“এখনো ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-27
আয়নের রুমের বাহিরে সবাই চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আছে।কারো মুখে কোনও কথা নেই।তবে কিছু কিছু পাবলিকের মুখে বিরাক্ত ভাবটা না চাওয়া সত্যেও ফুটে উঠছে স্পষ্টভাবে।আর এমন মহান ব্যক্তি দুজন হলো,আসমা বেগম আর সারা।তারা পাড়ে না রুমের ভেতরের মানুষটিকে টেনে হিচড়ে বাড়ীর বাহিরে বের করে দিতে।কিন্তু আফসোস কিছু চাওয়া ইচ্ছা থাকলেও পূরন করা সম্ভব হয়না।এই যেমন এখন সারা আর আসমার ইচ্ছার দাম কারো কাছেই নেই।চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আপাততো তাদের কিছু করার নেই।
–“আয়নদের ফ্যামেলি ডাক্তার নাসরিন কবির প্রিয়ুর চেকআপ করছে।”পাশেই আয়ন দাঁড়িয়ে আছে।কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।শুধু এক দৃষ্টিতে প্রিয়ুর অচেতন মুখটির দিকে তাকিয়ে আছে।নিজেকে অনেকটা অপরাধী মনে হচ্ছে।সবই তো ঠিক ছিলো তাহলে হঠাৎ এমন কেনো হলো।ডাক্তার নাসরিন এর কথায় আয়নের হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে পায়।
–“কিছু টেস্ট করা প্রয়োজন পেশেন্ট এর।তাহলে আমরা এক্সাক্ট কারণ জানতে পাড়বো।আপনার ওয়াইফের শরীরটা খুবই ইউক।মনে হয় কিছু দিন যাবৎ খাওয়া দাওয়া তেমন ঠিকমতো করেনা।উনার প্রতি একটু যত্ন নিন মিস্টার আয়ন।কাল সকালে একবার আমার চেম্বারে নিয়ে আসবেন।টেস্টগুলো দ্রুতো করানো দরকার।আপাততো পেশেন্ট এখন ঠিক আছে।উনার ঘুম দরকার,আর একদম স্ট্রেস নিতে মানা করবেন।”
–“আয়ন ডাক্তার নাসরিন এর সাথে কথা বলতে বলতে বাহিরে এসে দেখে সবাই কেমন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।কিন্তু আপাততো কারো রিয়েকশন দেখার সময় নেই আয়নের।আয়ন ডাক্তারকে বিদায় দিয়েই কেউ কিছু বলার আগেই সবার মুখের উপর দরজাটা লাগিয়ে দিলো।আয়নের এমন আচরণে কেউ অবাক না হলেও মিসেস আসমা বেগম অনেকটা বিরক্ত।এই ছেলেকে নিয়ে উনি আর পাড়ছে না।কি আছে এই মেয়ের মাঝে,যে তার এতো বড় ধামড়া ছেলে এই মেয়ে ছাড়া কিছু চোখেই দেখে না।গলার মধ্যে কাটার মতো আটকে আছে এই মেয়ে।আরে চলে গেলে এমন জায়গায় যা,যাতে আয়ন ইচ্ছা করলেও আর খুঁজেও না পায়।কিন্তু না!ম্যাডাম দুদিন পর পর গায়ব হবে,আর ছেলে হারিক্যান নিয়ে খুঁজে বের করবে।এটা বাড়ীতো না,যেনো কোনও এতিম খানা।যার মন চায় আসবে আবার যার মন চায় চলে যাবে।আর আমি হচ্ছি বিশাল দানশীল। মানুষ টাকাপয়সা দান করে,আর আমি আমার ছেলেদের।কি জীবন আমার।দালান ঘরে থেকেও ছ্যাড়া তেনার সুখ কপালে।প্রিয়ুর থেকে বেশি তো আয়নের উপরই রাগ উঠছে এখন বেশি আসমার।পাড়ছে না আয়নকে এখনই দুচারটি কথা শুনিয়ে দিতে।কিন্তু আফসোস এই ইচ্ছাও পূরণ হবে না আজ আর।
“আর সারা এসব দেখে বিরক্তকর মুখ নিয়েই ওখান থেকে প্রস্থান করলো।এই লেটেস্ট নিউজটা নিজের মা মহিনীকে দিতে চলে গেলো।বলে না ঘরের কথা পরে জানে কেমনে।এসব কিছু খাজাখোর নারীদের জন্যই ঘরের খবর শুধু পরে না,শত্রুও জানতে পারে।”
–“আয়ন গিয়ে ঘুমন্ত প্রিয়ুর পাশে গিয়ে বসলো।প্রিয়ুর হাতটি ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।আজ সকালেও তো ভালো ছিলো তাহলে এমন হবার কারণ কি আয়ন বুঝতে পাড়ছে না।রবিন ফোন না করলে হয়তো আয়ন জানতোই না,প্রিয়ু যে সেন্সলেস হয়ে পড়েছে।খবরটা শুনেই আয়ন আর এক মুহুর্ত দেরি করেনি।অচেতন প্রিয়ুকে সোজা নিজের বাসায়ই নিয়ে এসেছে।এখন আর অন্য কিছু চিন্তা করার সময় নেই।”
……………………….
