#চৈতালি_পূর্ণিমা
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
#পর্ব-২৪
“গাড়িতে উঠো।”
স্পর্শী একবার অভিমানী দৃষ্টিতে নির্বাণের পানে তাকালো। বৃষ্টির বেগ খানিকটা তীব্র দেখে নিভৃতে ধরে থাকা ছাতাটা কিছুটা হেলিয়ে দিল নির্বাণের দিকে। অতঃপর খুব সতর্কতার সাথে নির্বাণের হাতের মুঠো হতে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলো, ক্ষীণ কন্ঠে বলল, “আমি একা যেতে পারবো, আপনি যান।”
স্পর্শীর কর্মকাণ্ড দেখে নির্বাণের ভ্রু কুঁচকে এলো। হাতের বন্ধন দৃঢ় করে অধিকার সহিত কন্ঠে বলে, “স্পর্শী, উঠতে বলেছি না আমি তোমাকে?”
স্পর্শী চারপাশে একবার তাকালো, রাস্তায় মানুষজনের খুব কম আনাগোনা। তাদেরকে কেউ সে-রকমভাবে পরোক্ষ করছে না। কিন্তু তবুও, যদি ভার্সিটির কেউ যাতায়াতের সময় তাদেরকে একসাথে দেখে ফেলে তাহলে বিচ্ছিরি একটা ব্যাপার-স্যাপার ঘটে যাবে৷ স্পর্শী সেই ভীতি নিয়েই কোন দ্বিরুক্তি না করে নির্বাণের সাথে গাড়িতে উঠে বসলো। মৌনতা বুঝিয়ে রেখে নিজেই নিজের সিটবেলটা লাগিয়ে নিল, নির্বাণকে সুযোগ দিল না তার কাছে ঘেঁষবারও। কিন্তু নির্বাণ কি আর দমবার পাত্র? সে গাড়িতে উঠা-মাত্র স্পর্শীর একপ্রান্তে ঝুলতে থাকা ওড়না টেনে নিয়ে নিজের আর্দ্র মাথা মুছতে উদ্যোগী হলো। স্পর্শী এক মুহূর্তের জন্য ভড়কে গেল, নয়ন যুগল বৃহৎ করে তাকালো। তবে টু শব্দ পর্যন্ত করলো না, নির্বিকার থেকে দেখে গেল সব। নির্বাণ নিজের কার্য শেষ করে সোজা তাকালো স্পর্শীর পাংশুটে মুখের দিকে। সে বেশ বুঝলো স্পর্শী তার উপর রাগান্বিত, কিন্তু ঠিক কোন কারণে সে-টা ধরতে পারলো না। নির্বাণ গলা ঝেড়ে জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে? এমন গাল ফুলিয়ে বসে আছো কেন?”
স্পর্শী নিজের ওড়না ঠিক করে পড়ে যাওয়া ঘোমটা পুনরায় মাথায় তুললো। নির্বাণের কথা সম্পূর্ণ অনাগ্রহ করে হেয়ালি দৃষ্টিতে তাকালো বদ্ধ জানালার বাহিরে৷ নির্বাণ স্পর্শীর কাণ্ডকারখানা দেখে স্পর্শীর চিবুকটি চেপে ধরে মুখটা নিজের দিকে ঘুরায়, “রাগ করে আছো কেন?”
স্পর্শী তবুও কথা বলল না। নির্বাণ ধৈর্য সহিত চিবুক হতে হাত সরিয়ে ধীর গতিতে কানের পৃষ্ঠে স্পর্শীর এলোকেশী গুছিয়ে দিতে দিতে বলে, “কি কথা বলবে না?”
