গোধূলি_বেলায়_প্রেম
ফাবিহা_নওশীন
|পর্ব-১|
পাঁচ তলা একটা বাড়ির গেটের সামনে কালো রংয়ের একটা গাড়ি এসে থামলো।
হাজারো কৌতূহল নিয়ে রীতি গাড়ি থেকে নামার জন্য পা বাড়ালো।
রীতির আগেই ওর ১২বছরের ভাইটি গাড়ি থেকে এক প্রকার দৌড়ে নামলো।
রীতি গাড়ি থেকে নামতেই গেইটের ডানপাশে দেয়ালে টাইলসের মধ্যে খোদাই করে লিখাটার উপর চোখ পড়লো।
“সুখ নীড়”
রীতি মুচকি হেসে লেখাটার উপর হাত বুলালো।
পেছনে রীতির মা বললো,
—–“কিরে? চল!”
রীতি মায়ের দিকে ঘুরে স্নিগ্ধ হেসে আলতোভাবে মাথা নাড়ালো।গেইট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই রীতির মনে হচ্ছে সে সত্যিই সুখ নীড়ে এসে পড়েছে।
বাড়ির সামনে বিশাল বড় ফুলের বাগান।রীতির মনের মাঝে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে।এত সুন্দর বাগান দেখে চোখও মন দুটোই জুড়িয়ে গেলো।রীতি বাড়ির ভিতরে যাওয়া বাদ দিয়ে বাগান দেখায় ব্যস্ত।
ও খেয়াল করে দেখলো সেখানে বাগানে কোনো বিদেশি অর্কিড নেই।সব দেশী ফুলের গাছ।
ডান পাশে বড় একটা বকুল গাছ।ফুলের সিজন এখানো হয়নি তাই ফুল শুণ্য।কিন্তু ফুল ফোটার সিজনে বকুল ফুলের ঘ্রাণ পাবে সেটা ভেবেই খুশিতে হৃদয়ে শিহরণ বয়ে গেল।
একটা বেলী ফুলের গাছ হলে ভালো হতো।
—–“রীতি কি করছিস?আবার দাড়িয়ে গেলি কেনো?”
রীতির মা বিরক্তি নিয়ে বলল।
রীতি উচ্ছ্বসিত হয়ে হালকা হেসে বলল,
—–“মা দেখো কত সুন্দর বাগান।একদম আমাদের বাড়ির মতো।একটা বকুল গাছও আছে।”
রীতির মা মুচকি হেসে বললো,
—–“আমরা এখুনি চলে যাচ্ছিনা।থাকার জন্য এসেছি।অনেক সময় পাবি দেখার।এখন তাড়াতাড়ি আয়।বাড়িটা দেখতে হবে,জিনিসপত্র গোছাতে হবে।কত কাজ! তোমার আর কি,গিয়ে তো বই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে।সব তো আমাকেই করতে হবে।উফফ কি মেয়ে হয়েছে আমার।”
রীতি গাল ফুলিয়ে মায়ের পেছনে পেছনে যাচ্ছে।ওর বাবা আর ভাই অলরেডি চলে গেছে ভেতরে।
রীতি নিজেদের বাড়ি রেখে এই ভাড়া বাড়িতে আসতে চায়নি।কিন্তু ওদের বাড়ির মতো এখানেও বিশাল বড় একটা বাগান আছে সেটা দেখে একটু হলেও ভালো লাগছে।
নিশ্চয়ই এই বাড়ির মালিক অনেক শৌখিন।নয়তো ঢাকা শহরে ভাড়া দেওয়ার জন্য তৈরি বাড়িতে এতো বড় বাগান খুব কমই দেখা যায়।
মায়ের পেছনে পেছনে সিড়ি বেয়ে তিনতলায় উঠে গেলো রীতি।
ঢাকার পাশ্ববর্তী এক মফস্বল শহরে ওর পরিবারের বসবাস।বাবা হাইস্কুলের ম্যাথের শিক্ষক ছিলেন।তারপর পদোন্নতি পেয়ে হেডমাস্টার হয়েছিলেন।৫বছর হেডমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেছেন নিজের শহরের হাইস্কুলে।তারপর হটাৎ করে বদলী হয়ে যান।
