#টিপ_টিপ_বৃষ্টিতে
#পর্ব১৯
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
রাস্তার পাশে রাগে গজগজ করতে করতে এদিক ওদিকে তাকাচ্ছে ঐশী।
শুভ একবার ঐশীর দিকে তাকিয়ে আবার ঘড়ির দিকে তাকালো।
শুভঃ পাগলামো করোনা ঐশী। আমার সাথে চলো৷
ঐশীঃ একদম আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না৷
শুভঃ রাস্তার লোকজন তাকিয়ে আছে।
ঐশীঃ তাতে কি আপনার মানসম্মান ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে …? আপনি চলে যান।
শুভঃ আমি তোমার সাথে যাবো।
ঐশীঃ আপনি কেনো যাবেন..??
শুভঃ মৌ আমাকে ও দাওয়াত দিয়েছে।
ঐশী অবাক হয়ে গেলো। শুভকে কেনো দাওয়াত দিয়েছে ওরা।
শুভঃ এবার তো চলো।
ঐশীঃ আমি যাবো না।
শুভঃ বেশি কথা আমার পছন্দ না ঐশী।
ঐশীঃ আমি বলতে বলেছি?
শুভঃ এবার কিন্তু কোলে নিয়ে নিবো। তুমি কি এটাই চাচ্ছো..?
ঐশী তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে উঠলো,’ এখানে কোনো শুটিং হচ্ছে না। আর আমার গায়ে হাত দিলে আপনার এই হাতটা যে নষ্ট হয়ে যাবে। ‘
শুভ অবাক হয়ে যাচ্ছে ঐশীর কথা শুনে।
শুভঃ ঠিক আছে বাসায় চলো৷
ঐশীঃ কোন বাসায়..?
শুভঃ ঐশী লাস্ট বলছি আমার রাগ তুলো না প্লিজ।
ঐশীঃ রাগ উঠলে কি করবেন..? থাপ্পড় বসাবেন..? মারেন থাপ্পড় এটাই পারবেন আর কিছু না।
শুভঃ তুমি কি চাও আমি অন্য কিছু করি..?
ঐশী কিছু না বলে শুভর সামনে গিয়ে বললো,’ আর মাত্র ১৫দিন তারপর আমাদের মধ্যে সব শেষ।
শুভঃ মানে..?
ঐশীঃ যেটা আপনি চেয়ে ছিলেন।বলেই ঐশী হাঁটা ধরলো বাসার দিকে।
শুভ ঠিক আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ঐশী ওকে ছেড়ে যেতে চাচ্ছে। অবশ্য এটাই ওর প্রাপ্য। প্রথমেই এতো কাহিনি না করে ঐশীকে মেনে নিলে আজ এমনটা হতো না। তবে সে ঐশীকে কখনো ছাড়বে না। ঐশী ছেড়ে যেতে চাইলেও না। নিজের ভুল সে শুধরে নিবে।
ঐশীকে আবার বাড়িতে আসতে দেখে বিথী সহ সবাই বললো,’ ফিরে এসেছে কেনো? কি হয়েছে..??
ঐশী বললো ওর শরীর ভালো লাগছে না। তাই চলে এসেছে। ওর রুমে যেনো কেউ না যায়।
বিথী তাকিয়ে আছে ঐশীর যাওয়ার দিকে। কিছু তো একটা হয়েছে।
ঐশী নিজের রুমে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে পূর্ণার অনেক কল এসে আছে কিন্তু পূর্ণা এতো কল কেনো দিয়েছে…?
ঐশী কল দিতেই পূর্ণা কল ধরে বলে উঠলো, ‘ ভাবিপু আজ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।
ঐশীঃ কিসের সারপ্রাইজ পূর্ণা..?
পূর্ণাঃ ভাই আজকে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে তোমার আর ভাইয়ার বিয়ের কথাটা।
ঐশীঃ কি!! কিন্তু কেনো..??
