তোর_নেশালো_শহরে Part: 13 (Last)
#Eshika_Khanom
কেটে গেল আরও চার চারটে দিন। ঘড়ির কাটা যে কত জলদি টিকটিক করে নিজের পথ পেরিয়ে যায়, তা কেউ প্রথমে খেয়াল করেনা। আর যখন খেয়াল করে তখন হাতে সময় থাকেনা। এই চারটি দিনে রাহিও সুস্থ হয়ে ফরে এসেছে বাড়িতে। এরিক আর রাহির সম্পর্কের কোনো উন্নতি হয়নি। কিন্তু রাহি এরিকের প্রতি আবারো দূর্বল হয়ে পড়ছে। দূর্বল তো রাহি প্রথম থেকেই ছিল এরিকের প্রতি। কিন্তু একটা ঘটনা সব ওলটপালট করে দিল। এরিক যেদিন রাহিকে প্রপোজ করেছিল সেদিন রাহিও এরিককে প্রপোজ করতেই যাচ্ছিল। সে চেয়েছিল সেদিন এরিককে নিজে থেকে মনের সব কথা বলে দিতে। আর চেপে রাখতে চায় নি সে। কিন্তু এরিককে খুজতে খুজতে যখন রাহি দেখল হিয়া এরিককে জড়িয়ে ধরে রয়েছে আর এরিক নির্জন একটা জায়গায় হিয়ার সাথে ওভাবেই রয়েছে, ঐটা দেখে সহ্য করতে পারেনি রাহি। দৌড়ে চলে আসে সেখানে থেকে। এরিককে নিয়ে সাজানো তার সব স্বপ্ন যেন মূহুর্তেই মিথ্যে হয়ে যায়। তার কিছুক্ষন পরই এরিক রাহিকে প্রপোজ করে। কিন্তু রাহি রিজেক্ট করে দেয়। এরিকের সাথে অন্য একটা মেয়েকে সে সহ্য করতে পারেনি। কিছুটা অভিমান, কিছুটা ঘৃণা রাহির মনে ঝেকে বসে। এরিককে মেনে নিতে পারেনা সে, ফিরিয়ে দেয় সেই মূহুর্তেই। আজ সেই স্মৃতিচারণেই ব্যস্ত রাহি। যদি এরিক তাকে না ঠকাতো তবে বর্তমানের মূহুর্তগুলো কতই না সুন্দর হতো। আফসোস, চাইলেই তো সবকিছু পাওয়া যায়না। হয়তো রাহির নিজের প্রথম ভালোবাসা তার ভাগ্যে নেই। কিন্তু এরিক যদি হিয়াকে ভালোবাসে, হিয়াকে পছন্দ করে তবে সারাদিন তার সাথে থাকে কেন? এটা কি সত্য যে এরিক সত্যিই তাকে ভালোবাসে? নাকি নতুন করে তাক ফাঁদে ফালানোর চেষ্টা করছে? নাহ আর ভাবতে পারছেনা রাহি। এসব ভাবলেই মাথা ব্যথা করে তার। দুই চোখ বন্ধ করে মাথাটা হেলান দিয়ে বসে রইল সে। খানিক সময় বাদে তার মনে হল রুমের দরজায় কেউ নক করছে। আরেকটু ভালো করে শুনলো শব্দটা রাহি। হ্যাঁ সত্যিই দরজায় কেউ নক করছে। রাহি দরজার ওপারে থাকা ব্যক্তিকে ভিতরে আসার অনুমতি দিল। সাথে সাথে একটা প্লেট নিয়ে রাহির রুমে প্রবেশ করল এরিক। গায়ে একটা অ্যাপ্রোন জড়ানো তার। এরিক রাহিকে দেখে তব্দা খেয়ে গেল। এরিককে এই লুকে এর আগে কখনো দেখেনি সে। হা করে সে এরিককে দেখতে দেখতে কখন যে এরিক তার কাছে চলে এসেছে সে বুঝতে পারেনি। তার হা হয়ে থাকার মধ্যেই এরিক রাহির মুখে এক চামচ ফ্রাইড রাইস ঢুকিয়ে দিল। তারপর বলল,
এতোক্ষন হা করে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। এবার মুখের খাবারটা খেয়ে নাও।
মুখে খাবার আছে টের পেয়ে রাহি মুখের খাবারটা শেষ করল। সাথে সাথে এরিক জিজ্ঞেস করল রাহিকে,
কেমন হয়েছে ফ্রাইড রাইস?
