জান্নাহ্ “পর্বঃ৫২

0
3719

#জান্নাহ্
#পর্বঃ৫২
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি

নিকষকালো আকাশে চোখ মেলে আছে কুসুম রঙের চাঁদ।ফুরেফুরে বাতাস বইছে।জমাট কালো আঁধার ঘনিয়ে আরো আঁধারে পরিণত হচ্ছে।রাস্তায় দুই একটা কুকুর লেজ নাড়িয়ে দৌঁড়াচ্ছে।জনমানবশূন্য রাস্তায় ভূতগ্রস্তের মতো দাঁড়িয়ে আছে সোডিয়ামের বাতি।

ফ্ল্যাটের লক খুলে ভেতরে ঢুকে সারহান।তার কপালের আর ঠোঁটের রক্ত শুকিয়ে কালসে হয়ে আছে।হাত বেয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তের স্মিত ধারা কেমন লেপ্টে আছে।গলায়,চিবুকে লেগে আছে শুষ্ক লহু।

দরজা লক করেই কাউচে ধপ করে বসে সারহান।পুরো শরীরটা ছেড়ে দেয় সারহান।বিষন্ন দুই চোখ নিমীলিত করে মাথাটা পেছন দিকে হেলিয়ে দেয়।জীবন চলার পথে ভুল করতে করতে আজ ভীষণ ক্লান্ত সারহান।আপন মানুষের ধোঁকায় জর্জরিত তার দেহপিঞ্জর।বধির হয়ে আসছে তার কান।সে কিছু শুনতে চায়,চায় না দেখতে এই বিদঘুটে পৃথিবী।চকিতে সারহান একটা বাচ্চার খলখলানি শুনতে পায়।আচম্বিত হয় সে।অমিলীত চোখ জোড়া দিকভ্রান্তের মতো এদিক ওদিক ঘুরিয়ে একটু ধাতস্থ হয়ে শব্দটা খুঁজে।তড়াক করে উঠে সারহানের মস্তিষ্ক।তার সামনে কিছুদূরে একটা বাচ্চা বসে আছে।ঝাঁকড়া চুলে ঢেকে আছে বাচ্চাটির কপাল।একপাশের চুল একটু বড় হওয়ায় চোখের একপাশ ঢেকে আছে।গাঢ় লাল দুটো ঠোঁট ছড়িয়ে সে খিলখিল করে হাসছে।তার হাসিতেই যেনো দমকা হাওয়া বয়ে গেলো সারহানের শরীরে।ধীম ধীম করে উঠে দাঁড়ায় সারহান।বিড়ালপায়ে দ্বিধা নিয়ে সামনে এগুতে থাকে।সারহানের ভেতরকার সত্তা কী যেনো বলছে।বাচ্চাটি এক হাতের উপর অপর হাত দিয়ে চাপড় মেরে চোখ বন্ধ করে হাসছে।সারহান মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে আছে সেই ছোট্ট প্রাণটির দিকে।মুহুর্তেই খলখল করে উঠে বাচ্চাটি।কেঁপে উঠে সারহান।হাঁটু গেড়ে বাচ্চাটির সামনেই বসে।বাচ্চাটি হাসি থামায়।চোখ দুটো স্বাভাবিক রেখে হালকা ভ্রু কুঁচকায়।যেনো সে অবাক করা কিছু দেখেছে।

সারহান দুই হাঁটু মেঝেতে ঠেকিয়ে তার উপর হাত ঠেসে রেখেছে।তার মাথাটা সামনের দিকে ঝুঁকানো।বিমুগ্ধচিত্তে দেখে যাচ্ছে বাচ্চাটিকে।সারহানকে হতভম্ব করে দিয়ে বাচ্চাটি হঠাৎ করে ঝুমঝুম করে হেসে উঠে।হকচকিয়ে যায় সারহান।দ্বিধান্বিত হয়ে সত্য মিথ্যের প্রভেদ করতে ধীরেসুস্থে নিজের হাতটা বাচ্চাটির খুব কাছে নিয়েও আবার পিছিয়ে নেয়।অত্যন্ত শান্ত,নরম আর আবেগী গলায় বললো—

“সারজান!

