ডেভিল হ্যাজবেন্ডের পিচ্চি বৌ
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 3
!
তোমার ব্লাউজের গলা বড় তাই,
!
কিন্তু পচ্চি এটা শোনার আগেই ফোন কেটে দেয়,
আশ্চর্য ও ফোন টা কেটে দিলো কেন?
ওকি রেগে গেল নাকি?
তারপর আমার পিচ্চি কে বারংবার ফোন করতে থাকি,
ও ফোন রিসিভ না করায় মেজাজ টা পুরোই বিগড়ে যায় আমার,
আর এরি মাঝে রিয়ার ফোন আসে,
কিন্তু আমি আমার পিচ্চি বৌ এর ফোন না ধরার কারনে রেগে থাকায় রিয়া কে যা নয় তাই বলে অপমান করি,
!
Uk যাওয়ার চরদিনের মধ্যে পিচ্চির বৌয়ের সাথে একদিনো কথা না হওয়ায় মেজাজ টা পুরোই বিগড়ে আছে আমার,
তাই আজকে সমস্ত অফিসিয়াল কাজ শেষ আম্মু ফোনে ফোন লাগাই,
!
আম্মু ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে আমি আম্মু কে বলি,
!
তোমার বৌ মার সাথে কথা বলাও,
!
ও বাসায় নেই বাবা,
!
কেন ও গেছে কোই?
!
তোমার আব্বু ওকে ঘুরতে নিয়ে গেছে,
!
ও আচ্ছা,
তাহলে আব্বু কে ফোন দিয়ে কথা বলি কেমন?
!
হ্যা বাবা,
!
আচ্ছা আম্মু আমি এখন রাখি, তুমি ভালো থেকো কেমন?
!
হ্যা বাবা,
!
আম্মুর সাথে কথা বলা সেরে আব্বু কো ফোন লাগাই,
!
তখন আব্বু আমাকে বলেন,
!
বাবা মেয়ে আমার বলে দিয়েছে তোর সাথে কথা বলবে না ও,
!
ওকে ফাইন, তোমার মেয়ে কে বলে দিয়ো আমাকে ইগনোর করে একদম ভালো করেনি ও,
আমি কাল ফিরে এসে ওকে হারে হারে বোঝাবো যে আমি ওর স্বামী,
!
বাবা,
!
প্লিজ আব্বু তোমার বৌ মার সাপোর্টে গিয়ে কিছু বলোনা আমায় এমনি তেই মেজাজ টা বিগড়ে আছে আমার,
!
কেন বাবা কি হয়েছে?
!
কি আর হবে?
তোমার বৌ মাকে ফোন ও ম্যাসেজ করতে করতে পাগল হয়ে যাচ্ছি কিন্তু তার কোনো হেলদোলি নেই,
কি ভাবে ও নিজেকে,
!
বাবা এতে রাগেনা,
!
প্লিজ আব্বু পিচ্চির হয়ে কোনো সাফাই গেও না কেমন?
!
তারপর আমি ফোন টা কেটে দিয়ে,
দুপুরের ফ্লাইটের জন্যে ব্যাগ প্যাক করতে থাকি,
বেলা বারোটা নাগাত খেয়েদেয়ে এয়ারপোর্টের জন্যে বেড়িয়ে যাই,
আর পরেরদিন সকাল আট টায় দেশে এসে পৌছাই,
দেন এক ঘন্টার মধ্যে বাসায় পৌঁছে যাই,
বাসায় গিয়ে ট্রালি ব্যাগ টা ফেলে এক দৌড়ে রুমে ছুটে গিয়ে পিচ্চি টাকে বুকের সাথে চেপে ধরে,
রেগে গিয়ে বলি,
!
ওই পিচ্চি ওই ফোন করলে ফোন ধরোনা কেন?
!
তুমি আমাকে বকা দিয়েছিলে কেন?
!
ওই মেয়ে ঔই বকা দিবো নাতো কি?
মাথায় তুলে নাচবো?
!
না নাচতে হবে না,
তুমি না খুবি পঁচা ভাইয়া,
!
কেন কি করেছি আমি?
!
নির্লজ্জের মতো রুমের মধ্যে ঢুকে পরেছ দেখেছ আমি টাওয়াল পরে আছি?
কারো রুমে ঢুকলে যে নক করে ঢুকতে হয় সেটাও তো জানেনা দেখছি,
!
এই পিচ্চি এই তোমার সাহজ তো কম টা আমাকে শাসন করো?
!
বোকার মতো করলে তো করবোই সেটা আবার বলা লাগে নাকি?
!
কি আমি বোকা?
!
দেখে ভাইয়া আমি তোমার বকা খেতে চাই না তাই আমাকে রেডি হতে দাও না প্লিজ,
!
তো তোমাকে রেডি হতে বারন করছে কে?
