গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব_১০
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
.
.
🦋
রিসোর্টে ফিরে সবাই বেশ ক্লান্ত হয়ে৷ প্রাণো রুমে এসে রেস্টুরেন্টে খাবারের অর্ডার করে দেয় ফোন করে৷ তারপর দ্রুত গোছল সেরে বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয়৷ ক্লান্ত থাকায় দ্রুত ঘুমিয়ে পরে প্রাণো৷
অন্যদিকে স্মরণ রিসোর্টে ফিরে ফ্রেস হয়ে আবার বেড়িয়ে পড়ে ৷ নিলয় কিছু জানতে চাইলে স্মরণ জানায় তার কাজ আছে ডিনারের আগে ফিরে আসবে৷ আর কিছু না বলে বেড়িয়ে যায় স্মরণ৷ নিলয় আর কিছু জ্বিজ্ঞাসা করার সুযোগ পেল না৷ স্মরণ রিসোর্টের বাইরে দাড়াতে ছয়জন লোককে দেখতে পায় তারা রিসোর্টের বাইরে ঘুর ঘুর করছে৷ স্মরণ তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছয় ব্যক্তির দিকে, স্মরণ অন্ধকারে দাড়ানো বিধায় লোক গুলো স্মরণকে দেখতে পায় না৷ স্মরণ সেই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে ছয় জনের একজন এর পেছন থেকে এসে লোকটার মুখ চেপে ধরে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়৷
” এই জামাল মটু কোথায় রে?”
” এখানেই তো ছিলো হয়তো আশে পাশে আছে ৷” (দ্বিতীয় লোক টা বলে উঠলো )
” না না আমার মনে হয় ওর কোন বিপদ হয়েছে৷ তোরা আশে পাশে খোজ কর ৷”
” ঠিক আছে ৷ এই তোরা ওদিক টা যা আমি এই দিকটা খুজতে যাচ্ছি৷ আল্লাহ জানে ওর সাথে আবার কোন খারাপ কিছু না হয়৷” জামাল কথা গুলো বলে খুজতে লাগলো ৷
এদিকে লোহার চেয়ারে হাত পা বাধা অবস্থায় বসে আছে সেই লোকটি, মুখে মাক্স পড়ে বসে আছে স্মরণ ৷
হাতে ধাড়ালো ছুড়ি লোকটার গলায় চেপে ধরে প্রশ্ন করলো,” কার লোক তোরা? কে পাঠিয়েছে তোদের? ”
” ব,, বলবো না ৷ মরে গেলেও বলবো না ৷ ”
” তাহলে তো তোকে মরতেই হবে ৷ হ্যাপি জার্নি ৷” কথাটা বলেই ধাড়ালো ছুড়ি টা লোকটার গলায় চালিয়ে দিলো৷
” বস এটাকেও কি আগের গুলোর মতো মুখ থেতলে পাহাড় থেকে ফেলে দিবো?”
” হুম , এটার ও একি অবস্তা কর ৷ বাকি গুলোকে আমি দেখছি৷”
” ওকে বস ”
স্মরণ রক্ত মাখা শার্ট টা খুলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ স্মরণের ডান হাত রনি স্মরণকে সেম কালার একটা শার্ট এগিয়ে দেয়৷ স্মরণ শার্ট টা পড়ে বলে,” বাকি গুলোকে এখানে দেখতে তাই রনি৷ ”
” পেয়ে যাবেন বস ৷ ”
” গুড আমি বের হচ্ছি আর হ্যাঁ খুব আর্জেন্ট না হলে আমাকে কল করবে না৷”
” ওকে বস ৷”
স্মরণ ওখান থেকে বের হয়ে কাউকে কল করে , দু’বার রিং বাজতে ওপাশ থেকে কল রিসিভ করে রাগি কন্ঠে বলতে লাগলো, ” কি ভেবেছিস তুই, আমার লোকদের এক এক করে মারলে ভয়ে আমি প্রাণোকে ছেড়ে দিবো? এটা যদি ভেবে থাকিস তাহলে তুই ভুল ভাবছিস৷ তোকে কখনো প্রাণোকে পেতে দিবো না৷ তোকে আমি ছোট বেলা থেকে ঘৃনা করে আসছি আর সারা জীবন ঘৃনাই করবো৷ তোর সুখ আমার সহ্য হয় না ৷ তোর মায়ের করা পাপের শাস্তি তোকে দিবো আমি স্মরণ , মনে রাখিস ৷”
ফোনের ওপাশ থেকে কথা গুলো শুনে স্মরণের ঠোঁটের কোনে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠলো৷
” কে কার পাপের শাস্তি পাবে এটা কেউ বলতে পারে না মি… ওয়াট এভার ৷ টাইম উইল বেটার টেল হু উইল বি পানিশড ফর দেয়ার সিন্স৷ এম আই রাইট ?”
