#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ৭
.
.
– নাফিসার চুল থেকে শত শত সাপ বের
হয়ে আসল। চুলের মত চিকন চিকন সাপ
গুলো
পুরো রুমে ছড়িয়ে পড়ল। নাফিসার
গলায়
যে লকেট ছিল সেটা সার্জারির সময়
নার্স খুলে রেখে দিয়েছিল।
– সব সাপ কিলবিল করে লকেটটি
তাড়াহুরা
করে খুজে যাচ্ছিল। একটা সাপ সেটা
একটা বড় টি টেবিলের কাঁচের উপর
দেখতে পায়। সেটা নিতে গিয়ে বার
বার বার্থ হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে
ফিরে এসে সব সাপ মিলিত হয়ে একটি
বড়
সাপের রুপ ধারন করে। সাপটি টেবিল
থেকে লকেটটি নিয়ে নাফিসার
গলায়
পড়ে দিয়ে আবার শতশত সাপ হয়ে
একসাথে ওর চুলের মধ্য ঢুকে যায়। সব
স্বাভাবিক।
.
.
.
– নাফিসার রুমের লাইট ঠাশ করে
ফেটে
যায় এবং সাথে সাথে লকেটটি
জ্বলে
ওঠে হলুদ বর্ন হয়ে।
লকেট থেকে হলুদ রশ্মি ছড়িয়ে পড়ে
এবং
সেটা নাফিসার ক্ষতর মধ্য দিয়ে ঢুকে
যায়। এমন সময় দরজার খোলার শব্দে
লকেটের আলো সব বন্ধ হয়ে যায়।
.
.
.
– ড. মাহফুজ রুমে এসে দেখে পুরো রুম
অন্ধকার। লাইটের সুইচ অন করেও দেখে
লাইট জ্বলছেনা। তাই বাধ্য হয়ে
মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দেখে
নিচে নার্স পড়ে আছে।
– ড. মাহফুজ বেশ অবাক হয়ে যায় এবং
কয়েকজন নার্স কে ডাক দেয়।
তারা ধরাধরি করে নার্সটিকে
বাহিরে
নিয়ে যায়।
.
.
– এমন সময় লাইট জ্বলে যায়। ড. মাহফুজের
কাছে বিষয়টি বেশ কাকতালীয়
লাগে।
বিঙ্গান কখনও অলৌকিক বিস্বাস করে
না
তাই তিনিও ওদিক নিয়ে না ভেবে
নাফিসাকে পরীক্ষা করতে লাগলেন।
.
.
.
– মিসেস আহমেদ তার একবছরের কন্যা
সন্তান নিয়ে hospital এ এল।
– একটি নার্স বলল mam এত্ত রাতে
আপনি
hospital এ!
– আপনাদের sir কই?
– চেম্বারে আছে।
– সুমি চেম্বারে গিয়ে রাফসান কে
দেখে চমকে যায়। কি অবস্থা face এর।
পুরো চোখমুখ লাল এবং ফোলা। কি
হয়েছে রাফসান তোমাকে এরকম কেন
দেখাচ্ছে?
– রাফসার ওর মেয়েকে কোলে নিয়ে
সোজা নাফিসার রুমের দিকে চলে
গেল।
পিছন পিছন সুমিও অনুসরন করল।
.
.
– ড. মাহফুজ নাফিসার পালর্স চেক
করছিল।
রাফসান কে এভাবে দেখে উনি অবাক
হয়ে বললেন sir any problem?
– আপনি একটু বাহিরে যান আর রুমে যেন
কেউ প্রবেশ না করে।
– ড. মাহফুজ চলে যেতেই রাফসান ওর
মেয়ের ছোট হাত দিয়ে নাফিসার
গালে
মুখে ছুয়ে দিয়ে বলল দেখ পাখি আমার
একটা মেয়ে হয়েছে ঠিক তোর মত।
– একটু ওঠনা ওকে কোলে নে…… একটু
আদর
কর। ওর নামও নাফিসা রেখেছি তোর
নামের সাথে মিল রেখে। ওঠনা
ওভাবে
কেন সুয়ে আছিস বলে কাঁদতে লাগল
রাফসান।
.
