__________জীবনের গল্প__________
লেখক: ShoheL Rana
____________পর্ব:-১৪___________
♥তেরো♥
ভোরের সূর্যটা একটু একটু করে আলো ছড়াচ্ছে। ভোরের আলো ফুটতেই গ্রামের মানুষগুলোর ব্যস্তময় সময় শুরু হয়। যে যার মতো কাজে লেগে পড়ো। আশরাফ সাহেবের বাড়ির কিছুটা সামনে দিয়ে চলে গেছে যাতায়াতের একটা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে বড় কোনো গাড়ি না চললেও, রিক্সা, ট্যাক্সি এগুলো চলতে পারে। রাস্তার শেষ মাথায় আছে আরও একটি গ্রাম। গ্রামটা এই গ্রামের চেয়েও বড়। গ্রামগুলোর বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর। যারা কৃষিকাজ করে দলবেঁধে তাদের কাজে যেতে দেখা যায়। দূরদূরান্তে গিয়ে তারা কৃষি কাজ করে, কেউ কেউ কোদাল কাঁধে নিয়ে মাটি কাটতে যায়। আবার রিক্সাওয়ালারা বেল বাজিয়ে ক্রিং ক্রিং শব্দ করে স্টেশনের দিকে রিক্সা চালিয়ে যায়। জেলেদেরও দেখা যায় লুঙ্গিটা একটু উপরে পরে কাঁধে জাল ঝুলিয়ে খালের দিকে যেতে। কেউ কেউ আবার মনের মাধুরি মিশিয়ে গান করে জোরে জোরে। তাদের আবার অন্যরা উৎসাহ দেয়,
-বাহ্ বাহ্, হৃদয়ডা জুড়ায় গেল।’
উৎসাহ পেয়ে ওরা গানের গলা আরও বাড়িয়ে দেয়। তখন মনে হয় এদের জীবনে কোনো দুঃখ নেই। দুমুঠো ঠিকঠাক খেতে পারলেই বাঁচে।
এদের সবার কাজ ভিন্ন হলেও লক্ষ্য কিন্তু একটাই। দিন শেষে ভালো একটা উপার্জন করা। তারপর বাজার করে ঘরে ফেরা।
কাঁধে জাল ঝুলিয়ে আবুলও মাছ ধরতে যাচ্ছে খালে। এক হাত দিয়ে ঘনঘন সিগারেট টানছে। তার পাশে একটা ছোট বালতি হাতে নিয়ে হাঁটছে মন্টু।
আয়েশা বেগম তখন তার মোরগ-মুরগিগুলোকে ডেকে খাবার দিচ্ছিল। একটা মুরগি বাচ্চা ফুটিয়েছে। কিছু চালের খুঁত নিয়ে এসে বাচ্চাগুলোর সামনে ছিটিয়ে দিলো সে। কয়েকটা কাক তখন ‘কা কা’ করছিল বেড়ার উপর। একটা ঢিল নিয়ে ছুড়ে মারলো সে কাকগুলোর দিকে। এরা মুরগির বাচ্চা দেখলেই ছুঁ মেরে নিয়ে যায়। কাকগুলোকে তাড়িয়েই আয়েশা বেগম রাস্তা দিয়ে আবুল ও তার ছেলেকে যেতে দেখে হাক ডাকলো,
-কী ব্যাপার আবুল ভাই, আজ এত সকাল সকাল মাছ ধরতে যাচ্ছো?’
-আর বইলেন না ভাবী। বউডা আর থাকতে দিলো না, জালটা দিয়া তাড়াতাড়ি বাইর কইরা দিলো। কই, গঞ্জে যেতে হইবো আজ। তাই আর কি।’ হেঁসে দিলো আবুল।
-যাও যাও ভাই। বেশি করে মাছ ধরে গঞ্জে নিয়ে যাও। ওখানে ভালো দাম পাবা। ভাবী ঠিক কাজ করেছে।’
আবুল ‘হা হা হা’ করে চলে গেল ছেলেকে নিয়ে। আয়েশা বেগম ঘুরে দাঁড়ালেন। তখন একটা মুরগির বাচ্চার চিৎকার শোনা গেল। ইয়াসমিনের ছেলেটা একটা বল ছুড়ে মারছিল এদিকে। বলটা মুরগির বাচ্চাটার গায়ে পড়ায় বাচ্চাটা মাটিতে পড়ে ছটফট করতে লাগলো। আয়েশা বেগমও চিৎকার করে উঠলো,
-ও মাগো, শেষ করে দিলো গো ছেলেটা। শয়তান ছেলে, খেলার আর জায়গা পাসনি। ভোর হতেই বল নিয়ে বের হতে হয়?’
