গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব_১৯ [এক্সট্রা পার্ট]

গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব_১৯ [এক্সট্রা পার্ট]
#লেখায়_ফারহানা_ছবি

.
.
🦋
” আমি এই শাহরিয়া শান কখনো হারতে শেখেনি ৷ সেখানে স্মরণ আমাকে হারিয়ে দিলো? এই হার আমি মানি না ৷ প্রাণো শুধু আমার শুধু আমার ৷ প্রাণো কে আমি নিজের করে নিবোই এতে যদি স্মরণকে আমার রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে হয় তাহলে আমি তাই দিবো৷” কথা গুলো বলে কোমর থেকে বন্দুক বের করে লোড দিয়ে নিলো শান…..

” শান কে যে করে হোক আমাকে আটকাতে হবে৷ নাহলে স্মরণ প্রাণোর বড় কোন ক্ষতি করে বসবে শান৷ কিন্তু কি করবো আমি? ওদের কে কি করে বাঁচাবো আমি?” কথা গুলো ভাবতে ভাবতে সিমি একটা উপায় খুজে পেল৷

” শান আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড হয়ে তোকে স্মরণ বা প্রাণোর কোন ক্ষতি করতে দিবো না৷ আমি জানি তুই আমার জন্য এতো কিছু করছিস কিন্তু এখন এই প্রতিশোধ প্রতিশোধ খেলায় তুই নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিস৷ যে করে হোক তোকে বুঝাতে হবে নাহলে স্মরণ তোকে ছাড়বে না৷ ”

সিমি প্লান করতে লাগলো কি করে সবটা ম্যানেজ করা যায়৷ হঠাৎ সিমির ফোন টা বেজে উঠতে সিমি ফোন হাতে নিয়ে দ্রুত কল রিসিভ করে কানে ধরতে ওপাশ থেকে পুরুষালী কন্ঠে কেউ বলে উঠলো , “”হ্যালো সিমি মামুনি ”

” আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল৷”

” ওয়ালাইকুম আসসালাম ৷ মামুনি শানকে অনেকক্ষণ ধরে ফোন করে যাচ্ছি কিন্তু ও কল রিসিভ করছে না কেন?” (আব্বাস আলী)

” আঙ্কেল শান ভিষণ রেগে আছে আমার উপর তাই হয়তো আপনার কল রিসিভ করছে না৷”

” তাহলে তোমাকে বলছি মামুনি ৷”(আব্বাস আলী)

” জ্বি আঙ্কেল বলুন৷”

” মামুনি তোমাকে একটা সিগ্রেট দলের কথা বলেছিলাম তুমি তাদের সাথে জয়েন করতে চেয়েছিলে৷”

” জ্বি আঙ্কেল, আমি ওই দলের সাথে কাজ করতে চাই৷ দেশের সেবা করতে চাই৷ হোক সেটা লুকিয়ে তবুও করবো৷ ”

” আলহামদুলিল্লাহ শুনে ভালো লাগলো৷ সিমি মামুনি তুমি আগামিকাল আমার সাথে দেখা করবে তোমাকে সে দলের হেড এর সাথে মিট করিয়ে দিবো৷ তারপর সে তোমাকে তোমার কাজ বুঝিয়ে দিবে ৷ দরকার পড়লে তোমাকে ট্রেনিং করিয়ে দক্ষ করে নিবে৷ ”

” থ্যান্কিউ সো ম্যাচ আঙ্কেল ৷ তবে আঙ্কেল বিষয় টা শানকে এখুনি জানানোর প্রয়োজন নেই৷ যেহেতু শান কিছু জানে না তখন জানানোর দরকার নেই৷”

” এ্যাজ ইউর উইস ৷ তাহলে এখন রাখছি ৷”

” জ্বি আঙ্কেল ভালো থাকবেন ৷ আসসালামু আলাইকুম ৷”

” ওয়ালাইকুম আসসালাম ”

কল কাটতে সিমির ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো ৷ সিমি এই দলে যোগ দেওয়ার একটাই কারণ জীবন মাহমুদ! জীবন মাহমুদ কে তার পাপের শাস্তি দেওয়া৷

__________________

” মিহু মামুনি এখন কেমন আছো তুমি?”(জীবন মাহমুদ)

” ড্যাড পায়ে খুব ব্যাথা করছে৷”(মিহু)

” ড্যাড ডক্টর বলেছে মিহুকে হসপিটালে নিয়ে একবার এক্সরে করাতে৷”(সাজিত)

“তাহলে দেরি কিসের জন্য মিহুকে নিয়ে এখুনি চলো আমার মেয়েটা কষ্ট পাচ্ছে ৷”(জীবন মাহমুদ)

শশুরের কথা শুনে প্রিয়া বলে উঠলো ,” তা নাহয় আপু কে হসপিটালে নিয়ে গেলেন কিন্তু আপু কি করে সিঁড়ি দিয়ে পড়ে গেল এটা ভেবে দেখেছেন একবার?”

