ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৭ম পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page: @All Story Link
❣
আম্মু:-তুই আমার ছেলে না,
আমার ছেলে তখনই আমাদের কাছে মারা গেছে,
যখন শুনেছি তুই একটা ধর্ষক,
আমাদের সামনে কখনো আসিস না,
সবাই চলেন, আর অফিসার একে নিয়ে যান,
আর এমন শাস্তি দিবেন যাতে যতদিন বেঁচে থাকে কোনো মেয়ের দিকে খারাপ নজরে তাকানোর সাহস না করে,
অনেক টাই রেগে,
আর সেইটা শুনে রাসেল বলে ওঠে,
রাসেল:-জজ সাহেবা আজকে আইনের কালো কাপরে আপনার চোখ বাধা পরে আছে, কিন্তু একদিন এই সত্যটা জানতে পারবেন,
যেদিন আপনার চোখ থেকে কালো কাপড় টা সোরে যাবে,
কিন্তু আফসোস সেইদিন হয়তো আমাকে আর পাবেন না,
আর এইযে ম্যাডাম আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যেই কষ্টটা আমাকে দিলেন এর চারগুণ কষ্ট আমি আপনাকে ফেরত দিবো,
কথাটা শুনেও শিখা কিছু বললনা,
কিবা বলবে সবতো তারই কাজ আর রাসেল তো ভুল বলেনি,
ইট মারলে পাথর তো খেতেই হবে,
রাসেল ওর বাবা মাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
রাসেল:-সাহেব আর জজ ম্যাডাম,
আমিতো আপনাদের না জানিয়ে একটা এতিমখানার সব খরচ বহন করতাম,
এখন তো আমি জেলে যাচ্ছি,
যানিনা কোনদিন এই দুনিয়ার আলো আমার চোখে পরবে কিনা,
নাকি ধুকে ধুকে ঐ অন্ধকার জেলের এক কোণায় মরে পরে থাকবো,
কেউ খোঁজ ও নিবেনা যে পযর্ন্ত আমার এই শরিরে পচন ধরে গন্ধ বের না হবে,
দয়াকরে আপনেরা ঐ এতিমখানার খরচ বহন করিয়েন এটা আমার অনুরোধ,
ছেলে হয়ে না একজন কয়েদি হয়ে,
আর পারলে ক্ষমা করে দিয়েন,অফিসার চলেন,
চোখ মুছতে মুছতে বের হয়ে গেলো রাসেল পুলিশের সাথে, তার আর কথা বলার শক্তি নেই,
আজ সবার চোখেই পানি,
কেউ যেনো ভালো নেই,
আব্বু:-রাসেলের আম্মু ওর শেষ ইচ্ছাটা কিন্তু আমাদের পূরণ করা উচিৎ,
আম্মু:-এটাতো আর খারাপ কাজ না যে ভাবতে হবে,
ওর ইচ্ছাটা পূরণ করবো,
অতিতের কাহিনী শেষ,
এখন বতর্মানে আসা যাক,
রাসেল:-স্যার এই ছিলো আমার কালো অতিতের ধর্ষণ উপাধি পেয়ে জেলে আসার কথা,
কেউ কথা বলতে পারছেনা,
সবার চোখেই পানি,
যেনো গল্পটা শুনে সবাই পাথর হয়ে গেছে,
তখন জেলার সাহেব বলে ওঠে,
আদনান:একটা মেয়ে প্রতিশোধের জন্য এমনটা কি করে করতে পারে,
আমার তো ইচ্ছা করছে ওকে গুলি করে মেরে দিতে,
রাফি:-স্যার আসলেই মানুষ এতটা খারাপ কি করে হয়,
রাসেল:-স্যার ভাগ্য যার সাথে না থাকে তার সাথে এমনটাই ঘটে,
আদনান:-আচ্ছা রাসেল রাত অনেক হয়েছে তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো,
আমরা আসি সকালে দেখা হবে,
রাসেল:-ঠিক আছে স্যার,
আসসালামুয়ালাইকুম আর শুভ রাত্রি,
আদনান:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
শুভ রাত্রি,
বলেই সবাই চলে যায় রাসেল একা একা আবারো আনমোনা হয়ে পরে,
আজকে একটু হলেও ওর ভালো লাগতেছে,
এটা ভেবে যে একটু হলেও তার কষ্টটা কারো র্সরে শেয়ার করেছে,
এইদিকের কথা তো অনেক শুনলেন,
রাসেলের অতিতের কাহিনী ও শুনলেনে এখন চলে একটু রাসেলের পরিবারের কাছ থেকে ঘুরে আসি,
শিখা:-আম্মু ওষুধ টা আগে খেয়ে নাও,