তাড়া করলো আয়েশা বেগম ইয়াসমিনের ছেলেটাকে। বলটা হাতে নিয়ে দৌড় দিলো ইয়াসমিনের ছেলে। আয়েশা বেগম মাটি থেকে মুরগির বাচ্চাটা তুলে নিলো। আর চিৎকার করছে না ওটা, নড়াচড়াও করছে না। তখন সে ওটার ঠোঁটে, মাথায় পানির ফোঁটা ফেললো। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটা নড়েচড়ে ‘চিক চিক’ করে উঠলো। আয়েশা বেগম ওটাকে মাটিতে ছেড়ে দিলো। ঝিমাতে লাগলো ওটা। আয়েশা বেগম এবার চিৎকার করে বলতে লাগলো,
-ছেলে মুরগির বাচ্চা মেরে ফেলছে, বিড়ালে আমার ছেলের পাখি মেরে ফেলছে। এদের নিয়ে আর পারা যায় না। মায়ের মতো হয়ছে ছেলেটাও। আমারও আছে ছেলে। কই আমারটা তো এত বাঁদরামি করে না…’
ইয়াসমিন তখন ভেতরে চুলোয় লাকড়ি ঢুকিয়ে ফুঁ দিচ্ছিল। নাকে মুখে ধোঁয়া লেগে কাশছিল সে। আয়েশা বেগমের কথা শুনে ভেতর থেকে বের হয়ে এলো সে কাঁশতে কাশতে। এবার কাশি থামিয়ে বললো,
-ভাবী, এখানে তুমি মাকে টানছো কেন? মা কী করেছে? ছেলেকে মায়ের মতো বলছো, মা কি বলেছে ছেলেকে মুরগির বাচ্চা মারতে?
-দেখো মুরগির বাচ্চাটাকে কী অবস্থা করেছে তোমার ছেলে…’ ইশারা করে মুরগির বাচ্চাটা দেখালো আয়েশা বেগম। তারপর আবার বললো,
-ঐদিন তোমার বিড়ালে পাখি মেরে ফেলছে, আজ আবার ছেলে এসে মুরগির বাচ্চা মারছে। ছেলেকে কী করবা করো।’
ইয়াসমিন তখন তার ছেলেকে ধরে মেহেদি গাছের ডাল ভেঙে ওটা দিয়ে মারতে লাগলো, আর চিৎকার করে বলতে লাগলো,
-তোর জন্য মানুষের এত কথা শুনতে হয় কেন আমার? ভোর হতে না হতেই বল বের করছিস কেন?’
মেরেই চললো ইয়াসমিন ছেলেকে। আর সে চিল্লাতে লাগলো,
-ও মাগো, আর করবো না মাগো, আর করবো না।
-এখন করছিস কেন? তোর বয়সী সবাই মক্তবে যাচ্ছে, আর তুই বল নিয়ে খেলছিস?’ বলে আবার মারতে লাগলো। আরও জোরে কাঁদতে কাঁদতে ছেলে বললো,
-যাবো, যাবো। এখন যাচ্ছি মা, আর মেরো না মা।
-যা, এখন মক্তবে যা।’ ছেলেকে ছেড়ে দিলো ইয়াসমিন। ছাড়া পেয়েই দৌড় দিলো সে। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে সবাইকে গালি দিতে লাগলো। ইয়াসমিন বললো,
-আবার ধরতে পারলে আরও বেশি খাবি মাইর।’
ততক্ষণে বাড়ির সবাই এসে হাজির। ইয়াসমিনের বোন কাজল বললো,
-একটা সামান্য মুরগির বাচ্চার জন্য বাচ্চা ছেলেটাকে এভাবে মার খাওয়ালো? কেমন মানুষ উনি?’
আয়েশা বেগমের রাগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো এবার,
-এই, তুমি কে কথা বলার? বেড়াতে এসেছো, মেহমানের মতো থাকো। বোনের দিকে টানবে না।
-বোনের দিকে টানবে না তো কী করবে? একটা একদিনের মুরগির বাচ্চার জন্য মানুষ এমন করে ছিঃ!’ ঘৃণা প্রকাশ করলো ইয়াসমিন। আয়েশা বেগম বললো,
-ছিঃ ছিঃ করবি না ইয়াসমিন, খবরদার! ক্ষতি তো আমাদেরই হচ্ছে। তোদের হলে বুঝতি। তোর বিড়ালকে পেলে ঠ্যাং ভেঙে দেবো, তখন কেমন লাগে দেখিস।
-ঠ্যাং ভেঙে দেখিস আগে, আমিও ছাড়বো না।
এবার কাজল বললো,
-আপু, এই ঝগড়াটে মহিলার সাথে তোরা একসাথে কী করে থাকিস বুঝি না। আমি হলে কবেই আলাদা হয়ে যেতাম।
-একসাথে থাকতে কে বলছে? আলাদা হয়ে যা… আমাদের এতো ঠেকা পড়েনি।’ আয়েশা বেগমের গলার আওয়াজ বেড়ে গেল। পদ্মাবতী ওদের ঝগড়া থামাতে বললেন,
-উফ, কী শুরু করেছো তোমরা? বড় বউ তুমি চুপ থাকো। তোমারই দোষ সব। একটা মুরগির বাচ্চার জন্য এমন করতে হয়? বাড়িতে মেহমান আছে। ওরা কী ভাববে?