তবে তিনি চেষ্টা করলে নিজের শহরেই থাকতে পারতেন।তিনি সেটা করেননি রীতির জন্য।রীতি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।রোজ এক ঘন্টার বাস জার্নি করে ভার্সিটিতে আসে।তিনি মেয়েকে একা কোথাও থাকতে দিতে চান না আবার না তিনি চাকরীর জন্য এখানে আসতে পারবেন।এখন যখন আল্লাহ সেই সুযোগ করে দিয়েছে তাই তিনি মেয়ের কথা ভেবে এখানে চলে এলেন।বর্তমানে দেশের যে অবস্থা তাতে একটা মেয়ের বাসে করে আসা-যাওয়া ,এতো দূরের পথে একা জার্নি করা খুবই রিক্স।
আর এখান থেকে রিক্সা নিলে ১০-১২ মিনিটে ভার্সিটি পৌছে যাবে।
রীতি নিজেদের ফ্ল্যাট ভালো করে ঘুরে ঘুরে দেখে নিলো।পাশাপাশি তিনটা বেডরুম,ডাইনিং স্পেস,কিচেন সব কিছু দেখে নিলো।
জিনিসপত্র এখানে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং জায়গা মতো সব ফার্নিচার সেট করা হয়ে গেছে।এখন শুধু গোছগাছ করে নিতে হবে।
রীতি নিজের রুমে গেলো।রুমের সাথে বারান্দা।বাথরুম এটাচ করা।সবচেয়ে ভালো রুমটা বাবা ওকেই দিয়েছে।বাবার আদরের রাজকন্যা বলে কথা।
ওর রুমে একটা বেড,একটা আলমারি,একটা ড্রেসিং টেবিল আর পড়ার টেবিলের সাথে লাগোয়া বুকসেল্ফ।বেশী আসবাবপত্র ওর পছন্দ না।রীতি মেঝেতে রাখা লাগেজ খোলে একে একে বইগুলো গুছিয়ে রাখলো।বই গুছানো শেষ করে রুম থেকে বাইরে গেলো।ওর মা কিচেন গোছাচ্ছে।
ওকে দেখে বললো,
—–“কিরে সব কাজ শেষ? এতো তাড়াতাড়ি? ”
রীতি ভ্রু উঁচিয়ে বললো,
—–“সব কাজ মানে?আমি কি সব করবো নাকি?আমি শুধু বই গুছিয়েছি।”
রীতির মা কপালে বিরক্তি ফুটিয়ে বললো,
—–“বেশ করেছো এখন বইয়ের উপর ঘুমিয়ে থাকো।রাতের বেলায় বইয়ের উপর ঘুমাবি।এই মেয়ে বিয়ে করে কি করে খাবে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে?”
—–“মুখ দিয়ে খাবো আবার কি করে খাবো।”
রীতির মা কপালে হাত দিয়ে বললো,
—–“হায়রে কপাল!! পেটে শুধু বইয়ের বিদ্যা আছে।দুনিয়া দারি সম্পর্কে যদি একটু জ্ঞান থাকতো? শ্বশুর বাড়ি কাজ করলে খেতে দিবে না।”
—–“আমি তাদের সারাদিন রাত বই পড়ে শুনাবো।আর এর বদলে আমাকে খাবার দিবে।”
রীতির মা কাজ করতে করতে এমনিতেই হাপিয়ে গেছে।মেজাজও কিছুটা চটে আছে।ক্লান্ত শরীরে মেয়ের এসব উদ্ভট কথা একদম নিতে পারছেনা।
তাই বিরক্তি নিয়ে বললো,
—–“হ্যা তাই করিস।এখন যা তো আমার চোখের সামনে থেকে।আর গিয়ে নিজের জিনিসপত্র,নিজের রুম গুছিয়ে নে।তোর বাপ আমাকে কাজের জন্য পয়সা দেয়না।আমি দাসীবাঁদী নই।”
রীত মায়ের ধমকানি খেয়ে রুমে চলে গেলো।
তারপর নিজের জামাকাপড় আলমারি ভাজে ভাজে তুলে রাখলো।সব গুছিয়ে রুম পরিস্কার করে নিলো।
.
