গোধূলী_বেলার_স্মৃতি (Unexpected Story) পর্ব- ৩২ (বিবাহ ধামাকা)

0
3611

গোধূলী_বেলার_স্মৃতি (Unexpected Story)
পর্ব- ৩২ (বিবাহ ধামাকা)
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)

লাল টকটকে লাল বেনারসি পড়ে বধূ বেশে দাঁড়িয়ে আছি আমি। আজ আমার বিয়ে। ভাবতে-ই’ অবাক লাগে। রুদ্রিকের একটি কথা খুব করে মনে পড়ছে

“সবকিছু-ই’ ভাগ্য কাজল । কখন কি হয়ে কে কি বলতে পারে বল? জীবন তো অদ্ভুদ। জীবন মুহুর্তে-ই’ নিজের গতি পরিবর্তন করতে পারে। ”

রুদ্রিকের কথাটি তখন না বুঝলেও, আজকে খুব ভালো করে বুঝতে পারছি।

আমার চোখ দিয়ে অনাবরত নোনাজল গড়িয়ে-ই’ পড়ছে। আমাকে এইভাবে কাঁদতে দেখে
পার্লারের মেয়েরা কিছুটা বিরক্ত হয়।

একজন বলে উঠে,

—“ম্যাম আপনি এইভাবে কান্না করলে আপনার সাঁজটা তো নষ্ট হয়ে যাবে। ”

আমি তাচ্ছিল্যের সুরে বললাম,

—“যেখানে গোটা জীবনটা-ই’ নষ্ট হতে চলেছে,সেখানে আবার বিয়ের সাঁজ। ”

মেয়েগুলো হয়তো আমার কথা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারলো নাহ।

তখনি আমার মা রুমে প্রবেশ করে বললেন,

—-“তোমরা আপাতত যাও। ”

মায়ের কথা শুনে তারা মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো।

মা আমার কাছে এসে আমার থুত্নি উঁচু করে বললেন,

—❝মাশালাহ আমার মা টা কত্ত সুন্দর লাগছে বধু সাঁজে। ❞

আমি চুপ হয়ে রইলাম।

নিজের মেয়েকে চুপ থাকতে দেখে কাজলের মা
হতাশার সুরে বললেন,

—” মা রে আমাদের উপর রাগ করে থাকিস না। আমরা তোর ভালো চাই। সবসময়-ই’মনে রাখবি তোর বাবা-মা সবসময় তোর ভালো টাই চাইবে।
নিজের বাবার উপর রাগ করে থাকিস না। তিনি তোকে খুব ভালোবাসে। ”

আমি মায়ের দিকে অশ্রুসিক্ত চোখে তাঁকিয়ে বললাম,

—” মা আমি জানি পৃথিবীতে বাবা-মায়ের থেকে বেশি সন্তানের ভালো কেউ চাইতে পারেনা,কিন্তু তোমরা তো একটা ভূলের মধ্যে আছো। তোমাদের কেউ অনাবরত ভূল বুঝিয়ে যাচ্ছে। যা তোমরা বুঝতে পারছো নাহ। ”

মা কিছুটা কড়া কন্ঠে বললেন,

—-“অনেক কিছু শুনেছি আমি। কাজল কিছুক্ষন পরে-ই’ বরপক্ষ চলে আসবে। এইসব কথার কোনো মানে-ই’ হয়না। আমি আসছি…

কথাটি বলে মা রুম ত্যাগ করে।

_______

অন্যদিকে রুদ্রিক আজ খুব ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে আছে।কালকের রাতের প্রযেক্টে সে যথেষ্ট সাকসেসফুল। এইবার আজকের প্রযেক্টে তাকে সাকসেসফুল হতে হবে।
সে একবার নিজের ফোন অন করলো। কাজলের হাজারো মিসড কল। রুদ্রিক তা দেখে বাঁকা হেঁসে আনমনে বলে,

