#জান্নাহ্
#পর্বঃ৬০
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি
গ্রীষ্মের দুপুরের তপ্ত রোদের লীলা খেলা আকাশ জুড়ে।নীলাভ আকাশের বুকের কোথাও কোথাও জটলা বেঁধে আছে গুমোট উজ্জ্বল মেঘ।নদীর পাড়ে শিয়র উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বটগাছটার নিচে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে দুটো পাখি।নদীর বুকে চলছে পালতোলা নৌকা।দু একটা মাছ ধরার নৌকাও দেখা যাচ্ছে।নদীর তীর ঘেঁষে এ পাড়ে দাড়িয়ে আছে অশ্বথ গাছ।তিরতির করে মৃদু শীতল হাওয়া বইছে।তপ্ত রোদের রাসলীলা এখানে কম প্রতীয়মান হচ্ছে।নদীর পাড়ের বায়ুর শীতলতায় ক্রমশ উষ্ণ শরীর প্রশান্তিতে আচ্ছাদিত হতে থাকে।
নদীর পানিতে চক্ষু স্থির করে দাঁড়িয়ে আছে দুটো সাদা বক।তাদের হিংস্র,নিষ্কম্প চাহনি পানির অগভীরে থাকা আকাঙ্ক্ষীত সেই ভীত প্রাণটিতে।নাম না জানা আরো একাধিক গাছে ভরে আছে নদীর ডিম্বাকৃতির বলয়।
তার একপাশে দাঁড়িয়ে আছে অাছে সারহান।নিরুদ্বেগ,নিরবচ্ছিন্ন,অনিমেখ চাহনি ওই বহমান নদীতে।সূর্যের তাপের প্রখরতা কমতেই নদীর পাড়ের বায়ুতে ঠান্ডা ঠান্ডা পরশ আসে।প্রভাকরের ওই দগদগে আভাকে চিরে পবনের মায়ায় জড়ায় সারহানকে।তার গায়ের পাতলা টিশার্ট ফুরফুরে বাতাসে উড়তে থাকে।ঝাঁকড়া চুলগুলো উলুথলু হয়ে সরে আসছে বাতাসের বিপরীত দিকে।
পাশেই শান্ত হয়ে বুকে হাত ভাঁজ করে তার পুরো মনোযোগ দুরের নদীতে না দিয়ে সারহানের দিকে দিয়ে রেখেছে ইহতিশাম।চোখে স্থিরতার সাথে একরাশ কাতরতা।প্রশ্নের মায়াজালে থমথমে মুখ।বাতাস বাড়তে থাকে।নদীর তীরের বাতাসে আলোড়ন সৃষ্টি হয় গাছগাছালিতে।বাতাসে মুখনিঃসৃত শব্দের আওয়াজ ক্ষীন হয়ে আসে।মৌনতা ভেঙে কথার ছন্দ তোলে ইহতিশাম।
“কেন ডেকেছিস?
মৃদু হাসলো সারহান।খেয়ালিপনায় বললো—
“ধন্যবাদ জানাতে তো একদম ই নয়।”
আলতো হাসে ইহতিশাম।তার দোস্ত বদলাবার নয়।সারহান ধীর পায়ে ইহতিশামের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।হুরহুরে বাতাসে দুই বন্ধুর চোখের ইশারায় একে অপরকে প্রগাঢ় দৃষ্টিতে অবলোকন করে।একপাশে নদীর অথৈ ঢেউ অন্যপাশে প্রশ্বস্ত রাস্তা।শূন্যে ছেড়ে রাখা হাত দুটো পকেটে গুঁজে দৃঢ় গলায় সারহান বললো—
“আজকের পর তোর আর আমার সব সম্পর্ক শেষ।তুই আমার জন্য যা করেছিস তার জন্য আমি তোর কাছে কৃতজ্ঞ নই।কারণ,হয়তো তুই আমার জীবনে না এলে এইসবের সৃষ্টিই হতো না।”
ফোঁস করে দম ছাড়লো ইহতিশাম।থমথমে গলায় বললো—
“সম্পর্ক শেষ বললে তো আর সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় না।বন্ধুত্বের সম্পর্ক শেষের সাথে সাথে আমাদের নতুন সম্পর্ক শুরু হয়েছে তা তুই অস্বীকার করতে পারবি না।”
সারহান ক্ষীন চোখে তাকাতেই মুখভর্তি হাসে ইহতিশাম।চটপটে গলায় বললো—
“এখন তো আমরা ভায়রা ভাই।”
তাচ্ছিল্য হাসে সারহান।বিরস মুখে বললো—
