গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব_৩৩
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
.
.
🦋
প্রিয়ার কথা প্রত্যেকের কানে পৌছানো মাত্রই সবাই সিঁড়ির দিকে তাকাতে প্রাণোকে দেখে হ্যাঁ হয়ে গেল৷ মিহু সাজিত সাথে বাকি ছেলেদের তো প্রাণোর উপর থেকে চোখ সরছেই না৷ তা দেখে প্রিয়া গলা খাকাড়ি দিয়ে বলে উঠলো ,” গাইজ সবাই দয়া করে মুখ বন্ধ করো না হলে আপনাদের বন্ধু আমার ভাসুর + ভাই+ দুলাভাই চিরদিনের জন্য আপনাদের মুখ বন্ধ করে দিবে৷”
প্রিয়ার কথা শোনা মাত্রই প্রত্যেকে শুকনো ঢোক গিয়ে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতে দেখে সাফা স্মিতা ঐশী আগুন চোখে নিলয় সাগর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে৷ প্রাণো স্মরণের বন্ধুদের করুণ অবস্থা দেখে ঠোঁট টিপে হাসতে লাগলো৷
প্রাণো প্রিয়ার সাথে ডাইনিং স্পেসে এসে নিজের বান্ধবীর দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে দেয়৷ সাফা ঐশী স্মিতা প্রাণোর ইশারা বুঝতে পেরে ঐশী বলে উঠলো ,” আকাশ আজ থেকে তোমার সাথে আমার ব্রেকয়াপ ৷ আর আজ থেকে তুমি আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না৷ ”
“ওয়াট কি বলছো ঐশী ৷ তুমি হঠাৎ ব্রেকয়াপের কথা বলছো কেন?”(আকাশ)
” কারণ তোমার নজর খারাপ ৷ আমি জলজ্যান্ত তোমার গার্লফ্রেন্ড তোমার সামনে বসে আছি আর তুমি আমার বেস্টুর দিকে নজর দিচ্ছো ছিঃ৷ ”
ঐশীর কথা শুনে আকাশ হতবম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল৷ ঐশী সামান্য একটা বিষয় নিয়ে ঐশী ব্রেকয়াপ করবে এটা ভাবতে পারেনি আকাশ৷
এর ভিতর স্মিতা সাফা দুজনে নিলয় সাগর কে সেম কথা বলে ব্রেকয়াপ করে নিলো৷ নিলয় আকাশ সাগর তিন জন প্রাণোর দিকে অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছে৷ প্রাণো গম্ভির মুখ করে বলে উঠলো ,” এটা তো হওয়ারই ছিলো ভাইয়াগন৷ আপনাদের গার্লফ্রেন্ড সামনে বসা অবস্থায় তারই বান্ধবীর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবেন আর ওরা তা মেনে নিবে লাইক সিরিয়াসলি?”
” স্যরি ভাবি আসলে আপনাকে এতো সুন্দর লাগছে যে আমরা কেউ চোখ ফেরাতে পারেনি৷ বাট ট্রাস্ট মি আপনার দিকে খারাপ নজরে কখনো তাকায়নি প্লিজ ওদের একটু বুঝিয়ে বলুন না?” অসহায় গলায় বলল সাগর….
