ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ পর্ব-৯

0
1988

ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺৯ম পর্ব

#MD_Fahim_Ahmed
Page: All Story Link


কোথায় যাবে কি করবে কিছুই জানে না সে,
আনমনে হেঁটেই চলেছে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে,
হাটতে হাটতে প্রায় অনেক টা পথ অতিক্রম করেফেলেছে,
অতিরিক্ত হাটার কারণে রাসেল খুবই ক্লান্ত হয়ে পরে,
তাই সে আনমনা হয়ে ভাবতে থাকে কি করবে তখনি সামনে একটা গাছের নিছে বসার সিট দেখতে পায়,

রাসেল:-অনেক তো হাটলাম এখন একটু জিরিয়ে নেই নাহলে আর চলতে পারবো না সেখানে তো একটা দোকান ও দেখা যাচ্ছে কিছু কিনে খেয়ে পেট টাকে ও শান্তি করা যাবে,

এইসব ভাবতে ভাবতে রাসেল সেখানে গিয়ে বসে,
আর দোকানের ভিতরে একটা মধ্য বয়সের লোক কে দেখতে পায়,

রাসেল:-চাচা আমাকে একটা চা দিন তার আগে দুইটা কলা আর একটা পারুটি দেন,

দোকানদান:-ঠিক আছে বাবা,
এই নাও তোমার কলা আর পারুটি,

রাসেল চাচার হাতে থেকে নিয়ে খেতে থাকে একটু পরে চা ও দেয়,
আরাম করে তৃপ্তি সহকারে খেয়ে নেই,

রাসেল:-চাচা এই নিন আপনার টাকা,
আর চাচা এইখানে রাতে থাকার মতো কি কোনো কিছু পাওয়া যাবে,

দোকানদার:-না বাবা সেইটা এখানে পাবেনা,
তুমি বরং সামনে খোজ করতে পারো,

রাসেল:- ধন্যবাদ চাচা,
আচ্ছা আসি ভালো থাকবেন,

#আপনারা আমার গল্প পড়ার জন্য যদি কেউ আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেন তো সাথে অবশ্যই একটা ছোট্ট করে মেসেজ দিবেন,,এ্যাস্কেপ্ট মি,,,
না হলে যতো বড় মাপের মানুষই হন না কেনো ঝুলেই থাকবেন, ধন্যবাদ গল্পের মাঝে এক্সটা কথা বলার জন্য মন থেকে সরি,))

বলেই রাসেল ধিরে ধিরে আবারো অজানা গন্তব্যের দিকে হাটতে শুরু করে কোথায় জাবে এখানো বুঝে উঠতে পারছেনা,
এই শহরে পরিচিত কেউ নেই যে সেখানে যাবে,
আর থাকলেই বা কি হতো তারাও ওর বাবা মার মতো অবিশ্বাসই করতো,
তার কোনো কাগজ পত্র ও নেই যে সেইটা দিয়ে কোনো চাকরির ব্যবস্থা করবে,
তাই সে সিদ্ধান্ত নেই কোনো দিনমজুরের কাজ করবে,
যদিও করতে কষ্ট হবে তবুও সে পেটের ভাত জোগাড় করতে কাজ করবে বলে ঠিক করে,
চলতে চলতে একটা ইটের ভাটা দেখতে পেয়ে সেখানে যায় একটা কাজ পাবার আসাই,
কিন্তু কথায় আছেনা,
অভাগা যেই দিকে তাকায় সেই দিকেই সব ফুরিয়ে যায়,
সেটাই হলো চলেন একটু শুনে আসি,
রাসেল ভাটাতে কাজ করেছে এমন একটা লোক কে জিগ্গেস করলো,

রাসেল:-আচ্ছা ভাই এইখানে কি আমাকে একটা কাজ দেওয়া যাবে,

লোকটি তখন রাসেলের কথা শুনে রাসেলের মুখের দিকে তাকি বলে,

লোকটি:-ভাই তুমি কাজ করবে,
তোমাকে দেখেতো মনে হচ্ছে না যে তুমি কাজ করবে,

রাসেল:-আমি কাজ করবো,
ভাই

লোকটি:-আমাকে বলেতো কোনো কাজ হবেনা,
তুমি বরং ম্যানেজারের কাছে যাও,

রাসেল তখন ম্যানেজারের কাছে যেয়ে একটা কাজ চাই,

রাসেল:- আসসালামুয়ালাইকুম,

ম্যানেজার:- ওয়ালাইকুমাসালাম,
কে তুমি আর এখানে কি চাও শুনি,

রাসেল:-আমি এই শহরে নতুন আমাকে একা কাজ দিবেন প্লিজ,

রাসেলের কাজ করার কথা শুনে ম্যানেজার অনেক টাই অবাগ হয়ে বলে,

ম্যানেজার:-কি বলছো তুমি করবে কাজ সেটাও আমাকে বিশ্বাস করতে হবে,যাও এখানে কোনো কাজনেই,
যত্ত সব কোথা থেকে যে এইসব পাগল ছাগল আল্লাহ ভালো জানে,