“এই সম্পর্কের কোনো মূল্য নেই আমার কাছে।ইনফেক্ট কোনো সম্পর্কেরই কোনো মূল্য নেই।একটা কথা কী জানিস!আগে আমার আফসোস হতো যে এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই।কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য আমি এখন খুশি যে আমার কেউ নেই।আমার কেউ নেই বলেই হয়তো ওই ওপর ওয়ালা ওই সুবাসিত ফুলকে আমার ভাগ্যের খাতায় লিখেছেন।তাই আমি আজ তৃপ্ত।তার ওপর আমার কোনো অভিমান নেই।নেই না পাওয়ার কোনো অভিযোগ।”
ইহতিশাম নিরবতা অবলম্বন করে অনিমেষ চেয়ে রইলো সারহানের দীপ্ত মুখে।চকচকে চোখ দুটো এক পশলা প্রফুল্লতা যেনো ছুঁকছুঁক করে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে।ইহতিশামের মনের দুয়ারে সত্যিই প্রতীত হয় সে ভুল করেছে।তার দুই কান উৎকর্ণ হয়ে আছে শোনার জন্য।সারহান নির্বিকার গলায় বললো—-
“আমি সত্যিই আমার রজনীগন্ধাকে ভালোবাসি।খুব ভালোবাসি।বুঝতে দেরি করে ফেলেছি।কিন্তু এই সুযোগ আমি কাজে লাগাতে চাই।আমার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আমি করতে চাই।যে মেয়ে আমার জন্য এতো কিছু করতে পারে তার জন্য আমি নিজেকে বদলাতে চাই।”
ইহতিশাম সন্দিগ্ধ চোখে তাকায়।তার দৃষ্টি গভীর থেকে গভীর হতে লাগলো।সারহান উন্মনা স্বরে বললো—
“আমার আর কাউকে চাই না।আমি আমার রজনীগন্ধাকে নিয়ে বাঁচতে চাই।আশা করি সেই সুযোগ তুই আমাকে দিবি।”
ইহতিশাম আলগোছে মাথা ঝাঁকায়।একটা কর্কশ আওয়াজ শুনতেই দুই জোড়া চোখ উন্মুখ হয় আকাশ পানে।প্রশ্বস্ত চাহনিতে দেখে একটা বাজপাখি উড়ে যাচ্ছে।সারহান নৈঃশব্দে শ্বাস ফেলে।অনুজ্জ্বল স্বরে বললো—
“মেহনাজকে বলিস পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিতে।আমি জানি তা কষ্টকর।তবুও।”
ইহতিশাম সম্মতিসূচক অঙ্গভঙ্গি করে বললো—
“ওকে।তুই যেমনটা চাইবি তেমনটাই হবে।জান্নাহ্ আসলেই তোকে ভালোবাসে।ওইটুকু মেয়ে কতবড় স্টেপ নিয়েছে তোর জন্য।আই এম সারপ্রাইজ!ভালো থাকিস।”
সারহান তাচ্ছল্য চোখে তাকিয়ে বিক্ষিপ্ত হাসলো।বললো—
“থ্যাংকস।”
বিগলিত হাসলো ইহতিশাম।একটা দমকা হাওয়া এসে লাগে ইহতিশামের কানের পাশে।ফুরফুরে স্নিগ্ধ বাতাসে নদীর পানে তাকায় দুই বন্ধু।দীর্ঘদিনের জমাট বাঁধা সুপ্ত রাগ তরলে পরিণত হতে লাগলো।
,
,
,
বদ্ধচাহনিতে আবদ্ধ করে রেখেছে জান্নাহ্কে সারহান।জান্নাহ্ এর চোখে মুখে অলস ভাব।মিহি গলায় বললো—
“কী ভাবলেন?
জান্নাহ স্বাভাবিক গলায় প্রত্যুক্তি করে—
“কী সম্পর্কে?
“আমি আপনাকে যা বলেছি।”
“আমাকে সময় দিন সারহান।”
সারহান হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে বললো—
“সেই সময়টাই তো নেই আমার কাছে রজনীগন্ধা।”
জান্নাহ্ চোখের পাতা প্রসারিত করে উৎসুক চোখে তাকাতেই ঝরা হাসে সারহান।সরব গলায় বললো—
“এই যে আপনার বাবা মাকেই দেখুন।তারা আপনার সংসার দেখে যেতে পারে নি।ঠিক তেমনভাবে আমর পরী আসতেও এতোটা দেরি না হয়ে যায় যখন আমার হাতে আর সময় থাকবে না।।”
বুক কেঁপে উঠে জান্নাহ্ এর।এইসব কী বলছে তার প্রাণ!
জান্নাহ্ এর চোখ টলটল করে উঠে।চোখের বারি বাঁধ ভাঙতে চায়।সারহান জান্নাহ্কে আলতো হাতে জড়িয়ে ধরে।নির্ভীক গলায় বললো—
“আমার এমন কেন মনে হয় একদিন আপনিই আমার প্রাণটা কেড়ে নিবেন।আমার পরীকে আমার আর দেখা হবে না!
