গোধূলী_বেলার_স্মৃতি (Unexpected Story)
পর্ব- ৩৩ (শুভ বিবাহ)
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
—“কাজিসাহেব আপনি বিয়ের কাজ শুরু করুন। এখন এই মুহুর্তে আমাদের বিয়ে হবে তাও সকলের সামনে।” কথাটি বলে রুদ্রিক আমাকে চোখ টিপ দেয়। আমি রুদ্রিকের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে থাকে। রুদ্রিক সত্যি আজ তার কথা রেখেছে।
রুদ্রিক সাদি এবং বাকিদের ইশারা করে। সাদি রুদ্রিকের ইশারা অনুযায়ী স্টেজে গিয়ে কিছু লোকদের দিয়ে স্টেজের ভিতরে একটা বড় সাদা পর্দা টানিয়ে দেয়। পর্দার দুইপাশে একটি আসন বরের জন্যে। অপরপাশে কনের জন্যে রেখে দেয়।
তনয় বলে উঠলো,
—“তোমার সাথে আজকে কাজলের বিয়ে মানে? ”
রুদ্রিক কাজলের দিকে তাঁকিয়ে বলল,
—-“হুম আজকে আমাদের বিয়ে। সকলের সামনে-ই’ আমাদের বিয়ে হবে। ”
কথাটি বলে ছোট সাহেবকে আমাকে নিয়ে যেতে নিলে, তনয় ভাই মাঝখানে দাঁড়িয়ে এসে বললেন,
—-” ওয়েট রুদ্রিক আমাকে সবকিছু ভালো করে বুঝতে দাও। আজকে আমার সাথে কাজলের বিয়ের কথা ছিলো। ”
রুদ্রিক আমাকে কোল থেকে নামিয়ে, তনয় ভাইয়ের কাছে গিয়ে তনয় ভাইয়ের গলার শেরওয়ানীটা ঠিক করে কিছুটা ক্ষিপ্ত কন্ঠে বললেন,
—-“মিঃ তনয় নিজের রাস্তা ছেড়ে কখনো অন্য কারোর রাস্তায় বাঁধা হতে যাবেন নাহ। বিশেষ করে রাফসিন শেখ রুদ্রিকের রাস্তায় তো একদম-ই’ নাহ।
কেননা এর ফল এতোটা-ই’ ভয়ানক হবে যা আপনার কল্পনার বাহিরে। ”
ইশানি শেখ এইবার এগিয়ে এসে বললেন,
—“রুদ্রিক আমার বাচ্ছাটা এইসব ছেলে-মানুষির মানে কি? ”
ইশানি শেখকে থামিয়ে রুদ্রিক রাগান্বিত কন্ঠে বললেন,
—-“মিস ইশানি শেখ আপনি অন্তত এখন কোনো কথা বলবেন নাহ। আপনি কি ভেবেছেন আপনি এতো বড় ষড়যন্ত্র করেছেন আমাকে এবং কাজলকে আলাদা করতে,কিন্তু আমি তা কিছুতে-ই’ জানবো নাহ?”