পূর্ণাঃ ভাই বাসায় এসে তোমার খোঁজ করছিলো তখন আমি ভাইয়াকে সব বলে দিয়েছি। ভাইয়া রেগে গিয়ে সোনিয়ার গালে থাপ্পড় বসিয়ে বলেছে, ‘ সোনিয়া তোমার এতো বড় সাহস হয় কিভাবে ঐশীকে এইসব বলার..?
সোনিয়া আপু তখন রেগে বললো,’ ওই মেয়েকে রাতে তোমার সাথে রাখার মানে কি..? একটা মেয়ে কেনো সারা রাত তোমার সাথে থাকবে..?
শুভঃ কারন সে আমার বউ। আমার বউকে এইসব বলার সাহস দ্বিতীয় বার ভুলেও করবে না।এবার ছেড়ে দিলেও দ্বিতীয় বার দিবো না।’
তখন সোনিয়া অবাক হয়ে বললো,বউ কে আপনার..? তখন ভাই ড্রয়িং রুমে সবার সামনে তোমার আর ভাইয়ার বিয়ের কথা বলেছে। আর কি বলেছে জানো..?
ঐশীঃ কি!..?
পূর্ণাঃ না, না এটা তোমার জন্য সব থেকে বড় সারপ্রাইজ এটা বলা যাবে না।
ঐশীঃ কিসের সারপ্রাইজ..?
পূর্ণাঃ বাদ দাও তো। আশা করি খুব জলদি সব ঠিক হয়ে যাবে।
ঐশীঃ হুম খুব জলদি ঠিক হয়ে যাবে।
পূর্ণাঃ তুমি তারাতারি চলে আসো ভাবিপু।
ঐশীঃ আমি আর কখনোই ফিরবো না ওই বাড়িতে পূর্ণা। কখনই না!
বিথী বসে আছে ছাঁদের এক কোনায়।
প্রথম দিন বিথী যখন বাড়িতে আসে সবাই ভূত দেখার মতো চমকে যায়। বিথীর আম্মু ওকে জড়িয়ে ধরতে গেলে ও দূরে সরে যায়। সবাই কতো কথা জিজ্ঞাসা করে কিন্তু বিথী মুখ খুলে না। এখনো কাউকে কিচ্ছুটি বলেনি। বিথীর আব্বু ওর সামনে আসে না কিন্তু কেনো..? শুধুই কি বিথীর এই অল্প আবেগের বসে করা কাজের জন্য নাকি অন্য কিছু..?? ওর আম্মু মেয়ের পাশে পাশে থাকতে চাচ্ছে কিন্তু বিথী ঠিক করে নিজের মায়ের সাথেও কথা বলছে না। কেনো বলবে কথা এতো দিন তো কেউ একটা খুঁজ খবর নেয়নি ওর। ছোটো আব্বু দু একবার গিয়ে ছিলো কিন্তু বিথীর সাথে একবার ও দেখা করতে পারেনি। কালকে একটা চাকরির ইন্টারভিউ আছে, চাকরিটা হয়ে গেলে সে চলে যাবে। নিজের সন্তানকে নিয়ে নিজের মতো করে বাঁচবে। আর সব থেকে বড় কাজ হলো খুব জলদি আকাশকে ডিভোর্স পেপার পাঠাতে হবে।
বিথীর পাশে গিয়ে বসলো ঐশী।
ঐশীঃ এবার বলো গালের দাগ, কপালের কাটা, ঠোঁট ফাটা, হাত পোড়ারক্ষত এইগুলো কিভাবে..??
বিথী ঐশীর দিকে তাকিয়ে বললো,’ আমার জন্য তোর জীবনটাও নষ্ট হয়ে গেলো রে ঐশী।
ঐশী অবাক হয়ে বললো,’ আমার জীবন কেনো নষ্ট হবে..??