স্পর্শী এইবারও কিছুই বলল না। নির্বাণ বুঝলো, স্পর্শীর পেটে এখন বোমা ফেলেও কথা বের করানো যাবে না। মেয়েটা প্রচন্ড মাত্রায় রেগে আছে। তবে এইটা রাগ নাকি অভিমান সেই তফাৎ-টা নির্বাণ জানে না। তবে, আপাতত নীরব থাকাই শ্রেয়। তাই সে কথা দীর্ঘ না করে গাড়ি স্টার্ট দিতে মনোযোগী হলো। গাড়ি স্টার্ট হতেই স্পর্শী আড়চোখে একবার নির্বাণের দিকে তাকালো। নির্বাণের নীরবতা মুহূর্তেই স্পর্শীর রাগ দ্বি-গুণ বাড়িয়ে দিল। সে মুখ ফুলিয়ে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকলো।
কিঞ্চিৎ সময়ের ব্যবধানে বৃষ্টির বেগ তীব্র হতে তীব্রতর হলো। রাস্তা-ঘাট হলো ঘোলাটে,ধোঁয়াশে৷ এর মাঝে গাড়ি চালানো বিপদজনক বলে নির্বাণ কিছু দূর গিয়ে নীরব পরিবেশের সন্ধান পেতেই রাস্তার ধারে গাড়ি থামালো৷ অতঃপর তাকালো স্পর্শীর পানে, স্পর্শী তখনও শ্যামল ধরণীর বৃষ্টিস্নাত দেখতে বিভোর। মন নেই তার অন্য কোথায়। নির্বাণ বেশ কিছু মুহূর্ত নীরব থেকে স্পর্শীর বাহু ধরে টেনে নিজের দিকে টেনে ঘুরালো, “আর কতক্ষণ চুপ থাকবে? এত রাগ কিসের উপর শুনি?”
স্পর্শী চোখ তুলে তাকালো, দৃষ্টি তার অভিমানের কালো মেঘে ঢাকা। নির্বাণ বলল, “আচ্ছা, তুমি কি চাইছো আমি তোমার রাগ ভাঙ্গাতে কিছু করি? যদিও রাস্তায় সেসব সম্ভব না, তবে চুমু চলবে?”
নির্বাণের বেসামাল কথা শুনে স্পর্শীর কান গরম হয়ে আসে, সে চোখ পাকিয়ে তাকায় নির্বাণের পানে। মানুষটা সেই রাতের পর থেকেই কেমন নির্লজ্জ,বেসামাল হয়ে উঠেছে। কথার লাগাম বলেও যে কিছু সে-টা যেন একদম খেয়ে-দেয়ে হজম করে বসে আছে।
স্পর্শীর রক্তিম মুখশ্রী দেখে নির্বাণ এইবার নিজের সিটবেল খুলে সত্যি সত্যি কিঞ্চিৎ ঝুঁকে পড়লো স্পর্শীর দিকে, তা দেখে স্পর্শী দ্রুত অন্যদিকে মুখ ঘুরালো। বিরবির করে বলল, “এখন আমার কাছে আসছেন কেন? তাপসি ম্যামের কাছে যান।”
কথাটা শুনে নির্বাণ থমকালো। মুহুর্তেই কপালে তিনটি ভাঁজ ফেলে বলল, “তার কাছে কেন যাব?”
স্পর্শী অন্য পার্শ্বেই মুখ ফিরিয়ে রেখে উত্তর দিল, “যেখানে আপনার পুরো সময় তার জন্যই নির্ধারিত সেখানে তার কাছেই যাওয়ার কথা নয় কি?”
কথাটা শুনে নির্বাণ স্তম্ভিত হয়ে তাকালো, “কি বলছ এইসব? আমার সময় তার জন্য নির্ধারিত হতে যাবে কেন?”
