#জান্নাহ্
#পর্বঃ২৭
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি
মৃদুমন্দে চলছে রোমান্টিক গান।পুরো বার জুড়ে টিমটিমে রঙিন আলো।নেশায় মত্ত চারপাশের নরনারী।কোলাহলের মাঝেও নেশার্ত মানুষগুলো অদ্ভুত শান্তি খুঁজে নেয়।কেউ বিলাসীতা আর কেউ নিজেকে ভুলতে বেছে নেয় এই পথ।কারো কারো স্বভাবেও খামতি থাকে।
ওয়েষ্টার্ন ড্রেস পড়া মেয়েগুলো সার্ভ করে যাচ্ছে একের পর এক ড্রিংস।তাদের চেহারার জৌলুসে কুপোকাত নেশায় মত্ত পুরুষ।একটু খানি ছোঁয়া পেতে হিড়কি দেয় টাকার বর্ষণ।তবুও আকাঙ্ক্ষিত নারীকে একটু কাছ থেকে ছোঁয়া চাই,তাকে দেখা চাই।
সেখানের একটি টেবিলে নেশায় টালমাটাল হয়ে টেবিলের উপর মাথা এলিয়ে বসে আছে একজন সুন্দরী রমনী।শিপনের শাড়ির সাথে স্লিভলেস ব্লাউজ।ঘাড় পর্যন্ত বব কাট করা চুল।ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক।তার দিকে অনিমেষ চাহনি দিয়ে তাকে গিলে নিচ্ছে ত্রিশ উর্ধ্ব ভদ্রলোক।চোখে তার ভারি চশমা।মুখভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি।হাতে ভারি সিলভার রঙের হাতঘড়ি।গ্রে কালারের স্যুট।বারের কাউন্টারের সামনে উঁচু টুলে বসে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে গলায় ঢালছে শতবছর পুরোনো ওয়াইন।কিন্তু ওয়াইনের চেয়ে বেশি নেশাতো ওই মেয়ের চোখে।
বারের ম্যানেজার বিচক্ষন দৃষ্টিতে তা পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো।বেশ কিছুসময় পর লোকটির সামনে এসে চাপা গলায় বললো–
“স্যার কী আরো কিছু চাচ্ছেন?
গুমোট হাসলো লোকটি।ওয়াইনের গ্লাসে আরো ওয়াইন ঢেলে গটগট করে গিলে নিলো।বৃহৎ শ্বাস ফেলে মেয়েটির দিকে কামুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তেরছা গলায় বললো—
“আপনাদের ওয়াইনে নেশা কেন হচ্ছে না বলুন তো?
ম্যানেজার দাঁত কেলিয়ে বললো–
“স্যার কী আজ নতুন?
লোকটি বিগলিত হেসে বললো—
“এখানে নতুন হলেও স্বভাব পুরোনো।”
চমৎকার হাসলো ম্যানেজার।খিলিখিলিয়ে বললো–
“এর চেয়ে দারুন কিছু আছে।ব্যবস্থা করবো?
লোকটি গম্ভীর সুরে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললো–
“এর চেয়ে খাসা না হলে কিন্তু আমি কেস করবো।”
ম্যানেজার দন্তপাটি বের করে বিশ্রি হাসলো।নিচু গলায় বললো–
“তাহলে চলুন,আপনাকে জান্নাতের সেহের করিয়ে আনি।”
লোকটি দুর্বোধ্য হাসলো।মেয়েটির দিকে আরেকবার তাকিয়ে ম্যানেজারের সাথে হাটা ধরলো।মেয়েটি ঢুলে পড়ে আছে টেবিলে।
ম্যানেজার লোকটিকে বারের উপর তালায় নিয়ে গেলো।সেখানে একটা দরজার সামনে দুটো শক্ত সামর্থ্য লোক দাঁড়িয়ে আছে।লোকটিকে ইলেকট্রিক ডিভাইস দ্বারা চেক করা হলো।রেড লাইট জ্বলতেই বিগলিত হেসে লোকটি তার হাতের সিলভার রঙরে ভারি হাতঘড়িটি দেখালো।দরজার ভেতরে আসতেই আবছা আলোপূর্ণ এক ঘর।তা দিয়ে সোজা বের হয়ে এলো।সামনে দুটো লিফ্ট।একটার দরজা দেখেই মনে হবে অকেজো।কিন্তু লোকটিকে অবাক করে দিয়ে সেই লিফ্টের পাশে থাকা একটা সামান্য কমদামি দেয়াল ঘড়ি সরিয়ে বাটন পুশ করে ম্যানেজার।কিন্তু সেই লিফ্টের দৃশ্যমান সুইচ অকেজো যাতে করে যেকোন সাধারণ মানুষের মনে হবে এই লিফ্ট অচল।লিফ্টে ঢুকেই আরো আশ্চর্য হয় লোকটি।