ডেভিল হ্যাজবেন্ডের পিচ্চি বৌ♥
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 4
!
আচ্ছা আমি কি ওর মায়ের পেটের ভাই যে ও এমন টা করে,
!
কি হলো ভাইয়া?
একাএকা কি বিড়বিড় করছ?
তুমি কি পাগল হয়ে গেছ?
!
না হইনি তবে আর বেশিদিন নেই যে আমি পাগাল হয়ে পাবনা চলে যাবো,
!
ওমা তাই তাহলে পাগল হয়ে পাবনা যাওয়ার আগে আমাকে তুমি ঘুম পারিয়ে দিয়ে যাও না গো ভাইয়া?
!
হ্য দিচ্ছি,
তবে……………
!
কি ভাইয়া?
!
সবসময় তো আমি তোমাকে ঘুম পারিয়ে দেই,
আজ কে তুমি আমাকে ঘুম পরিয়ে দাও কেমন?
!
কিন্তু তোমাকে কি করে ঘুম পরাবো?
!
সেটা আমি জানলে তো হয়েই যেতো?
!
আইডিয়া……..
!
কি আইডিয়া?
!
আমার কাছে আসো?
!
এই ন্যাও আসলাম….এখন?
!
উম্মাহহহহহ,
!
এটা কি ছিল?
!
এটাতো উম্মাহহহ ছিল…….তাই এখন তুমি ঘুমিয়ে পরো গুড বয়ের মতো কেমন?
নয় তো ফুফিআম্মু দেখলে বকা দিবে কেমন?
!
কিন্তু আমার তো ঘুম আসেনা সোনা?
!
কেন ভাইয়া?
!
কারন আমি তো ঠোঁটের ওপরে উম্মাহ না দিলে ঘুমোই না,
!
তাহলে তোমার ঘুমোতে হবে না পচা ছেলে,
!
সবাই পচা ভাই-বোনরে ধরে বিয়ে দিয়ে দিছে,
আর ভাইয়া বোনের সাথে পচা কাজ করছে,
!
হায় আল্লাহ এই পিচ্চি বৌ টাকে নিয়ে কোথায় যাই?
ওকি কখনওই আমাকে বুঝবে না?
থাক বাবা কথা বাড়িয়ে লাভ নেই,
তার চেয়ে বরং আমি তকে ঘুম পারিয়ে দেই,
আর সেটাই হবে আমার জন্যে বেষ্ট অপশন,
তারপর আমি ওকে চুমুতে চুমুতে ঘুম পারিয়ে দেই,
!
পরেরদিন ভোরে নামাজ পরে এসে পিচ্চি টার পাশে এসে শুয়ে পরি,
আচ্ছা ও এতো বাচ্চা ওকে দেখলে কেউ বলবে ও আমার বিবাহিতা স্ত্রী?
আর শুধু তাই নয় ইউনিভারসিটি তে ও পরে?
আচ্ছা কেউ যদি আমার অবুঝ বৌয়ের সুজোগ নিতে চায় তখন?
না এটা হতে পারেনা,কিছুতেই না আমার বৌ কে আমি নজরে নজরে রাখবো,
আমার জিনিসের ভাগ আমি কাও কে দেবনা আর কখনওই না,
!
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ওর ঠোঁটের কাছে এসে পরি, তা আমি নিজেও জানিনা,
তখন কি যেন হয়ে যায় আমার?
আর আমি ওর ঠোঁট জোড়া দখল করে নেই,
!
নিজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খেলছি আমি,
তবুও নিজেকে সামলে রাখতে হবে,
কারন আমার বৌ টা অবুঝ এসবের বুঝ নেই ওর,
!
তারপর কখন যে আমার আবারো চোখ লেগে যায় সেটা তো আমি নিজেও জানিনা,
!
ঘুম ভাঙে আম্মুর ডাকে,
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি আমার পিচ্চি বৌ ঠোঁট জোড়া এখনো আমার দখলে নিয়ে বসে আছি,
!
তাই আমি আবারো পিচ্চির ঠোঁটের ওপরে স্বামীর অধিকার ফলাতে শুরু করি,
!
তখন হঠাৎ খেয়াল করে দেখি পিচ্চি টা আমার পানে চেয়ে আছে,
হায় আল্লাহ এখন ওকে কি এক্সকিউজ দিবো?
ওর ঠোঁট জোড়া দখল করার,
!
ভাইয়া তোমার ঘুম হয়েছে ঠিক মতো?
!
হ্যা সোনা,
!
যাক বাবা ও কিছু বুঝতে পারেনি আর এটাই আমার মঙ্গলের,
!
সকালে পিচ্চি বৌ টা ফ্রেশ হয়ে আসতেই আমি ওকে সাড়ি পরিয়ে নিচে নিয়ে যাই কফি খাওয়ার জন্যে,
!
নিচে যেতেই ও আব্বুর কোলে বসে গলা ধরে বলে,
!
ফুফুআব্বু তোমরা এতো পচা কেন?
!
কে মা কি হয়েছে?
!
ভাই-বোনরে ধরে বিয়ে দিয়েছ কেন?
ভাই-বোনেরা বিয়ে করে নাকি?
!
পিচ্চির কথা গুলো শুনে আব্বু মৃদু মৃদু হাসি দেয় আর বলে,
!
কেন মা?
আমার ছেলে কি তোমার কোনো অযত্ন করে?
আমাকে বলো আমি ওকে বকা দিয়ে দিবো,
!
না না ভাইয়া কে বকা দিতে হবে না,
ভাইয়া তো অনেক ভালো,
আর শুধু একটু পচা আর কি?
!
কেন মা কি করেছে ও?
!
এই যে দেখনা আমার ঠুট এখানে শুধু উম্মাহহহ দেয় বারন করলে ও শুনে না,
!
পিচ্চির কথা শুনে সবাই তো মুখ চেপে হেসে দেয়,
আর আমার লজ্জায় নাক-কান কাটা যায়,
হায় আল্লাহ কি দোষ করেছি আমি?
যে তুমি আমার সাথে এমন টা করছ?
আমার পিচ্চি বৌ টাকি কখনওই স্বামীর মর্ম বুঝবে না?
না এভাবেই থেকে যাবে?
!
এসব ভাবতে ভাবতে সামনে তাকিয়ে দেখি,
আব্বু আম্মু আমাকে দেখে মৃদু হাসি দিচ্ছে,
ধুর বাবা ভাল্লাগেনা আব্বু আম্মু আমাকে দেখে মজা নিচ্ছে,
!
তখনি হঠাৎ পিচ্চিটা এসে আমার বুকপকেটে হাত ঢুকিয়ে দেয়,
মনে হলো যেন কিছু খুঁজছে?
!
এই পিচ্চি তুমি কি খুঁজছ শুনি?
!
আমার চকলেট কোই গো ভাইয়া?
!
হায় আল্লাহ আমি এখন এই চকলেট কোথায় পাবো?
!
তখন আব্বু ওকে চকলেট দিয়ে বলে,
!
এই তো মা এখানে,
তোমার ভাইয়া এখানে রেখে তোমাকে দিতে ভুলে গেছিল,
!
তখনি পিচ্চি আমার মাথায় গাট্টা মেরে বলে,
!
তুমি তো আস্তো একটা ভুলাক্কার ভাইয়া?
আমাকে চকলেট দাওনি কেন?
!
আসলে আমি তো ভুলে গেছিলাম,
!
আমি তোমাকে এমন একটা জিনিস দিবো তুমি কখনো ভুলবেই না,
!
কি জিনিস সোনা?
!
তারপর হঠাৎ পিচ্চিটা আমাকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয়,
!
তখন আব্বু আম্মু কে খেয়াল করে দেখি,
তাড়া ও মন প্রাণ খুলে হাসছেন,
তার মানে তাড়া ও এটাই চেয়ে ছিলেন,
তাই তো আব্বু নিজের আনা চকলেট টা আমার বলে চালিয়ে দিলো,
!
এখন আমি বুঝি কেন আম্মু আব্বু রিয়া কে আমার বৌ করে আনেননি?
আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন,
আর মা-বাবা ও যা করেন সন্তানের মঙ্গলের জন্যই করনেই,
!
আমি যখন এসবের ভাবনায় বিজি ছিলাম তখনি আব্বু আমার ভাবনায় বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বলেন,
!
বাবা কাল তোমাদের বৌ ভাত,
তো বৌ মাকে নিয়ে গিয়ে শপিং করিয়ে এনো কেমন?
!
