#গোধূলি_লগ্নের_সেই_তুমি
#লেখনীতে_জেনিফা_চৌধুরী
#পর্ব_আট
গাড়ি থেকে নামিয়ে ফারদিন ফাইজা’র হাত ধরে টেনে “কাজী-অফিসের” ভেতরে নিয়ে যেতে লাগলো। ভয়ে ফাইজা’র বুক ধুকপুক করছে। কি করছে এই ছেলে? কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাবে? বাবা_মায়ের সামনে কোন মুখ নিয়ে গিয়ে দাড়াঁবে? ভাবতে’ই ফাইজা’র শরীর অবশ্য হয়ে আসচ্ছ। দরজা দিয়ে ঢোকা’র জন্য পা বাড়া’তেই ফাইজা দাড়িয়ে পড়ে। ফাইজা’কে দাড়াতে দেখে ফারদিন ওর দিকে তাঁকিয়ে সানগ্লাস’টা নাকের ডগায় এনে ভ্রু কুচকে তাকা’তেই ফাইজা ওর ছাড়ানোর চেষ্টা করে বললো….
–স্যার আমার হাত ছাড়ুন প্লিজ। আমি এ বিয়ে কিছুতেই করতে পারব না…..
ফাইজা’র কথায় ফারদিন যেনো আকাশ থেকে পড়লো। ফাইজার হাত’টা ছেড়ে দিয়ে ওর কথার মানে বুঝতে না পেরে কিছুক্ষন ওর দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাঁকিয়ে থেকে হঠাৎ শব্দ করে হেসে উঠলো। এমন পরিস্থিতিতে ফারদিন’কে হাসতে দেখে ফাইজা অবাক হয়ে ওর দিকে তাঁকিয়ে আছে। ফারদিন হাসতে হাসতে বলে উঠলো….
–সরি বাট আই কা’ন্ট স্টপ লাফিং এট এনিথিং…
বলেই আবারো হেসে দিলো। ফারদিনের হাসি দেখে ফাইজার রাগে শরীর জ্বলে উঠলো। ফাইজা’ নাকের ডগায় রাগ নিয়ে প্রশ্ন করলো…..
–আমি আপনাকে কোনো জোক্স’স বলেছি নাকি? এইভাবে পা’গ’লের মতো হাসচ্ছে কেনো? অদ্ভুত তো….
ফাইজা’র কথা শুনে ফারদিন আরেক’দফা হেসে নিয়ে বলে উঠলো…..
–আর ইউ ম্যা’ড ফাইজা। আমি তোমাকে বিয়ে করতে এখানে এনেছি তুমি ভাবলে কি করে? সরি বাট এটা আমার প্রচন্ড ফানি জোক্স’স মনে হয়েছে….
ফারদিনের কথা শুনে ফাইজা খানিক’টা অপমানিত বোধ করলো। নিজের উপর বিরক্ত লাগছে। কিছু না জিজ্ঞেস করে আগেই বো’কার মতো বিয়ের কথা বলে ফেলেছে। ইসস! ফারদিন কি ভাবলো এখন ওকে? লজ্জায় মাথা নিঁচু হয়ে ফাইজা’র। ফাইজা মাথা নিঁচু করে বললো….
–আ’ম সো সরি স্যার। আস….
ফাইজা’কে থামিয়ে ফারদিন বলে উঠলো…
–ইট’স ওকে। আই আন্ডারস্ট্যান্ড। ভেতরে চলো সব বুঝতে পারবে…..
বলেই আবারো ফাইজা’র হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেলো। এইবার আর ফাইজা বাধা দিলো না। ভেতরে ঢুকতেই এক’টা ছেলে ফারদিন’কে দেখেই হাসি মুখে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো….
–হেই ফারদিন। হোয়াই আর ইউ সো লেট ?
ফারদিন ও হাসি মুখে ছেলে’টা হালকা জড়িয়ে বললো…..
