গাংচিল পর্ব-৫

0
342

#গাংচিল
#৫ম_পর্ব

সীমান্ত কিছু যেনো বিরবির করছে। মৌপ্রিয়া সেদিকে খেয়াল দিচ্ছে না। মূল উদ্দেশ্য এই পাহাড়কে বিছানায় চেলে ফেলা। অবশেষে বিছানা এলো। ভার জিনিসটার হাতটা কাধ থেকে নামিয়ে দিলো সে। কিন্তু তার হাত রয়ে গেলো সীমান্তের হাতে। ফলে টান খেয়ে সেও পড়ে গেলো সীমান্তের বুকে। ঘটনার আকর্ষিকতায় মৌপ্রিয়ার কোমল গাল লালবর্ণ ধারণ করলো। অবিবাহিত নারী কিনা এক অবিবাহিত যুবকের বুকে লেপ্টে আছে। সমাজ জানলে তো ছিছি করবে। নিজেকে সীমান্তের বাহু ডোর থেকে ছাড়াতে তৎপর হলো সে। কিন্তু সীমান্তের অচেতন শরীরের ভার তাকে উঠতে দিচ্ছে না। হঠাৎ সীমান্ত চোখ খুললো। তার এলোমেলো দৃষ্টি দেখে যাচ্ছে মৌপ্রিয়ার কোমলমুখ। এরপর সে যা করলো তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলো না মৌপ্রিয়া। মৌপ্রিয়ার ঘনকালো চুলের মেঘ আলতো হাতে সরালো সে। তার ঠোঁটে এখনো সেই হাসির প্রলেপ। সীমান্তের পরশে লজ্জায়, রাগে কুকিয়ে উঠছিলো মৌ। তারপর মাথাটা বিছানা থেকে শূন্যে তুললো সীমান্ত। অজানা আবেশে চোখ বুঝে এসেছে মৌপ্রিয়ার। সীমান্ত তার বা কানের কাছে মুখ ঠেকায়। সীমান্তের উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শে শিরদাঁড়ায় অজানা শিহরণ বয়ে গেলো তার। ধীর স্বরে আওড়ালো চার লাইন, লালচে গালজোড়া রক্তিম হয়ে উঠলো মৌপ্রিয়ার। তড়িৎ গতিতে চোখ খুললো সে। সীমান্ত তখনও হাসছে। ক্রোধ আর লজ্জায় তার বুক ঠেলে উঠে গেলো মৌপ্রিয়া। সীমান্ত এবার হাসি মুখে চোখ বুঝে নিলো। কি সাংঘাতিক কান্ড, মদের নেশায় লোকটা রীতিমতো অসভ্যতামী করছে। তার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো গলা চেপে ধরতো মৌপ্রিয়া, কিন্তু লোকটিকে কিছুই করছে না। করছে না বললে ভুল, করতে পারছে না। গালের তাপ বাড়ছে, হৃদস্পন্দনের গতি কোনো ট্রেনের চেয়ে কম নয়। এখানে থাকাটা সুবিধার নয়, এখনই বেড়িয়ে যেতে হবে। বলা তো যায় না, লোকটা আবার কি বলে বসে! গেস্ট রুম থেকে বের হতেই নীলুর সাথে ধাক্কা লাগলো মৌপ্রিয়ার। নীলুর হাতের পানির জগ নড়ে উঠলো, কিঞ্চিত পানিও আছড়ে পড়লো মৌ এর গায়ে। মৌপ্রিয়াকে অস্থিরতা এবং বিধ্বস্ততা দেখে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো সে,
“আফা, কিছু হইছে?”

নীলুর প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেলো সে। মৌ এর মনে হলো সে যেনো কিছু চুরি করেছে আর তার চুরি ধরা পড়ে গেছে নীলুর চোখে। অযথা ঘামতে লাগলো, বুকের ধুকপুকানি মাত্রা ছাড়িয়ে গেলো। এই বুঝি হৃদযন্ত্র নামক অঙ্গটি বন্ধ হয়ে যাবে। বিব্রত গলায় বললো,
“কি হবে?”
“আপনে ঘামতেছেন তো তাই জিগালাম? মাস্টর কি খুব ভারী?”