ইশানি শেখ চমকে উঠেন। এই প্রথম তাকে রুদ্রিক তার নাম ধরে ডেকেছে তার মানে রুদ্রিক সবকিছু-ই’ জানে।
রুদ্রিকের কথায় মতিউর রাহমান বললেন,
—-“ছোটসাহেব তার মানে তুমি সবকিছু-ই’ জানো? ”
রুদ্রিক বাঁকা হেঁসে বলল,
—“ইয়েস আমি সবকিছু-ই’ জানি। ”
আফজাল শেখ বললেন,
—“আমার কাছে বিষয়টা কেউ ক্লিয়ার করে কেউ বলবে? ”
—-“মিস ইশানি শেখ ভেবেছিলেন আমার নামে কাজলের বাবা অর্থাৎ আমার শ্বশুড়জ্বীকে আমার নামে এইটা সেইটা ভূল বুঝিয়ে কাজলের সাথে তনয়ের বিয়ে ব্যবস্হা করবেন। যাতে আমি যখন ফিরে আসবো তখন যেনো আমাকে উনি কাজলের নামে মিথ্যে ভূল বুঝিয়ে কোনোরকম মিঃ ইকবাল শেখের সাথে মেয়ের সাথে বিয়েটা দিতে পারেন। উনার প্ল্যান মতো আজকে তনয়ের সাথে কাজলের বিয়েটা হতে যাচ্ছিলো,কিন্তু মাঝখান থেকে আমি এসে ইশানি শেখের প্ল্যানের বারোটা বাজিয়ে দিলাম।”
আমি রুদ্রিকের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললাম,
—-“কিন্তু আপনি এতোকিছু কী করে জানলেন? ”
উনি আমার দিকে ঝুঁকে বললেন,
—-“জানেমান এইসবকিছু জানা আমার কাছে কোনো ব্যাপার ছিলো নাহ,তবুও যখন জানতে চাইছো তখন বলি। আমি যখন ইশানি শেখের সাথে অফিসে দেখা করে ফিরে আসছিলাম তখন আমি খেয়াল করি মতিউর আংকেল ইশানি শেখের কেবিনে রুমে প্রবেশ করছেন।
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
তখনি আমার চোখ চলে গেলো ইশানি শেখের কেবিনের সিসিটিভির ফুটেজের দিকে। আমার কেমন যেনো খটকা লাগলো, তাই আমি ব্যাপারটা খুঁটিয়ে দেখার জন্যে
কেবিনের কাছে গেলাম,তখনি আমার কানে ইশানি শেখের কথা কানে চলে আসলো। ”
রুদ্রিকের কথার মাঝে-ই’ সাদি বলে উঠলো,
—“তারপর রুদ্রিক আমাদের সবাইকে নিয়ে এই বিয়ের প্ল্যানটা করে নিলো।”
দিয়াও হাত নাড়িয়ে বলল,
—-” আমিও এবং নাকবোচা এ্যাসিস্টেন্ট ও কিন্তু আছি এই প্লেনে। ”
লাজুক মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করে বলে,
—“দিয়া ম্যাম এখানে ও কি আমার এই নামটা না নিলে হতো নাহ? ”
দিয়া মুখ বেঁকিয়ে বলে,
—“নাহ হতো নাহ হুহ। ”
সিথিও মিটিমিটি হাঁসছে।
আমি এইবার সিথির দিকে চোখ পাঁকিয়ে বললাম,
—“তারমানে তুই ও সবকিছু জানিস? তাহলে আমাকে বলিস নি কেন? ”
সিথি হাঁসি থামিয়ে বলল,
—“বলে ফেললে সারপ্রাইজ থাকবে কীভাবে? ”
জেসমিন শেখ বললেন,
—-“রুদ্রিক তুমি এবং কাজল একে-অপরকে ভালোবাসো তা তো আমরা জানতাম-ই’ নাহ। ইশানি আপা তো উল্টো আমাদের বলেছেন তুমি বিয়েতে রাজি। ”
রুদ্রিক ইশানি শেখের তাঁকিয়ে বললেন,
“উনি আমাকেও ভূল বুঝিয়েছেন। আসলে উনি চাইছিলেন কোনোভাবে আমার সাথে ইকবাল শেখের মেয়ের বিয়ে দিয়ে, কম্পানিকে আবারো আগের পজিশনে নিয়ে যেতে। যেহুতু কম্পানির অবস্হা খারাপ তাই। উনি জাস্ট আমাকে ব্যবহার করতে চাইছিলেন। ”
আফজাল শেখ মাথা নিচু করে বললেন,
—“ছিহ ইশানি আমি ভাবতেও পারছি নাহ। কম্পানির জন্যে তুই শেষে কিনা রুদ্রিককে ব্যবহার করেছিস? ”
ইশানি শেখ বললেন,
—-“আমি কম্পানির জন্যে বিয়েটা দিতে চাইনি। রুদ্রিক আমার কথাটি বিশ্বাস করো…
ইশানি শেখকে থামিয়ে রুদ্রিক বলে উঠলো,
—-“মিস ইশানি একটা কথা কী জানেন?
