#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩০ [ধামাকা পর্ব]
.
.
🦋
মেয়ে গুলো চলে যাওয়ার বিশ মিনিট পর বাইরে বর এসেছে বর এসেছে চেচাঁমেচি শুনে প্রাণো আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে নিজে বলে উঠলো ,” এখন বিয়ের জন্য প্রস্তত প্রাণো ৷ ” কথাটা বলে রহস্যময় হাসি দিলো প্রাণো…….
__________
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করার পর থেকে শান ভিষণ খুশি ৷ স্মরণকে হাড়িয়ে চ্যালেন্জে জিতার আনন্দে মুখ থেকে হাসি সরছে না৷ শানের চোখ তার বাবার দিকে পড়তে দেখে দেখে কমিশনার ভয়ার্থ চিন্তিত মুখ করে আছে৷ ছেলের বিয়ে আজ কিন্তু বাবার মুখে হাসি নেই বিষয় টা ভিষণ ইরেটেড করছে শান কে , শান মুখে হাসি রেখে তার বাবাকে জিঞ্জাসা করলো,” ড্যাড আজ তোমার ছেলের বিয়ে অথচ তোমার চোখে মুখে কোন আনন্দ উচ্ছাস নেই কেন?”
ছেলের প্রশ্ন শুনে আব্বাস আলী রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছে মনে মনে বলতে লাগলো ,” বাবারে তুমি যে কার লেজে পা দিয়েছো তা যদি একবার জানতে! আমি একজন কমিশনার হয়ে কাল ঘাম ছুটিয়ে দিলো এই মেয়ে; আর আজ তোর অবস্থা কি হবে আল্লাহ জানে?”
” তেমন কিছু না শান ৷ তুমি ঠিক করে বসো ৷ বিয়ে এখুনি শুরু হবে৷”
” সেই অপেক্ষাই আছি ড্যাড৷ দ্রুত বিয়ে পড়াতে বলো৷”
” বলছি বলছি৷”
কমিশনার প্রাণোর বাবার সাথে কথা বলার জন্য সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখে জুনাইদ কবির জীবন মাহমুদ এর সাথে হাত মিলিয়ে কথা বলছে৷ প্রথমে কমিশনার একটু অবাক হলো জীবন মাহমুদ কে জুনাইদ কবির এর সাথে দেখে, কমিশনার একটু এগিয়ে যায় তাদের দিকে তখনি শুনতে পায়,” তো এখন জীবন মাহমুদ বলে ডাকবো নাকি বেয়াই বলে নাকি দোস্ত বলে কোনটা বলতো?”
” হুস আস্তে বল কবির ৷ কেউ কোথা থেকে শুনে ফেলবে তখন আর এক জ্বালা৷ ”
” হুম তা ঠিক , আচ্ছা ভাবি আর মেয়ে এসেছে তো?”
“হুম ছোট বউমা ওদের ভিতরে নিয়ে গেছে ৷”
” এখানে না দাড়িয়ে ভিতরে চল এখুনি বিয়ে শুরু হবে৷”
” হ্যাঁ চল, ” জুনাইদ কবির আর জীবন মাহমুদ পেছনে ফিরতে কমিশনার কে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যায়৷
” আ,, আপনি এখানে?”