হ্যা আব্বু ঠিক আছে,
তারপর দুপুরে আমি আমার সমস্ত কাজকর্ম সেরে পিচ্চি বৌ টাকে নিয়ে শপিং এ চলে যাই,
শপিং শেষ করে আসার সময় ফুসকা দেখে ফুসকা খাওয়ার বায়না করে আমার এই একরতি পিচ্চি বৌ,
তারপর ওকে ফুসকা খাইয়ে বাসায়য় নিয়ে আসি আমি,
!
রাতে যখন আমি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলাম তখনি হঠাৎ পিচ্চি টা এসে ল্যাপটপ অফ করে দিয়ে বলে,
!
শুধু কাজ আর কাজ এতো কাজ করলে আমার কথা শুনবে কখন ভাইয়া?
!
ওর অভিযোগ শুনে হেসে ফেলি আমি,
পিচ্চি টা বলে কি?
আমি নাকি কাজের ঠেলায় ওর কথা শুনি না?
হা হা হা,
!
তাই আমি ওকে আস্তে করে আমার কোলে বসিয়ে বুকে জড়িয়ে জিজ্ঞেস করি,
!
তোমার কি কথা আছে আমায় বলো কারন আমি তোমার সমস্ত কথা শুনবো আজ,
!
সত্যি?
!
হুমমমম পিচ্চি,
!
আচ্ছা ভাইয়া বৌ ভাত কেন হয়?
!
বাড়ি তে নতুন বৌ আসলেই বৌ ভাত হয়,
যেমন তুমি আমার নতুন বৌ আর তোমাকে দেখতে যারা আসবে তাদের কে বৌ ভাত খাওয়ানো হবে,
!
ও আচ্ছা তাই বলো,
কিন্তু সবাই কতো পচা,
!
কেন?
!
শুধু আমাকে দেখে রাক্ষসের মতো খেয়ে যাবে?
আমাকে গিফট দিয়ে যাবেনা?
!
হায় আল্লাহ পিচ্চি বৌ টা বলে কি?
ওর এই কথা শুনলে তো মেহমানেরা জাগায় পটল তুলবে,
হা হা হা,
!
তখত হঠাৎ খেয়াল করে দেখি ও সেই পাতলা সাড়ি ও গলা বড় ব্লাউজ টা পরেছে,
!
তুমি আবারো এই সাড়ি ব্লাউজ টা পরেছ?
!
তো আমি কি কররতাম তুমিই বলো?
!
কেন কি হয়েছে?
!
ফুফিআম্মু আমার সব সাড়ি ধোপা আঙ্কলের কাছে ধুতে দিয়েছে,
!
কি?
তা বলে সব সাড়ি?
এই পিচ্চি তুমি মিথ্যে বললে কেন?
!
বিশ্বাস করো আমি মিথ্যে বলিনি তুমি ফুফিআম্মু কে জিজ্ঞাস করো,
!
মা আমি আমি তোকে কয়বার বলেছি যে ফুফিআম্মু না আম্মু বলে ডাকবি,
!
আচ্ছা আম্মু সরি তুমি ভাইয়া কে বলো না যে তুমি সাড়ি গুলো ধুতে দিয়েছ?
!
হ্যা বাবা আমি ওর সাড়ি গুলো ধুতে দিয়েছি,
আচ্ছা মা দুধ টা খেয়ে নাও তো দেখি?
!
তারপর আমার পিচ্চি আম্মুর হাত থেকে দুধের গ্লাস টা নিয়ে দুধের অর্ধের টা খেয়ে বাকি টা আমার দিয়ে বলে,
!
ভাইয়া তুমি এই টুকু খাওয়া না প্লিজ?
!
আমি দুধ জীবনে ও খাইনা,
দুধের গন্ধ আমার একটু ও সহ্য হয় না,
কিন্তু আজ পিচ্চি বৌয়ের মিষ্টি কথা ফেলতে না পেরে নাকচোখ বুঝে খেয়ে ফেলি আমি,
!
তখন আম্মু আমাকে হেসে হেসে বলে,
বাবা আমি তো তোকে মেরে কখনো দুধ খাওয়াতে পারিনি আর আজ তুই….খেয়ে নিলি?
!
তখন আব্বু এসে বলে,
!
আমার মা টা যাদু জানে তাই তোমার ছেলে চুপচাপ খেয়ে নিয়েছে,
আর ওমনি সবাই হা হা করে হেসে দেয়,
আর তার কিছুক্ষণ পরে আমার আব্বু আম্মু চলে যায়,
!
তারা যেতেই আমি পিচ্চি টা কে চেপে ধরে বলি,
!
আমি যে দেখলাম আলমারি তে অনেক সাড়ি আছে সে গুলো?
!
ভাইয়া ও গুলির ছায়া ব্লাউজ বানানো নেই তো আমি শুধু সাড়ি কি ভাবে পরবো?
তুমি বলো?
তাছাড়া ও গুলি সিল্কের পাতলা সাড়ি পরলে তো সব দেখা যাবে আর তুমি আমাকে বকা দিবা,
আর সব দেখা গেলে তো আমার লজ্জা করবে,
!
তাই সোনা?
!
তা বলে তুমি এই বড় গলার ব্লাউজ টা পরবে?
!
কি করবো আম্মু পেটিকোট ব্লাউজ ও ধুতে দিয়েছে,
তা ছাড়া আমি জানি ব্লাউজ টা পরলে পচা দেখায়,
আর তাই জন্যে তুমি আমাকে বকছিলে তাই না ভাইয়া,
!
আমি আর তোমাকে বকবো না সোনা প্রমিছ,
!
ভাইয়া আমি কি তোমার শার্ট পরতে পারি?
!
হ্যা কিন্তু কেন?
!
তাহলে আর ব্লাউজ টা পরা লাগবেনা তাই,
!
তারপর আমি ওকে ওর সাড়ির কালারের সাথে ম্যাচিং করে আমার শার্ট অফহোয়াইট কালারের শার্ট টা এনে দেই,
আর ও ওয়াসরুমে গিয়ে ব্লাউজ বদলে শার্ট টা পরে আসে,
আর ও ওয়াসরুম থেকে বেরতেই শার্ট ধরে টানাটানি শুরু করে দেয়,
!
কি হলো পিচ্চি এনি প্রবলেম?
!
দেখনা ভাইয়া শার্ট টা কতো ঢোলা আরেকজন ঢুকবে,
!
হা হা হা তাই?
!
হুমমমমম,
!
তা আমি ঢুকবো নাকি?
হা হা,
!
পচা ভাইয়া যেন কোথাকার,
!
হা হা হা,
!
আচ্ছা ভাইয়া কালকে কি তোমার কোনো বন্ধু আসবে?
!
হ্যা কেন?
!
ওদের কি বৌ আছে?
!
কেননননমম?
!
না আসলে ভাইয়ার সাথে তো প্রেম করা যায় না,
তাই তোমার বন্ধু সাথে প্রেম করবো,
ওই যে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড অনু ও তো ওর ভাইয়ের বন্ধুর সাথে প্রেম,
তাই আমারো প্রেম করতে ইচ্ছে,
!
তুমি প্রেম করাবা?
তুমি আমার সঙ্গে করো?
আমি তোমার স্বামী, তুমি অন্য কারো কাছে কেন যাবে,
না তুমি আমার ভাইয়া আর ভাইয়ার সাথে প্রেম করা যায় না অনু আমাকে বলেছে,
!
শোনো বৌ তুমি এমন কথা বলবে না বিবাহিত মেয়েরা তার স্বামী কে ভালোবাসে অন্য কাওকে নয়,
তাই তুমি আমাকে ভালোবাসবে,
!
যাহহহহহহহ দুষ্টু ভাইয়ের সাথে প্রেম করা যায় না তাই আমি তোমার বন্ধু সাথে প্রেম করবো,
অনু বলছে ভাইয়ের সাথে প্রেম করলে পাপা হয়,
!
আরে ধরুরররররর পাগলি ভাইয়ের বন্ধু সাথে প্রেম করলে পাপ হয়,
!
অনেক হইছে বৌ ভাত বন্ধুূদের বলবো তোদের আসতে হবে না ভাই,
তোরা আসলে আমার বৌ আমাকে ছেড়ে পলায়ন করবে
!
কি বিচ্ছু বৌ রে বাবা আমার গালা ধরে আমাকেই বলছে যে সে আমারি বন্ধুরর সাথে প্রেম করবে,
!
প্রেম এক্কেবারে করাইয়া দিবো ফাজিল মেয়ে আমার ফিলিংস নিয়ে খেলছে😂😂