সাদিব রাত নটায় বাড়ি ফিরেছে।নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো।হাতে গিটার।অন্ধকারে গিটারে টুংটাং শব্দ তুলছে।
সব কাজ গুছিয়ে শাওয়ার নিয়ে রীতি বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো।এক কাপ চা খেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু আলসেমি লাগছে চা বানাতে আর মাকে বললে তিনি দিবেন এক ধমক।সারাদিন কাজ করেছে।নয়তো রান্নায় তিনি ক্লান্ত হোন না।রান্নাবান্নায় শৌখিনতা তার আছে।নতুন বাড়িতে শিফট হওয়া চারটে খানি কথা না।
তাই অগত্যা চুপচাপ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।মাঝেমধ্যে মৃদু বাতাস এসে ওর এলোমেলো চুলগুলো ছুয়ে দিচ্ছে।
কানে হটাৎ টুংটাং শব্দ ভেসে আসছে।রীতি শব্দের উৎস খোজার চেষ্টা করছে।নিচ থেকে গিটারের মধুর সুর ভেসে আসছে।রীতি হাতে রাখা চশমাটা চোখে পড়ে একবার বাগানের আলোয় যতদূর দেখা যায় দেখে নিলো।আনাকে কানাচে সবটা দেখে নিলো কিন্তু কেউ নেই।
“খেতে আয়।বাবা বসে আছে।”
সাদিবের মা বারান্দার দরজায় দাড়িয়ে সাদিবকে বললো।
সাদিব গিটার থেকে আংগুল সরিয়ে বললো,
—–“তুমি যাও আমি আসছি।”
সাদিবের মা চলে গেলো।সাদিব বিছানার উপরে গিটার রেখে খেতে চলে গেলো।
রীতি গিটারের শব্দ না পেয়ে হতাশ হয়ে রুমে গেলো।
বাবা বাইরে থেকে খাবার এনেছে।রীতি আর রিমনের জন্য পিজ্জা এনেছে।
রীতি লাস্ট পিচ মুখে দিবে ওমন সময় রিমন ওর হাত থেকে পিজ্জার পিচটা নিয়ে দ্রুত মুখে পুরে নিলো।
রীতি ভ্রু কুচকে দাত খিটমিট করে চিতকার করে উঠলো,
—–“ফুটবল!!” (রিমন বলের মতো মোটা হওয়ায় রীতি ওকে ফুটবল বলে ডাকে)
রীতি উঠে দাড়িয়ে রিমনকে মারতে যাবে আর তখনই রিমন ভো দৌড়।
রীতি দৌড়াদৌড়ি করে শেষে রিমনকে ধরতে পেরেছে।তারপর দুই ভাইবোন মারামারি চিতকার চেচামেচি করছে ড্রয়িংরুমে।
রীতির মা ওদের চিতকার চেচামেচি শুনে ওদের ধমকাচ্ছে আর রীতির বাবাকে বলছে,
—–“তোমার ছেলেমেয়েকে সামলাও নয়তো আমি এক্ষুনি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।এদের জ্বালা আর আমার সহ্য হয়না।”
রিমন কাদো কাদো হয়ে বললো,
—–“এই কানা তালগাছ আমাকে আগে মেরেছে।”
রীতির বাবা আফজাল হোসেন ধমকের সুরে বললো,
—–“কি শুরু করেছো তোমরা? চলো আমার সাথে।”
দুজনকে রীতির রুমে নিয়ে শান্ত গলায় বললো,
—–“মারামারি ঝগড়া যখন করবে নিজেদের রুমে করো মায়ের সামনে কেনো?সারাদিন কাজ করেছে মেজাজ চটে আছে।আর মেজাজ খারাপ করলে আর খাওয়া জুটবেনা।নেও এখানে দুজনে খুশি মতো ঝগড়া-মারামারি করো।”
তারপর তিনি চলে গেলেন।রীতি আর রিমন দুজনেই হা করে বাবার যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে।
ভেবেছিলো দুজনকে ইচ্ছে মতো বকে দিবে কিন্তু তিনি তো…
কেটে গেছে ৪-৫দিন।বাড়ির সব ঠিকঠাক করে গুছানো শেষ।এখন শান্তি মতো রীতি তার রুটিন অনুযায়ী লাইফ লিড করছে।
সকালে চা খেতে খেতে ক্লাসের
পড়াগুলো আরেকবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া,নাস্তা সেড়ে রেডি হয়ে ভার্সিটি যাওয়া,শেষ বিকেলে ছাদে গিয়ে বই পড়া,রাত জেগে পড়াশোনা করা।এই চলছে ওর লাইফ।
রীতি নিয়ম মতো আজো বিকেল বেলা ছাদে বসে বসে পড়ছিলো।
ছাদে মানুষ খুব কম,আসে তবে মাঝেমধ্যে অনেকেই দল বেধে আসে।তবে তাতে রীতির পড়ায় কোনো সমস্যা হয়না।কেননা ও এক কোনায় গিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে পড়ে।
সন্ধ্যা নেমে আসছে।আকাশের লাল আভা মুছে গিয়ে আকাশ কালো হয়ে আসছে।অন্ধকার পুরো পৃথিবী রাজত্ব করার জন্য দল বেধে নামছে।
রীতি যথারীতি বই বন্ধ করে ওড়নাটা ভালো করে জড়িয়ে নিলো।তারপর গুটিগুটি পায়ে সিড়ি দিয়ে নামছে।
সাদিব থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট পড়ে আকাশী কালার টি-শার্ট গায়ে ফোন টিপতে টিপতে ছাদে উঠছে।
রীতি নামার সময় হটাৎ সাদিবকে দেখলো।সাদিবকে দেখে ও অপলক সাদিবের দিকে চেয়ে আছে।যদিও সাদিবের পুরো মনোযোগ ফোনে আশেপাশে কি হচ্ছে ওর জানা নেই।
ফরসা,লম্বা,মাঝারি গড়নের খোচাখোচা দাড়ি ওয়ালা হ্যান্ডসাম সাদিবকে দেখে রীতি ঠাস করে প্রেমে পড়ে গেলো।
মানুষ ড্রেনে পড়ে,খাট থেকে পড়ে,উস্টা খেয়ে ঠাস করে পড়ে কিন্তু রীতি ঠাস করে প্রেমে পড়ে গেলো।
সাদিব রীতিকে পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে একবার চোখ তুলে রীতির দিকে তাকালো ব্যাস রীতির হার্টবিট মিস হয়ে গেলো।
রীতি তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিলো।
সাদিব ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ওর কাজে ও চলে গেলো।
.