জান্নাহ্ আঁতকে উঠে।দুর্বল হাতে এলোপাথাড়ি কয়েকটা কিল ঘুষি মারে সারহানের বুকে।আর্দ্র গলায় বললো—
“কী বলছেন এইসব!কেন বলছেন!কিছু হবে না আপনার,কিছু না।”
ঝমঝমিয়ে কাঁদে জান্নাহ্।সারহান ছোট্ট শ্বাস ফেলে সংক্ষিপ্ত সুরে বললো—-
“তাহলে কেন শুনছেন না আপনি আমার কথা?
জান্নাহ্ ধরা গলায় বললো—
“শুনবো,সব শুনবো।আপনি যা বলবেন তাই শুনবো আমি।”
সারহান গম্ভীর মুখে বললো—
“আজকের পর আপনার বন্ধুকে বলবেন সে যেনো আপনার কাছ থেকে দূরে থাকে।”
জান্নাহ্ সারহানের বুক থেকে মাথা উঠিয়ে নরম গলায় বললো—
“কেন?
অধর কোণে হাসে সারহান।বিমুগ্ধ গলায় বললো—
“আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডকে বলবেন,আমার রজনীগন্ধা শুধু আমারই।তার সর্বত্র শুধু আমার অধিকার।তার সুবাসের একমাত্র অধিরাজ আমি।”
,
,
,
নিরাক পরিবেশে দম্ভ করে দাঁড়িয়ে আছে কাঁঠাল গাছটা।ঝরে পড়া পাতার ফাঁকে এখনো ঝুলে আছে ছয় সাতেক হৃষ্টপুষ্ট কাঁঠাল।পাক ধরেছে আম গাছের রসালো আমে।হালকা হাওয়া বইতেই নড়ে উঠে কাঁঠাল গাছটা।কিন্তু দিব্যি মন খারাপ করে মুখ বাঁকিয়ে রেখেছে আমগাছ।সূর্য উদয়ের বিপরীত মুখে দাঁড়িয়ে থাকা কাঠাঁল গাছে ম্রিয়মান আলো পড়ছে।কিন্তু তেঁতে আছে আমগাছ।তীর্যক রশ্মি যেনো আজ চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবে তার ভেতরটা।
বাংলোর বাগানটায় নানা রকম গাছের সমাবেশ।দুটো মোটা আমগাছের ফাঁকেই একটা স্টিলনেইস দোলনা রাখা।সেখানে নিরব বসে মোবাইলে অভিনিবেশ করে রেখেছে সারহান।বেডরুম থেকে তা স্পষ্ট দেখছে জান্নাহ্।কিশোরী বিকেল সবেই যৌবনে পা রেখেছে।দিনের শেষ সূর্যের কিরণ গোধূলির পা ছুঁইছে।
শব্দহীনভাবে সারহানের পাশে এসে বসে জান্নাহ্।সেদিকে মনোযোগ না দিয়েই শক্ত মাটিতে পা ঠেকিয়ে দোলনাকে পেছন দিকে হালকা নিয়ে আবার শূন্যে ছাড়তেই দুলে উঠে দোলনা।ঘটনার আকস্মিকতায় জান্নাহ্ হেলে পড়তে গেলেই তার হাত ধরে ফেলে সারহান।নির্বিঘ্ন গলায় বললো—
“বি কেয়ারফুল রজনীগন্ধা।নিজেকে সামলাতে শিখুন।”
জান্নাহ্ ঠোঁট কামড়ে জ্বলন্ত চোখে তাকায়।থমথমে গলায় বললো—
“আপনি আমার মোবাইল দিচ্ছেন না কেন?
সারহান চোখ তুলে তাকায়।মৃদুহাস্য অধরে বললো–
“আগে আপনি আমার ইচ্ছে পূরণ করবেন ।তারপর।”
জান্নাহ্ নাক ফুলায়।কপট রাগি গলায় প্রশ্ন করে—
“আম্মার সাথে কথা বলেছেন?
সারহান অস্ফুট সুরে বললো—
“হুম।”
“কেমন আছে আম্মা?
সারহান সহজ গলায় বললো–
“ভালো।”
জান্নাহ্ কিছুক্ষন থেমে সরস গলায় বললো—
“মোবাইল দিন।”
সারহান পূর্ণ দৃষ্টি ক্ষেপন করে জান্নাহ্ এর দিকে।মেকি হাসে জান্নাহ্।উষ্ণ গলায় বললো—
“এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?দিন মোবাইল।আমি আম্মার সাথে কথা বলবো।”
সারহান নির্লিপ্ত।বিনাবাক্য ব্যয়ে মোবাইলটা জান্নাহ্ এর হাতে দেয়।মোবাইলটা পেয়ে প্রফুল্লচিত্তে উঠে দাঁড়ায় জান্নাহ্।সারহান হাত টেনে ধরতেই গম্ভীর চোখে তাকায়।মোলায়েম গলায় সারহান বললো—
“এখানে বসুন।”
অগত্যা বসলো জান্নাহ্।কল করতেই ক্ষণকাল বাদ কল রিসিভ করে অন্তরা।রিসিভ করতেই হু হু করে উঠে অন্তরার মাতৃ মন।জান্নাহ্ নির্মল গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে—
“কেমন আছেন আম্মা?