” ঠিক আছে এই লাস্ট বার ওদের বলছি আপনাদের ক্ষমা করে দিতে বাট নেক্সট টাইম এমন করলে নো ক্ষমা মাইন্ড ইট৷ আর তোরা ভাইয়াদের লাস্ট বার ক্ষমা করে দে৷ তারা আর এমন টা করবে না৷”
” ঠিক আছে তোর কথা ফাস্ট এন্ড লাস্ট বার ওদের ক্ষমা করলাম ৷” ( সাফা)
সাফার কথা শুনে নিলয় প্রাণোকে থ্যান্কিউ বলে উঠতে নিলে প্রাণো বলে ওঠে ,” উঠবেন না আমি আপনাদের খাবার সার্ব করে দিচ্ছি৷”
” আপু তোকে কিছু করতে হবে না ওই দেখ আমাদের শাশুড়ি মা সব নিজের হাতে আজ নাস্তা বানিয়েছে৷ আমাকেও আজ কিচেনে ঢুকতে দেয়নি ৷”
প্রিয়ার কথা শেষ হতে হতে সাহারা বেগম কিচেন থেকে এসে সবাইকে নাস্তা সার্ব করে দিয়ে প্রাণোর সামনে দাড়িয়ে প্রাণোকে দেখে বলে, ” মাশাআল্লাহ আমার বউমাকে একদম পরীর মতো লাগছে এই লাল টুকটুকে শাড়িতে৷ ” সাহারা বেগম এর কথায় তাল দিয়ে সাজিত বলে উঠলো, ” ঠিক বলেছো মম ৷ প্রাণোকে আজ বড্ড বেশি সুন্দর লাগছে৷”
সাজিতের কথা শুনে প্রাণো সাজিতের দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বলে উঠলো ,” দেবরজি আমি আপনার বয়সে ছোট হলেও সন্মানে আপনার থেকে অনেক বড় ৷ আমি আপনার বড় ভাইয়ের স্ত্রী তাই প্রাণো নয় ভাবি বলে ডাকবেন৷”
প্রাণোর এমন কাট কাট উওর শুনে প্রিয়া সাহারা বেগম এবং বাকিরা বেশ খুশি হয় শুধু মিহু আর সাজিত ছাড়া৷ সাজিত না খেয়েই উঠে চলে যায়৷ মিহু সাজিতের পিছু পিছু চলে যায়৷
” মামুনি তুমি সবার সাথে খেতে বসো প্লিজ৷ “”(প্রাণো)
প্রাণোর কথা শুনে সাহারা বেগম এর মনে হলো তাদের সম্পর্ক যেন কতো বছরের , প্রাণো যে ভিষণ মিশুক আর মিষ্টি মেয়ে তা বুঝতে তার বাকি নেই৷
” এখন না বড় বউমা ৷ তোমার শশুড় এখনো নাস্তা করেনি ৷ ওনি না খেলে আমিও খেতে পারি না মা৷” সাহারা বেগমের কথা শুনে প্রত্যেকে এক সাথে বলে উঠলো ,” ওউউউউউউউ”
সবার এমন রিয়েকশন দেখে সাহারা বেগম বেশ লজ্জা পেলেন৷ তখনি পেছন থেকে স্মরণ বলে উঠলো ,” কি হচ্ছে এখানে?”
প্রাণো পেছনে তাকিয়ে স্মরণের দিকে তাকাতে স্মরণ মনমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে প্রাণোর দিকে, প্রিয়া স্মরণের পাশে গিয়ে চোখের সামনে তুরি বাজাতে স্মরণের ধ্যান ভাঙে …
” কি দুলাভাই আপুর উপর থেকে যে একদম চোখ সরছে না আপনার?”
” হুম চোখ তো সালিকার উপর থেকেও সরছে না আধা ঘর ওয়ালী৷”
” দুলাভাই ফাজলামি কম করেন ৷ চলেন খেয়ে নিবেন৷”
” হুম চলো৷”
সবাই নাস্তা উঠে যেতে যেতে প্রাণো সাহারা বেগম কে বলতে লাগলো,” মামুনি আমাকে আজ একটু ভার্সিটিতে যেতে হবে৷ ইম্পট্যার্ন্ট ক্লাস আছে আর কয়েকদিন পর তো আমার পরীক্ষা৷
” এমা তা তো আগে বলবে৷ কোন সমস্যা নেই আজ ভার্সিটিতে যাও ৷ বাকিটা আমি সামলে নিবো ৷ আর সবাই কান খুলে শুনে নেও আগামিকাল ওদের বিয়ের রিসেপশন তোমরা কেউ চলে যাবে না৷ সবাই থাকবে৷”
” ওকে আন্টি৷ ”
” বড় বউমা তুমি তৈরি হয়ে নেও স্মরণ তোমাকে ভার্সিটিতে পৌছে দিবে৷”
প্রাণো মাথা নেরে দ্রুত রুমে গিয়ে শাড়ি পাল্টে চুড়িদার পড়ে নিয়ে রেডি হয়ে নেয়৷ প্রাণোর হাতে সময় নেই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব অফিসে পৌছাতে হবে৷ আজ অনেক বড় অপারেশন আছে যেটা প্রাণো নিজে লিড করবে৷
প্রাণো তার ফোন নিয়ে রুম থেকে বের হওয়ার পর পর সাফা ঐশী স্মিতা রেডি হয়ে বের হয়ে প্রাণোর সামনে এসে দাড়ায়৷ স্মিতা সাফা ঐশী তিন জনের মাথায় অনেক গুলো প্রশ্ন ঘুরছে কিন্তু এখন সে প্রশ্ন করার সময় নয় বলে চুপচাপ প্রাণোর সাথে সাথে বেড়িয়ে আসে৷ গাড়ির কাছে আসতে স্মিতা আস্তে আস্তে প্রাণোকে বলে,” প্রাণো আজ তো তেমন কোন ক্লাস নেই তাহলে তুই মিথ্যে কেন বললি?”