বাচ্চাটি উচ্ছলিত হাসে।দাঁতের সাথে দাঁত চেপে নিজেকে এপাড় থেকে ওপাড় ঘুরাতে থাকে যাতে করে তার পেটের উপরিঅংশ নড়ছে।মুখ দিয়ে অস্ফুট আওয়াজ করে বাচ্চাটি,”ব্বা,ব্বা।”

খুশিতে ভরে যায় যেনো সারহানের হৃদপিন্ড।তার থমকে যাওয়া শ্বাস বেগতিক হারে ছুঁটতে থাকে।ঘোড়দৌঁড় শুরু হয়েছে তার মস্তিষ্কে।হৃদয়ের সুপ্ত অনুভূতিগুলো গুটগুট করে বেরিয়ে আসতে চাইলো।তরতর করে এই অদ্ভুত শিহরণ আবিষ্ট করে ফেললো সারহানকে।বাচ্চাটি আবারো বললো,”ব্বা,ব্বা।”

চোখে হাসে বাচ্চাটি।এই হাসিতেই যেনো পৃথিবীর সমস্ত সুখ খুঁজে পেলো সারহান।আদুরে গলায় বললো—

“সারজান,পরী আমার।”

বাচ্চাটি আবার হাসলো।এইবার বাচ্চাটি তার চোখের উপর চুলগুলো রেগে গিয়ে দুই হাত দিয়ে সরালো।বাবাকে ভালো করে দেখলো সে।ডেকে উঠে,”ব্বা,ব্বা।”

সারহান মুখ ফুলিয়ে হাসে।তার গা ভর্তি খুশি ঝনঝন করছে।কোনো কিছু না ভেবেই বাচ্চাটিকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে থমকে যায় সারহান।নিজের হাতকে দেখে।ঘন কালো রক্ত।সারহানের নাক বেয়ে ঘাম পড়লো তার হাতে।সংকীর্ণ দৃষ্টিতে তা দেখে সারহান।দুধে আলতা গায়ের রঙের বাচ্চাটির ঠোঁট ঠিক তার রজনীগন্ধার মতো।আর চোখগুলোও তার মতো করেই হাসে।চুলগুলো সারহানের মতো।বেপরোয়া।আর ওই যে নাকটা,চিকন বাঁশির মতো।মায়ের নাক পেয়েছে।তাহলে কী এই তার সারজান! রজনীগন্ধা আর তার ভালোবাসার প্রতীক।

বাচ্চাটি সারহানের দিকে কিঞ্চিৎ গম্ভীর চাহনি দেয়।সারহানের হাতে,মুখে লেগে থাকা রক্তে সে কিছু একটা আঁচ করতে পারে।রক্তিম ঠোঁট দুটো ফুলিয়ে নিমিঝিমি করে তাকায়।আবার টানটান করে ঠোঁট।তা ছড়িয়ে মিষ্টি করে বললো,”ব্বা,ব্বা।”

সারহান আন্দোলিত হয় তার ছোট্ট সারজানের আধো বুলিতে।ভরাট চোখে চেয়ে রয় সে।ঘরের কোথাও জান্নাহ্ এর অস্তিত্ব নেই।একে অপরকে দেখছে সারজান আর সারহান।সারহান গাল ভর্তি খুশি নিয়ে আসন পেতে বসে।তার ছোট্ট সারজান তাকে বারবার ছুঁতে চায়।সারহান নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয় এইবার।একবার ছুঁয়ে দেখবে সে তার সারজানকে।কিন্তু সারহানের ভেতরকার অপরাধি সত্তার টনক নড়ে উঠে।
নাহ,সে ছোঁবে না সে সারজানকে।এই পবিত্র প্রাণটাকে সে অপবিত্র করবে না।সারহান করুন গলায় অনুযোগের সুরে বললো—

“সারজান,পাপাকে ক্ষমা করবে না?