স্পর্শীর খাপছাড়া কন্ঠে বলল, “হবে না কেন? তার সাথেই তো আপনার উঠা-বসা, হাসি-তামাশা। আজকেও তো দেখলাম, কলা ভবনের নিচে কি সুন্দর হেসে-খেলে কথা বলছেন।”
নির্বাণ এক মুহূর্তে জন্য থমকালো, ঘটনাক্রমে বুঝে উঠতে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো। অতঃপর কিছু একটা সরু হাসি হেসে বলে, “তাতে সমস্যা কোথায়? খারাপ কিছু তো করছিলাম না।”
স্পর্শী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো, “নাহ, সমস্যা হবে কেন? যার সাথে ইচ্ছা তার সাথে কথা বলেন, আমার কি?”
নির্বাণ মিহি হাসে, “তুমি কি আমাকে নিয়ে জেলাস ফিল করছো?”
“করলেও কি? আপনার এতে কিছু যায় আসে? বউয়ের সাথে দুই মিনিট কথা বলার সুযোগ পান না অথচ বাহির মানুষের সাথে কথা বলার ঠিকই সময় আছে আপনার। বউকে তো এখন আর ভাল্লাগেনা।”
“বউ বুঝি আমার সাথে কথা বলার জন্য মরিয়া হয়ে আছে? কই দিনে তো একবারও ফোন পাই না আমি তার কাছ থেকে।”
“ফোন বন্ধ থাকলে মানুষ কিভাবে বুঝবে কেউ আদৌ তাকে ফোন করেছিল কি-না? আর এমনেও আপনার মনযোগ অন্যতে সীমাবদ্ধ, আমাকে নিয়ে ভাবার সময় আছে আপনার?”
নির্বাণের সহজ স্বীকারোক্তি, “না নেই।”
স্পর্শী থমকালো, মিনিটের ব্যবধানে দৃষ্টি নম হয়ে এলো তার। অভিমানের প্রখর পরিশুদ্ধ বিষে বিষাক্ত হয়ে উঠে মন। মুখ গুড়িয়ে সে দৃষ্টি বাহিরে স্থাপন করে। নির্বাণ হেসে স্পর্শীর বাম গালে হাত গলিয়ে দিয়ে নিজের দিকে ফিরায়, মন্থর কন্ঠে বলে,
“ভাবার সময় তো তখন পাবো যখন তুমি আমার ভাবনা থেকে দূরে যাবে৷ তোমাকে নিয়ে আমার কত দুশ্চিন্তা, জানো? তুমি চলাফেরা করো বড্ড হেয়ালিতে, এই যে পরশুদিন পেঁয়াজ কাঁটতে গিয়ে নিজের হাত কেঁটে ফেলেছ। আবার সেদিন, রিকশাতে উঠার সময় হাটুতে ব্যথা পেয়েছ। এতে আমি কতটা ব্যথিত হয়েছিল সেই খবর আছে? আবার কখন যে কি করে বসো সেই নিয়ে আশঙ্কায় থাকি আমি।”
নির্বাণ এইসব খবর কিভাবে জানে সেই কথাটা স্পর্শীর খেয়ালে এলো না। সে অভিমানে রেশ ধরেই একঘেয়ে কন্ঠে বলল, “আমাকে নিয়ে না ভাবলেই তো হয়, এত চিন্তার মানে হয় না।”
“মানে আছে কি-না জানি না তবে, তোমাকে নিয়ে আমার ভাবনার শেষ নেই। হোক সেটা ক্ষুদ্র বিষয়েও। আর আমার জীবনে এক নারী-ই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে, আর সে-টা হচ্ছ তুমি। তোমার ইনসিকিউরড ফিল করার কোন দরকার নেই, আমি তোমারই।”
স্পর্শী তাও গললো না, স্থির বসে থাকলো। আজ যেন নির্বাণের কথা তার অন্তঃকরণ স্পর্শই করতে পারছে না। নির্বাণ বুঝলো স্পর্শীকে সব ব্যাখ্যা না করা পর্যন্ত সে গলবে না। বুঝবে না পরিস্থিতি। সে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে পিছনের সিট থেকে একটা শপিং ব্যাগ টেনে সামনে আনে। ভিতর থেকে একটা বিয়ের কার্ড বের করে স্পর্শীর দিকে এগিয়ে দেয়,
