#এ_শহরে_বৃষ্টি_নামুক❤️
#লেখিকা_মালিহা_খান❤️
#পর্ব-১৫
বুকটা ধড়াম ধড়াম করে লাফাচ্ছে।শ্বাস ভারি হয়ে আসছে।ভয়ে কন্ঠ তোতলাচ্ছে।ওপাশের ছেলেটা অনুরোধ করেই যাচ্ছে।একটাবার বের হবার জন্য,তার সাথে যাবার জন্য।প্রলম্বিত শ্বাস টেনে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো রাত্রি।এমন উদ্ভট পরিস্থিতিতে সে ইহজন্মেও পড়েনি।গলা যেন কেও চেপে ধরেছে।আওয়াজ বের করা বড় দুষ্কর।একঝলক ফোনটা নামিয়ে নাম্বারটা পুনরায় দেখে নিলো সে।নাহ্,চেনেনা।অচেনা একটা ছেলের সাথে কোনরকম বাছবিচার না করে এই রাতের বেলা বেড়িয়ে পড়াটা কি উচিত হবে?ছেলেটা ‘ভাইয়া’ ‘ভাইয়া’ বলে কি আসলেই নিভ্রানের কথা বলছে?চোখ খিচলো রাত্রি।অভিসঙ্কিত কন্ঠে বললো,
—“আপনি কে?”কন্ঠ কেঁপে গেছে।ছেলেটা কি তার ভয়টা টের পেয়ে গেলো?সর্বনাশ!বললো তো দরজার বাইরেই দাড়িয়ে আছে।এখন যদি খারাপ কিছু হয়ে যায়।আচ্ছা,ছেলেটা কি আসলেই সত্যি বলছে?নাকি অযথাই বানোয়াট কথাবার্তা?যাচাই করা দরকার।অযথা ভয় পেয়ে লাভ নেই।নিশব্দে রুম থেকে দৌড়ে মেইন দরজার কাছাকাছি যেয়ে দাড়ালো রাত্রি।ওপাশের লোকটা নিশ্চুপ।হয়তো কিছু ভাবছে।রাত্রি দরজায় কান পাতলো।ঠি ক তখনই ফোনে আর দরজার ওপাশ দুদিক থেকেই স্পষ্ট স্বর শোনা গেলো,
—“আমি নিভ্রান ভাইয়ার ছোট ভাই।”
ভয়টা কমার কথা হলেও তা উল্টো কয়েকগুন হারে বৃদ্ধি পেলো।উত্তেজনার বশে ভুল করা যাবেনা।এত রাত!বাড়ির সদর দরজা আটকানো।ছেলেটা ঢুকলো কি করে?সন্দেহজনক বিষয়!রাত্রি একটু সরে গেলো দরজার পাশ থেকে।স্হির কন্ঠে বললো,
—“আপনি আপনাকে বিশ্বাস করবো কি করে?”
ওপাশের ছেলেটার অধৈর্য নিশ্বাসপ্রবাহ।রাত্রি স্পষ্ট টের পেলো।দু’সেকেন্ড ভেবে ছেলেটা বললো,”আপনি জানালা দিয়ে দেখুন।আমি ভাইয়ার গাড়ি নিয়েই এসেছি।গাড়ি মিলিয়ে দেখুন।আমার বড় ভাই না হলেতো এমনি এমনি গাড়ি নিয়ে আসতে পারতাম না?তাইনা?”
রাত্রি দেরি করলোনা।ফোনটা কানে ধরেই রুমে গেলো।বহুকষ্টে ক্যাঁড় ক্যাঁড় আওয়াজে বন্ধ জানালাটা খুললো।সাথে সাথেই বাতাসের ঝাপটা চুল এলোমেলো করে দিলো।বৃষ্টি নামবে বোধহয়।পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।হেডলাইটের আলোয় নিভ্রানের গাড়ি দেখা যাচ্ছে।ছাইরঙা চকচকে গাড়িটা রাস্তার উল্টোপাশে অগোছালো ভাবে পার্ক করা।বোঝা যাচ্ছে ছেলেটা খুব তাড়ায় আছে।মনটা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো রাত্রির।সে চাচ্ছিলো না এটা সত্যি হোক।লোকটার কি হয়েছে যে তার ভাই এভাবে ছুটে এলো?