—❝জানেমান কিছুসময় কষ্টগুলোও আমাদের জীবনে খুব জরুরী। না চাইলেও তোকে কষ্ট পেতে হবে। ❞

কথাটি ভেবে রুদ্রিক নিজের ফোনটা বন্ধ করে, আরেকটা ফোন বের করে কাউকে ফোন করে সবকিছু বুঝিয়ে দেয়। তারপর ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে রুদ্রিক নিজের কপালে লেপ্টে থাকা চুলগুলো সরিয়ে সিটি বাজাতে বাজাতে গাড়ি ঢুকে,গাড়ি স্টার্ট দেয়। রুদ্রিকের মাথায় এখন ভয়ংকর প্ল্যান ঘুড়পাক খাচ্ছে।

ছুটকি ও ঘরে প্রবেশ করলো। বধূ বেশে তার আপাইকে সত্যি সুন্দর লাগছে। হাল্কা সোনার গয়নাতে বেশ মানিয়েছে তার আপাইকে।
লাল টকটকে গালদুটো গোলাপের মতো লাল টকটকে হয়ে রয়েছে। চোখে কাজল না থাকলে চোখে রয়েছে জলে পরিপূর্ন। ছুটকির বুকে অজানা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। তার বিয়ের ব্যাপারটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
বাবা ঠিক করেছেন ঘরোয়া ভাবে-ই’ খুব কম সংখ্যক মানুষকে নিয়ে-ই’ বিয়ের কাবিনের কাজ সেরে ফেলবেন। কিন্তু আমি কিছুতে-ই’ তনয় ভাইকে বিয়ে করতে পারবো নাহ। আমি তো রুদ্রিককে ভালোবাসি। আমার মাথা কাজ করছে নাহ। কি করবো আমি। আমার ফোনটা ও রাগে ভেঙে ফেলেছি। রুদ্রিকের সাথে যোগাযোগ করবো কীভাবে? কথাটি ভেবে আমি শব্দ করে কেঁদে দেই।

ছুটকি এগিয়ে গিয়ে কাজলের পাশে বলে,

—“আপাই। ”

আমি ছুটকির হাত ধরে বললাম,

—“আমি কি করবো রে ছুটকি? আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি নাহ।৷ বাবা-মাকে কেউ ভুল বুঝাচ্ছে রুদ্রিকের ব্যাপারে। ”

ছুটকি আমাকে শান্ত করে বলে,

—-“শান্ত হও আপাই। আমার ফোন টা নিয়ে রুদ্রিক ভাইয়াকে ফোন কর। ”

ছুটকির ফোন হাতে পেয়ে আমি তাড়াতাড়ি করে ছোটসাহেবের নাম্বারে ফোন দিলাম,কিন্তু বরাবরের মতো ফোনটা বন্ধ। আমি হতাশ হয়ে বললাম,

—-“উনার ফোন নাম্বার টা-ই’ তো বন্ধ। আমি কীভাবে যোগাযোগ করবো? ছুটকি আমি করবো টা কী? যখন-তখন বরপক্ষ চলে আসবে। ”

আমার কথা শুনে ছুটকি বলল,

—” তুই তো এমন না। তুই তো সবসময় মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করিস। তাহলে এইরকম একটা পরিস্হিতিতে অধৈর্য্য হয়ে পড়ছিস কেন? একটু শান্ত হও। ”

ছুটকির কথার মাঝে-ই’ সিথি রুমে প্রবেশ করে বলে,

—-“ছুটকি একদম ঠিক বলেছে। তোকে এইরকম ছিচকাদুনি হিসেবে একদম মানায় নাহ কাজল। তুই তো কত্ত স্ট্রং। এইভাবে কেউ কান্নাকাটি করে? ”

সিথিকে দেখে আমি ছুটে গিয়ে সিথিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললাম,

—–“ভালোবাসার এমন একটা শব্দ । যার কাছে সকলে অসহায় রে সিথি। আমি কী করে নিজের চোখের সামনে নিজের ভালোবাসাকে শেষ হয়ে যেতে দেখবো? ”