রেডি হও আমি কি তোমাকে বারন করেছি?
!
না,
!
তাহলে,
!
তোমার সামনে বসে রেডি হবো?
আমার লজ্জা করে না বুঝি?
ভাইয়া তুমি যাও না প্লিজ?
!
ওরে আমার লজ্জা বতী লতিকা রে,
লজ্জায় তো মরে যায়,
আচ্ছা আমি বাহিরে আছি তুমি রেডি হও কেমন?
!
হুমমমম,
!
কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ কেউ আমার শার্টের কলার ধরে রুমের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়,
!
রুমে যেতে দেখি পিচ্চিটা আমার শর্টের কলার ধরে দাড়িয়ে কমরে হাত দিয়ে মৃদুমধুর হাসছে,
!
কি হলো হাসছ কেন?
!
সাড়ি টা পরিয়ে দাও না গো ভাইয়া,
!
তোমার যখন সাড়ি পরা নিয়ে এতোই সমস্যা তাহলে সাড়ি পরা ছেড়ে দাও,
!
তুমি কি পচা?
সাড়ি না পরলে পরবো কি ভাইয়া,
!
ওই তো যেটা পরো,
!
কি?
!
পেটিকোট আর ব্লাউজ,
তাহলে ফুফুআম্মু বকা দিবে,
!
কেন?
!
ফুফুআম্মু বলছে বিয়ের পরে মেয়েরা শুধু সাড়ি পরে তাই,
!
ও তাই?
!
হ্যা ভাইয়া,
!
আচ্ছা তুমি কি আমাকে তোমাকে ডেইলি সাড়ি পরাতে ভাড়া করে রেখেছ?
!
না ভাইয়া,
!
তাহলে?
!
আমি তোমাকে মিষ্টি দিবো তুমি আমাকে পরিয়ে দাও না প্লিজ?
!
দিতে পারি এক শর্তে,
!
কি শর্ত?
!
এই মিষ্টি কি আমি প্রতিদিন পেতে পারি?
!
হ্যা অবশ্যই কেন পাবেনা?
!
তাহলে এখন আমাকে মিষ্টি দাও,
!
আগে সাড়ি পরিয়ে দাও?
!
দেন আমি ওই পিচ্চি টাকে সাড়ি পরিয়ে দেই,
আর ওকে আমার গালে চুমু খেতে বলি,
ও আমার গালে কপালে চুমু খেতেই আমি কে আমার ঠোঁট দেখিয়ে দেই,
!
তখন ও আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে বলে,
!
যাহহহহহহহ,
দুষ্টু ওখানে কেউ উম্মাহহহহহহ দেয় নাকি?
!
হা হা হা তাহলে কোথায় দেয়?
!
জানিনা,
ভাইয়া তুমি আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে?
!
হ্যা অবশ্যই,
!
দেন পরেরদিন আমি ওকে ওয়াটার কিংডমে নিয়ে যাই,
সেখানে গিয়েই পিচ্চি টা আমাকে জড়িয়ে ধরে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দেয়,
কি হলো পিচ্চি কাঁদছ কেন?
!
আমি তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে বলেছি আর তুমি আমাকে পানিতে নিয়ে এসেছ?
তুমি জানো আমার ওয়াটার ফোবিয়া আছে?
!
আমি তো আছি ভয় নেই তোমার,
চলো তোমাকে চেঞ্জ করতে নিয়ে যাই,
!
না আমি সাড়ি বদল করবো না,
!
আচ্ছা সোনা, দেন আমি থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পরে পিচ্চি টাকে নিয়ে সুইমিংপুলে চলে যাই,
আর আমি সুইমিং করতে পানিতে ঝাপিয়ে পরি আর ও পানিতে পা দিয়ে বসে থাকে,
হঠাৎ পিচ্চি আমাকে ওর কাছে ডেকে ওর সাড়ির আচল দিয়ে আমাকে ঘোমটা দিয়ে বলে,
!
তোমার সুইমিং করার দরকার নেই ভাইয়া,
!
কেন?
!
দেখোনা সবাই কতো ছোটো ছোটো নাঙ্গুপাঙ্গু ড্রেস পরেছে পচা লাগছে তাদের,
তুমি তাদের দেখেনা ভাইয়া,
তোমার পাপ হবে,
!
তাই?
!
হুমমমমমমম,
!
আচ্ছা সোনা তুমি যেটা চাবে সেটাই হবে,
দেন আমি আমার পিচ্চি বৌয়ের বুকে মুখ গুজে সুইমিং পুলের মধ্যে দাড়িয়ে থাকি,
!
তখনি হঠাৎ খেয়াল করে দেখি রিয়া মাঝবয়সী একটা লোকের সাথে সুইমিংপুলের মধ্যে দাড়িয়ে লিপ কিসিং করছে,
এটা দেখেই মেজাজ টা বিগড়ে যায় আমার,
তাই আমি মিশকা কে নিয়ে বাসায় ফিরে যাই,
!
