🏵তুইতেই আমি🏵
লেখিকাঃইসরাত আয়রা ইচ্ছে
পর্বঃ৩০
🍁🌼🍁
দাদুভাইইইই নানুভাইইই ডাকতে ডাকতে এগিয়ে এলো রাকিব আর আব্দুর রাহমান। সাথে শিরিন নিধি আয়ান ইশাল।হ্যা এয়ারপোর্টে এসেছে আহান আর ইচ্ছেকে ওয়েলকাম করতে।আহান আর ইচ্ছে একা না সাথে দুইটা বেবিও আছে।আহান আর ইচ্ছের ই বেবি৷ একটা ছেলে একটা মেয়ে। মেয়ের নাম ত্রয়ী আর ছেলের নাম ত্রয়।ওরা জমজ ।ইচ্ছের অপারেশন এর আগেই আহান ভাবে যে টেস্টটিউব বেবি নিবে।বাচ্চা দত্তক নিলেও বেলা শেষে মনে হবে আমার বাচ্চা না বা আমার রক্ত না।তাই পরিবারের সবার সাথে পরামর্শ করেই এই ডিসিশন নিয়েছিলো আহান।বিদেশের উন্নত চিকিৎসায় কাজ গুলো সহজ হয়ে গেছে।
তিন বছর পরে দেশে ফিরে পরিবারের সকলকে দেখে আহান আর ইচ্ছের চোখ ভিজে এলো । ইশাল আয়ান দৌড়ে দুজনকে কোলে নেয়।ভিডিও কলের পরিচয় থাকলেও সামনা সামনি সবাইকে প্রথম দেখে ত্রয় আর ত্রয়ী। তারা বেশ ভয় পেয়ে যায়।হাত পা ছড়িয়ে কান্না শুরু করে দেয়।আহান ইচ্ছে বাবা মা কে জরিয়ে ধরে বেশ কিছুক্ষণ থাকে।তারপর খেয়াল করে আয়ান ইশাল কিছুতেই ওদের থামাতে পারছে না। টেস্টটিউব বেবি গুলো খুব সেনসেটিভ হয়।আহান ইচ্ছে তাড়াতাড়ি কোলে নিতে যায়। বিপত্তি বাধে দুজনই আহানের কোলে যাবে।অগত্যা দুজনকেই কোলে নেয়। ত্রয়ী ত্রয় বাংলা ইংলিশ দুটো ভাষাই শিখেছে আধো আধো। ত্রয়ী ত্রয়ের আড়াই বছর বয়স মোটামুটি সব কথা বলতে পারে।ত্রয় গম্ভীর টাইপ হওয়ার কারনে কমই কথা বলে।
ত্রয়ী জিজ্ঞেস করলো
— পাপা এলা কালা? আয়ান আর ইশালের দিকে তাক করে
— পাপা এটা তোমার মামা হয় আর কিছুদিন পরে ফুপা হবে আর ঐ মেয়েটা দেখছো ওটা তোমার ফুপিমনি হয় কিছুদিন পরে মামি হয়ে যাবে।
ত্রয় ত্রয়ী কিছু বুঝতে পারলো কিনা কে জানে। মাথা দুলিয়ে ত্রয়ী বললো
— ও আততা বুদেতি।তাহলে ওরা কে হয়?
ত্রয়ীর এমন প্রশ্নে সবাই হেসে দেয়। ত্রয়ী যে কি বুঝতে পেরেছে সবাই বুঝতে পারলো। ত্রয়ী স্বভাবই এমন বুঝুক আর না বুঝুক প্রথমেই বলবে “ও আততা বুদেতি” তারপর সেইম প্রশ্ন আবার করবে এতেই বুঝা যায় কি বুঝেছে।
আয়ান এগিয়ে বললো “আমি তোমার মামা হই আর ওইটা তোমার ফুপিমনি। ভিডিও কলে কথা হতো মনে নেই তোমার?
— ওউ তুমি ওই আন( আয়ান) মামাতা?