—-“আচ্ছা কাজল তোর কি নিজের ভালোবাসার প্রতি একটুও ভরসা নেই? ”

সিথির প্রশ্নে আমি বলে উঠলাম,

—-“অবশ্য-ই’ ভরসা আছে। আমি জানি আমার ভালোবাসা ঠিক কতটা খাটি। ”

—-“ভাইয়ূর প্রতি বিশ্বাস আছে তোর? ”

আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,

—-“বিশ্বাস থাকবে নাহ? উনাকে তো আমি ভালোবাসি। যাকে ভালোবাসি তার প্রতি বিশ্বাস না রেখে কি করে থাকতে পারি। ”

সিথি আমার গালে হাত রেখে বললো,

—-“তাহলে নিজের ভালোবাসার প্রতি একটু ভরসা রাখ। দেখবি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমি আসছি…”

কথাটি বলে সিথি চলে গেলো। সিথির পিছন পিছন
ছুটকি ও চলে গেলো।

___________
ইশানি শেখ আজকে অনেক খুশি। ফাইনালি আজ তার মনের আশা পূরন হবে। আজকে কাজলের বিয়ে। ভালো ভালো-ই’ বিয়েটা হয়ে গেলে ইশানি নিশ্চিন্ত। তারপর রুদ্রিক চলে আসলে, কাজলের নামে এইটা সেইটা ভূল বুঝিয়ে মিশুর সাথে এন্গেজমেন্ট করতে রাজি করিয়ে দিবে।
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
একটিবার ইকবাল শেখের মেয়ের সাথে রুদ্রিকের বিয়েটা হয়ে গেলে-ই’ ইশানি শেখের কম্পানিটা আবারো আগের জায়গায় চলে যাবে। ইশানি শেখের ভাবনার মাঝে-ই’
জেসমিন শেখ এবং আফজাল শেখ চলে আসেন।
ইশানি শেখ তাদের দেখে বলে,

—“কোথায় যাচ্ছিস তোরা? ”

আফজাল শেখ বললেন,

—-“আজকে কাজলের কাবিন। বেশ ঘরোয়া ভাবে-ই’ হচ্ছে তাই আমি ও জেসমিন ঠিক করেছি সেখানে যাবো। কাজল মা তো আমাদের মেয়েদের মতো-ই’।”

—-“শুধু তোরা দুজন-ই’ যাবি? ” (ইশানি বলল)

—-“সিথি তো কাজলের বন্ধু, তাই সিথি সকাল সকাল চলে গিয়েছে। দিয়া বোধহয় যাবে নাহ। দিয়াকে তো সকাল থেকে বাড়িতে দেখছি-ই’ নাহ।ফোনটাও ধরছে নাহ। ”

জেসমিনের কথায় ইশানি শেখ বললেন,

—-“আমিও যাবো তোমাদের সাথে। ”

ইশানির কথায় আফজাল ও জেসমিন শেখ চমকে উঠেন।

ইশানি শেখ হাঁসিমুখে বললেন,

—-“এতো অবাক হওয়ার কিছু-ই’ নেই। মতিউর আমাদের এতো পুরোনো কর্মচারী। তার মেয়ের বিশেষ দিনে আমাদের উচিৎ অংশগ্রহণ করা। ”

আফজাল শেখ অবাক হয়ে-ই’ বললেন,

—-“তোর কথাতে অবাক হলেও,তোর কথা ঠিক। তাহলে চল এখন। ”

ইশানি শেখ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়।

আমি বধূ বেশে বারন্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। প্রতিবারের মতো আজকেও গোধূলীর বেলা পড়েছে।

হাওয়ার দুপুর উড়ে যায় পালে পালে, দূরে দিগন্তে, আকাশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে একরাশ নীল। বিকেলের লাল সূর্য আলো ছড়ায় নদীর জল আর প্রকৃতিতে।
গোধুলীতো সব প্রান্তেই অস্তমিত হয়,তবু কোন কোন সন্ধ্যা ভীষন অন্যরকম,
কোন কোন বিকেল বিষন্ন কুহেলী।
আজকের গোধূলী সকলের জন্যে সুখকর হলেও আমার জন্যে আজকে এই গোধূলীর সময়টি ততোটা-ই’ বিষাদময়।