“তখন মিস. তাপসি আমাকে তার বিয়েতে আমন্ত্রণ করছিল, ভদ্রতাসূচক তাকে নতুন জীবনের জন্যই শুভকামনা জানাচ্ছিলাম আমি। আর কিছুই না, সেচ্ছায় কথা বলতে যায়নি আমি। আর, আমি সত্যি ব্যস্ত ছিলাম এই কয়েকদিন, রেস্টুরেন্টের জায়গায় নিয়ে কিছু ইস্যু হয়েছিল তাই সেটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ির উপর থাকতে হয়েছে আমাকে। তাই তোমার সাথে তেমন একটা যোগাযোগ রাখতে পারিনি।”
স্পর্শী আড়চোখে বিয়ের কার্ডটার দিকে তাকালো, মুহুর্তে রাগটা পড়ে গেল জমিনে। অভিমানী মেঘগুলো সরে গেল নিভৃতে। স্পর্শী বলল, “সে-টা আগে বললেই হতো।”
নির্বাণ দীর্ঘশ্বাস ফেললো, কার্ডটা পুনরায় ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখে সেটা পিছনের সিটে রেখে দিতে দিতে বলল, “তুমি যে এত হিংসুটে আমার জানা ছিল না। দিনকার দিন তোমার আর কত রূপ যে দেখবো।”
স্পর্শী নাক ফুলিয়ে বলে, “বেশ! তবে, আজ যদি আমাকে কোন ছেলের সাথে হেসে-খেলে বেড়াতে দেখতেন তখন আপনি কি করতেন শুনি? তার সাথে আমার বিয়ে পড়িয়ে দিতেন?”
নির্বাণ স্পর্শীর সান্নিধ্যে এসে তার কানের কাছে মুখ স্থির করে বলে, “কি করতাম তখন-ই না-হয় দেখ। তবে, আমাকে ভালো মনে করো না। আমি কিন্তু তোমার ভাবনার চাইতেও বেশি খারাপ একজন কেউ।”
______________
সময় গড়ালো প্রবাহমান স্রোতের ন্যায়৷ দিন, কাল পেরিয়ে নতুন মাসের আর্বিভাবের সাথে আগমন হলো রমজান মাসের। পরিবেশটা হলো অন্যরকম, নিয়নসূচি বদলালো সকলের। ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটির মৌসুম চলায় তাদের সময় যেন আরামেই যেতে শুরু করলো। রহমতের সপ্তম দিন শেষ হওয়ার মাত্র পরেরদিন স্পর্শীর বাসা থেকে ইফতারের দাওয়াত এলো নির্বাণদের জন্য। অবসর থাকায় নির্বাণ এবং কেউ-ই সেই দাওয়াত নাকচ করেনি।
সকাল থেকেই সাহেলা প্রচন্ড ব্যস্ত। একা হাতে সব সামলাতে না পেরে নিজের সাথে দুই মেয়েকেও কাজে লাগিয়েছেন তিনি। এক সময়, স্পৃহা কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠে চেঁচামেচি শুরু করে। কিন্তু পরক্ষণেই সাহেলার জোরদার ধমক খেয়ে চুপ বনে যায়, নীরব মনে কাজ করতে থাকে। অন্যদিকে, স্পর্শী কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে হাঁসফাঁস করে উঠছে। তলপেটের ডান দিকটায় চিনচিন ব্যথা অনুভব হচ্ছে তার, তবে তা সহ্যনীয়। গ্যাস্টিকের ব্যথা ভেবে স্পর্শী বিষয়টা আমলে নেয় না, নিজ মনে কাজ করতে থাকে। এমন ব্যথা প্রায়শই উঠে তার।
নির্বাণরা আসে বিকেলের দিকে। কথায় কথায় সন্ধ্যা নেমে আসতেই টেবিলে এসে বসে সকলে। স্পৃহা আর স্পর্শী ধীরে ধীরে টেবিল সাজাচ্ছে। নির্বাণ স্পর্শীর দিকে তাকালো, মুখটা কেমন নির্জীব, রক্তশূণ্য দেখাচ্ছে। চোখে-মুখে কেমন ব্যাথাতুরে ছাপ। স্পর্শীকে দেখামাত্র সর্বপ্রথম নির্বাণের মাথায় এইটায় এলো, “মেয়েটাকে এমন দেখাচ্ছে কেন? ও কি অসুস্থ?”
