তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা পর্ব-১৪

0
2524

🍂#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা 🍁
#পর্ব-১৪
#Jannatul_ferdosi_rimi(Writer)
হঠাৎ কারো স্পর্শে অতীত থেকে বেড়িয়ে আসি কেউ আমাকে জড়িয়ে আমার ঘাড়ে গভীরভাবে চুমু খায় আমি কেঁপে উঠি বুঝতে বাকি রইলো না ব্যাক্তিটি অয়ন ভাইয়া অয়ন ভাইয়ার হাত আমার শাড়ি বেধ করে পেটে চলে গেলো আমি পুরোই বরফ হয়ে গেলাম আমি কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠি….

–আ..য়..ন….ভাইয়া…ছাড়ো অয়ন ভাইয়া ঘোরলাগা কন্ঠে বলে উঠলো

—হুসস দেখ সারারাত পা টিপিয়েছিস বাসর রাত পাঞ্চার করেছিস এখন আর বাঁধা দিস না (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

—আমাকে ছাড়ো প্লিয (অনুরোধ সুরে) অয়ন ভাইয়া নিজের ঠোট দিয়ে আমার গাল স্লাইড করতে করতে বললেন
—আমি কি ইচ্ছা করে আসি তোরই তো দোষ।।।

—আমি?

—হুম তুই এইভাবে শাড়ি পরে আমাকে পাগল করবি আমার রোমান্স এ বাঁধাও দিবি? নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না তো (ঘোর লাগা কন্ঠে)

আমি এইবার প্রচন্ড রেগে গেলাম ব্যাটা বলে কি নিজে আলমারিতে শুধু শাড়ি দিয়ে ভরে রাখছে আমি কি করতাম অন্য কোনো ড্রেসও না যে পড়বো তাই বাধ্য হয়ে শাড়ি পড়তে হলো আমি রেগে বললাম

–সরুন তো আপনার জন্যই শাড়ি পড়তে বাধ্য হয়েছি অন্য কোনো ড্রেসও নাই এই আপনি ইচ্ছা করে করছেন না?

অয়ন ভাইয়া বাঁকা হেঁসে বললেন
–হ্যা বউ তোকে শাড়িতে যা হট লাগেনা আমি তাড়াতাড়ি অয়ন ভাইয়ার মুখে হাত দিলাম

–ছিহ আপনি চুপ করুন অসভ্য একটা লজ্জা করেনা

অয়ন ভাইয়া আমার হাতে একটা কিস করলো আমি তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নিলাম

–আপনি একটা লুচু অয়ন ভাইয়া মুচকি হেঁসে বললেন

–বউয়ের কাছে লুচু অসভ্য হতে আমার কোনো প্রবলেম নেই 😜

এই লোকটা কে যতই কিছু বলি এই লোকটা শুধরাবেনা আমি রেগে বলে উঠে

—আপনাকে বলা না বলা একি কথা 😒

এই বলে আমি ঘরের বাইরে যেতেই অয়ন ভাইয়া বলে উঠলো

–কই যাস?
—আমি একটু বাড়িটা ঘুরে দেখবো
–ঠিক আছে তুই ঘুরে দেখ আমার অফিসের কিছু কাজ সেরে ফেলি আমি মুচকি হাঁসি দিয়ে নিচে নামলাম বেশ বড় বাড়িটা অনেক সুন্দর এমা আমি এইটা কি দেখছি
🍁
🍁
🍁
মেঘলা অফিস শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হবে হাতে তার কিছু ফাইল সে একজন বড় পদের সাংবাদিক তার সাহসীকতার জন্য আজ তার এই অবস্হা সে তার নিজস্ব গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেলো হাতের ফাইলে বড় বড় অক্ষরে লেখা আমান শিকদার অনেক দিন ধরে এই ফাইলটা নিয়ে কাজ করছে মেঘলা চোখ থেকে দুফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো আমানকে আজ তার বড্ড মনে পড়ছে আজ আমান থাকলে কত খুশিই না হতো তার ছোট্ট মেঘ আজ কত বড় সাংবাদিক আচ্ছা আমানের কি তার কথা মনে পড়েনা সেই একজন এর জন্য অভিমান করে আমান দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলো আমানকি আর ফেরি নি? মেঘলার মন বলছে

—আমান অার অভিমান করে ফিরে আই একবারটি আয় দেখ তোর মেঘ সকল প্রমান জোগাড় করেছে তার আমান খুনি না কিছু মানুষের ভুল ধারণা হয়েছিলো তা সেইটা মেঘ প্রমান করে দিবে শুধু আমানের অপেক্ষা আচ্ছা সে কি কোনোদিন তার মেঘকে বুঝবে না তার কাছে তো রিমিই সব কিছু ছিলো তার মেঘকে সে হয়তো কোনোদিন বুঝবে না না বুঝুক কিন্তু তাও একবার ফিরে আসুক মেঘের যে তাকে নির্দোশ প্রমান করতে হবে

এইসব ভাবতে ভাবতেই মেঘলার গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করে এইভাবে ব্রেক করাতে মেঘলা বেশ বিচুলিত হয় সে ড্রাইভার কে প্রশ্ন করে

–কি হলো? কাকা ব্রেক করলেন কেন?