আমি আর পারছি নাহ। প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে আমার।
বাইরে থেকে বর চলে এসেছে এইরকম ‘একটি প্রতিধ্বনি ‘ কানে আসছে। তার মানে তনয় ভাই চলে এসেছে।

আমি এখন কী করবো? পালিয়ে যাবো? কিন্তু পালিয়ে চলে যাওয়া মানে তো নিজেকে ভিতু প্রমান করা। আমি তো ভিতু নই। নাহ আমি পালাবো নাহ।

আমার কথার মাঝে-ই’ আমার এক কাজিন নিপা এসে বলে,

—“কাজল আপু বর এসেছে। তোমাকে এখন আমার সাথে যেতে হবে। তুমি চলে এসো। ”

আমি এক পলক আকাশের দিকে তাঁকিয়ে আনমনে বলে উঠলাম,

—- “আপনি কথা দিয়েছিলেন রুদ্রিক। যেকোনো মূল্যে আমাদের ভালোবাসাকে আপনি আগলে রাখবেন। আপনার উপর সম্পুর্ন ভরসা রেখে-ই’ আমি বিয়ের আসরে গিয়ে বসছি। ”

কথাটি বলে আমি নিপার সাথে চলে গেলাম।

কাজলকে তনয়ের পাশে বসানো হলো।
নিতিয়া ও খুব খুশি তনয় এবং কাজলের বিয়েতে।

তনয় একপলক কাজলকে দেখে নিলো। কাজলকে দেখে-ই’ তার বুক ধক করে উঠলো। দেখে-ই’ বুঝা যাচ্ছে কাজল সারারাত কান্না করেছে। তনয় ও বুঝতে পারছে যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে নাহ।

ছুটকি দূর থেকে-ই’ কাজল ও তনয় দেখে যাচ্ছে। তনয়কে বরের বেশে বেশ মানিয়েছে। দুজনকে একসাথে দেখে ছুটকির বুকে মোচর দিয়ে উঠলো।

ইশানি শেখ ও চলে এসেছেন। মতিউর রাহমান ইশানি শেখ ও আফজাল শেখকে দেখে তাদের বসার
বিশেষ জায়গা করে দেন। ইশানি শেখ তো খুব খুশি।

কাজি সাহেব ও চলে এসেছেন। মতিউর রাহমান ইশানি শেখকে একপ্রকার দেখিয়ে-ই’ কাজি সাহেবের কাছে গিয়ে বললেন,

—“কাজি সাহেব আপনি শুর‍ু করুন। ”

এদিকে আমার অবস্হা নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে। আমার বিয়েটা কী এইবার সত্যি হয়ে যাবে?

আমি সিথির দিকে তাঁকানোর সাথে সাথে সে আমাকে চোখের ইশারায় শান্ত হতে বলে,কিন্তু আমি শান্ত হতে পারছি নাহ। কী হবে এখন?

মতিউর রহমানের কথা শুনে কাজি সাহেব বিয়ের পেপার রেডি করতে যাবেন তখনি বাইরে থেকে বড় বড় লাউড স্পিকারে গান বেজে উঠে,

Tere ghar aaya main aaya tujhko lene
Dil ke badle mein dil ka nazraana dene
Tere ghar aaya main aaya tujhko lene
Dil ke badle mein dil ka nazraana dene
Meri har dhadkan kya bole hai
Sun sun sun sun

Saajanji ghar aaye
Saajanji ghar aaye
Dulhan kyon sharmaaye
Saajanji ghar aaye

বাইরে এতো জোড়ে গান শুনতে পেয়ে সবাই তনয়সহ কাজলের বাবা-মা,ইশানি, আফজাল শেখসহ বাইরে একপ্রকার ছুটে গিয়ে, যেনো একপ্রকাস স্তব্ধ হয়ে যায়।

