“এখনো ভালোবাসি”💖 পর্ব-১৪

0
4437

“এখনো_ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-14

“ইরফাত তুই কথা দিয়েছিলি আমায়,তোর ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবি।আর এখন সেই কথার বরখেলাপ করছিস।এসব কিন্তু আমি মোটেও সহ্য করবো না।আর আমার ইচ্ছা পূরণ না হলে আমি কি কি করতে পারি জানিস তো।”

–আপা একটু শান্ত হোন।আমি জানি আমি কথা দিয়েছিলাম।আর এই বিষয় আয়নের সাথে একবার কথাও বলেছিলাম।কিন্তু ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ও সারাকে নাকি বোনের চোখে দেখে।এরপরও আর কিভাবে ছেলেকে এই বিষয় নিয়ে কথা বলি বলেন আপনি।

“আমি এতো কিছু জানি না।আমার মেয়ে এই বাড়ীর বউ হয়ে না আসলে,আমি এই বাড়ীর সব কিছু জ্বালিয়ে দেবো।আর এটা যে আমি খুব ভালো করে করতে পারবো তা তুই খুব ভালো করে জানিস।আমার একটা কথায় এই বাড়ীর প্রতিটি ইট হিলে যাবে।”

–মহিনী আপা এসব কি বলছেন।আর কেনো এমন করছেন আপনি।এসব করে এখন আর কি হবে।আয়নের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।আর এই সত্য আপনি আমি কেউ পাল্টাতে পারবো না।বুঝতে চেষ্টা করছেন না কেনো।

“তুমিতো কোনো কথাই বলবে না আসমা।সব দোষের মূল তুমি।নিজের ভাইঝিকে আয়নের পিছনে লাগিয়ে দিয়েছো কেনো আমি কি কিছুই বুঝি না।মনে রেখো তোমার মনো বাসনা আমি কখনো পূরণ হতে দেবো না।”

–আপা আপনি প্রত্যেকবার আমাকেই কেনো দোষারোপ করেন।আমি নিজেও চেয়েছিলাম প্রিয়ু জাতে এই বাড়ীর সীমানয় কেনো আয়নের জীবনেও না আসে।তাই তো….

“তাইতো নিলীমার সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছো। তখনো আমার মেয়ে সারার কথা চিন্তা করোনি একবার তাইনা।”

–আপা আপনার ভাইতো বলেছেই,আয়ন সারাকে বোনের চোখে দেখে,তাহলে!ব্যাপারটা কেমন হয়ে দাঁড়ায় ভাবুন একটু।

“তাতে কি?সারা আয়নের আপন বোন তো না।বিয়ে হলে সবই ঠিক হয়ে যেতো।কিন্তু তোমরা জামাই বউ মিলে কখনো চাওনি।তাইতো আমার মেয়েকে দুধ থেকে মাছির মতো সরিয়ে ফেললে।
ইরফাত একমাসের সময় দিলাম তোকে।এর মধ্যে সারাকে এই বাড়ীর বউ হবার ব্যবস্তা করো।তা না হলে আগামী তুফানের জন্য তৈরি হয়ে যাও।”
-এসব বলেই মহিনী চলে গেলো নিজের রুমের দিকে।

–আর এদিক দিয়ে ইরফাত মাহম্মুদ আর আসমা গভীর চিন্তায় বিছানার দুপাশে বসে আছে।
‘এখন কি হবে ইরফাত।আমার ভীষন ভয় করছে।আপা যদি আয়নকে সব বলে দেয় সব শেষ হয়ে যাবে।আয়ন আমাদের কখনো মাপ করবে না।আমাদের সুখের সংসার তছনছ হয়ে যাবে।’

“না…!ইরফাত অনেকটা জোরেই বললো কথাটি।আমি এ হতে দেবো না।যে ছেলের চোখে সারা জীবন সম্মান দেখেছি তার চোখে ঘৃর্ণা দেখতে পারবো না।আমাদের কিছু একটা করতেই হবে।সারাকে এই বাড়ীর বউ বানানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।তা না হলে মহিনী আপা সব শেষ করে দিবে।আমি খুব ভালো করেই চিনি উনাকে।উনি হুমকি দিয়ে ছাড়ার মতো মানুষ না।
__________