কারণ লিফ্টটি শুধু নিচের দিকেই যাবে এর উপরের দিকে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।লিফ্ট থেকে বের হতেই একটা সুসজ্জিত ঘর।সেখানে দেশি বিদেশি মদ,বিয়ার,ওয়াইন সহ আরো অনেক ধরনের জিনিস।একটা বিখ্যাত পেইন্টিং লাগানো যা একজন সূক্ষ্ম নগ্ন নারীর।বাঁকা হাসে লোকটি।সেই রুম থেকে বের হতেই একটা লম্বা করিডোর।তা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতেই সারিবদ্ধ কতগুলো রুম।তার একটাতে লোকটিকে ঢুকিয়ে ম্যানেজার ওয়েট করতে বলে।
লোকটি ভেতরে ঢুকতেই আচম্বিত হয়।কী নিঁখুত করে সাজানো।শুভ্র বিছানা।ঝিলমিলে আলো।নাকের মধ্যে দুম করে খেলো গেলো এক মিষ্টি সুগন্ধ।লোকটি বিছানায় আয়েশ করে বসলো।তার অসহিষ্ণু নজর বারবার ঘড়ির দিকে।একটু পর কট করে দরজা খুলে একটা মেয়ে ঢুকে পড়ে।মেয়েটির রেশম কালো চুল ছড়িয়ে আছে।নিঁখুত চোখ জোড়া কাজলে আবৃত।কাটা কাটা নাক,পাতলা ঠোঁট যা দেখে যেকোন পুরুষের মস্তিষ্কে আলোড়ন সৃষ্টি হবে।কিন্তু লোকটির কিছু অনুভূত হলো না।সে ঠাঁই বসে রইলো।তার মোবাইলে অনবরত কল বেজে যাচ্ছে।রজনীগন্ধা।মেয়েটি তার কোমল পা জোড়া দিয়ে এগিয়ে এসে লোকটির পাশে বসলো।মিষ্টি করে হেসে তার কানের কাছে মুখ নিয়ে কাঁধে হাত ছোঁয়াতেই ঝট করে থাপ্পড় পড়ে মেয়েটির সেই তুলতুলে গালে।সেকেন্ডে সে ছিটকে পড়ে ফ্লোরে।হতভম্ব হয়ে তাকাতেই দারাজ গলায় বলে উঠে সারহান–
“আরেকবার গায়ে হাত দিবি জানে মেরে ফেলবো।শালি স্লাট।”
মেয়েটি চোখের পাতা প্রশ্বস্ত করে ভীত চোখে তাকায়।বিড়বিড় করে বলে উঠে সারহান,”গাধার বাচ্চাগুলো এতো দেরি করছে কেন কে জানে!
দরজায় করাঘাত পড়তেই সারহান সপ্রতিভ হয়।কিন্তু ততক্ষনে মেয়েটি সারহানকে ধাক্কা মেরে গিয়ে দরজা খুলে দেয়।হুড়মুড় করে জন পাঁচেক হাট্টাগোট্টা লোকসহ ম্যানেজার এসে ঢুকে।মেয়েটি অধৈর্য হয়ে ভয়ার্ত গলায় বললো—
“আরে এ কোনো কাস্টমার না।শালা মনে হয় পুলিশের লোক।”
সারহান দাম্ভিক গলায় বললো–
“পুলিশ না তোদের বাপ।”
ম্যানেজার তার লোকগুলোকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সারহান তার কলারের ভাঁজ থেকে একটা ছোট্ট কাঁচের শিশি বের করে ফ্লোরে ছুঁড়ে মারে।মুহূর্তেই পুরো রুম ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।সেই সুযোগে সারহান তার পকেটে থাকা ইলেকট্রিক ডিভাইসের সুইচ অন করে।তাতে করে চুম্বকীয় পদার্থের বিপরীত শক্তি দ্বারা তৈরিকৃত সেই ডিডাইসের শক লাগতেই সারহানের ঘড়িতে থাকা ছোট্ট পাতলা চাকুটা তার হাতে এসে পড়ে।আর তা দিয়েই ধোঁয়ার মধ্যেই ম্যানেজারকে টেনে ধরে তার গলায় চাকুটা ঠেসে রাখে।ধোঁয়ার আচ্ছনতা কাটতেই শায়িখ আর শ্রীজা এক ফোর্স পুলিশ নিয়ে ঢোকে সেখানে।মুহূর্তেই পুরো পরিবেশ সারহানের কন্ট্রোলে চলে আসে।পুলিশ সবাইকে ধরে নিয়ে যায়।সারহান ভেতরে আসার সময় তার হাতের তর্জনী সূঁচ দিয়ে ফুটো করে তার আসার রাস্তার সকল দেয়ালে সন্তর্পনে রক্তের দাগ লাগিয়ে শায়িখ আর শ্রীজার জন্য সংকেত রেখে আসে।স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সারহান।
শ্রীজার মাথার উইগটা ঠিক করে হেসে হেসে বললো—
“সাবধান।ছদ্মবেশ নেওয়ার পরও যদি কেউ তোমায় চিনে ফেলে তখন কিন্তু আমার কোনো দোষ নেই।”
শ্রীজা মজার ছলে বললো–
“তুমি বাঁচাবে না আমাকে?
