#দর্পহরন
#পর্ব-২৯
রণর হাতে একটা লিষ্ট। কয়েকদিন আগে দিলশাদ পাঠিয়েছে লিষ্টটা। ওর এলাকায় কারা কারা সরাসরি সালিম সাহেবের বিপক্ষে, কারা নিউট্রাল আর কারা পক্ষে পুরো তথ্য আছে এখানে। পক্ষে বিপক্ষে ছাড়া এলাকার কিছু ব্যবসায়ী আছে যারা কোনদিকেই থাকে না। যার যখন পাওয়ার তখন তার হয়ে কাজ করে। রণ অনেকক্ষণ লিষ্ট হাতে নিয়ে বসে থাকলো। এদের মধ্যে কেবল সবুর আর ইমাদের সাথে কথা বলতে পেরেছে রণ। ওরা দলের জন্য কাজ করলেও সালিম সাহেবের কারণে কখনো পাত্তা পায়নি। আপাতত আসন্ন দলীর নির্বাচনে রণকে সাপোর্ট দেবে কথা দিয়েছে। সেই সাথে বাকী সকল সুবিধা বঞ্চিতদের সাথে কথা বলবে আস্বাস দিয়েছে রণকে। রণও তার কাজ শুরু করেছে ভেতরে ভেতরে। কয়েকটা সরকারি কাজের টেন্ডার হয়েছে যেগুলোর কাজ ইমাদ সবুর আর দুই তিনজনের মাঝে ভাগ করে দিয়ে দিয়েছে। সালিম সাহেব পর্যন্ত খবর যেতে দেয়নি। আশা করছে এই কাজের পর অনেককেই তার পাশে পাবে। রণ মুচকি হেঁসে হাতের কলম দিয়ে কয়েকটা নাম কেটে দিলো লিষ্ট থেকে। কাগজটা ভাজ করে নিজের পার্সোনাল ড্রয়ারে রেখে দিলো। আজ পাশের দেশে যাবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনদিনের রাস্ট্রিয় সফরে। এসে বাকী কাজ নিয়ে বসবে। তারপর হুট করে একদিন এলাকায় দলীয় প্রধান নির্বাচনের ভোট করবে। আপাতত এমনটাই ভেবে রেখেছে রণ। কতটা সফল হবে সেটা ভবিষ্যত বলে দেবে। মিহির ফোন দিয়েছে-“ভাই, এই দিকে খুব হাঙামা হচ্ছে।”
“কি নিয়ে?”
“সবুর ভাই আর ইমাদের উপর চরাও হইছে সালিম সাহেবের লোক। মোর্শেদ আর সোহেল আবার মাঠ গরম করতেছে।”
“করুক। মিহির সবাইকে শান্ত থাকতে বল। আপাতত কেউ কিছু করবি না। আমি তিনদিন থাকবো না তোরা কেউ ঝামেলা করবি না। খুব বেশি সমস্যা হলে দিলশাদকে জানাবি।”
“ভাই, এইরকম চললে কিভাবে শান্ত থাকবে সবাই? দুই দফা মারামারি হউছে। কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে দিতেছে না। সোহেল কব্জা করে রাখছে।”
“রাখুক। সবাইকে বল আমি না আসা পর্যন্ত কেউ কার্যালয়ে না যাক। আমি এসে দেখবো।”
“আচ্ছা ভাই।”
মিহির যেন অনিচ্ছায় ফোন কাটলো। রণ কি ভেবে দিলশাদকে ফোন দিলো-“দিলশাদ, খবর শুনেছিস?”
“শুনেছি ভাই। আপনি ভাববেন না আমি খেয়াল রাখবো।”
“শুধু খেয়াল রাখিস বড় কোন ঘটনা না ঘটে।”
“আচ্ছা।”
তবুও মনটা শান্ত হলো না রণর। মনটা খচখচ করছে। কিন্তু এতো কিছু ভাবার সময় নেই এখন। ঘড়ি দেখলো এখনই বেরুতে হবে। আর দুই ঘন্টা পরে তার ফ্লাইট।
*****
“আরে ভাবি, বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেন? ভেতরে এসো।”
হাসি দরজায় তাকিয়ে শুভ্রাকে দেখলো। শুভ্রা দ্বিধা নিয়ে জানতে চাইলো-“তোমরা কি পড়ালেখা করছো? তাহলে আসবো না।”
খুশি উঠে শুভ্রাকে ধরে রুমের ভেতর আনলো-“পড়ালেখা করছি না। ভাইয়ার ছবি দেখছিলাম। তুমিও দেখো না। ভাইয়া অনেক ভালো ভালো কাজ করছে তারই নিউজ।”
শুভ্রার দিকে মোবাইল বাড়িয়ে দিলো। রণর হাস্যোজ্জল ছবি আছে সেখানে। প্রায় প্রতি ছবিতে সেদিনের মেয়েটাকে ওর সাথে দেখা যাচ্ছে।
“এই মেয়েটাকে চেন তোমরা?”