-তুমি বানিয়েছ?
-হুম হুম।
-খারাপ না।
-তাহলে আবার হা কর, আমি তোমায় খাইয়ে দিব।
-তার প্রয়োজন নাই। আমি খাচ্ছি তুমি যাও। আর ধন্যবাদ এতো মজার ফ্রাইড রাইস আমায় খাওয়ানোর জন্যে।
রাহি এরিকের থেকে খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে নিল। এরিকের তো আর কোনো অজুহাত নাই এখন রাহির কাছে থাকার জন্যে। অগ্যতা তাকে রাহির রুম থেকে চলে যেতে হল।
__________________________
আজ সোজাসাপ্টা কথা হবে তোমার সাথে, মিহিকে বাগানের মধ্যে চেপে ধরে বলল এরোন। মিহি ব্যথা পেল এরোনের চেপে ধরাতে। সে অস্ফুট স্বরে বলল,
এরোন আমার হাত ছাড়।
-আগে বল আমায় ভালোবাসো?
-কি?
-হুম বলো আমায় ভালোবাসো?
-আমি কেন তোমাকে ভালোবাসব?
-কেন মিহি আমাকে কি ভালোবাসা যায়না?
-সেটা তো বলিনি।
-তাহলে আমায় ভালোবাসতে সমস্যা কি তোমার?
-আমার কি আছে যে আমায় ভালোবাসেন আপনি?
-এতো সুন্দর মন আর গুণাবলি থাকলে ভালোবাসার আর কোনো কারণ লাগে? আর ভালোবাসতে কারণ এর প্রয়োজন হয় না। কারণে অকারণেই ভালোবাসাটা হয়ে যায়।
-আচ্ছা ভালো। ছাড়ুন আমায়।
এরোন মিহির হাত ছেড়ে দিল। একটু পিছে সরে গিয়ে তারপর বিরক্তি নিয়ে বলল,
ধ্যাত ভেবেছিলাম আমি তোমায় ভালোবাসি বলব তারপর তুমিও বলবে আমায় ভালোবাসো, এরপর আমরা বাগানে একটু রোম্যান্স করব। দিলে সব আশায় পানি ফেলে?
মিহি নিজের হাসি সামলাতে পারেনি এরোনের কথা শুনে। মিহি একটু জোড়েই হেসে দিল। এরোন আবার মিহির সামনে এসে ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,
বলোনা আমায় ভালোবাস?
মিহি এরোনের চোখের দিকে তাকালো। দৃষ্টি স্থির তার। মিহি নিজের মনকেই প্রশ্ন করল সত্যিই কি সে এরোনকে ভালোবাসে? সাথে সাথেই তার মন বলে উঠল হ্যাঁ তুই এরোনকে ভালোবাসিস। শুধু তোর প্রকাশ করাটাই দায়। এর মধ্যে আরেকবার এরোন মিহিকে প্রশ্ন করল,
ভালোবাসো?
