ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৪র্থ পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page: #All_Story_Link
❣
কেউ একজন রাসেলের কাধে হাত রাখে,,,
এতে রাসেল একটু চমকে ওঠে কেননা এইখানে ওকে তো কেউ চেনেনা,তাহলে কেইবা ওর কাধে হাত রাখলো,
তাই ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখতে পাই তার বয়সি একটা ছেলে,
ছেলেটি:-হাই ব্রো,
এতো ভয় পাবার কিছু নেই,
আমি জাহাঙ্গীর তোমার সাথেই পড়ি,
রাসেল:-ওহহহহ তাহলে এই ছেলে আমার সাথে পড়ে,
যাক বাবা হাফ ছেড়ে বাঁচলাম যে শিখার দলের কেউ না,মনে মনে,
হ্যালো,
আমি রাসেল,
জাহাঙ্গীর:-আমরা কি আজ থেকে বন্ধু হতে পারি,
রাসেল:-কি বলো এই সব আমি একটা গরিব ক্ষেত মার্কা ছেলে আর তুমি আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইছো,
জাহাঙ্গীর:-দেখো ভাই বন্ধুত্ব ধনী গরিব বিচার করে হয় না,
আর আমিও তো গরিব,
আর আমার কোনো বন্ধু নেই,তুমি যদি না হও তাহলে বন্ধুহিন হয়েই থাকতে হবে,
মন খারাপ করে,
রাসেল একটু ভেবে দেখলো যে জাহাঙ্গীর ঠিক কথাই বলেছে,
তাই সে ঠিক করে বন্ধু বানাবে,
রাসেল:-আরে ভাই মজা করলাম,
রাগ করো কেন,
আমরা আজ থেকে বন্ধু ঠিক আছে,
জাহাঙ্গীর:-হুম এইবার ঠিক আছে,
অনেক খুসি হয়ে,
রাসেল আর জাহাঙ্গীর জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে তখনই পিছন থেকে শিখা বলে ওঠে,
শিখা:-কিরে ক্ষেত ভালোই তো বন্ধু বানাইছিস তাও তোর মতই ক্ষেত,
বলেই ওর বন্ধুরা সহ হাসতে শুরু করলো,
রাসেল:-দেখেন আমাকে নিয়ে যা মন চাই বলেন কিন্তু আমার বন্ধু কে নিয়ে একটা বাজে কথাও বলবেন না,
অনামিকা:-এই শিখা দেখে ছেলের রাগ উঠছে,
মনে হয় আমাদের মারবে,
শিখা:-কিরে ছোটলোকের বাচ্চা আমাদের মারবি,
ছি কি পোশাক পরে এসেছিস,
গন্ধ বের হচ্ছে,
নাক ধরে বলল,
নীলা:-এই শিখা চলতো ওতো তোর কোনো ক্ষতি করেনি তাহলে ওর পিছনে কেন লেগেছিস,
শিখা:-আরে ওকে থাপ্পড় না দিলে আর অপমান না করলে আমার পেটের ভাত হজম হয়না,
রাসেল:-আপনেরা থাকেন আমরা যায়,
ঠাসসস করে একা থাপ্পড় লাগিয়ে দিয়ে বলে,
শিখা:-ছোটলোকের বাচ্চা তোর এতো বড় সাহস আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলস চলে যাবি,
তোর সাহস কি করে হয়,
ফকিন্নিরবাচ্চা,
রাসেল আর নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারলনা,
তাকে নিয়ে যা বলেছে তাতে কোনো আপত্তি নেই কিন্তু ওর বাবা মা কে নিয়ে কথা কেনো বলবে,
তাই ঠাসসস ঠাসসসস করে দুইটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেই,
এটা দেখে ঐখানে থাকা সবাই তো আতঙ্কিত হয়ে যায়,সবার চোখ এদের দিকে
রাসেল:-আমাকে নিয়ে যা ইচ্ছা বলেন কিন্তু আমার মা বাবা সম্পর্কে একটা কথাও চলবেনা,