” এ্যাবসুলুটলি কিন্তু মনে রাখিস , তোকে কখনো আমি ভালো থাকতে দিবো না৷ আমি জানি আমার লোকদের তুই জঘন্য ভাবে মেরেছিস৷”
” হা হা হা যাক বুঝতে পেরেছিস তাহলে, ছবি গুলো কিন্তু আমি তোকে পাঠিয়ে ছিলাম ৷”
” তু,, তুই !” কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেল ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তির… হঠাৎ কিছু না বলে কল কেটে দেয়৷ স্মরণ এখনো হাসছে ৷ কারণ তার প্লান কাজ করেছে৷
স্মরণ রিসোর্টের সামনে এসে মুখ থেকে মাক্স খুলে ভিতরে ঢুকে দেখে লোক গুলো এখানো তাদের এক জন হারিয়ে যাওয়া সাথি কে খুজছে৷ স্মরণ ওদের দেখে নিজের মনে মনে বলতে লাগলো, ” ডোন্ট ওয়ারি গাইজ খুব তাড়াতাড়ি তোদের হারিয়ে যাওয়া সাথির সাথে পার্মানেন্টলি দেখা করার ব্যাবস্থা করে দিবো৷ ” কথা গুলো মনে মনে আওড়াতে আওড়াতে স্মরণ রহস্যময় হাসি দিয়ে নিজেদের কটেজের দিকে ফিরে গেল ৷ কটেজে ফিরে দেখে রুম লক করা ৷ স্মরণ তার বন্ধুকে ফোন করতে নিলয় কল রিসিভ করে বলে , ” দোস্ত আমরা রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে এসেছি , তোকে আসতে হবে না ৷ তোর আর ভাবির খাবার আমরা নিয়ে আসছি৷”
” নিলয় প্রাণো তোদের সাথে যাইনি?”
” নাহ স্মরণ ৷ ভাবি নাকি সন্ধ্যায় ফিরে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ সাফা ডেকেছিলো আমাদের সাথে আসার জন্য, ভাবি বললো নাকি তার জন্য খাবার নিয়ে আসতে ৷ খুব ট্যায়ার্ড নাকি ৷”
” ওকে আমি প্রাণোর রুমে যাচ্ছি তোরা কটেজে ফেরার পূর্বে আমাকে ফোন করে জানাবি৷”
” বুঝছি মামু প্রেম করবা তাই না? ওকে ওকে আমরা না আসা অবধি প্রেম চালিয়ে যাও মামু৷”
স্মরণ ইডিয়েট বলে কল ডিসকানেক্ট করে দিয়ে প্রাণোর কটেজে গিয়ে দরজায় নক করতে দেখে দরজা খোলা৷ স্মরণ দরজা খোলা দেখে ঘাবড়ে যায় ৷ দ্রুত দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখে প্রাণো বাচ্চাদের মতো ছোট্ট হয়ে ঘুমিয়ে আছে৷ স্মরণ প্রাণোকে এভাবে ঘুমাতে দেখে জোরে হেসে ফেলে৷ স্মরণের হাসার শব্দে প্রাণোর ঘুম ভেঙে যায়৷ পিটপিট করে তাকিয়ে স্মরণকে সামনে দাড়িয়ে হাসতে দেখে প্রাণোর চোখ দু’টো স্মরণের হাসিতে আটকে যায়৷ এমন মনোমুগ্ধ কর হাসি দেখে যে কারোর হার্ট বিট থেমে যেতে বাধ্য, প্রাণোর ক্ষেত্রেও তাই হলো৷ প্রাণো যেন তার হার্টবিট থেমে গেল৷ স্মরণ হাসলে তার তীক্ষ্ম বাজ পাখির মতো চোখ জোড়া ছোট হয়ে আসে ৷ এলিয়ে দেওয়া ঠোঁটের এক পাশে টোল পড়ে৷ যার কারণে স্মরণের হাসিটা মারাত্মক সু্ন্দর লাগে৷ স্মরণ এখনো কোমড়ে হাত রেখে হেসে যাচ্ছে আর প্রাণো তা মুগ্ধ নয়নে দেখছে৷
স্মরণ হাসতে হাসতে আবার প্রাণোর দিকে তাকাতে হাসি থেকে যায় কারণ প্রাণো এখনো তার দিকে তাকিয়ে আছে৷ স্মরণ ভ্রু যুগল নাচিয়ে কি হয়েছে জ্বিজ্ঞাসা করতে প্রাণো নিজের ভাবনা টাকে নিয়ন্ত্রন করে গলায় মাথায় ওড়নাটা ভালো করে পেচিয়ে বলে,” তুমি এখানে?”