—লুক ? আই এরাইভড ৫ মিনিট’স অ্যাগো…
ছেলে’টার পাশ থেকে একটা মেয়ে হঠাৎ বলে উঠলো….
–হেই ক্রাশবয়…..
বলতে বলতেই ফারদিন কে জড়িয়ে ধরল। তা দেখে ফাইজা’র শরীর জ্বলে উঠলো। নাকের ডগায় লাল বর্ন ধারন করলো। কপালে কয়েক’টা ভাঁজ পড়লো। চোখ দুটো ছোট ছোট করে ওদের দিকে তাঁকিয়ে আছে। মেয়ে’টার পড়নে একটা মেরুন কালার শর্ট টপ’স আর ব্লাক জিন্স। পায়ে এক ইঞ্চি হিল। দেখেই বেশ মর্ডান মনে হচ্ছে। ফাইজা ভেবেছে ফারদিন মেয়ে’টাকে জড়িয়ে ধরবে না। কিন্তু ফাইজা’কে অবাক করে দিয়ে ফারদিন একবার আড় চোখে ফাইজা’র দিকে তাঁকিয়ে মেয়ে’টাকে হালকা জড়িয়ে ধরলো। মেয়ে’টা ফারদিন’কে ছেড়ে দিতেই ছেলে’টা ফাইজা’র দিকে ইশারা করে কিছু বলতে যাবে তখনি ফারদিন ছেলে’টাকে থামিয়ে বিষয়’টা এড়িয়ে যেতে গভীর কন্ঠে বললো….
–হঠাৎ,পালিয়ে বিয়ে করার মানে কি তাকিন? তুরফা’র বাড়ির লোক’কে বলে বিয়ে’টা করলেই ভালো হতো।
এতক্ষনে ফাইজা ছেলে আর মেয়ে’টার নাম জানতে পারলো। সেই সাথে কাজি অফিসে আসার কারন ও জানতে পারলো। তাকিন একটু হেসে উওর দিলো….
–তুই তো জানিস মামা তুরফা’র বাবা ভীষন ডে’ঞ্জা’রা’স। এখনো আমি কোনো জব করিনা। আর আমি স্কলারশিপ পেয়েছি তাই কানাডা চলে যাব চার বছরের জন্য। তুরফা ভয় পাচ্ছে যদি ঐখানে গিয়ে ও’কে ভুলে যাই। তাই, ওর বুদ্ধি’তেই কোর্ট ম্যারেজ করে রাখতে চাচ্ছি। দেশে ফিরে সবাই’কে জানিয়ে বিয়ে’টা সেরে ফেলব। কি বলিস….
বলেই ফারদিনের কাঁধে হালকা থা’প্পড় দিতেই ফারদিন ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে সামনে থাকা সোফায় বসতে বসতে বলে উঠলো….
—এজ ইউ’র উইশ। কিছু মেয়ে’দের আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারিনা তাকিন। ইউ নো দ্যাট…..
ফারদিন কথা’টা বলেই ফাইজার দিকে তাঁকালো। কথা’টা শুনে ফাইজা বিস্ময়ে হা হয়ে তাঁকিয়ে আছে ফারদিনের দিকে। ফারদিনের কথা শুনে তুরফা বললো….
–তুই কিন্তু কথা’টা বলে আমাকে অপমান করলি ফারদিন। সব মেয়ে’রা এক না ইয়ার।
ফারদিন ওর কথায় কান না দিয়ে ফাইজা’র উদ্দেশ্যে গম্ভীর স্বরে বললো….
–এখানে এসে বসো। দাঁড়িয়ে থাকতে বলি’নি….
ফারদিনের কথা শুনে ফাইজা শব্দ না করে ফারদিনের থেকে একটু সরে সোফার এক পাশে বসে পড়তেই। আচমকা ফারদিন ফাইজা’র হাত ধরে টান দেওয়ায় ফাইজা ফারদিনের বুকের উপর পড়তেই ফারদিন বলে উঠলো….
