#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১১ম পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page: All Story Link
❣
সেই মানুষ টা আর কেউ না সে হলো জেলার আদনান সাহেব,
রাসেল কিছু না ভেবে আদনান সাহেবের নাম্বারে ফোন দেয়,
রিং হচ্ছে, কিরিং কিরিং
রাসেল:-হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম
কেমন আছেন,
আদনান:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,তুমি কে বাবা তোমাকে তো চিনতে পারলাম না,
রাসেল:- আংকেল আমাকে চিনতে পারছেন আমি রাসেল,
আদনান:-ওহহ রাসেল
কেমন আছো আর এতোদিন পরে আমার কথা মনে পরলো,
রাসেল:-আপনেতো জানেনি আমার অবস্থা,
কেমন আর ভালো আছি,
আপনার কথা আমি সব সময় মনে করি,
আদনান:-তুমি সব সময় আমার কথা মনে করো এই জন্যই হয়তো আমি খেতে বসলে বেসম খাই,
রাসেল:-হাহাহা কি যে বলেন না,
আংকেল একটা দরকারে আপনাকে ফোন করেছি,
আদনান:-হুম বলো আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব তোমার উপকার করার,
রাসেল:-আমি পড়াশোনা শেষ করতে চাই,
তার জন্য আমার কলেজ থেকে কাগজ পত্র আনতে হবে,
আদনান:-সেইটা তো ভালো কথা,
তো এই কলেজে এসে নিয়ে যাও,
রাসেল:-আমি গেলে ধর্ষক বলে অপমান করে তাড়িয়ে দিবে,
আপনাকেই যে ভাবে হোক কাগজ তুলে দিতে হবে,
আদনান:-আচ্ছা ব্যবস্থা করতেছি,
তুমি চিন্তা করোনা,
তারপর অনেক কথা বলে রাসেল কল কেটে দেয়,
পিছন থেকে নীল বলে,
নীল:-রাসেল আমি স্যারের সাথে কথা বলে সব ঠিক করেছি,তুই কাগজ আনলেই সব হয়ে যাবে,
রাসেল:-আমি ব্যবস্থা করতেছি,
পেয়ে যাবো কোনো চিন্তা নেই,
এইভাবে কাজের মধ্যে দিয়েই কেটে যায় অনেক গুলো দিন,
রাসেল কলেজে ভর্তি হয়েছে,
ক্লাস করবেনা শুধু পরিক্ষা দিবে,
এইভাবে নানান কষ্ট অবহেলা সহ্য করতে করতেই অতিবাহিত হয় আড়াই বছর,
এখন রাসেল ও অনেক ধনী,
গাড়ি বাড়ি কোনো কিছুরি অভাব নেই,
সবাই একনামে চেনে Rk,
সামনে রাসেলের বিএসসি ফাইল পরিক্ষা,
এইটা শেষ করলেই সে বিএসসি ইন্জিনিয়ার হবে,
অনেকতো এদের কথা শুনাল চলেন একটু রাসেলের পরিবারের কথাও শুনে আসি,
একদিন রাতে শিখা জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করছে,
শিখা:-হে আল্লাহ মানুষ ভুল করলে আবার ক্ষমাও পায় কিন্তু আমি কি কোনদিন ক্ষমা পাবোনা,
তোমার কাছে তো কোনো কিছুই অভাব নেই তাহলে রাসেল কে আমার জীবনে ফিরিয়ে দাও,
আমি যে আর পারছিনা এইভাবে কষ্ট বয়ে বেরাতে,
চোখের জল টপটপ করে হাতে পরতেছে,
তবুও সেইদিকে খেয়াল নেই তার,
এই অবস্থায় শিখাকে যে দেখতো সেই কান্না করে দিতো,শিখা ঘুমিয়ে পরে,
সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করে খাবার টেবিলে পরিবেশন করে,
সবাই খেতে আসে,
জুঁই:-আম্মু ভাইয়া আজো ফিরে এলোনা,
কত দিন হলো তাকে দেখিনা,
আম্মু:-তুই দেখিস রাসেল ঠিকই একদিন ফিরে আসবে,
জুঁই:-তাই যেনো হয় আম্মু,
তোমার কথা যেনো আল্লাহ কবুল করে,
এইদিকে শিখা এক মনে তাদের কথা শুনছে আর চোখ থেকে জল ফেলছে,
যেইটা জুঁই ঠিকই খেয়াল করে,
জুঁই:-ভাবি তুমি কান্না করতেছো কেনো,
শিখা:-কৈ নাতো,
চোখে পোকা পরেছিলো তো তাই এমন,
আব্বু:-শিখা যায় বলনা কেনো,
আমরা বুঝি তোমার কষ্ট,আর কতো রাসেলের পথ চেয়ে বসে থাকবে বলো,
আমি চায় তুমি বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করো,
শিখা:-বাবা আমার এই দেহে যত দিন প্রাণ আছে তত দিন আপনার ছেলের পথ চেয়ে বসে থেকেই যাবো,
আর বিয়ের কথা না বলে আমাকে গলা টিপে মেরে ফেলেন, তাও বিয়ের কথা বলিয়েন না,
কান্না করে,
আব্বু:-আচ্ছা তুই কাদিস না সব ঠিক হয়ে যাবে,
আল্লাহর উপরে ভরসা রাখ,
এইদিকে রাসেলের পরিক্ষা তাই প্রচুর পড়তেছে,
নীল কফি এনে বলে,
নীল:-দোস্ত আর পড়তে হবেনা এমনিতেই তুই ভালো রেজাল্ট করবি,
রাসেল:-দোস্ত কি যে বলিস না,
সবাই ক্লাস করেই পারেনা আর আমি তো ক্লাস করিনি তাহলে না পড়ে কি করে পারবো বল,
নীল:-যায়হোক তুই কফি খেয়ে পড় কেমন,
আর শোন আমরা নতুন যেই প্রজেক্ট টার জন্য চেষ্টা করেছি সেটা পেয়েগেছি,
রাসেল:- সত্যি,
এতো বড় প্রজেক্ট আমরা পেয়েগেছি,
পুরো পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট এটা,
নীল:-হুম রে,
আচ্ছা তুই পড় আগে তোর পরিক্ষা শেষ হবে তারপর এই বিষয়ে কথা বলবো তার আগে না,
এইভাবে দেখতে দেখতে রাসেলের পরিক্ষা চলে আসে,
আজকে পরিক্ষা,
রাসেল:-নীল আমি তো যাচ্ছি পরিক্ষা দিতে আমার জন্য দোয়া করিস,
তুই ছাড়া তো আর কেউ নেই,মন খারাপ করে,
নীল:-তোর জন্য আমার দোয়া সব সময় আছে,
আর আমি তোর পরিবারের কথা জানতে চাইলেই এরিয়ে যাস কেনো,
রাসেল:-পরে জানতে পারবি,
এখন আমি আসি বাই,
দেখেশুনে থাকিস,
তারপর রাসেল পরিক্ষা দিতে যাবে তাই বাড়ির সামনে এসে একটা রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করে,
নিজের গাড়ি আছে তবুও,
গেট দিয়ে ডুকে সোজা ক্লাস রুমে চলে যায় একটু পরে পরিক্ষা শুরু হয়,
রাসেলের সব কমন পরছে,
সামনে পিছনের জন দেখে দেখে লিখতেছে,
খুব ভালো পরিক্ষা হয় রাসেলে,
পরিক্ষা শেষ করে বাসাই চলে যায়,
নীল ছোফায় বসে বসে রাসেলের আসার জন্য অপেক্ষা করতেছে,
নীল:- বন্ধু পরিক্ষা কেমন হলো,
আগে সেইটা বল পরে অন্য কিছু বলিস,
রাসেল:- আল্লাহ আর তোর দোয়ায় আমার পরিক্ষা অনেক ভালো হয়ছে,
নীল:-শুকরি শুনে খুবই খুশি হলাম,
দোয়া করি তোর প্রতিটি পরিক্ষা যেনো অনেক অনেক ভালো হয়,
তারপর রাসেল আর নীল একসঙ্গে ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে নেয়,
পাঁচদিন পরে পরিক্ষা,তাই নীল বলে,
নীল:- রাসেল আজকে একটু চল সাইটে থেকে ঘুরে আসি,
রাসেল:-হুম চল,
অনেক দিন হলো যাওয়া হয় না,
তারপর দুইজনই রেডি হয়ে গাড়ি টা নিয়ে সাইটে চলে আসে,
এসে দেখে সবাই ভালো ভাবেই কাজ করতেছে,
দেখে আবার চলে যায়,
রাস্তায় জ্যামে আটকে আছে রাসেলদের গাড়ি,
রাসেলের চোখ আটকে যায় সামনের এক বাচ্চার উপরে,
তার বয়স আনুমানিক আট বা নয় বছর হবে,
ছেলেটি বিক্ষা করতেছে,
রাসেল:- নীল তুই গাড়ি একটু সামনে নিয়ে আসেক আমি নেমে যাচ্ছি,
নীল:-কেনো নেমে যাবি তুই,
রাসেল:-পরে বলতেছি,
বলেই চলে যায় ছেলেটির কাছে,
রাসেল:-আচ্ছা বাবা তুমি এইটুকু বয়সে বিক্ষা করতেছো কেনো,
তখন ছেলেটি রাসেলের দিকে তাকায়,
আর বলে,
ছেলেটি:-ভাইয়া আমার বাবা একটা এ্যাক্সিডেন্টে পঙ্গু হয়ে ঘরে পরে যায়,
আর মা খুব অসুস্থ আজ দুই দিন হলো কিছুই খেতে পারিনা,
বাবা মা ও কিছু খাইনি তাই আমি বিক্ষা করতে এসেছি কিন্তু কেউ কিছু দেইনা,
ছেলেটির চোখে জল,
রাসেলের ও কষ্ট হয় ছেলেটির কথা শুনে এইটুকু বয়সে বাবা মার কষ্ট বুঝতে পারে আর আমরা বড় হয়ে ও বুঝতে পারিনা,