এইদিকে, স্পর্শী তলপেটের ব্যথা যেন সময় গড়ানোর সাথে সাথে বিস্তার পাচ্ছে। ব্যথায় মরে যাচ্ছে এমন এক দশা, কিন্তু ব্যথাটা কিসের সে-টা সনাক্ত করতে পারলো না স্পর্শী। তবে, স্বাভাবিকভাবে প্রতি মাসে নিয়মমাফিক যে ব্যথা উঠে এইটা সে ব্যথা না। গ্যাস্টিকের ব্যথাও এত তীব্র হয় না। কিছুটা আশঙ্কা হলো তার বটে, কিন্তু তবুও কাউকে সে খবরের সন্ধান না দিয়ে সে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে সকল কাজ করেই গেল। কেউ আর ধরতেও পারলো না তার ভিতরকার অবস্থা। অবশেষে মাগরিবের আযান পড়তেই সকলে ইফতারের জন্য উদ্যোগী হয়। সবাইকে খাবার পরিবেশন করে স্পর্শী নিজেও বসে,দোয়া পড়ে খেজুর হাতে নেয়। তাতে ছোট এক কামড় বসানো মাত্র ব্যথাটা সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। চেয়েও নিজের আর্তনাদ চেপে রাখতে পারলো না আর সে, নিজের পেট জড়িয়ে ধরে তীব্র সরে চেঁচিয়ে উঠলো সে। নির্বাণ তখন শরবতটা অর্ধেক শেষ করেছিল মাত্র, এর মাঝেই স্পর্শী আর্তনাদ শুনে থমকে যায় সে। হতভম্ব হয়ে তাকায় স্পর্শীর পানে। স্পর্শী নিজের ভারসাম্য রাখতে না পেরে চেয়ার থেকে পড়ে যেতে নিলে নির্বাণ দ্রুত এসে ওকে নিজের বুকের সাথে ঠেস দিয়ে ধরে। স্পর্শীর লাল হয়ে আসা মুখে আলতো ভাবে হাত রেখে ব্যাকুল কন্ঠে জিজ্ঞেস করতে থাকে, “কি হয়েছে, স্পর্শী? এইভাবে চিল্লালে কে?কোথাও কি সমস্যা হচ্ছে তোমার? এই স্পর্শী তাকাও আমার দিকে, বল।” কিন্তু ব্যথার তাড়নায় জবাব দিতে পারলো না স্পর্শী। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়লো সে। কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই পরিবেশটা যেতে শুরু করে প্রতিকূলে।
#চলবে
আমার পরীক্ষা চলছে, যার দরুন লেখালেখিটা একদমই হচ্ছে না। অবসর পাচ্ছি না কোন। উপরন্তু, গল্পটা এক জায়গায় আটকে আছে যে দ্রুত শেষ করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই, এখন গল্প দিতে বিরতিটা বেশি পড়ছে। পরবর্তী পর্ব কবে দিব জানি না, তবে সময়-সুযোগ পেলেই গল্প দেওয়ার চেষ্টা করবো। আশা করি পাঠকরা বুঝবেন।
বার বার পাঠকদের বিব্রত করায় প্রচন্ড দুঃখিত আর ক্ষমাপ্রার্থী।