বিশ্বাস হলো সুক্ষ্য কাঁচের মতো। একবার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে তা কখনো জোড়া লাগে নাহ। তেমনি
আপনিও আজ আমার বিশ্বাসে আঘাত করে আমাদের সম্পর্কটা ভেঙ্গে ফেলেছেন। আপনি এখন আসতে পারেন। ”
ইশানি জানে এখন কিছু বলে লাভ নেই তাই সে যত দ্রুত সম্ভব বেড়িয়ে পড়েন।
ইশানি শেখ চলে যেতে-ই’ রুদ্রিক কাজলের দিকে তাঁকিয়ে বলে,
—“স্টেজের দিকে যাওয়া যাক..
—‘এক মিনিটি ‘ কথাটি বলে
আমি তনয় ভাইয়ের কাছে অনুরোধের সুরে বললাম,
—“তনয় ভাই আজকে যা কিছু হলো তাঁতে আপনি বোধহয় কিছুটা অপামানিত হয়েছেন,কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনাকে অপমান করার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিলো নাহ। আমি নিরুপায়। ”
তনয় হাঁসিমুখে বলল,
—“তুমি যদি রুদ্রিকের সাথে খুশি থাকো তাহলে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে? আমি জানি তুমি রুদ্রিকের সাথে ভালো থাকবে। এইটা কথা কি জানো তো কাজলরেখা? ‘ভালোবাসার মানুষ জীবনে থাকার চেয়ে ভালো রাখার মানুষটির থাকার বেশি প্রয়োজন। ‘
(লেখিকাঃ রিমি)
তনয় ভাইয়ের কথা শুনে যেনো আমি স্বস্হি পেলাম।
আমি নির্ভয়ে রুদ্রিকের কাছে গিয়ে, রুদ্রিকের হাতে হাত রেখে স্টেজে পা রাখি।
মতিউর রহমান কিছু বলবে তার আগে-ই’ আফজাল শেখ এগিয়ে এসে বললেন,
—“যা হচ্ছে হতে দাও মতিউর। আমার ছেলে যা চাইছে তা-ই’ হোক। ”
মতিউর রহমান আফজাল শেখের দিকে তাঁকিয়ে বললেন,
—“বড় সাহেব আপনি এই কথাগুলো বলছেন? ”
আফজাল শেখ বললেন,
—-“হুম আমি চাই আমার ছেলে সুখি থাকুক। আমার ছেলে এমনিতে অনেক ভালো। আজ শুধু আমাদের কিছু ভূলের জন্যে রুদ্রিক অন্যরকম হয়ে গিয়েছে,কিন্তু এখন কাজল মা চলে এসেছে রুদ্রিকের জীবনে। এখন সব ঠিক হয়ে যাবে। ”
জেসমিন শেখ ও এগিয়ে এসে বললেন,
—“কাজলকে আমার সবসময়-ই’ ভালো লাগে। কাজল আমাদের বাড়ির বউ হলে, আমি জানি কাজল সবকিছু ঠিক করে দিবে।”
মতিউর রহমান যেনো আফজাল শেখ ও জেসমিন শেখের স্বস্হি পেলেন।
দিয়া পিপি ও সিথি মিলে
আমাকে পর্দার এক পাশে বসিয়ে দেয়।
রুদ্রিককেও সাদি ও তার বন্ধুরা তাকে পর্দার আরেকপাশে বসিয়ে দিলো।
কাজি সাহেব এসে বিয়ের কার্যকম শুরু করে দিলেন।
কাজি সাহেব বিয়ের পেপার সাইন করতে বললেন
রুদ্রিক ও কাজল দুজনে-ই’ সাইন করে দিলো।
অবশেষে আপাই তার ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পেলো কথাটি ভেবে ছুটকি খুশি হয়ে উঠে। এছাডাও ছুটকির খুশি হওয়ার বিশেষ কারন আছে। ছুটকি বুঝে গেছে ছুটকির মনে তনয়ের জন্যে আলাদা ভালোলাগার জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে।
ছুটকি একপলক তনয়ের দিকে তাঁকায়।
তনয় কাজলকে দেখে যাচ্ছে,কিছুক্ষন আগেও মেয়েটার চোখ জলে পরিপূর্ন ছিলো। অথচ এখন কি সুন্দর হাঁসছে। সত্যি কাজল রুদ্রিকের সাথে-ই’ ভালো থাকবে। কথাটি ভেবে তনয় দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
নিতিয়া তনয়ের দিকে এগিয়ে এসে বলে,
—-“ভাইয়া তুমি ঠিক আছো?”
