#চেরি_ব্লসমের_সাথে_এক_সন্ধ্যা
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ৩৬
____________
হলরুমে সবাই উপস্থিত। রেশমী, সাদাত, জায়িন, ক্যামিলা সবাই। রাবার্তা নেই। নিজ বাড়িতে গিয়েছে সন্ধ্যা নাগাদ। রেশমীর সামনে নত মুখে দাঁড়িয়ে আছে জোহান। সাদাত কিছুটা ওদিকে সরে দাঁড়ানো। জায়িনও কিছুটা দূরে। এর মাঝে সবাই চুপ, কেবল রেশমী উচ্চ গলায় কথা শোনাচ্ছে জোহানকে। তার মেজাজ অতিরিক্ত খারাপ। আজকে আবার মারামারি করেছে জোহান। তাও আবার জনবহুল স্থানে। ভাগ্যিস ক্লাবে একজন পরিচিত ব্যক্তি মারামারিটা গুরুতর হওয়ার আগেই ইনফর্ম করেছিল তার কাছে। ক্লাবে মারামারির খবরটা পেয়েই ক্লাবে গিয়ে ক্যামিলা নিয়ে এসেছে জোহানকে। নয়তো এই মারামারির জন্য আজকে পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত যেতে হতো। ছেলেটা দিনকে দিন এত উগ্র হয়ে যাচ্ছে যে তার ধৈর্যের বাধ ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে।
মিতুল এখনও সিঁড়ির বাকি ধাপগুলো অতিক্রম করে হলরুমে পা ফেলেনি। সিঁড়িতেই দাঁড়িয়ে আছে। চোখ জোড়াতে ভয়, আতঙ্ক ছেয়ে আছে। আর সেই সাথে মায়ার আনাগোনা। মায়া হচ্ছে ওর জোহানের জন্য। জোহানের মার খাওয়া চেহারা দেখে কষ্ট হচ্ছে ওর। বুকে চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে। কেন যেন সহ্যই করতে পারছে না। এতক্ষণ জোহানের চেহারাতেই ডুবে ছিল মিতুল। রেশমী আন্টির তির্যক কণ্ঠে জাগতিক হুঁশে ফিরে এলো এবার।
রেশমী আন্টি জোহানকে তিরিক্ষি, ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলছেন,
“তুমি কি শপথ নিয়েছো যে তুমি জীবনেও শুধরাবে না, সারাজীবন উশৃঙ্খল আর উগ্রই থাকবে? আর কত? আর কতবার এমন করবে তুমি? বার বার নিষেধ করেছি তোমায়। তোমাকে বলেছিলাম না ওরা যত যাই করুক না কেন তুমি চুপ থাকবে সব সময়? ওরা মারলে চুপচাপ হজম করবে সেটা। তাহলে ওরা নিজেরাই এক সময় অতিষ্ট হয়ে তোমায় বিরক্ত করা বন্ধ করে দেবে। তুমি…”
“তাই মম? এটাই বলেছিলে তুমি আমাকে?”
জোহান মমের কথার মাঝেই কথা বলে উঠলো। নিচু করে রাখা মাথা তুলে মমের দিকে তাকালো সরাসরি।
“নয়তো কী বলেছিলাম? বার বার এটাই বুঝিয়েছি তোমাকে। কিন্তু না, তোমাকে এটা বুঝিয়ে বলেও কোনো লাভ হলো না। তুমি শোনোনি আমার কথা। তুমি তো কথা শোনার ছেলে নও। তুমিও ওদের সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে বেড়াচ্ছ ওদের। তুমি নিজেই একবার ভেবে দেখো জোহান, কতটা উশৃঙ্খল জীবনযাপন করছো তুমি। তোমার এই মারামারির ঝামেলার জন্য পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে গেছো তুমি আমাদের। বলো, এত উগ্র, বাজে কেন হয়েছো তুমি? তোমার এমন উশৃঙ্খলতার জন্য একদিন লোকের কাছেই মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়বে আমাদের!”