মিটিমিটি করে তাকায় সারজান।চোখে হাসে সে।সারজান হাসতেই তার দু’চোখ বন্ধ হয়ে চোখের দুই কোণে তারকার মতো হয়।সারহান আপ্লুত গলায় বললো—

“ভালোই করেছো সারজান।তোমার পাপা ভালো না।একদম পঁচা।তাই বুঝি চলে গেছো তাকে ছেড়ে?পাপা একটুও ভালো না।”

সারজান গম্ভীর হয়ে যায়।সে তার বাবাকে দেখে।তার বাবার চোখে অথৈ জল খেলছে।সারজান বিক্ষিপ্ত চোখে তাকায়।নিচের ঠোঁট টা উল্টে ভ্যা ভ্যা করে চোখ কুঁচকে কাঁদতে থাকে।সারহান অধৈর্য হয়ে পড়ে।উদ্বেলিত গলায় বললো–

“কাঁদে না পরী।দেখো পাপাকে।কাঁদে না আমার সোনা।পাপা লাভস ইউ।ইউ আর মাই এঞ্জেল।”

সারহানের শ্বাস রোধ হয়ে আসে।এতো কাছে পেয়েও সে তার মেয়েকে ছুঁয়ে দেখতে পারছে না।এর চেয়ে বিষাক্ত যন্ত্রণা আর কিছু হতে পারে না।ডুকরে কেঁদে উঠে সারহান।আচমকা সারহানের ভেতরকার সুপ্ত মানব বেরিয়ে আসে। রুষ্ট গলায় বললো–

“কীরে কাঁদছিস?

সারহান ঝাপসা চোখে পেছন ফিরে তাকায়।কাউচের দক্ষিন পাশে থাকা ক্যাবিনেটের সাথে হেলে দাঁড়িয়ে আছে সেই মানব।তার চোখে মুখে একরাশ তাচ্ছিল্য।পৈচাশিক হেসে আবার বললো—

“কষ্ট হচ্ছে তোর?এই তো সবে শুরু সারহান জেইদি।”

সারহান বিক্ষিপ্ত গলায় বলে–

“কিসের শুরু?

“তোর দহনের।জ্বলে,পুড়ে নিঃশেষ হবি তুই।”

সারহান কাঁপা গলায় বললো—

“নিঃশেষ তো হয়ে গেছি আমি।সব হারিয়েছি আমি।আমার সন্তানকেও হারিয়েছি আমি।”

সুপ্ত মানব খিক খিক করে হেসে বললো—

“এখনো অনেক বাকি।তোর রজনীগন্ধা।”

সারহান চিৎকার করে উঠে—

“নাহ।আমার রজনীগন্ধা আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না।”

সুপ্ত মানব বাঁকা হাসলো।দুই হাত পকেটে পুরে শিষ বাজিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে বললো—

“কী করে আটকাবি তাকে?জান্নাহ্ যখন জানবে তুই ওর বোনের সাথে নোংরামি করেছিস তখন কী তোকে ও ক্ষমা করবে?

সারহান অনুযোগের সুরে ক্ষীন গলায় বললো—

“আমি ভুল করেছি।না জেনে ভুল করেছি আমি।অতীতে করা ভুলের কারণে আমি আমার রজনীগন্ধাকে হারাতে পারবো না।”

সুপ্ত মানুষ ফোঁস করে দম ফেলে বললেন—

“হায়রে,ভাবিয়া করিয়ো কাজ করিয়া ভাবিয়ো না।গুনীজন বলে।আর মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে অপদার্থ চিজ।ভালো কথা কানে নেয় না।তিন বছর আগে যদি নিজের রাগকে দমন করতি তাহলে আজ এতো বড় বাঁশটা খেতি নি।এখন কী হবে রে সারহান পাগলা!