-আপনি শুধু আমার দোষ দেখেন আর কারও দোষ দেখেন না। ঠিক আছে, কারও আলাদা হতে হবে না। আমরাই আজ থেকে আলাদা থাকবো, আলাদা খাবো, আলাদা সংসার করবো।
-যার যা খুশি করো। আমাদের আর কিছু বলার নেই।’ পদ্মাবতী ভেতরে চলে গেলেন।
.
.
সেদিন দুপুরের আগেই বাড়ির সব মেহমান বিদায় হয়ে গেল। বিদায়ের আগে ঝগড়াটার রেশ ধরে রিতার সাথে কোনো কথা হয়নি রাজের। কারণ রিতা ইয়াসমিনের ভাইয়ের মেয়ে। তবে রিতা বেশ কয়েকবার কথা বলার সুযোগ খুঁজেছিল রাজের সাথে। কিন্তু পারেনি। কেমন যেন অস্বস্তিবোধ শুরু হয় কথা বলতে গেলে। যাওয়ার সময় শুধু একবার চোখাচোখি হয় ওদের। সাথে সাথেই চোখ সরিয়ে নেয় দুজনে।
ঝগড়াটার কারণে মন খারাপ হলেও, রিতা যে চলে গেছে সেজন্য মনি খুব খুশি। তবে সেই খুশিটা প্রকাশ করলো না সে। ঘরের সামনের রুমে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে কী যেন ভাবতে লাগলো সে। ঘর একদম চুপচাপ। মেহমান সব চলে যাওয়ায় কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে পুরো ঘরটা। তার চেয়ে বেশি ফাঁকা লাগছে রাজ ঘরে নেই বলে। মেহমানরা চলে যাওয়ার পর বাবার সাথে বাজারে গেছে সে। মনি একা একা রাজকে নিয়ে ভাবতে লাগলো। ছোটবেলায় যেভাবে বউ সাজতো ও রাজের, কল্পনায় সে আবার রাজের বউ সাজলো। রাজকে কল্পনা করছে সে স্বামী রূপে। রাজের গলায় একটা গামছা, ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে সে হাক ডাকছে,
-বউ বউ, সাবান আর লুঙ্গিটা আনো তো।’
মনি তখন সাবান আর ভাজ করা লুঙ্গি নিয়ে এসে স্বামীকে দিয়ে বলছে,
-দাঁড়াও, আমি টিউবওয়েল চেপে পানি ভরে দিচ্ছি বালতিতে।’
বউয়ের কথা শুনে রাজ মৃদু হেসে বউয়ের থুতনি ধরে আদর করছে। লজ্জা পেয়ে মনি ঘোমটা টানছে মাথায়।’
হঠাৎ মনির ভাবনায় ছেদ পড়লো বীথির কারণে। বীথি এসে ওর পিঠ চাপড়ে বললো,
-কী রে, কী ভাবছিস?’
-ধুর, কত মজার ভাবনাটা মাটি করে দিলি। আর কিছুক্ষণ পর আসলে কী হতো তোর?’ বিরক্ত প্রকাশ করলো মনি।
-কাকে নিয়ে ভাবছিস, বলতো? বল… বল….’
-আছে একজন। বলা যাবে না…’ দুহাত মুছড়িয়ে লজ্জামাখা হাসলো মনি।
-আচ্ছা বলিস না। দেখতে সে কেমন বল?
-উফ! জানি না। কিছু বলবো না আমি।’
-বলতে হবে না। আচ্ছা শুন না, ঐ ছেলেটাক কয়েকদিন ধরে দেখছি না।
-কোন ছেলেটাকে?
-আরে ঐযে, যে আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। আকাশ।
-ওহ্। কী জানি। খোঁজ নিয়ে দেখ ডায়রিয়া-তায়রিয়া হয়েছে কি না।
-ধুর তুই না। তোরটার হয়েছে মনে হয়।
-আমারটার ধারে কাছেও আসতে পারবে না ওসব। আমারটা সুস্থ সবল, পরিষ্কার ছেলে। তোরটার মতো অপরিষ্কার না।
-হুহ, আইছে। তোরটা আকাশের মতো হবেই না।
-সেটা না জেনে বলছিস। আমারটার নাম জানলে তুইও বলবি আমারটা তোরটার চেয়ে ভালো।
-থাক থাক, আমার আর জানতে হবে না।
-তোকে জানালে তো জানবি।
-তো কোনোদিন কথা হয়েছে ওর সাথে?’
