প্যান্ট,মসৃন চুলগুলো সুবিন্যস্তভাবে পেছনে আচড়িয়ে রাখা, হাতে মোটা ডায়ালের ঘড়ি আর বরাবরের মতোই চোখে চিকন ফ্রেমের খয়েরী চশমা। বলতে হবে একটু ঠোঁটকাটা ধরনের মানুষ হলেও দেখতে এতটাও মন্দ নয়। আনভীরকে এভাবে দেখে বাবা বলে ওঠলেন,,
-একি আনভীর।তুমি ফর্মাল গেটআপে যে? ভার্সিটিতে যাচ্ছো?
-এসময় আমি তাছাড়া কোথায় যাই বাবা?,,,,,,, হ্যাঁ , ভার্সিটিতেই যাচ্ছি।
আনভীর শীতল কন্ঠে কথাগুলো বলে চেয়ারে বসে পড়লেন এবার। বাবা এই উত্তর শুনে একটু অসন্তুষ্ট। তাই প্রশ্ করলেন,,,
-গতকালই বিয়ে হলো তোমার আনভীর। আজ তোমার ভার্সিটিতে যাওয়াটা কি উচিত?
-কেনো সরকার কি কোনো ধারা দিয়েছে যে বিয়ের প্রথম দিন আনভীরের ভার্সিটি যাওয়া নিষেধ?
মানুষটা আজব তো ! আমি তো ভেবেছিলাম শুধু আমার সাথেই এমন। তবে যে উনি সবার সাথেই এমন বিষয়টা জানলাম মাত্র। বাবা শুকনো কাশি দিলেন এবার। খেতে খেতে বললেন,,,,
-জলদি এসে পড়ো।
-আজ অফিসে বসে পরীক্ষার খাতা দেখবো। এতদিন বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে এক বান্ডিল খাতাও দেখা হয়নি। আসতে দেরি হবে।
কথাবার্তার একপর্যায়ে খাওয়া শেষ করলেন আনভীর। তারপর সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন ভার্সিটির জন্য। এর মধ্যে একবার শীতল চোখে তাকালেন আমার দিকে। চশমার আড়ালে সেই গহীন শীতল চোখজোড়ার মানুষটার দৃষ্টির অর্থ আমার অজানা ছিলো। কে জানে কি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন উনি!
__________
এই বাড়িতে স্বভাবতই রান্না শিউলি ভাবি করেন শুধুমাত্র সকালের নাস্তাটি ছাড়া। আর ঘরের বাকি কাজগুলো নুড়ী আপাই সামলে নেন। আনভীরের মা অসুস্থ কিছুটা। হাড়ের ব্যাথার কারনে ভারী কাজ করতে পারেননা। এজন্য উনার দুই ছেলে কড়াকড়িভাবে আরোপ করেছেন উনি যেন একটি কাজও করতে না পারে। মা দ্বিধা জানালেও মনে সন্তুষ্টি আছে এতে যে দুই ছেলেই উনাকে এতটা ভালোবাসে। দুপুরে শিউলি ভাবির সাথে রান্নায় হাত বাড়ানো শেষে দুজনেই এবার বসে পড়লাম সোফায়। শিউলি ভাবি মানুষটা খুব নরম মনের। অল্পতেই খুব খুশি হয়ে যেতে পারে। কথাবার্তায়ও সুমিষ্ট একটি ভাব। ব্যক্তিগতভাবে এমন একজন মানুষকে আমার আসলেই খুব পছন্দ।হঠাৎ শিউলি ভাবি দুষ্টু হেসে বলে উঠলো,,,
-‘এই আহি,,,,গতরাতে কি করলে তোমরা?’