“আমার আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই।”
শ্রীজার মন খারাপ হয়।তবুও হেসে বললো—
“তুমি ঠিক আছো তো?
“হুম।আই এম ফাইন।”
সারহান তার আঙুলে স্ট্রিপ লাগিয়ে নেয়।শায়িখকে ডেকে বললো–
“শ্রীজাকে এনজিওতে দিয়ে এখনই আমার বাসায় যাও।জান্নাহ্ সে কখন থেকে কল করে যাচ্ছে।আমি এখন রিসিভ করতে পারছি না।”
শায়িখ আনুগত্যের সুরে বললো—
“ওকে স্যার।”
সারহান মৃদু হেসে বললো—
“যাওয়ার আগে এই দাড়ি মোচ খুলে যেও।নাহলে জান্নাহ্ দরজা খুলবে না।”
“জ্বী স্যার।আপনি যাবেন না?
সারহান গম্ভীর গলায় বললো–
“থানায় যাবো আমি।ফিরতে সকাল হবে।জান্নাহ্কে বলবে সে যেনো চিন্তা না করে।যাও শ্রীজা।”
,
,
,
বুকে হাত ভাঁজ করে মেরুদণ্ড দৃঢ় করে সেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে সারহান।ভেতর থেকে আসা আর্তনাদে পৈচাশিক আনন্দ পাচ্ছে সে।ভোরের আলোয় মিশে যাচ্ছে কতিপয় লোকের ভয়ংকর গগনবিদারী চিৎকার।ধরে আনা লোকগুলো বেধড়ক পেটাচ্ছে তিনজন কনস্টেবল।এই সময় মহিলা কনস্টেবল না থাকায় মোটা ভুড়িওয়ালা সেই ভারি মেকাপওয়ালা মহিলার এ যাত্রায় রক্ষে।কিন্তু তা কতক্ষন তা জানা নেই।কারণ সকাল হলেই ব্যস্ত থানায় শুরু হবে দৈনন্দিন অফিসারদের আনাগোনা।আর তখন!
ভাবতেই বাঁকা হাসে সারহান।সেলের দরজা খুলে বেরিয়ে আসে নাদাপেটা কনস্টেবল রহিম।ঘাম চুইয়ে পড়ছে তার শরীর থেকে।শার্টের বোতাম পেট পর্যন্ত খুলে আছে।শ্যামলা চেহারাটা ঘামে,ক্লান্তিতে কালো বর্ণ ধারণ করেছে।তার পেছন পেছন বেরিয়ে আসে বাকি দুইজন।হাঁপাতে থাকে তারা।সারহান সরে দাঁড়ায়।রহিম ফ্যাসফ্যাসে গলায় বললো–
“সেই কেলাইছি ছার।হসপিটালে ভর্তি করাইয়া টেস্ট করলে দেখবে দুইশ ছয়খানা হাড়ের দুইশখানাই ভোগে।”
ফিচেল হাসে সারহান।দৃঢ় গলায় বললো–
“গুড।যান এইবার রেস্ট নিন।বাকিটা একটু পড়ে।যতক্ষন না শরীরের সব কয়টা হাড় ভাঙবে ততক্ষন পেটাবেন।বাকিটা আমি দেখবো।”
“জ্বী ছার।”
তারা যেতেই সেলের ভেতরে আসে সারহান।লোকগুলোর দিকে তাকিয়ে চোয়াল শক্ত করে।সারসানকে দেখেই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে পড়ে মহিলাটি।একে দিয়েই বারের মেয়েদের ঠ্যাটিয়ে রাখা হয়।সারহান হাঁটু ভেঙে বসে।মোলায়েম তার দৃষ্টি।কিন্তু তাতেই মহিলাটির অন্তরাত্না শুকিয়ে যায়।সারহান বিগলিত হাসলো।কোমল গলায় বললো—
“তোর ভাগ্য ভালো।থানায় কোনো মহিলা কনস্টেবল নেই।নাহলে এতোক্ষনে..।”
সারহান কথা শেষ না করে পেছনে আধমরা লোকগুলোর দিকে তাকায়।আর তাতেই মহিলাটি বারকয়েক ঢোগ গিলে।তার শিড়দাঁড়া বেয়ে নেমে আসে শীতল ধারা।ঝট করে সারহানের পা চেপে ধরে বললো–