–আমার পাশে বসলে কি আমি তোমাকে খে’য়ে ফেলবো। এভাবে বসে থাকো….
বলেই ফাইজার মাথা’টা এক হাতে বুকের পাশে চে’পে ধরলো। ফাইজা যেনো ঘোরের মধ্যে আছে। এই লোক’টার কি ল’জ্জা শ’রম বলতে কিছু নেই। সামনে দুইজন ব্যাক্তি দাড়িয়ে আছে। আর সে? ভাবতেই ফাইজা’র গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো। ফাইজা দুই হাতে ফারদিন’কে সরানোর চেষ্টা করতেই ফারদিন আরো জোরে চে’পে ধরলো ফাইজা’কে। এইবার ফাইজার মনে হচ্ছে ওর দম আটকে যাবে। শরীরে শীতল শিহরন বয়ে চলেছে। ফাইজা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে একবার তাকিন আর তুরফার দিকে তাঁকালো। ওরা দুজন মুখে হাত দিয়ে মিটমিটিয়ে হাসচ্ছে। তা দেখে ফাইজা’র মনে হচ্ছে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে। ফাইজা বেশি নড়াচড়া করতেই ফারদিন সবাই’কে অবাক করে দিয়ে ফাইজা’র কঁপালে ঠোঁট ছোঁয়া’তেই ফাইজা কেঁপে উঠলো। ফাইজা সরার জন্য জোর করতেই ফারদিন ফাইজা’কে ছেড়ে দিয়ে হাত’ চে’পে ধরে বললো….
–এখান থেকে একদম দূরে যাওয়া’র চেষ্টা করলে। আমি তোমার….
ফারদিনের কথা শুনে ফাইজা’ রাগে দাতে দাত চেপে উওর দিলো….
—কি করবেন? থা’প্পড় মা’র’বেন। পারেন শুধু তাই করতে। যত্তসব…
বলেই হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো। ফারদিন ফাইজার কথা শুনে ফাইজার দিকে একটু ঝুঁকে ভ্রু কুচকে বলে উঠলো….
–তোমাকে কে বললো? আমি তোমাকে থা’প্পড় মা’রব। আমি তো তোমাকে….
ফারদিন ওর দিকে ঝুঁকে থাকায় ফাইজার গলা শুকিয়ে আসচ্ছে। হার্টবিট বেড়েই চলেছে। ফাইজা লজ্জায় পড়ে রাগী স্বরে বলে উঠলো….
–কি করবেন আপনি? কি করবেন?
ফারদিন ওদের সবাই’কে আরেক দফা অবাক করে দিয়ে জোরেই বলে উঠলো….
–আমি তো তোমার ঠোঁটে চু’মু খাবো।
কথা’টা শুনেই তাকিন আর তুরফা শব্দ করে হেসে উঠলো। আর ফাইজা বড় বড় চোখে ফারদিনের দিকে তাঁকিয়ে আছে। তা দেখে একটু বাঁকা হাসলো। তাকিন হাসতে হাসতে বললো….
–আমরা এখানে আছি মামা। কন্ট্রোল…
বলেই আবারো হেসে উঠলো। লজ্জায় ফাইজার মনে হচ্ছে ম’রে যেতে। তুরফা হাসতে হাসতে বললো…
–বুঝলে তাকিন এই হলো আমাদের দ্যা গ্রেট ফারদিন আবসার। যে কিনা মেয়েদের বিশ্বাস করতে পারেনা অথচ মেয়েদের সাথে রোমান্স করতে পারে….
বলেই ফারদিনের দিকে তাঁকিয়ে চোখ মা’র’তেই ফারদিন একটু মুচকি হাসলো। তাকিন ওদের মাঝে বলে উঠলো….
–কাজি সাহেব আমাদের জন্য ওয়েট করতে করতে এইবার চলেই যাবে। চলো বিয়ে’টা করে নেওয়া যাক।
বলেই তাকিন তুরফার হাত ধরে ভেতরের রুমে চলে গেলো। তুরহা যেতে যেতে চেঁচিয়ে বলে উঠলো….
