#তুমি_নামক_প্রাপ্তি
#part:25
#Suraiya_Aayat
গভীর সন্ধ্যা,যা রাত আর সন্ধ্যার সংমিশ্রনে তৌরি হওয়া এক দী্ঘক্ষনের অন্ধকার, আবহাওয়ার অবস্থা খুব একটা ভালো না, হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইছে,চারিদিকে একটা গুমসো অনুভূতি হচ্ছে,খুব বেশি গরম ও না তবুও আরূর কপাল বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে ,বিরক্তিতার সমস্ত সীমারেখা পার করে আরু শাড়ির আঁচল দিয়ে নিজের কপালের ঘামটা না মুছে আর্শিয়ানের কপালের ঘামটা মুছে দিয়েছিলো ৷ আর্শিয়ানের ড্রয়ং স্কুল থেকে ফিরতে আজ অনেকটাই লেট হয়েছে, আরু কতোবার বলেছে আর্শিয়ানের টিচারকে যে তিনি একটু যেন তাড়াতাড়ি ছাড়ার চেষ্টা করে কিন্তু কে শোনে কার কথা, যখন যে তার নিজের ক্ষমতা সকলের সামনে দেখানোর সুযোগ পাই তখন সে সেই সুযোগ কখনোই ছাড়ে না ৷
আসার পথে আজকে আর একটাও রিকশা পাইনি, অথচ অন্যদিন এই রাস্তায় রিকশার ছড়াছড়ি, মনে হচ্ছে যেন কেউ ইচ্ছা করে রিকশা গুলোকে আটকে রেখেছে জবরদস্তি ৷ এখন আর এতো বেশি কিছু ভাবার সময় নেই,তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে নাহলে এক্ষুনি জোরো হাওয়া শুরু হলে ধুলোর ছড়াছড়ি হবে ৷
বেশ পা চালিয়েই হাটছে আরু আর আর্শিয়ান, আর্শিয়ানের ছোট ছোট পা বেশি তাড়াতাড়ি চলছে না তাই আরু মাঝে মাঝে তাগাদা দেওয়াতে আরুশিয়ান তাড়াতাড়ি পা চালাচ্ছে ৷
কিছুটা যাওয়ার পরই হঠাৎ সামনে দিয়ে বেশ কয়েকটা গাড়ির আলো ওদের চোখে পড়তেই আর্শিয়ান দুহাত দিয়ে চোখ ঢেকে নিলো ৷
আরু আর্শিয়ানকে কোলে নিয়ে এবার হাটতে শুরূ করলো দ্রুত পায়ে, এমনিতেও আজকে রাস্তা যেমন জনমানবহীন তেমনি একটাও গাড়িঘোড়ার দেখা নেই ৷
গাড়ি দুটি ওর কিছুটা সামনে এসে থেমে গেল ৷ আরু গাড়িটা পার করে চলে গেল ৷ গাড়িতে কে আছে না নেই তা এই মুহূর্তে ওর দেখার সুযোগ নেই ৷
গাড়ির ভিতরে আরমান সাহেব বসে আছেন, ঠিকঠাক কাজ করতে পারলেই উনি সার্থক ৷
আরমান সাহেব ফিসফিসিয়ে বললেন
“শোনো মাইয়াডার কিন্তু বহুত তেজ পুরো তার মায়ের মতো ,তাই হাত ধরে টা টানাটানি করার দরকার নাই সোজা মাথায় ভারীকিছু দিয়ে আঘাত করবা,দেইখো আবার মরে যেন না যাই,সৃত্মিশক্তি হারায় গেলে তো খুবই ভালো হয়, আর বাচ্চা ডারেও পারলে পিষে মেরে ফেলিও ৷ যাও এবার, বেশি দেরি করা ঠিক হবে না, 7টাই ফ্লাইট,এখন 6.10 বাজে,বেশী লেট করা যাবে না ৷”
কথাটা বলতেই একজন লোক মোটা একটা কাঠ নিয়ে বেরিয়ে এলো, সে আগে কখনো এমন কোন কাজ করেনি, তার কিছুটা হলেও তার হাত কাঁপছে ৷
আরু আর্শিয়ানকে কোলে নিয়ে বেশ দ্রুত গতিতেই হাটছে, এখান থেকে ওর বাসা আর বেশি দূর না, 15 মিনিট মতো ৷
লোকটা গিয়ে আরুর মাথায় কাঠ মারতে গেলেই আরশিয়ান পিছন ঘুরে দেখলো একটা লোক কাঠ নিয়ে মারার জন্য ছুটে আসছে ,আরশিয়ান তা দেখে জোরে চিৎকার করে বলে উঠলো
“মাম্মাম,,,,”
আরূ আর্শিয়ানের চিৎকার শুনে পিছন ফিরে তাকাতেই কাঠটা আরুর কান আর মুখ বরাবর এসে বাড়ি খেলো ,আর আরুর ডানদিকের মাথা কেটে রক্ত গড়িয়ে পড়লো,আর মুখের ডানদিকের খানিকটা জায়গা ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে ,মাথা আর গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তের অধিকাংশতে আরূর শাড়ির উপরিভাগ ভেসে যাচ্ছে ৷ আরূ নিমেশেই অবচেতন হয়ে গেল, শ্রবন ক্ষমতা আদেও আছে নাকি নেই বলা মুশকিল ৷ আরশিয়ান ও আরূর কোল থেকে ছিটকে কয়েক হাত দূরে পড়ে গেল, দাতের নরম মাংসের সাথে চাপ লেগে ঠোঁট মুখ কেটে গেছে , হাতের কনূই এর মাংস পিচের সাথে ঘষা লেগে সেখানকার নরম চামড়া মাটিতে মিশেছে,হাঁটুর কাটা জায়গাতে লাল টকটকে রক্ত ধুলো মিশে কালচে বর্ন ধারন করেছে ৷ ওঠার ক্ষমতা নেই,