— ইয়েস।চিনতে পেরেছো ম্যান।
— হ্যা কিন্তু ফুপিমনির তেহালা(চেহারা) মিলতে না।
— ও তুই বুঝবি না মামা সব মেকাপের কারিশমা।বাসায় গিয়ে মুখ ধুলেই চিনতে পারবি।
— অও আততা বুদেচি।
ইশাল তেড়ে আসে।
— আয়ান ভাইয়া আমি আমাদের ক্লাসের সবার থেকে কম মেকাপ করি তা কি তুমি জানো?বাচ্চাগুলোর সামনেও আমাকে পঁচাতে ছাড়লে না তুমি।।
আহান কান টেনে বললো ” কম মেকাপও বা লাগবে কেন আপনার।আয়ান কি মেকাপ করে থাকতে বলেছে? আমার তো মনে হয় না আয়ান তোকে মেকাপে দেখতে চায়। তবুও এতো সাজ লাগবে কেন?হুম? কারে দেখাবি?
“একদম ঠিক হয়েছে” (আয়ান)
ইচ্ছে আয়ান আহানকে ধমক দিলো ” আহান আপনি এসেই মেয়েটার সাথে কি শুরু করেছেন কান ছাড়ুন। মেয়ে মানুষ সাজবে না?”
” কই তুই তো সাজতি না। ওর কেন পেত্নির মতো সাজতে হবে? সিম্পেল সাজে থাকলেই যে ভালো লাগে তা বুঝে না?”
” বয়স হোক বুঝবে ”
এই ঝগড়া আর থামবে না।রাকিব অবস্থা খারাপ দেখে বল
” বাইরে গাড়ি দ্বার করে এসেছি।তাড়াতাড়ি আয়।বাসায় গিয়ে ঝগড়া করিস।”
🍁
বাসায় এসে ত্রয় ত্রয়ীকে গোসল করিয়ে আয়ান ইশালের কাছে দিয়ে দিলো। বিপত্তি বাধলো আহান ইচ্ছের গোসলে।কে আগে যাবে।বাচ্চামি এখনও যায় নি তাদের। ঝগড়া করতে করতে একপর্যায়ে আহান ইচ্ছেকে টেনে ভিতরে নিয়ে শাওয়ার অন করে দিলো
— এটা কি হলো ? ( চোখ গরম করে)
— কি আর হলো গোসল হলো
— দুইজন?
— এহ এমন ভাব করছিস যেন আমরা একসাথে এই প্রথম গোসল করছি।প্রায়ই তো ফজরে একসাথে গোসল করি।( চোখ টিপে)
— আপনি আর মানুষ হলেন না আহান।
— দুই বাচ্চার বাপ হয়ে গেছি।আর তুই কিনা আমাকে মানুষ বলেই গণ্য করছিস না?
ইচ্ছের পেট আর গলা দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে বেশ গভীরভাবে চুমু খায়।
ইচ্ছে কেপে উঠলো তবুও শক্ত করে বললো
— আবার ভিমরতি শুরু হয়ে গেলো আপনার?
— আমার ভিমরতি ছুটেছিলো কবে তাই বল? নরমাল প্রেগ্ন্যাসিতে তো নয়মাস না কয় মাস হোয়াটএভার, ছুটি কাটায় ছেলেরা কিন্তু আমি?দ্যাখ দুই বাচ্চার বাবা। আর একবারে ছুটি সেরে ফেলেছি।আলাদা আলাদা ভাবে ছুটি কাটাতে হয় নি।।আমি হলাম সব সময়ের ভিমরতিআলা মানুষ। আমার ভিমরতি শুরু হতে হয় না অলটাইম থাকে।
ইচ্ছে কি বলবে বুঝতে পারছে না।
— হুম আহান আপনি পারছেন এবার ছাড়েন ভালো ভাবে গোসল করতে দিন তোহ। আমি খুব….