‘কখন ধরে বাড়ীর কলিংবেল বেজে চলছে।দরজায় দাঁড়ানো ব্যক্তিটির হয়তো ধৈর্য কম তাই তো কলিংবেলটির উপর এমন অত্যাচার করে চলছে।’
“-তিতি ওয়াসরুম থেকে কোনো রকম কাপড়টা পড়ে বের হয়ে গেলো।শরীরটাও মোছার সময় পায়নি।যার কারণে জামার বেশিরভাগই ভিজে গিয়েছে।তবুও তিতির শরীরের ওড়নাটাকে ভালো মতে পেঁচিয়ে দরজার দিকে দৌড় দিলো।আর এক মিনিট দেড়ি হলে হয়তো দরজাটা ভেঙ্গেই ফেলবে।”
–তিতির অনেকটা বিরক্ত হয়েই দরজাটা খুললো।মনে মনে অনেক কিছু ভেবে নিয়েছিলো,গেট খুলেই আগে আচ্ছামতো ঝাড়বে।এভাবে কেউ কলিংবেল বাজায়।কিন্তু দরজার সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তিটিকে দেখে তিতিরের মুখ চুপছে গেলো।গলা শুকিয়ে গেলো।ভয়ে হাতপা ঠান্ডা হতে শুরু করে দিয়েছে রীতিমতো।

“কাপাকাপা কন্ঠে বলে উঠলো,আ আ প নি এখানে।তিতির ভাবতেই পারেনি এই লোকটি যে সত্যি সত্যি ওর বাসায় এসে হামলা দিবে।”

–দিনেশ পকেটে হাত রেখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তিতিরের দিকে।মাত্র স্নান করে আসা তিতিরকে দেখে মুহুর্তে দিনেশ যেনো সব কিছু ভুলে গেলো।এই রুপে আগে তিতিরকে দেখা হয়নি কখনো ওর।তিতিরকে এখন একদম ভোরের প্রথম আলোয় ফুটে উঠা কোনও সিগ্ধ কলির মতো লাগছে।যার পাপড়ি গুলো মনে হয় শিশিরের বিন্দু এসে ভিজিয়ে দিয়ে গিয়েছে।দিনেশের খুব হিংসে হলো এটা ভেবে,তার প্রিয়তমাকে স্পর্শ করার অনুভূতি হওয়ার সৌভাগ্য ওর কেনো হলো না।মুগ্ধ হয়ে তিতিরের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন।

“আর তিতির, সে তো ভয়েই শেষ।একতো দিনেশকে এখানে দেখে, তার উপর তিতির বাড়ীতে একা।কেউ যদি দিনেশকে এখানে দেখে ফেলে,কি না কি মনে করবে।তিল থেকে তাল বানাতে প্রতিবেশিদের সময় লাগবে না।তাই একপ্রকার ভয় পেয়েই দিনেশকে ঘরের ভেতরে টেনে এনেই দরজা লাগিয়ে দিলো তিতির।
“স্যার আপনি এখানে কি করছেন।অনেকটা ভীতু কন্ঠে দিনেশকে জিঙ্গেস করলো। ”

–তিতিরের এমন আচরনে দিনেশ প্রথমে শোকড হলেও মুহুর্তে নিজেকে সামলিয়ে ফেলে।আর তখনি ওর আবার সকালের কথা মনে পড়ে যায়,কিভাবে তিতির ওকে না বলে চলে আসছে,জাস্ট একটা চিঠি লিখে।তাও আবার যেমন তেমন চিঠি না।নিজের বিয়ে ঠিক হবার কথা লিখেছে।তাইতো দিনেশ এতোটা রেগে এখানে চলে এসেছে।আজ ও তিতিরকে বুঝিয়ে ছাড়বে।দিনেশ কি জিনিস।এতো সহয না দিনেশের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া।
____________