—কোন একটা মেয়ে হঠাৎ গাড়ির সামনে এসে পড়লো মেঘলা অবাক হয়ে পড়লো

–সেকি?মেঘলা তাড়াতাড়ি করে বের হলো বের হয়ে দেখলো একটা মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে ড্রাইবার কাকা সময়মতো ব্রেক না দিলে হয়তো বড় কোনো বিপদ হতো মেঘলা মেয়েটার কাছে গেলো মুখটা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে মেঘলা তাড়াতাড়ি ড্রাইভার কে ডাক দিলো তারপর তার সাহায্য এ হসপিটালে নিয়ে গেলো
🍁
হসপিটালে…
ডক্টর মেয়েটিকে চ্যাকাপ করার পর বাইরে এসে বললো

—এখন উনি ঠিক আছে আসলে বেশি টেনশন আর প্রেশার এর ফলে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো

মেঘলাঃ আমি কি পেশেন্ট এর সাথে দেখা করতে পারি?

ডক্টর ঃঅবশ্যই

পায়েল আস্তে আস্তে করে চোখ মেলে তাঁকালো নিজেকে হসপিটালে আবিস্কার করলো রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাৎ একটা গাড়ির কাছে চলে আসে তারপর আর কিছুই মনে নেই পাশেই একটা ভদ্র ঘরের মিস্টি মেয়েকে দেখলো পায়েল উত্তেজিত হয়ে বলল…

—আমি এখানে কেন?

—প্লিয আপনি উত্তিজিত হবেন না

—আমি এখানে কীভাবে?

–আপনি আমার গাড়ির কাছে এসে অজ্ঞান হয়ে ছিলেন তাই আপনাকে আমি হসপিটালে নিয়ে আসলাম

পায়েল উত্তেজিত কন্ঠে বলে উঠলো

—নাহ নাহ আমার এখানে থাকলে চলবে না আমাকে যে করে হোক রিমি আমান অয়ন ওদের কাছে পৌছাতে হবে অনেক বড় গেম প্লেন হচ্ছ্র সেইটা সবাইকে ফাঁস করতে হবে।

রিমি আর আমানের কথা শুনে মেঘলার বুক্টা ধুক করে উঠলো

—এই মেয়েটা কি কোনোভাবে রিমি আর আমানের সাথে জড়িত?

—গেম প্লেন?

—হ্যা গেল প্লেন আমাকে রিমি আমান অয়ন ওদের কাছে পৌছাতে হবে

—আচ্ছা আচ্ছা যানেন কিন্তু আপনি একটু শান্ত হোন আপনি অসু্সহ (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

—আপনি বুঝতে পারছেন না অনেক বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমান রিমি আর অয়নের বিরুদ্ধে

মেঘলা পায়েলকে শান্তনা দিয়ে বলে

—আপনি শান্ত হোন আমি আমার যথাসম্ভব সাহায্য করবো আমি একজন সাংবাদিক আচ্ছা আপনি কি রিমি খান আর আমান শিকদার এর কথা বলছেন?

–হ্যা কিন্তু আপনি কীভাবে ওদের চিনেন

—চিনি তা না হয় পরে বলবো আমাদের যথাসম্ভব রিমিদের কাছে পৌছাতে হবে আচ্ছা আপনি কি এখন রিমির বর্তমান ঠিকানা বলতে পারবেন?

—সে হয়তো পারবো না কিন্তু হ্যা রিক (রিমির চাঁচাতো ভাই ও জানলেও জানতে পারে)

—তাহলে আমাদের সময় নস্ট করলে চলবে না আমাদের যথাসম্ভব বেড়িয়ে পড়তে হবে

–জ্বী
🍁
🍁
🍁
আমি নীচে এসে দেখি সব সার্ভেন্টস রা অজ্ঞান এমা গার্ডস রাও অজ্ঞান এইসব কি হচ্ছে?

অয়ন ল্যাপটপ এ বসে কাজ করছিলো হঠাৎ সে আহহহ করে চিৎকার দিয়ে উঠে সে মাথায় কিছু ভারি জিনিসের আঘাত অনুভব করে

অয়ন ভাইয়ার চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি করে উপরের রুমে যাই আর যা দেখি তাতে পুরোই স্তব্ধ হয়ে যাই আমি জোড়ে চিৎকার বলে উঠি

—-অয়ননননন ভাইয়াাা৷ 😭😭😭😭

চলবে কি?

(অনেক দুঃখীত আজকে দেরী করে গল্প দেওয়ার জন্য কেননা আমাদের বোর্ড পরিক্ষা সরকার বন্ধ করলেও আমাদের স্কুল এ অনলাইল ক্লাস +কোচিং হচ্ছে আর অনলাইন এক্সাম হচ্ছে তাই অনেক ব্যাস্ত আছি কোনোরকম লেখে দিলাম)

আজকে পর্ব কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু💛💛

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here