বিথীঃ আজ যদি আকাশের সাথে আমি আগে সম্পর্কে না জড়াতাম তাহলে আজ তুই সুখে থাকতি। আমি জানি শুভ তোকে এখনো মেনে নেয়নি।
ঐশী আবারও বিথীর কথা শুনে অবাক হলো,’ কিভাবে জানো..?’
বিথী অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,’ আকাশ তোর সব খবর রাখে। তোদের বিয়ে হয়েছে সেটাও বাসার বাহিরের কেউ জানেনা। এমন সম্পর্কে থাকার কি দরকার..? যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে না থাকাই ভালো।
ঐশী বুঝলো বিথীর কথার মানে।
ঐশী বিথীর দিকে তাকিয়ে বললো,’ আমি শুরু থেকে শেষ অবদ্ধি সবটা জানতে চাই। ‘
বিথী ঐশীকে সবটা বললো।
ঐশী যেনো কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। ওর এই বোকা বোনটার উপর দিয়ে এতো এতো ঝড়-তুফান গেছে আর ও নিজেই কিছু জানে না। আর এই সব কিছুর পেছনে কে..? কি রহস্য লুকিয়ে আছে..? কেনো আকাশ এমন করলো..?? ঐশীর মাথায় হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু কোনোটার উত্তর সে পাচ্ছে না কিন্তু এটার শুরু যেই করুক শেষ তো ঐশীর হাতেই হবে। ওর বোনের সাথে এমন নিকৃষ্ট গেইম খেলার জন্য উপযুক্ত শাস্তি সে দিবে।
ঐশী নিজের রুমে এসে আরও অবাক হয়ে গেলো এই লোক এখানে কেনো..?
ঐশীঃ আপনি এখানে কেনো..?
শুভঃ বউ যেখানে স্বামী ও সেখানেই থাকার কথা।
ঐশীঃ ফালতু কথা রাখুন। আপনি নিজেকে স্বামী দাবি কিভাবে করতে পারেন যেখানে আমি নিজেই আমাকে আপনার বউ ভাবি না।
শুভঃ সেটা তোমার ইচ্ছে ঐশী। তুমি নিজেকে আমার বউ নাই ভাবতে পারো তাই বলে কি আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো।
ঐশী তাচ্ছিল্যের সুরে বলে উঠলো,’ ধরেছেন কখন যে ছেড়ে দিবেন..? আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিলো না আর না আছে। আপনি সব ভুলে যান আমিও ভুলে যাবো।
শুভঃ আমরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করিনি, আমরা ভুলে গেলেও বাকিরা তো ভুলবে না।
ঐশীঃ আমার বাড়ির লোকদের আমি বুঝিয়ে নিবো।
শুভঃ আর যাই বলো তুমি আমার বউ আমারি থাকবে। তোমার মুখের কথায় কিছু চেঞ্জ হবে না।
ঐশীঃ আমি আপনার সাথে এমন পুতুল খেলায় আর জড়িয়ে থাকতে চাই না।
শুভ ঐশীর কাছে এসে । ওর গালে হাত রেখে বললো,’ সব কিছুর জন্য সরি আবার সুন্দর করে নতুন করে সব শুরু করা যায় না।’
ঐশী শুভর দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিয়ে দূরে সরে গেলো। টেবিল থেকে একটা গ্লাস নিয়ে বললো, ‘ এটা নিচে ফেলে দেন..’
শুভঃ এটা কেনো..?
ঐশীঃ ফেলতে বলেছি আমি।
শুভ ঐশীর কথা শুনে গ্লাসটা নিচে ছুড়ে ফেললো।
সাথে সাথে গ্লাসটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো।
ঐশীঃ এবার এটাকে সরি বলুন..
শুভঃ কি!!