.
– সুমি কাঁচের ওপার থেকে নাফিসার
নিথর দেহটাকে দেখে যেন আকাঁশ
থেকে পড়ল। ও এখানে আর এভাবে কেন
বলে কাঁদতে লাগল।
রুমে ঢুকতে গিয়ে গার্ড নিষেধ করল
mam
sir এর নিষেধ আছে। সুমি আর কোন কথা
না বারিয়ে রাফসানের চেম্বারে
চলে
আসে। এখন বুঝতে পারছে রাফসানের
এই
হাল কেন এরকম। আর এখন নাফিসার
কাছে
বাহিরের কাউকে ঢুকতেও দিবেনা।
কিন্তু সেও তো আমার বোন আমার কি
কষ্ট
হয়না বা অধিকার নেই! বলে কাঁদতে
লাগল।
.
.
.
– নাফিসার চাচার বাসায় মারিয়াম
২ টা
জ্বীন কে পাহারা দিয়ে রাখে
যাতে
নাফিসার কোন খবর পেলেই যেন
জানতে
পারে। ওর মন বলছে এখান থেকেই কিছু
ভাল খবর পাওয়া যাবে।
–
–
–
-.
– মারিয়াম কি জানি ভেবে রুপের
বাসায়
যায়। অদৃশ্য হয়েই নাবিলার দেওয়া
নাফিসকে চিঠি আর ওর দেওয়া লকেট
খুজতে থাকে। পুরোরুম তন্ন তন্ন করে
খোজে কিন্তু কোথাও খুজে পায়না।
.
.
– রুপ ওর রুমে ঢুকে দেখে ওর আলমারি
থেকে কাপড় সব ছিটে কেউ ফেলে
দিচ্ছে। কিন্তু তাকে দেখা
যাচ্ছেনা।
.
.
– রুপ ওর আসল চেহেরায় এসে এক পলকে
মারিয়ামের গলা চিপে ধরে বলে কে
তুমি নিজের চেহারা দেখাও।
– সাথে সাথে মারিয়ামের আসল রুপে
চলে আসে।
– এবার রুপ মারিয়ামকে ছুড়ে মারে।
– মারিয়াম গা ঝাড়া দিয়ে উঠতেই
রুপ
আবার আক্রমন করে কিন্তু এবার
মারিয়াম
রুপকে মায়ার আবদ্ধে বেঁধে ফেলে।
.
.
– কে তুমি? বলে রুপ মারিয়ামের
দিকে
তাকাল।
– সেটা তোমার আপাতত না জানলেও
চলবে। নাফিসার মায়ের চিঠি কই
রাখছ
জলদি বলো!
.
.
– কে আপনি আমি কেন সেটা
আপনাকে
দিব বলে নিজের শক্তিতে মায়া
থেকে
নিজেকে মুক্ত করে ফেলে।
– দেখ তোমার সাথে লড়াই করতে
আসিনি। আমি মারিয়াম তোমার মা
বাবাকে আমার নাম বলো তারাই
আমার
পরিচয় দিবে।
বল কোথায় রেখেছো চিঠি গুলো?
– কখনই না বলে মারিয়ামকে আঘাত
করতে
যায় রুপ। এতে মারিয়াম ক্ষেপে যায়
এবং
রুপের গলা চেপে ধরে বলে। ভালয়
ভাল
বলছি কথা কানে যায়না! তুমি
নাফিসার
husband না হলে এখানেই তোমায়
ভ্যানিস করে দিতাম।
– এমন সসয় রুপের রুমে মিনা প্রবশ করে
এবং
বলে ওঠে মারিয়াম তুই?