ওপাশ থেকে ছেলেটা বললো,
—“আপু?দেখেছেন?”
রাত্রি নিচু স্বরে উওর দিলো,
—“জি।”
—“এবার আসুন প্লিজ।”
রাত্রি আর ভাবলোনা।বেশি দেরি করলে পরে না আফসোস করতে হয়।ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড ভাবে ভেঙে পরলেও কোনরকমে নিজেকে সামলালো সে।এলো চুল গুছিয়ে মাথায় ওড়না টানতে টানতে বললো,
—“আসছি।একটু দাড়ান।”
বেশ আস্তে করে দরজাটা খুলে গেলো।ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো অল্পবয়সী একটা মেয়ে।নিশাদ একপলক দেখেই চোখ নামিয়ে নিলো।এতক্ষণ কথা শুনে মনে হচ্ছিলো কত বড় একটা মেয়ে।কেমন ধারালো কথাবার্তা।কিন্তু এ তো দেখি নিতান্তই ছোট্ট একটা মেয়ে।তার এত বড় ভাই এই মেয়ের জন্য সব উথাল পাথাল করে দিচ্ছে।বেশ অবাকই হলো নিশাদ।রাত্রি অসস্তি তে কুঁকড়ে যাচ্ছে।নিভ্রানের ছোট ভাই হলেও ছেলেটার বয়স তার দিকে বড় হবে।না জানি কি ভাবছে।নিশাদ মাথা নিচু করেই একটু সাইড দিয়ে বললো,
—“আসুন আপু।”
রাত্রি চুপচাপ সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালো।নিশাদ পিছে পিছে আসছে।নিচ পর্যন্ত যেয়েই এককদম দাড়ালো সে।সন্ধিহান কন্ঠে বললো,
—“আপনি ভেতরে এলেন কিভাবে?কেউ দেখেনি?দারোয়ান কোথায় ছিলো?”
—“আমি দেয়াল টপকে এসেছি আপু।”
রাত্রি আৎকে উঠলো।ছেলেটা যেহেতু ওভাবে এসেছে তারমানে এখনো সেভাবেই যেতে হবে।চোখ বড় বড় করে তাকাতেই হেসে ফেললো নিশাদ।অভয় দিয়ে বললো,
—“ভয় পাবেন না।আমি সাবধানের নামিয়ে দিব আপনাকে।আপনার গায়ে একটা ফুলের টোঁকা পরলেও ভাইয়া নিশ্চিত জানে মেরে ফেলবে আমাকে।এমনেই ভয়ে আছি।”
রাত্রি লজ্জা পেলো।অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।লোকটা কি না কি বলেছে কে জানে।
দেয়ালের পাঁচিল থেকে খুব যত্ন করে রাত্রিকে নামালো নিশাদ।রাত্রি রাস্তায় দু’পা ফেলে দাড়াতেই হাত ছেড়ে সরে দাড়ালো সে।রাত্রি ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।কেউ দেখে ফেললো নাতো?নাহ্,কেউ নেই।রাস্তা ফাঁকা।নিশাদ যেয়ে গাড়ির দরজা খুললো।বিনীত স্বরে রাত্রিকে ঢোকার ইশারা করে বললো,
—“আপু দেরি হয়ে যাচ্ছে।”
রাত্রি চুপটি করে সিটে বসলো।নিশাদ ড্রাইভিং সিটে বসে একমূহুর্ত দেরি না করে গাড়ি স্টার্ট দিলো।বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ড্রাইভ করছে সে।স্পিড হাই।চোখেমুখে তাড়াহুড়ো।রাত্রি ফাঁকা ঢোক গিললো।আমতা আমতা করে বললো,
—“এত ভয় পাচ্ছেন কেনো?”
