তোমাকে বলার ছিল ……
অষ্টাদশ পর্ব
-তোমার নাম কি তৃণা ?
তৃণা ভ্রু কুচকে তাকালো I এখানে এ নামে ওকে কেউ চেনে না I এখানে ও আফসানা নামে পরিচিত I কারো সঙ্গেই তেমন কথা বলে না ও এই জায়গায় I সবাই ওকে শান্ত চুপচাপ বলেই জানে I অনেকে অবশ্য ভাবে ও ভীষণ অহংকারী I ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে এসেছে তাই দেমাকে মাটিতে পা পড়ে না I
তৃণা জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়েছে I নিজেকে একেবারেই গুটিয়ে ফেলেছে I এখানে থাকায় কিছু সুবিধা হয়েছে I খরচ কমেছে অনেকটাই যেহেতু হলে থাকতে হচ্ছে I কিন্তু সমস্যা ও হয়েছে অনেক I এখানে চলে আসাতে টিউশনি গুলি সব চলে গেছে I তৃণা আগে তিনটা টিউশনি করাতো I এরমধ্যে দুটোই ছেড়ে দিতে হয়েছে I শুধু একজনকে অনেক বছর ধরে পড়ায় বলে আন্টি অনলাইনে পড়াতে রাজি হয়েছেন I টাকাটা বিকাশ করে দেন I ওই দিয়েই মোটামুটি চলতে হচ্ছে i ডিপার্মনেন্ট আর হলের বাইরে খুব একটা বেশি কোথাও যায় না তৃণা I কারো সঙ্গে কথা ও বলে না তেমনI শুধু তপতী বলে বাংলা ডিপার্টমেন্টের একজন আছে ওর পাশের রুমে থাকে I তার সঙ্গে একটু কথা হয় I একটু বললে ভুল হবে I তৃণা ওকে নিজের সব কথাই বলেছে I মেয়েটা ভালো I ভীষণ নরম মন I তৃণার গল্প শুনে অনেক কান্নাকাটি করেছিল I তৃণা নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিল ওর কান্না দেখে I এতটা তো বোধহয় ও নিজেও কাদেনি I কি করে যেন অসম্ভব শক্ত পাথরের মত হয়ে গেছে আজকাল I
তৃণা আবারো তাকালো I যে ছেলেটা প্রশ্নটা করেছে তার নাম ইরাজ I ডিপার্টমেন্টে রাজ নামে খ্যাত I ওদের ব্যাচমেট I পড়াশোনা ছাড়া আর সব কিছুতেই ভীষণ রকমের পটু I আবৃত্তি করে নাটক করে I ডিপার্টমেন্টের জুনিয়ার মেয়েরা রাজ ভাইয়া বলতে অজ্ঞান I বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ওকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে দেখা যায় I তৃণা বেশ বিরক্ত হল I পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল ইরাজ এগিয়ে এসে পথরোধ করে দাঁড়ালো I বলল
– জবাব না দিয়ে চলে যাচ্ছে যে
– কি জানতে চান ?
– তোমার নাম তৃণা ?
– হ্যাঁ তবে আমি আফসানা নামেই পরিচিত হতে পছন্দ করি
– তুমিতো আবৃত্তি করো তাই না ? নেক্সট ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে আমরা একটা কথোপকথন করব I আমার একজন ফিমেল লিড দরকার I শনিবারে ক্লাস শেষে একটু আমার সঙ্গে দেখা করো
– আমি আবৃত্তি করি না
– মিথ্যে কথা কেন বলছ ?
– মানে ?
ইরাজ হেসে ফেললো I বেশ বিজয়ের হাসি I তারপর বলল I তুমিতো চারুদির সঙ্গে গ্রুপে ছিলে তাই না ? চারুদি আমার কাজিনের ফ্রেন্ড I ওরা কাছে তোমার নাম শুনেছি I শুনেছি কি নাকি ঝামেলার কারণে তুমি ভার্সিটি চেঞ্জ করেছ I
তৃণা জবাব না দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল I ইরাজ এগিয়ে এসে বলল
– তুমি আবার মাইন্ড করলে নাকি ?
তৃণা এবার একটু হাসল I পরমুহূর্তেই গম্ভীর হয়ে বলল
– মাইন্ড করিনি I তবে প্রশ্নের যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছিনা I
ইরাজ একটু থমকালো I ও ভেবেছিল মেয়েটা একটু শান্তশিষ্ট, জড়োসড়ো, চুপচাপ I কারো সঙ্গে তেমন কথা বলে না I এভাবে একটু কথা বললে হয়তো কান্নাকাটি শুরু করবে তখন ওর জন্য সহজ হবে I কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটা এত সহজ জিনিস নয় I বাঁকা হেসে বলল
-তোমাকে সব সময় যৌক্তিক প্রশ্ন করতে হবে নাকি ?