–মেয়ে’টাকে আর ল’জ্জায় না ফেলে ওকে নিয়ে ভেতরে চলে আয়। মেয়ে’টা লজ্জায় লাল নীল হয়ে যাচ্ছে…..
ফাইজা গাল ফুলিয়ে ফারদিনের পাশে বসে আছে। ফারদিন উঠে দাড়িয়ে কোনো কথা না বলে ফাইজার হাত ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে যেতে লাগলো। ফাইজা ভেতরে ভেতরে রাগে বিড় বিড় করতে লাগলো….
–অ’স’ভ্য, বে’হা’য়া, নির্লজ্জ,লোক একটা। যেখানে সেখানে হাত ধরে টা’না’টা’নি শুরু করে দেয়। ছিঃ উনারা কিসব ভাবলো?
ফাইজা’কে বিড়বিড় করতে দেখে ফারদিন ফাইজা’র কানে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলো…
–এমন করে গাল ফুলিয়ে রেখো না জান। কিস করতে মন চাচ্ছে তো….
হঠাৎ এমন কথায় ফাইজার কাশতে শুরু করে দিলো। তা দেখে ফারদিন ডে’ভিল মার্কা হাসি দিয়ে ফাইজার দিকে তাঁকিয়ে চোখ মে’রে অন্য পাশে তাকিনের পাশে চলে গেলো। আর ফাইজা এখনো শুকনো কেশে যাচ্ছে। এই লোক’টা এমন অদ্ভুত কেনো? ভাবতেই ফাইজার শরীরে রাগে শিরা-উপশিরা গুলো জ্বলে উঠছে। অন্য সময় হলে ফাইজা হয়তো ফারদিনের ছোঁয়ায় খুশি হতো কিন্তু এইসময়ে এসে ওর রাগ লাগছে। আবার কোথাও একটা ভালো লাগা তৈরি হচ্ছে।
____________________________________________
–ফারদিন যদি জানতে পারে তুমি এই বাড়িতে পা রেখেছো। তাহলে, তোমাকে জানে মে/রে ফেলতেও একবার ভাববে না। তাই ভালো ভাবে বলছি। গেট আউট…..
সায়মা খানমের কথা শুনে কাকন সিকদার সোফায় বসে পায়ের উপর পা তুলে বললো….
–এটা আমার ও বাসা মা। তুমি কি ভুলে গেছো? আমি তোমার মেয়ে?
কাকনের কথা শুনে সায়মা খানম রাগে চেঁচিয়ে বলে উঠলো….
–তুমি আমার মেয়ে এটা ভাবতেও আমার নিজের উপরেই ঘৃনা হয়। তোমার মতো জঘন্য একটা মেয়ে আমি আমার গর্ভে ধারন করেছি। এক্ষুনি আমার বাসা থেকে বেড়িয়ে যাও। নয়তো ঘা’ড় ধা’ক্কা দিয়ে বের করে দিব।
সায়মা খানমের কথা শুনে কাকন উঠে দাড়িয়ে সায়মা খানমের সামনে এসে চোখ গরম করে বলে উঠলো…..
—তুমি ভুলে যাচ্ছো মা তোমার প্রানের প্রিয় নাতির দূর্বলতা আমি জানি। আমার পিছে তোমার নাতি’কে লাগ’তে বারন করে দিও। নয়তো ওর প্রানভ্রমর’কে পৃথিবী থেকে আউট করে দিতে আমার বেশিক্ষন সময় লাগবে না….
কথা’টা শেষ হতেই সায়মা খানম সমস্ত শক্তি দিয়ে কাকনের গালে থা’প্পড় মে/রে বলে উঠলো….
–এইবার আর সেম ভুল করতে যেও না। নিজের ভ’য়ংকর মৃ/ত্যু ডেকে আনবে তাহলে?