ঐশীঃ বলতে বলেছি বলুন।
শুভ বাধ্য হয়ে বললো,’ সরি।’
ঐশীঃ আপনার সরি বলায় এটা জোরা লেগে গেছে কি..? আমিও ঠিক এমন। একটা সস্তা মানের সরি তে সব ঠিক হয়ে যায় না। বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঐশী নিজের রুমে আসলো। কাল বিথীর সাথে ঘুমিয়েছে বিথীও নিষেধ করেনি।
বিথী রেডি হয়ে ভাষা থেকে বেরিয়ে গেলো।
বিথীর আম্মু অনেক বার জিজ্ঞেস করলেন মেয়ে কোথায় যাচ্ছে বিথী কোনো কথার উত্তর দিলো না। নিজের আম্মু আব্বুর উপর এক আকাশ সমান অভিমান জমে আছে এতো সহজে শেষ হবার নয়৷ শুধু একটা চাকরি পেলে এই বাড়ি ও ছেড়ে দিবে সে। আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাবে না।
ঐশী নিজের রুমে এসে শুভকে কোথাও দেখলো না। নিচে গিয়ে নাস্তা করার সময় তীব্র এসে বললো,’ মোটি সর এই প্লেট টা আমার। ‘
ঐশীঃ তীব্র আমার একদম ঝগড়া করার ইচ্ছে নেই।
তীব্রঃ কিইই আমি ঝগড়া করি এতো বড় কথা।
ঐশী তাকিয়ে আছে তীব্রর দিকে গাল ফুলিয়ে মেয়েদের মতো বসে আছে।
ঐশী হেঁসে উঠলো তীব্রর গাল ফুলানো দেখে।
ঐশী ভার্সিটিতে এসে সবাইকে পেয়ে গেলো ক্যান্টিনে। শুধু মৌ বাদে বাকি সবাই আছে।
ঐশী গিয়ে ওদের মধ্যে বসে পরলো।
কেউ কিছু বলছে না।
ঐশীঃ কি রে সবাই এভাবে চুপ করে আছিস কেনো..??
দীপ্তি, অথৈ,শান্ত ওর দিকে তাকিয়ে বললো,’ কাল কোথায় ছিলি তুই..??
ঐশীঃ তোরা তো জানিসই আমি শশুর বাড়ি ছিলাম। শাশুড়ীর শরীর খুব খারাপ ছিলো রে তাই আসতে পারিনি।
অথৈঃ কেনো আন্টির কি হয়েছে..?
ঐশীঃ বাদ দে এখন ভালো আছে।
তারপর দীপ্তর দিকে তাকিয়ে ওর নিজেরও মন খারাপ হয়ে গেলো। ঐশী জানে দীপ্ত মৌ কে কতটা ভালোবাসে কিন্তু সে দীপ্তর জন্য কিছুই করতে পারলো না।
দীপ্তর কাঁধে হাত রেখে বললো,’ কি হয়েছে মন খারাপ নাকি…?
শান্তঃ বইন আমার দিকে তাকা। মন খারাপ থাকলে আমার থাকবে ওর কেনো থাকবে..?
ঐশীঃ তোর মন খারাপ কেনো থাকবে..
শান্ত আপসোসের সুরে বললো,’ বন্ধু বান্ধবী সবাই বিয়ে করে নিলো আমি এখনো সিঙ্গেল। মন খারাপ তো তোদের আমার জন্য হওয়া উচিৎ।’
ঐশী শান্তর পিঠে ডুম করে একটা বসালো। তারপর বলে উঠলো,’ আমরা মেয়ে তাই আমাদের আগে আগে বিয়ে হয়ে গেছে। তোদের সময় হলে হবে।’
শান্ত বলে উঠলো,’ তুই এখনো তাহলে আসল কাহিনি জানিস না…
ঐশীঃ আসল কি কাহিনি..?
শান্ত ঘার কাত করে অথৈ আর দীপ্তির দিকে তাকালো।
শান্তঃ ঐশী কে কিছু বলিস নাই তোরা।
দীপ্তি আর অথৈ বলে উঠলো,’ কাল কে এতো কিছুর পর সময় কই পাইলাম।
শান্তঃ ওহ্হ।
ঐশীঃ কি হইছে বলবি কেউ..? মৌ ঠিক আছে তো..?
