#জান্নাহ্
#পর্বঃ৫৩
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি
হসপিটালের করিডোরে চিৎকার চেঁচামেচিতে হুলস্থুল পরিবেশ।একটা অ্যাকসিডেন্ট পেশেন্ট আনা হয়েছে।কিন্তু কর্তব্যরত ডক্টটরা পেশেন্টকে এডমিট করতে অস্বীকৃতি জানান।আর তাতেই ক্ষেপে গিয়ে পেশেন্টকে নিয়ে আসা যুবকটি বর্তমান শিফটের মেডিসিন ডক্টর অতনুর গলা চেপে ধরেছে।রাগে অগ্নিশর্মা ছেলেটির এমন নির্ভীক কাজে হসপিটালের বাকিরা ভড়কে যায়।তারা বোবা দর্শকের মতো চেয়ে আছে।
ডক্টর অতনু রুদ্ধ গলায় ভাঙা ভাঙা শব্দে আওড়ালেন—
“দেখুন মি.আআপনি কিইন্তু বাড়াবাড়ি করছেন!
ছেলেটি চোয়াল শক্ত করে খেমটি মেরে বললো—
“আমি যা বলেছি তাই করুন।যদি মেয়েটার কিছু হয় তাহলে পুরো হসপিটাল আমি সিজ করে দিবো।”
ডক্টর অতনু কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন—
” এটা পুলিশ কেস।পুলিশ না আসা পর্যন্ত আমরা পেশেন্টকে এডমিট করতে পারবো না।”
ছেলেটি ডক্টর অতনুর কাঁধের দুই পাশে চাপড় মেরে ধরে থমথমে গলায় বললো—
“হিট এন্ড রান কেস।আই নো।পুলিশ আসলে তাদের সাথে আমি বুঝবো।কিন্তু ততক্ষন অপেক্ষা করলে মেয়েটি মরে যাবে।ওর ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করুন।”
তৎক্ষণাৎ হার্ট স্পেশালিস্ট ডক্টর রিফাত ত্রস্ত পায়ে এসে চকিত গলায় বললেন—
“হোয়াট ইজ দিস?হচ্ছেটা কী এখানে?
ছেলেটি তার হাতের বাঁধন শিথিল করে ডক্টর রিফাতের দিকে তাকায়।শান্ত গলায় জানায় সবটা।ডক্টর রিফাত আশ্বস্ত করলেন ছেলেটিকে।ডক্টর অতনুকে বললেন মেয়েটার ট্রিটমেন্ট শুরু করতে।তিনি তাই করলেন।ছেলেটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।ডক্টর রিফাতের কাছে গিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সরস গলায় বললো—
“আই এম রিয়েলী সরি।আসলে মেয়েটার অবস্থা ভালো নেই।যত দেরী হবে তার মৃত্যু ঝুঁকি বাড়বে।তাই বাধ্য হয়েই…।”
ডক্টর রিফাত চোখ দিয়ে আশ্বস্ত করলেন।একজন নার্স একটা ফর্ম নিয়ে এলেন।ছেলেটি তা পূরণ করে।নার্স যখন কৌতূহলী হয়ে ছেলেটিকে জিঙ্গেস করে মেয়েটির আপনার কী হয়,ছেলেটি স্মিত হাসলো।বললো,”রক্তের সম্পর্কের ঊর্ধ্বেও সম্পর্ক হয়।মনুষ্যত্বের সম্পর্কে।”