“তুমি আমার ধর্মের ভাই।আমারে বাঁচাও।এই মাইর আমার শরীরে পড়লে আমি সত্যিই মইরা যামু।”
পা টান দিয়ে মহিলাটির গালে কোনো কিছু না ভেবেই সজোরে চড় বসায় সারহান।দাঁত কিড়মিড় করে বললো–
“একদম ছুঁবি না আমায়।নাহলে সারা জীবনের মতো এইখানেই পুঁতে রেখে যাবো।”
আঁতকে উঠে মহিলাটি।ভয়াতুর গলায় বললো—
“মাফ করেন স্যার।”
তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে সারহান।গাঢ় গলায় বললো–
“আমি না চাইলে ওই তোদের মন্ত্রী বাপও তোদের বের করতে পারবে না।”
ব্যগ্র গলায় বলে উঠে মহিলাটি—
“আমারে কী করতে হবে বলেন।শুধু এখান থেকে বের করেন আমারে।”
“ওকে।দেখ তাহলে।”
সারহান তার মোবাইল থেকে সেই মেয়ের ছবি দেখায়।মহিলাটি উৎসাহের সাথে বললো—
“এই মাইয়ারে লাগবো।এর চেয়ে ভালোগুলা আছে আমার সন্ধানে।”
সারহান তার রাগ চেপে রাখতে না পেরে ঠাটিয়ে আরেক চড় বসিয়ে দেয় মহিলাটির গালে।ভড়কে যায় মহিলাটি।বজ্রকঠোর গলায় বলে উঠে সারহান–
“শালি স্লাট!আমাকে দেখে তোর কী মনে হয়!আমি তোকে ভালো করে ছবিটা দেখতে বলেছি।”
মহিলাটি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তার ঝাপসা চোখ দুটো দিয়ে ভালো করে ছবিটি দেখতে থাকে।সারহান ধীর গলায় বলতে থাকে—
“এইটা আজ থেকে ঊনত্রিশ কী ত্রিশ বছর আগের ছবি।বর্তমানে এর বয়স পঁয়তাল্লিশের ওসপার।”
ভ্রু কুঁচকায় মহিলাটি।নির্বিকার গলায় বললো–
“তাইলে এরে দিয়া কী করবেন?
“তোর জেনে কাজ নেই।কোথাও দেখেছিস একে?
“নাতো।আর এর তো মেলা বয়স।বাঁইচা থাকলেও এই কাম কী তার দ্বারা আর হইবো!
সারহান বিক্ষিপ্ত গলায় বললো–
“তোকে এতো কিছু বলতে বলি নি।”
মহিলাটি কন্ঠে নমনীয়তা এনে বললো—
“তবে আপনি খোঁজ চালাইতে চাইলে ইন্ডিয়া যাইতে পারেন।মন্ত্রী সাহেবের আরো অনেক জায়গায় এই ব্যবসা আছে।”
সারহান ঠোঁট চিপে মাথা ঝাঁকায়।উঠে দাঁড়ায় সে।মহিলাটি ব্যস্ত হয়ে বললো–
“স্যার আমারে ছাড়বেন না?
সারহান বাঁকা ঠোঁটে বললো—
“কয়েকদিন শশুরবাড়ির আপ্যায়ণ তো হজম কর।”
শ্রান্ত,পরিশ্রান্ত,বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে ফিরে আসে সারহান তার ফ্ল্যাটে।কিন্তু সেখান দাঁড়িয়েই চটে যায় সারহান।ভেতর থেকে খিলখিল হাসির আওয়াজ বেরিয়ে আসছে জান্নাহ্ এর সাথে পুরুষালী কন্ঠ।সারহানের মস্তিষ্ক ফেঁপে উঠে।টগবগিয়ে উঠে তার রক্তকণিকা।তুমুল বর্ষণের মতো ডোর বেল বাজাতে থাকে।দরজা খুলে একগাল হেসে তার সামনে দাঁড়ায় জান্নাহ্।সেই মোহনীয়,স্নিগ্ধ,ঐশ্বরিক চেহারায় চোখ পড়তেই সারহানের সমস্ত রাখ,ক্ষোভ,ক্লান্তি নিমিষে কর্পূরের মতো মিলিয়ে যায় বাতাসে।
চলবে,,,