গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব_২৫
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
.
.
🦋
” এক বার এই গ্যাং টাকে ধরতে পারি তারপর এদের কে এমন মৃত্যু দিবো যে মরার আগ পর্যন্ত মনে রাখবে……” কথা গুলো বলতে বলতে টেবিলের উপর রাখা গোলক টা নিয়ে টিভির এর উপর ছুড়ে মারে ৷ মুহূর্তে টিভি ভেঙে কাঁচ গুলো ছড়িয়ে পরে পুরো কেভিনে…….
__________
প্রাণো ফ্রেস হয়ে বের হয়ে স্মরণের দেওয়া ফোনটা হাতে নিয়ে স্মরণ এর নাম্বারে ডায়াল করে ৷ দু’বার রিং বাজতে ওপাশ থেকে কলটা রিসিভ করে….
” বাহ সূর্য আজ কোন দিক দিয়ে উঠলো যে আমার প্রাণ নিজ থেকে আমাকে ফোন করেছে?” খোচা মেরে কথা টা বলে ঠোঁট চেপে হাসতে লাগলো স্মরণ ৷
” নিজ থেকে ফোন করেছি বলে মজা করছো তাই না৷ ওকে আর কখনো ফোন করবো না বাই৷ ” প্রাণো স্মরণের সাথে মজা করে কথা বলে সিরিয়াস ভঙ্গিতে কল কাটার জন্য ব্যস্ততা দেখাতে লাগলো স্মরণ কে , স্মরণ কথাটা শুনে আতঁকে ওঠে বলে ওঠে,” এই না না প্রাণ আমি তো মজা করছিলাম স্যরি স্যরি ৷ প্লিজ রাগ করো না ৷ এই দেখো কান ধরছি ৷” স্মরণ ফোন এক কানে ধরে অন্য হাত দিয়ে বা কান ধরে বললো প্রাণোকে… স্মরণের কথা শুনে কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো প্রাণো…
” হি হি হি উফফ মাই কিউট হাসবেন্ট তোমাকে এই কান ধরা অবস্থায় দেখতে আমার না খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু কি করার এখন সেটা সম্ভব নয়৷ ”
” কেন আমি এখুনি ভিডিও কল দিচ্ছি৷”
” এই না না আম্মু যে কোন সময় রুমে এসে যাবে এখন ভিডিও কলে কথা বলতে পারবো না৷”
” আই মিস ইউ প্রাণ”
“তোমায় খুব ভালোবাসি স্মরণ৷ আচ্ছা স্মরণ কখনো যদি তুমি জানতে পারো তুমি যাকে ভালোবাসো আমি সে নই তখন তুমি কি করবে? ”
” তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে প্রাণ কি সব ভুল ভাল বলছো? আমি যাকে ভালোবাসি সে তুমি ৷ আমি অন্য কোন প্রাণোকে ভালোবাসিনি বুঝেছো৷”
স্মরণের কথা শুনে প্রাণোর মুখে মলিন হাসি ৷ সে হাসি অর্থ স্মরণ বা অন্য কেউ বোঝার ক্ষমতা রাখে না৷
” প্রাণ শুনছো তুমি?”
“হ হুম শুনছি”
” আমি খুব তাড়াতাড়ি তোমায় বউ করে বাড়িতে নিয়ে আসতে চাই প্রাণ৷”
” স্মরণ আ… ” বাকি টা বলার আগে প্রাণো মা রুমে এসে হাজির হয়ে তার মেয়ে কে বলেন,” প্রাণো তোর সাথে জরুরী কিছু কথা আছে৷ “প্রাণো কান থেকে ফোন নামিয়ে বলে,” কি কথা আম্মু?”
” তোর বাবা তোর বিয়ে ঠিক করেছে ৷ তোর বাবা চায় তোদের বিয়েটা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে দিতে৷”
” এক মিনিট আম্মু তুমি কি সব বলছো? প্রথমতঃ তোমরা আমার বিয়ে ঠিক করেছো আর আমি জানি না? আর আমাকে বলার প্রয়োজন বোধ করলে না? ”
” আমরা তোর বাবা মা প্রাণো৷ আমরা যা করছি তা তোর ভালোর জন্য করছি৷ আর তোর বাবা কথা দিয়ে ফেলেছে ৷ আশা করবো এবার অন্তত আমাদের মান সন্মান রক্ষা করবি? আগের বারের মতো পালিয়ে যাবি না৷ ”
” আম্মু আমার পালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না কারণ বিয়ে টা আমি করছি না৷ আব্বুকে বলে দিও কথা টা আর যদি বিয়ে নিয়ে জোর জবরদস্তি করো তাহলে আমি যেটা করবো সেটা তোমরা কল্পনাতেও ভাবতে পারবে না৷ ”
” প্রাণো” জোড়ে ধমক দিয়ে উঠলেন নিশিতা বেগম..