নাহলে আমি কিন্তু কান্না করেদিবো হুম,
আসলে রাসেল টেনশনে রাসেলের আম্মু প্রায় অসুস্থ থাকে তাই জোর করে শিখা ওষুধ খাওয়াই,
আর শিখার এমন আচারণ রাসেলের আম্মুর ও অনেক ভালো লাগে,
আম্মু:-দে মা আগে খেয়ে নেই,
না হলে তুই সত্যি সত্যি কান্না করবি তোর কোনো ভরসা নেই,
হাসতে হাসতে,বলে,
শিখাও ওষুধ টা খাইয়ে দেই,
তখনি রুমে ডোকে রাসেলের বাবা,
আব্বু:-কি নিয়ে মা মেয়ে এতো খুশি হুম,
শিখা:-বাবা তুমি কখন আসলে,
আর আমাদের জানালেও না যে তুমি আজকে আসবে,
তোমার সাথে কথা নেই যাও,
শিখা মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে অভিমানী হয়ে বলল,
এখন শিখা তাদের সাথে একদম মিসে গেছে,
কেউ বলবেনা এদের কোনো কষ্ট আছে,
আব্বু:-আরে মামুনি রাগ করিস না আমি তো তোদের ছাড়প্রাইজ দেওয়ার জন্যই না বলে(আমেরিকা) এসেছি
আম্মু:-তোমরা বাবা মেয়ে বোঝগা আমি খাবার রেডি করতে গেলাম,
শিখা:-না তুমি কোনো কাজ করবেনা,
তোমার ছেলের বউ আছে কি জন্য হুম,
ছেলে কথাটা শুনেই সবার মুখটা ছোট হয়ে যায় আর রাসেলের আম্মু আব্বু সেখান থেকে চলে যায়,চোখে জল টলমল করতেছে,
শিখা:-দ্যাত কেনো যে ছেলে কথাটা বলতে গেলাম,
এখন হাসি খুসি মুড টা নষ্ট করে দিলাম,
এইসব ভাবতে ভাবতে নিচে চলে আসে,
আর সবাইকে অনেক কষ্টে খাবার খাইয়ে রুমে চলে আসে,
রুমে এসে রাসেলের ছবি বুকে নিয়ে দুই চোখের জল ফেলছে আর,
শিখা:-আজ আমার একটি ভুলের জন্য তুমি তোমার বাবা মার থেকে দূরে, নিরাপরাধ হয়ে ও শাস্তি পেতে হচ্ছে,
কষ্ট পেতে হচ্ছে দিনের পর দিন,
এইসব ভাবতে ভাবতেই ছবির উপরে কখন ঘুমিয়ে গেছে সেই দিকে তার কোনো খেয়ালি নেই,,
শুধু আজকে না প্রায় রাত এভাবেই কেটে যায় শিখার,
সকালে উঠে নামাজ পড়ে সবার জন্য নাস্তা বানাচ্ছে,
বলে রাখা ভালো এখন শিখা সব কাজ করে,রাসেলের
আম্মু কে কিছুই করতে দেইনা বলতে গেলে শিখা এখন একজন আদর্শ বউ,
শিখা কাজের মেয়ে রহিমা কে বলে,
শিখা:-আপনে এইদিকটা দেখতে থাকেন আর আমি কফি বানিয়ে বাবা মায়ের রুমে দিয়ে আসি,,
রহিমা:-আচ্ছা ভাবি যান আপনে কোনো চিন্তা করিয়েন না আমি এইদিকে সব দেখে শুনেই করমু,
শিখা তার পর কফির মগ দুটি ট্রেতেকরে ধিরে ধিরে সিড়ি বেয়ে রাসেলের বাবা মায়ের রুমে যায়,
শিখা:-আম্মু আব্বু এই নাও তোমাদের সকালের কফি,
আর জটপট খেয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে আসো,
আমি নাস্তা রেডি করতেছি,,দেরি করলে কিন্তু খবর আছে বলে দিলাম,
তাদের পাল্টা উত্তর না নিয়েই শিখা আবার নিচে চলে আসে,
এসে সব খাবার টেবিলে সাজাতে শুরু করে,
আম্মু:-পাগলি একটা,
আমাদের সেবা যত্ন ছাড়া কিছুই বোঝেনা,
আব্বু:-হুম আমরা ভাগ্যের জোরে এমন একটা লক্ষি বউমা পেয়েছি,
আম্মু:-হুম,তোমার মনে আছে আজকে রাসেলের এক বছর পূর্ণ হলো জেলে থাকার,
আব্বু:-হুম অনেক ভালো করেই মনে আছে,
ওর কথা মনে করে কষ্ট না পেয়ে চলো নিচে যায় নাহলে আমাদের রাক্ষসী মেয়ে শিখা আবার এসে খেয়ে ফেলবে,
হাসতে হাসতে,
আম্মু:-হুম চলো,
তারপরে দুইজন নিচে গিয়ে দেখে সব কাছু রেডি,
তাই চেয়ার টেনে বসে খাওয়া শুরু করে,
সাথে শিখা কে খাইয়ে দিচ্ছে রাসেলের আম্মু,