মৌপ্রিয়ার নীলুর প্রশ্নগুলো জেরার মতো লাগছে। এক মূহুর্ত দাঁড়ানো যেনো কষ্টকর হয়ে গিয়েছে। এই বুঝি ধরা পড়ে যাবে, নীলু জেনে যাবে লজ্জাকর ঘটনাটি। তখন সমাজে তার কি মুখ থাকবে? অপরিচিত যুবক তার কানে মুখ ঠেকিয়ে প্রেমের কবিতা শুনিয়েছে। ব্যাপারটা সাংঘাতিক লজ্জার। সবাই বলবে, মৌপ্রিয়া তার আবালচন্দ্র মাস্টারমশাই এর সাথে প্রেমলীলা করছে। না না, এটা হতে পারে না। No, Never, কাভি নেহি। নিজের চুরিকে লুকাতে এবার সঠান হয়ে গেলো সে, ঝাঁঝালো কন্ঠে বললো,
“এতো প্রশ্ন কেনো করছিস নীলাঞ্জনা? প্রশ্ন বন্ধ। আর ও ঘরে তোর কি কাজ?”
“পানি দিতে আইছি।“
“দেওয়া হলে ঘুমাতে যা। আর কোনো কথা না।“

বলেই নিজের রুমের দিকে হাটা শুরু করলো মৌপ্রিয়া। নীলু বেকুবের ন্যায় তাকিয়ে রইলো। তার আফার এমন ব্যাবহার যেনো মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে তার। আসলে সে তো জানে না, এই ব্যাবহারের মূলউৎস কি বা কে! একে বলা হয় সূচনা, নতুন এক গল্পের সূচনা। প্রেমঘন গল্পের নির্মল সূচনা___________

রাত সাড়ে নয়টা,
অবশেষে নিজের শিফটের অবসান ঘটলো তিয়াশার। ঘড়ির কাটার দিকে চোখ বুলালো। রাত বেড়েছে, এখন কি বাজার খোলা থাকবে? কালকের বাজারটা করতে হবে তার। কাজের চাপে এই বাজার করাটা পৃথিবীর সবথেকে কঠিন কাজে পরিনত হয়েছে তিয়াশার জন্য। কিন্তু সে নিরুপায়, বৃদ্ধ মা এবং ছোট বোনকে তো আর বাজারের ঝামেলা্টা দিতে পারে না। সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টার এই বারো ঘন্টার শিফট তার জীবন থেকে অবসর নামক শান্তিটুকু চুষে খাচ্ছে। কিন্তু ওই যে মাস শেষে একটা ভালো অংক বাসায় নিতে পারছে এটাই মনের শান্তি। বাবার মৃত্যুর পর সংসার নামক বিশাল ভারটা নিজ কাঁধে স্বইচ্ছায় বহন করে নেয় তিয়াশা। তাই তার এই চাকরী জীবন নামক পদার্থকে নিংড়ে নিলেও ছাড়তে পারছে না সে। তাই তো অতীতের মুখোমুখি হতেও দু বার ভাবছে না। মাঝে মাঝে মৌপ্রিয়াকে খুব হিংসে হয় তিয়াশার। হ্যা, বান্ধবীকে সে হিংসে করে। তার মনে হয় স্রষ্টা তার ভাগ্য লেখার সময় বেশ পার্শিয়ালিটি করেছেন। যদি তা নাই হতো, তবে কলেজ জীবন থেকে এই জীবনের কঠোরতা, নিষ্টুরতাগুলো হাতে কলমে টেরটি পেতে হতো না তার। মৌপ্রিয়াও তো তার মতোই একজন মেয়ে। কই তাকে তো স্রষ্টা এই কঠোরতাগুলো দেখান নি। সে তো তার মনের সকল বাসনাকে পূর্ণ করছে। বই বিক্রি হয় নি তাতে কি? বাবার টাকা আছে; তিনি সুন্দর অবিক্রিত বই কিনে নিয়েছেন। এখন সে আবার সৃজনশীলতায় মনোনিবেশ করেছে। তাই তো তিয়াশার মতে, সৃজনশীলতা কেবলই বড়লোকের অলংকার। তা না হলে কি, সৃজনশীলতা তার মাঝে নেই! বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হলো তিয়াশার।
রাস্তায় সিএনজি ওয়ালাদের কি হরতাল হচ্ছে! একটা সিএনজি এর টিকিটুকু খুঁজে পাচ্ছে না সে। রাত ঘন হচ্ছে। এর চেয়ে বেশী হলে আর বাজারে সবজি পাওয়া যাবে না। বৃষ্টিও নামবে নামবে করছে। আকাশ ক্রন্দন শুরু করলে নিরুপায় হয়ে যাবে তিয়াশা। ছাতিটাও বাসায় রেখে এসেছে। ধুর ভালো লাগে না। এতো অন্য মনস্ক হওয়া মোটেই ভালো নয়। তার এই অস্থিরতা দূর থেকে কেউ ঠিক দেখছে। হাসপাতালের এগারোতালার করিডরের বিশাল গ্লাস থেকে রাস্তাটা স্পষ্ট দেখা যায়। তাই তো ক্লান্ত, পিপাসু চোখজোড়া সেখান থেকেই তিয়াশাকে দেখে যাচ্ছে। সামনে যাবার পরিস্থিতিটা আজ নেই। হাতে কফির প্লাস্টিকের কাঁপ, ধোঁয়া উঁড়ছে উত্তপ্ত কফি থেকে। সে সাথে ঊড়ছে মনের ব্যালকানির কিছু অসম্পূর্ণ স্বপ্ন। ধোঁয়ার ন্যায় হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে সেই সোনালী আকাঙ্খাগুলো। অতৃপ্ত হৃদয় আফসোস করছে, কেনো সময়টা তখন প্রতিকূলে ছিলো। ভালোবাসা তো ঠিক ই ছিলো, শুধু সময়ের হিসেবটা গরমিল হয়ে গেলো­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­­________________