আহান আর ইচ্ছেকে কথা বলতে দিলো না নিজের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় মুখ বন্ধ করে দিলো।আর ইচ্ছে আহানের জামা খামচে নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত।
🍁
সেদিন রাতেই সাকিব এলো আহানের সাথে দেখা করতে। ছাদে বসে দুজনের আড্ডা জমাতে ইচ্ছে কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে গেলো আরও হালকা কিছু খাবার।
–অনার্স শেষ করে বিয়ে করতে পারলাম না।আর তুই দুই বাচ্চার বাপ হয়ে গেলি। মানে আমার ভাবতে অবাক লাগে।আমার প্রথম দিকে বিশ্বাসই হয় নি জানিস।দেশে এসে যে এই সারপ্রাইজের কথা বলেছিস আমি সত্যি বুঝতে পারি নি।তোর বাবু দুইটা কি সুন্দর হইছে।মাশাল্লাহ। কি সুন্দর কথা বলে। আমার কেমন তুলোর মতো লাগলো। আর এক্কেবারে তোর মতো ধলা হাহহাহা
— তোর ত্রয় ত্রয়ীকে দেখে কেমন লাগে জানি না।কিন্তু আমি যতবারই তাকাই বুকটা এক্কেবারে ঠান্ডা হয়ে যায় জানিস আমি ওদের মধ্যে ইচ্ছের খুশি দেখতে পাই।এই বেবি নিয়েই ইচ্ছে আর আমার এতো ঝামেলা হইছিলো।আর বিয়ের পর ইচ্ছে আমার সামনে হাসি খুশি দেখাতো কিন্তু আমি জানতাম ও ভিতরে খুব কষ্ট পাচ্ছে অপরাধবোধ কাজ করতো ওর সব সময়।মন টা ছোট থাকতো ওর। কোনো কাপলের সাথে বাচ্চা দেখলে কেদে ফেলতো। হয়তো নিজে মা হতে পারবে না বা একটা মেয়ে হিসেবে স্বামীকে কিছুই দিতে পারবে না এটা ওর কষ্টের কারণ ছিলো। আমি অনেক বুঝিয়েছি তুই আমার অনেক বড় পাওয়া আর কিছু চাই না।কিন্তু যতই হোক একটা মেয়ের পরিপূর্ণতা বলতে আমরা মাতৃত্বকেই বুঝি।এই বিষয়টা নিয়ে ইচ্ছে প্রচুর আপসেট হয়ে গিয়েছিলো। আমি যখন টেস্টটিউব বেবির কথা বললাম।ওর মুখে সেদিন এক চকচকা ভাব ছিলো না দেখলে বুঝবি না।মনে হয়েছিলো আমার কথা ওর কান পর্যন্ত যাওয়ায় ও পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।তাই ভাবলাম যত টাকা লাগে লাগুক ইচ্ছের খুশি চাই। আর নিজের দিক দিয়ে ভাবলে বাবা হওয়ার অনুভুতিও ব্যাপক দোস্ত। আধো আধো স্বরে পাপা পাপা করে ডাকে, পেটের উপর উঠে ঘুমায়,মাঝে মাঝে বিচার দেয় এসে।বিচারের সেই ভাষা ব্যাপক দোস্ত ।সে এক আলাদা প্রশান্তি বুঝাতে পারবো নাহ। আহান খুব ইমোশন দিয়ে কথা গুলো বলছিল। তারপর কন্ঠ শক্ত করে মজার সুরে বললো “বাপ হ বুঝবি ব্যাটা।”
