#দূর_হতে_আমি_তারে_সাধিব
#পর্ব_১১
#অনন্যা_অসমি
অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলেও ক্যাম্পাস এখনো ছাত্রছাত্রীতে পরিপূর্ণ৷ বিদায়প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা শেষবারের মতো নিজেদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখছে, কেউ কেউ নিজের প্রিয় বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। এসব দৃশ্য দেখে সাফাইত ইশরারকে বলল,
” পরের বছর এভাবে আমাদেরও বিদায় অনুষ্ঠান হবে।”
” হুম। এখন তো প্রতিদিন তোমার সাথে ভার্সিটির বাহানায় হলেও দেখা হচ্ছে৷ কিন্তু তখন কিভাবে দেখা হবে? তখন তো এভাবে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আমরা ঘুরতে পারব না।”
ইশরা মন খারাপ করেছে বুঝতে পেরে সাফাইত হালকা হেসে তার মাথায় হাত রেখে বলল,
” আরে ধুর এতে মন খারাপ করার কি আছে? আমাদের কম দেখা হবে এটা না ভেবে এটা ভাবো এরপর আমি জবের জন্য চেষ্টা করতে পারব। আর একটা ভালো চাকরি যদি আমি জোগাড় করতে পারি তবে তোমার ফাইনাল ইয়ার শেষ হওয়ার পরেই আমরা বিয়ে করে নিতে পারব। ততোদিনে হয়তো আমার পজিশনেও ভালো পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। তখন তোমার বাবা-মাও আর ফিরিয়ে দিতে পারবে না।”
সাফাইতের কথায় ইশরার খারাপ লাগা ভাব মূহুর্তেই দূর হয়ে গেল৷ ভাবল,
” এক-দুবছর হয়তো একটু কম দেখা হবে কিন্তু যদি সাফাইত একটা ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারে তখন আমাদের সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে। তখন তো সারাজীবন আমরা একসাথে থাকব।”
.
.
বয়ে চলা নদীর জলে দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তোহা। আশেপাশের কিছুতেই যে তার মনোযোগ নেই সেটা তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
” কি হয়েছে তোহারাণী? এভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছিস যে?”
ঘাড় ঘুড়িয়ে সাফাইতের দিকে একপলক তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো সে। শান্ত কন্ঠে বলল,
” কিছু হয়নি সাফু। তুই যা।”
” আমি অন্ধ নয় তোহা৷ আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তোমার কিছু হয়েছে। সেদিন বলেছিলি প্র্যাকটিসের জন্য আমার সাথে কথা বলার সময় পাচ্ছিলি না। কিন্তু অনুষ্টান শেষ হলো আজ এক সপ্তাহ। কিন্তু এখন? এখন তো তোর কোন প্র্যাকটিস বা অন্য কোন কিছু নেই। আচমকা এধরণের অদ্ভুত ব্যবহার করছিস কেন তুই? ঠিকমতো কথা বলছিস না, চারটা কথার জবাবে একটা উওর দিচ্ছিস। ফোন দিলে ধরিস না। কি হয়েছে তোহারাণী আমাকে বল।”
এরপরেও তোহার হেলদোল না দেখে সাফাইত তাকে জোড় করে নিজের দিকে ঘোরালো। তার দিকে তাকাতেই সর্বপ্রথম তার নজরে এলো তোহার চোখে জল জমে আছে। বিচলিত কন্ঠে সাফাইত প্রশ্ন করল, “এই তোহা কি হয়েছে তোর? কান্না করছিস কেন?”
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে তোহা এবার বলল,
” আমি যাকেই পছন্দ করি সেই কেন আমাকে পছন্দ করে না বলতে পারবি সাফু? কেন আমার পছন্দের জিনিস অন্যকারো পছন্দ হয়ে যায়? কেন অন্যরাই সেটা পাই? অন্যরা নিজের পছন্দ ছিনিয়ে নিতে পারলে আমি কেন পারিনা বলতে পারবি তুই? কেন ছিনিয়ে নেওয়ার মনোভাবটা আমার মধ্যে নেই সাফু? কেন আমি এতোটা ভালো? এই ভালোমানুষি দেখাতে গিয়ে যে আমার পছন্দের জিনিস আমার চোখের সামনে অন্যকারো হয়ে যাচ্ছে জেনেও হাত গুটিয়ে বসে থাকি?” কথার মাঝে তার চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল।
সাফাইত বুঝল তোহার মন ভীষণভাবে খারাপ। এবার সে বিচলিত হলোনা। ধীরে সুস্থে বলল,
” কারণ আমার তোহারাণী স্বার্থপর নয়৷ সে অন্তর থেকে একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো মনের অধিকারী। স্বার্থপর হওয়া ভালো নয় কিন্তু কিছুক্ষেত্রে স্বার্থপর না হয়েও উপায় নেই। ছেলেটার কথা খুব মনে পড়ছে তাই না? তাই তুই সেদিন স্টেজে ওই গানটা গেয়েছিলি। কি আমি ঠিক বলছি তো?”