” আমার একটা কাজ আছে তোরা ভার্সিটিতে আমার জন্য অপেক্ষা করবি ৷ আমি ঠিক সময়ে চলে আসবো ওকে?”
” কিন্তু কোথায় যাবি তুই?”
” সবটা পরে বলবো ৷ আর শোন আমি যে ভার্সিটিতে থাকবো না এটা যেন স্মরণ ভুলেও জানতে না পারে ৷”
” ঠিক আছে৷”
” ওকে”
প্রাণো স্মরণের গাড়িতে উঠে বসে ৷ আর বাকিরা অন্য গাড়িতে৷ পুরো রাস্তায় স্মরণ প্রাণোর হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চুমু খেয়েছে৷ প্রাণো হাত সরিয়ে নিতে চাইলে স্মরণ চোখ গরম করে তাকিয়ে বলে, ” যদি আর একবারও হাত ছুটিয়ে নিতে চাও তাহলে কিন্তু গাড়িতে বসে রোমান্স শুরু করে দিবো৷”
এটা শোনার পর প্রাণোর আর সাহস হয়নি হাত সরিয়ে নেওয়ার ৷ বরং সময় টা ইনজয় করেছে৷
ভার্সিটির সামনে গাড়ি থামাতে প্রাণো দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যেতে নিলে স্মরণ প্রাণোর হাত ধরে ফেলে বলে, ” এতো তারা কিসের মিসেস প্রাণো? গুড বাই কিসি না দিয়ে তো কোথাও যেতে দিবো না তোমায় ..”
” কি হচ্ছে টা কি স্মরণ? এটা ভার্সিটি আমাদের বেডরুম না৷ প্লিজ হাত ছাড়ো ক্লাস এখুনি শুরু হয়ে যাবে৷”
” উহু ছাড়ছি না যতোক্ষণ না গুড বাই কিসি দিচ্ছো৷”
স্মরণ যে হারের ঘাড়তেরা তাতে কিস না দেওয়া পর্যন্ত হাত ছাড়বে না৷ ভার্সিটির অনেক ছাত্র ছাত্রী তাকিয়ে আছে ওদের দিকে প্রাণো কি করবে ভেবে হুট করে স্মরণের গালে চুমু দিতে স্মরণ হাত ছেড়ে দিয়ে টেডি স্মাইল গাড়িতে উঠে যায়৷ প্রাণো ভার্সিটিতে ঢুকে ভার্সিটির পেছনের গেট দিয়ে বেড়িয়ে যায়৷ সেখানে RV প্রাণোর জন্য অপেক্ষা করছিলো৷ প্রাণো গাড়িতে উঠে বসতেই RV দ্রুত গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ভার্সিটি রোড ছাড়িয়ে যায়৷
” RV সব রেডি তো? গতকাল মেসেজে যা যা বলেছি করেছো?”
” তুমি কিছু করতে বলবে আর সেটা হবে না! এমন টা কোনদিন হয়েছে মিসেস প্রাণো?”