প্রিয়ার কথা শুনে মিহু শুকনো ঢোক গিলে সাজিতের মুখের দিকে তাকাতে সাজিত কিছু একটা বুঝতে পেরে বললো,” আহা প্রিয়া সে সব দেখা যাবে ৷ হতে পারে ভুল করে তৈল সিঁড়িতে পড়ে গেছে৷ বাড়িতে তো মেইড সারভেন্ট আছে তাদের কারোর হাত থেকে হয়তো ভুল করে পরে গেছে৷”

সাজিত বিষয় টা এতো নরমালি নিলো যেটা দেখে প্রিয়া ১০০% শিওর হলো এই ফাঁদ টা তার জন্য ছিলো নাহলে বাড়ির আদুরে মেয়ে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেল আর তার ভাই মেইড সারভেন্টদের কিছু বললো না উল্টো ডিফেন্ট করার চেষ্টা করছে৷

” মিহু আপু তুমি রেস্ট করো ব্যাথাটা একটু কমে গেলে স্মরণ ভাইয়া আর সাজিত তোমাকে হসপিটালে নিয়ে যাবে৷”

স্মরণের কথা শুনতে মিহুর ভয়ে মুখটা শুকিয়ে গেল৷

” না না বড় ভাইয়া কে কিছু বলতে হবে না ভাইয়া নিজস্ব কাজে ব্যস্ত আছে মিছি মিছি তাকে ব্যতিব্যস্ত করার কোন প্রয়োজন নেই৷” (মিহু)

মিহুর কথা শুনে সাজিত ও সায় জানায় ৷

____________

” আজ ফিরতে এতো দেরি হলো কেনো তোমার?”( জুনাইদ কবির)

” আসলে আব্বু দাভাই তোমাকে কিছু জানায়নি?(প্রাণো)

প্রাণোর কথা শুনে সাদমান বড় বড় চোখ করে তাকায় প্রাণোর দিকে,

” এই মেয়েটা আজ ও আমাকে ডুবিয়ে মারবে আল্লাহ বাচাঁও আমাকে…” মনে মনে কথা গুলো আওড়াতে লাগলো সাদমান….

জীবন মাহমুদ প্রাণোর কথা শুনে সাদমানের দিকে তাকিয়ে বলে, ” সাদমান তুমি কিছু বলবে?”

” স্যরি আব্বু আসলে আমার বলতে মনে ছিলো না ৷ প্রাণো আমাকে আগেই ফোন করে জানিয়ে ছিলো ওর ফিরতে দেরি হবে৷”

” দাভাই এটা বললে না আমি কাদের সাথে ছিলাম ?”

” ফাজিল মাইয়া নিজের স্বামীর সাথি ছিলি এটা তুই নিজে বলে দিলে তো পারিস খামোকা আমাকে পেচাঁচ্ছিস কেন? ” (মনেমনে)

” আব্বু প্রাণো পুরো দিন ঐশী স্মিতা সাফার সাথে ছিলো ৷ ”

” আব্বু আজ সাফার বার্থডে ছিলো সে জন্য লেট হয়েছে৷”

” ঠিক আছে আর এতো লেট করবে না ৷ যাও রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে ডিনার করে নেও৷ আর সাদমান আমার রুমে এসো তোমার সাথে আমার কিছু আর্জেন্ট কথা আছে৷”

” জ্বি আব্বু, ” সাদমান তার বাবার রুমে যাওয়ার আগে প্রাণোর দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে চলে যায়৷ সাদমান চলে যাওয়ার পর পর প্রাণো ফিক করে হেসে দেয়৷

এতোক্ষণ স্মরণ কলে ছিলো৷ বাবা মেয়ে ভাই এর কথা সবটাই শুনে ফোনের ওপাশ থেকে হাসতে লাগলো৷

প্রাণো ফোন কানে ধরে বলে, ” কি মাই কিউট হাসবেন্ট শুনেছেন তো সবটা? ”

” হুম শুনলাম কি ভাবে সাদমান ফাসাঁলে প্রাণ! বেচারা হয়তো মনে মনে হাজার খানি তোমাকে বকা দিচ্ছে৷”

” উহু তাতে কিছু হবে না ৷ আমার দাভাই আমাকে খুব ভালোবাসে তাই ওটা নিয়ে আমি ভাবি না৷ দেখবে কিছুক্ষণ পর গিয়ে কিউট ফেস করে স্যরি বললে দেখবে দাভাই আর কিছু বলবে না৷”