ওপাশ থেকে আরমান সাহেবর তীব্র হুংকারে লোকটা ভয় পেয়ে গেল ৷
আরূকে খানিকটা রাস্তা মাটির সাথে ঘেষড়াতে ঘেষড়াতে টেনে নিয়ে গাড়িতে তুলল ৷ আরুর শরীরে রক্তক্ষরনের মাত্রা দ্বিগুন হয়ে গেল,দেখে মনে হবে সদ্য গর্ভবতী কোন মহিলার ব্লিডিং হচ্ছে ৷ আরূকে গাড়িতে তুলে আরমান সাহেবের পাশে বসাতেই আরমান সাহেব আরুর রক্তাক্ত গালটা টিপে ধরলেন,এই মুহূর্তে যদি আরূর জ্ঞান থাকতো তাহলে এ ব্যাথা যন্ত্রণার বিতৃষ্ণায় নিজেই নিজের মৃত্যুকামনা করতো ৷
আরমান সাহেব দাঁত কিড়কিড় করে বলল
” মন তো চাইতেছে তোকে এক্ষুনি মেরে দিই,কিন্তু তোকে মারলে যে আমার পয়সা উষুল হবে না রে হারামজাদী ৷ এই গাড়ি স্টার্ট দে ৷”
এতক্ষনে আর্শিয়ান কোনরকমে উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করলো, আরুকে গাড়ি করে নিয়ে চলে যেতেই আরশিয়ান দৌড়াতে গেলেই মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল ৷
কষ্টে আরশিয়ানে অর্ধমৃত অবস্থা ৷
মাটিতে পড়ে গিয়ে চোখ বুজিয়ে নিল আর গোঙাতে গোঙাতে বলল
” মাম্মাম তোমাল আর্শিয়ান গুড বয়, আমি আর কখনো দুষ্তামি করবো না ৷ প্রমিজ ৷”
বলে চোখ বুজিয়ে নিল, শরীর জুড়ে একরাশ বিদঘুটে ব্যাথা, ইচ্ছা করছে ক্ষতবিক্ষত চামড়া গুলো শরীর থেকে আলাদ করে দিই তাতে যদি কষ্টটা লাঘব হয় ৷
💖
” sir 6.25 বাজে আপনি যাবেন না sir ? আজ আপনার যাওয়া উচিত , যতোই হোক এতোদিনের পরিকল্পনার পূর্নতা পাওয়ার দিন ৷”
মিহিরের কথা উপেক্ষা করে আরিশ বলল
” আজকে আকাশটা বড্ড কালচে মিহির,মনে হচ্ছে একসমুদ্র শুটিয়ে যাওয়া রক্তের প্রলেপ কেউ ভালোভাবে এই আকাশ জুড়ে লেপে দিয়েছে ৷ কান্নাতেও যেন এ বিতৃষ্ণা কখনো মিটবে না ৷”
আরিশের ধরা গলায় বলা কথাগুলো মিহিরের মনটা ছুয়ে যেতেই মিহিরের বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো ,আজকে শুভ্রার কথা ওর বড্ড মনে পড়ছে,শ্রুভাকেও এই পৃথিবী ছাড়তে হয়েছিলো একদল নোংরা মানুষের কারসাজিতে ৷
কথাটা ভাবতেই ওর চোখে জল চলে এলো ৷
নিজেকে তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে বলল
” sir, আপনি আজকে ম্যডামের সামনে নিজের পরিচয় দেবেন আজকে আর আপনার কোন কথা শুনছি না , ভাবুন তো ম্যাডাম ঠিক কতোটা খুশি হবে ৷”
আরিশ চোখের জলটা মুছে বলল
” তোমরা যাও আমিও যাচ্ছি ৷ আর মিনহাজ sir এর বোধহয় শরীরটা ভালো নেই নাহলে উনিও যেতেন , যতই হোক এই কেসটার বেশিরভাগ দায়িত্বটা যে ওনার ৷ sir কে আমার অনেক কিছু বলার আছে, তুমি madam এর একটু খেয়াল রেখো আমি sir কে নিয়ে একেবারে আরু আর আর্শিয়ানের সাথে দেখা করবো ৷”
” আচ্ছা sir ৷”
কথাটা বলে মিহির বেরিয়ে গেল ৷ মিহির ওর ইউনিফর্মকে খুব ভালোবাসে আর প্রতিটা কাজ খুব দায়িত্ব আর নিষ্ঠার সাথে পালন করে ৷”
💖
” এই যে আরমান সাহেব আমার 50% টাকাটা কই ? আরু তো প্লেনে উঠে গেল ৷”
আরমান সাহেব ইলমাজের কাধে হাত রেখে বললেন
” তুমি না বললে আমরা একসাথে ডিনার করবো, তাহলে এতো তাড়া কিসের ! একসাথে দুজন একটু খানাপিনা করবো, মওজ মাস্তি হবে তবেই না জমবে ব্যাপারটা ৷”
” সেই সুযোগ কি আপনি পাবেন ?”