শিখা:-তোর এতো বড় সাহস এই শিখা চৌধুরীর গায়ে হাত দিস,
তোর হাত আমি কেটে নিবো বলে দিলাম,
রাসেল:-যা পারেন করেন গা আমি
এইখানেই অপেক্ষা করতেছি,
তখনি ক্লাসের সময় হওয়াতে ঘন্টা বাজিয়ে দেই,
তাই সবাই ক্লাসে চলে যায়,
শিখা:-তোকে আমি দেখে নিবো,
বলেই হন হন করে রুমের দিকে চলে যায়,
রাসেল ও যায়,
জাহাঙ্গীর:-রাসেল এদের সাথে লাগা কিন্তু ঠিকনা,
এরা অনেক ভয়ংকর বলতে গেলে এখন না জানি কী করে,
রাসেল:-এতো ভয় পেলে কি দুনিয়ায় টিকে থাকা যায় নাকি,
আর তুই কোনো চিন্তা করিস নাই এখন চল ক্লাসে যায়,
জাহাঙ্গীর:-হুম চল,
তারপর ওরা দুই বন্ধু ক্লাসে চলে যায়,
ক্লাসে এসে দেখতে পাই স্যার এখনো ক্লাসে আসেনাই,
কিন্তু একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখতে পাই শিখা অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,
মনে হচ্ছে এখনি খেয়ে ফেলবে,
ফর্সা গালে পাঁচটা আঙ্গুলের দাগ ফুটে উঠেছে,
জাহাঙ্গীর:-এই তারাতাড়ি গিয়ে বসেক দেখছিস না কি ভাবে চেয়ে আছে তোর দিকে,
কানে কানে,
রাসেল:-হুম রে চল,
তারপর ওরা সিটে গিয়ে বসে,
কিছু সময় পরে স্যার চলে আসে,
সবাই সালাম দেই,
স্যার:-হুম বসো তোমরা আর সবাই কেমন আছো,
সবাই একসাথে বলেওঠে সবাই ভালো আছে,
স্যার ক্লাস করে এইভাবে একে একে সব গুলো ক্লাসি শেষ হয়ে যায় আর সবাই বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে পরে,
জাহাঙ্গীর:-আমি তাহলে আসি,
তোর বাসা তো ঐ দিকে দেখে শুনে সাবধানে যাস কেমন,
রাসেল:-আচ্ছা তুইও সাবধানে যাইস,
বলেই রাসেল একটা রিকশা নিয়ে বাসাই চলে আসে,
আর বাসাই এসেই,
রাসেল:-আম্মু তারাতাড়ি খাবার দাও খুব খুদা লেগেছে,
কাজের মেয়ে:-ছোট সাহেব ম্যাডাম এখনো আশে নাই,
আপনে বসেন আমি খাবার দিচ্ছি,
রাসেল:-আচ্ছা,
রাসেল ফ্রেস হয়ে এসে খাবার খেয়ে নেই,
একা একা ভালো লাগছে না তাই ছোফায় বসে টিভি দেখতেছে,
তখননি,
আম্মু:-কিরে বাবা কখন আসলি তুই,
রাসেল:-কি বেপার আজকে হটাৎ রাজা রাণী একসাথে যে,
আর আমে একটু আগেই এসেছি,
আম্মু:-আসলে তোর বাবা আর আমি এক জায়গায় গিয়েছিলাম,
তোর বিয়ে ঠিক করতে,
বিয়ের কথা শুনেই তো রাসেল অবাক হয়ে যায়,
রাসেল:-আমার এখনো পড়াশোনা শেষ হয়নাই আর তোমরা সোজা বিয়ে দিতে চাচ্ছ,
আব্বু:-আরে বাবা আমার বন্ধুর মেয়ে অনেক সুন্দর, শুধু কাবিন করে রাখবো সমস্যা কোথায়,
রাসেল ভালো করেই জানে এদের আর বুঝিয়ে কোনো লাভ হবে না,
কারণ এরা যা বলবে তাই হবে,
রাসেল:-থাকো তোমাদের বিয়ে নিয়ে আমি গেলাম,
বলেই রাসেল ওর রুমে চলে আসে,
নিচে কোনো কিছু না বলেই,
রাতেও খাবার খাইনা,
রাগ করে,
তাই ওর আম্মু ডাকতে চলে আসে,
আম্মু:-বাবা রাগ করে থাকিস না,