– একেবারেই না I কোন ধরনের প্রশ্ন না করলেই সবচাইতে ভালো হয় I আবৃত্তির ব্যাপারটা যদি জানতে চান তাহলে আমি এখন আর আবৃত্তি করি না I
এবার ইরাজ স্ট্র্যাটেজি চেঞ্জ করল I এভাবে হবেনা I অন্যভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে I এইরকম বহুৎ অহংকারী মেয়ে একসময় ওর পায়ের কাছে এসে লুকিয়ে পড়েছে I এ আর এমনকি I অমায়িক হাসি হেসে বলল
– আরে তুমি তো রেগে যাচ্ছ I আমি আসলে বন্ধু ভেবে কথাটা বলেছিলাম I আমরাতো সহপাঠী তাইনা I আর সহপাঠীরা তো বন্ধুই I
-সহপাঠী হলেই বন্ধু হতে হবে তার কোন মানে নেই I আমি এখন আর আবৃত্তি করি না I আশাকরি আপনি অন্য কাউকে খুঁজে পেয়ে যাবেন I
তৃণা আর দাঁড়ালো না I ইরাজ ওর যাত্রা পথের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল এত দেমাগ দেখব এই দেমাগ কে ভাঙ্গে I
তৃণা হলে ফিরে দেখল ডাইনিংয়ের খাবার শেষ হয়ে গেছে I রিক্সা ভাড়া খরচ হয় বলে ও হেঁটে আসে ডিপার্টমেন্ট থেকে I অনেকটা পথ I মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয় I তবুও উপায় নেই I তৃণার অসম্ভব খিদে পেয়েছে I সাধারণত ও রান্নাবান্নার ঝামেলায় যায়না I খরচ আরো বেশি হয় তাতে I চা খাওয়াও অনেক কমিয়ে দিয়েছে I অসম্ভব মাথা ধরেছে I একটু চা খেতে পারলে ভালো লাগতো I তবে তার আগে কিছু খাওয়া দরকার I সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে গোসল করে নিল I মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে যখন বাথরুম থেকে বের হয়ে এলো তৃণা আশ্চর্য হয়ে দেখল ওর টেবিলের উপর গরম খিচুড়ি ডিম ভাজা I পাশে একটা ছোট্ট চিরকুটে লেখা ‘ খেয়ে নিস তপতী I খিদের যন্ত্রণায় আর কিছু ভাববার কথা মনে ছিল না I ঝটপট খেতে বসে গেল Iখাওয়া যখন প্রায় শেষের দিকে তখন হঠাৎ মনে পড়ল একদিন এরকমই খিচুড়ি খেয়েছিল ওরা সুজনের বাড়ির ছাদে বসে I কি সুন্দর ছিল সেই দিনটা I
তৃণা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে গেল I সাড়ে চারটে বেজে গেছে I পাঁচটার সময় অনলাইনে পড়াতে হবে I একটা ল্যাপটপ থাকলে ভাল হত I মোবাইলটা ফেলে আসাতে নতুন মোবাইল কিনতে হয়েছে I হাতের সব টাকা শেষ হয়ে গেছে তাতে I ভাগ্যিস সুলতানা আন্টি ব্যাগটা গুছিয়ে দিয়েছিলেন তাই আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হয়নি I তবুও টুকটাক প্রতিমাসেই কিছুনা কিছু কেনার থাকে I পাঁচটার দিকে ফোন টা চেক করে দেখলো আজকে ছাত্রী পড়বে না মেসেজ পাঠিয়েছে I হঠাৎ করেই তৃণা টের পেল ওর শরীর জুড়ে ক্লান্তি I অসম্ভব ঘুম পাচ্ছে I বিছানায় যেতেই ঘুমিয়ে পরল I এলোমেলো স্বপ্ন দেখলো I দেখল রাতিনের সঙ্গে হিয়ার বিয়েটা ভেঙে গেছে I তবু হিয়া বউ সেজে বসে আছে I বিয়েটা হচ্ছে সুজনের সঙ্গে I তৃণা হুড়মুড় করে উঠে বসলো I ওর সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে I কেমন ভয় ভয় লাগছে I এতদিন ধরে একবার ও হিয়ার সঙ্গে কথা হয়নি I ইমেইলের ব্যাপারটা বোধ হয় ওর মাথায় আসেনি I সুজন কি ওকে একবারও বলেনি I ও তো প্রতিদিনই কবিতা পাঠাচ্ছি ইমেইলে I ঠিক রাত সাড়ে এগারোটার সময় I যদিও কোনো জবাব দেয়নি আজ পর্যন্ত তৃণা I প্রায় দু মাস হয়ে গেছে I একদিনের জন্যও একটু এদিক-ওদিক হয়নি I তৃণা ফোনটা বের করে হিয়াকে ফোন করল I কেমন ভারী শোনাচ্ছে হিয়ার কণ্ঠস্বর I অনেকক্ষণ পর্যন্ত কোনো কথা বলতে পারলো না তৃণা I কয়েকবার হ্যালো হ্যালো করার পর হিয়া চুপ করে গেল I তারপর বলল
– তৃণা ?