জান্নাহ্ এর কাছে কথাটা বেশ লাগলো।যেনো তার বাবা বললো কথাটা।একটু দূরে দাঁড়িয়েই পুরো ঘটনা অবলোকন করলো জান্নাহ্।শীতল নিঃশ্বাস ফেলে সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো।ছেলেটি কিছুক্ষন কথা বললো ডক্টর রিফাতের সাথে।এরপর কাউন্টারে গিয়ে কার্ডের মাধ্যমে পুরো বিল পরিশোধ করে।রিসিপশনের সামনে থাকা ওয়েটিং চেয়ারে বসে থাকার সময় খেয়াল করে দুইজন বৃদ্ধ আর তার সাথে একটা ছেলে হন্য হয়ে হসপিটালের ভেতরে ঢুকছে।তাদের ব্যস্ততা আর উদ্বেগ দেখে বুঝলো যে মেয়েটিকে সে হসপিটালে নিয়ে এসেছে এরা তারই পরিবার।ছেলেটির মধ্যে কোনো ভাবাবেশ হলো না।পুলিশ আসার অপেক্ষায় সে বসে রইলো।ছেলেটির আপাদমস্তক রক্তের জমাট দাগ।মেয়েটিকে হসপিটালে আনতে গিয়েই এই অবস্থা।আচমকা মুখ বিকৃত করে ছেলেটি।গলাটা শুকিয়ে আসে তার।কেঁশে উঠতেই কেউ তার সামনে পানির বোতল ধরে।ছেলেটি বিনা দ্বিধায় তা নিয়েই চুমুক লাগায়।কে দিলো তাতে ভ্রুক্ষেপ করলো না।পানি পান করেই আবার বোতলটা তার দিকে এগিয়ে দিয়ে মোবাইলে চোখ রেখেই বললো–
“থ্যাংকস।”
সামনের ব্যক্তি মিষ্টি করে বললো—
“ইটস মাই প্লেজার।”
একটা মেয়েলী মিষ্টি কন্ঠ শুনে ভ্রু কুঁচকে আসে ছেলেটির।সামনে তাকাতেই দেখে চৌদ্দ কী পনেরো বছরের একটা কিশোরী মেয়ে নরম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।ছেলেটি এক পলক দেখে আবার বললো–
“থ্যাংকস।”
কিশোরী মেয়েটি মিষ্টি করে হাসলো।ছেলেটি তার মোবাইলে আবার অভিনিবেশ করে।জান্নাহ্ বামদিকের করিডোরের অভিমুখে দাঁড়িয়ে নির্নিমেখ তাকিয়ে থাকে ছেলেটির দিকে।কাঁধে কারো হাতের স্পর্শে সচকিত হয় জান্নাহ্।জাফিন মোলায়েম গলায় প্রশ্ন ছুঁড়—
“কী ব্যাপার ডল?তোমাকে তো আমি চেম্বারে থাকতে বলেছি।এখানে কেন?
জান্নাহ্ তার বাবার ক্লান্ত মুখটা দেখে বললো—
“তুমি কী খুব টায়ার্ড বাবা?
“হোয়াই ডল?
জান্নাহ্ স্মিত হাসলো।তার বাবাকে চোখের ইশারায় ছেলেটিকে দেখায়।জাফিন ঘুরে তাকায়।সাতাশ,আটাশ বছরের একটা যুবক বসে আছে আনমনে।তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের ছড়াছড়ি হলেও সে আঘাত প্রাপ্ত নয় তা জাফিন বুঝতে পারে।জাফিন মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন—-
“আমি কী করতে পারি?
জান্নাহ্ আদুরে গলায় বললো—
“তুমি কী তার সাথে একবার কথা বলবে?
জাফিনের পুরু ভ্রু জোড়া মুহূর্তেই কুঁচকে এলো।গম্ভীর হলো মুখ।জান্নাহ্ একটু আগের ঘটনা খুলে বললো।আমোদিত হলেন জাফিন।আজকালও এমন মানুষ হয়!
ছেলেটির সামনে গিয়ে দাঁড়ায় জাফিন।সংক্ষিপ্ত সুরে বললেন—
“হ্যালো ইয়াং ম্যান!
ছেলেটি সরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে উঠে দাঁড়ালো।গাঢ় চাহনিতে জাফিনকে দেখে ছোট্ট করে বললো—
“আপনি?