—“আপনাকে না দেখলে ভাইয়া অনর্থ ঘটিয়ে ফেলবে।দোয়া করুন যাতে জলদি পৌছাতে পারি।”
____________
নাহিদার মাথায় সাদা ব্যান্ডেজ।চেহারা থমথমে।নিভ্রানের রুম থেকে এখন আর কোনো শব্দ আসছে না।পাশের সোফায় চোখ বন্ধ করে বসে আছে নিভ্রানের বাবা নওশাদ সাহেব।তার চোখমুখ একেবারেই স্বাভাবিক।যেনো বাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলেছি মস্তিষ্কে।
নিশাদ ঢুকলো তখনই।তার পিছু পিছু রাত্রি।
—“আপুকে নিয়ে এসেছি মা।ভাইয়া আর কিছু করেছে?”
নাহিদা শীতল চোখে চাইলেন রাত্রির দিকে।রাত্রির নত দৃষ্টি মেঝের দিকে।এই মধ্যরাতেও বাসাটা একেবারেই সজাগ।লোকটা নিশ্চিত ভয়ার্ত কান্ড ঘটিয়েছে।নাহিদার মাথার ব্যান্ডেজ সেটার জলজ্যান্ত প্রমান।
নিশাদ বুঝলো মায়ের নিশ্চুপ ইশারা।রাত্রিকে বললো,
—“আপু ভাইয়ার রুমে চলুন।”
তারা রুমের সামনে যেয়ে দাড়াতেই উঠে আসলেন নাহিদা।রাত্রি বিচলিত ভঙ্গিতে সাইড দিলো তাকে।নিশাদ লক ঘুরালো।দরজা খুলতেই প্রকাণ্ড একটা শোপিস এসে ঝংকার তুলে চুরমার হয়ে গেলো পায়ের কাছে।ছিঁটকে গেলো ওরা তিনজনই।নিভ্রান বাড়ি কাঁপিয়ে চিৎকার করলো,
—“কাউকে আসতে মানা করেছিনা?”
নিশাদ ধড়াম করে দরজাটা আটকে বুকে থুথু ছিটালো।রাত্রি হতভম্ব।এই শান্তশিষ্ট লোকটাও এভাবে চিৎকার করতে পারে?নাহিদা চুপচাপ।কোনোকিছু যেন তাকে চমকে দিতে পারছেনা।নিশাদ ঢোক গিলে দরজাটা আবার একটু ফাঁক করলো।নিভু নিভু কন্ঠে বললো,
—“তোর রাতকে নিয়ে এসেছি ভাইয়া।ও কে তো আসতে দিবি।”
“রাত” শব্দটা কানে যেতেই যেনো বিদ্যুৎ খেলে গেলো নিভ্রানের চোখেমুখে।তার ভাই অত্যন্ত এই সময় মিথ্যা বলবেনা।এত সাহস নেই!বিছানা থেকে নিজেই নেমে গেলো সে।নিশাদের অর্ধেক খোলা দরজাটা ভেতর থেকে সজোরে টেনে রো খুলে নিলো।রাত্রি ভয়ে দরজার পাশের দেয়ালে কাঁধ ঠেকিয়ে দাড়িয়ে ছিলো।নিভ্রান তাকে তৎক্ষণাৎ দেখতে না মূহুর্তেই হুঙ্কার ছাড়লো,
—“কোথায় রাত?”
নিশাদ আবারো থতমত খেলো।নাহিদা নিস্পৃহ নয়নে চেয়ে রয়েছে ছেলের মুখের দিকে।নিশাদ আলতো করে রাত্রির হাত ধরে তাকে নিভ্রানের সামনাসামনি দাড় করালো।নিভ্রান একমূহুর্ত ভাবলো না।তাদের সামনেই শক্তহাতে রাত্রিকে টেনে নিলো নিজের কাছে।একহাতে কোমড় পেচিয়ে আরেকহাতে মাথাটা চেপে ধরলো বুকের মাঝে।লজ্জায় জবুথবু হয়ে গেলো রাত্রি।নিশাদ চোখ নামিয়ে ফেললো।তার সাদামাটা ভাইযে এভাবে কাউকে ভালোবাসে বিষয়টা একেবারেই হজম হচ্ছেনা।ঘরটা অন্ধকার হলেও ড্রইংরুমের আলোর ঝলকানিতে সবই দেখা যাচ্ছে।লজ্জাটা যেনো আরো ভালোভাবে আঁকড়ে ধরলো রাত্রিকে।মা,ভাইয়ের সামনে এভাবে ধরে রেখেছে লোকটা।তারা কি ভাববে!
নিভ্রান অনড়।রাত্রিকে যেনো নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলবে।রাত্রি কাঁচুমাচু করলো,
—“শান্ত হন,আমি কোথাও যাচ্ছিনা।একটু ছাড়ুন..”
নাহিদা বললেন,”মেয়েটাকে…”কথা শেষ করতে দিলোনা নিভ্রান।চোখ গরম করে হাত উঠিয়ে থামার ইঙ্গিত করতেই চুপ হয়ে গেলো নাহিদা।নিশাদ তোতলালো,”ভাইয়া,রেগে গিয়ে আপুকে আবার কিছু করোনা।”
পেছন থেকে নওশাদ সাহেব ঠান্ডা গলায় বললেন,
—“তোমরা চলে আসো,ওদেরকে একা থাকতে দাও।”
নিভ্রানের নিরবতাই নওশাদ সাহেবের কথার সাথে সম্মতি জানালো।নিশাদ বিনাবাক্য দরজা ভিড়িয়ে বেরিয়ে গেলো।একহাতে রাত্রির কোমড় জড়িয়ে রেখেই অন্যহাতে দরজা লক করে দিলো নিভ্রান। সুইচ চেপে আলো জ্বালালে।মেঝের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাঁচগুলো পরখ করে অস্থির হতে হতেও থেমে গেলো সে।রাত্রির পায়ে স্যান্ডেল আছে।কাঁচ ঢোকার কথা নয়। এতদিনের ক্ষোভটা আচমকা মেয়েটার দেখা পেয়ে একটু শান্ত হলেও এখন যেনো তা গলিত লাভা-র ন্যায় গড়িয়ে পড়লো রাত্রির উপর।কোমড়ের বাঁধনটা লোহার মতোন শক্ত করে ধরে ধমকে উঠলো সে,
—“কেন এমন করছেন রাত?”বলুন,কি লাভ হচ্ছে আমাকে অবহেলার ধারালো করাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে?”