“বালকানিতে দাঁড়িয়ে সকালের সিগ্ধ বাতাসে ভেসে আসা মিষ্টি ঘ্রাণটা প্রাণ ভরে নিশ্বাসের সাথে টেনে নিচ্ছে প্রিয়ু।আজ অনেকদিন পর মনে হয় এতো ফ্রেস বাতাস শরীরটাকে ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছে ওর।জাতে নেই কোনও গাড়ীর কালো ধুয়া, নেই কোনও বিষাক্ত কনা।”
‘-কাল কেনো জানি প্রিয়ুর খুব ভালো ঘুম হলো,প্রিয়ু নিজেও জানে না।কেনো?তবে ভোড়ের আযানের শব্দেই প্রিয়ুর ঘুম ভেঙ্গে যায়।আর উঠেই নিজেকে একটা অচেনা জায়গায় পায়।তবে পাশে শুয়ে থেকে ওকে জড়িয়ে ধরা ব্যক্তিটি কে দেখে প্রিয়ু ভয় পায়নি।আর ওর বুঝতেও বাকি রইলো না,কাল বাইক থেকে ও এখানে কিভাবে এসেছে।’

–প্রিয়ু আর কিছু না ভেবে উঠে ফ্রেস হয়ে ওজু করে বিছানায় রাখা এক্সট্রা চাদরটা মেঝেতে বিছিয়ে নামাযটা আদায় করে ফেললো।এরপর আর ঘুম চোখে ধরা দিবে না প্রিয়ু তা খুব ভালো করে জানে।তাই আশপাশটা দেখতে বালকানিতে চলে গেলো।আর বালকানিতে গিয়েই প্রিয়ু কিছুটা অবাক হলো,এটা ভেবে ওরা কোথায়।

“চারদিকে নাম না জানা অসংখ্য ফুল ফুটে সুভাষ ছড়াচ্ছে। আর সারি সারি গাছগুলোর আড়ালে উকি দিয়ে দেখা যাচ্ছে বিশাল ঝিলটিকে।আশেপাশের পরিবেশটা দেখে প্রথম নযরে যে কেউ বলবে এটা কোনো গ্রাম।কিন্তু আশেপাশে আরো কিছু দালান দেখলে বুঝতে অসুবিধে হবে না এটা যে একটা রিসোর্ট।তবে এটার আকর্ষণিয় দিক হলো চারপাশে দালান হলেও উপরের ছাদটা ছাউনি দেওয়া।ঠিক গ্রামের বৈচিত্র্য আনার ভরপুর চেষ্টা করেছে কেউ।প্রিয়ু খুব উৎসাহের সাথে চারপাশটা দেখতে লাগলো।ওর খুব ভালো লাগলো জায়গাটা।মনটাও শান্ত হয়ে গেলো আশেপাশের ভিউ দেখে।
কিন্তু হঠাৎ অনুভোব হলো কেউ ওর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।কারো গভীর নিশ্বাস এসে পড়ছে ওর চুলগুলোতে।প্রিয়ু কিছুটা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।ওর বুঝতে বাকি নেই কে সে।”

–আয়ন প্রিয়ুর পিছনে একদম গায়ের সাথে ঘেষে দাঁড়িয়ে প্রিয়ুর দুপাশে হাত রেখে, প্রিয়ুকে নিজের বাহুদুটোর মধ্যে আটকে ফেললো।বাতাসে প্রিয়ুর চুলগুলো উড়ছে।আর আয়ন প্রিয়ুর চুলের সেই মন মাতানো ঘ্রানে আবেশ হয়ে পড়ছে।পরম যত্নে প্রিয়ুর চুলগুলো একহাত দিয়ে সরিয়ে কাধের একপাশে রাখলো।প্রিয়ুর খোলা কাধে নিজের দুঠোঁট দিয়ে হালকা চেপে ধরলো।

