গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব_১২
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
.
.
🦋
“বাহ! কিন্তু যাই বলো না কেন আমি প্রাণোর জন্য স্মরণ ভাইয়ার চোখে অফুরন্ত ভালোবাসা দেখেছি৷ আমি শিওর স্মরণ ভাইয়া প্রাণোকে ভালোবাসে আর সেটা খুব তাড়াতাড়ি সবার সামনে আসবে দেখো তুমি, ”
” ঠিক আমাদের টার মতো তাই তো?”
” ধ্যাত!”
কিছুক্ষণ পর বাস ছেড়ে দিতে বাসের পেছন পেছন সেই পাচঁজন লোক ছুটে এসেও বাস ধরতে পারলো না তাই বাধ্য হয়ে তাদের ম্যাম এর নাম্বারে ডায়াল করলো…
” হ্যালো ম্যাম মেয়েটাকে আমরা ধরতে পারেনি কিন্তু মেয়েটি ঢাকার বাসে উঠে পরেছে৷”
” গুড তোরাও অন্য বাসে উঠে পড় ৷”
” কিন্তু ম্যাম আমাদের দলের একজন কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ ওকে ফেলে কি করে…. ” বাকি বলার আগে ফোনের ওপাশ থেকে ককর্শ গলায় বলে উঠলো ,” তোকে যা বলেছি তুই তাই করবি আর হ্যাঁ তোর সাথের লোকটা তাকে আর খুজে পাবি না কারণ সে হয়তো আর বেঁচে নেই৷ তাই বলছি নিজেদের প্রাণ টা খোয়ানোর আগে ফিরে আয়৷ আর আমি প্রাণো কে দেখে নিবো৷”
” ওকে ম্যাম..”
কল ডিসকানেক্ট করে লোকটা বাকিদের বলতে লাগলো, ” আমাদের ও ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে হবে৷ ম্যাম এর নির্দেশ৷”
” কিন্তু মটু ওর কি হবে?” আর এক জন বলে উঠলো ..
” ওর আশা ছেড়ে দিতে বললো ম্যাম , মনে হয় ও আর বেঁচে নেই৷”
” কিহ! তাহলে কি ওই মেয়েটাই মেরেছে ?”
” মনে হয় না ৷ আমরা যখন মেয়েটিকে এট্যাক করি তখন মেয়েটি রুম থেকে বের হয়েছিলো৷ আর তার আগে মটুকে খুজে পাচ্ছিলাম না ৷ এর মানে অন্য কেউ আছে এর পেছনে৷”
” কিন্তু কে সে ?”
” জানি না তবে জেনে যাবো কিন্তু তার আগে দ্রুত পরের যে বাস ছাড়বে তার খবর নে আর টিকিট কেটে আন ৷”
” ওকে এখুনি যাচ্ছি ৷”
_____
প্রাণো আর স্মরণ দু’জনে একটা হেডফোন শেয়ার করে গান শুনছে৷ প্রাণো চোখ বন্ধ করে গান শুনছে আর স্মরণ প্রাণোকে দেখে যাচ্ছে৷ হঠাৎ প্রাণো চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে স্মরণ তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ প্রাণো মজা করে স্মরণ এর চোখে চোখ রেখে চোখ মারে, এটা দেখে স্মরণের ধ্যান ভেঙে যায় ৷ এভাবে ধরা পড়ে যাবে স্মরণ তা ভাবতে পারেনি৷ ভিষণ লজ্জা পেল স্মরণ৷ আর প্রাণো স্মরণের লজ্জা মাখা মুখ দেখে ঠোঁট টিপে হাসতে লাগলো৷
” বাহ! স্মরণ সাহেব আপনাকে তো লজ্জা পেলে ভিষণ কিউট দেখতে লাগে ৷ যেমন ধরুন আপনাকে পুরো স্ট্রোবেরির মতো লাগছে, ইচ্ছে করছে খে… ” বাকিটা বলতে গিয়ে থেমে গেল প্রাণো ৷ কারণ এর পরের কথা গুলো বললে সে নিজেই লজ্জায় পড়ে যেতো তখন স্মরণ মজা নিতো৷
এদিকে স্মরণ এতোক্ষণ হ্যাঁ করে প্রাণোর কথা গুলো শুনছিলো ৷ প্রাণো যে এভাবে কথা গুলো বলতে পারে তার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলো না স্মরণের, কিন্তু আজ সে ধারণা মিথ্যে হয়েও স্মরণের যেন মনে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে৷ প্রাণোকে থামতে দেখে স্মরণ দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বলতে লাগলো, ” কি হলো প্রাণ নিজের কথাটা শেষ করো আমাকে পুরো স্ট্রোবেরি মতো লাগছে আর তোমার কি ইচ্ছে করছে স্ট্রোবেরির মতো খেয়ে ফেলতে রাইট?”