জাফিন চমৎকার হাসলেন।হ্যান্ডশেকের জন্য হাতটা বাড়িয়ে স্বাভাবিক গলায় বললেন–
“আই এম জাফিন।জাফিন চৌধুরী।একজন নিউরো সার্জন।অবশ্য আরেকটা পরিচয় আমার আছে।এই হসপিটালটা আমারই।”
ছেলেটির অতি আনন্দে হাতটা বাড়িয়ে ঝলমলে হেসে বললো—
“আমি সারহান।সারহান জেইদি।একজন ক্রাইম স্পেশাল জার্নালিস্ট।”
“ওও,ইটস সাউন্ড গুড।”
“থ্যাংকস।”
নামটা শুনতেই দুইবার আওড়ালো জান্নাহ্।মানুষটার মতো নামটাও তার পছন্দ হলো।সে উচ্ছল দৃষ্টিতে সেই অপরিচিত মানুষটিকে দেখতে লাগলো।জাফিন খুশ মেজাজে গল্প করতে লাগলেন।আর জান্নাহ্ সেই মানুষটাকে দেখতে লাগলো।তার কোমল কিশোরী মনে এক অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি হলো।তার নাম সে দিতে পারছে না।এমনটা আগে কখনো হয়নি।সারহান যতবার তার ঠোঁট নাড়াচ্ছে জান্নাহ্ গুনে গুনে দেখছে তা।তার চোখের পলক গুনছে সে।কথার ফাঁকে সারহান কতবার স্মিত হাসলো তাও সে ঠাওর করলো।কতবার লজ্জায় সারহান তার মাথানত করে হাসলো তাও।জান্নাহ্ এর কাছে ব্যাপারটা ভালো লাগলো না।এমন করে কেউ কাউকে দেখে!ছিঃ! কী বিশ্রি ব্যাপার!
জান্নাহ্ তার চোখ সরাতে চাইলো।সাথে তার অবচেতন মস্তিষ্কের ওলট পালট চিন্তা।কিন্তু পারলো না।সে আবারো দেখলো ওই মানুষটাকে।তার পিচ কালারের ওষ্ঠাধর অনুরণিত হচ্ছে।ওই গম্ভীর কিন্তু মায়াবী দুই চোখ যেনো জান্নাহ্কে দেখেই হাসছে।
জান্নাহ্ এর মনে হলো সে কোনো নদীর মাঝে চরে দাঁড়িয়ে আছে।এখান থেকে ফেরার জন্য একটাই উপায় তাহলো ছোট্ট ডিঙি নৌকা।কিন্তু মাঝির সাথে বেজায় ঝগড়া জান্নাহ্ এর।এখন সে বাড়ি ফিরবে কী করে?
তাই বাধ্য হয়েই মাঝির সাথে ভাব করতে হলো তার।জান্নাহ্ এর এমনটাই মনে হলো।এই মানুষটাকে তার সেই দুষ্ট মাঝি মনে হলো।যে তাকে পাড়ে
ভিড়াবে।জান্নাহ্ তার দুষ্ট মাঝির একটা নাম দিলো।প্রাণ।
জান্নাহ্ এর সম্বিৎ ফিরে তার বাবার মৃদু কন্ঠে।
“ডল,এখন কী আমরা যেতে পারি?