” আ,, আসলে আমি একটু বাইরে গিয়েছিলাম কিন্তু এসে দেখি সবাই ডিনার করতে চলে গেছে ৷”
” তাহলে তুমি যাওনি কেন?”
” খালি কটেজে একা একটা মেয়েকে রেখে যাওয়ার সাহস হয়নি তাই৷ ”
” আমি নিজেকে প্রটেক্ট করতে জানি মিস্টার স্মরণ ৷”
” একজন ঘুমের রানী কখনোই লড়াই করতে পারে না মিস প্রাণো৷”
” হু বুঝলাম ৷ আচ্ছা বসুন আমি ফ্রেস হয়ে আসছি তারপর নাহয় ওদের সাথে জয়েন করবো৷”
” তার আর দরকার নেই৷ নিলয় ফোন করে জানালো আসার সময় আমাদের দু’জনে খাবার নিয়ে আসবে৷”
” ওহ তাহলে আপনি ব্যালকনিতে গিয়ে বসুন ৷ ওখানের পরিবেশ টা আপনার মনে হয় ভালো লাগবে৷”
” ওকে”
স্মরণ ব্যালকনিতে গিয়ে বসতে প্রাণোর ফোনটা বেজে ওঠে৷ প্রাণো দ্রুত ফোন টা সাইলেন্ট করে নিয়ে ফোন নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়৷ রুমে যেহেতু স্মরণ আছে তাই সেখানে কথা বলার রিক্স নিলো না প্রাণো৷ বাইরে এসে কল রিসিভ করে বলে,” হ্যালো হ্যালো RV?”
” আপু আমি ” এতোটুকু বলে কেঁদে ফেলে প্রিয়া…
” এই পাগলি মেয়ে কাঁদছিস কেন? একদম কান্না নয় সোনা বনু আমার..”
” স্যরি আপু আমার জন্য তোর এতো কষ্ট করে বাইরে থাকতে হচ্ছে৷”
” হুস আমার কোন কষ্টই হচ্ছে না বরং ইনজয় করছি বান্দরবান এসে৷”
” তুই ভালো আছিস তো আপু?”
” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ তুই কেমন আছিস প্রিয়ু?”
” আপু কতো দিন পর তোর মুখে প্রিয়ু নাম টা শুনলাম ৷”
” দেখ প্রিয়ু এভাবে কান্না কাটি করলে কিন্তু আমি কল কেটে দিবো ৷”
” এ না না আপু আমি আর কাঁদবো না প্রমিজ৷”
” গুড গার্ল ৷ এবার বলতো তোর শশুড় বাড়ির কি খবর? সাজিত তোর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করছে নাতো? আর বাকিরা তোকে মেনে নিয়েছে তো?”
” আপু সাজিত আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে না আবার ভালো ব্যবহার করে না৷ শাশুড়ি মা আমাকে মেনে নিয়েছে কিন্তু সাজিতের বোন আর শশুড় মশাই মেনে নেন নি৷”
” আর তোর ভাসুর?”
