গল্পের_নাম_অনুভূতি পর্বঃ৯

গল্পের_নাম_অনুভূতি পর্বঃ৯
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza

আরফি হাসপাতালে পৌছে জানতে পারে তার বাবা ২য় তলায় আছে আরফি আর একমূর্হুত অপেক্ষা না করে দৌড়ে সেখানে চলে যায়।২য় তলায় আসতেই দেখতে পায় আরফান আর সায়েদা খানম আরফি ধীরে ধীরে তাদের কাছে যেতে নিবে তখনই তার সামনে আবরার এসে পরে।আরফি আবরারকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনা আবরারের বুকে মাথা রেখে হুহু করে কেঁদে উঠে।আবরার প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেয়। আরফির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
~সব ঠিক হয়ে যাবে তুমি কান্না বন্ধ করো।
আরফির বাকশক্তি হয়তো হারিয়ে গেছে সে কান্নাই করে যাচ্ছে আবরার তাকে আর কিছুই বললো না।মনের অবস্থা ভালো না আরফির তা সে দিব্যি বুঝতে পারছে।আরফিকে সে কান্না করতে দিলো কিছুক্ষন পর আরফি বুঝতে পারলো সে কি করছে?আরফি তাড়াতাড়ি করে আবরারের বুক থেকে উঠে পরে মাথা নিচু করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকে।আবরার আরফির অবস্থান বুঝতে পারলো তাই বললো,
~আরফি আন্টিকে তোমার প্রয়োজন তুমি যাও তার কাছে।
আবরারের কথায় আরফি মাথা নেড়ে আবরারের পাশ কাটিয়ে চলে আসলো সায়েদা খানমের কাছে।সায়েদা খানম স্বামীর জন্য সেই কখন থেকে আহাজারি করে যাচ্ছেন।আরফিকে দেখে তা বেড়ে গেলো হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন তিনি আরফিকে জড়িয়ে ধরে।আরফিও মায়ের স্পর্শ পেয়ে কেঁদে উঠলো আরফান নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।রুকাইয়া কফি নিয়ে এসে দেখে এখানের পরিবেশ আরো খারাপ হয়ে গেছে।এই পরিস্থিতি দেখে রুকাইয়ার চোখের কোণেও পানি জমা হলো।শশুড় যে তাকে নিজের মেয়ের মতোই আদর করতো সেই ছোটবেলায় বাবা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিল রুকাইয়া হয়তো ভাগ্য তাকে আবারও সেই পরিস্থিতে ফেলতে চাইছে।হাতের কফিটি পাশের খালি চেয়ারে রেখে সে চলে গেলো আরফির কাছে।সায়েদা খানম মেয়েকে বুকে নিয়ে বসে আছে রুকাইয়া আরফানের সাথে বসে আছে।আবরারও তাদের সাথেই বসে আছে রাতুল অফিসে চলে গেছে।ডাক্তার বের হয়ে আসলেন কেবিন থেকে আরফিন ডাক্তার দেখে তার কাছে চলে গেলে সবাই ডাক্তারের দিকে অসহায় ব্যক্তির মতো তাকিয়ে আছে।কী দুঃসংবাদ আসতে চলেছে তা কেউই জানেনা।আবরার আরফানের সাথে দাড়িয়ে বললো,
~ডক্টর কী অবস্থা রোগীর?
আবরারের কথায় ডাক্তার বললেন,
~দেখেন রোগীর অবস্থা বেশ একটা ভালো না আমরা যথা সাধ্য চেষ্টা করছি।বাকিটা আল্লাহ ভরসা
এতটুকু বলে ডাক্তার চলে গেলো হাসপাতালের কড়িডোরে একটা কান্নার রোল পরে গেলো উপস্থিত সবাই এখন আরফির মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।আরফি স্তব্ধ হয়ে বসে আছে আরফান দেওয়াল ঘেসে দাড়িয়ে পরলো।কী থেকে কী হচ্ছে?তা সে বুঝতে পারছে না এতো বড় শাস্তি কেন সে পাচ্ছে বুঝতে পারছেনা।
রুকাইয়া আরফিকে বললো,
~আরফি তুমি বাসায় চলো আমার সাথে কলেজ থেকে তো এখানেই চলে এসেছো ফ্রেশ হতে হবে।
আরফি রুকাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
~বাবা কী আমাদের সাথে আর বাড়ি ফিরবেনা?
আরফির প্রশ্ন শুনে রুকাইয়া আঁচল মুখে চেপে কান্না করতে লাগলো এতোটা কঠোর প্রশ্ন সে আর কখনোই শুনেনি এটার জবাব কী দেবে সে ভেবে পায়না।
এরই মাঝে নার্স বের হয়ে ডাক্তারকে ডাকতে লাগলো এতে সবাই আরো ঘাবড়ে গেলো।আবরার এগিয়ে আসলো আর বললো,
~Anything serious?
নার্স বললো,
~রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ডক্টরকে ডাকতে হবে।
এই বলে সে ছুটলো আরফান দৌড়ে কেবিনের ভিতরে ডুকতে যাবে আবরার তাকে থামিয়ে দিলো আর বললো,
~আরফান ভিতরে যেও না ডক্টর আসুক তারপর সে কী বলে তা শুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।
আরফান আবরারকে বললো,
~স্যার বাবার অবস্থা ভালো না
এরই মাঝে ডাক্তার চলে আসলো আর কেবিনে ডুকে পরলো।আবরার আরফানকে সামলাতে লাগলো কিছুক্ষন পর ডাক্তার বললো,
~আপনারা ভিতরে আসতে পারেন।রোগী দেখা করতে চায়।
সবাই কেবিনের ভিতরে চলে গেলো আরফি বাবার অবস্থা দেখে নিজেকে সামলাতে পারলোনা রুকাইয়ার হাত শক্ত করে ধরলো।