” হ্যাঁ বেয়াই সাহেব , সময় তো অনেক হলো বিয়েটা শুরু করতে হবে নাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে৷” নরমাল স্বরে কথা গুলো বললো কমিশনার যেন কিছুই শুনতে পাইনি এমন একটা ভাব করলো৷
” জ্বী বিয়েটা এখনি শুরু হবে৷ চলুন স্টেজের কাছে ”
জীবন মাহমুদ হাতে সরবতের গ্লাস নিয়ে চেয়ারে বসে সবটা দেখছে৷ জুনাইদ কবির নিশিতা বেগম কে তারা দিলেন প্রাণো কে নিয়ে আসতে৷ নিশিতা বেগম সাথে আরো কয়েক জন মেয়ে নিয়ে প্রানোর রুমে গিয়ে নক করে৷
” প্রাণো সবাই নিচে তোর জন্য অপেক্ষা করছে ৷ দরজা খোল৷”
” খুলছি আম্মু…” প্রাণো দরজা খুলে দিতে হুরমুর করে সবাই ভিতরে ঢুকে প্রাণো কে দেখে হ্যাঁ করে তাকিয়ে থাকে৷ নিশিতা বেগম চোখ থেকে কাজল নিয়ে প্রাণোর কানের পিঠে লাগিয়ে দিয়ে বলে, ” আমার পরীর মতো মেয়ের দিকে যেন কারোর নজর না লাগে৷”
প্রাণো তার মাকে জড়িয়ে ধরে ৷ রুমের সবাই মুহূর্তে ইমোশনাল হয়ে পড়ে৷ তা দেখে নিশিতা বেগম আবার তারা দিলেন প্রাণো কে নিয়ে যাওয়ার জন্য, প্রাণো বের হওয়ার পূর্বে লম্বা ঘোমটা দিয়ে নিলো৷ কাজিনরা প্রাণোকে নিয়ে শানের পাশে বসিয়ে দিলো ৷ শান আর প্রাণো মাঝে পাতলা সাদা পর্দা টেনে দেওয়া৷ প্রত্যেকের চোখ স্টেজের দিকে, শান কাজীকে ইশারা করায় কাজী নরে চরে বসে বিয়ে পড়াতে যেই না শুরু করবে তখনি হুট করে সব লাইট গুলো নিভে গেলো৷ মুহূর্তে হই হট্টগোল পড়ে গেল বিয়ে বাড়িতে ৷ লাইট চলে যাওয়ার দু’মিনিটের মাথায় আবার সব আলো ফিরে আসে৷ কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করে ৷ কাজী সাহেব যখনি কনের নাম বলতে গেলো তখনি পাশ থেকে কেউ সাউন্ড সিস্টেমে গান বেজে উঠলো শান ভালো করে কনের নামটা শুনতে পেলো না৷ কবুল বলে ফেললো৷ বর কনের বিয়ে মিটে যেতেই শানের মুখে বিজয়ের হাসি ফুটে উঠলো ৷ তখনি বাইরে থেকে গানের আওয়াজ ভেষে আসছে ৷
কৌতুহলবসত সবাই দরজার দিকে একটু এগিয়ে যেতে দেখে , ফুল দিয়ে সাজানো একটা গাড়ি এসে বাড়ির সামনে দাড়িয়েছে ৷ গাড়ির সামনে প্রাণোর তিন বান্ধবী আর তিনটে ছেলে মিলে নাচছে৷ জুনাইদ কবির প্রাণোর বান্ধবীদের এভাবে নাচতে দেখে বেশ অবাক হয় শুধু অবাক হয়না শান আর তার বাবা৷ জুনাইদ কবির স্মিতা সাফা ঐশী কাছে এগিয়ে এসে বলে,” এই সব কি হচ্ছে ? তোমরা এখানে নাচছো কেন? বিয়ে তো হয়ে গেছে৷” জুনাইদ কবির এর কথা শেষ হতেই গাড়ি থেকে নেমে স্মরণ বলতে লাগলো, ” জামাই কো সাওগাত নেহি কারুগে শশুরজী? ”
শেরওয়ানী পড়নে স্মরণকে দেখে অবাক হয়ে যায় জুনাইদ কবির ৷
” তুমি এখানে? আর কি বলছো কে শশুর তোমার?”
” কেন আপনি? আপনার বড় মেয়ে বর এসেছে আর আপনি স্বাগত না জানিয়ে এভাবে কোশ্চেন করে যাচ্ছেন সো ব্যাড শশুরজী”
স্মরণের কথা শুনে জীবন মাহমুদ স্মরণের সামনে এসে উপস্তিত হয়৷
” এই সব কি হচ্ছে স্মরণ? এখানে সিনক্রিয়েট কেন করছো? ”
“আশ্চর্য ড্যাড আমি আমার বউকে নিয়ে যেতে এসেছি আর তুমি বলছো আমি সিনক্রিয়েট করছি?”
