#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১৪ম পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page: All Story Link
❣
কাজ করার সময় হটাৎ নীলের চোখ আটকে যায় সিড়িতে,
সিড়ি দিয়ে নামতেছিলো শিখা নীলা আর জুঁই,
সবগুলারেই পরীর মতো লাগছিলো,
নীলের চোখে তো জুঁই কে জান্নাতের পরী মনে হচ্ছে,
কালো বোরকা হাতে মোজা পায়ে মোজা,
এক কথায় অসম্ভব সুন্দর লাগতেছে,
নীল এক ধ্যানে জুঁই এর দিকে তাকিয়ে আছে নীলার যে ওকে ডাকছে সেইদিকে কোনো খেয়ালি নেই,
নীলা:-ভাইয়া কি বেপার ঐ দিকে কি দেখছিস,
হুম,
নীল:-কৈ কিছু নাতো,
নীলা:-আমি মনে হয় কিছুই বুঝিনা তাইনা ,
জুঁই এর দিকে তাকিয়ে আছিস কি বেপার ভাই কুছ কুছ হোতা হে,
নীল:-চুপ কর তুই খুব বুজিস তাইনা,
আমি ওকে কেনো দেখবো হুম,
নীলা:-ভাইয়া তুই যতই বাহানা করিস না কেনো আমি কিন্তু বুঝি,
তুই যদি চাস তবে জুঁই কে বলে দেখতে পারি,
নীল:- সত্যি দেখবিতো,
নীলা:-হুম আমার ভাইয়ের জন্য এইটুকু করতেই হবে তাইনা,
থাক আমি দেখছি,
নীলা আবার শিখাদের কাছে চলে যায়,
শিখা:-কিরে নীল ভাইয়ার সাথে কি বললি,
নীল:-কি আর বলবো আমার ভাইতো তোর ননোদের প্রেমে পাগল হয়ে আছে,
শিখা:- সত্যি বলছিস তো নাকি,
অনেকটাই খুশী হয়ে,
নীলা:-হুম এখন জুঁই যদি রাজি হয় তাহলেই হয় নাহলে তো ভাই আমার শেষ,
শিখা:-আরে আমার ননোদ ও রাজি হবে তুই দেখিস আচ্ছা চল আগে কেকটা কেটে নে সবাই অপেক্ষা করতেছে,
নীলা:-হুম চল,
তারপর সবাই কেক কাটার জন্য গেলো,
নীলা কেক কেটে সবাই কে খাইয়ে দিলো,
দেখতে দেখতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়,
রাতে শিখা ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনে কিছু একটা ভেবেই চলেছে,
এইদিকে রাসেল বেলকুনি তে দাঁড়িয়ে তার সাথে আগে ঘটে যাওয়া সবকিছু চিন্তা করতেছে,
রাসেল:-শিখা আজ তোমার জন্য আমি আমার পরিবারের কাছে ধর্ষক,
সবাই অবহেলা করে, শুধু তোমার জন্য কি দোষ ছিলো আমার,
আমি কখনো তোমাকে ছাড়বো না আমিকে যেই অপবাদ দিছো তার জন্য তোমাকে হাজার গুণ বেশি কষ্ট পেতে হবে,
তৈরি থাকো,
এইসব ভাবতেছে আর এক হাত দিয়ে চোখের জল মুছতেছে,
সবুজ:-স্যার আপনার চোখে পানি যে,
কান্না করছেন কেনো,
রাসেল:-আরে না এমনি,
সবুজ:-স্যার চলেন ডিনার করে নিবেন,
রাত ভালোই তো হলো,
রাসেল:-হুম তুমি রেডি করো আমি আসতেছি,
সবুজ চলে যায় খাবার রেডি করতে,
একটু পরে রাসেল এসে খাবার খেয়ে তার রুমে চলে আসে,
শুয়ে থেকেই ভাবে,
রাসেল:-এইরে নীলা কে তো তার জন্মদিনে উইশ করা হয়নি,
না এখন নীল কে ফোন করে বলতেই হবে,