” নো ইউ আর রং , আমি এমন কথা মটেও বলেনি৷ ”
” না বলেছো৷”
” না বলেনি”
” বলেছো”
“বলেনি”
“বলোনি”
” বলেছি৷ এ্যা না এটা চিটিং ৷”
” নো প্রাণ এটা চিটিং নয় ৷ একটা কথা নিশ্চয়ই শুনেছো? এ্যাভরিথিং ইজ ফেয়ার লাভ এন্ড ওয়াজ”
” এ্যা এখানে এই প্রবাদ কেন আসলো? এখানে যুদ্ধ চলছে আর না ভালোবাসার লড়াই!”
” এখানে দু’টোই চলছে প্রাণ৷”
” কিহ!”
” কিছু না ৷ এখন বলো আমাকে খেয়ে ফেলতে চাও?”
” এহ! আমি কি মানুষ খেকো নাকি যে তোমার মতো হাতি বাচ্চাকে খাবো?”
” এই এই কাকে তুমা হাতির বাচ্চা বললে?”
” কেন তোমাকে! আমার পাশে তোমার মতো পাহাড়ের মতো মানুষ ছাড়া আর কেউ আছে স্মরণ?”
” আমি হাতি পাহাড় হলে তুমি তুমি পিপড়ে৷ ” রেগে বললো স্মরণ…
প্রাণো স্মরণের কথা শুনে হু হা করে হেসে উঠে বলে,” এই পিপড়া যদি হাতির শুরের ভিতর ঢুকে যায় তাহলে জনাব আপনার কি হবে বুঝতে পারছেন?”
স্মরণ প্রাণোর সাথে কথায় না পেরে ব্যাগ থেকে চকলেট বের করে প্রাণোর মুখে ঢুকিয়ে দেয়৷
” চুপ চাপ চকলেট খাবে কোন ফাউল কথা হবে না ৷” গম্ভির গলায় বললো স্মরণ ৷ আর এদিকে স্মরণের গম্ভির মুখ দেখে প্রাণো চকলেট খেতে খেতে বলে উঠলো , ” নাচ না জানলে ওঠান বাঁকা”
স্মরণ আড়চোখে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে বললো,” কিছু বললে প্রাণ ?”
” না তো কিন্তু তুমি কি কিছু শুনতে পেয়েছো স্মরণ?” দাঁত গুলো বের করে বলল প্রাণো….