৩.
রাত ঠিক কটা বাজে জানা নেই মৌপ্রিয়ার। সে শুধু জানে তার ঘুম আসছে না। তার মাথায় টেপরেকর্ডের ন্যায় বাজছে সেই চারটি লাইন। বারবার, যেনো কেউ লুপে ছেড়ে দিয়েছে। নেশাপ্রবণ কন্ঠে সেই চারটি লাইন। উফফ, পাগল হয়ে যাবে সে। উঠে বসলো মৌপ্রিয়া। অনুভূতিটা অন্য রকম। পঁচিশ বছর বয়েসে এই প্রথম এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে তার। যখনই সেই মূহুর্তের কথা মনে পড়ছে তখনই শরীরে শিহরণ হচ্ছে। জ্বর জ্বর লাগছে। উত্তাপ বেড়ে যাচ্ছে। লোম অবধি দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। সে কি কোনো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে? যদি এটা কোনো রোগ হয়ে থাকে তবে সেই রোগকে কি নাম দিবে সে? সীমান্তফোবিয়া? হতেই পারে। নামটা লজিক্যাল। অবাক ব্যাপার মনের মাঝে হাজারো শব্দের ভিড় হচ্ছে। রঙ বেরঙ্গের শব্দ। কেউ লাল, কেউ নীল তো কেউ হলুদ। শব্দগুলো লিখে ফেললে ভালো একটা গল্পের পর্ব হয়ে যাবে। মৌপ্রিয়া উঠে লেখার টেবিলের কাছে গিয়ে বসলো। জানালা খুলে দিলো। ঝিরিঝিরি বরফ শীতল হাওয়া গাল ছুয়ে যাচ্ছে তার। সে লিখতে শুরু করলো,
“রাত নিঝুম, ঝিঝিপোকার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। শীতল পানিতে পা ডুবিয়ে পুকুরের শেষ সিড়িতে বসে রয়েছে আমি। মাথার উপর কালো আকাশ, তাতে হাজারো ঝলঝল মুক্তার ন্যায় তারার মেলা বসেছে। এই রাতের বাতাসের মাঝেও রয়েছে হাজারো গল্প। ফিসফিসিয়ে আমাকে শোনাচ্ছে সে। হঠাৎ ভারী কন্ঠ কানে এলো। পেছনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। সাদা পাঞ্জাবীতে কি অপরূপ সুন্দর লাগছে রাসেলভাইকে। অপরুপ কথাটা পুরুষের ক্ষেত্রে যায় না, তবুও আমি বলবো তাকে অপরূপ লাগছে। আমার চোখ আটকে গেলো সেই দৃশ্যে, কালো ঝলমলে আকাশের নিচে, নীলচে পানির উপরে সাদা রাসেল ভাই। এ যেনো এক চিত্রকর্ম। নীল, কালো, সাদা রঙগুলো মিলে এক বিন্দু তা হলো রাসেল ভাই। আমার মনের নীল জলাশয়ের সেই শ্বেত পদ্ম। রাসেল ভাই আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। তার চাহনি আমাকে ক্ষত বিক্ষত করছে। মাতালকড়া গন্ধ নাকে আসছে। এই গন্ধটা হরহামেশা পায় সে, রাসেলভাই এর সান্নিধ্যে গেলেই পাই। আমার নিজেকে কেমন যেনো মাতাল মাতাল লাগছে। এটা কি প্রকৃতির দোষ নাকি রাসেল ভাই এর জানা নেই। কবিতার ভাষা বলতে দিলে আমি বলতাম,
“তোমার শরীরে তুমি গেঁথে রাখো গান
রাত্রিকে করেছো তাই ঝঙ্কারমুখর
তোমারও সান্নিধ্যের অপরূপ ঘ্রাণ
অজান্তে জীবনে রাখো জয়ের সাক্ষর”
___________________________

