সকাল থেকে তৃণার মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে I সুজন, হিয়া কেউই আজ ক্লাসে আসেনি I প্রতিবারের মত আজও তৃণার মনে হয়েছিল হয়তো দুজন একসঙ্গে আছে I হয়তো আবার সব ঠিক হয়ে গেছে I কিন্তু হিয়াকে টেক্সট করে জানতে পারল ও কাশফুল দেখতে দিয়াবাড়ি গেছে রাতিনের সঙ্গে I তৃণার মাথায় আগুন ধরে গেল I ক্লাসের মধ্যেই ও হিয়া কে টেক্সট করল I
তোর অনেক ফাজলামি আমি আমি সহ্য করেছি I সুজনের সঙ্গে তুই যেটা করেছিস সেটার জন্য তো তোকে আমি দেখে নেব, কিন্তু রাতিনকে নিয়ে যদি কোন বাড়াবাড়ি করিস, তাহলে আমি সুলতানা আন্টিকে জানাতে বাধ্য হব I
জবাবে হিয়া লিখে পাঠালো
তুই কি চাস আমি আত্মহত্যা করি I মা জানালে আমাকে খুন করে ফেলবে I
তোর আত্মহত্যা আমার দেখা হয়ে গেছে I দুইটার সময় ল্যাব শুরু হবে I তোকে যদি ল্যাব এ না দেখি তাহলে আমি সোজা তোদের বাসায় চলে যাব I
দুইটা বেজে গেছে I হিয়ার এখনও আসার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না I তৃণা ঠিক করে ফেলেছে আজ ও একটা এসপার ওসপার করেই ছাড়বে I অ্যাটেনডেন্স এর ঠিক আগ মুহূর্তে হিয়া দৌড়াতে দৌড়াতে ল্যাবে ঢুকলে I হাঁপাতে হাঁপাতে তৃণার কাছে এসে কানে কানে বলল
– এইবার খুশি মেডাম ?
তৃণা জবাব দিল না I রাগত চোখে তাকালো একবার I তারপর বলল
– ল্যাব শেষ করে তুই বসবি আমার সঙ্গে I তোর সঙ্গে জরুরী কথা আছে I
ল্যাব শেষ হতে হতে চারটা বেজে গেল I তৃণা হিয়াকে নিয়ে টিএসসিতে চলে গেল I
রিক্সা থেকে নেমে হিয়া বলল
– ভীষণ খিদে পেয়েছে , চল কিছু খাই I
-এখন না I বোস আগে I কথা আছে I
– তুই এইরকম হেডমিস্ট্রেস এর মতো আচরণ করছিস কেন ? ভয় লাগছে দেখে I
-কালকে তোর ফোন বন্ধ ছিল কেন ?
– কখন ? কই নাতো ?
– তোর কি আমাকে বোকা মনে হয় ?
– তোর সমস্যা কি ? তুই হঠাৎ করে এরকম ডিটেকটিভ এর মতন আচরন করছিস কেন ?
– সমস্যা আমার ? পরীক্ষার আর তিন মাস আছে এই সময় তুই সুজনের সঙ্গে এরকম করলি কেন ? আর সেটা যদি বাদ ও দেই রাতিনের সঙ্গে তোর কেসটা কি ?
– কোন কেস নেই I এমনি টাইম পাস করছি I
– টাইম পাস করার জন্য তুই আর কাউকে পাসনি ?
– না I বাকি ছেলেরা খুব সিরিয়াস হয়ে যায় I ও আমার টাইপেরই I তবে এটা বেশিদিন করতে হবে না I
তৃণা এবার খুব মন খারাপ করা গলায় বলল
– তুই আমাকে হারিয়ে দিলি হিয়া I তুই প্রমাণ করে দিলি যে পৃথিবীতে আসলে ভালবাসা বলে কিছু নেই I আমি ভেবেছিলাম তুই হয়তো একটু অন্যরকম I কিন্তু না , তুই ও সেই আমার বাবা মায়ের মতই I
– ওরে বাবা I এত বড় ডায়লগ দেওয়ার মত কি করলাম ?
-তুই কি জানিস সুজনের জ্বর ?
-জ্বর তো আমি কি করবো ? আমি কি ডাক্তার ? জ্বর হয়েছে ডাক্তার দেখাক I
– তোর কিছু যায় আসে না ?
– না I তুই কি করে জানলি ওর জ্বর ?
-আমার সঙ্গে কথা হয়েছে কাল I তুই ওর সঙ্গে এরকম আচরণ কি করে করতে পারিস ? একসময় না ওর জন্য মরতে গেছিলি ?
– হ্যাঁ সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে গেছে I ভাবি নি তুই এত সিরিয়াস হয়ে যাবি I
– মানে ? সব মিথ্যা ছিল ? সুজন কে বাদ দে, তুই আমার সঙ্গে এরকম কেন করলি ?