কবির আহমেদ হাতের ইশারায় আরফান আর আরফিকে কাছে ডাকলো।আরফান আর আরফি তার পাশে এসে বসলো কবির আহমেদের মুখে অক্সিজেন মাক্স লাগানো।আরফান আর আরফিকে দেখে সে মুচকি হাসলো তার চোখের কোণ দিয়ে পানি পরতে লাগলো।আরফি নিজ হাত দিয়ে পানি মুছে দিলো।তারপর বললো,
~বাবা প্লিজ তুমি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাও।তোমাকে ছাড়া আমি বাসায় যাবো না।
আরফান একধ্যানে তাকিয়ে আছে বাবার দিকে মনে হচ্ছে এই শেষ দেখা বাবার সাথে।কবির আহমেদ আরফানের দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতটা আরফানের হাতের উপর রাখলো তা দেখে সায়েদা খানম কান্না করতে লাগলেন।আরফান বাবার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দিলো আরফি বাবার একহাত ধরে বসে আছে তখনই কবির আহমেদের শ্বাসকষ্ট শুরু হলো সে।তার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো আবরার ডক্টরকে ডাকতে চলে গেলো হঠাৎ আরফির হাত থেকে কবির আহমেদের হাতটা নিচে পরে গেলো।কবির আহমেদ একদম শান্ত হয়ে গেলেন সে এখন চিরনিদ্রায় চলে গেছেন।আরফি চিৎকার করে বলে উঠলো,
~বাবা……
আরফান আরফির চিৎকার শুনে বুঝতে পারলো তার জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ আর নেই চলে গেছে তাকে একলা করে।জীবনের প্রতিটি ধাপে একসাথে থাকার ওয়াদা করেও আজ তাকে একা করে চলে গেছেন।রুকাইয়া কেবিনের বাহিরে চলে গেলো এতোটা করুন দৃশ্য সে দেখতে পারবে না।আবরার রুকাইয়াকে কাঁদতে দেখেই বুঝতে পারলো কোনো এক অঘটন ঘটে গেছে।ডাক্তারকে নিয়ে ভিতরে ডুকে পরলো সে ডাক্তার চেক করে বললো,
~I am sorry.সে আর নেই।
সায়েদা খানম স্বামীর পায়ের কাছে বসে কাঁদতে লাগলেন।যে মানুষটা তার চরম দুঃখের মাঝে একটুকরো সুখ নিয়ে এসেছিলেন সে আজ আবার তার জীবনে ঘনকালো মেঘ নিয়ে আসলেন।কীভাবে বেঁচে থাকবে সে?কী আছে এই পৃথীবীতে তার জন্য? আরফি মাথা নিচু করে বসে আছে হাসপাতালের করিডোরে একটু পরই কবির আহমেদকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে আরফান আর আবরার তাই দেখছে হঠাৎ আবরার এসে আরফির পাশে বসে বললো,
~আরফি বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিতে হবে।
আরফির কোনো হেলদোল নেই আবরার আরফির হাতের উপর হাত রেখে বললো,
~আরফি সেই ছোট্টবেলায় বাবাকে হারাই আমি সেসময় তো এতকিছু বুঝতামই না কিন্তু বাবা হারানোর ব্যাথাটা ঠিকই অনুভব করতাম।মা যখন আঁচল চেপে কাঁদতো তখন বুঝতাম বাবা আর নেই।যখন অবনি অন্যদের বাবাকে দেখে জেদ করতো তারও বাবা চাই তখন বুঝতার বাবা হারানোর যন্ত্রণায় বুকে চিনচিন ব্যাথা করতো।
আরফি আবরারের দিকে তাকিয়ে রইলো আরফি বুঝতে পারলো তাকে শক্ত হতে হবে।নিজেকে সামলিয়ে মাকে ভাইকে সামলাতে হবে আরফি উঠে দাড়ালো তারপর আবরারকে বললো,
~বাবা আমার অপেক্ষা করছে তাকে শেষ বিদায় যে দিতে হবে।
আবরারও আরফির সাথে হাঁটতে শুরু করলো।
বাসায় পৌছাতেই সব আত্মীয়স্বজন আর এলাকার সবাই একত্রিত হয়ে গেছে।লাশ গাড়ি থেকে নামিয়েই গোসলের জন্য নিয়ে যাওয়া হলো আরফানকে সবাই এসে সাহস দিচ্ছে এরই মধ্যে জাবেদা বেগম আর অবনি উপস্থিত হলো।সায়েদা খানমের পাশেই বসে আছে তারা রাতুলও এসে পরেছে।তখনই এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে সায়েদা খানমের কাছে এসে বলতে লাগলো,
~আমার ননদের কপাল পুড়লো কতো সুখে আসিলো আর ওহন কী হইয়া গেলো।
আরফি নিজ মামীর এমন নাটকীয় কান্না শুনে মেজাজ বিগড়ে গেলো সায়েদা খানম ভাবীকে দেখে অবাক হলো তবুও কিছু বললো না।জাবেদা বেগমও মহিলাটির নাটক ভালো করেই বুঝতে পারলেন।
আরফান বাবার মৃত্যুর শোকে যেমন ব্যাথীত তেমনি নিজ মামাকে এ বাসায় দেখে রাগে ফেটে পরছে।