প্রিয়ু যেদিন গায়ব হয়েছিলো,সেদিনই আয়ন খুঁজে বের করে ফেলে।প্রিয়ু হয়তো জানতোই না,আয়ন প্রিয়ুর অগোচরে কিছু বডিগার্ড রেখেছিলো সর্বদা প্রিয়ুকে নযর রাখতে।তাই আয়নকে বেশি কষ্ট করতে হয়নি প্রিয়ুকে খুঁজে বের করতে।কিন্তু প্রিয়ুর এভাবে চলে যাওয়ার চেয়ে বেশি রাগ উঠেছিলো প্রিয়ু বর্তমানে যার সাথে আছে তা জেনে।কারণ প্রিয়ু আর কারো না রোহানের বাসায় এখন।আয়ন এটা জানতে পেরেই রাগ যেনো ওর সাত আসমানে উঠে পড়েছে।যে নামটা ও একদমই সহ্য করতে পারে না,প্রিয়ু সেই মানুষটির বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে।কিন্তু কেনো?আয়ন হয়তো প্রিয়ুকে সামনে পেলে এখন নিজের রাগ দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিতো।
–“সেদিন প্রিয়ু কলেজে যাওয়ার পরই একটা ইমেল আসে প্রিয়ুর মোবাইলে।ইমেলটা ওপেন করলেই দেখতে পায় আয়ন কোনও মেয়েকে খুব গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে।বেশ কয়েকটি ছবি এসেছে,আর প্রতিটি ছবিতে আয়নের সাথে মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা অনেক বেশি মনে হচ্ছে।মুহুর্তে প্রিয়ুর চোখ দুটো ছলছল হয়ে পড়লো।আর কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রিয়ুর ফোনটা বেজে উঠে।স্কিনে একটা আননোন নাম্বার ভাসছে।কিছুক্ষণ চিন্তা করে প্রিয়ু কলটা রিসিভ করলো।ফোনের ওপর পাশ থেকে একটা কর্কশ কন্ঠ ভেসে আসলো প্রিয়ুর কানে।
“হ্যালো মিসেস আহমেদ।আমি জানি আপনি হয়তো এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।কিন্তু কি করবো বলুন কিছু কথা না বলে থাকতেও পাড়ছিলাম না।আপনি হয়তো ভাবছেন আমি কে?আমি যেই হই না কেনো, আপাততো আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী এখন।ছবি গুলো দেখে হয়তো বিশ্বাস হচ্ছে না,আয়নের মতো মানুষ এমন করতে পারে।কিন্তু জানেন নিই তো মানুষ মাত্রই ভুল।আপনার আয়নও তো সাধারণ একজন মানুষ।আপনি চলে যাওয়ার পর হয়তো সুখ খুঁজার চেষ্টা করেছে অন্য কারো কাছে।তাই হয়তো ব্যাচারার পা পিছলে গেছে।এখন আপনার ইচ্ছা আপনি কি করবেন।”
–“এতোক্ষণ চুপচাপ অপর পাশের ব্যক্তির কথাগুলো শুনছিলো প্রিয়ু।নিরবতা কাটিয়ে নিজের ভাব ভঙ্গি পরিবর্তন না করেই প্রিয়ু প্রশ্ন করলো,ছবি গুলো আসল তার সত্যতা কি?”