” আজ কিন্তু আমাদের টিমের সব চেয়ে বড় অপারেশন ৷ এটা যদি জিততে পারি তাহলে আগামিকাল হবে JM এর ধ্বংসলীলা শুরু হয়ে যাবে৷ ”
” শুধু JM নয় প্রাণো তার সাথে আরো দু নাম্বারি ব্যবসায়ীরা শেষ হয়ে যাবে৷”
” হুম একদম বাই দ্যা ওয়ে সিমি আপুর খবর কি? সিমি আপু ঠিক আছে তো? ”
” অফিসে গিয়ে নিজের চোখেই দেখে নেও৷”
” মানে আপু অফিসে কেন? তার তো এখন কমিশনার আঙ্কেলের বাড়িতে থাকার কথা?”
” তার কাছ থেকে সবটা জেনে নিও সিমি আমাকে কিছু বলেনি৷”
কিছুক্ষণের মধ্যে প্রাণো অফিসে পৌছে নিজের কেভিনে গিয়ে চেন্জ করে নিয়ে ফাইল গুলো একবার চেক করতে নিলো তখনি দরজায় কেউ নক করে….
” কামিং”
” প্রাণো”
” আরে সিমি আপু! তুমি আজ এখানে কেন?”
” তুমি ঠিক যে কারণে; ”
” আজ এখানে আসার কোন প্রয়োজন ছিলো না আপু৷”
” আমি জানি তুমি কি মিন করতে চাইছো ৷ কিন্তু প্রাণো দেশের প্রতি আমার যে কতর্ব্য তা আমি পূরণ করবো ৷ আমার কাছে প্রথম প্রায়োরিটি আমার দেশ তারপর আমার স্বামী ৷ যেমন টা তোমার কাছে প্রাণো৷ ”
প্রাণো মুচকি হেসে বললো,” অস্র গুলো একবার দেখে নেও আপু ৷”
” ঠিক আছে”
সিমি চলে যেতে প্রাণো মাথায় কালো হুডিপরে মুখে মাক্স চোখে ব্লাক সানগ্লাস হাতে গ্লোভস পড়ে নিয়ে কেভিন থেকে বের হয়ে দেখে টিম রেডি হয়ে দাড়িয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে৷ প্রণো সবার উদ্দেশ্য বলে উঠলো , ” আর ইউ রেডি গাইজ?”
” ইয়েস ম্যাম, ”
” প্রাণো গাড়ি রেডি এখন তোমার পারমিশন পেলে সবাই রওনা হবে৷”
“চলো সবাই”
আজ ও দুটো টিম প্রাণো ভাগ করে দেয় ৷ একটা টিম প্রাণো আর সিমির অন্যটা RV আর কণার….
শহরের অন্যতম বিশিষ্ট শিল্পপতিদের ফ্যাক্টরিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে৷ শহরে এরকম দশটা ফ্যাক্টরিতে আগুন জ্বলছে৷ প্রেস মিডিয়া সেসব ফ্যাক্টরির সামনে দাড়িয়ে সবটা রেকর্ড করছে৷ কিন্তু কি কারণে সেসব ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলো তা পুরোটাই অজানা রইল সবার কাছে,…….
জীবন মাহমুদ বেলা করে ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে চা খেতে লাগলো৷ মিহু ড্রইং রুমে টিভি অন করে চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে একটা নিউজ চ্যানেলে এসে থামে ,
“”ব্রেকিং নিউজ
এখনো কিছুই পুলিশ জানতে পারেনি কি করে এই ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলো৷ এখানকার সিকিউরিটি গার্ড পালাতক ৷ তাকে এবং ফ্যাক্টরির কোন কর্মচারীকে এখন অব্দি আগুন থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ৷ গাজীপুরে এরকম আরো তিনটি ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগেছে কিন্তু সে সব কার এবং মালিক কে সে সব কিছুই জানা যাই নি৷ আগুন লাগানো হয়েছে নাকি অসাবধানতা বসত লেগেছে তার ধারনা করা যাচ্ছে না ৷ ইতোমধ্যে ফ্যায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ৷
আরো আপডেট পেতে চোখ রাখুন এন টিভির পর্দায়৷
খবর শেষ হতেই জীবন মাহমুদ এর হাত থেকে চায়ের কাঁপ টা ফ্লোরে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল৷ চায়ের কাঁপ ভাঙার শব্দে মিহু সাজিত সাহারা বেগম ছুটে আসে৷
” কি হয়েছে তোমার? কাঁপটা কি করে ভাঙলো?”