যেই ভাবা সেই কাজ,
রাসেল নীলের নাম্বারে কল দেই,
কিরিং কিরিং কিরিং,
করে কল হচ্ছে,
কিন্তু কেউ ফোন তুলছেনা,
একবার কল কেটে যায় আবার দিতেএ রিসিভ করে, নীলা,
রাসেল:-নীল কেমন আছিস,
নীল:-আমাকে আপনার কোন দিক থেকে ছেলে মানে নীল মনে হয় হুম,
রাসেল:-কি বেপার নীলের কন্ঠ মেয়ে মেয়ে হয়ে গেলো নাকি,মনেমনে,
এই কে আপনে,
নীলা:-আমি নীলের বোন,
রাসেল:-ওহহহ,
মেনি মেনি হ্যাপি রিটার্নস অব দ্যা ডে,
দোয়া করি আপনার আগামী দিনের পথচলা শুভ হোক,
আর সরি দেরিতে উইশ করার জন্য আসলে আমার একটু খেয়াল ছিলোনা,
নীল:-ইট্স ওকে,
আর আমি তো আপনাক নিজে থেকে দাওয়াত করিনি তাই রাগটাও দেখাতে পারলাম না,
নাহলে আপনার খবর ছিলো,
রাসেল:-ওরে বাবারে এই মেয়ে দেখি আবার ভয় ও দেখাই,
কি ডেন্জারাজ মাইরি,
আস্তে আস্তে,
নীলা:-এই আপনে আস্তে আস্তে কি বলেন হুম,
রাসেল:-এই মেয়ে কি হুম আমার মনের কথা কি করে বুঝতে পারলো যে আমি কিছু বলছি,
আচ্ছা আমি যে কিছু বলছি আপনে বুঝতে পারলেন কি ভাবে,
নীলা:-এমনি বোঝা যায় মিস্টার,
আচ্ছা কি করেন,
রাসেল:-কিছুনা সুয়ে আছি,আপনি কি করেন শুনি,
নীলা:-আমিও কিছু করিনা তবে বসে বসে কিছু একটা ভাবতাছি,
এইভাবে তাদের মাঝে আরো বেশ কিছু সময় কথা হয় তারপর রাসেল কল কেটে দেয়,
এইদিকে শিখা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেড়ে ধিরে ধিরে নিচে নেমে আসে,
শিখা:-আচ্ছা জুঁই তুমি কি কাউকে ভালোবাসো,
শিখা নীলার দিকে তাকিয়ে জুঁই কে উপরের উক্তি টা বলল,
নীলা:-হ্যা বলেন ম্যাডাম আপনে কি কাউকে ভালোবাসেন,
জুঁই কিছুই বলছেনা,
ভালোবাসার কথা শুনে যেনো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,
শিখা:-আরে এতে লজ্জার কি আছে আমরা আমরাই তো তাইনা,
জুঁই:-হুম ভাবি তুমি জানোনা বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসা হারাম,
তাহলে আমি জেনে শুনে এই পাপের দিকে নিজেকে ঠেলে দেই কি করে বলো,
শিখা:-হারাম তবে আমাদের মন সেইটা মানতেই চাইনা, তবুও কাওকে না কাওকে মনের ঘরে ঠিকই জায়গা দিয়ে বসে,
জুঁই:-সেইটা ঠিক বলেছো,
মনটা বড়ই অদ্ভুত নিজের খেয়ে খেয়ে নিজের পরে অন্যের জন্য বাসা বাধে,আমিও তো কাওকে মনে মনে পছন্দ করি কিন্তু বিয়ের আগে আমি এই সবে জড়াতে চাইনা,
তোমাদের পছন্দের ছেলেকেই আমি আমার গলার মালা করে নিবো,
শিখা:- সত্যি,
আচ্ছা তোমার মনে মনে পছন্দের মানুষ টা কি আমাদের নীল ভাইয়া নাকি,
এইটা শুনে জুঁই তো লজ্জায় শেষ ফর্সা মানুষ গাল যে লালে ফুটে উঠেছে,
নীলা:-হ্যা আপু বলো তুমি কি আমার ভাইয়াকেই পছন্দ করো,