“আয়নের এমন স্পর্শে প্রিয়ু মুহুর্তেই কেপে উঠলো।ওর বুকের দ্রুত উঠানামাটা স্পষ্ট জানানো দিচ্ছে ওর মনের অস্বস্তিরতার কথা।যা আয়নেরও চোখ এড়ায় নি।”

–প্রিয়ুকেও পাগল করে তুলবে আয়ন।বাধ্য করবে আয়নের কাছে আসতে।তবে এবার নাহি জোর করে নাহি ব্লাকম্যাল করে।আয়ন নিজে জিতে নিবে ওর প্রিয়ুকে।আয়নের পার্সোনালিটিই এমন।কোনো মেয়ে আয়নকে একবার দেখলে ভুলতে পারে না।সেখানে আয়ন নিজে ধরা দিচ্ছে এই অবুঝ নারীটির কাছে,তাহলে এই নারী নিজেকে সপে দিতে কিভাবে নিজেকে বাধা দিবে।আর কতোদিন।
আয়ন নিজের মনেই হেসে দিলো।নাক দিয়ে স্ম্যাল নেওয়ার মতো করে,কাধে ঘষতে লাগলো।আর তখনি বলে উঠলো,
নাইস স্ম্যাল।একদম পাগল করার মতো।

“প্রিয়ুর পুরো শরীরে শিহরণ জেগে উঠলো।প্রিয়ু মনে মনে বলছে,এই লোক মারাত্মক ডেন্জেরেস প্রিয়ু।এর সামনে বেশি থাকলে নিজেই খুন হয়ে যাবি।এ তো তোর আগের আয়নদা না।এ তো একজন তৃষ্ণার্ত প্রেমিক পুরুষ।যে তোকে জালে ফেলার জন্য বার বার নিজের কৌশল পাল্টায়।”
____________

“দিশা আজ সকাল সকাল নূর ভিলায় এসেছিলো প্রিয়ুর সাথে দেখা করতে।কিন্তু পারুল এসে যখন বললো,প্রিয়ু বাসায় নেই শুনেই চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই একজন পুরুষালি গম্ভীর কন্ঠ ওর কানে আসলো।”

–তিয়াশ অফিসে যাওয়ার জন্য নিচে আসতেই দিশাকে ড্রয়িংরুম থেকে বের হতে দেখে।আর তখনি পিছন থেকে ডাক দেয়।
“তিয়াশের কন্ঠ শুনেই দিশা থমকে দাঁড়ালো।ও আশা করেনি তিয়াশ এখন বাসায় থাকবে।এই লোকটাকে দিশা যতো এড়িয়ে চলতে চায় ততোই যেনো ভাগ্য বার বার ওদের মিল করিয়ে দেয়।কেনো?আল্লাহই ভালো জানে।”

–কি হলো,তুমি এমন স্ট্যাচু অব লিবার্টর মতো দাঁড়িয়ে আছো কেনো।আমি যে ডাকছি শুনতে পাও না।দিশার ঠিক সামনে এসে কথাটা বললো তিয়াশ।

“দিশা একটু মেকি হেসে না মানে, এই আর….”

–দিশাকে আর বলতে দিলো না তিয়াশ।স্টোপ! যা করতে পারো না তা করতে এসো না।তোমাকে সুট করে না।এখন বলো তুমি এখানে কি করো।