হিয়া এবার বেশ গম্ভীর হয়ে গেল I তৃণার চোখে চোখ রেখে বলল
– শোন আমি মানুষটা যতই খারাপ হই না কেন আমি কখনো কাউকে ঠকাই না I
– তাই নাকি ? তৃণা ব্যঙ্গ করে বলল
– হ্যা তাই I সুজনকে ও আমি ঠকাতে চাইনি তাই সম্পর্কটা ভেঙে দিয়েছি I সত্যি কথা বলতে সুজন কখনো আমাকে ভালবাসেনি I আমি ওর সামনে বসে থাকলে ও কখনো আমাকে দেখতই না I আমার মধ্যে সবসময় অন্য কিছু খুঁজতো I গল্প করতে গেলে অন্যমনস্ক হয়ে যেত I একবার আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যে ও আমাকে ভালবাসে কিনা I ও কি জবাব দিয়েছিল জানিস ?
– কি ?
– বলেছিল, আমি তোমার সৌন্দর্য দেখে তোমাকে ভালোবাসি না I তোমার ভেতরে যে মনটা আছে সেটাকে ভালোবাসি I কিন্তু কাহিনী হইল এই মনটা তো আমারই না I ও যে জিনিসটার প্রেমে পড়েছে সেটা আমি কখনো ছিলামই না I ও কখনো আমার প্রেমে পরেইনি I ও যদি কখনো কারো প্রেমে পড়ে থাকে তবে সেটা তোর I
প্রচন্ড রেগে উঠে দাঁড়িয়ে তৃনা বললো
– ফাজলামি করার জায়গা পাস না তুই ? তোর একজনের প্রতি মন উঠে গেছে; এখন অন্যজনের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করবি, এজন্য তুই আমাকে এরমধ্যে টেনে আনছিস? লজ্জা করে না তোর ?
হিয়া হেসে ফেললো I বলল
– আমি জানতাম তুই এ ভাবেই রিয়াক্ট করবি I এ জন্যই এতদিন তোকে বলছিলাম না I
-তুই আর কোনদিন ও আমার সঙ্গে কথা বলবি না I কোনদিনও না I
তৃণা ঝড়ের বেগে উঠে একটা রিকশা নিয়ে চলে গেল I হিয়া কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইল I ব্যাগের মধ্যে ফোন বাজছে I ধরতে ইচ্ছা করছে না I প্রবল অনিচ্ছা নিয়ে হিয়া ফোন বের করে দেখলো রাতিন ফোন করেছে I হিয়া আপন মনেই বিড়বিড় করে বলল
– ধুর ! এই শালা জ্বালিয়ে মারলো I
তৃণা বাড়ি ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল I আজও বাড়িতে কেউ নেই I ভালোই হয়েছে I তৃণা ঘরে ঢুকে এক পলকে ঘরটায় চোখ বুলিয়ে নিল I যাবার আগে ঘরটা গুছিয়ে রেখে গিয়েছিল ও I কেউ একজন এসেছিল I ওর জিনিসপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করেছে I বিরক্ত লাগছে I কিন্তু কিছু করার নেই I অন্যের বাড়িতে থাকলে এসব সহ্য করতেই হবে I কবে যে একটা চাকরি হবে আর একটু নিজের মতো করে থাকা যাবে I আজ মেজাজটাই খারাপ I স্টুডেন্ট এর সঙ্গে ও রাগারাগি করে এসেছে I সব ওই হিয়াটার জন্য I
তৃণা ঘর গোছালো, তারপর সময় নিয়ে গোসল করলো I সবশেষে চা নিয়ে ঘরে এসে বসল I সুজনের জ্বর কমেছে কিনা কে জানে I আজ আর পড়বে না বলে ঠিক করলো তৃণা I ফোন করে একবার খোঁজ নেওয়া দরকার I রিং বাজছে কেউ ধরছেনা I হয়তো ঘুমিয়ে আছে I তৃণা ঘড়ি দেখল I মাত্র সাড়ে আটটা বাজে I মাথা ব্যথাটা কিছুতেই কমছে না I তৃণা ওর বইয়ের তাক থেকে একটা কবিতার বই নামালো I পৃষ্ঠা উল্টাতেই একটা কবিতা দেখে আগের কথা মনে পড়ে গেল I
গত বছরের কথা I ডিসেম্বরের শুরু I হালকা শীত পড়েছে I হিয়া আর সুজন মিলে ঠিক করলো একটু দূরে কোথাও বেড়াতে যাবে I যথারীতি তৃণা কে ও সাথে যেতে হবে I সেদিন তৃণার রিহার্সেল ছিল I দুপুর বেলা দুইটার সময় I তৃণা এড়িয়ে যেতে চাইছিল I শেষ পর্যন্ত পারলো না I ঠিক হলো তিনটার সময় ওকে টিএসসি থেকে তুলে নেবে ওরা I হিয়া বলল
-আমরা বরং দুইটার সময় টিএসসিতে যাই; আমরা দুজন বাইরে গল্প করলাম I তোর তো এক ঘন্টার কাজ I শেষ হলে একসাথে চলে যাব I
সেইরকমই সব ঠিক ছিল I প্ল্যান অনুযায়ী দুপুরবেলায় হিয়াদের বাসায় চলে গিয়েছিল তৃণা I ওখানে গিয়ে জানতে পারল সে দিন সকালেই হিয়ার বাবা এসেছে কাতার থেকে I
হিয়ার বাবা কাতারে থাকে I ওখানে উনার একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে I ভালোই চলে I দেশি খাবারের ব্যবস্থা থাকায় প্রচুর বাঙালি ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি খদ্দের আসে তার কাছে I হালাল মাংস, দেশি সবজি , মাছ , টুকটাক দেশী স্নাক্স; সবই পাওয়া যায় ওখানে I হিয়া আর ওর মাকে ও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন উনি I কিন্তু এখানকার আধুনিক জীবনযাপন ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি ওরা I হিয়ার কলেজ ইউনিভার্সিটির কথা বলে এখানে থেকে গেল ওরা I ওর বাবা তিন চার মাস পর পর আসে I ওদের বাড়িতে সবসময়ই একটা বিদেশী গন্ধ লেগে থাকে I যখনই তৃণা আসে, হিয়ার মা বসে অনেক গল্প করে I জোর করে খাওয়ায় I মাঝে মাঝে অনেক দামী উপহার ও দেয় I ভদ্রমহিলা খুবই সরল I কোন অহংকার নেই I মা-মেয়ে দুজনেই দুইহাতে খরচ করে I তৃণার প্রথমদিকে খুব অস্বস্তি হত I কিন্তু একটা সময় পর ও বুঝতে পারল, আসলে ওরা দুজনই ওকে খুব ভালোবাসে I
তৃণা কে দেখে হিয়া বলল
– আমি আজকে কোন ভাবেই বেরোতে পারবোনা
– ঠিক আছে I আমি তাহলে আজকে যাই I তুই সুজন কে ফোন করে মানা করে দে I
টিএসসি পৌঁছে তৃণা অবাক হয়ে গেল I রিহার্সাল রুমে কেউ নেই I শুধু পিয়াস ভাই একা একা বসে আছেন I তৃণাকে দেখে উনি বেশ খুশি হয়ে গেলেন I তৃণা অবাক হয়ে বলল
– বাকিরা সব কোথায় ?
-কেউ আসেনি, দেখনা রিহার্সালের ব্যাপারে কেউ সিরিয়াস না I
-আগে জানলে তো আমিও আসতাম না I
-যাক এসেই যখন পড়েছ, তখন আমরা দুজনে রিহার্সাল করি I
তৃণার ব্যাপারটা ভালো লাগলোনা I ও বলল
– ফোন করে দেখেছেন I দাড়ান আমি ফোন দেই I
পিয়াস হন্তদন্ত হয়ে বলল
– না না I আমি ফোন দিয়েছিলাম সবাই ব্যস্ত I রিহার্সাল করতে ভালো না লাগলে চলো কোথাও বসি I
তৃণার হঠাৎ মনে হলো পিয়াস ভাই মনে হয় আর কাউকে বলেইনি I ইচ্ছা করেই শুধু ওকে আসতে বলেছে I তৃণা বলল
– সবাই না এসে ভালই হয়েছে I আমার আসলে একজায়গায় যাবার কথা I আমি আজ আসি I
তৃণা তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে গেল I পিয়াস দৌড়ে গিয়ে ওর পথ রোধ করে দাঁড়ালো I
– এত তাড়া কিসের একটু পরে যাও I
– আমার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে পিয়াস ভাই I
পিয়াসের বোধহয় তৃণার কথা বিশ্বাস হলো না I তাই ও পিছুপিছু এল I তৃণা একটু বিপাকে পড়ে গেল I কিছুতেই এই লোকের পিছু ছাড়ানো যাচ্ছে না I বাইরে বেরিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে তৃণা দেখল, দূরে সুজন অন্যমনস্ক হয়ে বসে আছে I তৃণা একরকম দৌড়ে ওর কাছে গেল I পিয়াস ও গেল ওর পেছন পেছন I তুমি এসে গেছ, এই বলে তৃণা এগিয়ে গিয়ে সুজনের হাত ধরল I সুজন একটু অবাক হল, কিন্তু কিছু বললো না I তৃনা বললো
– পিয়াস ভাই, ও সুজন আমার বন্ধু; আর সুজন উনি পিয়াস ভাই; আমাদের গ্রুপের সিনিয়র I
সুজন এগিয়ে গিয়ে হাত মিলালো I তারপর বললো
-চলো যাই I
তৃণা বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলো I বাইরে এসে সুজনের হাতটা ছেড়ে দিয়ে ও বলল
– সরি সুজন I
– ইটস ওকে I উনি কি তোমাকে বিরক্ত করছিলেন
– না সেরকম কিছু না I কদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, একটু বেশি গায়ে পড়া ভাব দেখাচ্ছে I তুমি কিছু মনে করো না I
– না কিছু মনে করিনি I বন্ধুদের জন্য এটুকু তো করাই যায় I কিন্তু তুমি একা কেন ? হিয়া কোথায় ?