–“অপরপাশের ব্যক্তি হয়তো এমনি কোনও প্রশ্নের আশা করছিলো।সত্যতা কি তা তো আপনিই ভালো জানেন মিসেস মাহবুভ।আপনার সাথে যা করেছে তা কি সত্যি ভালো করেছে।মিস্টার আয়ন দাবি করে আপনাকে ভালোবাসার অথচ নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে শুধু মাত্র বিছানায় পেতে কতো অভিনয় করেছে।”
–“বিছানার কথাটা শুনেই প্রিয়ুর রাগ উঠে গেলো।তাই কিছুটা উচ্চ সুরেই বললো, মানে!মানে কি?দেখুন মিস্টার ওয়াট এবার,যা বলবেন সোজাজাপ্টা কথা বলবেন,আমার ট্যাড়া কথা একদম পছন্দ না।আর কি বোঝাতে চাইছেন আপনি।”
–“আরে ম্যাডাম রাগ করছেন কেনো।আমি তো ভুল কিছুই বলিনি।আপনার হয়তো আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না,তাই আমি একটা অডিও ক্লিপ পাঠাচ্ছি,যা চেক করে ডিসাইড করবেন আপনার আয়ন কতোটা ভালো মানুষ।”
–“ওকে,তা বুঝলাম সবই।এবার প্রিয়ু নিজের সুরটা কিছুটা নরম করে জিঙ্গেস করলো,কিন্তু এটা তো বলুন হঠাৎ আমার উপর এতো দরদ দেখানোর কারণ।আমিতো আপনাকে চিনিও না।অন্য কোনও কারণ নেই তো আবার।”
–“হা হা,ভেরি স্মার্ট গার্ল।যতোটা বোকা ভেবেছিলাম ওতোটা বোকা নন আপনি।যাই হোক সময় হলে যেনে যাবেন।এখন রাখি।আশা করি আমার অডিও ক্লিপটি শুনার পর আপনার সব ভুল ভেঙ্গে যাবে।”
ভার্সিটির পুকুরপাড়ের কৃষ্ণচূড়া গাছটির ঠিক নিচে সিমেন্ট বালি দিয়ে তৈরি চেয়ারে প্রিয়ু বসে আছে।গাছ থেকে ফুল না ঝড়লেও পাতাগুলো নিচে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।ঠিক যেনো প্রিয়ুর জীবনের মতো।যতোই নিজেকে গুছাতে চায় ততোই যেনো এলোমেলো হয়ে যায়।ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে ভাবছে প্রিয়ু,দুবছর আগের কথা।এমনই কিছু ছবি আর ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছিলো প্রিয়ুর জীবনকে নরক বানাতে।তখন আয়ন নিজের জেদ আর রাগে এতোটাই অন্ধছিলো যে দিকবেদিক,সত্যমিথ্যা কিছু যাচাই না করেই প্রিয়ুর গায়ে আঙ্গুল তুলেছিলো।প্রিয়ুকে চরিত্রহীনতার ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছিলো মুহুর্তে।আর প্রিয়ুকে হারাতে হয়েছিলো নিজের সম্মান আর সাথে নিজের বাবাকেও।
–“আচ্ছা এসব আবার কারো প্লান নাতো।হয়তো কেউ চায় আমি আয়ন থেকে যেনো দূরে সরে যাই।ঠিক এমনই তো ট্রিক এপ্লাই করেছিলো দুবছর আগে আমার সাথে।যাতে আয়ন ভুলবুঝে আমাকে।আর তাই তো হয়েছিলো।কেউ হয়তো চায় আমি আয়নকে ভুলবুঝে সরে যাই।হুম!এমনই হয়তো।বিশ্বাস করিনা আমি এসব। যে মানুষ তার সারা জীবন আমাকে ভালোবেসে গেছে সে এমন কিছুতেই করতে পারেনা।আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।”
প্রিয়ুর ভাবনার ছেদ ঘটলো,ফোনের নোটিফিকেশনের শব্দে।প্রিয়ু দেখলো একটা অডিও ক্লিপ এসেছে।প্রিয়ু প্রথমে শুনবে না ভেবেছিলো।কিন্তু ওর মনের খুত ওকে বাধ্য করলো শুনতে।
“অডিওটি ছিলো আয়ন আর দিনেশের মাঝের কথকপতন।আয়ন অফিসে যেদিন দিনেশকে বলছিলো,কিভাবে ও প্রিয়ুকে ট্রাপে ফেলে বাধ্য করেছিলো ওর কাছে আসতে।আরভিনের মিথ্যা অপরেশন,প্রিয়ুকে ব্লাকম্যাল সবই কেউ চালাকির সাথে রেকর্ড করে ফেলে।আর ওটাই আজ প্রিয়ুকে সেন্ড করা হয়।”
–“বুকের ভেতরের এক অসহ্য যন্ত্রণা অনুভোব করছে প্রিয়ু।মনটা ভেঙ্গে হয়তো কয়েকশ ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে।মনটা তো বুকের ভেতরেই থাকে তাই মনের কষ্ট বুকে গিয়েই আগে লাগে ঠিক যেনো বুকের হাড় চিরে যাওয়ার মতো।প্রিয়ুরও তেমন লাগছে।কিভাবে পাড়লো আয়ন ওর সাথে এমন জগন্য একটা কাজ করতে।একবারও কি ওর বিবেকে বাধা দেয়নি।সত্যই কি শরীরের লোভটা ছিলো সেদিন বেশি।প্রিয়ু যেনো দিশেহারা হয়ে গেলো।সাজানো ঘরটা হঠাৎ আসা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলো।চিৎকার করে কাঁদতে মন চাইছে,কিন্তু ভার্সিটিতে নিজের তামাশা বানাতে চায়না প্রিয়ু।তাই চুপচাপ সামনের গেট ফেলে প্রিয়ু আস্তে করে হেটে ভার্সিটির পিছনের গেট দিয়ে বের হয়ে গেলো।কারণ সামনের গেটে প্রিয়ুর জন্য আয়নের রাখা একজন গার্ড আর ড্রাইভার দাঁড়িয়ে আছে।”
………………………………………
দিনেশ নিজের কেবিনে বসে কিছু ফাইল চেক করছিলো।আর তখনই তিতির কেবিনের দরজা নক করে ভেতরে আসে।হাতে তার এই মাসের সকল এম্পপ্লোয়িদের বেতনের হিসাবের ফাইল।তিতির দিনেশের দিকে ফাইলটা এগিয়ে দিলেই,দিনেশের চোখ পড়ে তিতির উপর।এতোক্ষণ ও খেয়ালই করেনি কে এসেছে কেবিনে।
–দিনেশকে নিজের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে,তিতির দিনেশের উদ্দেশ্যে বললো,”স্যার ফাইল নিচে,আমার মুখে লাগানো না।তাই নিচে তাকান।”
–“দিনেশও একটু দুষ্টমি ভাঙ্গিতে উত্তর দিলো,কোন নিচে তাকাবো বক্ষের নিচে নাকি নাভির।দিনেশের ঠোঁটের কোনে লেগে আছে এখনো দুষ্ট হাসি।”
তিতির এর গা জ্বলছে দিনেশের ডাবলমিনিংস কথা শুনে।খুব ভালো করেই বুঝতে পাড়ছে দিনেশের মতলোব।কিন্তু রাগলে চলবে না ওকে,তাই নিজের রাগকে সংযোত করে,দাঁতেদাঁত চেপে বললো,নিচে মানে টেবিলের উপর দেখুন।আর রাস্তার ছেলেদের মতো কথা বলা বন্ধ করুন।এটা আপনার স্বভাবে যায়না