রাসেল:-চলো আমার সাথে,
ছেলেটি:-কোথায় যাবো,
অনেক টাই অবাক হয়ে,
রাসেল:-ভয়নেই আসো আমার সাথে,
এইদিকে নীল একটু একটু করে গাড়ি আগে নিচ্ছে আর রাসেলের কাহিনি দেখতেছে,
রাসেল ছেলেটিকে নিয়ে একটা দোকানে যায়,
রাসেল:-চাচা পাঁচশত টাকার খবরের কাগজ দিন,
নানান রকমের,
দোকানদার:-এইনাও বাবা,
রাসেল পেপাগুলো নিয়ে,
রাসেল:-শোনো তুমি এই পেপার গুলো বাস স্টেশন ট্রেন স্টেশন নানান জায়গায় বিক্রি করবে,
যেই টাকা লাভ হবে সেটা রেখে বাকি টাকা দিয়ে আবার এখান থেকে খবরের কাগজ কিনে নিয়ে যাবা,
ছেলেটি:-হুম বুঝেছি,
তারপর রাসেল প্রয়োজন মতো কিছু চাল ডাল আর কিছু টাকা ছেলেটার হাতে দিয়ে চলে আসে
গাড়িতে,
নীল:-আজ আমি মুগ্ধ তোর কাজ দেখে,
তুই একটা ছেলের জন্য এতোকিছু করলি যা আজকাল পরিচিত কারোর জন্যে ও করেনা,
রাসেল:-তুই কিভাবে দেখলি,
আশ্চর্য হয়ে,
নীল:-দেখেছি আমি তোর সব কান্ড,
খুব ভালো কাজ করেছিস,
এখান চল বাসাই যায়,
তারপর বাসাই চলে আসে এইভাবে দেখতে দেখতে রাসেলের পরিক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্ট এর দিন চলে আশে,
রাসেল:-দোস্ত আজকে না ভালো লাগছেনা যদি খারাপ হয়,
নীল:-দোস্ত আমার দোয়া তোর সাথে হামেসাই রাহেগা,
আর তোর যদি খারাপ হয় তাহলে কেউ পাশ করতেই পারবেনা,
রাসেল:-হাহাহা সবাই কি আমার মতো গাধা নাকি যে ফেল করবে,
এইভাবে অনেক কথা বলে,
রেজাল্ট পাবলিস্টের সময় হয়ে যায়,
নীল আর রাসেল দুইজন মিলে রেজাল্ট দেখে,
যেটা দেখে সেইটা দেখেতো নীল হার্ট এ্যাটাক হবার মতো আর রাসেলের চোখে জল,
কেননা রাসেল সিজিপিএ 4 পেয়েছে,
যা ওদের কলেজে কেউ করতে পারেনি,
নীল:-দোস্ত কংগ্রেস,
রাসেল:- ধন্যবাদ,
নীল তখন দৌড়ে গিয়ে ফ্রিজ থেকে মিষ্টি এনে সেও খাই আর রাসেল কে খাইয়ে দেই,
পরের দিন মসজিদে মিষ্টি দেয়,
আর ওদের সব সাইটে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করে দেই,
এইভাবে কেটে যায় অনেক গুলো দিন,
রাসেলের পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটা বড় পদে চাকরি হয়,
রাসেল:-দোস্ত তুই না সাহায্য করলে আমি এই পর্যায়ে কখনো পৌছাতে পারতাম না,
তুই শুধু আমার বন্ধু না ভাইও বটে,
নীল:-দেখ দোস্ত এইভাবে বলিস না,
আল্লাহ আমাকে হয়তো উছিলা করে তোর কাছে পাঠিয়েছে কিন্তু সব কিছু তুই নিজে করেছিস,
দোস্ত আজকে তোর পরিবারের কথা আমাকে বলতেই হবে,
রাসেল:-আজ তোকে সব বলবো,
কিন্তু তুই আমার জীবনের কাহিনি শুনে সহ্য করতে পারবিনা,
নীল:-পারবো তুই বল,
রাসেল:-তাহলে শোন,
আমি একজন ধর্ষণ মামলার শাস্তি পাওয়া আসামি, দুই বছরের জেল হয়েছিল আমার,
নীল:-কি বলছিস এইসব,
খুলে বল,
তারপর রাসেল সব কিছু খুলে বলে,
সব কিছু শুনে নীল কান্না করে দেই,
একটা মানুষের জীবনে এতো কষ্ট থাকার পরে ও হাসতে পারে যেইটা রাসেল কে না দেখলে বুঝতেই পারতোনা,
নীল:-মানুষ এতোটা খারাপ কি করে হয়,
দোস্ত আমি মনে করি শিখার তো দাষ আছেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি দোষ অনামিকার,
নীলাতো বাধ্য হয়ে করেছে,
আর সাক্ষী ও দেইনি,তাই নীলার দোষ নেই,
অনামিকা আর শিখাকে ছাড়বিনা,
তারপর নীলের কথা শুনে রাসেল যা বলে,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝……….চলবে……..
💝
/