রাসেল সেখান থেকে চলে যায়,
আরো অনেক জায়গায় কাজের জন্য যায়,
কিন্তু পোড়া কপালে কোনো কাজ জোটে না,
এইদিকে রাত হয়ে এসেছে,
দেখে রাসেলের মনে আরো ভয়ের উৎপত্তি হতে লাগলো,
পকেটে ও খুব বেশি টাকা নাই যে কাজ না পেলেও কিছু দিন চলতে পারবে,
গুনে গুনে একশত টাকা হাতে আছে,
শুধু পারুটি আর পানি খেয়েই পেরিয়ে গেলো দুইদিন,
কোনো কাজ জোগাড় করতে পারলোনা,
পকেটের সব টাকাও শেষ,
বলতে গেলে পেটে ও সব শেষ,
একটা গাছের নিচে বসে বসে ভাবছে কি করবে সে,
এইভাবে না খেয়ে কি জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে পারে নাকি ধুকে ধুকে রাস্তার কোনো এক পাসে মরে পরে থাকবে,
এইসব ভাবছে আর চোখ দিয়ে ফোটাই ফোটাই জল গড়িয়ে গাল বেয়ে শার্ট টাই বিজে গেছে,
চলেন একটু রাসেলের পরিবারের কথা শুনে আসি,

জুঁই:-আম্মু আম্মু ভাইয়া কোথায় ভাইয়াকে এনে দাও,
কেদেঁ কেদেঁ,

আম্মু:-মামুনি শান্ত হও তোমার ভাইয়া ঠিক চলে আসবে,

জুঁই:-কবে আসবে আজকে দুইদিন পেরিয়ে গেছে,
না জানি আমার ভাইটা কি খেয়েছে কি করছে,
না খেতেও পাইনি,

আব্বু:-মারে যে হারিয়ে যায় তাকে হয়তো চেষ্টা করে খুজে বের করা যায় কিন্তু যে নিজ থেকে হারিয়ে যায় কারো সামনে না আসে তাকে শত চেষ্টা করে ও খুজে পাওয়া সম্ভব হয় না,

জুঁই:-তার মানে আমি আমার ভাই কে আর কোনো দিন দেখতে পারবোনা,
ভাইয়া বলে জড়িয়ে ধরতে পারবো না,
মন খুলে দুষ্টুমি করতে পারবনা,
কেদেঁ কেদেঁ গলাই বসিয়ে ফেলেছে যার জন্য কথা বলতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে,

আব্বু:- আল্লাহর উপরে ভরসা রাখো দেখবে তোমার ভাই একদিন ঠিকই ফিরে আসবে,
আমি তো এই দুইদিন তাকে কম খুজিনাই,
সব জায়গায় খোঁজ করেছি কিন্তু কোথাও কেউ কোনো খোঁজ দিতে পারেনি,

রাসেলের বাবার চোখেও পানি,
ছেলে মানুষের নাকি খুব কম কষ্টে চোখে জল আসেনা,
তাহলে ভাবেন কি রকম কষ্ট তারাও পাচ্ছে,
এইদিকে শশুর শাশুড়ি নোনদের কষ্ট দেখে শিখা যে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেনা,
শুধু বার বার নিজেকে দোষারোপ করতেছে,
আজ তার জন্যই সবার মুখের হাসি চলে গেছে,
কেউ মন খুলে হাসতে পারেনা যতটা চোখের পানি ঝড়াতে হয়,
জুঁই দৌড়ে শিখার কাছে গিয়ে,

জুঁই:-ভাবি তুমি আমার ভাইয়াকে আমার কাছে এনে দাও,
আমি ভাইয়া ছাড়া বাঁচতে পারবোনা,
প্লিজ তুমি ভাইয়াকে আমার কাছে এনে দাও,
বলেই অজ্ঞান হয়ে যায় অতিরিক্ত চিন্তা আর কান্না করে শরীর দুর্বল থাকার কারণে,

শিখা:-এখন আমি কি বলবো এদের,
আমারো যে কিছুই করার নাই,
আজ আমার জন্য সবার জীবন নরকে পরিনত হয়েছে,
হে আল্লাহ তুমি এই কষ্ট থেকে সবাইকে মুক্তি দাও না হলে আমাকে তোমার কাছে নিয়ে নিও আমি আর সবার কষ্ট দেখে সহ্য করতে পারতেছিনা,
মনে মনে,