— দোস্ত তোর চোখ মুখের চকচকা ভাব দেখেই আমার অর্ধেক ফিল হয়ে গেছে।
সাকিব আহান দুজনই হাসছে
— আচ্ছা দোস্ত বিয়ার পর পরই দুইটা বেবি মানে সবাই তো দুই তিন ইয়ার পর নেয়।নতুন বিয়েতে প্রথম প্রথম টাইম টা ইনজয় করতে চায় আর কি।আর তুই দুই দুইটা বাচ্চার বাপ। মানে বাছা অনুভূতি কেমন শেয়ার করো।
— অনুভূতি বলতে একটু তো ম্যানেজ করতে হইছেই।দুইটা বাবু একসাথে।ঐ ইকটু মানাইয়া নিতে হইছে আর কি। কষ্ট লাগে ভাবলে জানতে চাইস না
— আরে বল নাহ
— আর ব্যাটা রাত নাই দিন নাই খালি কান্না আর কান্না।আরও তো টেস্টটিউব বেবি।খুব সচেতন থাকতে হইছে। এমনেও সচেতন থাকতে হয় ই কিন্তু ওদের বেলায় বেশিই বুঝলি। ব্যাটা দিনে জ্বালা দে মানলাম কিন্তু রাতে? একশো বার উঠতো। ফার্স্ট দেড় বছর আমি শেষ। তারপর বাপের কষ্ট দেইখা দুইজন হয়তো ভদ্র হইছে একটু।
সাকিব হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
— দোস্ত তোর বলার ভংগীতেই বুঝছি তুই দারুণ কষ্টে ছিলি
— তুই হাসো ব্যাটা। যখন বিয়ার পর নয়মাসের রিটার্ডমেন্টে যাবি তখন বুঝবি।
— তখন তুই হাসিস এখন আমি একটু হেসে নেই।
এমন সময় ইচ্ছে আয়ান ইশাল উপস্থিত।
— কি নিয়ে এতো হাসছো তোমরা?
— না ভাবি কিছু না।অনেক দিন পর দুই বন্ধু এক হলাম তাই একটু আকটু আর কি
— সাকিব আর কিছু খাবা?
— না ভাবি এই চিপস কোল্ড ড্রিংকসই শেষ হয় নাই। বসেন গল্প বলি
🍁
“ইচ্ছে আহান নিচে আয় ত্রয় ত্রয়ী ঘুমাবে বলছে তোদের ডাকছে আয় এখন অনেক রাত হয়েছে”
শিরিনের ডাকে সবাই নেমে আসে।সাকিব বিদায় নিয়ে চলে যায়।রাকিব হোসেন বললেন ” আজ আয়ান আমাদের বাসায় ঘুমাও। তোমার বাবা চলে গেছে”
আয়ান ইশালের চোখ মুখ চকচক করে উঠল।এর মধ্যে ইচ্ছে ঘেটে ঘ করে দিল সব।
ইচ্ছে বললো
” ওর এই বাসায় ঘুমাতে হবে না ভালো বাবা।বাসা খুব একটা দূর না যে থেকে যাবে। আয়ান বাসায় যা তুই”
আয়ান অনিচ্ছা সত্ত্বেও চলে গেলো। ইশালের মন খারাপ হয়ে গেলো। আহান ইশানের নাক টেনে দিলো
” ভাইয়া ছাড়ো তো ভাল লাগে না”
” তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস তিন বছরে। ”
” ইয়েস এইচএসসি দিবো”
” পড়াশুনা কেমন চলে নাকি প্রেম করে পড়াশোনা বৃন্দাবন পাঠাইতেছিস?”
” নাহ ভালোই চলে”
” ভালো চললেই ভালো ”
” গিফট পছন্দ হইছে যা আনছি?”