” ড্রামাবাজ! ”

” হু ভুলে যাচ্ছো এই ড্রামাবাজ এখন তোমার বউ ৷”

” ভুলবো কেন? এটা আমি মরে গেলেও ভুলতে পারবো না তুমি আমার প্রাণ ৷আমার জীবন আমার ভালোবাসা৷ আমার মনের রাজ্যের রানী ৷ আমার নীলাম্বরী ৷”

প্রাণো তার রুমের ব্যালকনিতে দাড়িয়ে মেইন রোডে তাকিয়ে দেখে স্মরণ এখন গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে৷ তার দিকে তাকিয়ে ফ্লাইংকিস ছুড়ে দিচ্ছে৷

“হয়েছে হয়েছে থামো প্লিজ৷ আর এখন এখান থেকে যাও প্লিজ আব্বু কোন ভাবে তোমাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখলে সর্বনাশ হয়ে যাবে ৷ ”

” যাবো তার আগে আমার পাওনাটা দিয়ে দেও৷”

প্রাণো স্মরণের কথা শুনে লজ্জা পেয়ে বলে উঠলো ,” তুমি যদি এখুনি এখান থেকে না যাও তাহলে কিন্তু আমি তোমার সাথে আগামি তিন দিন কোন যোগাযোগ রাখবো না৷”

” ওয়াট! ওয়াট ডিড ইউ সে প্রাণ? ”

” যেটা শুনলে তুমি”

” প্রাণ এমন টা যদি তুমি করবে ভেবে থাকো তাহলে বলবো তুমি এখনো প্রাণোকে চেনো নি ৷ ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ তার প্রিয় জিনিস তার থেকে আলাদা করার ক্ষমতা কারো নেই সেটা তুমি খুব তাড়াতাড়ি বুঝে যাবে সুইটহার্ট ৷ আজ ফিরে যাচ্ছি কিন্তু দ্বিতীয় বার যখন ফিরবো তখন তোমাকে সাথে নিয়ে ফিরবো যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ৷ ” কল ডিসকানেক্ট করে স্মরণ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেড়িয়ে গেল৷
প্রাণো এখনো কানে ফোন ধরে ওখানে দাড়িয়ে আছে৷ স্মরণের প্রত্যেকটা কথা তার মাথার উপর দিয়ে চলে গেল৷ সামান্য মজা টাযে স্মরণ এতোটা সিরিয়াসলি নিবে তার বিন্দুমাত্র ধারণা প্রাণোর ছিলো না৷ প্রাণো দ্রুত স্মরণকে কল করে কিন্তু স্মরণ কল রিসিভ করে না৷

” আল্লাহ্ পাগল যে ক্ষেপে গেছে এখন কি করি? কি কঠিন কঠিন কথা গুলো বলে গেলো৷ এতোটা রেগে যাবে যদি বুঝতে পারতাম তাহলে এভাবে ফাজলামি করতাম না৷ ” মন খারাপ করে প্রাণো ফোন বেডে রেখে ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেস হয়ে চেন্জ করে নিয়ে রুমে এসে স্মরণকে ফোন করতে নিলে তখনি কমিশনার এর ফোন আসে৷ প্রাণো কল রিসিব করে …

” হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল৷”

” ওয়ালাইকুম আসসালাম ৷ প্রাণো তোমাকে একটা কথা জানানোর জন্য এতো রাতে ফোন করা৷”

” সমস্যা নেই আঙ্কেল বলুন ৷”

” প্রাণো কাল তোমার সাথে একটি মেয়ের পরিচয় করিয়ে দিবো যার কথা তোমাকে আগে বলেছিলাম ৷”

” জ্বি আঙ্কেল , আমার মনে আছে আপনি কাল সকালে ওনাকে নিয়ে অফিসে চলে আসবেন৷ আমি ওনার সাথে সামনা সামনি কথা বলে তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ঠিক কতোটা বিদ্যমান দেখতে চাই৷”

” হুম কাল তাহলে দেখা হচ্ছে ?”

” ইনশাআল্লাহ , ”

” ঠিক আছে কাল ঠিক সময়েপৌছে যাবো ৷ গুড নাইট৷”

” গুড নাইট”

ফোনটা বেডের উপর ছুড়ে মেরে প্রাণো তার ল্যাপটপ টা বের করে লকারে লুকিয়ে রাখা প্রেনড্রাইব টা বের করে ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট করে কন্ফিডেনশিয়াল ফাইল গুলো দেখতে লাগলো৷ আগামিকাল প্রাণো ড্রাগ ডিলারদের একটা বড় টিম ধরতে যাবে তার পূর্ব প্রস্তুতি রাখাটা প্রানোর জন্য ভিষণ রকমের প্রয়োজন ৷ প্রাণো দরজা লক না করে ল্যাপটপে কাজ করতে লাগলো ৷ হঠাৎ পাশ থেকে সাদমান বলে উঠলো,” প্রাণো এই সব কি দেখছিস তুই? এগুলো কাদের লিস্ট? আর এই নাম গুলো কেন হাইলাইট করা?”