লজ্জায় লালচে রঙ ধারন করেছে আমার মুখ। আমার এ অবস্থা দেখে হেসে দিলো ভাবি। মিহি কন্ঠে বললো,,
-আরে ! এত লজ্জা পাচ্ছো কেনো? আমি তো তোমার বোনের মতই।
-বলার মতো কিছু করিনি ভাবি। তুমি তো সবটাই জানো।
বিমর্ষ হয়ে গেলো আপু। আসলে শুধু আমি কেনো , এ পরিবারের কেউই তাৎক্ষণিক এ বিষয়টির সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না। আপু জড়ানো কন্ঠে বললো,,
-থাক। আল্লাহ যা করেছে ভালোই করেছে। তোমার সাথে যার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো কেমন মানুষ সে? যে শোনা বলা কথার মধ্যেই বিশ্বাস করে নিলো। তোমার আর আনভীরের মাঝে না ছিলো কোনো সম্পর্ক,,,,না ছিলো কোনো যোগাযোগ। তাহলে একটা দৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে কিভাবে এত নোংরা কথাগুলো বললো সবাই। আর তোমার চাচী? সে তো তোমার কাছের মানুষ,,,,সেও তোমায় বিশ্বাস করলো না?
হঠাৎ চোখ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়লো আমার গালে। চাচা-চাচী এদের নাম শুনেই মাথা ঘুরিয়ে যাচ্ছে আমার। আমি মৃদু গলায় বললাম,,,,
-একটা কথা বলি ভাবি ,,,,,যদি বাবা-মা ই সন্তানের ওপর নজর না দেয় তাহলে কেউই তাদের নজরে রাখবে না। মা’হারা মানুষ ছিলাম আমি। এর মধ্যেই বাবা নিজের চাকরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আমায় রেখে গেলো চাচার আস্তানায়। বাবা কখনোই আমায় দেখতে আসতেন না,,,,,না বলতেন মোবাইলে আমার সাথে কোনোরকম কোনো কথা। শুধুমাত্র টাকাটাই সময়মতো পাঠিয়ে দিতেন। এককথায় বলতে পারো বাবা থাকতেও আমার বাবা মৃত। আমার বাবাই যদি আমার যত্ন না নেয় তাহলে অন্যরা কেনো খেয়াল রাখবে আমার?সবার মনে একটা ধারনা ছিলো মা-বাবা ছাড়া বড় হয়েছি,,,তাই অকাজ-কুকাজ আমার জন্য সমস্যা বাড়াবে না। তাইতো আমায় আর উনাকে এক ঘরে দেখে সবাই নোংরা চিন্তা মাথায় একেঁ নিলো।
শিউলি ভাবি আমার কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিশ্চুপ।আমার চোখ মুছে স্বাভাবিকভাবে বসলাম এবার। শুরুতে যেমন কষ্ট পেয়েছি এখনও এসব আমার নিত্যদিনের অংশ হলেও মেনে নিতে শিখেছি।শিউলি ভাবি মলিন গলায় বললো,,
-জানো কষ্টের পর আল্লাহ একসময় সুখ দেয়? তুমিও সুখের দুয়ারে এসেছো আহি। আনভীর আর যাই হোক,,,তোমায় কখনও কষ্ট পেতে দেবে না। হ্যাঁ হয়তো ও এই বিয়েটা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় আছে। তবুও আমি বলবো তোমরা দুজন একে অপরের জন্যই তৈরি।
-মা’ও তো আমার সাথে কোনো কথা বলেন না।
-উহু! তুমি মা’কে এখনও চিনতে পারওনি। সে দাম্ভিক ধরনের মানুষ। কথা হয়তো খুবই কম বলে। তবে সে তোমার প্রতি অনেক যত্নবান। হয়তো ছেলের চুপচাপ ব্যবহারটাই উনাকে নাড়িয়ে দিয়েছে তবে তুমিযদি আনভীরের সাথে সবকিছু ঠিকঠাক রাখতে পারো,,,উনি মাথায় তুলে নাচাবেন তোমায়। আর আমার দেবরটা চুপচাপ মানুষ হলেও বদের হাড্ডি একটা। ওকে সামলািয়ে রেখো।
আমি মেকি হাসি দিলাম এবার। এবাড়িতে আজরান ভাইয়া-শিউলি ভাবির মতো এত ভালো মানুষের ভীড়ে ওই অসভ্য মানুষটা কিভাবে টিকে থাকলো?