অন্তরা কেঁদে কেঁদে বললেন—-
“আমি আর কেমন থাকমু কও।তুমি কেমন আছো বউ?
“আমি ভালো আছি আম্মা।বাবা কেমন আছেন?
“সে ভালাই আছে।”
গলা জমে আসে জান্নাহ্ এর।সামনে তার দিকেই চোখ তাক করে বসে আছে সারহান।নিজের কান্নাকে প্রদমিত করে জান্নাহ্।কিন্তু চোখে ছলছল অথৈ সাগর উপচে পড়বে বলে।অন্তরা ক্রন্দনরত গলায় শুধালেন—
“আমার পোলাডা কেমন আছে?
জান্নাহ্ অত্রস্ত গলায় প্রত্যুত্তর করে—
“সে ভালো আছে আম্মা।”
অন্তরার বুক ভেঙে কান্না আসে।সে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না।ঝরঝরিয়ে বইতে থাকে তার জলপুকুর।কম্পিত গলায় বলতে থাকেন—
“আমার পোলাডার দিকে খেয়াল রাইখো বউ।সে আর কারো রে ভালো না বাসলেও তোমারে সে প্রথ্থম থাইকাই ভালোবাসে।ভরসা করে।তারে দেইখা রাইখো।আমার পোলাডা কত কষ্ট বুকে চাইপা রাখছিলো!ওর তো কোনো দোষ নাই মা।ওরে তুমি ঘেন্না কইরোও না।ও তো এখন তোমারেই বিশ্বাস করে।”
গলা বসে আসে অন্তরার।অন্তরার বুক ফাটা কান্নায় নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না জান্নাহ্।ঝমঝমিয়ে কেঁদে বুক ভাসায়।বিলাপ করে অন্তরা বললো—
“এতোকাল রাগ থাকলেও মাসে একবার অন্তত ওর মুখটা দেইখা কইলজা জুড়াইতাম আমি।কিন্তু এহন আর তা অইবো না।আমার সারহান আর কোনোদিন এই বাড়িতে আইবো না।শুভ্রা যে এমন একটা কাম করবো আমি কোনোদিনও স্বপ্নেও ভাবি নাই।বইন হইয়া ভাইয়ের লগে কেমনে করলো এমন!আমার পোলাডার জীবনডা শেষ কইরা দিলো।আর কোনোদিন আমার পোলা মা কইয়া আমারে ডাকবো না।আর কোনোদিন সে আমার হাতের খাওন খাইতে চাইবো না।সব শেষ কইরা দিছে শুভ্রা।আমার পোলাডারে এতিম বানাইয়া দিছে।”
হেঁচকি তুলে কাঁদতে থাকে অন্তরা।জান্নাহ্ ব্যগ্র গলায় বললো—-
“আম্মা,প্লিজ আর কাঁদবেন না।দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।সে নিশ্চয়ই বাড়ি ফিরে যাবে।”
ফট করেই মোবাইল নিয়ে নেয় সারহান।কল কেটে বিতৃষ্ণা গলায় বললো—
“মিথ্যে আশ্বাস কেন দিচ্ছেন?
“সারহান!
” ও বাড়িতে আমি আর কখনো ফিরে যাবো না।”
জান্নাহ্ উঠে দাঁড়ায়।তার চোখের পল্লব বেয়ে পড়ছে শীতল জলের প্রস্রবণ।প্রস্ফুরণ হয় কন্ঠে।সে কন্ঠ কাঁপিয়ে বললো—-
“এইসব কী বলছেন?কেন যাবেন না আপনি?আম্মা কাঁদছে শুনতে পাচ্ছেন না?
সারহান ভাবলেশহীন স্বরে বললো—
“আমার কিছুই করার নেই।ওই বাড়ির সাথে সব সম্পর্ক চুকিয়ে এসেছি আমি।”
জান্নাহ্ ক্ষুন্ন গলায় বললো—
“সম্পর্ক কোনো শুকনো কাঠ নয় যে হালকা আঘাতেই ভেঙে যাবে।সম্পর্ক হলো আকাশের মতো।মেঘের শেষে নির্মেঘ হবেই।প্রয়োজন শুধু অপেক্ষা আর সময়ের।”
চলবে,,,