” আপু ভাইয়া কে তো আমি এখন পর্যন্ত চোখে দেখলাম না৷ আমাদের বিয়ের দিন নাকি উনি বন্ধুদের নিয়ে টুরে গেছেন৷ ”
” হাউ ইরেসপন্সিবল ভাসুর তোর!”
” হ্যাঁ কিন্তু শাশুড়ি মায়ের কাছে শুনেছি ভাইয়া নাকি নিজের বিজনেস চালায় পারিবারিক বিজনেসে তার নাকি ইন্টারেস্ট নাই৷ আর না বাড়ির প্রতি, শুধু বাড়িতে আসেন শাশুড়ি মা কে দেখতে৷ আপু শোন সাজিত কিন্তু এখনো তোকে বিয়ে করতে চায়৷”
” আর তুই দাড়িয়ে শুনলি? ঠাটিয়ে এক থাপ্পড় মারিস নি?”
” ইয়ে মানে না আপু”
” আমি ঢাকা এক বার ফিরি তারপর ওই থাপ্পড় আমি মারবো”
” কাকে সাজিতকে?”
” না তোকে গাধী”
” আপুউউউ আমাকে গাধী বলবে না ৷ আমি মটেও গাধী নই৷ ”
” গাধী নস তাহলে তখন তোর স্বামী যখন আমাকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষন করলো তখন ঠাটিয়ে এক থাপ্পড় মারলি না কেন তুই?”
” ইয়ে মানে..”
” তোর ইয়ে মানে তোর কাছে রাখ আর আমার কথা মন দিয়ে শোন প্রিয়ু ৷ সব সময় চোখ কান খোলা রাখবি ৷ ওই বাড়ির একটা মানুষকেও বিশ্বাস করবি না ইভেন তোর শাশুড়িকেও না ৷ আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরছি ৷ অনেক কাজ জমা হয়ে গেছে ৷ এবার একটা একটা করে সব কাজ শেষ করতে হবে৷”
” আপু এবার তো আমি তোর সাথে থাকতে পারবো না রে?” কান্না কান্না গলায় বলল প্রিয়া…
” তুই আপাদতো মন দিয়ে সংসার কর প্রিয়ু৷ আর তোর জায়গা আপাদতো কণা নিবে৷ ওই তোর দায়িত্ব পালন করবে৷”
” কণা আপু করবে তাহলে তো ভালো ৷ আপু কিছু ফাইল আমার রুমে আলমারির লকারে আছে ৷ ওগুলো তুই নিয়ে নিস চাবি কোথায় থাকে তুই নিশ্চয়ই জানিস?”
” হুম জানি , ”
” আপু আমি এখন রাখছি ৷ ছাঁদে মনে হয় কেউ আসছে পায়ে শব্দ পাচ্ছি৷ ”
” ঠিক আছে ৷ রাখছি আর নিজের দিকে খেয়াল রাখিস ৷”
“আপ তুইও নিজের দিকে খেয়াল রাখিস ৷” কথা টা বলে দ্রুত কল কেটে ফোনটা লুকিয়ে ফেলে প্রিয়া৷ সাজিত ফোনে কথা বলতে বলতে ছাঁদে এসে দেখে প্রিয়া ছাঁদের কানির্শে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে৷ সাজিতের কল কেটে আস্তে আস্তে প্রিয়ার পেছনে দাড়িয়ে প্রিয়াকে পেছন থেকে ধাক্কা মারতে যাবে তখনি প্রিয়া বলে ওঠে,” কি মিস্টার ডেভিল হাসবেন্ট আমাকে ধাক্কা মেরে ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করতে চাইছো?” কথাটা বলে সাজিতের দিকে ঘুরে তাকায় প্রিয়া৷
প্রিয়া যে সবটা বুঝে যাবে এটা সাজিত বুঝতে পারেনি৷ না বোঝার ভান করে বলে উঠলো ,” ক,,কি বলছো প্রিয়ু আমি কেন এমনটা করতে যাবো?” অবাক হওয়ার অভিনয় করে বলল সাজিত…
সাজিতের মুখে প্রিয়ু ডাক টা শুনে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো প্রিয়া৷ হাতে হাসতে সাজিতকে বলল,” সাজিত তুমি আর পাল্টালে না ৷ আগেও যেমন মিথ্যে বলে ধরা খেয়ে মিষ্টি করে প্রিয়ু ডেকে সব অস্বীকার করতে ৷ আর এখন ও করছো ৷ ”
সাজিত আর কোন কথা বলার মুখ থাকলো না ৷ দ্রুত পায়ে হেটে নিচে চলে গেল৷ সাজিত চলে যেতে আড়াল থেকে একজন বের হয়ে প্রিয়ার সামনে এসে দাড়ায়, তখন প্রিয়া বলল,
” RV এই নেও তোমার ফোন আর থ্যান্কিউ আপুর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য…”
” পাগলি এর জন্য থ্যান্কিউ দিতে হয়? আমাকে না ভাইয়া বলো?”
” হ্যাঁ সবাই তোমাকে ভাইয়াই বলি ইভেন আপুও বলে RV ”
” এই টাই তো দুঃখ প্রিয়া ৷ তোর বোনটা আমাকে বুঝলো না ৷”
” আপু না বুঝলেও কণা আপু কিন্তু তোমাকে খুব ভালো বোঝে চাইলে একটা চান্স দিয়ে দেখতে পারো৷”
” বলছিস”
” ইয়াপ , একবার চান্স দিয়ে দেখো না ৷ আমার মনে হয় তুমি ঠকবে না ৷ আর আপুর জন্য অপেক্ষা করলে তোমাকে চির কুমার হয়ে কাটাতে হবে৷ ” হাসতে হাসতে বললো প্রিয়া…
” হুম , তাই তো দেখছি৷ আচ্ছা প্রিয়া আমি এখন আসছি ৷ নিজের খেয়াল রেখো আর ওই লম্পট টাকে ভালো করে টাইট দিস ব্যাটা বহুত হারামি”
” RV ওই হারামিটাই এখন আমার বর ”
” আনফরচুনেন্টলি ”
” হু এখন যাও আবার কে এসে যাবে ছাঁদে..”
” ওকে আল্লাহ হাফেজ ”
” আল্লাহ হাফেজ ”
_________
প্রাণো ফোন হাতে নিয়ে রুমে ফেরার জন্য ঘুরতে হুট করে পেছন থেকে কেউ প্রাণোর মুখ চেপে ধরে৷ প্রাণো বুঝতে পারে এটা কোন পুরুষালী হাত ৷ প্রাণো কনুই দিয়ে লোকটার পেটে আঘাত করতে লোকটার হাত আলগা হতে প্রাণো ঘুরে লোকটার অন্ডকোষ বড়াবড় লাথি মারে৷ লোকটা মাটিতে শুয়ে কাতরাতে কাতরাতে বাকি চারজন প্রাণোর দিকে ছুটে আসতে ৷ প্রাণো তার ডান হাতের আঙ্গুলে রিং টা চেপে ধরতে ছোট্ট ধাড়ালো ছুড়ি বেড়িয়ে আসে৷ প্রাণো যেহেতু নিজেকে রক্ষা করতে পারে তাই লোক গুলো আসতে প্রাণো ছোট্ট ছুড়ি দিয়ে প্রত্যেকের হাতের শিরা কেটে দিয়ে বুকে আঘাত করে৷ লোক গুলো প্রাণোর সাথে পেরে ওঠে না৷ কিন্তু নিজেদের রক্ষা করতে পাঁচজন ই পিছিয়ে যায়৷ যেহেতু তারা অলরেডি মেয়েটার কাছে আহত হয়েছে তাই আর লড়লো না ৷ দ্রুত পালিয়ে গেল৷ লোক গুলোকে আঘাত করার সময় প্রাণো ওই পড়া আঙ্গুলটায় বেশ ব্যাথা পায়৷ হাত ঝাড়তে ঝাড়তে রুমে এসে দ্রুত ফ্রেস হয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখে স্মরণ গম্ভির মুখে আকাশে দিকে তাকিয়ে আছে৷ প্রাণো হাসি মুখে স্মরণ কে কিছু বলতে যাবে তার আগে স্মরণ গম্ভির গলায় প্রশ্ন করে….
.
.
.
#চলবে………