সাদমানের লাগাতার প্রশ্ন শুনে প্রাণো ঘাবড়ে যায়৷ প্রাণো প্রিয়াকে সব বলেছে ইভেন তার কাজের সাথে জড়িয়ে নিয়েছে কিন্তু সাদমান বা বাড়ির বাকিদের কাউকে জানায় নি প্রাণো৷ কারণ প্রাণো খুব ভালো করে জানে তার দাভাই ঘুনাক্ষরে যদি জানতে পারে প্রাণো তার লাইফ রিক্স নিয়ে এই কাজ গুলো করে ৷ বড় বড় মাফিয়া ড্রাগ ডিলারদের সাথে ফাইট করে তাহলে মরে গেলেও এই কাজ গুলো তাকে করতে দিবে না তার দাভাই৷ আর মা বাবা জানলে তার হয়তো রুম থেকে বের হওয়াটাই বন্ধ হয়ে যাবে৷

প্রাণো দ্রুত ল্যাপটপ বন্ধ করে রাগি চোখে সাদমান এর দিকে তাকিয়ে বলে…

” দাভাই এভাবে কেউ রুমে আসে? আমি কতোটা ভয় পেয়ে গেছি যানো সেটা?”

” তুই আগে বল এই সব কি করছিলি তুই?”

” দাভাই ভার্সিটির এ্যাসাইনমেন্ট করছিলাম৷ ”

” এ্যাসাইনমেন্ট! কিন্তু আমি যে দেখলাম….. ” সাদমানের কথা শেষ হওয়ার পূর্বে প্রাণো বলে উঠলো ,” দাভাই স্মরণ তোমার বন্ধু?”

” হুম বলতে পারিস বেস্টফ্রেন্ড ”

” তাহলে তোমার সাথে কখনো দেখি নি ৷”

” তুই ভালো করেই জানিস আমি বাড়িতে কোন বন্ধু বান্ধুবী নিয়ে আসি না৷ তাই তুই জানিস না৷”

” একটা সত্যি কথা বলবে?”

” কি জানতে চাস বল?”

” স্মরণ আমাকে আগে থেকে চিনতো আর তুমি জেনে শুনে আমাকে বান্দরবান পাঠিয়েছিলে যাতে স্মরণ আর আমি পরিচিত হতে পারি তাই না?”

“ইয়ে মানে হ্যাঁ, স্মরণ তোকে অনেক আগে থেকে ভালোবাসতো আর সেটা একমাত্র আমি জানতাম৷”

” দাভাই তুমি এখন যাও আর আম্মুকে বলে দিও আমি ডিনার করবো না৷”

” ওকে ঠিক আছে৷” সাদমান চলে যেতে প্রাণো দরজা লক করে দম নিলো৷ তার দাভাই এর প্রশ্নের উওর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে সবটা গুবলেট করে দিয়ে প্রাণো যেন বেঁচে গেলো৷

পুরো রাত প্রাণো জেগে প্লান করে সর্ট লিস্ট করে নিলো আগামিকাল কোথায় কোথায় এট্যাক করবে৷ অন্যদিকে স্মরণ এর চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট মিহু ভয়ে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না আর না সাজিতের , প্রিয়া একটু দুরে দাড়িয়ে মজা নিচ্ছে ৷
স্মরণ কিছুক্ষণ চুপ থেকে গম্ভির গলায় বলে উঠলো,” মিহু লাস্টবার তোকে ওয়ার্নিং দিচ্ছি নেক্সট টাইম যদি প্রিয়ার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করিস তো তোদের দুজন কে আমি কেটে টুকরো টুকরো করে কুকুর কে দিয়ে খাওয়াবো৷ আর প্রিয়া এরা যদি তোকে আর কোন ভাবে ডিসটার্ব করে যাস্ট আমাকে একবার বলবি ৷ এদের কে তো আমি দেখে নিবো৷ হাল কি করবো এরা নিজেরাও জানে না৷ ”

” ওকে ভাইয়া৷ ”

স্মরণ মিহুর রুম থেকে বের হতে জীবন মাহমুদ স্মরণের সামনে এসে দাড়িয়ে বলে….
.
.
.
#চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here