তোহা ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর বৃথা চেষ্টা করছে। সাফাইতের কথায় মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললো সে। নাক টেনে বলল,
” জানিস সেদিন ওকে অনেক সুর্দশন লাগছিল। সাথে ওর ভালোবাসার মানুষটাকেও৷ দু’জনকে অনেক মিষ্টি লাগছিল৷ আমি পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে চেষ্টা করেছি এড়িয়ে চলার কিন্তু পারিনিরে৷ তারা দু’জন আমার চোখের সামনেই হাতে-হাত ধরে ছিল, ভালোবাসাময় কথার আদানপ্রদান করছিলো। আমি শুধু নিষ্প্রাণ চোখে তাদের দেখছিলাম৷ আচ্ছা মেয়েটার জায়গায় আমি কেন হলাম না? কেন আমার ভাগ্যে সে নেই, বলতে পারিস?”
” তুই তো আমাকে ছেলেটার নাম, ঠিকানা কিছুই বলছিস না। এমনকি ছেলেটা দেখতে কেমন তাও বলছিস না। কেন শুধু শুধু নিজেকে এভাবে কষ্টের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছিস তোহা? তুই যদি সাহস করে বলতে না পারিস আমাকে শুধু একবার বল, আমি নিজেকে তোদের এক করার ব্যবস্থা করে দেবো।”
” না সাফাইত ভুলেও সেই ছেলের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করবি না৷ আমাকে ছুঁয়ে কথা দে তুই কখনো সেই ছেলে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবি না। বল তুই আমাকে ছুঁয়ে।”
এবার সাফাইত খানিকটা রেগে গেল। তেজী কন্ঠে বলল, ” তুই নিজেও বলবি না, আমাকেও কিছু করার বা বলার সুযোগ দিচ্ছিস না। তাহলে কি করবি তুই? এভাবেই কি সারাজীবন কষ্ট বয়ে বেড়াবি? শোন ছেলেটাকে নিজের মনের কথা বলে দে৷ তারপর যা হবে দেখা যাবে। কেন নিজেকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছিস তোহা?”
তোহা নীরবে বয়ে চলা নদীর দিকে তাকিয়ে বিষাদের হাসি ঠোঁটের কোণে ঝুলিয়ে বলল,
” বুঝলি সাফু আমার গল্পে আমি নায়িকা। আমার গল্প শুনলে সবাই কষ্ট পাবে, সেই মেয়েকে দোষারোপ করবে। কিন্তু তাদের গল্পে আমি নিছক এক তুচ্ছ চরিত্র। তাদের ভালোবাসার গল্পে আমি কেবল মাত্র একজন তৃতীয় ব্যক্তি। তুই যতই মন উজার করে ভালোবাসিস একপক্ষিক ভালোবাসার পরিসমাপ্তিতে শুধু কষ্ট আর বিষাদের ছোঁয়াই থেকে যায়।”
সাফাইতের তোহার জন্য খারাপ লাগল। সে মন খারাপ করে বলল, ” আমি তোর জন্য কিছু করতে পারছিনা ভেবে আমার খারাপ লাগছে ভীষণ। তোকে কষ্ট পেতে দেখে আমার একটুও ভালো লাগেনা তোহারাণী।”
” কিছু করতে হবে না তোর। শুধু আমার পাশে থেকে আমাকে একটু শক্ত থাকার সাহস দে। তাতেই হবে।”
সাফাইত পরবর্তীতে কিছু বলার মতো শব্দ খুঁজে পেলো না। তোহাও আর বেশি কিছু বললো না। দু’জনেই বয়ে চলা নদীর দিকে মন খারাপ করে তাকিয়ে রইল৷ একজনের মন খারাপ বন্ধুকে কষ্ট পেতে দেখে, অপরদিকে আরেকজন ভালোবাসার মানুষকে মনের কথা বলতে না পেরে গুমরে মরছে।
.
.
কাছের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ইশরার জন্মদিনের অনুষ্টানের আয়োজন করেছে সাফাইত। বন্ধুবান্ধবরা সবাই বেশ হাসিখুশি, তাদের সম্পর্কের কথা তারা সবাই জানে বিধায় তারাও প্রেমিকযুগলের এই ভালোবাসা দেখে বেশ খুশি। বন্ধুদের সাথে কথার মাঝে সাফাইতের ফোন বেজে উঠল। ফোন বের করে দেখল তোহা ফোন দিয়েছে। ঠোঁটের কোণে থাকা হাসি আরো চওড়া হলো। একটু দূরে এসে ফোন রিসিভ করে বলল,
” কি ব্যস্ত মানুষ ইদানীং তো আপনার খোঁজই পাওয়া দুষ্কর৷ তা হঠাৎ কি মনে করে ফোন দিলেন? এই এখন এটা বলবি না যে তুই আসছিস না। না এলে আমি তুলে নিয়ে আসব। সব ফ্রেন্ডসরা থাকবে আর আমার বেস্টফ্রেন্ড হয়ে তুই থাকবি না, তা তো হতে পারে না।”
সাফাইতের কথায় গুরুত্ব দিল না তোহা। সে ফুঁপিয়ে কান্না করতে করতে বলল, ” সাফু তুই একটু আসতে পারবি দোস্ত।”
তোহার কন্ঠ শুনে সাফাইতের হাসি মিলিয়ে গেল। অস্বস্তির হয়ে উঠল সে।
” তোহা কি হয়েছে তোর? তোর কন্ঠ এরকম শোনাচ্ছে কেন? কান্না করছিস তুই? তোহা কি হলো উওর দে।”
” মা কথা বলছেনা সাফু। আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু জ্ঞান ফিরছেনা৷ এখন তো দাঁত খিঁচে ফেলেছে। বাবা এখন অনেকদূরে, ফিরতে রাত পেরিয়ে যাবে। আমি কি করব বুঝতে পারছিনা, তুই প্লিজ আয় সাফু। আমার অনেক ভয় করছে। মায়ের কিছু হয়ে গেলে আমরা বাঁচবো নারে।”
তোহার পাশে তার ছোট ভাই তমালও কান্না করছে। দুই ভাইবোনের কান্না শুনে সাফাইত ঘাবড়ে গেল তবে তা প্রকাশ করল না। নিজেকে শান্ত করে বলল,
” তোহা কান্না বন্ধ কর৷ শোন আমার কথা, তুই উপরে কিংবা চিনে কাউকে খুঁজে দেখ। আমি অ্যাম্বুলেন্স কল করছি৷ আমি আসার আগে যদি এম্বুলেন্স চলে আসে তুই তমালকে নিয়ে চলে যাস। একদম কান্নাকাটি করবি না আর। দেখ তোর কান্না দেখে তমালও ভয় পেয়ে গিয়েছে৷ তুই না সাহসী মেয়ে, ভেঙে পড়িস না। আমি আসছি।”
সাফাইত কাছে থাকা এক বন্ধুকে কাজ আছে বলে দ্রুত বেরিয়ে পড়ল। এদিকে তোহাও সাফাইতের কথা মতো পাড়াপ্রতিবেশী কারো খোঁজ করতে গেল৷ এম্বুলেন্স এলে তাদের সাহায্যে মাকে হসপিটালে নিয়ে গেল তোহা।
একটা খাবারের প্যাকেট তমালের হাতে দিয়ে পানির বোতলটা তোহার দিকে বাড়িয়ে দিল সাফাইত। তোহা তা নিয়ে কিছুটা খেয়ে চুপ করে বসে রইল। সাফাইত তার মাথা হাত রেখে বলল,
” চিন্তা করিস না, আন্টি ঠিক হয়ে যাবে। ডাক্তার তো বলেছে সিনিয়াস কিছু না। প্রেশার বেশি লো হয়ে যাওয়াতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। একটু বিশ্রাম আর পুষ্টিকর খাবার খেলেই সুসাং হয়ে যাবেন।”
” ধন্যবাদ সাফাইত। সরি তোকে বিরক্ত করলাম, তোর এতো মূল্যবান সময়ে তোকে ফোন করে বিরক্ত করলাম। আসলে আমি চাইনি তোকে ফোন করতে কিন্তু কি করব বল। মায়ের এই অবস্থা দেখে আমার মাথা কাজ করছিল না। ভুলে গিয়েছিলাম তুই একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ছিলি৷ সরিরে তোর বিশেষ মূহুর্তটা আমি নষ্ট করে দিয়েছি।”
” এভাবে বলছিস কেন তোহা? আন্টি কি আমার পর নাকি? আন্টিকে কি আমি আজ দেখছে? আন্টি আমাকে কত স্নেহ করেন, নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসেন। আমার মা হলে কি আমি ওনার কাছে না এসে আনন্দ উল্লাস করতাম?”