মিহি কিছু না ভেবে এবার ধীর পায়ে এরোনের সামনে আরেকটু কাছে এগিয়ে বললাম,
হুম খুব ভালোবাসি।
এটা বলেই মিহি দিল এক দৌড়। মিহিকে আর পায় কে! আর এরোন মিহির উচ্চারণ করা তিনটে শব্দই মনে আওড়াতে ব্যস্ত। কারণ সে নতুন করে যাকে ভালোবাসতে পেরেছে, যার থেকে ভালোবাসার নতুন মানে জানতে পেরেছে, সে তাকে ভালোবাসে।
____________________________
ড্রইংরুমে বসে আছে বাড়ির প্রত্যেক সদস্য। এরোন আর এরিকের মা আফিয়ার মুখ গম্ভীর। তার ভাব উপস্থিত কারো বোধগম্য হচ্ছেনা। এরিক, এরোন বসে আছে এক সোফাতে। মিহি, রাহি আর হিয়া বসে আছে আরেক সোফাতে। আফিয়া আর হেনা বসে আছেন সামনাসামনিভাবে। আফিয়া বলা শুরু করলেন,
আমার আজকে তোমাদের সবাইকে একসাথে ডাকার কারণ টা কি সেটা কি কারো মনে প্রশ্ন হিসেবে জাগেনি?
এরোন আর এরিক মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। আফিয়া আবার বললেন, মিহি আর রাহি তোমরা আমার কাছে এসো।
মিহি আর রাহি উঠে গিয়ে আফিয়ার দুই পাশে দাঁড়ায়। আফিয়া বেগম বলে,
এরোন আর এরিক মিহি আর রাহিকে পছন্দ করে। এবং আমি যা জানি রাহি আর মিহিও এরিক আর এরোনকে পছন্দ করে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সামনে শুক্রবার মানে আর ২দিন পরে রাহির সাথে এরিক আর এরোনের সাথে মিহির বিয়ে দিয়ে দিব ঘরোয়া ভাবে।
আফিয়ার কথা শুনে এরোন আর এরিকের মনে যেন আনন্দের ঝড় বয়ে গেল। মিহিও খুশি হলো এই সিদ্ধান্তে। কারণ সে জানে রাহি যতোই কঠোরতা দেখাক না কেন মনে মনে সে এরিককেই ভালোবাসে। রাহি যথেষ্ট চমকে যায় তার খালামনির মুখে এই কথা শুনে। একদমই আশা করেনি সে এমন একটা দিনও দেখবে। আর আফিয়ার এই সিদ্ধান্তে নিরাশ হয় হিয়া আর তার মা হেনা। হিয়া এমনিতেও পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে। এরিককে না পাওয়ার ভয় তাকে আকড়ে ধরেছে। অন্যদিকে রাহি যে না করবে তারও সুযোগ পাচ্ছেনা সে। কারণ খালামনির খুশিটা নষ্ট করতে তার বিবেক বাঁধছে। কিন্তু সে এরিককে বিয়েও করতে চায় না। আজ তার অবস্থা যেন জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। অপরদিকে হেনা নিজের রাগ সংবরণ করার চেষ্টা করলেও হিয়া তা পারেনি। হিয়া উঠে গিয়ে চেচিয়ে বলে,
মামি তুমি এটা করতে পারো না। আমি তোমাকে আগেও বলেছি, এখনো বলছি। এরিক আমার ভালোবাসা। তুমি বলেছিলে এরিক আর আমার বিয়ে দিবে। তাহলে আজ কেন রাহির সাথে বিয়ে দিতে চাইছ? ওহ নিজের বোনের মেয়ে বলে। রক্ত টেনেছে তোমার খুব তাইনা? রক্তের সম্পর্কের টানে তুমি আজ তোমার ওয়াদার খেলাপ করছ মামি?
এরোন এরিক দুইজনেই খুব রেগে গেল হিয়ার কথায়। এরিক হিয়ার এক হাত চেপে ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে এক আঙ্গুল উঁচিয়ে বলে,
খবরদার হিয়া তুমি যদি আমার মায়ের সাথে এইভাবে কথা বলেছ? তোমাকে আমি কি করব তাহলে আমি নিজেও ঠাওর করতে পারছিনা।
হিয়া হাত ঝাকি দিয়ে এরিকের থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিল। এরপর এরিকের টি শার্ট এর কলার টেনে ধরে বলল,
আমি তো খুব ভালোই ছিলাম এরিক। কেন ওই মেয়েটার সাথে জড়ালে তুমি? তোমাকে তো ভালোবাসি আমি এটা সবাই জানে। আমার মধ্যে কি কমতি আছে বলো? কি পেয়েছ তুমি ওই রাহির মধ্যে? কি পেয়েছ তুমি ওই দুই টাকার মেয়ের মধ্যে যে আজ তুমি ওকে বিয়ে করতে চাইছ?