জুঁই:-হুম জানিনা কেন জানি তাকে আমার খুব ভালো লাগে,
তবে তোমাদের পছন্দ না হলে আমার ও পছন্দ না বলে দিলাম,
কথাটা বলেই জুঁই এক দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে রায়,
শিখা:-পাগলি একটা,
আমাদের কাছে বলতে ও সরম করে,
নীলা:-দোস্ত মিয়া বিবি রাজি তো আব কিয়া করেগা কাজি,এখন শুধু আন্টি আংকেল রাজি হলেই হয়,
তখনই পিছন দথেকে বলে ওঠে,
আম্মু:-আমরা ও রাজি,
রাসেলের আম্মুর গলা শুনে শিখা আর নীলা রিতিমতো চমকে ওঠে,
আসলে রাসেলের আম্মু আর আব্বু নীলার রুমের পাশদিয়ে রাওয়ার সময় ওদের কথাগুলো শুনতে পাই,
শিখা:- সত্যি আম্মু তোমরা রাজি,
আব্বু:-হ্যারে মা আমরা এই কথাটা তোকে বলতেই চাইছিলাম, আর নীল ছেলেটা অনেক ভালো আর আমার অনেক পছন্দের,
আম্মু:-আমার ও অনেক পছন্দ,
আমার মেয়েকে নীল খুব সুখে রাখতে পারবে,
নীলা:-আন্টি এই নিন মিষ্টি মুখ করেন,
আমি আমার ভাবি পাইলাম,
তার জন্য,
সবাই হাসিতে মাতোয়ারা এই মেয়ের কান্ড দেখে,
তারপর কথা বলে সবাই চলে যায় ঘুমাতে,
সকালবেলা নাস্তার টেবিলে,
আব্বু:-নীল বাবা আমরা আসার পরে তোমার সাথে তো তেমন কথা হয়নি,
তবে তুমি যদি কিছু মনে না করো তাহলে একটা কথা বলবো,
নীল:-হ্যা আংকেল বলেন এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে আপনে আমার পিতার মতোই তাইনা,
আব্বু:-হুম সেইটা ঠিক বলেছ,
তাহলে বলেই ফেলি,
আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমার আর আমার মেয়ের বিয়ে দিবো,
এইকথা শুনে জুঁই তো দৌড়ে রুমে চলে গেলো আর নীল নীলার দিকে তাকিয়ে,
ইশারায় বলছে,
নীল:-আংকেল কি বলছে এইসব হুম,
নীলা:-ঠিকই বলছে ভাইয়া রাজি হয়ে যা এখন ন্যাকামি না করে,
নীল দেখলো না সুযোগ এসেছে হাত ছাড়া করা যাবেনা পরে যদি আবার পাখি অন্য খাঁচাই বন্ধি হয়,
নীল:-দেখেন আমার আপন বলতেই এবোনটাই,
ও যখন আপনার মেয়ে কে পছন্দ করেছে আর আপনেরাও আমাকে পছন্দ করেছেন তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই,
আব্বু:-তাহলে শুভ কাজে দেরি কিসের,
আজকেই তাহলে কাজটা সেরে ফেলি,
নীল:-না আমার বন্ধু কে ছাড়া আমি কিছুতেই বিয়ে করবনা,
আম্মু:-তোমার বন্ধু কে তো দেখছিনা,
সে কোথায়,
নীলা:-আন্টি ভাইয়া লন্ডন গেছে অফিসের কাজে,
তিন মাস থাকবে,
আম্মু:-ওহহহ আচ্ছা তুমি যখন তাকে ছাড়া বিয়ে করবেইনা তাহলে কাবিনটা করে রাখলেই কিন্তু মন্দ হতোনা,
নীল কিছু বলতে যাবে তখনই নীলের ফোনে রাসেলের কল আসে,
নীল:-এক মিনিট প্লিজ আমার বন্ধু কল করেছে,
হ্যা বন্ধু তারপর বল কেমন আছিস,
রাসেল:-হ্যা আমি ভালো আছি তুই কেমন আছিস,
নীল:-আমি ভালো আছি,