চমকে উঠে জান্নাহ্।সে তার প্রাণকে দেখায় ব্যস্ত ছিলো।আনম্র গলায় বললো–
“হ্যাঁ,বাবা।”
সারহান তার মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত।তার সামনে দিয়ে হেঁটে যায় জাফিন আর জান্নাহ্।সেদিকে তাকালো না সারহান।সারহানের কাছে থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পেছন ফিরে তাকায় জান্নাহ্।বা’হাতে সে তার বাবার হাত ধরে রেখেছে।জরুরি একটা কল আসতেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে দাঁড়ায় সারহান।মোবাইল কানে চেপে ধরেই বেখেয়ালিভাবে তাকায় হসপিটালের এক্সিটে।যেখান থেকে চেয়ে আছে জান্নাহ্।সারহান গভীর দৃষ্টিতে দেখে সে কিশোরীকে এইবার।ঘন পল্লবের নিচে দুই হাসি হাসি চোখ।কিশলয়ের মতো পাতলা অধরপল্লব।কোমর পর্যন্ত ছড়ানো চুল।একটা হাঁটু অব্দি লম্বা ফ্রক।সাথে চুরিধার।পায়ে লাইট পিংক কালারের স্ক্যাকার্স।সারহানের কিছু একটা হলো।সে কিশোরী মেয়েটির চোখের দিকে অনিমেখ চেয়ে রইলো যেনো ওই চোখ থেকে নিঃসৃত অমৃতের বাণ তার হৃদপিন্ডে বিঁধে গেলো।
আলতো চোখের পলকে জান্নাহ্কে দেখে সারহান।চোখ সরায় সে।মনোযোগ দেয় মোবাইলের ওপাশের ব্যক্তিটির প্রতি।জানলো না সারহান।তার এই গম্ভীর চোখের চাহনি এক কিশোরী মনে ঝড় তুলে দিলো।প্রাণ নামের সেই ঝড়।যা সম্পর্কে সেই কিশোরীও অবগত নয়।
,
,
,
ল্যাপটপের হোল স্ক্রীন জুড়ে রাফাতের হাস্যোজ্জ্বল চেহারা।টুকটুক করে একে অপরের সাথে কথা বলছে দুইজন।
“জান্নাহ্,কী করছো তুমি?
জান্নাহ্ একগাল হেসে বললো—
“ইটস সিক্রেট।”
রাফাত কপাল ভাঁজ করে বললো—
“পেইন্টিং করছো?
স্মিতহাস্য অধরে ভ্রু নাচিয়ে জান্নাহ্ বললো—
“কী করে বুঝলে?
“রেড চেরি,তোমার অস্থিমজ্জাকে আমি চিনি।”
জান্নাহ্ ঝুমঝুম করে হাসে।সেন্টার টেবিলের উপর ল্যাপটপ রেখে মেঝেতে বসে কথা বলছে রাফাতের সাথে অনলাইনে।হাতে থাকা পেইন্টিং টা উঁচু করে ধরে।লাইট পিংক আর রেডের সমন্বয়ে চেরি গাছ আঁকা।পাশেই এইটি মেয়ে বসে চেরি খাচ্ছে।রাফাত গা দুলিয়ে হেসে উঠে।জান্নাহ্ ঠোঁট উল্টে রাগি রাগি গলায় বললো—
“হাসলে কেন?
রাফাত সরব গলায় বললো–
“চেরি গার্ল।একবার আমাকে আসতে দাও তোমাকে চেরির সাগরে ডোবাবো।”
“ইশ!তোমায় বেঁধে রাখবো।”
হা হা করে হেসে উঠে রাফাত।জান্নাহ্ উৎসুক গলায় বললো—
“খেয়েছো?
“ইয়েস রেড চেরি।একজন ভবিতব্য ডক্টর অবশ্যই তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হবে।অলরেডি টুয়েলভ এ.ম।”
জান্নাহ্ চোখে হাসে। রাফাত কপালে তর্জনী দিয়ে চুলকে পাল্টা প্রশ্ন করে—
“আজ তোমাকে খুশি খুশি লাগছে?
জান্নাহ্ ঠোঁট চিপে বললো—
“ইটস সিক্রেট।বলা যাবে না।”
“তোমার আমার মাঝে সিক্রেট আসলো কোথ থেকে?