সারহান বড় বড় শ্বাস ফেলতে থাকে।রুদ্ধ কন্ঠে বললো—

“আমি কিচ্ছু জানি না।আমার রজনীগন্ধা আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না।কোথাও যেতে দিবো না আমি তাকে।কোথাও না।আমার নিঃশ্বাস থাকতে সে আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না।ভুল করেছি আমি।তার শাস্তিও পেয়েছি।সব হারিয়েছি আমি।কিছু নেই আমার।ওই রজনীগন্ধাই আমার সব।আমার আত্না,আমার প্রান,আমার হৃদমোহিণী।”

সারহানের কানে বেজে উঠে সারজানের খলখলানি।সামনে তাকায় সে।সারজান অস্ফুট শব্দ করে,”উুঁ,উুঁ।
আমোদিত হয় সারহান।সেই সুপ্ত মানুষ উসহাস করে বলে উঠে—

“সন্তান হারিয়েছিস,এইবার অস্তিত্ব হারাবি।তুই সারাজীবন একাই রয়ে যাবি রে সারহান।একা।
কথায় আছে না,
“এসেছি একা,যেতে হবে একা
কেন এতো মিছে মায়া?
মায়ার পৃথিবী বেঁধেছে মায়ায়
ছিন্ন হবে তার ছায়া।”

সারহান স্বশব্দে বলে উঠে—

“নাহ,নাআআআ।এ হতে পারে না।আমার রজনীগন্ধা শুধুই আমার।আমার প্রাণদেবী।আমার হৃদস্পন্দন।আমার অন্ধকার জীবনের চন্দ্রকিরণ।”

সারহানের ভেতরকার সেই বিদ্বেষী মানব বেখেয়ালিভাবে পুরো ঘরে হাঁটতে থাকে আর বাঁকা হেসে আনমনে শিষ বাজাতে থাকে।সেই আওয়াজ গরম লোহার মতো বিঁধে যাচ্ছে সারহানের কানে।সারহান উদ্ভ্রান্তের মতো তাকাতেই হালকা হতে থাকে তার অবয়ব।সারহান ব্যস্ত হয়ে সারজানের দিকে তাকায়।অধর ছড়িয়ে মুক্ত শ্বাস টেনে নিয়ে হাত বাড়াতেই সারজানের ছোট্ট শরীর হাওয়ায় একটু একটু করে মিলিয়ে যেতে থাকে।চিৎকার করে ডেকে উঠে সারহান—

“সারজান,পরী আমার।”
,
,
,
দরজা খুলেই আকাশ গুড়ুম রাফাতের মা রিতার।তার সামনেই বরফমূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে জান্নাহ্। অবাক বিস্ময় বলে উঠে–

“জান্নাহ্!

জান্নাহ্ ধীর গলায় বললো—

“কেমন আছো আন্টি?ভেতরে আসতে দেবে না?

রিতা যেনো হাতে চাঁদ পেলো।সাদরে গ্রহণ করে নেয় জান্নাহ্কে।কিন্তু চাঁদের চোখে যে জল!
জান্নাহ্ এর কোমল,শুষ্ক,জীর্ণ চেহারা দেখে কষ্ট পেলেন রিতা।গরগর করে বললেন—

“এই কী অবস্থা তোর?কোথায় ছিলি এতোদিন?

জান্নাহ্ ঝাঁপটে ধরে রিতাকে।ঝমঝম করে বর্ষাতে থাকে তার চোখের নীর।জান্নাহ্ এর পিঠের উপর হাত বুলাতে থাকে রিতা।মখমলে গলায় বললেন—

“কী হয়েছে তোর?কোথায় ছিলি তুই?তোর রিফাত আঙ্কেল কতো খুঁজেছে তোকে।রাফাতও ফিরে এসেছে।”

জান্নাহ্ কান্নার তোড়ে কিছু বলতে পারলো না।রাফাতের বাবা রিফাত নিজের রুম থেকে বেরিয়ে এলেন।আচমকা জান্নাহ্কে দেখে হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন তিনি।মেয়েটা অনেক বদলে গেছে।মায়াবী মুখটা কেমন মলিন হয়ে আছে।শরীরটাও কেমন ভেঙে পড়েছে।চোয়াল দেবে হাড় দেখা যাচ্ছে।বিভ্রান্ত গলায় বললো—

“জান্নাহ্!