-কথা তো প্রতিদিনই হয়। কিন্তু মনের কথা বলা হয় না। সাহস পাই না।
-বলে ফেল সাহস করে।
-বললেও কাজ হবে না। ও হেসেই উড়িয়ে দেবে।
-তবুও বলে দেখ…
-না রে, এমনিতেই ভালো আছি। বলে আর দুঃখ বাড়াতে চাই না।’ মনির কথাটার আড়ালে কষ্ট লুকিয়ে ছিল বীথি তা ধরতে পারলো না। বীথি বললো,
-তুই-ই ভালো বুঝিস কী করবি।
-তো তোদের এই বোবা প্রেম কতদিন চলবে?’ প্রসঙ্গ ঘুরালো মনি।
-জানি না রে। কেমন ছেলে জানি না ও। শুধু দূর থেকে চেয়ে দেখে, কাছে এসে কথা বলে না। আচ্ছা আমি কি ওকে খেয়ে ফেলবো ও এসে কথা বললে?
-হয়তো খেয়ে ফেলবি তাই আসে না…
-ধুর, তুইও না শুধু ফাজলামি করিস।
-তো কী করবো? তুইও যাস না, সেও আসে না কথা বলতে। এভাবেই কি চলবে?
-হুমম, ও এসে কথা না বললে আমিও কখনও বলবো না।
-কী জানি, কী আছে কপালে তোর।’
বলার পরই মনির মুখের ভাবভঙ্গি পাল্টে গেল। রিকশা নিয়ে বাবার সাথে আসতে দেখা যাচ্ছে রাজকে। মনি বললো,
-বড় মামারা বাজার নিয়ে আসছে, চল বের হয়…
-চল…
.
দুজনে বের হলো। রিকশা এসে থামলো বাড়ির উঠানে। বাজারের বস্তাটা ভেতরে নিয়ে গেল আমান। আরেকটা বস্তায় হাড়ি-পাতিল, বাসন, কলস আরও কিছু সাংসারিক জিনিস দেখা গেল। বস্তাটা নিয়ে রাজ ভেতরে ঢুকে গেল। মনি এবং বীথি দুজনের মুখ মলিন হয়ে গেল এসব দেখে। কী ঘটতে চলেছে এরা বুঝতে পেরেছে। সত্যি সত্যি আলাদা হয়ে যাচ্ছে বীথিরা। দুজনের ভেতরটা হঠাৎ কেঁদে উঠলো। এতবছর একসাথে খেয়ে এসেছে এরা। আজ থেকে আলাদা খাবে। একই ঘরের ভেতর সৃষ্টি হবে আলাদা আরেকটা সংসার, ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। ভেতর থেকে ডাক আসলো আয়েশা বেগমের,
-বীথি এদিকে আয়…
-আসছি মা…’ বলেই ভেতরে গেল বীথি। মনি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। রিকশাটা পাশ দিয়ে চলে গেল ক্রিং ক্রিং করে।
বেশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মনি ধীরে ধীরে পা চালালো ভেতরে। দেখলো রাজ, বীথি তাদের বাবা মার সাথে কাজ করছে। সংসারের জিনিসগুলো আলাদা করছে। দাদুকে দেখা গেল ঘরে বসে পাখা দিয়ে বাতাস করতে, আর দিদিমা দাদুর পাশ থেকে উঠে সামনের রুমে গিয়ে জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকলো। বাইরে তাকিয়ে আনমনে কী যেন ভাবতে লাগলো দিদিমা। কারও মুখে কোনো কথা নেই। মনি ধীরপায়ে হেঁটে গেল নিজেদের রুমে। তার মা তাকে দেখে বললো,
-আয় মা, আমার পাশে আয়, একটু ঘুমা।’
মনি মায়ের পাশে গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লো। কিছু ভালো লাগছে না তার। বালিশের উপর মুখ গুঁজে রইলো সে। কিছুক্ষণপর মনি বলে উঠলো,
-মা, বড় মামারা আলাদা হয়ে যাচ্ছে।’
-হুমম…’ মুখের ভেতর শব্দ করলো মনির মা। আর কিছু বললো না। নীরবে মেয়ের মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। আর মনি বালিশে মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। কেন কাঁদছে সে নিজেও জানে না। শুধু জানে এই মুহূর্তে তার কাঁদতে হবে, অনেক কাঁদতে হবে। কেঁদে বালিশ ভাসাতে হবে।
.
.
(চলবে…..)