“হুম খুব”
🍁
“পাপা আমি তোমাল পেতেল(পেটের) উপুল সুবো।”
“না পাপা আমি সুবো”
ত্রয় ত্রয়ীর রীতিমতো মারামারি শুরু করে দিয়েছে।ত্রয় সেই ইচ্ছের কাছেই ঘুমাবে তবুও তর্ক করছে। আহান ইচ্ছে হাসছে ওদের কান্ড দেখে।
” আচ্ছা বাবা ঝগড়া করে না আসো দুইজনই সুয়ে পড়ো”
ত্রয় আগে লাফ দিয়ে সুয়ে পরে।
” ওরে বাবা আমার সুপার ম্যানের তো দেখছি অনেক শক্তি”
” ইয়েস পাপা”
ত্রয়ের প্রসংশা ত্রয়ীর পছন্দ হলো না।সে আরও জোরে বুকের উপর ঝাপিয়ে পরলো।
এবার আহানের জান যায় যায়।ইচ্ছে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
ত্রয়ী জিজ্ঞেস করলো
” পাপা আমি সুপার উইমেন? ”
” হ্যা রে মা তুমি সুপার উইমেন”
ত্রয় বেশিক্ষণ আহানের বুকে থাকতে পারলো না।সে মায়ের বুক ছাড়া ঘুমাতে পারে না কিছুতেই। ত্রয়ীর সাথে ঝগড়া ঝামেলা করে হলেও শেষমেষ ইচ্ছের কাছেই ঘুমায়।
ত্রয় ত্রয়ী ঘুমিয়ে গেলে আহান ইচ্ছেকে ডাকে।
— ঘুমাইছো?ওদের একপাশে দিয়ে আমার কাছে আসো না প্লিজ।কথা আছে মজা দিবোনে আসো।
ইচ্ছে জানে আহান কাছে আসার মুহুর্তেই শুধু তুমি করে ডাকে।
— আপনি কি জানেন আপনার ভিমরতি উঠলে রাতের বেলা তুমি করে বলেন?ইচ্ছে বড় এক নিশ্বাস নিয়ে বললো “জার্নি করে এসেছিতো আহান পারবো না ঘুমিয়ে যান এখন লক্ষ্মী বাবুর মতো ”
— তুই পারবি তোর বাপ পারবে।না থাক তুই পারলেই হবে।আয় না সোনা আয়। চকলেট দিবনে।
— আমি বাচ্চা না আহান যে আমাকে চকলেটের
লোভ দিচ্ছেন।
আহান নিজেই ত্রয় ত্রয়ীকে সাবধানে একপাশে সুয়িয়ে দিলো।লাফ দিয়ে ইচ্ছের উপর ওঠে সুয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো । এবার কই যাবা তুমি হুম? খাঁচার পাখি খাঁচায় আসো।
— পাগল একটা
— আই লাভ ইউ।আমি তোকে ভালোবাসি ইচ্ছুউউউউ পাখিইইইই
— চিল্লাচ্ছেন কেন? ওরা উঠে যাবে তো
— ওহ হ্যা তো।মনে ছিলো না আমি দুই বাচ্চার বাপ।
— আপনার কোনো দিন মনে থাকবে না আহান
— না থাকলে নাই। বয়স বাড়বে না তাহলে হোল লাইফ বউয়ের আদর পাবো।
ইচ্ছে হেসে দিলো।ফিসফিস করে বললো
— আই লাভ ইউ আহান। আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি।আপনাতেই আমি আহান।
— তুইতেই আমি। আর তুইতেই আমার সমাপ্তি ইচ্ছুপাখি।
ভালোবাসার পরিপূর্ণতা ভালোবাসাটাকে অনিন্দ্য সুন্দর করে তোলে।শেয়ারিং কেয়ারিং স্যাক্রিফাইস আন্ডারস্টান্ডিং সব কিছু নিয়েই পরিপূর্ণতা পায় ভালোবাসা।ভালোবাসা এক দারুণ অনুভূতির নাম।যা একটা মানুষের জীবন পাল্টে দেয়। সবার ভালোবাসা পূর্ণতা পাক সম্মানের সাথে।আহান ইচ্ছের দিন ভালোবাসার সাথেই কেটে যাক।
সমাপ্ত
আসসালামুআলাইকুম। এই প্রথম আমার একটা গল্প শেষ হলো।জানি না গল্পটা কয়জন পড়েছে। শেষ দিন একটা রিকয়েস্ট আজ সবাই আর কি যারা গল্পটা পড়েছেন তারা একটা লাইক আর ভালো লাগলে কমেন্টে কিছু লিখে যাবেন প্লিজ।এটা আমার আপনাদের কাছে আবদার বলতে পারেন।হ্যাপি রিডিং।সবাই আমার পাশে থাকবেন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।