আব্বু:-জুঁই এই জুঁই কি হলো ওঠো,

দেখতে পাই জুঁই ফ্লোরে পরে আছে,
কোনো নড়াচড়া নেই,
দেখে উপরের কথাগুলো বলে,

শিখা:-জুঁই কি হলো তোমার ওঠো কথা বলো,
উঠছে না দেখে শিখা দৌড়ে গিয়ে পানি এনে জুঁই এর চোখে মুখে ছিটিয়ে দেই,
কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না,
অনেক টা সময় এমন করার পরে জুঁই এর জ্ঞান ফিরে আসে,
আর আবার ও কান্না শুরু করে দেয়,
আসলে জুঁই কে ওর বাবা মার থেকেও বেশি আদর করতো ও ভাই,
তাইতো তার মায়া কিছুতেই কেটে উঠতে পারছেনা,
জুঁই এর এমন অবস্থা দেখে সবাই ভেঙ্গে পরে,

শিখার বাবা:-রায়হান এইভাবে করতে থাকলে তো মামুনির কিছু একটা হয়ে যাবে,
এমনিতেই কেদেঁ কেদেঁ জুঁই মামুনি অনেক দুর্বল,
তারাতাড়ি ডাক্তার কে আসতে বল,

আব্বু:-হুম রে,
না হলে ছেলের সাথে সাথে মেয়েকেও হারাতে হবে,

তারপর রাসেলের বাবা রায়হান সাহেব ফোন করে তার পারিবারিক ডাক্তার সিহাব কে সব কিছু খুলে বলে আর দ্রুত তাদের বাড়িতে আসতে বলে,
প্রায় এক ঘন্টা পরে ডাক্তার আসে,

সিহাব:-কোথায় রোগী,

আব্বু:-সিহাব চলো জুঁইকে ওর ঘরে শুয়ে রেখেছি,
কেদেঁ কেদেঁ একে বারে ভেঙে পরেছে,

সিহাব:- আংকেল কিসের জন্য এমন করতেছে,

একটু অবাক হয়ে কারণ সে তো মাদ্রাসাতে পরে প্রেম ভালোবাসার প্রশ্ন আসতেই পারেনা,
কারণ সে জানে মাদ্রাসার ছেলেমেয়ে আর যায় করুক না কেনো প্রেম ভালোবাসায় বিয়ের আগে জড়াবে না,

আব্বু:-কি জন্য আর হবে,
ও তো ওর ভাইকে বেশি ভালোবাসতো,
আর রাসেল তো নেই তাই ও সহ্য করতে পারতেছেনা,

সিহাব:-একটা ধর্ষকের জন্য কেউ যে এমন করে আজ প্রথম শুনলাম বা দেখলাম,

ডাক্তারের কথা শুনে রাসেলের আম্মুর মাথা গরম হয়ে যায়,
আর রেগে বলে,

আম্মু:-সিহাব তুমি আমাদের পারিবারিক ডাক্তার বলে ভেবো না যা খুসি তাই বলবে আর আমরা কিছুই বলবো না,
মনে রেখো আমার ছেলে ধর্ষক না, ওকে ধর্ষক সাজানো হয়েছে,

সিহাব তখন অনেক টাই ভয় পেয়ে যায়,

সিহাব:-নিজেরা তাদের ছেলেকে ধর্ষক বললো তাতে দোষ হলো না আর আমি বলাতেই দোষ আজব দুনিয়ার আজব কান্ড,
আর ধর্ষক কে ধর্ষক বলবেনাতো সাধু বলবেনাকি,
মনে মনে,
আচ্ছা চলেন তারাতাড়ি রোগীর কাছে,

তারপর জুঁই এর রুমে যায় সবাই,
ডাক্তার একটা স্যালাইন দিয়ে রাখে,
আর কিছু মেডিসিন লিখে দিয়ে এই ওষুধ গুলো এনে খাওয়ালেই ঠিক হয়ে যাবে বলে সিহাব তারাতারি চলে যায়,
কারণ এমনি তেই মুড সবার গরম না জানি আবার কি করে,
অনেক তো এইদিকের কাহিনী শুনলাম এবার চলেন আমার নায়কের কাছে চলে যায়,
রাসেল এখোনো ঠিক সেই ভাবেই বসে আছে,
আফছা আফছা আলো চারিদিকে রাস্তার বাতি থেকে,
কাছের মানুষ ছাড়া সামনে কিছুই দেখা যায় না এমনিতেই শিত বাইরে তেমন লোকজনের দেখাও মেলেনা,
দুই একজন পথের পথিক ছাড়া,
কি আর করা পানির ট্যাংক থেকে একটু পানি খেয়ে সাথে থাকা চাদর টা মোরে দিয়ে গুটি শুটি হয়ে শুয়ে পরে,
অমনি কোথা থেকে চিল্লাচিল্লির শব্দ আসে রাসেলের কানে,
যার জন্য রাসেল ