“এখনো ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-36
খাবার হাতে করে আয়ন রুমে প্রবেশ করে দেখে,প্রিয়ু মুখ ভার করে বসে আছে।না চাইতেও আয়নের মুখ দিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস বের হয়ে গেলো।প্রিয়ুর এমন গোমড়া মুখ,আয়নের ভেতরে অনুতপ্ত বাড়াচ্ছে।হয়তো ব্যাপারটা অনেকটা জলদি হয়ে গিয়েছে।প্রিয়ুকে সময় দেওয়া দরকার ছিলো ওর।মাত্রই তো আমাদের সম্পর্ক ঠিক হলো,আর এখনই এতো বড় দায়িত্ব ওকে সোপে দেওয়া খুব কি অন্যায় না।ওর বয়সই বা কি।আয়ন নিজেই এখন কিছুটা টেনশড হয়ে পড়ছে প্রিয়ুর বিষণ্ণ মুখটা দেখে।কিন্তু নিজের টেনশনের ঝুড়িটা লুকিয়ে প্রিয়ুর সামনে স্বাভাবিক হয়ে বসলো।
খাবার মাখতে মাখতে আয়ন প্রিয়ুকে প্রশ্ন করে,”চিন্তায় তো মনে হয় কিছু মুখেই দিস নাই।সারারাত তো মনে হয় পেটে কিছুই যায়নি।কবে যে তুই বড় হবি।কিছুদিন পর নিজে বাচ্চার মা হবি,আর এখন তোকে আমাকে খাইয়ে দিতে হয়।নে হা কর।”
–কেনো করলে তুমি এমন।প্রিয়ুর ভেজা কন্ঠ আয়নের কানে আসতেই ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো।
হতাশা মনে আয়ন প্রিয়ুর দিকে তাকালো,ওর কাতর নয়নজোড়া দেখে আয়ন স্থদ্ধ হয়ে গেলো।বুকের ভেতর হঠাৎ যেনো একটা ভারী পাথর জমা হয়ে গেলো।নিজেকেই এখন দোষী মনে হচ্ছে।প্রিয়ুর পারমিশন নেওয়া উচিৎ ছিলো ওর।ও বাচ্চার জন্য রেডি কিনা জানা দরকার ছিলো।আমি কেবল স্বার্থপরের মতো নিজের দিকটাই দেখেছি।অনুতপ্ত আয়ন,খাবার রেখে বাহাতে প্রিয়ুর মুখটা ধরে,”সরি সোনা,বুঝতে পারিনি।আমি জানি তোর জন্য এটা সম্পূর্ণ নতুন।অনেকটা তারাতারি হয়ে গিয়েছে সব কিছু।আমি বুঝতে পাড়ছি তুই রেডি ছিলি না এটার জন্য,ব্যাপারটা হয়তো তোর জন্য অনাঙ্কাকিত।কিন্তু বিশ্বাস কর,এই বাচ্চার কারণে তোকে কখনো আপসোস হতে দিবো না।এটা আমাদের অস্থিত্ব তাই না,আমরা দুজন মিলেই সামলিয়ে ফেলবো।প্লিজ সোনা রাগ করিস না।আমি সত্যি আশা করিনি এমন কিছু।এখন যখন হয়ে গেছে প্লিজ এই বাচ্চাটাকে নিয়ে মন খারাপ করিস না।”
–প্রিয়ু আয়নের এতোক্ষণের কথাবর্তার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারেনি,কি সব বলছে আয়ন।ভ্রুজোড়া কুঁচকিয়ে তাই আয়নকে জিঙ্গেস করলো,”মন খারাপ, কার?আমার!তোমাকে কে বলেছে।আর কি সব আজগুবি কথা বলছো।”
“তোর মন খারাপ হয়নি,বাচ্চার কথা শুনে।”
–না তো!মন খারাপ করবো কেনো।আমি কিছুটা আন্দাজ করতে পারছিলাম,এমন কিছু হবে।
“কি?আয়ন একটু না অনেক বেশি বিস্মিত হয়ে
তাহলে আমাকে কেনো বলিস নি।”
–কি বলবো তোমাকে।আমার জাস্ট সন্দেহ হয়েছিলো।গতো মাস হঠাৎ করেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।ভেবেছি এই মাসে ঘরেই টেস্ট করে দেখবো।তার আগেই তো এতো ঝামেলা শুরু হয়ে গেলো।আর আমার মাথা থেকে এটা গায়ব হয়ে গেলো।আমি বুঝতে পারিনি।সত্যিই এটাই হবে।
“তার মানে এই তুই নারায না,এই বাচ্চার কথা শুনে।তার মানে তুই খুশি।”
–হে আমি নারায।
“আয়নের উৎফুল্ল মুখ খানি ক্ষণিকেই চুপচে গেলো।”
–কিন্তু আমি বেবির প্রতি নারায না।
“তাহলে?আয়নের উৎসুক মুখখানি এখন বিস্ময়ের চরম সীমায়।”
–আমি তোমার উপর নারায,তুমি কবে জানতে পারলে এই খবর।আমাকে এতোদিন বলোনি কেনো।আর আমি আমার বেবির উপর নারায কেনো থাকবো।এটা আমার বেবি।আমি খুশি।
“আয়ন প্রিয়ুর জন্য আনা পানিটুকু ঢকঢক করে নিমিষে শেষ করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।যাক বাঁচা গেলো।না হলে আমার কপালে যেনো কি ছিলো আল্লাহই জানে।”
–কি হলো।
“কি হবে আমি বলবো কি করে।এটার জন্য সময় লাগবে।তার পর সোনওগ্রাফ করতে হবে,তাহলে জানতে পারবো,কি হলো।আর এখন হবার কোনও চান্স নেই।তার জন্য আরো কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবে”।
–কিসব বলছো তুমি।তোমার মাথা কি গেছে।আমি কি জিঙ্গেস করছি আর তুমি কি উত্তর দিচ্ছো।
“আসলেই মনে হয় আমার মাথা ঠিক নেই।বাদ দে তো,আগে খেয়ে নে,তারাতারি”।
–আয়নকে খুব টায়ার্ড লাগছে তাই প্রিয়ু লক্ষী মেয়ের মতো খেয়ে নিলো।তাছাড়া প্রিয়ুর সত্যিই অনেক খিদে পেয়েছিলো।
…………………..
প্রিয়ু শুয়ে আছে আয়নের বুকে।আয়ন প্রিয়ুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে প্রিয়ুকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু প্রিয়ুর ব্যাটারি আজ একটু বেশি চার্জ।সেই কখন ধরে বকবক করেই যাচ্ছে।আয়ন জানে প্রিয়ু ঘুমানো না পর্যন্ত নিজেও ঘুমাতে পাড়বে না।তাই তো চেষ্টা করছে,প্রিয়ু যদি একটু ঘুমায়।
–“প্রিয়ু ঘুমানা সোনা।সকাল তো হয়েই গিয়েছে।তবুও শরীরের জন্য ঘুমানো দরকার।তোর টেপ রেকর্ড আজকের জন্য আপাততে বন্ধ করে একটু ঘুমানো চেষ্টা কর।”
“আচ্ছা,একটা লাস্ট কথা।”
–আয়ন বিরক্ত কিন্তু,মুখে হাসি টেনে তবুও বললো,ঠিক আছে,বল।