রাতে মিশকা আমার কাছে ঘুমতো আসতেই আমি রাগের মাথায় ওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেই আর ও পরে গিয়ে ব্যথা পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে রুমের বাহিরে চলে যায়,
!
পরেরদিন আমি খবর নিয়ে জানতে পারি যে ওই মাঝবয়সী লোকটা রিয়ার হ্যাজবেন্ড লোকটা নাকি বিয়ের আগেই ওনার সমস্ত বিষয়সম্পত্তি রিয়ার নামে লিখে দিছে আর ও সেই সম্পত্তির লোভে মাঝবয়সী লোকটাকে বিয়ে করেছে,
!
তখনি রিয়ার ফোন আসে আর আমি ওকে যা নয় তাই বলে অপমান করি তখন ও আমাকে বলে,
!
নিজেকে খুব সাধু পুরুষ বলে মনে করো তাই না?
আমাকে বোকা বলে মনে হয়?
বিয়ে যখন করেছ বৌ কে তো ছুবে এ আর নতুন কি?
এখন আসল কথা আসা যাক আমি বিয়ে করেছি সো আমার ম্যারেড লাইফের জন্যে দোয়া করো কেমন?
আমি ও তোমার জন্য দোয়া করবো টাটা বায় বায়,
!
দেন মেজাজ টা বিগড়ে যায় আমার আর আমি কান্না করে দেই,
কারন আমি তো ওর রূপে পাগল হয়ে ওকে ভালোবেসে ছিলাম আর ওর এই রূপ দেখতে গিয়ে মন টা দেখার কথা ভুলেই গেছি,
আর ওরি জন্যে আমি আমার সদ্যবিবাহিত বৌয়ের গায়ে হাত তুলেছি, তাকে অপমান করেছি,
আর এই জন্যে কাল রাতের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি ওর নিষ্পাপ মুখ টা দেখতে পাইনি কারন ও আমার কাছেই আসেনি,
এসব ভাবতে ভাবতে আমার কান্নার পরিমাণ বেড়ে যায়,
!
তখনি কেউ পেছন থেকে আমার ঘাড়ে হাত রাখে,
পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি মিশকা দাড়িয়ে কাঁদছে,
!
কি হলো তুমি কাঁদছ কেন?
!
তাহলে তুমি কাঁদছ কেন?
!
আমি কাঁদছি বলে তুমি কাঁদছ?
!
হ্যা তোমাকে কাঁদতে দেখলে আমার কষ্ট হয়,
!
তাই আমি ওকে আমার কাছে টেনে নিয়ে ওর চোখেরজল মুছে দিয়ে ওকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলি,
!
আমি সরি
!
কেন?
!
কিছুনা সোনা,
তখনি হঠাৎ আমার ওর হাতের দিকে নজর যায়,
খেয়াল করে দেখি ওর হাতে ব্যান্ডেজ করা,
তখন আমি ওর হাত ধরে বলি,
!
তোমার হাতে কি হয়েছে সোনা,
!
কোই কিছুনা তো?
!
বলে তখনি ও ওর আচলে তলে হাত টা লুকিয়ে ফেলে,
!
তাহলে হাত টা লুকোলে কেন?
!
কোই?
!
তখনি ওর আচলের তলে থেকে হাত টা বের করে বলি এটা কি?
আর খেয়াল করে দেখি পাশের সেন্টার টেবিলে রাখা ফ্রুট নাইফ টা রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে,
তারপর আমি নিজেই বাকিটা বুঝতে পেরে যাই,
বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছি যে কাল রাতে ওকে ধাক্কা মারার ফলে ফ্রুট নাইফের ওপরে পরে হাত টা কেটে গেছে ওর,
!
তাই আমি ওকে বুকে জড়িয়ে চুমু খেয়ে বলি,
আমি আর তোমাকে হার্ট করবো না,
তোমার খুব ব্যথা করছে তাই না,
!
না ভাইয়া আমি ঠিক আছি,
!
সত্যি?
!
হুমমমম,
!
তারপর আমি ওর ঠোঁটের ওপরে চুমু খেতে যাই আর ও আমার মুখ টা চেপে ধরে বলে,
!
যাহহহহহহহহ দুষ্টু শুধু দুষ্টুমি করবে,
আমি তোমার ছোটো বোন ভুলে যেও না,
ছোটো বোনের সাথে কেউ এমন টা করে নাকি?
!
হায় আল্লাহ কপাল করে বৌ পেয়েছি যে আমকে টুয়েন্টি ফোর আওয়ারর্স এটাই মনে করায় যে আমি ওর ভাই,
!
আচ্ছা আমি কি ওর মায়ের পেটের ভাই যে ও এমন টা করছে?