“রাফাত,আই এম আ বিগ গার্ল নাউ।ওকে বাই।নয়টা বেজে গেছে।বাবা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।”
“ওকে,লাভ।বাই এন্ড টেক কেয়ার।”
“টা টা।”
,
,
,
খাওয়ার টেবিলে চুপ চাপ বসে আছে জান্নাহ্।জাফিন মেয়ের মতিগতি খানিকটা আঁচ করে বললেন—
“তুমি কী কিছু ভাবছো ডল?
জান্নাহ্ অস্ফুট সুরে বললো–
“হুম।”
“আমি কী তা জানতে পারি?
জান্নাহ্ চটপটে গলায় বললো—
“ছেলেটা ভালো না বাবা?
জাফিন চমকে হাসলেন।তার মেয়ে আজ প্রথম কোন ছেলের প্রশংসা করেছে।এই বয়সের মেয়েদের মধ্যে ফ্যান্টাসি কাজ করে।মুভির হিরোদের নিয়েও তারা সংসার সাজিয়ে বসে।লাইফ পার্টনারকে কল্পনা করে কোরিয়ান কোনো হিরোর মতো।কিন্ত জান্নাহ্ তা নয়।সে সবার থেকে আলাদা।বাবার মতো বাস্তব প্রিয় মানুষ।নিজের বাবাকে সে নিজের আদর্শ মানে এবং জীবনসঙ্গী হিসেবে সে তার বাবার মতো কাউকে চায়।
জাফিন সরস গলায় বললেন—
“ডল,তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো ইউ আর অনলি ফোরটিন।”
জান্নাহ্ সহজ গলায় বললো–
“আই নো বাবা।আই এম নট আ কিড।”
মেয়ের কথায় হা হা করে হাসির বর্ষণ করলো জাফিন।জান্নাহ্ গুমোট গলায় বললো—
“মাম্মা এখনো ফিরেনি বাবা?
জাফিন মৃদু স্বরে বললেন–
“নাহ।”
“আজও মাম্মা ক্লাবে গিয়েছে?
“হয়তো।”
“বাবা,তুমি মাম্মাকে কেন কিছু বলছো না?
“কী বলবো?
জান্নাহ্ রাগাম্বিত গলায় বললো–
“মাম্মা তোমাকে ভালোবাসে না বাবা।”
জাফিন শীতল নিঃশ্বাস ফেললেন।যুক্তি দাঁড় করিয়ে বললেন—-
“এমনটা নয় ডল।ভালোবাসলেই যে তা মুখের স্বীকার করতে হবে তা নয়।ভালোবাসা সুপ্ত অনুভূতি।তোমার মাম্মা আমাকে তার অবচেতন মনে ভালোবাসে তাই সে তার সজ্ঞানে তা প্রকাশ করতে চায় না।সে নিজেকে কঠোরভাবে।কিন্তু আসলে সে তা নয়।আমার প্রতি তার যে রাগ তা তোমার জন্মের সাথে সাথে ঢলে গিয়েছে।কিন্তু তার সাথে হওয়া অন্যায়টা সে আজও মেনে নিতে পারেনি।দ্বিতীয়বার কাউকে নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভালোবাসা যায় তা মানতে সে নারাজ।তোমার মামা তার বোনের ভালোর জন্যই আমার সাথে তার বিয়ে দিয়ে ছিলো।হয়তো মৃণালের সাথে আমার বয়সের ডিফারেন্টটাকে ও অনেক বড় করে দেখেছে।তার কারণ সেম এইজ রিলেশন।কিন্তু আমাকে সে নেগলেট করেনি কখনো।”
“কারণ তুমি তাকে তার চেয়ে বেশি ভালোবেসেছো।”
“হতে পারে।আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।তার ফলে আমি তোমায় পেয়েছি।”
“আই ডোন্ট থিংক সো।”
“ওকে,সময় হলে বুঝবে।এখন খাও।সাড়ে ন’টা বেজে গেছে।এইটা ঠিক নয়।”
চলবে,,,