-মারিয়াম রুপকে ছেড়ে দিয়ে
আলমারির
দিকে তাকায় সেখানে একটি সুন্দর
বক্স
দেখতে পায়। সেটা এক ছো মেরে
নেয়
এবং রুপকে বলে আমি নাফিসাকে
হারিয়ে ফেলেছি। বড় আশা নিয়ে
তোমাদের কাছে মেয়েটাকে
পাঠাইছি
কিন্তু তোমরা তার সাথে কি করলে।
নাফিসার যদি কিছু হয় তাহলে শুনে
রাখ
মিনা তোর এই ছেলেটিকেও আমি
জিন্দা লাশ বানিয়ে রেখে দিব
বলে
ভ্যানিস হয়ে গেল মারিয়াম।
.
.
.
– রুপের এখনও মনে হল নাফিসা হয়ত
কাইফের কাছে আছে। কারন ও নিজে
দেখেছে সেটা কখনও মিথ্যা হয়না
হতে
পারেনা। তাই তার ঘৃনাটা এখনও রয়ে
গেছে তবুও বাসা থেকে বের হয়ে
গেল
নাফিসাকে খুজতে।
.
.
– রুপ যখন বাহিরে বের হয় তখন কিছু দুরে
দেখে কাইফ দাড়িয়ে আছে এবং
একটা
জ্বীন কে নির্দেশ দিচ্ছে রুপের
বাসার
দিকে পাহারা দিতে।
– রুপ বেশ রেগে যায় এবং কাইফের
কাছে
যেতেই মারিয়াম এসে কাইফের
সামনে
দাড়ায়। রুপ সেখানেই থেমে যায়।
– কাইফ মারিয়ামকে দেখে অনেক ভয়
পেয়ে যায়। ও এখানে আসল কি
করে………
তুমি এখানে কিভাবে………!
.
.
– মারিয়াম কোন কথা না বলে
কাইফকে
জোড়ে এক ধাক্কায় ফেলে দেয়। তোর
যম হয়ে আসছি কাইফ। এই দিনের
অপেক্ষায়
ছিলাম কবে তোকে আমি নিজ হাতে
শাস্তি দিব বলে বলেই কাইফের বুকে
লাথি বসিয়ে দেয়।
– মারিয়াম একটা বোতল বের করে বলে
দেখতো এটা চিনতে পারিস কিনা!
যেখানে আমায় ২৪ বছর ধরে বন্দী করে
রেখেছিলি………. আজ এখানে তোর
জিন্দা লাশ বানিয়ে রাখব বলে
কাইফকে
এক পলকে বোতলে বন্দী করে ফেলে
এবং বলে দেখ কেমন লাগে বন্দী
জিবন।
.
.
– রুপের সব তালগোল পেকে যায়।
নাফিসা কই….. কাইফের কাছে যে
নেই
সেটা ভাল করে বুঝতে পারছে।
রাগের
বশে কি ভুল করে ফেললাম!
.
.
.
– প্রায় ১৭ দিন পর জিবন-মৃত্যুর মাঝে
লড়াই
করে নাফিসা চোখ মেলে তাকায়।
– রাফসান এই আশায় ছিল কখন তার
পাখিটি
চোখ মেলে তাকাবে। এত গুলো
ডাক্তারের সামনে নাফিসাকে
জড়িয়ে
ধরে রাফসান এবং পাগলের মত সবার
সামনে কয়েকটা kiss করে ফেলে। সব
ডাক্তারেরা লজ্জায় মাথা নিচু করে
নিছে। রাফসানের সে দিকে কোন
আগ্রহ
নেই। সে তার কাজে ব্যাস্ত।
.
.
– একটা অন্য রকম পরিবেশ। সবাই ১৭
দিনে
রাফসানের কঠোরতার মধ্য যে
ভালবাসার
জিনিস আছে সেটা দেখেছে। তার
পাগলামি দেখেছে, দিনের পর দিন
ঘুমহীন অবস্থায়।
–
–
–
– আমি কিছু বুঝতে পারছিনা রাফসান
আমার
কাছে কই থেকে আসল।
– রাফসান আমাকে ছেড়ে দিয়ে একটা
নার্সকে বলল যান ডাইভার কে গাড়ী
রেডী করতে এখনই আমরা বের হব।
– নাফিসা উঠতে পারবি একা?