” দেখো আম্মু আব্বু কে বলো আমার বিয়ে নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে দাভাইয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করো৷ দাভাইয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে৷”
” আমরা কখন কি করবো সেটা তোমার না বললেও চলবে ৷ আপাদতো বিকেলে তৈরি থেকো ছেলে পক্ষরা আসবে আজ পাকা কথা বলতে৷ ” কথাটা বলে নিশিতা বেগম চলে যেতে নিলে আবার পিছু ফিরে প্রাণোর উদ্দেশ্য বলে,” আজ এমন কিছু করবে না যাতে আমার তোমার বাবার সন্মান লষ্ট হয়৷ এই অনুরোধ টুকু রাখলে খুশি হতাম৷”
কথাটা বলে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল নিশিতা বেগম ৷ প্রাণ ধপ করে বেডের উপর বসে পড়ে৷ এতোক্ষণ তার মায়ের কথা গুলো ভাবতে লাগলো৷ হঠাৎ করে আবার বিয়েদেওয়ার ভুত কেন চাপলো তাদের মাথায় এটাই বুঝতে পারছে না প্রাণো৷ প্রাণোর চোখ হাতে থাকা ফোনটার দিকে পড়তে ভয়ে আঁতকে ওঠে কারণ তার মা রুমে ঢোকার সময় কল কাটার সময় পায়নি তারমানে স্মরণ এতোক্ষণ সবটা শুনেছে৷ প্রাণো ভয়ে ভয়ে ফোনটা কানে ধরে কাঁপা কাঁপা গলায় হ্যালো বলতে ওপাশ থেকে শুধু জোরে জোরে নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে প্রাণো৷ প্রাণো খুব ভালো করে বুঝতে পারলো স্মরণ সবটা শুনে ভিষণ রেগে আছে৷ প্রাণো স্মরণকে শান্ত করার উদ্দেশ্য সাহস নিয়ে প্রাণো বলল,” স্মরণ প্লিজ শান্ত হও ৷ বললেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না৷ আমি তোমার বউ অন্য কারোর বউ হওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না ৷ ”
স্মরণ কিছুক্ষণ চুপ থেকে রাগটা কন্ট্রোল করে বলল,” অন্যের বউ হওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবলে আমি তোমাকে খুন করে ফেলবো প্রাণ ৷ তুমি আমার ভালোবাসা দেখেছো কিন্তু আমার রাগ দেখোনি আর না ঘৃনা দেখেছো ৷ আমি চাই না তোমাকে আমার খারাপ রুপটা দেখাতে তাই সাবধান হও প্রাণ৷ আর তৈরি হয়ে নেও আমি তোমাকে নিতে আসছি ৷ আমার বউ আমার কাছে থাকবে৷ ওবাড়িতে আর এক মুহূর্তের জন্য তোমাকে আমি রাখবো না৷ তৈরি থেকো আমি আসছি৷”
” স্মরণ ডোন্ট বি সিলি ৷ পাগলের মতো কথা বলো না৷ আর না তুমি এখন আসছো৷ রাগ কন্ট্রোল করো প্লিজ৷”
” তাহলে কি চাও তুমি? নিজের বাবার পছন্দে বিয়ে করতে?”
” আর ইউ ম্যাড স্মরণ ৷ আই লাভ ইউ , আই লাভ ইউ সো ম্যাচ৷ অন্য কাউকে বিয়ে করার চিন্তা আমি কখনোই করি না ৷ তুমি আমার কথা মন দিয়ে শুনো ৷ বাবা যখন একবার কথা দিয়ে ফেলেছে তখন বিয়ের তো দিবেই আর আমিও বিয়ে করবো কিন্তু তোমাকে…”
” মানে! তুমি কি আমার সাথে মজা করছো প্রাণ?” দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো স্মরণ….
” উফফ অল্পতে এতো হাইপার হলে চলবে বলো? যাই হোক আমার কথা মন দিয়ে শুনো বিয়ে হবে আমার কিন্তু তোমার সাথে …”
” কিন্তু কি করে?”
“ওটা আমার উপর ছেড়ে দেও স্মরণ ৷ তুমি শুধু মাথা ঠান্ডা রাখো বাকিটা আমি সামলে নিবো৷”
” কিন্তু মনে রেখো প্রাণ তুমি শুধু আমার শুধু আমার ৷”
” মনে থাকবে আমি শুধু তোমার ওকে”
” ভালোবাসি প্রিয়তমা”
” ভালোবাসি প্রিয়”
প্রাণো স্মরণকে কোন ভাবে মেনেজ করে নেয়৷ কিন্তু স্মরণ কতোক্ষণ যে শান্ত রাখতে পারবে সেটা প্রাণো জানে না৷
__________
কফি শপে বসে আছে সাদমান আর মৌ ৷ সাদমান রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মৌ’র দিকে , আর মৌ বসে হাত কচলে যাচ্ছে যে সাদমানের কাছে প্রচন্ড বিরক্তকর৷ সাদমান এবার রেগে মৌ এর দিকে তাকিয়ে বলল,” এভাবে আর্জেন্টলি কল করে ডাকার মানে কি মৌ? তুমি কি কোন প্রুফ পেয়েছো প্রাণোর বিরদ্ধে?”
” না সাদ কিন্ত আমি এখানে প্রাণোর বিষয়ে বলার জন্য ডাকি নি৷”
“তাহলে ঠিক কি কারণে ডেকেছো ?”
” ড্যাড আমার বিয়ে ঠিক করেছে সাদ৷”
কথাটা শুনে বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠলো সাদমানের কিন্তু বোনের উপর মিথ্যে দোষারোপ দেওয়ার কারণে সাদমান তার ভাবমূর্তি কঠিন রেখে বলে উঠলো , ” তো আমি কি করতে পারি? তোমার ড্যাড তোমার বিয়ে ঠিক করেছে এখানে আমি কি করবো?”
” প্লিজ সাদ এমন করে বলো না ৷ প্রাণোর বিষয়টা আমার ভুল হলেও হতে পারে কিন্তু তুমি এর জন্য আমাদের সম্পর্ক শেষ করে দিবে?” ছলছল চোখে সাদমানের দিকে তাকিয়ে বললো মৌ ৷
সাদ এবার একটু নরম হলো মৌ’র চোখে পানি দেখে…
” কবে বিয়ে?”
” সামনের মাসে৷ সাদ প্লিজ কিছু করো৷ ”
” দেখছি কি করা যায়৷ তবে এটা ভেবো না আমি সবটা ভুলে গেছি ৷ আমি আমার বোনদের আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি৷ আমার কলিজা আমার দুই বোন৷ তুমি আমার সেই বোনের দিকে আঙ্গুল তুলেছো৷”
” আই এ্যাম স্যরি সাদ৷ প্লিজ আমাকে ক্ষমা করো আমি ভুল করেছি৷ যাস্ট ওতোটুকু প্রমানের ভিত্তিতে প্রাণোর দিকে আঙ্গুল তোলা আমার উচিত হয়নি৷”
” আমি আজ বাড়িতে কথা বলবো মৌ ৷ এখন আমাকে উঠতে হবে ৷ ”
মৌ বুঝতে পারছে সাদ এখনো রেগে আছে তাই কথা বাড়াতে চাচ্ছে না৷
” ঠিক আছে ৷ আমিও এখন একটু অফিসে যাবো৷”
” চলো তোমাকে ড্রপ করে দিচ্ছি৷”
” তার দরকার নেই আমার সাথে গাড়ি আছে থ্যান্কিউ ৷”
” ওকে বাই”
” বাই”
সাদ কফি শপ থেকে বেড়িয়ে যেতে মৌ চোখে মুখে রাগ ফুটে ওঠে ৷
” সাদ আমি যে ভুল নই সেটা তোমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবো৷ আর তোমার সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি শুধু মাত্র তোমার বোনের জন্য তাই না ৷ একবার বউ হয়ে তোমার বাড়িতে প্রবেশ করি তারপর দেখো তোমার বোনের সাথে আমি ঠিক কি কি করি৷ ভালো মানুষির মুখোশ ছিড়ে সবার সামনে দাড় করাবো প্রাণোকে আই সোয়্যার সাদ নাহলে আমার নাম আফিয়া জাহান মৌ নয়৷ ” কথা গুলো বলে মৌ টেবিল থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে বেড়িয়ে গেল কফি শপ থেকে মৌ….