জান্নাহ বরফ ঠান্ডা গলায় বললো–

“আঙ্কেল!

“কোথায় ছিলি তুই?হঠাৎ করে কোথায় চলে গেলি?

জান্নাহ্ ধরা গলায় বললো–

“রাফাত কোথায়?আমি ওর সাথে দেখা করবো।”

জান্নাহ্ কিছু না বলেই রাফাতের ঘরের দিকে দৌঁড় লাগায়।এই বাড়ির সব চেনা জান্নাহ্ এর।শৈশবের অনেকটা সময় সে এখানে কাটিয়েছে।

রাফাতের দরজার সামনে গিয়ে থমকে যায় জান্নাহ্।সেই পরিচিত ঘর,সেই পরিচিত দেয়াল।সেই অতিপরিচিত মানুষ।কিন্তু তা আজ নতুন।নতুন করে চেনা হবে,জানা হবে।আলতো হাতে করাঘাত করে জান্নাহ্।বারকয়েক করাঘাত হলেও কেউ কথা বললো না।রিতা আর রিফাত উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে।কখন খুলবে এই বদ্ধ দ্বার।

কিছুসময় পর একটা কর্কশ কন্ঠ শুনতে পায় জান্নাহ্।

“বলেছি না কেউ আসবে না আমার কাছে।চলে যাও,চলে যাও তোমরা।”

জান্নাহ্ কান্না গিলে রাফাতের মা,বাবার দিকে তাকায়।তারা অসহায়ভাবে তাকিয়ে আছে।স্বাভাবিক গলায় মিহি সুর তুলে জান্নাহ্–

“রাফাত,আমি জান্নাহ্।ওপেন দ্যা ডোর প্লিজ।তোমার রেড চেরি এসেছে দেখো।”

ফট করেই দরজা খুলে যায় সেকেন্ডেই।ভরাট দৃষ্টিতে দমবন্ধ করে তাকিয়ে আছে রাফাত।জান্নাহ্ তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে।একটা বিদঘুটে গন্ধ এসে তার নাকে লাগে।এ কাকে দেখছে সে!
মনে হচ্ছে প্রাচীন যুগের কোনো আদিমানব! একটা হতপ্রায় জীব।রাফাতের পুরো মুখের মধ্যে শুধু তার মায়াভরা চোখ দুটোই বুঝা যাচ্ছে।বাকিসব এলোথেলো বাড়ন্ত চুল আর দাঁড়ি গোফে ঢেকে আছে। জীর্ণশীর্ণ দেহে একটা ডুলডুলে টিশার্ট পরে আছে রাফাত।মুখের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের দাগ।হাতের কোথাও কোথাও এখনো তাজা রক্ত লেগে আছে।জান্নাহ্ স্থির দৃষ্টিতে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে দেখে।যাকে দেখলে তার ক্লাসমেটরা হা করে গিলে নিতো।রাফাতের সাথে কথা বলার জন্য তার সাথে বন্ধুত্ব করতো।

আর সেই বেস্ট ফ্রেন্ডকে দেখে জান্নাহ্ যেনো চোখের পলক ফেলতেই ভুলে গেলো।

জীবন বড় কঠিন।ক্ষণে ক্ষণে বদলায় তার রূপ।জীবন কাটানো হয়তো সোজা কিন্তু তাকে বোঝা মুশকিল।

চলবে,,,

(বিঃদ্রঃ
আগামী পর্বের শুরু থেকেই থাকবে জান্নাহ্ এর অতীত।তাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।হয়তো আপনাদের মনে উদ্ভুত সকল প্রশ্নের জবাব পাবেন।ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here