তনয় কিছুটা ক্লান্তিমাখা হাঁসি দিয়ে বলল,
—-“আমি একদম ঠিক আছি। তুই থাক বিয়েটা ইঞ্জয় কর। আমি বরং একটু ছাঁদের থেকে আসছি…
কথাটি বলে তনয় ছাদের উদ্দেশ্য পা বাড়ায়।
—“ভাইয়া আমার কথাটা তো শুনো যাক বাবা চলে গেলো।”
কাজি সাহেব আমাকে কবুল বলতে বললেন। আমার হাত-পা অনাবরত কাঁপছে। যদিও জীবনের এইরকম একটা পর্যায়ে এসে সকল মেয়ের অবস্হা-ই’ খারাপ হয়ে যায়। তবুও আমার যেনো বেশি করে হাত-পা কেঁপে চলেছে।
রুদ্রিক পর্দার অপরপাশ থেকেও কাজলের অবস্হা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি। তাই মৃদ্যু হেঁসে বলল,
—“কাজল ডোন্ট বি নার্ভাস ওকে? আমি তোমার স্বামী হয়ে পাশে থাকবো সময়ময় তোমার। তুমি শুধু আমাদের ভালোবাসা এবং তোমার রুদ্রিকের অপর ভরসা রেখে কবুল বলে ফেলো।দেখবে তোমার মধ্যে নার্ভাসনেস কাজ করবে নাহ। ”
রুদ্রিকের কথা শুনে যেনো আমি যেনো আমি ভরসা পেলাম। সত্যিতো কবুল বলার এইরকম একটা পর্যায়ে আমাকে নার্ভাস হলে চলবে নাহ।
আমি মাথা নিচু করে রুদ্রিককে উদ্দেশ্য করে বললাম,
—“আপনি ঠিক বলেছেন।শুধুমাত্র এই কবুল শব্দের মাধ্যেমে আমরা বিয়ের মতো একটি পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাবো সারাজীবনের জন্যে। কবুল শব্দটি খুব বিশেষ ভূমিকা রাখে একটি বিয়ের জন্যে। আপনি শুধু আমার পাশে থাকুন। তাতে-ই’ চলবে। ”
রুদ্রিক হাঁসে। পর্দার মাঝখান দিয়েও তার বাঁকা দাঁতের হাঁসি আমার মধ্যে ভালোবাসার ঢেউ খেলিয়ে দিলো। আমি মুঁচকি হাঁসি দিয়ে ‘কবুল ‘ বলে ফেললাম।
রুদ্রিক হাঁসে যাকে বলে প্রাপ্তির হাঁসি। রুদ্রিক ও কবুল বলে ফেললো।
সবাই একসাথে
‘আলহামদুলিল্লাহ ‘বলে উঠলো। অবশেষে রুদ্রিক এবং কাজলের বিয়ে সম্পূর্ন হলো।
আমাকে এবং রুদ্রিককে এক-ই’ স্টেজে বসানো হলো।
রুদ্রিক আমার কাছে এসে আমার মেহেদী রাঙা হাতের অনামিকায় স্বর্নের একটি আংটি পড়িয়ে দিলেন।
উনি হাঁসিমুখে বললেন,
—“আমাদের বিয়ের ছোট্ট একটি উপহার। এই উপহার কিন্তু আপনার স্বামী নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে কিনেছে। ”
আমি বলে উঠলাম,
—“খুব সুন্দর আন্টি। আমার স্বামীর দেওয়া প্রতিটি উপহার আমার কাছে বিশেষ। আপনাকে আমি স্বামী হিসেবে এইটাই আমার কাছে সারাজীবনের পরম পাওয়া। ”
আমার কপালে চুমু খেয়ে বলল,