জোহান ম্লান হাসলো। ওর দৃষ্টি এখনও মমের উপর নিবদ্ধ। লাল হয়ে থাকা চোখ দুটোতে হঠাৎ পানি এসে ভীড় জমালো ওর। বললো,
“আমার এমন জীবন-যাপন করার জন্য তুমি নিজেই কি দায়ী নও মম? উগ্র! বাজে! আমি তো এমন ছিলাম না মম। হয়ে গেছি হঠাৎ করে। নিজ ইচ্ছাতেই হয়ে গিয়েছি।”
বিরতি নিলো জোহান। তারপর বললো,
“…’আমি চুপ থাকলে ওরা এক সময় অতিষ্ঠ হয়ে আমাকে বিরক্ত করা বন্ধ করে দেবে’ হ্যাঁ, এই কথা তুমি বলেছিলে আমায়। কিন্তু সেটা আগের কথা ছিল তোমার। এরপর তো অন্য কিছু বলেছিলে তুমি। তোমার এর পরের কথা ছিল,
“…’নিজের ঝামেলা নিজে মেটাতে পারো না তুমি? তোমার এই ঝামেলা নিয়ে বসে থাকার মতো সময় আমার হাতে নেই। ওরা তোমাকে মারে, তুমি পারো কী? এরপর আর কোনো কমপ্লেইন করবে না আমার কাছে। নিজেরটা নিজে বুঝে নাও’। এটাই তো বলেছিলে তুমি।”
রেশমী ছেলের কথা শুনে বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে গেল। নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। তার ছেলে এগারো বছর আগে, তার বলা কথাকে হুবহু অনুকরণ করেছে। এগারো বছর আগে ছেলেকে এই কথাগুলো বলেছিল সে। জোহান এই কথাগুলো এগারো বছর ধরে ঠিকঠাক মনে রেখেছে!
“তোমার ওই কথার জন্যই আমি পাল্টে গিয়েছি মম। অন্যরকম হয়ে গিয়েছি আমি। আগের জোহানের থেকে পুরো ভিন্ন। আগের জোহান কেমন ছিল? শান্ত, নম্র, ভদ্র। সব সময় নীরব শান্তশিষ্ট থাকতো। কারো দিকে তাকিয়ে কথা বলতেও হাজার বার ভাবতো।
আর আজকের জোহান? তোমার ওই কথার জন্যই আগের সেই শান্ত, নীরব জোহানের থেকে আজকের এই জোহান সৃষ্টি হয়েছে। তোমার ওই কথার পর থেকেই বেশ চঞ্চল হয়ে উঠেছি আমি। তোমাদের ভাষায় ‘উগ্র এবং উশৃঙ্খল’!
ঠিক আছে মম, তোমার পরের কথা না হয় বাদ দিলাম। আগের কথাটাই ধরি। আমি চুপ থাকলে ওরা আমাকে বিরক্ত করা বন্ধ করে দেবে। হ্যাঁ চুপই তো ছিলাম আমি। দিনের পর দিন মার খেয়েও মাথা তুলে একটা কথা বলিনি ওদের। কিন্তু কী হয়েছিল তাতে? ওরা কি আমাকে মারা বন্ধ করে দিয়েছিল? না। বরং আরও সুযোগ পেয়ে বসেছিল। আর সুযোগটা মূলত তুমিই সৃষ্টি করে দিয়েছিলে। প্রথম প্রথম যখন আমি তোমাকে এসে বলেছিলাম, স্কুলের কিছু ছেলেরা বাজে বিহেভ করে আমার সাথে। তখন তুমি গ্রাহ্য করলে না সেসব। বললে, ‘ওরকম হতেই পারে। মানিয়ে নাও।’
ধীরে ধীরে যখন ওরা আরও বাজে হয়ে উঠলো। মারলো আমাকে। তখন বললে, ‘দুই একটা চড় থাপ্পড়ে কী হয়? চুপচাপ মার খাও। তোমার নীরবতা দেখে বিরক্ত হয়ে ওরা নিজেরাই চলে যাবে।’
বেশ, তোমার কথা মতো থাকলাম আমি চুপ। নিয়ম করে চুপ থাকলাম, নিয়ম করে মার খেলাম, অপদস্থ হলাম, আর নিয়ম করে তোমার কাছে কমপ্লেইন জানাতে থাকলাম। আর তুমিও নিয়ম করে তোমার ধরা বাঁধা কথাগুলো শোনাতে লাগলে বিরক্ত কণ্ঠে।”
এই পর্যন্ত বলে থামলো জোহান।
মিতুলের মাথায় সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। কী শুনছে এসব?