দোস্ত তোর ভাবি ঠিক করেছি,
রাসেল:-কি বলছিস তুই ভাবি ঠিক করেছিস,
নিশ্চয়ই আমার ভাবি অনেক সুন্দরী তাইনা,
নীল:-দূর বেটা সুন্দরী কি হুম পরী বল পরী,
রাসেল:-ওরে বাবা তাই নাকি,
নীল:-হুম তবে একটা সমস্যা হয়ে গেছে,
রাসেল:-কি সমস্যা বল,
নীল:-তারা সবাই বলতেছে এখনি বিয়ে করেনিতে কিন্তু তোকে ছাড়া তো আমি বিয়ে করবোনা,
রাসেল:-আরে বেটা আমি তো আসবই তখন ভাবি কে দেখবো এখন তুই বিয়ে করে নে,
নীল:-না না না তোকে ছাড়া বিয়ে করবো না,
ব্যাস,
রাসেল:-আচ্ছা তাহলে বিয়ের কাবিন টা করে রাখ যেনো পাখি তোর নামে জব করে,
নীল:-এইটা মন্দ বলিস নাই এটা করা যায়,
আর তুই আসলেই ধুমধাম করে বউ আনবো কি বলিস,
রাসেল:-হুম দোস্ত সেটাই কর,
আচ্ছা দোস্ত আমি এখন রাখছি,পরে কথা হবে খোদা হাফেজ,
তারপর কল কেটে দিয়ে সবার সাথে কথাগুলো শেয়ার করে সিদ্ধান্ত নেই আজকেই বিয়ের কাবিনটা করে ফেলবে,
সবাই রাজি হয়, বিকালে নীল আর জুঁইএর বিয়ের কাবিনটা হয় ,
যদিও জুঁই তার ভাই ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হচ্ছি লো না পরে শিখার জোড়াজুরিতে রাজি হয়েছে,
এইভাবে কেটে যায় তিনটি মাস,
রাসেল এয়ারপোর্টে এসে বিমানে বসে আছে,
একটু পরেই বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে উড়াল দিলো,অনেক সময় জার্নি করার পরে বিমান বাংলাদেশের মাটিতে অবতরণ করে,
ফুল নিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে আছে,
সবার আগে নীল দৌড়ে গিয়ে রাসেল কে জড়িয়ে ধরে,
নীল:-বন্দু কেমন আছিস,
রাসেল:-তোকে ছাড়া কি করে ভালো থাকতে পারি বল,
তুই তো আমার বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস,
তারপর সবার থেকে ফুল নিয়ে সবার সাথেই কৌশল বিনিময় করে বাসাই চলে আসে,
রাসেল:-দোস্ত তোর হাতে সরবত খাইনা কতো দিন হলো তোর কি মনে নেই হুম,
নীল:-আরে বেটা মনে আছে, কিন্তু আজকে আমি বানাবো না,
রাসেল:-তাহলে কি আমি বানাবো নাকি হুম,
নীল:-আরেনা আমার আদরের বোন তোকে সরবত বানিয়ে খাওয়াবে,
নীলা এই নীলা আমার বন্ধুর জন্য তোর হাতের স্পেশাল সরবত বানিয়ে আনেক,
নীলা:-আনতাছি ভাইয়া,
রাসেল আর নীল ছোফায় বসে কথা বলতেছে
কিছু সময় পরে নীলা ট্রে তে করে সরবত নিয়ে তাদের সামনে আসে,
নীলা:-ভাইয়া এইনিন আপনার জন্য স্পেশাল সর**,
যখনই রাসেল নীলার দিকে তাকালো তখনই নীলার কথা বলার ভাষা টাই যেন কোথাও উধাও হয়ে গেলো,
রাসেল তো অবাক হয়ে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে,,,,নীলার দিকে✍✍✍
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝……….চলবে……..
💝