” না তাও আমার উচিত হয়নি তোকে ফোন করার।”
” তুই কি আমাকে পর করে দিচ্ছিস তোহা?” আহত কন্ঠে বলল সে৷ তোহা অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,
” নারে তুই আমাদের আপন ছিলিস আর সারাজীবন থাকবি। সে যাইহোক তুই এখন যা, নাহয় ইশরা আজকের দিকেও মন খারাপ করবে। আর ওকে বলে দিস এই বিশেষ দিনেও তোকে দূরে নিয়ে আসার জন্য আমি দুঃখিত। যা আর দাঁড়িয়ে থাকিস না।”
সাফাইতকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তোহা তমালকে নিয়ে কেবিনে ঢুকে দরজা লক করে দিল। ফলে সাফাইত চেয়েও তোহার সাথে কোন কথা বলতে পারেনি।
.
.
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে ইশরা এবং সাফাইত। অনেকখানি সময় চুপ করে থাকার পর ইশরা গম্ভীর কন্ঠে বলল,
” কিছু বলার থাকলে বলো৷ আমার টিউশনে যেতে হবে।”
সাফাইত খানিকটা রেগে বলল,
” তোমার কি হয়েছে বলো তো? গত দু’দিন ধরে তোমাকে ফোন করছি ধরছো না, ভার্সিটি আসছো না। বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে থাকলেও কোন রেসপন্স নেই, মেসেজের উওর দিচ্ছো না। আচমকা এরকম অদ্ভুত ব্যবহার করছো কেন তুমি?”
ইশরা একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে একদম শান্ত কন্ঠে বলল, ” আর কিছু বলার আছে? নাকি আমি এবার যেতে পারি?”
এবার সাফাইতের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। বাজখাঁই কন্ঠে বলল, ” কিছু বলার আছে মানে? আমি তোমাকে কি জিজ্ঞেস করেছি আর তুমি কোনপ্রকার উওর না দিয়ে চলে যাচ্ছো। মনে হচ্ছে তুমি আমার কথা পাত্তাই দিচ্ছিনা, আমি মানুষটাকেই পাত্তা দিচ্ছো না। কেমন যেন গা ছাড়া ভাব নিয়ে আছো তুমি।”
” জানতে চাইছো তো কেন আমি কোনরূপ রেসপন্স করছি না?”
” হুম।”
ইশরা আবারো কিছুসময় চুপ করে নিজেকে শান্ত করে বলল, ” এই সম্পর্ক আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় সাফাইত। আমাদের সম্পর্কের ইতি এখানে টানলেই ভালো হবে। আর বেশিদূর এগিয়ে গেলে এই সম্পর্কের প্রতি যা ভালোবাসা, সম্মান, মায়া ছিলো তা উবে গিয়ে বিষাক্ত অনুভূতির সৃষ্টি হবে। যা আমি কোন কালেই চাইনা।”
সাফাইত ভাবলো ইশরা হয়তো মজা করছে। আগেও কয়েকবার ঝগড়ার মাঝে সে এরকম কথা বলেছিলো।
” তুমি মজা করছো তাই না? বুঝতে পেরেছি কোনকিছু নিয়ে রেগে আছো। আচ্ছা চলো তোমার প্রিয় আইসক্রিম খেতে খেতে তোমার অভিযোগ শুনব।”
সাফাইত ইশরার হাত ধরতে গেলে সে সরিয়ে ফেলল।
” প্রিয় জিনিস প্রিয় মানুষের সাথেই উপভোগ করা যায়। যখন মানুষটাই প্রিয় এর তালিকা থেকে বিদায় নেওয়ার উপক্রম সেখানে তার সাথে প্রিয় খাবার খাওয়া বড্ড বেমানান।”
” ইশরা তোমার এই সাহ্যিতক কথাবার্তা আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা। কি হয়েছে তোমার?”
” আমি আর তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইনা সাফাইত। তোমার ভাষার ইট’স ওভার, ব্রেকাপ।”
বড়সড় একটা ধাক্কা খেলো সাফাইত। নিজের কানে বিশ্বাস করতে পারছে না ইশরা কখনো এধরণের কথা বলবে। মনে হলো সে দিবাস্বপ্ন দেখছে।
চলবে….