ইলমাজের এমন কথা শুনে আরমান সাহেব হেসে বলে উঠলেন
” তুমি ছেলেটা না বড্ড পাজি ৷ দাড়াও তোমার হচ্ছে ৷”
ইলমাজ ও হাসলো ৷
ক্ষনিক থেমে ইলমাজ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল
” আপনার লোকজন তো এখনো এলো না sir, ওনারা আপনাকে টাকা দিয়ে যাবে না ?”
ইলমাজের কথা শুনে আরমান সাহেব ভাবুক সুরে বললেন
” তাইতো এখনো এলো না ৷ ”
কথাটা বলতে বলতে একটা কালো পাজ্ঞাবী আর চোখে কালো চশমা পরহিতা লোকটা এসে আরমান সাহেবকে জড়িয়ে ধরলেন ৷
রাতের অন্ধকারে কালো চেহারার লোকটাকে আরো বিদঘুটে লাগছে ৷
খানিকটা আলো ওনার মুখের ওপর পড়তেই ইলমাজ চমকে উঠলো ৷ ইনাকে খোঁজার জন্য তো সারা দেশ জুড়ে তোলপাড় হচ্ছে ৷ ইনি তো একজন আন্তর্জাতিক আসামী,নারীপাচারের উল্লেখে ওনার নাম প্রথমে আসে ,তাছাড়াও বড়ো বড়ো খুনের সাথে ওনার নাম জড়িত আছে ৷ দেশের পুলিশ তন্নতন্ন করে খুজছে, ওনাকে সামনে পেলেই গুলি করে দেওয়ার অর্ডার আছে ৷ ওনার নাম তাহির আব্বান ৷
ইলমাজ শুধু দেখে যাচ্ছে ওদের কাজ ৷
তাহির আব্বান ওনার কালো গভীর চোখ থেকে চশমাটা খুলে ইলমাজের দিকে তাকিয়ে আরমান সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলেন
” এই ছেলেকে এই কাজে নতুন নাকি ! আগে তো দেখিনি ৷”
ইমরান সাহেব ওনার দিকে তাকিয়ে ইলমাজের প্লতি বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন
” আরে বইলেন না আজাইরা প্যাচাল ৷”
উনি আরমান সাহেবের দিকে চোখের ঈশারায় বললেন যে ইলমাজের ব্যাপারে কোন সাহায্য লাগবে কি ৷ ইমরান সাহেব ও ঈশারায় বললেন যে উনি সামলে নেবেন ৷
তাহির আব্বানকে পিছন থেকে কেউ ডাকলেন তা শুনে উনি পিছন ঘুরলেন
” ভাইজান প্লেনে উঠতে হইবো ৷”
” আরু গুডিয়া উঠেছে !”( সয়তানি হাসি দিয়ে)
আরমান সাহেব রেগে বললেন
” এমন হাল করবেন যেন মরে যাই ৷”
ইলমাজ শুধু দেখছে আর মনে মনে তীব্র ঘৃনা প্রকাশ করছে ,হাতে বন্দুক থাকলে আজ ই শুট করে দিতো ৷ এখনৈ আরুকে ও চোখে দেখেনি তবে শুনেছে আরমান সাহেবের মুখে যে তার নাকি মরা মারা অবস্থা ৷ ইলমাজ আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছে না, পুরো পুলিশের টিম আরু আরিশের আসার অপেক্ষা করছে ৷
এতখন ধরে যা যা করেছে সব আরিশের কথা অনুযায়ী ৷ না জানি আরিশ যখন জানবে যে আরুর এই বিভৎস অবস্থা তখন কি করবে ৷
তাহির আব্বান আরমান সাহেবের সামনে কয়েক বাক্স টাকা রাখলেন ৷
” এই নাও পুরো পাঁচ কোটি কুঁড়ি লাখ, খুশি হয়ূ 20 লাখ দিলাম যাও ৷ কয়েকবছর দেশেই ফিরবো না, এই বার একসাথে 35 জন চালান হচ্ছে, ব্যাপারটা বুঝতে পকরছো নিশ্চয়ই ৷”( আরমান সাহেবের কাঁধে হাত রেখে )