” না শুনেনি ৷ আর একটা কথাও বলবে না তুমি , চকলেট খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো ৷”
” জো হুকুম জাহাপনা ৷”
প্রাণোর কথা শুনে স্মরণ হেসে ফেলে..” পাগলি একটা…”
__________
একে একে সব প্লান নষ্ট হওয়ায় পুরো রুম তসনস করে ফেলে প্রাণো আর স্মরণের ছবি ছিড়ে টুকরো টুকরো করতে লাগলো৷ মেয়ের এমন পাগলামি দেখে আশিক খান আর সহ্য করতে না পেরে ডক্টর কে ফোন করে আসতে বলে৷ কিছুক্ষণ পর ডক্টর এসে মেয়েটির কাঁধে একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয়৷ ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণের মধ্যে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়ে৷
” থ্যান্কিউ ডক্টর এতো রাতে আমার একটা ফোন কলে এভাবে ছুটে আসার জন্য,”(আশিক খান)
” এখানে থ্যান্কিউ দিতে হবে না আপনাকে কারণ আমি একজন ডক্টর আর ডক্টর কাজ হলো অসুস্থ মানুষের সেবা করা যেটা আমার ধর্ম আমি সেটাই করছি তাই থ্যান্কিউ দিবেন না৷ আর একটা কথা ওনাকে মটেও হাইপার হতে দিবেন না ৷ হাইপার হলে বা রেগে গেলে নিজের উপর কন্ট্রোল হাড়িয়ে ফেলে , তখন যা খুশি করে দিতে পারে৷ ”
” কি করবো ডক্টর মা মরা মেয়ে আমার কিছু বলতেও পারি না যদি রেগে গিয়ে নিজের কোন ক্ষতি করে দেয় এই ভয়ে,”
” ধৈর্য ধরুন আল্লাহর রহমতে সব ঠিক হয়ে যাবে৷”
” সে ভরশায় আছি ডক্টর”
” তাহলে আজ আমি আসি ৷ কাল এসে একবার ওনাকে দেখে যাবো৷”
” থ্যান্কিউ ডক্টর ”
ডক্টর কে এগিয়ে দিয়ে আশিক রহমান তার ঘুমন্ত মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলতে লাগলো, ” মারে আমাকে ক্ষমা করে দে৷ আজ আমার একটা ছোট্ট ভুলের জন্য তোকে এই যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে যেতে হচ্ছে ৷ বিশ্বাস কর মা এমন টা হোক এটা আমি কখনোই চাই নি৷ সে দিন যদি সব সত্যি টা তোকে বলে দিতে পারতাম তাহলে আজ তোর এই অবস্থা হতো না৷ তোর মা শুধু তোকে নয় আমাকেও ঠকিয়েছে ৷ তোর ভালোবাসার মানুষটাকে ওই ছেলেটি মারেনি রে মা যাকে তুই কষ্ট দেওয়ার জন্য এতো মরিয়া হয়ে উঠেছিস৷ সে আদো ওই শাস্তি তার প্রাপ্য নয়৷ ” কথা গুলো বলতে বলতে আশিক খান তার মেয়ের গায় চাদর দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়৷
___________
দু’ রাত ফ্লোরে শুয়ে সাজিতের পিঠ কোমড় ঘাড় অসম্ভব ব্যাথা করছে৷ আর আজ ও ওই ব্যাথা নিয়ে ফ্লোরে ঘুমাতে হবে৷ মনে মনে অসংখ্য বিশ্রি গালি দিতে লাগলো প্রিয়া কে , প্রিয়া ডিনার সেরে রুমে এসে দেখে সাজিত বিড়বিড় করে কিছু বলছে ৷প্রিয়া পা টিপে টিপে সাজিতের পেছনে এসে দাড়িয়ে শুনতে পায় সাজিত তাকে শাকচুন্নি থেকে শুরু করে আরো অদ্ভুত অদ্ভুত গালি দিচ্ছে ৷
” শাকচুন্নি , ডাইনি , ভুতনি , পিচাশিনী তর জন্য আমার লাফটা হেল হয়ে গেল৷ অসহ্য মেয়ে যার ঘাড়ে পড়বে সে হাড়ে হাড়ে টের পাবে৷
এগুলো শুনে প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে প্রিয়ার তবুও না হেসে গম্ভির রাগি ফেস করে বলে ওঠে, ” তারপর ?”