– কেমন আছিস ?
হিয়া চিৎকার করে উঠলো
– কোথায় তুই ? তুই জানিস আমি তোকে কত জায়গায় খুঁজেছি ? বলতে বলতে কেঁদে ফেলল হিয়া
– এখনো তো বললিনা কেমন আছিস I
– কেমন থাকবো ? সামনের সপ্তাহে বিয়ে আমার আর তুই নেই I তুই আসবি না আমার বিয়েতে ? তুই জানিস সুজন এর কি অবস্থা ? তুই কি করে এরকম করতে পারলি I হিয়া ডুকরে কেঁদে উঠল I
কোনভাবেই হিয়া কে বোঝানো গেল না I ও কাউকে বলবেনা এই শর্ত দিয়ে ওর বিয়েতে যাবে এই অঙ্গীকার করল তৃণা I কিন্তু সুজনের কথা শুনে ও হতবাক হয়ে গেল I যে কারনে ও এত কষ্ট করেছে নিজের ইউনিভার্সিটি ছেড়ে এসেছে সুজনকে ছেড়ে এসেছিল যেন ও বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালোভাবে থাকতে পারে আর সেটাই হল না I সুজন বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে I ভাড়া বাড়িতে কেমন করে আছে ও ? কি খেয়ে থাকে ? হিয়া বলছিল কেমন রোগা হয়ে গেছে আজকাল I সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে I হিয়া ওকে একবার বোঝাতে গেলে ওর সঙ্গে রাগারাগি করছে I শুধু সুলতানকে সঙ্গে একটু ভালোভাবে কথা বলে I আন্টি মাঝেমাঝে রান্না করে পাঠিয়ে দেয় I
তৃণা ঠিক করল ও সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে I ওর এত কষ্টের কি ফল হল যদি সুজন এভাবে বেঁচে থাকে I তৃণা কাগজ-কলম নিয়ে লিখতে বসলে Iকোন কিছু মাথায় আসছে না I মাথাভর্তি কবিতা গিজগিজ করছে I কতদিন আবৃত্তি করে না ও I তৃণা নিচু স্বরে থেমে থেমে আবৃত্তি করল
অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসে
প্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ।
তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি,
ক্রমশ একটা দেবদারু ও কয়েকটা কলাগাছ,
অবশেষে অনেকগুলি ছানাসহ একটা বেড়াল,
এইসব এঁকে এঁকে তবুও
কাগজের নীচে চার আঙুল জায়গা বাকি থাকে :
সেখানে প্রথমে লিখি, শ্রীচরণেষু
তার নীচে সবিনয় নিবেদন।
এবং কিছুক্ষণ পরে
সবিনয় নিবেদন কেটে লিখি প্রিয়তমাসু।
এবং একটু পরেই বুঝতে পারি
জীবনে এই প্রথম, প্রথমবার প্রিয়তমাসু লিখলাম।
প্রিয়তমাসু,
তুমি তো জানো না
জীবনে তোমাকে কোনদিন ঠিকমতো সম্বোধন করা হলো না।
প্রিয়তমাসু,
তুমি তো জানো না
জীবনে তোমাকে কোনোদিন ঠিকমতো ভালোবাসা হলো না।
না, এসব সুজনকে লেখা যাবে না I তৃণা ই মেইল ওপেন করলো I গত দুই মাসে সুজনের পাঠানো কবিতাগুলো পড়লে আবারও I তারপর লিখল
তুমি কেমন আছো ?
কেন যেন আর কিছুই লিখতে ইচ্ছা করল না I অন্যকিছু মাথায় এলো না I ততক্ষনে রাত গভীর হয়েছে I তৃণা ভেবেছিল সুজন হয়তো অনেক প্রশ্ন করবে অনেক কিছু লিখবে পাল্টা I কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে সুজন আজকেও শুধু একটা কবিতাই পাঠালো I ও লিখেছে
ভালো আছি বলি কিন্তু ভালো নেই
চেয়ে দেখো আমার ভিতরে কোথায় নেমেছে ধস,
কোথায় নেমেছে ঘোর কালো!