” কে তোমার বউ স্মরণ? প্রাণোর বিয়ে হয়ে গেছে আর ওই যে দেখছো ছেলেটি (শান কে দেখিয়ে) ও হচ্ছে প্রাণোর বর৷”
জীবন মাহমুদ এর কথা শুনে স্মরণ জোরে হেসে ফেলে তখন শান স্মরণের দিকে এগিয়ে এসে বলে,” তো মিস্টার ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ চ্যালেন্জ টা হেরে গেলে ৷ বলে ছিলাম আমাকে চ্যালেন্জে হারানো ওতোটাও সহজ না৷ দেখলে তো কেমন ভাবে হেরে গেলে? প্রাণো এখন আমার স্ত্রী৷”
শান এর কথা শুনে স্মরণ আরো জোরে জোরে হাসতে লাগলো৷ তা দেখে শান বলতে লাগলো…
” ইসস চ্যালেন্জে হেরে যাওয়ার শোকে ছেলেটা পাগল হয়ে গেল৷”
” শান পাগল আমি হয়নি আর হবো না কিন্তু পাগল হয়েছিস তুই ৷”
” আমি!”
” যখন নিজের বিবাহিত স্ত্রীর মুখ খানা দেখবি তখন নির্ঘাত পাগল হয়ে যাবি ৷”
স্মরণের কথা শুনে শান এক মুহূর্ত না দাড়িয়ে ছুটে স্টেজের কাছে আসে তার পিছু পিছু প্রত্যেকে ছুটে আসে৷ স্মরণ তাদের বন্ধুদের নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে৷ অন্য দিকে শান কাঁপা কাঁপা হাতে বউয়ের ঘোমটা সরাতে শক্টড হয়ে যায় উপস্থিত সকলে…
” সি,,সিমি তু,, তুই এখানে প্রাণোর জায়গায় বউ বেসে কেন?”
শানের কথার প্রত্ত্যুতরে সিমি হেসে দিয়ে বলে উঠলো ,” বউ বউয়ের জায়গায় থাকবে না তো কোথায় থাকবে তুমি বলো মিস্টার হাসবেন্ট ৷”
” কি সব যাতা বলছিস কে তোর হাসবেন্ট?”
” যাকে তুমি পনেরো লক্ষ টাকা দেন মোহরে কিছুক্ষণ আগে বিয়ে করলে তাকেই ভুলে গেলে শান৷”
শানের বুঝতে আর বাকি নেই স্মরণের সাথে মিলে সিমি তাকে ধোকা দিয়েছে৷ রাগে নিজের মাথার চুল টেনে ধরলো শান৷ তখনি সবাই নূপুরের আওয়াজ শুনতে পেয়ে তাকিয়ে দেখে প্রাণোকে,,,
জুনাইদ কবির প্রচন্ড রেগে প্রাণোর সামনে দাড়িয়ে কড়া গলায় প্রশ্ন করে,” এই সব কি প্রাণো? বিয়েটা আসলে কার সাথে হয়েছে ? আর তুমি বা কোথায় ছিলে এতোক্ষণ?”
” দেখতেই পাচ্ছো আব্বু বিয়েটা কার সাথে হয়েছে ? সিমি আপুর সাথে শানের বিয়ে হয়েছে৷ আর পুরো বিয়েটা হবার সময় আমি আমার রুমেই ছিলাম৷” প্রাণোর কথা শুনে পেছন থেকে নিশিতা বেগম বলে উঠলো , ” কিন্তু আমি যে তোকে বিয়ের আসরে নিয়ে আসলাম?”