এরিক নিজের রাগ আর কন্ট্রোল করতে পারেনি।রাহিকে নিয়ে বাজে কথা সে একদমই সহ্য করতে পারেনি। এরিক ঠাসিয়ে একটা চড় বসিয়ে দেয় হিয়ার গালে। হিয়া এতে আরও ক্ষেপে উঠে। সে চিৎকার করে বলতে লাগলো,
কি করিনি তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমি এরিক। তুমি আজ ওর জন্যে আমায় মারলে হ্যাঁ? এরিক শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমি এতোটা খারাপ হয়েছি। তোমাকে পাওয়ার জন্যে একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়েকে আমি অশ্লীল চিঠি পাঠিয়েছি। যাতে রাহি নিজে থেকে তোমার জীবন থেকে দূরে সরে যায়। তবুও কেন এমন করছ তুমি আমার সাথে?
হিয়া কাদতে কাদতে বলল এসব। তার গলা থেকে কথা বের হতেও খুব কষ্ট হচ্ছে। এরিক এতোক্ষন রেগে থাকলেও এখন পুরো নিস্তব্ধ হয়ে গেল হিয়ার কথা শুনে। এরোন আর মিহি যেন সপ্ত আসমান থেকে মাটিতে আছাড় খেয়েছে এমন অবস্থা। আর রাহি তার কথা নাহয় নাই বলি। রাহির চোখ থেকে অঝোর ধারায় অস্রু গড়িয়ে পড়ছে এসব শুনে।
মিহি হিয়াকে বলল, মানে এসব তুমি করেছিলে? শুরু থেকে রাহি যে এরিককে ভুল বুঝে আসছে তার পিছনে সব কারসাজি তোমার?
হিয়া কাদতে কাদতে বলল, জানো আমি এতো খারাপ হতাম না। শুধু এরিক আমায় ভালোবাসে না দেখে আমি এমন। সব এই রাহির জন্যে, রাহিকে তো আমি!
এটা বলে হিয়া উঠে গিয়ে দৌড়ে রাহির গলা চেপে ধরে। মূহুর্তে কি হলো সেটা দেখে সবাই যেন শকের মধ্যে আছে। এরিক দৌড়ে গিয়ে হিয়ার থেকে রাহিকে ছাড়ায়। রাহির গলা হিয়া এতো জোরে চেপে ধরেছিল যে তার দম প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিল এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে তার। এরিক হিয়াকে টেনে হেনার উপর ফেলে দেয়। তারপর বলে,
আমি ভাবতে পারিনি হিয়া তুমি এভাবে নিচে নামবে। একতরফা ভালোবেসেছ তুমি আমায়। আর আমি তোমাকে আগেও বলেছি আমার থেকে দূরে সরে যেতে। আজ যদি তুমি এত পাগলামো না করতে আমরা এমন দিন দেখতাম না। তোমার সাথে আমার সম্পর্ক এর এতোটা অবনতি হতো না। যা হয়েছে তার জন্যে একমাত্র তুমিই দায়ী। কি আর করার! এখন ভুগবেও তুমি। ফুপ্পি তুমি এখনই ওকে নিয়ে এখানে থেকে চলে যাও। আমি আর ওকে সহ্য করতে পারছিনা।
মেয়ের জন্যে আজ এতোটা অপমানিত হতে হয়েছে হেনাকে। হেনা খুব রেগেমেগে হিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাহি এরিকের দিকে এগিয়ে আসে আর কাদতে কাদতে হাত জোড় করে ক্ষমা চায়। রাহি কাদতে কাদতে এরিককে বলে,
আমায় মাফ করে দিও এরিক। আমি তোমাকে ভুল বুঝেছি।
এরিক বলল, যাহ পাগলী তোমার দোষ ছিল নাকি! তুমি নিজের চোখকেই আর কানকেই বিশ্বাস করেছ যা অন্যরা করে। তাই শুধু একটু ভুল করেছ তুমি। তবে এটার জন্যে তুমি ক্ষমা পাবেনা আমার থেকে।
রাহির কান্নার বেগ আরও বেড়ে গেল। সে কাদতে কাদতে বলল,
কি? আমায় আপনি মাফ করবেন না?