আরফির মামা আরফানের পাশে দাড়িয়ে বললেন,
~ভাগিনা এতো চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে আমরা আছিনা
আরফান তার পাশ থেকে চলে আসলো গোসল শেষে লাশকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানাজার জন্য।আরফি বাবাকে শেষ বিদায় দিয়ে আসলো কিন্তু আশ্চর্য তার চোখ দিয়ে পানি পরলো না।সায়েদা খানমও নিজ স্বামীকে চিরদিনের বিদায় দিয়ে নিজ রুমে চলে আসলেন।আরফি সায়েদা খানমের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে আজকের দিনটাও যে তার জীবনে আসবে তা সে ভাবতে পারিনি অনাকাঙ্ক্ষিত দিনটি তার জীবনকে যে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে তা সে খুব করে বুঝতে পারছে তবুও নীরব হয়ে আছে আরফি।অতি দুঃখে সে আজ পাথর।
আরফান বাবার অন্তিম কাজ শেষ করে বাসায় চলে এসেছে।অনেকেই নিজ নিজ বাসায় চলে গেছে গুটিকয়েক মানুষই এখন উপস্থিত তাদের বাসায়।তার মামা-মামীও চলে গেছে তারা আর থেকে এখানে কী করবে?লোক দেখাতেই এসেছিল তারা।আবরার আরফানের কাঁধে হাত রেখে বললো,
~রেস্ট নাও।তুমি সেই সকাল থেকে দৌড়াদৌড়ি করছো একটু খাওয়া-দাওয়া করো।
আরফান নীরবতা বজায় রাখলো সে একধ্যানে দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে।আরফি মায়ের রুম থেকে বাহিরে এসে দেখলো ভাইয়ের সেই অসহায় রুপ যা সে হয়তো কোনোদিন দেখেনি।আরফি নিজেকে সামলে রান্নাঘরে গিয়ে দেখলো রুকাইয়া কাঁদছে আর কাজ করছে।আরফি রুকাইয়াকে বললো,
~টেবিলে খাবার দেও ভাইয়া এসে পরেছে।
আরফির কথায় রুকাইয়া শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে বললো,
~তুমিও কিছু খেয়ে নেও।সেই সকালে খেয়েছো।
আরফি ভাতের বোলটা নিয়ে বাহিরে চলে আসলো।ভাতের বোলটা টেবিলে রেখে সে হলরুমে চলে আসলো আরফি শান্তস্বরে বললো,
~ভাই খেতে চলো।অনেকক্ষন হলো কিছুই মুখে দেওনি
আবরারের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আপনিও চলেন খেয়ে নিন।
আবরার না বলতে যাবে তখনই আরফি বললো,
~না করবেন না ভাইয়াকে নিয়ে চলে আসেন।
এতটুকু বলে আরফি রান্নাঘরে চলে গেলো আবরার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আফরানকে বললো,
~চলো খেয়ে নেই।
আফরান কিছু না বলে উঠে দাড়ালো আবরারও তার সাথে দাড়িয়ে পরলো
খাওয়ার পরে আরফান রুমে চলে আসলো রুকাইয়াকে আরফি রুমে চলে যেতে বলে আরফানের খেয়াল রাখার জন্য। আরফি টেবিল গুছিয়ে রাখছে আবরার হালকা কেশে বললো,
~আমি বাসায় চলে যাচ্ছি।
আরফি হাতে থাকা প্লেটটা রেখে দিয়ে ঘুরে দাড়ালো তারপর বললো,
~আজকে আপনি আমাদের অনেক সহায়তা করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ
আবরার আরফির এহেন কথায় অনেকটা রাগ করলো কিন্তু কিছুই বললো না তাকে শুধু বললো,
~আপন মানুষ নাই হতে পারলাম কিন্তু এতোটাও পর ভেবো না।বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব হয়
বলেই আবরার যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো আরফি আবরারের যাওয়ার দিকে তাকওয়ে বিড়বিড় করে বললো,
~যদি জানতেন আপনি আমার কতোটা আপন মানুষ তাহলে কী আপনার বাহুডরে আমাকে আগলে রাখতেন।
আফসোস আরফির এই কথাগুলো আবরার শুনতে পেলো না যদি শুনতো তাহলে তার সেই খালি বুকে আজ আরফির বসবাস হতো।