” ঠিক বলেছো আম্মু তুমি আমাকে বিয়ের আসনে নিয়ে এসেছিলে কিন্তু তার পর ইলেকট্রিসিটি চলে যায় দু’মিনিটের জন্য তখনি সিমি আপু আমার জায়গায় বসে পরে আর আমি ভিতরে চলে যাই৷”
” সব জানা হয়ে গেলে শশুড় মশাই , আমরা আবার দ্বিতীয় বার আবার বিয়ে করতে চাই?”
” দ্বিতীয় বার মানে? তোমরা আগে বিয়ে করেছো স্মরণ?”(জীবন মাহমুদ)
” ইয়েস ড্যাড , প্রাণো আর আমি আগে বিয়ে করেছি ৷”
সবটা শুনে জুনাইদ কবির স্তব্ধ ৷ আশে পাশে কানা ঘুশা চলছে ৷ জীবন মাহমুদ জুনাইদ কবির সাজিত আর শান কারোর মুখে কোন কথা নেই৷ শান চ্যালেঞ্জে হেরে গিয়ে মাথায় যেন রক্ত উঠে গেছে৷ কমিশনার সাহেব এরকম নিশ্চুপ ৷ শান তার বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে বেশ অবাক হন৷ তার বাবার মুখে হাসি ৷ যেন এই বিয়েটা হওয়ায় তিনি খুব খুশি৷ শান তার বাবার দিক থেকে চোখ সরিয়ে সিমির দিকে আগুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে, ” তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড হয়ে এভাবে ঠকালি আমায় সিমি?”
সিমি স্টেজ থেকে নেমে শানের মুখোমুখি হয়ে বলে , ” তোকে আমি ঠকাই নি বরং চারটে জীবন নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়েছি শান৷ তোর তো কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত ৷ আর তুই আমাকে রাগ দেখাচ্ছিস ছিঃ৷”
শান রেগে সিমিকে থাপ্পোর মারতে নিলে কেউ একজন শান এর হাত ধরে ফেলে , শান তাকিয়ে দেখে আশিক খান৷
” তোমার সাহস কি করে হয় আমার মেয়ের গায়ে হাত তোলার?”(আশিক খান)
” আপনার মেয়ে আমাকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছে ৷ আমি এই বিয়ে মানি না ৷ আমি প্রাণোকে বিয়ে করবো এবং এখুনি…” হাত ছাড়িয়ে প্রাণোর দিকে এগোতে নিলে এক ঘুশি খেয়ে মাটিতে মুখ থুবরে পরে শান৷
স্মরণ রাগে ফুসতে ফুসতে বলতে লাগলো,” প্রাণো শুধু আমার , আমার বিবাহিত স্ত্রী৷ আমার স্ত্রীর দিকে যে নজর দিবে আমি তার জান টাই কেরে নিবো৷ ” স্মরণ আকাশ নিলয় সাগর কে ইশারা করতে তারা শানকে ধরে আটকে রাখে৷ স্মরণ প্রাণোর বাবার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো ,” আঙ্কেল আপনি রাজি হন বা না হোন প্রাণোকে আজ দ্বিতীয়বার সবার সামনে বিয়ে করবো ৷ আর আজ যে আমার পথের বাধা হওয়ার চেষ্টা করবে তাকে কিন্তু আমি ছাড়বো না সে যেই হোক না কেন?”
কথাটা বলে সবার সামনে প্রাণোকে কোলে তুলে নিয়ে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে কাজীকে বিয়ে পড়াতে বলে , কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই প্রাণো আর স্মরণের বিয়ে টা হয়ে যায়৷ শান চেয়েও বিয়েটা আটকাতে পারে না৷
অন্যদিকে জীবন মাহমুদ এর সামনে দাড়িয়ে আছে আশিক খান৷ এতো বছর পর আশিক খান কে দেখে জীবন মাহমুদ ভিতরে ভিতরে ভয় পেলেন কিন্তু তা বাইরে প্রকাশ করলেন না৷
” কেমন আছো বন্ধু?” বিদ্রুপ করে বললো আশিক খান…
” তুই এখানে কেন? মরার কি খুব শখ হয়েছে তোর?”শক্ত গলায় বললো জীবন মাহমুদ…
” তোর কি মনে হয় জীবন আমি এখন মরনে ভয় পাই? এখন তো ভয় তোর পাওয়া উচিত৷ ”
” ভয় আমার পাওয়া উচিত মানে?”