এরিক রাহির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
করব এক শর্তে। #তোর_নেশালো_শহরে ঠাই দিতে হবে আমায়।
রাহি এরিকের এমন কথায় অবাক হয়ে গেল। সাথে অনেক খুশিও হল। এরিক আবার বলল,
বলো দিবে না আমায়?
রাহি খুশিমনে মাথা নাড়িয়ে জানালো, হুম হুম।
এরিক খুশি হয়ে রাহিকে জড়িয়ে ধরতে গেল। কিন্তু তখন এরোন হালকা কাশি দিয়ে বলল,
আমরা সবাই তোমাদের চেয়ে কিন্তু বড়। শুধু মিহি বাদে। অর্থাৎ আমরা বড়রা এখানে উপস্থিত আছি। বুঝতে পারছ?
এরিকের তখন খেয়াল হল সে কি করতে যাচ্ছিল সবার সামনে। রাহি লজ্জা পেয়ে সেখানে থেকে চলে গেল। এরিক ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। মিহি বলল,
এরিক আমার বোন তোমারই ওয়েট করছে চলে গিয়ে। তাই তুমি যেতে পারো তার কাছে।
এরিক নিজের মাথাটা হালকা চুলকে সেখানে থেকে চলে গেল। আফিয়া মুচকি হেসে সে স্থান থেকে প্রস্থান করল। রয়ে গেল এরোন আর মিহি। এরোন মিহিকে একটু নিজের কাছে টেনে বলল,
রাহি তো এরিককে তার নেশালো শহরে ঠাই দিয়ে দিল। তুমি দিবেনা আমায়?
মিহি মুচকি হেসে এরোনের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
চেয়েছেন ঠাই?
এরোন বলল,
চাইবো এখন থেকে। দিবে কি আমায় #তোর_নেশালো_শহরে বসবাস করার অনুমতি?
মিহি বলল, আপনার সারাজীবনের ঠিকানা এটাই। অন্যদিকে গেলে খবর আছে।
এরোন হেসে বলল, যাব না রে পাগলী।
এটা বলে এরোন মিহিকে নিজের বুকে শক্ত করে চেপ ধরল। মিহিও এরোনের বুকে মাথা ঠেকালো।
_________________________
বর সেজে বসে আছে এরিক আর এরোন। অপেক্ষা কখন তাদের বউ আসবে। কিছুক্ষনের মধ্যেই তাদের প্রিয়তমারা উপস্থিত হলো। আজ বউ সাজে দুজনকে কোনো পরীর চেয়ে কম লাগছে না। দুই বর তাদের জমজ বউকে ঠিকই চিনে নিয়ে স্টেজে বসল। আসলে নিজের ভালোবাসাকে চিনতে কারোর সময় লাগেনা। যথারীতি বিয়ে সম্পন্ন হলো দুই জুটির। প্রত্যেকেই তাদের ভালোবাসার মানুষের নেশালো শবরে চিরঠাই পেয়ে গেল।
______________সমাপ্ত_________________
( শেষ হয়ে গেল #তোর_নেশালো_শহরে। অনেক ভালোবাসা পেয়েছি আপনাদের থেকে। আজ প্লিজ গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। আর সামনে আমার এস.এস.সি পরীক্ষা। প্লিজ দোয়া করবন আমার জন্যে। আল্লাহ হাফিজ)