দেখো আমার ভেতরে এখন প্রবল গ্রীষ্মকাল
খরা আর খাদ্যের অভাব; ভালো করে চেয়ে দেখো
আমার ভিতরে সমস্ত কেমন তন্দ্রাচ্ছন্ন, ভগ্ন ও ব্যথিত
ঠিক যে আঁধার তাও নয় মনে হয় মধ্যাহ্নে অকালসন্ধ্যা
অস্তমিত সকল আলোর উৎস;
ভালো আছি বলি কিন্তু ভিতরে যে লেগেছে হতাশা
লেগেছে কোথাও জং আর এই মরচে-পড়া লোহার নিঃশ্বাস
গোলাপ ফুটতে গিয়ে তাই দেখো হয়েছে ক্রন্দন,
হয়েছে কুয়াশা!
*******
সুজন বাস থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকালো I এখানে আগেও এসেছে ও I কিন্তু প্রতিবারই গাড়ি নিয়ে এসেছে কখনো এভাবে বাসে আসেনি I সুজন আজকাল বাসে রিকশায় করেই যাতায়াত করে I কষ্ট হয় ভীষণ, অভ্যাস নেই বলে I চাইলেই গাড়ি কিনতে পারে কিন্তু ইচ্ছা করে না I বারবার শুধু মনে হয় তৃণা নিশ্চয়ই খুব কষ্ট করে বেঁচে আছে I এখান থেকে চলে গেছে তারমানে টিউশনি গুলিও নেই I কি জানি কি ভাবে ম্যানেজ করছে I
কফি খাওয়া ছেড়ে চা খাওয়া ধরেছে সুজন I চা খেতে গেলেও তৃণার কথা খুব মনে পড়ে I একটু পর পর চা খেত তৃণা I এখন নিশ্চয়ই আর খেতে পারে না I সব ধরনের বিলাসিতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে সুজন I আজকে ওর কারণেই তৃণা এত কষ্টে আছে I ও চলে গেছে বলে ভীষণ কষ্ট হয় সুজনের I কিন্তু কোথাও না কোথাও ওরে চলে যাওয়াটাকে মনে মনে শ্রদ্ধা করে ও I
সুজন একটা রিক্সা নিয়ে ডিপার্টমেন্ট এর দিকে চলে গেল I ডিপার্টমেন্ট এর কাছে বেশ কিছু ছেলেমেয়ে জটলা করে গল্প করছে I সুজন এগিয়ে গিয়ে একজনকে জিজ্ঞেস করল
– আফসানা আক্তার কে কি একটু ডেকে দেয়া যাবে
ছেলেটা একটু অবাক চোখে তাকালো I তারপর বলল
– আপনি ?
– আমি ওর রিলেটিভ I ঢাকা থেকে এসেছি
-ও তাই নাকি I তা ও তো হল ছেড়ে দিয়েছে
সুজন ভুরু কুঁচকে তাকালো I তারপর বলল
– আপনি শিওর ?
– হ্যাঁ আমার সঙ্গে কথা হয়েছে কাল I তা আপনার সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক ……..
সুজন এই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলল
– আপনার কাছে কি ওর ফোন নাম্বার আছে ?
ইরাজ বাঁকা হেসে বলল
– আপনার আত্মীয় অথচ ফোন নাম্বার চাচ্ছেন আমার কাছে ?
সুজন কোন জবাব দিল না সামনে এগিয়ে গেল I ছেলেটা পেছন থেকে বলল
– এইযে ব্রাদার ওদিকে কোথায় যাচ্ছেন ? ওখানেও কেউ ওর ঠিকানা দিতে পারবে না
– ক্যান্টিনে যাচ্ছি এক কাপ চা খাব I কোন অসুবিধা ?
– না না অসুবিধা কেন হবে ? তা আপনি ওর কে হন জানতে পারি কি ?
সুজন বিরক্ত হয়ে তাকালো I এই ছেলেটাকে মনে হয় কেউ জীবনে সহবত শেখায় নি I সুজন ওর দিকে ফিরে বলল
– জি না I জানতে পারেন না I এবার কি আমি চা খেতে যেতে পারি ?
– অবশ্যই I চায়ের সঙ্গে আমাদের সিংগারা টা ও ট্রাই করে দেখবেন I আমাদের সিঙ্গারা বেশ ফেমাস
– আপনার মূল্যবান তথ্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ I
সুজন এগিয়ে গেল I পেছন থেকে ইরাজ বিড় বিড় করে বললো
– যেমন মেয়ে তার তেমন আত্মীয় I সোনায় সোহাগা I একেবারে তলোয়ারের দুই ধার I
চলবে…
তোমাকে বলার ছিল ……
অষ্টাদশ পর্ব
লেখনীতে
অনিমা হাসান
এই পর্বে দুটি কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে ভালো আছি বলি কিন্তু ভালো নেই মহাদেব সাহার আর প্রিয়তমাসু তারাপদ রায়ের লেখা I