–“তিতির যে দিনেশকে কিছুটা অপমান করার চেষ্টা করছে তা বুঝেও দিনেশ চুপ থাকলো।কারণ আজ তিতিরকে একটু অন্যরকম লাগছে দিনেশের।কেনো বুঝতে পাড়ছে না।তিতির শাড়ী পড়ে এসেছে।কিন্তু কেনো?কোনও বিশেষ দিন ছাড়াতো এই মেয়েকে শাড়ীতে দেখাই যায় না।তাহলে আজ কি এমন বিশেষ।দিনেশ কিছু মুহুর্তে সব ভুলে,তিতির শাড়ী পড়ার কারণ খুঁজতে লাগলো।মনে হয় এটা এখন সব থেকে বেশি ইম্পোর্টেন কাজ দিনেশের জন্য।কিছু খুঁজে পাচ্ছে না বলে,এখন টেনশন হচ্ছে দিনেশের।
দিনেশ নিজের প্রতি নিজেই একটু বিরক্তবোধ করছে।এতো বড় বিজনেস এ্যাম্পেয়ার চালাতে পারিস অথচ একটা মেয়ের শাড়ী পড়ার রহস্য খুঁজে বের করতে পারিস না।অপদার্থ কোথাকার।নিজেকে নিজেই গালি দিচ্ছে।”
–“স্যারএএএ….।”
কি হলো,চিল্লাচ্ছো কেনো।আমাকে কি কালা মনে হচ্ছে।
–“না, একদম না স্যার।আপনি কালা হবেন কেনো।আপনি তো বয়ড়া। আই থিংক আপনার ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন।”
“দিনেশ কিঞ্চিত অবাক হলো,তিতির কথা শুনে।যার মুখে দুচারটে কথা ছাড়া তেমন কোনও কথাই মুখ দিয়ে বের করা যেতো না।সেই মেয়ে দেখি তেজ দেখাচ্ছে তাও আবার দিনেশের সাথে।ব্যাপারটা দিনেশের খুব ভালো লাগলো।তাই চেয়ারে কিছুটা হেলান দিয়ে তিতির দিকে আবার মুগ্ধ হয়ে তাকালো।আজ সত্যিই একটু অন্যরকম লাগছে তিতিরকে।দিনেশ যেনো আবার হারিয়ে যাচ্ছে।কেনো জানি এই মেয়েটির সামনে নিজের ইমোশনাল লুকাতে পারেনা।বরং হাতপা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাচ্চাদের মতো কান্না করতে মন চায়।হয়তো এটা দেখে তিতির মনটা একটু গলে যাবে।ওকে কোলে তুলতে না পাড়ুক অন্তত নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলতে তো পাড়বে,তাক লক্ষীটি আর কেঁদো না।আজকের পর থেকে আমি নিজেকে তোমার তরে সপে দিলাম।আমি তোমার হয়ে গেলাম।”
–“দিনেশের আবার এমন কেবলাকান্তের মতো তাকিয়ে থাকা দেখে,শরীর জ্বলছে তিতির।আবার সেদিন রাতের কথা মনে পড়ে গেলো।শয়তান ব্যাট রাত হলে লোরিন লাগবে,আর দিন হলেই আমার দিকে হাবলার মতো তাকিয়ে থাকবে।লুইচ্চার গুষ্টি।তোর পাল্লায় আমি আর পড়বো না।তিতির দিনেশের ধ্যান ভাঙ্গাতে টেবিলের উপর একটা বারি দিলো হাত দিয়ে।
“সাথে সাথে দিনেশ সম্বিৎ ফিরে তিতির দিক থেকে চোখ সরিয়ে ফেলে।”
–“সাইন করে উদ্ধার করুন আমাকে প্লিজ।সারাদিন আমি আপনার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পাড়বো না।”
‘দিনেশ আর না জ্বালিয়ে সাইন করে দিলো,কারণ তিতির মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই নারী আজ বাঘের রুপ ধারণ করে আছে।উল্টাপাল্টা কিছু বললেই খবর আছে।
চলবে…।
তারাহুড়ার লিখা।ভুল হলে কমেন্ট এ বলে দিবেন আমি ঠিক করে নিবো।আর আয়ন প্রিয়ু নিয়ে কোনও কনফিউশন হলে,ওয়েট করুন।নেক্সট পর্বে ক্লিয়ার করে দিবো।