জোহান আবার বলতে শুরু করলো,
“একটা বাচ্চা স্কুল বুলিংয়ের স্বীকার হলে তার পাশে সবার আগে কে থাকে? তার পরিবার থাকে। তুমি কি আমার পাশে ছিলে মম? তুমি সব কিছু জানার পরেও কি কোনো দিন জানতে চেয়েছিলে আমার স্কুলে থাকাকালীন সময়গুলো কীভাবে পার হয়? তুমি কি কোনো দিন বুঝতে চেষ্টা করেছিলে আমার মানসিক অবস্থা? তুমি কি কখনো একটু খোঁজ নিয়েছিলে, আমি ভালো আছি কি না? বুলিংয়ের জন্য তুমি কি কোনো দিন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলে? কোনো টিচারের সাথে কথা বলেছিলে এ ব্যাপারে? আমি ছোট হয়েও এটা বুঝতাম যে, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এটা জানানো উচিত। বার বার তোমাকে অভিযোগ করতে বলতাম আমার স্কুলে। এই প্রব্লেমটা সলভ করে দিতে বলতাম তোমাকে। কিন্তু তুমি কিছুই করোনি! কিছু করবে কীভাবে, তুমি তো আমার সাথে হওয়া বুলিংয়ের ব্যাপারটাকে কোনো দিন গুরুত্বই দাওনি! এমনকি এ ব্যাপারে আমার ড্যাডকে জানতেও নিষেধ করে দিয়েছো আমায়। ড্যাড তো অফিস নিয়েই ব্যস্ত থাকতো সারাদিন। খুব কমই সে অবসর সময় কাটাতো। রাতে ড্যাড বাড়িতে ফিরতো। আর তুমি বিকেলেই নিষেধ করে দিতে যেন ড্যাডের কানে আমার স্কুল সম্পর্কিত কিছুই না পৌঁছায়। আমিও বলতাম না কিছু ড্যাডকে। চাইতাম না ড্যাড সারাদিন কাজ করে এসে আবার এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করুক। ড্যাড আমার মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখে কিছু জিজ্ঞেস করলে নানা ভাবে মিথ্যা বলে আমি কাটিয়ে নিতাম ব্যাপারটা। আর সবচেয়ে বড়ো কথা হলো, আমি চাইতাম না আমার এই ব্যাপারটা ড্যাড সলভ করুক। আমি সবসময় সব কিছুতে তোমাকে আমার পাশে চাইতাম। চেয়েছিলাম তুমি সলভ করো এই ব্যাপারটা। কিন্তু তুমি বড্ড উদাসী ছিলে আমার প্রতি। আমার কোনো কিছুতেই আগ্রহ দেখাতে না তুমি। গ্রাহ্য করতে না! আমি বলেছিলাম যদি আমার স্কুলে এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা না করো, তবে অন্য একটা স্কুলে ট্রান্সফার করো আমায়। তুমি সেটাও করোনি। তুমি ছোটবেলা থেকেই খুব উদাসী ছিলে আমার প্রতি! কেন মম? কেন এরকম করতে তুমি আমার সাথে?”
জায়িনের আর সহ্য হলো না জোহানের এসব। ও বিরক্ত হয়ে এগিয়ে এলো জোহানের কাছে। বললো,
“এনাফ জোহান। যথেষ্ট বলেছিস। অভদ্রতা বাইরে গিয়ে দেখা। মমের সাথে এমন উচ্চ গলায় কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে তোকে?”
হঠাৎ করে ওর এবং মমের মাঝে জায়িনের আগমন জোহানেরও সহ্য হলো না। ও প্রায় গর্জে উঠে বললো,
“তুমি চুপ করো ব্রাদার। আমি আমার মমের সাথে কথা বলছি। এমন একটা ভাব করো না যেন, মম শুধু তোমার একার।”
রেশমী এতক্ষণে কথা বলে উঠলো।
“বড়ো ভাইয়ের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয় জানো না সেটা? সেটাও কি ভুলে গেছো তুমি?”
জোহান বললো,
“বাহ, মম! ব্রাদারকে এইটুকু বললাম দেখেই তোমার গায়ে লেগে গেল? আর আমি? ব্রাদার যখন আমায় কিছু বলে তখন তো তুমি কিছু বলো না! যেন কিছু শুনতেই পাও না তখন।”
রেশমী ক্ষুব্ধ গলায় বলে উঠলো,
“জোহান, ইউ ডোন্ট ক্রস ইওর লিমিট।”
“কী করবো মম? আমি মানুষটাই যে এমন। কিছু বললেই লিমিট ক্রস হয়ে যায়।”
রেশমী স্বামীর দিকে তাকালেন।
“দেখলে সাদাত, তোমার ছোট ছেলে কীভাবে কথা বলছে আমার সাথে? এরপরও কি তুমি বলবে তোমার ছেলে খারাপ হয়ে যায়নি?”