“প্রিয়ু!প্রিয়ুর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম।”
–ও,খুব কি দরকার ছিলো।
“হুম,আয়ন ভাই ওর কলেজে যাওয়ার ব্যবস্তা আবার করে দিয়েছে।তাই বলতে আসছিলাম।কাল খুব ইম্পোরটেন্ট ক্লাশ আছে ও জাতে ওটা এটেন্ট করে।”
–হুম,প্রিয়ুতো নেই।দাদার সাথে কাল রাতেই কোথাও গিয়েছে।ওদের এখন একত্রে টাইম স্পেন্ড করার দরকার তাই আমরাও আর ডিস্টার্ব করিনি।ইউ ডোন্ট ওয়ারি আমি বলে দেবো।আর কিছু।
“না,আর কিছু না।আমি এখন আসি।”
–দাঁড়াও। আমি কি তোমাকে যেতে বলেছি।তিয়াশ খুব গম্ভীর কন্ঠে কথাটা বললো।
“ম মমানে!আর আমি এখানে থেকে কি করবো।”
–তিয়াশ এক পা বাড়িয়ে আরো একটু সামনে এলো দিশার।ওদেরটা তো শুনেছি।তাহলে এবার আমাদের ব্যাপার নিয়ে কথা বলা যাক।চলো আমার সাথে।
“ক কোথায়।”
–হানিমুনে, যাবে আমার সাথে।
“অসভ্য লোক কোথাকার।বার বার এমন সব কথা বলে আমাকে লজ্জায় ফেলে।এই কারনেই তো এই লোকটার সামনে আসতে মন চায় না।নিজের মনেই বিড়বিড় করতে থাকে দিশা।”

–মনে মনে বকা হয়ে গেলে এবার কি আমরা জেতে পারি।চলো তারাতারি।
“দিশা কিছুটা হতোভম্ভ হয়ে গেলো,তিয়াশের কথায়।এই পোলা জানলো কেমন আমার মনের কথা।এসব ভাবতেই তিয়াশের ধমকে দিশা আবার কেপে উঠলো।
–কি হলো,বসো।কিছুটা জোড়েই বললো তিয়াশ।
“আর দিশাও ভয় পেয়ে গাড়ীতে গিয়ে বসে পড়লো চুপচাপ।”

–গাড়ী চলছে তার আপন গতিতে,কিছুক্ষন নিরবতা পালন করে তিয়াশ নিজেই বলে উঠলো।তো কেমন চলছে তোমার দিনকাল।
“দিশা মুখে একটু হাসি টেনে,ভালোই।”
–গুড,আচ্ছা চশমা পড়ো কেনো।চোখে সমস্যা নাকি মাথা ব্যাথা।
“আমি দূরের বস্তু কম দেখি।”
–তাহলে লেন্স ইউস করো না কেনো।
“ওটা ব্যবহারে আমি কম্ফোর্টেবল নই,তাই।”
–গাড়ীতে কিছুক্ষন আবার নিরবতা।এবার তিয়াশ একটা ভয়ংকর প্রশ্ন ছুড়ে মারলো দিশার দিকে।
আমাকে বিয়ে করবে কবে।

“ব্যাচারী দিশা পানি খাচ্ছিলো কিন্তু তিয়াশ ওকে ডাইরেক্ট বিয়ের প্রপোজাল দেওয়ায়,মুখ থেকে পানি সব ছিটকে পড়লো।এরপর নিজেকে কিছুটা শান্ত করে তিয়াশের দিকে তাকালো।মানে।”
–তিয়াশ গাড়ীটা রাস্তার একসাইডে পার্ক করে দিশার দিকে ঘুড়ে ওর মুখোমুখি হলো।দেখো দিশা আমি ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে কথা বলতে পারিনা।
তোমার নিশ্চয় অজানা নয়।আমি তোমাকে পছন্দ করি।আমি জানি প্রিয়ু তোমাকে সব বলেছে।কিন্তু তখন তুমি বলেছিলে তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে।তাই আমি নিড়বে সরে গিয়েছি।কিন্তু এখন! এখন যেহেতু তোমার ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে তাহলে আর সমস্যা কিসে।

“ব্রেকআপের কথা শুনে দিশা চকিতে তিয়াশের দিকে তাকালো।কারণ দিশা তার ব্রেকআপের কথা কারো সাথে শেয়ার করেনি,এমনকি প্রিয়ুর সাথেও না।তাহলে!”

–এখন তো তুমি আর কোনও রিলেশনে নেই।তাই এখন আর কল্পনাও করো না আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো।
তোমাকে ভাবার জন্য কিছুদিন সময় দিলাম।কিন্তু উত্তর আমার হা ই চাই। বুঝলে!
লিটল গার্ল।

চলবে…।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here