হাসি দেখলো-“ভাইয়া বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর বোনের মেয়ে। কানাডা থেকে পড়ালেখা করে এসেছে। একটা প্রজেক্টের লিড হিসেবে কাজ করবে। মেয়েটার নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ভারী আনকমন নাম, চন্দ্রানী। সুন্দর না নামটা?”
শুভ্রা কিছু না বলে মেয়েটাকে মন দিয়ে দেখলো। সে কি মেয়েটার থেকে কম সুন্দর? সেদিন দেখেছিল মেয়েটাকে। গায়ের রং বরং তার থেকে একটু চাপাই। চেহারা বেশ আকর্ষনীয়। সবসময় শাড়ী পরে ঘুরছে। নিজের দিকে একবার আড়চোখে তাকিয়ে দেখে নিলো। ইদানীং সে সালোয়ার কামিজ পরতে শুরু করেছে। জলির কড়া আদেশ ঘরের বউ গেঞ্জি পড়ে ঘোরা মানা। বাসায় সবসময় মেহমান আসে যায়। এরকম থাকলে লোকে বদনাম দেবে। শুভ্রা উচ্চ বাচ্য না করে মেনে নিয়েছে।
“এই ভাবী, তুমিও কিন্তু বাসায় বসে না থেকে কোন কাজে জয়েন করতে পারো?”
শুভ্রা না বুঝে খুশির দিকে তাকায়-“না মানে তোমার আমেরিকার ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি আছে চাইলেই ভালো কোন জবে জয়েন করতে পারো।”
শুভ্রা খানিকক্ষন চুপ করে রইলো। আসলেই তো? অনেক কিছুই হতে পারতো কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো গত কয়েক মাসে তার জীবন উল্টে পাল্টে গেছে। কোন কিছু ভাবার অবকাষই পায়নি। ভাবছেই না কিছু। অথচ ক্যারিয়ার নিয়ে কত কিছু ভেবে রেখেছিল। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে হয়তো সে এতোদিনে আমেরিকাতেই কোন চাকরিতে ঢুকে যেত। এখন কেন যেন সব ভাবনা তালাবন্ধ হয়ে গেছে। কিছুই ভাবতে ভালো লাগে না আর। হঠাৎ গায়ে হাত। শুভ্রা তাকিয়ে দেখলো হাসি। শুভ্রা হাসলো-“ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছ তোমরা। এ ব্যাপারে ভেবে দেখবো। আসলেই বাসায় থেকে বোর হচ্ছি। কিছু একটা করলে আমারও সময়টা ভালো কাটবে।”
খুশি মাথা দুলায়-“যাই করো ভাইয়াকে বলে করো। নিজের লোকদের ব্যাপারে ভাইয়া খুব পজেসিভ।”
“পজেসিভ মানে? কাজ করতে দেবে না?”
“না সেটা না। সে আসলে ভয় পায় কেউ আমাদের কোন ক্ষতি না করে। এটাই কারণ।”
“আচ্ছা।”
মুখে আচ্ছা বললেও মনে মনে বললো ‘কিন্তু আমি কি তার আপনজন যে আমার জন্য পজেসিভ হবে?”
*****
“আব্বা, কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। সবকিছু হাত থিকা বাইর হইয়া যাইতেছে। কাজ অন্য মানুষকে দিয়ে দিতেছে শুভ্রার জামাই। সবাই আপনার বিরুদ্ধে চইলা যাইতেছে।”
সালিম সাহেবের চেহারা জুড়ে চিন্তার আভাস। বড় ভাই মোর্শেদ যেন সেই চিন্তায় ঘি ঢাললো-“হহহ সালিম, সোহেল কিন্তু ঠিক কইতেছে। এতোগুলা কাজ গেলো একটারও খবর পাইলাম না। এইদিকে বালু উত্তোলনের কাজ তো বন্ধই বলা যায়। সেইদিন হিরা চুপেচাপে বালু তোলার কাজ করতে গেছিলো কে জানি পুলিশে খবর দিছে। সবার সাহস বাইরা যাইতেছে। কি করবি সালিম? মাইয়া বিয়া দিয়া কি ফাইসা গেলি? জামাই এখন যা মন চায় তাই করবো?”
“আব্বা, সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন, আমাগো মানুষ ভয় পাইতো ভয়ডা কাইটা যাইতেছে। আর ভয় কাটলে কি হইবো জানেন তো? কিছু না করলে সামনে বিপদে পড়ুম।”
সালিম সাহেব সোহেল আর মোর্শেদকে পালাক্রমে দেখলো। গম্ভীর হয়েই জবাব দিলো-“মাইয়া বিয়া দিছি শুক্কুরে শুক্কুরে দেড় দুই মাস। ওখনই জামাই এর লগে বিটলামি করুম? আর জামাই ও আমাগো আপন ভাববো? এট্টু ধৈর্য্য ধরতে পারেন না আপনেরা। কিছু কাম হাত থিকা গেলে যাক না। এতো আফসোস করেন কিয়ের কিগা? অল্প কিছুর বদলে বড় কিছু যদি পান তাইলে কি সমস্যা আছে? এতোদিন তো মেলা খাইছি এখন এট্টু না হয় কয়দিন কম খাইলাম। চিন্তা কইরেন না। সময়মতো জামাই আর কামাই দুইটাই আমাগো হাতে আইবো।”
সোহেল উৎসুক দৃষ্টি মেলে তাকায়-“কেমনে আব্বা?”
“সময় আইলে দেখবি সোহেল। সবুর কর, সবুরে মেওয়া ফলে। জামাই বাবাজিরে ওর অস্ত্র দিয়াই ঘায়েল করুম। কিন্তু তার আগে তোরে একটাই অনুরোধ উল্টা পুল্টা কিছু করবি না। পুলিশ জানি তোর নাগাল না পায়। তোরা চুপচাপ থাক বাকী সব সামলাই নিমু আমি।”
*****
দুপুরে দেশে ফিরে সোজা অফিসে গেছিল রণ। সামনেই একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থার সম্মেলন হবে দেশে সেই নিয়ে তুমুল তোরজোর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাস্ট্রপ্রধানরা আসবে। সেই নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা পর্যালোচনা চলছে। কয়েকটা মিটিং এটেন্ড করে আর পারলোনা রণ। ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় ফিরলো সন্ধ্যার পরপরই। কিন্তু ড্রয়িংরুমে ঢুকেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো তন্ময়কে দেখে। তার দুই বোন তন্ময়ের সাথে গল্প করছে। ওকে দেখেই হাসিখুশির চেহারা ম্লান হয়ে গেলো। তন্ময়ও উঠে দাঁড়িয়েছে। শুভ্রা বিস্মিত, এইসময় রণ আসবে ভাবেনি। রণর বাসায় ফেরার সময় প্রায় দিনই গভীর রাত। আর আজ তো দেশের বাইরে থেকে ফেরার কথা। রণ মনে মনে ভীষন রেগে গেলো। সৌজন্যতার বশে দুটো কথা বলেই সে ঘরে ঢুকে গেলো। মেজাজ তার আকাশচুম্বী। নিজেকে শান্ত করতেই লম্বা সময় বাথটাবের উষ্ণ জ্বলে বসে রইলো চোখ বুঁজে।
ঘুমিয়ে গেছিল রণ, দরজায় করাঘাত শুনে তার ঘুম ভাঙলো-“কে?”
ঘুম জড়ানো কন্ঠে জানতে চাইলো রণ।
“আমি। আপনার কি শরীর খারাপ করছে? বের হচ্ছেন না কেন? আন্টি খুব চিন্তা করছে।”
রণ জবাব দিলো না। পাঁচ মিনিট পরে টাওয়েল পড়ে বেরিয়ে এলো। রণ শুভ্রাকে দেখেও দেখলো না। শুভ্রা বেশ অপ্রস্তুত। রণ কখনো এরকম অবস্থায় তার সামনে আসেনি। আসলে আসার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আজ কি হলো? রণ চুপচাপ আলমারির সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে গেঞ্জি বের করে গায়ে জড়িয়ে নিলো। ট্রাউজার পরার সময় লজ্জা পেলো শুভ্রা। সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো।
রণ সরাসরি বোনদের রুমে। দীর্ঘ সময় পানিতে থাকার কারণে ওর চোখ দুটো অসম্ভব লাল। হাসিখুশি ভীষণ ভয় পেলো। তারা বেশ বুঝতে পারছে ভাই আজ রেগে গেছে খুব।
“এই ছেলে আগে এসেছে বাসায়?”
দুইবোনের একজন হ্যা আরেকজন না সূচক মাথা নাড়ে। রণ গম্ভীর হলো-“সত্যি বল।”
হাসি ভয় পেলো-“আগে একদিন এসেছিল।”
“আমাকে বলিসনি কেন?”
খুশি জবাব দিলো-“ভাবির ভাই ভাবির কাছে আসে আমরা কি বলবো?”
“তো তোরা গল্প করতে গেছিলি কেন?”
রণ দু’হাত আড়াআড়ি ভাজ করে দাঁড়ায়। হাসিখুশি ঢোক গিললো-“ভাবি ডাকলে কি মানা করবো?”