“বেবি হবার পরও কি তুমি আমাকে এতোটাই ভালোবাসবে।নাকি ভালোবাসা কমে যাবে তখন তোমার।দেখো বেবি হলেও আমি এভাবেই তোমার বুকে ঘুমাবো।আর বেবির আগে আমাকে তোমার বেশি প্রায়োরিটি দিতে হবে।আমার ভালোবাসার ভাগিদার কাউকে হতে দেবো না।এমনকি বেবিকেও না।আর যদি করো তাহলে আমি তোমার বাচ্চাকে চিমটি মেরে লাল করে ফেলবো।আর তোমার বাচ্চাকে শিখিয়ে দেবো,তোমাকে মামা বলে ডাকতে।এতেও কাজ না হলে,তোমাকে ভাগিয়ে নিয়ে যাবো।”
–আয়ন এবার সিরিয়াস হয়ে প্রিয়ুর দিকে তাকালো,প্রিয়ু ওটা শুধু আমার না,তোরও বেবি।নিজের বেবিদের কেউ হিংসে করে।এ কেমন কথা।
“হিংসে কোথায় করলাম।ওদের দুনিয়ার সব কিছু এনে দিবো।এমনকি আমি তো এতো,না এতো…এতো ভালোবাসবো।হাত দুটো দুদিকে প্রসারিত করে দেখালো।তুমিও বাসবে।নো প্রোবলেম।কিন্তু আমাকে ভালোবাসতে কৃপটামি করলে তোমার আর তোমার বেবির খবর আছে বলে দিলাম।”
–আয়ন প্রিয়ুর মাথাটা বুকে আবার টেনে চেপে ধরলো,বিস্ময় কন্ঠে বললো,প্রিয়ু ঘুমা শোনা।আমাদের আবার সকালে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।আই থিংক তোকে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।তোর হরমন চেন্জ মনে হয় এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
“প্রিয়ু আড় চোখে একবার আয়নের দিকে তাকিয়ে আবার শুয়ে পড়লো।মুখে ওর বিশ্বজয় হাসি।ওর ঠ্রেড কাজে লাগছে।আয়ন ব্যাচারা ভয় পাইছে।তাই বেবি হবার পর অন্যান্য হ্যাসবেন্ড এর মতো দায়সারা ভাব কিছুতে করতে পারবে না প্রিয়ুর প্রতি।বরং নিজের সন্তানের মঙ্গলের জন্য বউকে বেশি বেশি ভালোবাসা বিলিয়ে দিবে।”
–আয়ন এখনো শোকড এর মধ্যে।ব্যাচারা আয়ন প্রিয়ুর কাজকর্মে একদিন সত্যিই হার্ট ফেল করবে।
……………………….
প্রতিদিনের মতো আজও তিয়াশ অফিস থেকে এসেই সেজেগুজে বের হতে নিলো।হাতে ওর রোলেক্স এর ওয়াচটা পড়তে পড়তে নিজেকে আরো একবার আয়নায় দেখতে গিয়ে চমকে গেলো।কারণ পিছনে দিশাও সেজেগুজে রেডি।
–তিয়াশ ভ্রুজোরা কুচকিয়ে দিশাকে জিঙ্গেস করলো”,তুমি কোথায় যাচ্ছো এতো সেজেগুজে।”
‘দিশা নিজের চশমাটা ঠিক করে,বললো।ওমা কোথায় আবার ফ্রেন্ডসদের সাথে আড্ডা দিতে।’
–মানে!মানে কি?
“এই এতো মানে মানে করছো কেনো।বিয়ে হবার পর এই সংসারের ঝামেলায় ফ্রেন্ডসদের টাইমই দিতে পারিনি।ওরাও বারবার ফোন দিয়ে জ্বালাচ্ছে।তাই ভাবলাম গিয়েই আসি।সমস্যা কোথায়।তুমিও তো রোজ রোজ ফ্রেন্ডসদের সাথে দেখা করতে যাও।আমি কি কিছু বলি।বিয়ে হবার পর তুমি যদি এখনো তোমার ব্যাচেলার লাইফ মেইন্টেন করে চলতে পারো।আমি পাড়বো না কেনো।দুটোই আড়ামে চলে যাবে,সমস্যা কি আর।”
–সমস্যা কি? তুমি জানো না,দিশা।রাত সাতটা বাজে এখন।এতোরাতে….