” আচ্ছা ধর তোর ছেলে স্মরণ যখন জানতে পারবে তুই ওর মায়ের খুনি ৷ তুই একটা নোংরা লোক তোর কুকর্ম সব তোর ছেলের সামনে এসে পড়লো তখন কি হবে?”
জীবন মাহমুদ শুকনো ঢোক গিলে বললো,” সেটা তুই কখনো করতে পারবি না কারণ আমি সে সুযোগ তোকে দিবো না৷ ”
” কি করবি মেরে ফেলবি? কিন্তু আমাকে মারলেও যে তোকে শাস্তি পেতে হবে জীবন কারণ তোর অল হিস্ট্রি আসল মানুষটা জেনে গেছে যার কাছে তোর ধ্বংস নিশ্চিত ৷ শুধু এতোটুকুই জেনে রাখ তোর ধ্বংসলীলা শুরু হয়ে গেছে আর সেটা তোর অজান্তে ৷ ভেবে চিন্তে পা ফেল জীবন কারণ ভুল জায়গায় পা ফেললে হয়তো তোর জীবনটাই হারিয়ে ফেলবি৷”
আশিক খান জীবন মাহমুদ এর দিকে রহস্যময় হাসি দিয়ে কমিশনার এর কাছে গিয়ে বললো,” বেয়াই সাহেব এখন কি করবেন ভেবেছেন কিছু?”
” ভাবাভাবি কি আছে ? ছেলে যখন বিয়ে করেছে তখন পুত্র সহ পুত্র বধুকে বরন করে বাড়িতে নিয়ে যাবো৷”
” মা মরা মেয়ে আমার আপনি সবটাই জানেন , আপনি মেয়েটার দিকে একটু খেয়াল রাখবেন”
” সে চিন্তা আপনাকে করতে হবে না সিমি আমার পুত্র বধু হয়ে নয় মেয়ে থাকবে৷ ”
” নিশ্চিন্ত হলাম বেয়াই সাহেব ”
_______
বিয়েটা কম্পিলিট হতেই স্মরণ প্রাণোকে কোলে তুলে নেয়৷ প্রাণো হ্যাঁ হয়ে স্মরণকে দেখছে সাথে প্রচন্ড লজ্জাও লাগছে৷ স্মরণ তাদের প্লানের বাইরে যে এগুলো করবে তা জানতো না প্রাণো৷ প্রত্যেকটা লোকের চোখ এখন স্মরণ আর প্রাণোর দিকে, বিয়ে বাড়িতে এমন ফিল্মি স্টাইলে বিয়ে সামনা সামনি কখনো দেখেনি৷ আজ যেন চাক্ষুস চোখে এমন থ্রিলার টাইপ বিয়ে দেখে সবার চোখে মুখে উচ্ছাস উপচে পড়ছে৷ জুনাইদ কবির রাগি চোখে তাকিয়ে আছে স্মরণের দিকে, ছেলেটা যে এমন মারাত্মক কিছু করবে এটা বিন্দুমাত্র ধারনা পেলে হয়তো ছেলেটাকেই গুম করে ফেলতো ৷
স্মরণ ডোন্ট কেয়ার হয়ে প্রাণোকে কোলে নিয়েই বেড়িয়ে গেল বিয়ে বাড়ি থেকে সাথে পেছন পেছন প্রিয়া সাগর স্মিতা নিলয় সাফা আকাশ ঐশী চলে গেল৷
এদিকে প্রাণোর বাবার চোখে মুখে রাগ উপচে পড়ছে তো জীবন মাহমুদ এর চোখে মুখে চিন্তার ছাপ ……
.
.
.
#চলবে………