—-” জানো কাজল? আজকে আমি সব থেকে খুশি। তুমি শুধু আমার ভালোবাসার মানুষ-ই’ নও বরং তুমি আজকে থেকে আমার স্ত্রী আমার অর্ধঙ্গিনী। নিজের ভালোবাসার মানুষকে নিজের স্ত্রী রুপে পাওয়া কম ভাগ্যের ব্যাপার নয়। ”
আমি মুঁচকি হাঁসলাম। উনিও হেঁসে দিলেন।
সবাই মুগ্ধতা নিয়ে রুদ্রিক এবং কাজলকে দেখছে।
_________
আমি বাবা-মায়ের কাছে তাদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম।
বাবা কেঁদে বললেন,
—“সুখি হও মা। ”
মা ও কেঁদে দিলেন। ছুটকি ও আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।
আমি বড়সাহেব ও বড়ম্যাম সাহেবের কাছে দোয়া চাইলাম।
বড় ম্যামসাহেব আমার কপালে চুমু খেয়ে বললেন,
—“আমার ছেলের দায়িত্ব কিন্তু এখন তোমার। আমাদ ছেলেকে দেখো মা। আমার ছেলেটা বড্ড অবুঝ।”
আমি বলে উঠলাম,
—“আমাকে দোয়া করবেন। ”
রুদ্রিক কাজলকে কিছুটা তাড়া দিয়ে-ই’ বলল,
—“কাজল আমাদের যেতে হবে। ”
আমি মাথা নাড়ালাম
বাবা-মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে আমি রুদ্রিকের গাড়িতে উঠে পড়লাম।
তনয় ছাদ থেকে-ই’ কাজলকে বিদায় দিলো। সত্যি জীবন বড়-ই’ অদ্ভুদ। তনয়ের ভাবনার মাঝে-ই’ তনয় খেয়াল করে তার পাশে ছুটকি দাঁড়িয়ে আছে।
আমাদের গাড়ি চলল ‘মায়া কুঞ্জ ‘ বাড়ির উদ্দেশ্যে। রুদ্রিক ঠিক করেছে মায়া কুঞ্জ বাড়িতে-ই’ একেবারে বৌভাত সেরে আসবে।
আমাদের গাড়ি এসে ‘মায়া কুঞ্জ ‘ বাড়ির সামনে থামলো।
—-“নেমে পড়ো জানেমান। আজকে থেকে আমাদের জীবনের নতুন পথচলা না হয় ‘মায়া কুঞ্জ ‘ বাড়ি থেকে-ই’ শুরু হোক। ”
রুদ্রিক হাঁসিমুখে কথাটি বলে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। আমি বাড়িটির দিকে তাঁকিয়ে মুঁচকি হাঁসলাম। একদিন বলেছিলাম ছোট সাহেব যখন আমাকে নিজে এই বাড়িতে নিয়ে আসবে তখনি আমি এই বাড়িতে আসবো।
কথাটি ভেবে আমি রুদ্রিকের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম।
বাকীটা আগামী পর্বে…..
চলবে কী?
(অবশেষে বিয়েটা দিয়ে-ই’ দিলাম এইবার খুশি তো 🥱… বিয়েতে দাওয়াত না দিতে পারলেও সবাইকে বৌভাতে দাওয়াত দিলাম। সবাই আসিয়েন
দয়া করিয়া গিফ্ট ছাড়া কেউ আসবেন নাহ হুহ 🥱।
তার আগে সবাই আগে কমেন্ট করেন হুহ 😛)
লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস রিমি