রেশমী স্বামীর থেকে উত্তরের আশায় বসে থাকলেন না। জোহানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
“সত্যি সত্যি জঘন্য হয়ে গেছো তুমি। ছি! ভাবতে পারিনি এতটা অধঃপতন হবে তোমার।”
জোহান চিৎকার করে বলে উঠলো,
“হ্যাঁ, আমি জঘন্য। আর এভাবেই ভালো আছি আমি। স্বস্তি অনুভব করছি। যখন আমি ভালো ছিলাম তখন তো তুমি ফিরে তাকাওনি। তাই জঘন্য হয়ে নিজের ভালো থাকার রাস্তাটা খুঁজে নিয়েছে আমি। সারাজীবন এ রাস্তাতেই চলবো আমি।”
রেশমী আক্রোশ নিয়ে তাকিয়ে আছে। জোহানের সাথে কথা বাড়াতেও ঘৃণা হচ্ছে তার।
“ছোট বেলা থেকেই দেখে এসেছি তুমি ব্রাদারের প্রতি যত্নশীল, আর আমার প্রতি উদাস। আমাকে ঘিরে তোমার যা আছে তা সবই উদাসীনতা, আর কিছুই নয়। তুমি ব্রাদারকে প্রচণ্ড ভালোবাসো, অথচ আমার প্রতি তোমার ভালোবাসার ব্যাপক ঘাটতি।”
রেশমী রাগে চিৎকার করে উঠলেন,
“শাট আপ জোহান! বেয়াদবির একটা সীমা আছে। মুখ বন্ধ করো এখন।”
জোহানও ফের চিৎকার করে উঠলো,
“না, করবো না। বলো কেন? কেন তুমি আমার প্রতি এত উদাস? ব্রাদারকে তুমি এত ভালোবাসো, অথচ আমার দিকে তাকানোরও যেন সময় হয় না তোমার। ব্রাদার বড়ো হয়ে গেছে তারপরও তুমি এখনও ব্রাদারকে যত্ন করে খাইয়ে দাও। আর আমার মনেও পড়ে না ছোটবেলায় তুমি শেষবার কবে খাইয়ে দিয়েছিলে আমায়। কেন মম? কেন? কেন তুমি আমার প্রতি এত কেয়ারলেস? কেন তুমি ভালোবাসো না আমাকে? আমি কি তোমার আসল ছেলে নই?”
জোহান কথা শেষ করতে না করতেই একটা ভারী হাতের থাপ্পড়ে ওর মুখ হেলে গেল।
সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আঁতকে উঠলো মিতুল। জেগে জেগে কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখছে না কি ও?
জোহান মুখ তুলে তাকালো।
জায়িনের রাগে রক্তিম হয়ে যাওয়া মুখ ফুঁটে ওঠে জোহানের জল থলথলে চোখে। ইতোমধ্যে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়েছে ওর চোখ থেকে। জোহান তীব্র রাগ, অভিমান নিয়ে বললো,
“আমার গায়ে হাত তোলার অধিকার শুধু আমার ড্যাডের। আর কারো নেই। না তোমার আছে ব্রাদার, আর না মমের।” বলতে বলতে জোহান একবার মমের দিকে তাকালো।
তারপর দ্রুত পা ফেলে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
রেশমী স্বামীর দিকে তাকালেন। বললেন,
“দেখেছো সাদাত, তোমার ছেলে কতটা উশৃঙ্খল হয়ে গেছে!”
বলে রেশমীও রুমে যাওয়ার জন্য সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেলেন। মিতুলের পাশ কাটিয়ে উপরে চলে গেলেন তিনি।
সাদাতও রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। দাঁড়িয়ে রইল মিতুল, জায়িন এবং ক্যামিলা। মিতুল কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। কী থেকে কী ঘটলো আজকে! রেশমী আন্টি, জোহান… মিতুল ঘরের প্রবেশ দরজার দিকে তাকালো। অস্থির লাগছে ওর। বার বার ঢোক গিলছে। কোথায় বেরিয়ে গেল জোহান? মিতুল সিঁড়ি বেয়ে হলরুমে নামলো। দরজার দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। জোহানের জন্য কষ্ট হচ্ছে ওর। হৃদয় কষ্টে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। কোথায় গেছে জোহান? মনে হচ্ছে টাইম হাউজে গেছে। মিতুল জোহানের কাছে যাওয়ার জন্য দরজার দিকে এগোতে লাগলো। দরজার কাছাকাছি আসতেই পিছন থেকে জায়িনের কণ্ঠ শুনতে পেল,
“ওর কাছে যাওয়ার দরকার নেই। নিজের রাগ, জেদ নিয়ে ওর টাইম হাউজেই পড়ে থাকুক ও।”
জায়িনের কথা কানে আসতেই দাঁড়িয়ে পড়লো মিতুল। জায়িনের প্রতি হঠাৎ ঘৃণা হলো ওর। নিজের ছোট ভাইয়ের গায়ে হাত তুলেছে! ছোট ভাই ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। আর সে এখনও এরকম কথা বলছে? কেমন মানুষ জায়িন? মিতুল শুনলো না জায়িনের কথা। দ্রুত বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
(চলবে)