– আমি শুধু মাথা নাড়ালাম।
– কিন্তু উঠতে গিয়ে বেডে পড়ে
যেতেই ড. মাহফুজ ধরে ফেলে। রাফসান
নার্সের সাথে কথা বলছিল। ড. মাহফুজ
নাফিসা কে ধরে আছে দেখে খুব
রাগী
চোখে তাকেই ড. মাহফুজ ছেড়ে দেয়।
.
.
– রাফসান সবার সামনে আমাকে
কোলে
নিয়ে hospital থেকে বের হলো।
– সবাই যে ভাবে তাকাচ্ছিল মনে হয়
মাটিতে মিশে যাই।
– ইচ্ছা করলে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে
পারত।কিন্তু সেটা না করে……….
.
.
– অনেকে বলছিল মেয়েটি ড. আহমেদ
এর
কে হন?
– নার্স গুলো বলল mam তো বলেছিল
ছোট
বোন হয়।
.
.
– রাস্তার মধ্য রাফসানের সাথে
একবার ও
কথা বলিনি।
– বাসায় এসে আবার আমায় কোলে
তুলে
রুমে নিয়ে আসল। এই দৃশ্য দেখে সুমির বুক
ভেঙ্গে যাচ্ছিল কিন্তু করার কিছু
নেই।
.
.
.
– আমি খাটে বসে আছি সুমি আপু
খাবার
নিয়ে রুমে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে
কাঁদতে লাগল। তুই কোথায় ছিলি।
রাফসান
তোকে পাগলের মত খুজে বেরিয়েছে।
.
.
– আমি চুপ করেই আছি। আমার কথা যেন
আটকে গেছে।
– রাফসান রুমে এসে আমার কোলে
ছোট্ট
পরীর মত একটা বাচ্চা দিয়ে বলল
দেখতো
এটা আমাদের ছোট্ট নাফিসা দেখতে
কেমন হয়েছে।!
– আমি সুমি আপার দিকে একবার বার
তাকালাম।
– উনি একটি মুচকি হাসি দিয়ে সম্মতি
দিল।
– আমি বাচ্চাটিকে একটা কিস করলাম
কিন্তু বেশি স্ট্রেজ নিতে পারলাম
না ঐ
অবস্থায় সেন্সলেস হয়ে পরি।
– সুমি জলদি বাচ্চাকে নেয় আর
রাফসান
নাফিসাকে চেক করতে লাগে।
– ওর কি হয়েছে রাফসান?
– তেমন কিছু না…….. রাফী কে এখুনি
কল
দাও ওকে আসতে বল এক্ষুনি। ওকে
দেখে
নাফিসা কথা বলবে এটা আমার
বিস্বাস।
.
.
.
– সুমি রাফীকে কল দিয়ে সব বলল।
রাফী
যেহেতু ঢাকায় থাকে তাই ছুটে আসে।
.
– বিকেলের দিকে আমি চোখ মেলে
দেখি রাফী ভাইয়া সামনে বসে
আছে।
– রাফী চোখ নাচিয়ে বলল কিরে
কেমন
আছিস।
– এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে
পারিনি। ভাইয়া কে জড়িয়ে ডুকরে
কেঁদে উঠি। উনিও কেঁদে ফেলেন। সব
পাইছি ফিরে কিন্তু তার বিনিময়ে
রুপকে
হারিয়ে ফেলেছি।
.
.
-সন্ধায় আমি চুল ছেড়ে ছাদে
দাড়িয়ে
আছি। রুপের কথা খুব মনে পড়ছে। মনে হয়
কলিজাটা কেউ ছিড়ে নিয়ে গেছে।
চোখ দিয়ে পানি অঝড়ে পরে যাচ্ছে।
যদি একটু ওকে ছুতে পারতাম।
–
–
– রাফসান এসে বলল কিরে এখানে কি
করিস।
– আমি ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম
আমায় কিছু ঘুমের মেডিসিন দিবেন।
আমি
ঘুমাব আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জেগে
থাকলেই।
.
.