আবরার আনমনে রাস্তায় হাঁটছে বৃষ্টি হচ্ছে তুমুল আকারে।বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা তার শরীরকে ছুঁয়ে যাচ্ছে আজ আকাশও তার প্রেয়সীর কান্নার সাথী হয়েছে কিন্তু সেও এতোটাই অভাগা তার প্রেয়সীর চোখের পানি গুলো তার ওষ্ঠজোর দ্বারা শুষে নিতে পারছে না।
আবরার ভিজে যাওয়া চুলগুলো পিছনে ঠেলে দিয়ে রাস্তার পারে বসে পরলো।বৃষ্টি কিছুটা কমেছে কিন্তু মেঘলা আকাশটা ঠিকই রয়ে গেছে এখন শুধু সেই সূর্যের আলোর অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।
আরফি বাবার দেওয়া শাড়িটা বুকে জড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।বাবা শাড়িটা দিয়ে বলেছিল একদিন এই শাড়িটা পরতে বাবা আমাকে নিয়ে ভ্রমনে বের হবে।কিন্তু সে আর হলোনা বাবার ইচ্ছাটা ইচ্ছাই থেকে গেলো আরফির চোখের পানি দ্বারা শাড়িটা ভিজে গেছে।মানুষ চলে যায় কিন্তু সেই মানুষটির প্রয়োজন সারা জীবন রয়ে যায়
আরফান আরফির রুমের দরজা ঠেলে ভিতরে চলে আসে।বোনকে ফ্লোরে বসে থাকতে দেখে সেও আরফির পাশে বসে পরলো।আরফি তার পাশে তাকিয়ে দেখলো আরফান তার পাশে বসে আছে আরফি আরফানের কাঁধে মাথা রাখলো।
আরফান বললো,
~সব ঠিক হয়ে যাবে আমরা সবাই একসাথে থাকলে এই কঠিন সময়ও পার হয়ে যাবে।
আরফি বললো,
~সময় তো চলে যাবে ভাইয়া বাবা আসবেনা ফিরে।
আরফি এতটুকু বলে ঢুকরে কেঁদে উঠে আরফান নিশব্দে চোখের পানি ফেলছে।তাদের কথা দরজার আড়াল থেকে দুজন শুনছে রুকাইয়া আর সায়েদা খানম দুজনই চোখের পানি ফেলছে।

চলবে

(বিদ্রঃকেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading🤗🤗)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here