অথৈঃ মৌ বেচারি ঠিক আছে। তবে জামাই তো কাল কে বিয়ের আগেই পালাইছে..
ঐশীঃ কিইইই!! কেনো..??
অথৈঃ তা তো জানিনা। বউকে রেডি করাই গিয়ে দেখে জামাইর রুমে জামাই নাই। মোবাইলে ফোন দিলো কিন্তু বন্ধ। অনেক খোজার চেষ্টা করেও জামাই যখন পেলো না তখন..
ঐশীঃ তখন কি..??
অথৈঃ বড় ভাই বিয়ের দিন পলাইছে তাই ছোটো ভাই কে দিয়ে কাম সেরে ফেলেছে।
ঐশীঃ কিইই সত্যি!!
অথৈঃ হুম।
ঐশী গিয়ে খুশিতে দীপ্ত কে জড়িয়ে ধরলো।
শান্তঃ ওরে ছাড়, বেচারার বউ বাসর রাতে ঘরে জায়গা দেয় নাই, তাই মন খারাপ বলেই হেঁসে উঠলো।
পাশ থেকে একটা পরিচিত কন্ঠ বলে উঠলো,’ কাকে বাসর রাতে ঘরে জায়গা দেয়নি..?’
সবাই চমকে পিছনে তাকালো। পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুভ।
শান্ত আমতাআমতা করে বললো,’ স্যার আপনি..?’
শুভ অবাক হয়ে বললো,’ আমি! আমি কখন বউকে ঘরে জায়গা দেয়নি..? তোমাদের ফ্রেন্ড কে জিজ্ঞেস করো বিয়ের দিন রাতে তোমার ফ্রেন্ড ভিতর দিয়ে দরজা দিয়ে রুমে বসে ছিলো। তাই আর বাসর রাতে বউয়ের মুখ দেখে হলো না। এটা কি আমার দোষ..? ‘
সবাই চোখ বড় বড় করে ঐশীর দিকে একবার আরেক বার শুভর দিকে তাকাচ্ছে।
ঐশী প্রথমে শুভকে দেখে রেগে গেলেও এখন রাগের থেকে বেশি লজ্জা লাগছে। সব গুলা কিভাবে তাকিয়ে আছে।
শুভ গিয়ে ঐশীর পাশের চেয়ারে বসে পড়তেই সবাই দাঁড়িয়ে গেলো।
শুভঃ তোমরা দাঁড়িয়ে গেছো কেনো..? ক্লাসে আমি তোমাদের স্যার আর বাহিরে…
শুভ কিছু বলার আগেই ঐশী বলে উঠলো,’ বাহিরে সবার ভাইয়ার মতো।’
সব গুলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ঐশীর দিকে।
অথৈ মুচকি হেঁসে বললো,’ স্যার আপনি এখানে…? ‘
শুভঃ হুম আমি। কেনো আমিকি তোমাদের কোনো সমস্যায় ফেলে দিলাম এসে।
অথৈঃ না, না একদম না। আপনাকে দেখে ভালোই লাগছে। কি খাবেন স্যার।
শান্ত ফিসফিস করে বললো,’ স্যারের কি হইছে রে মাথা ঠিক আছে তো..??’
দীপ্তঃ চুপ থাক এখন। আর দেখে যা কি হয়।
শুভ অথৈ কে বললো,’ না আমি কিছু খাবো না তবে তোমাদের ট্রিট দিবো আজ ভেবে রেখেছি।’
শান্তঃ ভাই স্যারকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যা।
দীপ্তিঃ শান্তর বাচ্চা চুপ থাক।
অথৈঃ কিসের ট্রিট স্যার..?
ঐশী নিচের দিকে তাকিয়ে আছে শুভ ঐশীকে ইশারা করে বললো,’ আমাদের বিয়ের। ‘
চলবে…
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।