রাত্রি কেঁপে উঠলো।বুক থেকে মুখ তুলে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়েই যেন স্তব্দ হয়ে গেলো।লোকটার এ কি অবস্থা!চোখদুটো টকটকে লাল।চুল অগোছালো।সবসময়ের সুসৃঙ্খল আবেশটা হারিয়ে গেছে কোথায় যেনো।
হুঁশ ফিরলো।চোখ লুকাতে মেঝের দিকে দৃষ্টি পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে গেলো সে।সাদা টাইলস এ রক্তের ফোয়ারা।হাত পা কাঁপুনি ধরে গেলো।এলোপাথারি কাঁচ বিঁধে নিভ্রানের দু’পা ক্ষতবিক্ষত।অথচ লোকটা অনুভূতিশূন্য।রাত্রি শ্বাস আটকে আটকে বললো,
—“আপনার..আপনার পা দিয়ে এত রক্ত….আল্লাহ!কি করেছেন?দেখি বসুন।”
নিভ্রান পায়ের দিকে তোয়াক্কা করলোনা।রাত্রিকে ছেড়ে বিছানায় ধপ করে বসে পড়লো।অসহ্য করুণ গলায় বললো,
—“আরে মানুষের তো পশুর উপরও মায়া জন্মে যায়,আপনার আমার জন্য মায়া হয়না?মায়া বাদ দিন একটু দয়াই করুণ নাহয়।দয়া করেই আমার হন।”
রাত্রি সেই হৃদয় ঝাঁঝড়া করা কথাগুলো শুনেও কোনরকমে হজম করলো।নিভ্রান ড্রিংক করেছে।হাল্কা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।কথাবার্তায় ও কেমন ঘোলাটে ভাব।হাঁটু গেড়ে মেঝেতে বসে পড়লো সে।নিভ্রানের এক পা কোলের উপর তুলে নিয়ে নিশ্চিত হাতে ছোট্ট টেবিলের ড্রয়ারটা খুলে ফাস্ট এইড বক্স বের করলো।তুলা বের করতেই নিভ্রান তাচ্ছিল্য করে হাসলো।খাপছাড়াভাবে বললো,
—” বাদ দিনতো এসব।কতশত রক্তক্ষরণ হচ্ছে অথচ আপনি টেরও পাচ্ছেন না।”
রাত্রি ধরা গলায় বললো,
—“চুপ করে থাকুন,আমি বলেছি আমার জন্য রক্তাক্ত হতে?”
নিভ্রান চুপ করলো।রাত্রি দু’পায়ে ব্যান্ডেজ করে উঠে দাড়ালো।সাবধানে পা ফেলে দরজা পর্যন্ত যেয়ে লাইট নিভিয়ে ফিরে এলো।মাথার বালিশ ঠি ক করে দিয়ে বললো,
—“আপনি ঘুমান তো একটু।”
নিভ্রান শুলো ঠি ক।কিন্তু পরক্ষণেই হাল্কা,তেজ হীন গলায় বললো,
—“আমি ঘুমালেই আপনি চলে যাবেন তাইনা?নিশাদ জোর করে নিয়ে এসেছে আপনাকে?থাক,আর থাকা লাগবেনা।আমি ঠি ক আছি।আপনি চলে যান।নিশাদ কে বললেই আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আসবে।”
—“কোথাও যাবোনা আমি।”দৃঢ় কন্ঠে কথাটা বললেও অজান্তেই চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো রাত্রির।টপটপ করে পানিও গড়ালো কয়েক ফোঁটা।নিভ্রানের বুকের উপর পড়লো সেই পানি।রাত্রি ঠোঁট কামড়ে ধরলো।কান্নার শব্দ যেনো নিভ্রান না শুনে।কোনোভাবেই না।সেভাবেই দ্রুত গলা পর্যন্ত ব্ল্যাঙ্কেটটা টেনে দিয়ে নিভ্রানের মাথার কাছছায় বসলো সে।বাইরে আজও বৃষ্টি নেমেছে।মুষুলধারে বৃষ্টি।
নিভ্রান একদৃষ্টে চেয়ে থাকলো ব্যালকনির কাঁচের দরজার দিকে।বৃষ্টির জল কাঁচে এসে বাড়ি খাচ্ছে।তারপর বক্ররেখায় এলোমেলো হয়ে মেঝেতে গড়িয়ে পড়ছে।বেশ কিছুক্ষণ মত্তের মতো চেয়ে সে আবিষ্ট স্বরে বললো,
—“কাঁচটা সরিয়ে দিন রাত,ঘরে বৃষ্টি আসুক।একরাতে এই বৃষ্টির সাথেই প্রেম এসেছিলো।এবার নাহয় একটু ভালবাসাও আসুক।ভালবাসার মানুষটাও আসুক।”
~চলবে~