বলেই কাকন সিকদারের হাত ধরে টেনে নিয়ে ওর মুখের উপর দরজা আটকে দিয়ে। একটা দীর্ঘশ্বাস দেলে বলতে লাগলো….
–সাত বছরের একটা বাচ্চা ছেলের থেকে ওর মা’কে কেড়ে নিয়েছিলি। ও চেয়ে ও কিছু করতে পারেনি ছেলেটা। এখন ওই সাত বছরের বাচ্চা’টা সাতাশ বছরে পা রেখেছে। সব হিসেব সে নিবেই…….
____________________________________________
বিয়ে দেওয়া সম্পূর্ন হলে ওদের বিদায় জানিয়ে ফাইজা’কে প্রকার টেনেই গাড়িতে বসালো। হুট হাট এমন টানাটানি করার মানে ফাইজা বুঝতে পারেনা। কবে যেনো এই টানাটানির পাল্লায় বেচারীর হাত’টায় ছুটে যায়। ফাইজা গাল ফুলিয়ে বসে আছে। ফারদিন গাড়ি’তে বসে ফাইজা’কে বলে উঠলো….
–সিট বেল্ট’টা বেধে নাও….
ফাইজা ফারদিনের কথা কানে না তুলে জানালার দিকে দৃষ্টি দিলো। তখন মেয়ে’টাকে জড়িয়ে ধরেছিলো তাই অভিমানেরস হানা দিয়েছে মনের কোনে। ফারদিন কিছুক্ষন চেয়ে চেয়ে ফাইজার কান্ড দেখে নিজেই ফাইজার একদম কাছে বেল্ট’টা লাগিয়ে দিলো। হঠাৎ কাছে আসায় ফাইজা ভয়ে চোখ মুখ খিচে ফেলে। ওর হার্টবিট আবার বেড়ে গেলো। ফারদিন ফাইজার মুখের অবস্থা দেখে ফাইজার গালে টুপ করে একটা চু’মু খেয়ে বললো….
–একদম টমেটোর মতো লাগছে জান। এভাবে থাকলে টুপ করে খে’য়ে ফেলব তো…
ফারদিনের কথায় কথায় চু’মু খাওয়ায় ফাইজা প্রচন্ড বিরক্ত। ফাইজা রাগী দৃষ্টি’তে ফারদিনের দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠলো….
,–বার বার আমার পারমিশন ছাড়া আমাকে ছোঁয়ার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে? আপনি তো মেয়েদের বিশ্বাস করেন না। তাহলে কেনো বার বার আমাকে ছুঁয়ে দিয়ে অস্বস্তিতে ফেলছেন?
ফাইজার রাগ দেখে ফারদিন ঠোঁট চে’পে হাসচ্ছে। ফারদিন ফাইজার মুখের অবস্থা দেখে বলে উঠলো….
–কাজী অফিস দেখে তো বিয়ের চিন্তা ভাবনা করে ফেলেছিলে?
ফাইজার মুখ’টা চুপসে গেলো। ফাইজা আমতা আমতা করে বলে উঠলো…
–আপনার ফ্রেন্ড’দের বিয়ে দিতে আমাকে কেনো আনলেন?
ফারদিন একটু কেশে বলে উঠলো…
— নিজের বউ’কে কি কেউ ডাবল বিয়ে করে। যদি তুমি চাও তাহলে সেকেন্ড বার বিয়ে করতেই পারি। আমার কোনো প্রবলেম নেই। তাহলে, সেকেন্ড বার বাসর টাও হয়ে যাবে কি বলো? না! না! সেকেন্ড বার বাসর না ফাস্ট টাইম বাসর হবে আমাদের তাইনা জান??
ফারদিনের কথা শুনে ফাইজা চমকে উঠলো। আর ফারদিন রহস্য ময় হাসি দিয়ে উঠলো।
#চলবে
[আজ কিন্তু বড় একটা পার্ট দিয়েছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। গঠন মূলক মন্তব্য করবেন প্লিজ আজ একটা]