শিখা:-আচ্ছা আম্মু আমাকে সারাজীবন এই ভাবে খাইয়ে দিবে,
কখনো ভুল বুঝবেনাতো,
আম্মু:-হুম খাইয়ে দিবো আর ভুল বুঝবো কেনো,
অবাক হয়ে,
আব্বু:-হ্যা ভুল বুঝবো কেনো বল,
শিখা:-না তেমন যদি কখনো জানতে পারো আমি তোমাদের সাথে অন্যায় করেছি,
শিখা আরো কিছু বলতে যাবে তখনি,
দরজার কাছ থেকে রাসেলের বোন জুঁই বলে ওঠে,
জুঁই কে দেখে মনে হচ্ছে জান্নাতের পরী এসেছে, হাতে মুজা পায়ে মুজা কালো বোরকা এক কথায় পুরাই পর্দানশীল,
শুধু চোখটাই দেখা যাচ্ছে,
জুঁই:- আসসালামুয়ালাইকুম,
আম্মু আব্বু কেমন আছো তোমরা সবাই,
সবাই অবাক জুঁই কে দেখে,
কেননা কেউ ভাবতেই পারছেনা জুঁই এসেছে,
আব্বু:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
মামুনি তুমি এলে অথচ আমাদের জানালেনা কেনো,
আম্মু:-হ্যা আমাদের জানালে না কেনো,
জুঁই:-আমি তোমাদের ছাড়প্রাইজ দিতে চেয়েছি তাই কিছু বলিনি,
এভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে রাখবে,
আম্মু:-আই ভিতরে আই,
জুঁই:-আম্মু আমি ভাইয়ার সাথে কিন্তু একটুও কথা বলবো না,
একটি বছর হলো আমার সাথে কথা বলেনা,ফোন দিলে বলে সুইচ স্টপ,
তোমাদের বললে বলো কাজে ব্যস্ত,
আমার থেকে কি ভাইয়ার কাজ টাই বড়,
রাসেলের কথা শুনে সকলে মুখটা শুকিয়ে যায়,
এতোদিন নানান বাহানা দিয়েছে,
কিন্তু এখন কি বলবে,
জুঁই:-তোমাদের সকলের মুখ বাংলার পাঁচের মতো হলো কেনো,
বলো ভাইয়া কোথায়,
আব্বু:-মামুনি তুমি অনেক দূর থেকে এসেছো আগে রেস্ট নাও,তার পর না হয় সব কিছু শুনবে,
তুমি অনেক ক্লান্ত,
শিখা:-হ্যা তুমি আগে ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে রেস্ট নাও,
জুঁই:-ভাবি তুমি তো বলো ভাইয়া কোথায় ওর সাথে আমার বোঝা পরা আছে,
কেন আমার সাথে কথা বলেনা,
জুঁই এর এমন আচারণ দেখে সবাই বুঝতে পারে,
এই মেয়েকে সব কিছু খুলে না বলে উপায় নাই,
এখন আর লুকাতে পারবেনা,
তাই সিদ্ধান্ত নেই সব খুলে বলবে,
আব্বু:-মামুনি আসলে রাসেল আমাদের সাথে থাকেনা একটি বছর হলো,
এইকথা শুনেতো জুঁই অনেক টাই অবাক হয়,
জুঁই:-কেনো ভাইয়া আবার কোথায় থাকে,
আব্বু:-আসলে,
তোমার ভাই এমন একটা কাজ করেছে যা তুমি কষ্ট পাবে বলে এতোদিন তোমাকে বলিনি,
কিন্তু আজ আর না বলে পারছিনা,
তারপর শুরু থেকে সব টাই খুলে বলে,
আপনেরা তো জানেন তাই আর নতুন করে বলে আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করতে পারলাম না,
এইসব শুনে তো জুঁই কান্না করে দেই,
কারণ সব থেকে বেশি ভালোবাসতো রাসেল তাকে,
জুঁই:-আমার ভাই এমনটা কখনই করতে পারেনা,
তোমরা বিশ্বাস করলে কি ভাবে,
আম্মু:-দেখ মামুনি আমরা সব কিছু জেনেছি,
রাসেল এমনটাই করেছে তোর ভাবির সাথে,
শিখার মুখে হাসি নেই সেও কান্না করতেছে,
চোখের জল গাল বেয়ে বেয়ে পরতেছে,
শিখার ও আর সবার কষ্ট সহ্য হয় না তাই সিদ্ধান্ত নেই যা হবা হবে সে সব কিছু খুলে বলবে,
শিখা:-আব্বু আম্মু আমি কিছু বলতে চাই,
যদি আপনেরা আমাকে ভুলনা বোঝেন তো,
যখনই বলতে যাবে তখনি দরজার পাশথেকে কেউ বলে ওঠে,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝……….চলবে……..
💝
🌺