তাহার_উম্মাদনায়_মত্ত #লাবিবা_আল_তাসফি শেষ খন্ড

0
695

#তাহার_উম্মাদনায়_মত্ত
#লাবিবা_আল_তাসফি

শেষ খন্ড
অন্ধকারে আচ্ছন্ন এক বদ্ধ কামরায় হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে পড়শ। শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। বোঝাই যাচ্ছে বেশ অক্ষত অবস্থায় রাখা হয়েছে তাকে। চোখ খোলা থাকলেও এই অন্ধকার হাতড়ে বোঝার উপায় নেই ঠিক কোন জায়গায় আছে সে। অন্ধকারে তার চেখগুলো আরো শিটিয়ে আসছে। অক্ষত থেকেও মনে হচ্ছে সে তার জীবনের শেষ সময় গুনছে। ঘড়ির কাটার প্রতিটা সেকেন্ড তার জীবনের সমাপ্তিকে এগিয়ে আনছে। এর থেকে যদি তার উপর জুলুম করা হতো তাহলে হয়তো একটু হলেও বাঁচার সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু এরা কেন তাকে আঘাত করছে না? কি চাচ্ছে দিহান? পড়শের বুক পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। ভাবতে পারেনা বাকিটা। দিহান প্লান ছাড়া কাজ করেনা। নিশ্চই তার বড় কোনো প্লান রয়েছে। পরশের হৃদরোগ বাড়াতে সেখানে হাজির হলো দিহান।‌ পড়নে খয়েরী রঙের শেরওয়ানি। অন্যদিনের মতো এলোমেলো হয়ে কপালে ছড়িয়ে থাকা চুলগুলো আজ সুন্দর করে সেট করা। মুখে এটে আছে নিদারুণ কঠিনতা। দিহানের সাথে নুহাশকেও দেখা গেলো। তার মুখ হাসি হাসি। যেন ভিষণ আনন্দে আছে সে। দিহান এক পলক পরশকে দেখে পাশে ছেলেটাকে বলে,

‘ওকে উঠিয়ে বসা। চেয়ার কোথায়?’

‘জ্বি ভাই আনছি।’

দুটো ছেলে পরশকে চেয়ারে বসিয়ে বেঁধে ফেলে। দিহান ইশারা করলে মুখের বাঁধন খুলে দেয়। পরশের বুক ধুকপুক করছে। দিহানকে যে ছেলেগুলো মেরেছিলো সবার অবস্থা ভিষণ খারাপ। কেবল প্রাণটা বেঁধে আছে শরীরে। তার কি অবস্থা হতে পারে ভাবতেই ভেতর আত্মা কেঁপে উঠছে।
আসার পর থেকে দিহান কোনো কথা বলেনি। চেয়ারে পা তুলে বসে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে পরশের দিকে। আশপাশের সকলে নিশ্চুপ। এই নিশ্চুপতা পরিবেশকে আরো গম্ভীর করে তুলেছে।

‘কিছু বলার আছে? আজ অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। তবুও সব রেখে আমি তোর কথা শুনতে এসেছি। কিছু বলার থাকলে জলদি বল। আমার সময় কম।’

দিহান হাতের ঘড়ির দিকে তাক করে কথি গুলো বললো পরশকে। পরশ ভিষণ আকুতি নিয়ে বললো,

‘আমাকে বাঁচতে দে প্লিজ। আর কিছু না। শুধু বাঁচতে দিলেই হবে।’

‘আচ্ছা।’

‘সত্যি?’

‘অবশ্যই।’

কথাটা বলে দিহান বাকা হাসে। চেয়ার থেকে উঠে যাওয়ার পূর্বে পরশের হাতের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে একটা ছেলেকে বলে,

‘ওর হাতের নক গুলো দেখতে বিদঘুটে। তুলে ফেল। খারাপ জিনিস না থাকা ভালো।’

‘জ্বি ভাই।’

দিহান আর অপেক্ষা করলো না। নুহাশের সাথে বেরিয়ে এলো পুরোনো গুদামঘর থেকে। গাড়িতে ওঠার পূর্ব মুহূর্তে শুনতে পেলো পরশের গগনবিদারী চিৎকার। দিহানের মুখ শক্ত হয়ে আসে। এটা তো কেবল শুরু। বাঁচিয়ে রেখে সে ওকে জাহান্নাম দেখিয়ে আনবে।

____________

অন্তির পরনে লাল বেনারসি। গহনা বলতে গলায় ছোট একটা হার, কানে দুল আর হাতে সোনার মোটা বালা। অল্প পরিসরে গালে মেকাপের প্রলেপ টানা হয়েছে। ঠোঁটে লাগানো হয়েছে টকটকে লাল রঙ। টানা চোখদুটো ভর্তি কালো কাজল। আর গাল? সেখানে রয়েছে লালচে আভার মিশ্রণ। এ যেন এক লাল টুকটুকে নববধূ। দরজা থেকে নাহার মেয়ের মুখের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে। তার মেয়েটাকে কেমন বড় বড় লাগছে। কোই কখনো তো সে লক্ষ করেনি। হুট করেই মেয়েটা যেন একটু বেশিই বড় হয়ে গেছে। অভিমান করে মেয়ের সাথে দুটো কথা না বললেও তির ভেতরটি জ্বলে যাচ্ছে। নিজ ছায়ায় আগলে রাখা মেয়েটাকে ছেড়ে কিভাবে থাকবে সে? সকাল হলে যখন রুমটা ফাঁকা পড়ে থাকবে তখন সে কি করবে? তার ঘরটা যে একদম শান্ত হয়ে যাবে। অন্তি নামক পাখিটার কিচিরমিচির শব্দে বিরক্তি হতে হবে না। নাহারের চোখ ছলছল করে ওঠে। কিন্তু মেয়ের সামনে সে নরম হতে চায় না। ভারী অভীমান জমেছে তার। এত দ্রুত তার অভিমান ভাঙবে না।
বর এলো যখন তখন দুপুর। ঘোমটার আড়ালে থাকা মুখটি ক্রমশ লাল হয়ে ওঠে বর এসেছে, বর এসেছে ধ্বনিতে। বুকের কোনো এক অংশ কেঁপে ওঠে সহসা। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে। আর মাত্র কিছু মুহূর্ত, তারপর মানুষটা পুরোপুরি তার হয়ে যাবে! ভাবা যায়? অন্তি কিছু ভাবতে পারছে না। তার ভাবনার কোঠা শূন্য পড়ে আছে। মস্তিষ্ক শুধু একটা কথাই বলছে, “সে আমার হতে চলছে।”

চোখের পলকেই তিন কবুলের মাধ্যমে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে শপথ নিয়ে নিলো তারা। সামান্য তিন শব্দের এত জোর! অন্তির চোখ ভর্তি পানি। তার কোনো কষ্ট নেই। এটা তার সুখের জন্য। এই মানুষটাকে পাওয়ার জন্য কত কিছুই না সে করেছে। আজ সে তার। এইতো সে পরিপূর্ণ।

শহর জুড়ে সন্ধ্যা নেমেছে। বিয়ে বাড়ি যেন আঁধার নামা মাত্রই চঞ্চল হয়ে উঠেছে। ঝাঁক ঝাঁক লালা নীল মরিচবাতি জ্বলে উঠেছে। বাহির থেকে ঝলমলে মনে হলেও বাড়ির ভেতরের পরিবেশ থমকে আছে। সাহেদ, শাহিন গম্ভীর মুখ করে সোফায় বসে আছেন। পাশেই অসহায় মুখ করে রেজওয়ান মির্জা বসে। বারবার সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ছেলেকে দেখছেন। দিহান অবশ্য এসবে থোরাই কেয়ার করছে। সে নিশ্চিন্ত মনে সোফায় গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। বিয়ে করা ভিষণ কষ্টের কাজ। সে না করলে হয়তো কখনো বুঝতেই পারতো না। এখান থেকে বের হতে পারলেই কিছুটা স্বস্তি মিলবে।

‘বেয়াই। এমনটা তো কথা ছিলো না। আমার মেয়েটা ছোট। এত দ্রুত তুলে দিতে চাইনি আমরা। তাছাড়া কথা তো হয়েছিল বছর দুয়েক পরে তুলে নেওয়া হবে।’

সাহেদের কথায় কি উত্তর দিবে ভেবে পাচ্ছেনা রেজওয়ান। এসব কিছুই তার মনে আছে। কিন্তু ছেলের জন্য তো পারছেন না। এমন নির্লজ্জ একটা ছেলে তারই কেন হতে হলো? মান সম্মানের কিছু থাকছে না। রেজওয়ান দিহানের দিকে তাকিয়ে দাঁত কাটে। অভদ্রটা ঝামেলা পাকিয়ে এখন চোখ বন্ধ করে আছে। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি বললেন,

‘ভাই বুঝতে পারছি। অন্থি না হয় এখানে প্রায়ই আসবে। দিহান কিংবা আমি দিয়ে যাব ওকে। আবার ওর মঞ চাইলে নিয়ে যাব।’

এ পর্যায়ে শাহিন গম্ভীর গলায় বলে,

‘আমরা এখন আমাদের মেয়েকে দিতে চাচ্ছি না। বিয়ে হয়েছে ঠিক আছে। আপনারা আসবেন যাবেন। কিন্তু মেয়ে আমাদের কাছেই থাকবে।’

রেজওয়ান মির্জা খুবই অস্বস্তি অনুভব করছে। কিছু বলার মতো পাচ্ছে না। দিহান এবার চোখ মেললো। সোজা হয়ে বসে বললো,

‘বিয়ের পর একটা মেয়ের দায়িত্ব পুরোপুরি ভাবে তার স্বামীর হাতে। সেটা হোক ধর্মীয় রীতি কিংবা সামাজিক রীতি। আমি চাচ্ছি আমার বউকে আমার সাথে নিয়ে যেতে, আশা করি এখানে দ্বিমত করার মতো কিছু নেই। আমার বউ কোথায় থাকবে কি থাকবেনা এটুকু সিদ্ধান্ত নেওয়ার যথেষ্ট অধিকার রয়েছে আমার।’

দিহানের কথার পিঠে কেউ কোনো উত্তর না করলেও সকলে যে ভয়ংকর রেগে গেছে এটা সে বুঝতে পেরেছে। শাহিনের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। তার এক কথায় এ বংশের সকলে ওঠে বসে। আজ কিনা তার কথাকে সামান্যতম মর্জাদা দেওয়া হলো না। এমন অসভ্য ছেলে তার বাড়ির জামাই ভাবতেই ভিষণ বুক ব্যাথা করছে। নাহার আগেই বুঝেছিলো এমন কিছু হবে। তাই সে খুব একটা অবাক হয়নি।

বিদায়বেলা নাহার নিজের অভিমান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো। অন্তিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। এতদিন বাদে মায়ের স্নেহস্পর্শ পেয়ে আবেগী হয়ে ওঠে অন্তি। সে এক স্পর্শকাতর দৃশ্য। মা মেয়ের হৃদয় স্পর্শক পুনর্মিলনের পর বিদায়ের ঘন্টা বেজে ওঠে। গাড়িতে শক্ত করে দিহানের হাত আঁকড়ে ধরে হেঁচকি তুলে কাঁদতে থাকে অন্তি। দিহান ওকে বাঁধা দেয় না। কাঁদতে দেয় নিজের মতো। কাঁদলে মন শান্ত হয়। আজ সে মেয়েটাকে কাঁদতে দিচ্ছে তবে এরপর আর নয়। এটাই শেষ।
বেশ সময় নিয়ে শান্ত হয় অন্তি। গাড়ি তখনো ছুটে চলছে। অন্তিদের বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে দিহানদের বাড়িতে পৌঁছাতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় দরকার হয়। সেখানে প্রায় আধঘন্টা হতে চললো। কান্নার জন্য এতক্ষণ ব্যাপারটা না বুঝলেও এখন মাথায় আসতেই সে মাথা ঘুরিয়ে দিহানের পানে তাকায়। গলায় কৌতুহল নামিয়ে বলে,

‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’

দিহান তার হাত দ্বারা অন্তির কোমর টেনে কাছে আনে। ছোট করে বলে,

‘সিলেট।’

‘ওখানে কেন?’

‘চা বাগানে হানিমুন করতে।’

অন্তি লজ্জা পায়। আর কিছু বলে না। আস্তে করে দিহানের শরীরে নিজের ভর ছেড়ে দেয়। মাথা এলিয়ে দেয় দিহানের বুকে। দিহানের কপাল কুঁচকে আসে। অন্তির মাথায় হাত রেখে বলে,

‘ঠিক আছো? শরীর খারাপ করছে?’

‘উহু।’

‘ক্ষুধা লেগেছে?’

‘উহু।’

‘তাহলে?’

‘অনেক দিন পর শান্তিতে ঘুম পাচ্ছে। একটু ঘুমাই?’

দিহান মুচকি হাসে। মাথা নামিয়ে অর্ধাঙ্গিনীর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়। ভালোবাসায় ভরে ওঠে চোখ দুটো। এই ছোট মেয়েটা কতটা গভীর ভাবে ভালোবাসে তাকে ভাবতেই বুকটা প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। দিহান অন্তির অনামিকা আঙ্গুলে ভিষণ যত্নে একটা আংটি পরিয়ে দেয়। পরপর আলতো ঠোঁট ছুঁয়ে দেয় হাতে। অন্তি কেঁপে ওঠে। তবে ঠোঁট ছুঁয়ে যায় মিষ্টি হাসি। গভীর হয় হাতের বন্ধন। দিহান নিচু গলায় বলে,

‘এভাবেই ঘুমাও। আমি মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছি।’

______________

নুহাশ বসে আছে তন্নিদের বসার ঘরে। সামনেই তন্নির পিতা মহাশয় পায়ের উপর পা তুলে পেপার পড়ছেন। নুহাশ অস্বস্তি নিয়ে বসে আছে। ভদ্রলোক তাকে ডেকে পাঠিয়ে পেপার‌ পড়ছেন ব্যাপারটা ভিষণ অস্বস্তিকর। পেপার তো অন্যসময়ও পড়া যাবে। এখনই কেন? কিন্তু নুহাশ এসব প্রশ্ন ভদ্রলোককে করতে পারছে না। অত্যন্ত শান্ত ভঙ্গিতে বসে আছে সে। আরো কিছুটা সময় পার হলে তিনি পেপার থেকে মুখ তুলে তাকান। পরক্ষণে বাসার কাজের মেয়েটাকে ডেকে চা দিতে বলেন। চশমার উপর থেকে নুহাশকে দেখে প্রথমে যে প্রশ্নটা করেন তা হলো,

‘তুমিই সে যে রাস্তা থেকে আমার মেয়ের বারান্দায় উঁকি ঝুঁকি দাও?’

নুহাশ চট করে কিছু বুঝতে না পেরে বলে,

‘জ্বি।’

‘কেন?’

‘মানে?’

‘কেন উঁকি ঝুঁকি দেও?’

‘ইয়ে মানে….’

‘বাড়িতে কে কে আছেন?’

‘মা ,ছোট ভাই আর আমি।’

‘বাবা নেই?’

‘জ্বি না।’

‘তোমার মা কে একদিন আসতে বলো। তার সাথেই নাহয় বিস্তার আলাপ করবো।’

‘জ্বি আচ্ছা।’

‘বসো। চা খেয়ে যাও।’

‘জ্বি।’

‘চায়ে চিনি কেমন খাও?’

‘মিডিয়াম।’

‘চিনি খাবে না। কড়া চা উইদাউট সুগার। শরীরকে স্ট্রং রাখবে।’

‘আচ্ছা।’

‘আমি রুমে যাচ্ছি। চা দিয়ে গেলে খেয়ে তারপর উঠবে কেমন?’

‘জ্বি।’

ভদ্রলোক চলে গেলেন। নুহাশ দাঁত কামরে তার দিকে তাকিয়ে রইল। এই লোক তার শ্বশুর হবে ভাবতেই আত্মা শরীর ছেড়ে বের হয়ে যেতে চাইছে। কেবল তন্নির বাবা বলে সে চুপ করে আছে। নয়তো বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে গোসল করিয়ে আনতো‌।

_____________

অন্তি দিহানের সময় বেশ সুন্দর কাটছে। তারা এখনো সিলেটে রয়েছে। দিহানের নিজস্ব একটা ভিলা রয়েছে এখানে। এটার সম্পর্কে কেউ জানতো না। ছোট ভিলা হলেও আশপাশের সৌন্দর্য সবসময় তাদের মুগ্ধ করে রাখে। অন্তি আর দিহান বাদে দুজন কাজের লোক রয়েছে। অন্তি টুকটাক রান্না শিখেছে। মাঝে মাঝেই সে দিহানের জন্য রান্না করে। সে রান্না করেছে শুনলে দিহান খুব করে বকা দেয়। যদি হাত কেটে যেত? যদি হাত পুড়ে যেত? এসব মিষ্টি বকা অন্তির ভালো লাগে। ব্যাপারটা আরো ভালো লাগে যখন বকবকি শেষে দিহান তৃপ্তি করে তার রান্না খায়।
বিয়ের পর অন্তি‌ দিহানকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছে। মানুষটা এত কথা বলতে পারে! অন্তিকে কখনো একা অনুভব করতে দেয় না মানুষটা। বিকেল হলেই ঘুরতে যাওয়া। রাত জেগে খোলা বারান্দায় গল্প করা আরো কত কি! অন্তি বারবার অবাক হয়। মানুষটা সত্যিই অন্যরকম। ভিষণ যত্নশীল। ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখার মতো। সে তার ভালোবাসার পরিধি আরো বিস্তার করবে। যা দিহান সাঁতরে পার হতে পারবে না। তার ভালোবাসার বিশাল সমুদ্রে তলিয়ে রাখবে মানুষটাকে। আর সে? সে তো মানুষটার উম্মাদনায় সেই কবেই মত্ত হয়ে আছে।

সমাপ্ত

(দীর্ঘ সময় নিয়ে শেষ করলাম গল্পটা। ভুল ত্রুটি সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here