আরমান সাহেব মুচকি হাসলেন ৷
তাহির আব্বান যাওয়ার আগে মুখে কালো পর্দা মতো আবরন দিয়ে চলে গেলেন, সম্ভবত এবার প্লেনে উঠবেন ৷
💖
নিমেষের মধ্যেই পুরো এয়ারপোর্ট শান্ত হয়ে গেল ৷ চারিদিকে পুলিশের গাড়ির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, গা থমথমে পরিবেশ ৷ চারিদিকে পুলিশের ছড়াছড়ি,ইতিমধ্যে মেয়েগুলোকে সব উদ্ধার করেছে পুলিশ, আরু সহ 35 জন ছিলো , প্লেন থেকে এক একটা মেয়েকে নামানো হচ্ছে , সবাই কালো বরখা পরে ঢাকা ৷ তাহার আব্বান পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ওনার দুই পায়ে গুলি করে , আরমান সাহেবকে ধরা হয়েছে সঙ্গে আরো যতজন ছিলো সবাইকে ৷
আরমান সাহেব অসি্কার করার চেষ্টা করে চলেছেন এক্ষনো যে তিনি এ ব্যাপরে কিছু জানেন না ৷ প্লেনের ভিতর মিহির তন্নতন্ন করে আরুকে খুঁজছে কিন্ত কোথাও আরুকে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ সবাইকে রেসকিউ করা গেছে আরু ছাড়া ৷ আরু কোথায় ?
💖
হসপিটালের বিছানায় সুয়ে আছে আর্শিয়ান, গায়ের সাদা শার্টটা রক্তাক্ত ৷ হাতে ক্যানুলা দিয়ে রক্ত দেওয়া হচ্ছে ৷ শরীরের কাটা অংশগুলো ডক্টর ব্যান্ডেজ করে চলে গেছেন ৷ মাঝে মাঝে আর্শিয়ান কেঁপে কেঁপে উঠছে ৷ চোখমুখ অদ্ভুত রকম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে ৷ ডক্টর বলেছেন অনেকটা ওপর থেকে ছিটকে দূরে পড়ে যাওয়াই বুকের পাজরে গুরুতর আঘাত ৷
আর্শিয়ানের হাতে হাত রেখে শক্ত করে বসে আছে আরিশ আর অনবরত কাঁদছে ৷ চোখ রক্তবর্ণ হয়ে গেছে কাঁদতে কাঁদতে আর বিড়বিড় করে বলছে
” আমার চ্য৷ম্প এতো চুপ কেন ! এই আর্শিয়ান ওঠো পাপা তোমার মাম্মাম তোমার জন্য কষ্ট পাচ্ছে তুমি কিছু বলছো না কেন ?”
আরিশের কান্না দেখে মিনহাজ সাহেব বললেন
” তুমি কেঁদোনা আরিশ, আমার দাদুভাইয়ের কিছু হবে না, আর আমার মেয়েটার কি হলো এখনো তো কিছুই জানলাম না ৷”
আরুর কথা শুনে আরিশের হুস আসলো, সত্তিই তো মিহির আরুর এখনো কোন খবর দিলোনা ৷
তাড়াতাড়ি করে মিহিরকে কল দিলো ৷
মিহিরের পুরো পাগল পাগল অবস্থা , পুরো প্লেন তন্নতন্ন করে খুজেছে কোথাও আরু নেই ৷ এটা কি করে সম্ভব ? আরিশের ফোন দেখে মিহির থরথর করে কাঁপছে আরিশকে এখন ও কি জবাব দেবে ৷ তার আরুপাখি যে কোথাও নেই !
#চলবে,,,,,
আমি না এতো গোয়েন্দা দের মতো এতো ডিটেলসে লিখতে পারি না,হয়তো বাড়তি অনেক ভুলভ্রান্তিকর জিনিস লিখেছি সেগুলো . দৃষ্টিতে দেখবেন🙂৷ আর আজকের জন্য অন্তত নাইস নেক্সট থেকে বিরত হয়ে কিছু গঠনমূলক কমেন্ট করবেন🙂৷ উইমমমা ঠুইঠুই🙂