-ও তোমাকে ফোন করে নি ?
সুজন খুব মন খারাপ করা গলায় বলল
-নাতো I
-দাঁড়াও আমি ফোন করে দেখছি I
দুবার ফোন করার পর হিয়া ফোনটা ধরল
– তুই সুজনকে ফোন করিস নি ?
– একদম ভুলে গেছি I আসলে বাবা সুটকেস খুলেছে; কি সব এনেছে দেখাচ্ছে I এই ঝামেলায় আর মনে ছিল না I
– তোর ওকে জানানো উচিত ছিল I বেচারা মন খারাপ করে এখানে বসে আছে I
– তুই তো আছিস ওখানেই বলে দে না I আর শোন , কি সব মেসেজ পাঠাচ্ছে; আমার এখন দেখতে ইচ্ছা করছে না I তুই একটা কিছু রিপ্লাই দিয়ে দে I
তৃণা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হিয়ার মেসেঞ্জার ওপেন করল I সুজন লিখে পাঠিয়েছে
সকল দুয়ার খোলা আছে
নিমন্ত্রণ-লিপি গাছে গাছে
গাঢ় চুম্বনের মত আকাশ নদীর খুব কাছে
রোদে ঝলোমলো।
কখন আসছ তুমি বলো?
বেলা যায়, দেরী হয়ে যায়
বাসি ফুল বাগানে শুকায়
অন্যান্য সমস্ত লোক আড়ম্বরপূর্ণ হেঁটে যায়
দূরের উৎসবে।
তোমার কি আরো দেরী হবে?
কবিতাটা পড়ে তৃণার মনটাই ভালো হয়ে গেল I কি সুন্দর করে লিখেছে I এর একটা জবাব পাঠিয়ে দিয়ে ফিরে এসে বলল
– ও একটা ঝামেলায় আটকে গেছে I আজকে আর আসতে পারবে না I
– ও I চা খাবে ?
– খাওয়া যায় I
চায়ের কথা বলে ওরা দুজন কালভার্টের উপর বসল I সুজনের মোবাইলে একটা মেসেজ এসেছে I তৃণা তাকিয়ে আছে I মেসেজ পড়তে পড়তে সুজনের মুখটা কেমন আনন্দে ঝলমল করে উঠল I তৃণা আশ্চর্য হয়ে গেল I
সুজন মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওর মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে I হিয়া লিখেছে
একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল,
কতো হুলুস্থুল অনটন আজন্ম ভেতরে আমার।
তুমি ডাক দিলে
নষ্ট কষ্ট সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছে
শব্দের অধিক দ্রুত গতিতে পৌছুবো
পরিণত প্রণয়ের উৎসমূল ছোঁব
পথে এতোটুকু দেরিও করবো না।
তুমি ডাক দিলে
সীমাহীন খাঁ খাঁ নিয়ে মরুদ্দ্যান হবো,
তুমি রাজি হলে তুমি
যুগল আহলাদে এক মনোরম আশ্রম বানাবো।
একবার আমন্ত্রণ পেলে
সব কিছু ফেলে
তোমার উদ্দেশে দেবো উজাড় উড়াল,
অভয়ারণ্য হবে কথা দিলে
লোকালয়ে থাকবো না আর
আমরণ পাখি হয়ে যাবো, -খাবো মৌনতা তোমার I
চলবে………
তোমাকে বলার ছিল ………
ষষ্ঠ পর্ব
লেখনীতে
#অনিমা_হাসান
এই পর্বে দুইটা কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে তুমি ডাক দিলে হেলাল হাফিজের লেখা আর কখন আসবে তুমি পূর্ণেন্দু পত্রীর লেখাI
গত পর্বে আমার লেখা একটা কবিতা দিয়েছিলাম , অর্ধেকের বেশি পাঠক ভয়ে পালিয়ে গেছে I তাই আর এই দুঃসাহস করলাম না I আমি গল্প লিখছি গল্পই লিখি; কবিতা কবিদের জন্যই তোলা থাক I