” আ,, আমাকে এখুনি বের হতে হবে সাহারা…”
জীবন মাহমুদ আর কিছু না বলে দ্রুত রুমে গিয়ে চেন্জ করে বেড়িয়ে পড়ে৷ সাজিত মিহু সাহারা কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারছে না জীবন মাহমুদ এর এতোটা অস্থিরতার কারণ?
______________
” এই সব কি হচ্ছে JM ? আমাদের সব দুই নাম্বার ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলো কি করে?”
” তার চেয়ে বড় প্রশ্ন কোটি কোটি টাকা অস্র হিরোইন সব সব পুড়ে নষ্ট হয়ে গেলো৷ আমরা পথে বসে গেছি ৷”(JM)
“কে কে করছে এই সব? আড়ালে থেকে একের পর এক ক্ষতি করে যাচ্ছে কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না৷ ”
” ওদের কে ধরতে হবে নাহলে নাহলে বাকিরাও শেষ হয়ে যাবে৷ আমাদের লিগ্যাল কারবারের আড়ালে যে ইললিগ্যাল কাজ করি সেটা সকলের সামনে এসে যাবে ইভেন পুলিশ যদি এই নিয়ে তদন্ত করে তাহলে সব সত্যি সবার সামনে এসে পড়বে৷”(JM)
” তার উপর মিডিয়া আর সেই অজানা শত্রু৷ আমাদের কিছু একটা করতেই হবে ৷”
” আমাকে একটু ভাবতে দে৷ কিছু তো অবশ্যই করবো৷ এভাবে ওদের ছেড়ে দেওয়ার পাত্র এই JM নয়৷ “(JM)
_________________
অপারেশন শেষ করে প্রাণো ফিরে এসে দ্রুত চেন্জ করে নিয়ে RV কাছে গিয়ে বলে,” সেই জার্নালিস্ট কোথায় RV?”
” টর্চার সেলে…”
” ওয়াট! টর্চার সেলে কেন রেখেছো RV ?”
” উপায় ছিলো না৷ মেয়েটা বড্ড বেশি জ্বালাছিলো তার উপর পালানোর চেষ্টা করেছে৷”
” ওহ!”
টর্চার সেলের সামনে দাড়াতে দেখে মৌ হাটুর উপর মুখ গুজে বসে আছে ৷ সকালের নাস্তা যেভাবে দিয়ে ছিলো সেভাবে পড়ে আছে৷ প্রাণোর রাগ হলো মৌর এমন না খেয়ে থাকার নাটক দেখে, এক প্রকার বিরক্ত নিয়ে প্রাণো বলে উঠলো ,” হ্যালো মিস মৌ কেমন আছেন? আমার লোকেরা আপনার ঠিক ঠাক যত্নআত্তি করতে তো?”
মেয়েলি কন্ঠ শুনে মৌ মাথা তুলে তাকিয়ে প্রাণোকে দেখে এক প্রকার শক্টড পেল৷ মৌ ভেবে ছিলো তাকে হয়তো তার কোন শত্রু কিডন্যাপ করেছে৷ কারণ জার্নালিস্টের তো শত্রুর অভাব হয়না কিন্তু প্রাণো যে তাকে কিডন্যাপ করতে পারে তার বিন্দুমাত্র ধারণা করতে পারেনি৷ প্রাণোর হাসি মাখা মুখ দেখে মৌয়ের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো ৷ প্রাণোর দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো ……” তু,,তুমি?”
.
.
.
#চলবে………….
(ভুল ট্রুটি গুলো ধরিয়ে দিবেন৷ ধন্যবাদ)