রীতি বই খোলে বসে আছে কিন্তু পড়ায় ওর মন নেই।কিছুতেই মন বসাতে পারছেনা।বারবার সাদিবের চেহারাটা ভেসে উঠছে।
রীতি নিজেকে নিজেই বিরবির করে বলছে,
“হাও দিস পসিবল!রীতি দ্যা গ্রেট নিরামিষ মার্কা মেয়ে প্রেমে পড়েছে?যার কিনা একমাত্র প্রেম বইয়ের সাথে।যার বাইরের দুনিয়া জিরো। ফ্রেন্ডরা শুনলে নির্ঘাত হাসতে হাসতে প্রাণ বিসর্জন দিবে।তাও এতো সুন্দর একটা ছেলের?এই ছেলে আমাকে জীবনেও পাত্তা দিবেনা।ওর নিশ্চয়ই ডজন খানেক প্রেমিকা আছে আর আমার মতো শ’খানেক ওর প্রেমে পড়ে মারা খেয়েছে।রীতি মাথায় থেকে সব ঝেড়ে ফেল।ওর সাথে আমার যায়না।চশমা পড়া ক্ষেত একটা মেয়ে।ওর মতো ধবধবে গায়ের রংও আমার নয়।উজ্জ্বল শ্যামলা তবুও চলে যেতো যদি আরেকটু স্মার্ট হতাম।
ধুরর ছাই কি ভাবছি আমি।উফফ মাথা থেকে এসব বের করতে হবে।নয়তো আমার পড়াশোনা সব শেষ।”
রীতি ড্রয়ার থেকে একটা খাতা বের করলো।তারপর পেজ উল্টে কিছু লিখতে গিয়ে থমকে গেলো।কি লিখবে?ওই ছেলের নামই তো জানেনা।
রীতি তাই লিখলো আননোন।তারপর সেটার উপর কলম দিয়ে ইচ্ছে মতো আকাঝুকি করলো।আননোন লিখাটা পুরোটা কাটার পরই শান্তি পেলো।
রীতি নিশ্বাস ছেড়ে বললো,
—–“আউট অফ মাই মাইন্ড।”
তারপর পড়ায় মন দিলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পানি ভর্তি মগ হাতে বারান্দায় গেলো।দুইটা টপে বেলীফুলের গাছ লাগিয়েছে।সেগুলোতে পানি দিচ্ছে গুনগুন করতে করতে।
বেলী ফুল প্রচন্ড প্রিয় তাই গাছ কিনে এনে বারান্দায় টপ রেখেছে।রোজ সকাল বিকাল তাতে পানি দেওয়া ওর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
তারপর চায়ের কাপ হাতে বারান্দায় এসে দাড়ালো।চারপাশটা দেখতে দেখতে জোরে নিশ্বাস নিয়ে কাপে চুমুক দিলো।বাম হাতে রাখা চশমাটা চোখে পড়ে নিলো।চা শেষ করে বই নিয়ে বসলো।
গেটের সামনে সেই কখন থেকে দাড়িয়ে আছে রীতি।মুখের উপর রোদটা বিরক্তিকর লাগছে।হাত দিয়ে রোদটা আড়াল করার চেষ্টা করছে।
একটা রিকশাও নেই রাস্তায়।এদিকে ক্লাসের সময় হয়ে গেছে।
তখনই গেইট দিয়ে একটা বাইক বের হলো।বাইকের শব্দে রীতি পেছনে দেখে একপাশে সরে দাড়ালো।
একটা মেয়ে বিরক্তি নিয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে।আর এদিক সেদিক উকি দিচ্ছে সেটা সাদিবের চোখে পড়লেও কিছু জিজ্ঞেস করলো না।যদি ছ্যাচড়া ভাবে।
সাদিব সাদিবের মতো চলে গেলো।রীতির হটাৎ চোখ পড়লো বাইকারের দিকে।পেছনে থেকে দেখায় চিনতে পারলোনা কে সে।
রীতি মনে মনে বিরক্তি নিয়ে বললো,
—–“আজ যদি একটা বাইকার বিএফ থাকতো তবে অন্তত রাস্তায় এভাবে দাড়িয়ে রোদে পুড়তে হতোনা।”
চলবে…