সাজিত পেছনে না ঘুড়ে বলতে লাগলো, ” কখনো ভালো হবে না ৷ সারাক্ষণ জ্বালিয়ে মারছে৷ খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুমানো পর্যন্ত , ভাবা যায় আশফিক মাহমুদ সাজিত কে নাকে দরি দিয়ে ঘুরাচ্ছে এই দুই আঙ্গুলের পিচ্চি মেয়ে৷ একবার বাগে পাই বুঝিয়ে দিবো সাজিত কি জিনিস তারপর ঘাড় ধা,,ধা,,ধা… ”
” কি হলো বলো তারপর ঘাড় ধা! ধা কি সেনটেন্স পূর্ণ করো বলো কি করবে তারপর আমাকে?”
প্রিয়াকে এই মুহূর্তে সাজিত মটেও আশা করেনি আর দূর্ভাগ্যবসত প্রিয়া এসেছে আর তার পুরো কথা গুলো শুনে নিয়েছে৷ প্রিয়া কে দেখে সাজিতের অলরেডি গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে৷ এই মুহূর্তে এক গ্লাস পানি প্রয়োজন সাজিতের, সাজিত শুকনো ঢোক গিলে ভয়ার্থ চোখে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ সাজিতের এই ভিতু মার্কা চেহেরা দেখে ভিষণ হাসি পাচ্ছে কিন্তু এই মুহূর্তে হেসে দিলে সাজিত আবারো উল্টো পাল্টা বলার সাহস পাবে আর সে সাহস প্রিয়া সাজিতকে দিতে চায় না৷ সাজিতের অবস্থা দেখে বুঝতে পারলো সাজিত এখুনি পানি খেতে চাইবে ৷ প্রিয়া বেডসাইড টেবিলে পানির বোতল টা নিয়ে সাজিতের দিকে এগিয়ে দেয়৷ সাজিত বোতলের ছিপি খুলে দ্রুত পানি টা খেয়ে নেয়৷
” তো মিস্টার আশফিক মাহমুদ সাজিত আপনি যেন কি বলছিলেন?”
” আরেহ তেমন কিছু না প্রিয়া আ,, আসলে ভালো লাগছিলো না তাই বিড়বিড় করে গান গাইছিলাম৷”
” ওয়াও তুমি গান গাইতে পারো আর এটা আমি জানি না হুয়াই মাই ডেভিল হাসবেন্ট ?”
” জানবি কি করে আমিতো গানের গ ও জানি না ৷ তাহলে তুই জানবি কি করে শাকচুন্নি ৷” বিড়বিড় করে বলল সাজিত…
” বিড়বিড় করে না বলে স্পষ্ট করে বলো নাহলে…”
” আরেহ প্রিয়া আমি কিছু বলছি না তো তুমি ভুল শুনছো৷”
” রিয়েলি তাহলে গান শুনাও যেটা আগে বিড়বিড় করে গাইছিলে৷”
“আমি আর গান!”
” হ্যাঁ কারণ তুমি তো বললে গান গাইছিলে তাহলে এখন সমস্যা কোথায়? সমস্যা থাকলেও আমি শুনছি না গান শুরু করো নাহলে আজ পুরো রাত তোমাকে ওই ওয়াশরুম কাটাতে হবে৷”
” কিহ!ওয়াশরুমে রাত কাটাতে হবে?”
” জ্বি, ওয়াশরুমে রাত কাটাতে হবে ৷ এন্ড নাও চয়েজ ইট’স ইউর’স ৷ ওয়াশরুমে রাত কাটাবে নাকি গান গাইবে?”