আবার থেমে গেলো মৌপ্রিয়া। হাজারো কবিতা থাকতে এটাই কেনো? কেনো তার মন এই কবিতাটি ই লিখলো। আবার অস্থির হয়ে উঠলো মন। ব্যাকস্পেস চালিয়ে দিলো পুরো লেখাটার উপর। রাগ হচ্ছে, খুব রাগ হচ্ছে। একটা সামান্য পুরুষ কিনা তার শ্রবনেন্দ্রীয় দ্বারা মস্তিস্কের নিউরণগুলোর উপর আধিপত্য বসিয়েছে। এটা তো তার মতো নারীর পক্ষে মেনে নেওয়াটা শুধু কষ্টকর ই নয়, অপমানজকও বটে। ঠাস করে ল্যাপটপের মনিটরটা বন্ধ করে দিলো সে। এখন ই এমন হাল, না জানি সামনে কি হয় তার। এই সীমান্তফোবিয়াটা তো মোটেই ভালো নয়, মোটেই ভালো নয়_________________

সূর্যের সোনালী কিরন সাদা পর্দার ফাঁক থেকে বেশ চালাকির সাথে প্রবেশ করছে শীতল ঘরটিতে। সূতীক্ষ্ণ কিরনে চোখগুলো জ্বলছে সীমান্তের। মাথা অসহনীয় ব্যাথা করছে। চোখের পাতা যেনো গ্লু চিপকে রেখেছে কেউ। খোলাটা বেদনাদায়ক হয়ে উঠেছে। গতরাতে ইফতেকার সাহেবের অতিরিক্ত জোরের কাছে নিজের মূল্যবোধকে হার মানতে হয়েছিলো। তাই তো যে ব্যাক্তি সিগারেট অবধি ধরে নি, সে কিনা একের পর এক মদ গিলেছে। এই মদটা খুব খারাপ তরল। প্রথমে তীক্ত লাগলেও নিজেকে তার আসক্তি থেকে মুক্ত করাটা কঠিন। ইফতেকার সাহেবকে সে বারংবার বলেছে,
“স্যার আমি সিগারেট ও ছুই না।“

ভদ্রলোক উত্তরে বলেছে,
“হাপ ব্যাটা, তুমি হচ্ছো ইয়াং ম্যান। আর মদ হচ্ছে পুরুষের অলংকার। নারীরা যেমন টিপ পড়ে নিজেদের সোভা বাড়ায়, ঠিক তেমন ই পুরুষেরা মদ খেয়ে নিজেদের পুরুষত্ব বাড়ায়। তুমি কি পুরুষ নও?”

কি অহেতুক যুক্তি। কিন্তু সেই যুক্তিতেই তার মূল্যবোধের বধ হলো। সীমান্তের মনে হলো তার পেট মোড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে নাড়িভুড়ি সব পেছিয়ে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। পেট যেনো দাবি করেছে তার মুক্তি চাই। দেরি না করে ছুটে গেলো বাথরুমে, গড়গড় করে বমি করলো সে। বমি করাটা এতো ক্লান্তিদায়ক হতে পারে আগে জানা ছিলো না সীমান্তের। বমি শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে মেঝেতেই বসে পড়লো সে। শ্বাস ফুলে এসেছে, খুব কষ্ট হচ্ছে। ইনহেলারটা হলে হয়তো নিস্তার হতো। হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠলো একটা দৃশ্য। যেখানে তার বুকে লেপ্টে ছিলো মৌপ্রিয়া। আলতো হাতে তার চুল সরাচ্ছে সে, কানে ঠোঁটের কোমল পরশ একে কিছু যেনো বলছে। কি লজ্জা! কি লজ্জা! মৌপ্রিয়া কি ভাবছে তাকে নিয়ে? এখন মুখ দেখাবে কি করে মৌপ্রিয়াকে? মুখে হাত চেপে বসে রইলো সীমান্ত। নিজের উপর রাগ হচ্ছে। কি দরকার ছিলো মদ গেলার?

মিনিট ত্রিশ বাদে বাথরুম থেকে বের হলো সে। ধীর পায়ে বের হলো গেস্ট রুম থেকে। বেশ বড় নয় মৌপ্রিয়াদের বাসা। তবে রুমের সংখ্যা বেশি। ছোট ছোট রুম গুলো। কয়েক শতক জমির উপর এই ছোট ডুপ্লেক্স বাসা। নিচে একটি গেস্ট রুম, একটি স্টাডি রুম, বসার ঘর, ডানিং স্পেস আর রান্নাঘর। উপরে চারটে ঘর, একটি ইফতেকার সাহেবের, একটা মৌপ্রিয়ার, একটা নীলাঞ্জনার এবং একটা ঘর বন্ধ। সেটি কার জানা নেই সীমান্তের। বাড়িটা খুব ছোট কিন্তু বেশ গোছানো।

গেস্ট রুম থেকে বের হয়েই রান্নাঘর। সীমান্তের ইচ্ছে হলো এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত খেতে। যদি এতে মাথা ব্যাথা কমে। নীলুকে বললে হয়তো করে দিবে। কিন্তু রান্নাঘরে যেতেই সীমান্তের পা আটকে গেলো…………

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here