__________
” সিমি মামুনি এখন কেমন আছো ?”
” আ’ম ওকে ড্যাড ৷ ড্যাড আমাকে এখন বের হতে হবে৷”
” একদম না মামুনি ৷ তোমার অফিস থেকে ফোন এসেছিলো তারা তোমাকে দুদিনের ছুটি দিয়েছে রেস্টে থাকার জন্য..”
” ইস গতকাল ওভাবে সেন্সলেস হয়ে গেলাম ৷ কি ভাবলো প্রাণো? আমি খুব দূর্বল প্রকৃতির মেয়ে এটাই ভেবেছে নিশ্চই৷”
মেয়েকে চুপ থাকতে দেখে আশিক খান বলে উঠলো, ” কি ভাবছো মামুনি?”
” কিছু না ড্যাড৷ ড্যাড শান আসেনি?”
” না মামুনি ৷ শান সকালে আমাকে ফোন করেছিলো তোমার সাথে কথা বলার জন্য, তখন তুমি ঘুমিয়ে ছিলে বিধায় বলেছি পরে ফোন করতে৷ ওহ হ্যাঁ আর একটা কথা বলেছে ৷ ”
” কি কথা?”
” শান বললো তোমার জন্য নাকি সারপ্রাইজ আছে৷ ”
” সারপ্রাইজ! কি সারপ্রাইজ?”
” সেটা তো জানি না৷”
” ওকে আমি ফ্রেস হয়ে আসছি তুমি তুমি বসো৷”
” হুম ”
সিমির মাথায় এখন একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে শান কিসের সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলছে?
____________
নিশিতা বেগম নিজের হাতে প্রাণোকে সবুজ রঙের জামদানি শাড়ি পড়িয়ে রেডি করিয়ে দিলো৷ প্রাণো আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখছে গাঢ় সবুজ রঙের শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে হাতে সবুজ রঙের কাঁচের চুড়ি পড়িয়ে দিয়ে নিশিতা বেগম৷ নীল চোখে গাঢ় কালো কাজল ৷ কানে বড় ঝুমকো , গোলাপি ঠোঁট জোড়ায় ভ্যাজলিন দিলো৷ নিশিতা বেগম প্রাণোর মুখে প্রশাধনী ছোঁয়াতে গেলে প্রাণো কড়া গলায় বলে ওঠে তার মুখে যেন কোন মেকয়াপ না ছোঁয়ায়৷ তাই বাধ্য হয়ে হালকা পাউডার দিয়ে দিলো মুখে … নিশিতা বেগম প্রাণোর কপালে টিপ পড়াতে গেলে প্রাণো বলে ওঠে,” আম্মু আমি টিপ পড়ি না জানো তবুও কেন টিপ পড়াচ্ছো?”
” ঠিক আছে পড়তে হবে না ৷ তারা এখুনি এসে পড়বে ৷ তাই আমি নিজে তোকে রেডি করিয়ে দিলাম৷”
” কথা শেষ হলে এখন তুমি যেতে পারো আম্মু আমি রুমে আছি তারা আসলে আমাকে ঢেকো৷”
নিশিতা বেগম আর কিছু বললেন না ৷ রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন৷ কিছুক্ষণ পর ছেলে পক্ষরা আসতে জুনাইদ কবির সাদমান নিশিতা বেগম ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তাদের আদর আপ্পায়নে ৷ কিছুক্ষণ পর বিয়ের ডেট ঠিক করে একবার মেয়েকে দেখতে চাইলো পাত্রের বাবা ৷ নিশিতা বেগম দ্রুত রুমে চলে যান প্রাণোকে ডাকতে৷
” প্রাণো নিচে চল ওনারা তোকে একবার দেখতে চাইছে৷”
প্রাণো ফোনের উপর থেকে চোখ সরিয়ে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে শাড়ির আচঁল টা ঠিক করে নিয়ে তার মায়ের সাথে যেতে লাগলো৷ প্রাণোকে নিয়ে নিশিতা বেগম নিচে নেমে এসে বলে,” এই যে ভাই সাহেব আপনাদের হবু বউমা ৷”
নিশিতা বেগম এর কথা শুনে প্রাণো সামনে তাকিয়ে শক্টড হয়ে যায় ৷ নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না সামনে থাকা মানুষ গুলোকে দেখে ….
.
.
.
#চলবে…………
[ভুল ট্রুটি সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন৷]