” না না গান গাইছি৷ ”
” শুরু করো৷”
সাজিত আরো একটু পানি খেয়ে গাইতে শুরু করলো, ” আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি..(২)
চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে ,
ওমা আমার প্রাণে বাজায় বাসি ৷
সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি৷
ওমা ফা…
বাকিটা বলার পূর্বে প্রিয়া কানে হাত দিয়ে চিল্লিয়ে বলতে লাগলো,” স্টপপপপপপ”
সাজিত গান থামিয়ে আহমক হয়ে জ্বিজ্ঞাসা করলো প্রিয়া কে কি হলো,
“তুমি এটা গান গাইলে নাকি চিল্লিয়ে কানে মাথা খেয়ে? এটা গান! এতো বেসুরো গলা ও মাই গড৷ আমার মাথা ধরে গেছে৷ তোমার এই বেসুরো গলায় গান শুনে ৷ আজ যদি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকতো ৷ তাহলে তোমার গলায় তার লেখা গান টা শুনে লজ্জায় মরে যেতেন৷ ভাগ্যিস তিনি আগেই পৃথিবী ত্যাগ করেছেন ৷ ”
” দেখো প্রিয়া আমি গান গাইতে পারি না তাই বলে এভাবে বলবে?”
” কিন্তু তুমি তো বললে তুমি বিড়বিড় করে গান গাইছিলে?”
” আরে কোথায় গান গাইছিলাম? আমি তো তোমাকে বকছিলাম৷” কথাটা বলে চুপ হয়ে গেল সাজিত৷ আর এদিকে প্রিয়া রাগি চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে,
” আজ তুমি রুমে ঘুমাতে পারবে না সাজিত৷”
” কিহ! তারমানে ওয়াশরুম নায়য়য়য়া প্লিজ প্রিয়া এতোটা নির্দয় হইয়ো না৷”
” যাস্ট স্যাট আপ ইউ ইডিয়েট ৷ তুমি ওয়াশরুমে নয় ব্যালকনিতে গিয়ে ঘুমাবে ৷”
” ব্যালকনিতে! ওখানে তো অনেক মশা প্রিয়া৷”
” তাহলে আর একটা অপশন আছে ওয়াশরুম৷”
সাজিত আর কথা বাড়ালো না ৷ কোথায় কোথায় কি না কি বলে দিবে তারপর নতুন নতুন শাস্তি পেতে হবে ৷ সে ভয়ে কথা না বাড়িয়ে বালিশ নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়লো৷
সাজিত ব্যালকনিতে গিয়ে শুয়ে পড়তে প্রিয়ার ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো৷
” আশফিক মাহমুদ সাজিত আমাকে যতোটা না কষ্ট দিয়েছো আমি যদি তার দশ গুন ফেরত না দিতে পারি তো আমার নাম তাহমিনা কবির প্রিয়া নয়৷”
প্রিয়া ব্যালকনির দরজা বাইরে থেকে লক করে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো ৷ আর ওইদিকে মশার কামড় খেয়ে না ঘুমিয়ে মশা মাড়ছে সাজিত৷
______________
স্মরণের কাঁধে মাথা রেখে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে প্রাণো ৷ এদিকে স্মরণের চোখের ঘুম হাড়িয়ে গেছে প্রাণোর ঘুমন্ত সুন্দর মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে৷ বেবি হেয়ার গুলো কপাল ছেঁয়ে ছড়িয়ে আছে৷ এসি বাস বিধায় বাসের জানালা গুলো সব বন্ধ ৷প্রাণোর ঠান্ডায় স্মরণ কে জড়িয়ে ধরে একটু উষ্ণতার খোজে৷ স্মরণ মুচকি হেসে প্রাণো কে বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়৷ প্রাণো যেহেতু গভীর ঘুমে মগ্ন তাই স্মরণ প্রাণোকে নিজের থেকে সরানোর চেষ্টা করলো না৷ স্মরণ কখনো তার প্রাণের ঘুমন্ত অবস্থায় সুযোগ নিতে চায় না৷ প্রাণোর ভারি নিশ্বাস গুলো স্মরণের বুকে ঝড় তুলছে আর সেটা প্রাণোর অজান্তে ৷স্মরণ প্রাণোর রেশমি চুলে মুখ গুজে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,
.
.
.
#চলবে……………