সাদিসহ রুদ্রিকের অনেক বন্ধুরা গান বাজনার ব্যান্ড নিয়ে একপ্রকার বরপক্ষের মতো নাঁচতে নাঁচতে কাজলদের বাড়ির গেটে প্রবেশ করছে। সাথে দিয়া ও লাজুকও রয়েছে।

দিয়া নাঁচের তালে লাজুকের সাথে সেল্ফি তুলছে।

মিউজিক বক্সে জোড়ে জোড়ে গান বেজে চলেছে।

রুদ্রিকের বাবা এগিয়ে এসে বলল,

—“সাদি এইসব কি হচ্ছে? তোমরা এখানে কেন? ”

—“কেনো আবার আমরা-ই’ তো বরপক্ষ। তাই একটু নাঁচানাঁচি করছি। ” (সাদি বলল)

—-“মানে টা কী এইসবের? ”

কাজলের বাবার কথার মাঝে-ই’ পলক বলে উঠে,

—“আসল বর চলে আসলে-ই’ বুঝতে পারবেন।”

তনয় এগিয়ে এসে,

—“আসল বর কে? কি হচ্ছে কি এখানে? ”

তনয়ের কথা বলার সাথে সাথে রুদ্রিকের কালো গাড়িটি গেটে প্রবেশ করে যা ফুলে পরিপূর্ন।

গাড়ি থেকে রুদ্রিক একদম একটা স্টাইল নিয়ে বেড়িয়ে আসে। তাকে দেখে সবাই যেনো আরেকদফা চমকে উঠে। কেননা তার গাঁয়ে বিয়ের ব্লাক হোয়াইট স্টোনের কমবিনেশনে দামী কালো শেরওয়ানী। চুলগুলো হাওয়া-ই’ উড়ছে। মুখে বরাবরের মতো সেই বাঁকা দাঁতের হাঁসি। রুদ্রিক নিজের সানগ্লাস টা পড়ে নেয়।

কাজলের কাজিনরা ড্যাভড্যাব করে রুদ্রিককে দেখে যাচ্ছে।

ইশানি শেখ ও এইসময় রুদ্রিককে আশা করেনি।

রুদ্রিক এসেছে শুনে আমিও বাইরে চলে আসলাম।

রুদ্রিককে দেখে যেনো আমার কলিজাটা ঠান্ডা হয়ে গেলো। রুদ্রিক তার কথা রেখেছে। আমি হেঁসে উঠলাম।

আফজাল শেখ বললেন,

—“রুদ্রিক তোমার এইরকম পোষাকের মানে কি? ”

রুদ্রিক বাঁকা হেঁসে বলে,

—“আজকে তো আমার বিয়ে। তাই আমার এইরকম
পোষাক। ”

ইশানি শেখ বললেন,

—“কিসব বলছো রুদ্রিক? আমি সত্যি বুঝতে পারছি নাহ। ”

রুদ্রিক একপলক কাজলকের দিকে তাঁকিয়ে বলল,

—-“মানে টা খুব-ই’ সিম্পল। আজকে কাজলের বিয়ে তো হবে-ই’ কিন্তু আমার সাথে হবে। ”

কথাটি বলে রুদ্রিক এগিয়ে সকলের সামনে কাজলকে পাজকোলে তুলে নেয়। সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। আমি রুদ্রিকের গলা জড়িয়ে ধরি।

—-“তোমার রুদ্রিক তার কথা রেখেছে জানেমান। ”

বাকীটা আগামী পর্বে……

চলবে কী?

(সবার ঝটকা কেমন লাগলো 😁। আমি সবসময়-ই’ বলি আমার উপর একটু ভরসা রাখুন হুহ 😛।
ঝটকা যেহুতু দিলাম বড় একটা কমেন্ট করে দিয়েন। আপনারা তো আবার কিপটামি করেন 🥱)

লেখিকা ঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here