“আর যাবিনা। ভাবির বাড়ি থেকে কেউ আসলে আর সামনে যাবি না। মনে থাকবে?”
দুই বোন স্ব জোরে মাথা দুলায়। রণ দাঁড়ায় না। জলি খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছিল। মায়ের সাথে কুশল বিনিময় শেষে চুপচাপ খেয়ে নিলো।
রণ খেতে বসতেই ঘরে ফিরেছিল শুভ্রা। তন্ময়কে দেখে লোকটা এতো গম্ভীর হয়ে গেলো কেন তা বোধগম্য হলো না শুভ্রার।
“আপনার ভাইরা কেউ এ বাড়িতে আসুক আমি চাই না।”
চমকে উঠলো শুভ্রা। রণ কখন সোফায় এসে বসেছ। শুভ্রা না বুঝে আবার জানতে চাইলে রণ কথার পুনরাবৃত্তি করলো। শুভ্রা বিস্ময় নিয়ে জানতে চাইলো-“কেন? ভাই বোনকে দেখতে আসবে না? এটা কেমন কথা?”
“না আসবে না। আমি চাই না আপনার চরিত্রহীন ভাইদের ছায়া আমাদের বাড়িতে পড়ুক।”
রণ গম্ভীর। ওর সুদর্শন চেহারা জুড়ে রাগের লালিমা।
শুভ্রা রেগে আগুন। সে রণর সামনে এসে দাঁড়ায়-“হাউ ডেয়ার ইউ? আমার সাহস হয় কি করে আমার ভাইদের চরিত্রহীন বলতে?”
রণর ভাব পরিবর্তন হলো না-“চরিত্রহীনকে চরিত্রহীন বলবো নাতো কি বলবো?”
“কিসের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ তুলছেন আপনি? কি করেছে তন্ময়?”
“এতো ব্যাখ্যা দিতে পারবোনা। আমি বলেছি এ বাড়িতে ওরা কেউ আসবে ব্যস কথা শেষ।”
শুভ্রার গায়ে লাগলো কথাটা-“কেন আসবে না। ওরা আমার ভাই হয়। আমাকে দেখতে আসবে না? এ বাড়িতে আমার কি অধিকার তবে? আমি কি আপনার নামমাত্র বউ?”
রণ ভ্রু কুঁচকে জানতে চাইলো-“অধিকার! অধিকার অর্জন করে নিতে হয় স্বামীর বাড়ির সকলকে আপন করে নিয়ে, নিজের আন্তরিকতা দিয়ে। আপনি বলুনতো কি করেছেন আজ পর্যন্ত। না আমার মায়ের জন্য কিছু করেছেন না আমার বোনেদের জন্য আর না আমার জন্য। বলুন কিছু করেছেন?”
শুভ্রা স্তম্ভিত। রণ এভাবে তাকে বলবে সে ভাবেনি কখনো। রণ ঠান্ডা গলায় বললো-“আপনি পণ করে এসেছেন আমাকে ধ্বংস করবেন। বেশ ভালো কথা। কিন্তু আমি আগেই আপনাকে বলেছিলাম, আমার পরিবার থেকে দূরে থাকবেন। যা কিছু করতে চান আমার সাথে করবেন। আমাকে কষ্ট দেবেন দিন বাট নট মাই সিস্টার্স নট মাই মাদার। ওদের ক্ষতি করার কথা ভাবলেও সেটার পরিনাম ভালো হবে না।”
হুট করে এতোগুলা কড়া কথা শুনে কেন যেন কান্না পেয়ে গেলো শুভ্রার। সে ঝরঝর করে কেঁদে দিলো-“আমি কি করেছি? ক’দিন পরে বাড়ি ফিরে এরকম করছেন কেন আমার সাথে? দোষটা কি আমার?”
রণ শুভ্রার দিকে তাকিয়ে থেকে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ায়-“ক’দিন পরে বাড়ি ফিরেছি আপনি কি খুশি? কই দেখলাম নাতো? বেশ তো ভাইয়ের সাথে গল্প করছিলেন। বাদ দিন এসব নাকি কান্না। আমি ভীষণ টায়ার্ড, ঘুমাতে হবে আমাকে।”
রণ বিছানার দিকে এগিয়ে যেতেই পেছন থেকে শুভ্রা তাকে জড়িয়ে ধরলো। পিঠে মুখ ঠেকিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে বললো-“কেন এমন নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছেন আমার সাথে? প্রথমে কিডন্যাপ করলেন, বিনা কারণে দুইমাস আঁটকে রেখে অত্যাচার করলেন। এখন বিয়ের পর সবসময় দুরছাই করছেন। কেন করছেন এমন? কেন কষ্ট দিচ্ছেন আমাকে? কেন? কেন?”
চলবে—
©Farhana_Yesmin