তোর এমন অবস্থা দেখে আমার কি ভালো লাগতেছে বল,
চল খাবার খেয়ে নিবি,
রাসেল:-না আমি খাবো না,
আম্মু:-আচ্ছা থাক তোরা বাবা ছেলে মিলে,
খেতে হবে না
বলেই রাসেলের মা চলে যায় আর রাসেল চুপটি করে ঘুমিয়ে যায়,
সকালে একটু দেরিতেই ঘুম ভাঙ্গে,
আর উঠে ফ্রেস হয়ে গিয়ে নাস্তা করে কলেজে চলে যায়,
জাহাঙ্গীর:-হাই বন্ধু কেমন আছিস,
রাসেল:-হুম ভালো আছি তুই কেমন আছিস,
জাহাঙ্গীর:-হুম ভালোই আছি,
এইভাবে অনেক কথা বলে রাসেলের চোখ হঠাৎ গেটের দিকে আটকে যায়,
শিখা আজকে শাড়ি পরে এসেছে,
অনেক সুন্দর লাগছে তাকে,
রাসল:- জাহাঙ্গীর আজকে কি সূর্য পশ্চিম দিকে উঠেছে নাকি,
জাহাঙ্গীর:-কেনোরে হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেনো,
রাসেল:-তাকিয়ে দেখ সামনে কি,
জাহাঙ্গীর সামনে তাকিয়ে শিখা কে দেখে তো অবাক হয়ে যায় এই মেয়ে আজকে শাড়ি পরেছে,
ঐদিকে শিখার বান্ধবীরাও অবাক এমনটা দেখে,
নীলা:-কিরে আজকে এতো সুন্দর করে সেজে আইছিস তাও আবার শাড়ী পরে,
শিখা:-ইচ্ছে হলো তাই আর,
আমার কিন্তু বিয়ে ঠিক হয়ছে আমার বাবা বন্ধুর ছেলের সাথে,
এইভাবে অনেক কথা বলে,
শিখা মনে মনে ফন্দি আটে রাসেল কে থাপ্পড় মারার একটা শাস্তি দিবেই,
তাই ওর বান্ধবীদের সাথে একটা প্লান শেয়ার করে,
নীলা:-দেখ তোরা এটা কোরতে পারিস না,
ছেলেটার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে,
শিখা:-তুই যদি কাউ বলিস তাহলে তোরও খবর আছে,
আর তুই গিয়ে রাসেল কে বলবি,
কলেজের ৩৩৩নাম্বার রুমে আসতে একটা কাজ আছে,
নীলা:-আচ্ছা মুখটা ছোট করে,
নীলা আর কোনো কথা না বলে সোজা রাসেলের কাছে চলে আসে,
নীলা:-ভাইয়া তোমার সাথে শিখা দেখা করতে চাই,
ও ওর ভুল বুঝতে পেরেছে,
রাসেল তো অবাক কেননা এই মেয়ে ওর থেকে চাইবে মাপ,
রাসেল:-তা আপনার বান্ধবী কোথায়,
দেখা করবে,
নীলা:-কলেজের তিন তলায় ৩৩৩ নাম্বার রুমে,
কারণ এইখানে সবাই দেখবে আর মজা নিবে তাই এমন,
রাসেল ভাবে নীলার কথাই যুক্তি আছে,
তাই সেখানে যাওয়া টাই উত্তম,
রাসেল:-আচ্ছা আপনে যান আমি আসতাছি,
নীলা চলে যায়,
নীলা:-আমার কাজ শেষ
তোদেরটা শুরু করতে পারস,
শিখা:-এইতো লক্ষি মেয়ের মতো কাজ,
তারপর শিখা তার প্লান মতো সেখানে চলে যায়,
জাহাঙ্গীর:-দেখ বন্ধু ঐটা ঐ মেয়ের কোনো একটা চাল তোকে ফাদে ফেলার তুই যাস না,
রাসেল:-আরে না ঐতো ওর ভুল বুঝতে পেরেছে,
আমার সাথে অমন কিছু করবেইনা,
বলেই আর কোনো কথা না শুনেই রাসেল ও চলে যায়,
কিন্তু রাসেল গিয়ে দেখে একটা পরিত্যক্ত রুম,
কিন্তু ঐ রুমে কোনো মানুষের ছিটা ফোটাও নেই,
তাই একটু ভিতরে দেখার জন্য আস্তে আস্তে ভিতরে প্রবেশ করে,
তখনি পিছন থেকে দরজা আটকানো শব্দ আসে,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝……….চলবে……..
💝
/