“ওমা সাতটা বেজে গেছে।ওরা নিশ্চয়ই আমার জন্য ওয়েট করছে।এই দেখি সরোতো।আমার ফেবেরেট পারফিউম টা লাগাতেই ভুলে গেছি তোমার সাথে বেকার কথা বলতে গিয়ে।
-আর শোনও এই নও ঘরের চাবি।আমি দশটার মধ্যে এসে পড়বো।আর আজকের রাতের খাবারটা তুমি বানিয়ে রেখো প্লিজ।তুমি তো জানোই লক্ষীটি, আমি বাহিরের খাবার খেলেই পেটে সমস্যা হয়।তুমি নিশ্চয়ই চাইবে না আমি অসুস্থ থাকি।ঠিক বললাম তো।আমি চললাম এখন, বায়।”
“-তিয়াশের বিশ্বাস হচ্ছে না।দিশা ওর সাথে এমন কিছু করবে।কেমন ঘোরের মধ্যে আছে ব্যাচারা।”
–ঠিক তখনই,অনিক কল করলো।তিয়াশ ওর ভেঙ্গে চূরমার হওয়া মনটা নিয়ে ফোনটা রিসিভ করার সাথেসাথেই ওপাশ থেকে,কতোগুলো মিষ্টি গালি কানে এলো।মুহুর্তেই,তিয়াশের বিষাদ মনটা আরো বিষাদ হয়ে গেলো।আর নিজের এই বিষাদ মনটাকে অনিক আরো গেল ঘি ঢেলে বিষাদ করে তুললো,যখন শুনলো ও আসতে পারবে না আজ।
“ওই হারামি,কেনো আসবি না তুই।নাকি বউ পাইয়া সব ভুলে গেছিস।বউয়ের আঁচলে আঁচলে থাকতে খুব ভালা লাগে তাই না।শোন,বউয়ের আঁচলে যতো থাকবি,বউ তোরে মেউমেউ করতে শিখাইবো।আর এভাবে মেউমেউ করতে থাকলে,একদিন বউয়ের পোষা বিড়াল হয়ে যাবি,বুঝলি।তখন না ঘরের থাকবি, না ঘাটের।তাই বউয়ের আঁচল ছেড়ে চলে আয় আমার শের।”
অনিকের এতোগুলো কথা তিয়াশের কানে গেলেও মগজে মনে হয়না ঢুকেছে।তাই তিয়াশ মুখটা ভার করেই বললো,সম্ভব নারে ভাই।দিশা আমাকে ধোকা দিয়েছে।আমার মনটা ভেঙ্গে চূরমার করে দিয়েছে।
“কি?বিয়ে হইলো কয়দিন।এখনি দিশা পালিয়েছে।কার সাথে,কখন!তুই আগে টের পাছনি বউ যে তলে তলে এতো বড় কুয়া করছে তোর জন্য।আর এতো তারাতারি করলো কেমনে।আমার মনে হয়,তুই বউরে ভালোবাসতে নিশ্চয়ই কৃপটামি করছোস।তাইতো বউ ভাগছে।”
শালা চুপ থাকবি।পুরো কথা শুইনা,নাচা শুরু করে দিছোস।এরপর সব বললো,”দিশা কিভাবে ওকে ফাঁসিয়ে নিজেই ঘুরতে চলে গেলো।”
–ব্যাস,এতোটুকু।এটা কোনও সমস্যা।শোন চুপচাপ ভালো কোনও রেস্তরাঁ থেকে খাবার ওর্ডার করে ফেল।এতো এতো রেস্তরাঁ আছে কেনো।আমাদের মতো অপদার্থ স্বামীগুলোর জন্যইতো।
“নারে!দিশা রেস্তোরাঁর কিছু খেতে পারেনা।পেট ব্যাথা করে।”
–এটা ও কোনও বড় সমস্যা না।খাবারের পর একটা পেট ব্যাথার ওষুধ খায়িয়ে দিবে।ব্যাস,ব্যাথাটেথা দেখবি চোরের মতো পালিয়েছে।এবার তারাতারি আয়তো।বাকি কথা পরে বলবো।
তিয়াশ ভাবলো,আজকের দিনটাই তো।দিশাতো আর রোজ রোজ বাহিরে যাবে না।খাবার অর্ডার দিয়েই ফেলি।এটাই বেস্ট আইডিয়া।তিয়াশ ফোনটা হাতে নিয়ে ওর পরিচিত রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার দিতে নিবে,তার আগে অনিকের আবার ফোন এলো।
কিরে,আবার কি?মাত্রই তো ফোন রাখলাম বাকি কথা এসে বলবো।এখন রাখ,খাবার অর্ডার করতে হবে।
“কি?তুই তোর একমাত্র বউয়ের জন্য বাহিরে থেকে খাবার অর্ডার করবি।এই হারামি তোর মনে কি দয়ামায়া নাই।ওই খাবার খেলে যে তোর বউ অসুস্থ হয়ে পড়ে জানিস না।কেমন স্বামী তুই।তোর জন্য আমাদের মতো ভালো মাসুম স্বামীদের বউরা দাম দেয়না।”