“আজ এই নিশিতে মন কাঁদবে সারা
রাত
কেউও তো এসে আর দেখবেনা, ওরে
কেউত বোঝেনা
হাসি মুখের ভিতরে লুকিয়ে থাকা
যন্ত্রনা
আহা কি যাদু করিলি ওরেও পাগলা
তোরে ভুলে থাকা যায় না,,,,, আমি
যেদিকেই তাকায় তোরেই দেখতে
পাই,,,,,, চারদিকে মনে হয় শুধু আয়না।
ঘুম ভালবাসিরে, আমি ঘুম
ভালবাসিরে
ঘুম আইলে তোর স্মৃতি গুলো ভুইলা
থাকিরে।
২ চক্ষু মেলিলে, তোরে খুইজা না
পাইলে
এই বুকের ভিতর পরান পাখি কাইন্দা
মরে
রে…
.
.
– নাফিসা মেডিসিন খেয়ে শুয়ে
পরে
আর চোখ দিয়ে পানি ঝরে পরে। যার
কারনে পুরছে এ বুক, সেতো বোঝেনা।
অন্য কোথাও আজ তাহার ঠিকানা
বলেই
ঘুমের রাজ্যতে তলিয়ে যায়।
.
.
– রাফসানের কাছে সব অস্বাভাবিক
লাগছে। কারন এটা তার নাফিসা না
যাকে আগে সে জানত। এ সম্পূর্ন
আলাদা।
–
–
–
–
-রুপ ল্যাপটপ নিয়ে রুমে বসে নাফিসা
আর
ওর পিক দেখছে। কত স্মৃতি লুকিয়ে
আছে
পিকচার গুলোতে।
একবার নাফিসা এক বিশেষ মুহুতে ওর
লম্বা
চুল ২ ভাগ করে উন্মুক্ত রুপকে নিজের
বুকের সাথে জড়িয়ে পিছন দিকে চুল
বেঁধে ফেলেছিল এবং বলেছিল
এভাবে
সারা জিবন বেধে রাখব। কিন্তু তার
আশা
অধুরাই রয়ে গেল। অদ্ভুদ মায়া ছিল
পাগলিটার মধ্য।
– সব সময় রুপের সাথে অদ্ভুদ পাগলামো
খেলায় মেতে উঠত ছোট বাচ্চাদের
মত।
.
.
– রুপ শুধু রুপমের জন্য নাফিসাকে
ছাড়েনি।
এর পিছনে অন্য কারন ও আছে।
নাফিসাকে
ভবিষ্যতে কোন পরিবার ছাড়াই
থাকতে
হবে। ও শ্বেতপরী। আর শ্বেতপরীদের
কখনও সংসার থাকেনা। কারন এদের
শক্তি
প্রচুর তাই এদের কোন বংশ ধর দুনিয়াতে
রাখা হয়না। এরা দুনিয়াতে ভাগ্যগুনে
নির্বাচন হয়েই আসে।
– আর তাছাড়া কেউ যদি জানে এর
পরিবার
স্বামী- সন্তান আছে তাহলে সব শেষ।
তাই আমাদের বিয়ের কথা কাউকে
তেমন
জানাইনি বিশ্বস্ত কিছু আপনজন ছাড়া।
.
.
– জিবনটা এরকমই। ওকে একা বাঁচতে
শিখতে হবে কারো সাহায্য ছাড়া।
নিজের জন্য নিজের মত করে। রুপ
জানেনা তার নাফিসা প্রান পাখি
ছাড়া
কেমনে বাঁচবে তবুও ওর ভালর জন্য এটা
করতে হবে।
– মারিয়াম হয়ত আমার জায়গা পুরুন করে
দিবে কিন্তু ভালবাসার জায়গাটা
খালিই
রয়ে যাবে।
– ওর ভাল চাইতে চাইতে এমন জায়গায়
এসে দাড়িয়েছি যে শেষে ওকেই
হারিয়ে ফেলেছি। কি যাদু করলি
পাগলি
তোকে ছাড়া নিস্বাস নেওয়া ও যে
কষ্ট
হয়।
রুপের চোখ দিয়ে ওর অজান্তেই
চোখের
জল গড়িয়ে গাল বেয়ে পড়ে
গেল…………