_________________
নিশিরাতের তপ্ত বাতাসে উদ্ভাসিত চারিপাশ। ঘড়ির কাটা ঠিক দশ বরাবর পড়েছে। আমি ঠোঁট কামড়ে একবার রুমের দরজার দিকে তাকালাম তো একবার ঘড়ির দিকে তাকালাম। বাবা তো বলেছিলো যে উনি ভার্সিটিতে দু তিনটা ক্লাস করিয়ে রাস্তা বিচরণ করে একেবারে বিকেলের দিকে বাসায় ফিরেন। পরে সন্ধ্যার পর বেডরুমের পাশে লাইব্রেরিতে চলে যান পড়াশোনা করতে। উনি তো আবার ম্যাথম্যাটিক্সের প্রফেসর। তাই পড়াশোনা ছাড়া আর কোনো গতি নেই।
তবে আনভীরের এত দেরিতে আসাটা বেশ ভাবাচ্ছে আমাকে। যদিও সকালে উনি বলে গিয়েছিলেন পরীক্ষার খাতা দেখবেন বলে দেরি হবে আসতে। তবে এতটাও যে দেরি হবে তা ছিলো আমার ধারনার বাইরে। এরই মধ্যে দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করলেন আনভীর। শার্টের কয়েকটা বোতাম খোলানো ,,,,হাতার ভাঁজ ইতিমধ্যে নামিয়ে ফেলেছেন। আমার দিকে একপলক তাকিয়ে আবার নিজের জিনিসপত্র রাখতে মন দিলেন উনি। এমন ভাব করছেন যে আমি এই ঘরের বস্ত ছাড়া আর কিছুই না। আমি তবুও আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,
-আসতে দেরি হলো যে?
-দ্যাটস নন অফ ইউর বিজনেস।
আনভীরের কাঠ কাঠ গলা। আমার শুকনো ঢোক গিললাম আবার। এই মানুষটার ইগ্নোরেনস রীতিমতো আমায় মাটিতে মিশিয়ে ফেললেও বাবার কথামতো আবার প্রশ্ন করলাম,,,
-কোথায় ছিলেন এতক্ষণ?
আনভীর ঘড়িটা খুলে আচমকা আমার এতটাই কাছাকাছি এসে পড়লেন যে সময়ের অভাবে আমি না পিছিয়ে পাথর হয়ে ছিলাম। উনার উত্তাপময় নিঃশ্বাস নিংড়ে পড়ছে মুখে। আনভীর বলে ওঠলেন,,,
-সমস্যা কি তোমার?সকালবেলায় ভেজা চুলের মতো এখন আমায় তোমার কথাবার্তা দিয়ে আকর্ষণ করতে চাও? বউ হতে না হতে ভালোই অধিকার ফলাচ্ছো দেখছি। লিসেন,,,,আমার যা মন চায় আমি তাই করবো । তবুও তোমায় কৈফিয়ত দিতে আমি বাধ্য নই।সো নেক্সট টাইম আর এই বউগিরি দেখাতে আসবে না। আর হ্যাঁ,,,,,(কিছুটা কাছে এসে),,,বারবার আমার সামনে ঠোঁট কামড়াবে না। এতে আমার মাথা ঠিক থাকে না। যদি উল্টাপাল্টা কিছু করে ফেলি তবে দোষ আমার হবেনা,,,…বুঝেছো?
.
.
.
~চলবে…..ইনশাআল্লাহ!
ভুলক্রুটি ক্ষমাসুলভ চোখে দেখবেন।