–ভাই,তুই কি কস।মাথা কি তোর খারাপ,নাকি আমি পাগল জয়ে গেছি।এক এক সময় ফোন দিয়ে একেক কথা বলছিস।
“কেনো কি করছি আমি।”
–শালা কনফিউজড কেনো করছিস আমায়।কি করুম কেবল ওটা বল।বাকি কথা চাপায়ই রাখ।বাহির করলেই লাথি মারুম।
“বউয়ের কথা শুন।বউ তকে যা বলছে তাই কর।না হলে,ব্যাচারী খাবে কি।বউ আগে বুঝছিস। বাকি সব পরে।আর নতুন বিয়া হইছে,এখন থাকবি বউয়ের পিছে পিছে,তা না করে বন্ধুদের লগে তোর এতো কিসের আড্ডা।ওই তোর পার্সটার্স সব ঠিক আছে তো।আবার কোনও ডিফেক্টিভ নাইতো।”
–কি বলছিস ভাই।দিশা শুনলে বেহুশ হয়ে যাবে।সংসার করার আগেই তালাক হয়ে যাবে।রেহাই দে আমার।আমার কি মনে হয় জানিস।আমার মায়ের কারণে না,লাস্টে তোর জ্বালায় আমার বউ পালাবে।
“তা তো এমনেই পালাবে।এতো নিরামিষ কেনো তুই।এখন এতো কথা না বলে,চুপচাপ গিয়ে বউ যা করতে বলছে কর।আমার মাথা খাসনা।”
–অনিক ফোনটা কেটে দিলো।কিন্ত তিয়াশ এখনো ফোনটা কানে নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে।আসলে ও এখনো শোকড এর মধ্যে আছে।প্রথমে দিশা,আর এখন অনিক।কি হচ্ছেটা কি বুঝতে পারছে না।ও ওর বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে পাড়ছে না।
ফ্লাশব্যাক,
অনিক তিয়াশকে রেস্তোরা থেকে খাবার আনার আইডিয়া দিয়ে ফোন কাটার সাথে সাথে দিশার কল এলো অনিকের কাছে।আর দিশা অনিককে ঠ্রেড দিয়েছে,তিয়াশকে উল্টাপাল্টা আইডিয়া দিলে,ও গিয়ে সারাকে বলে দিবে ওর আর তিয়াশের বিয়ের আইডিয়া অনিকই দিয়েছে।সব নাটেরগুরু অনিক।অনিক না থাকলে তিয়াশ সাহসই পেতো না এসব করতে।
“-ব্যাচারা অনিক দিশার কথা শুনে ভয় পেয়ে গেছে।কারণ সারা এই কথা জানলে,ওর বর্তমান,ভবিষ্যৎ কেল্লাফতে করে দিবে।সারা রোজ রোজ চে চে করে ওর জীবন নরকে পরিণত করবে।তাই ও অবার তিয়াশকে ফোন করে এসব বলে।”
আসলে দিশাও জানতো এমন কিছু হবে।দিশাতো তিয়াশকে একটু শিক্ষা দিতে চেয়েছে।কারণ তিয়াশ বিয়ে হবার পরও অফিস থেকে এসে,দিশাকে সময় না দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বসে পড়ে।এদিক দিয়ে দিশারও যে মন চায় তিয়াশের সাথে একটু সময় কাটাতে,কিন্তু তিয়াশের খবর নেই।একচুয়েলি,তিয়াশ এখনো আগের মতো ওর লাইফ চালাচ্ছে।দিশা শুধু ওকে বুঝাতে চাইছে,আগের মতো কিছু নেই।এখন ওর একটা সংসার আছে বউ আছে।যার কথা আগে ওকে চিন্তা করতে হবে।না হলে এমনই হবে।যারা ভালো কথায় সোজা না হয়,তাদের সোজা করতে মাঝেমাঝে নিজেকেই একটু বাঁকা হতে হয়।
চলবে…..
[নেক্সট পার্টে গল্পটি শেষ করে দেওয়া হবে।আর গল্পের রহস্যও খোলা হবে।কে প্রিয়ু আর আয়নের সাথে এমন করেছে,জানা যাবে।তাই সাথেই থাকুন।বানান ভুল হলে,আমাকে মেনশন করে দিবেন।এডিট করে দিবো।রিচেক করা হয়নি।]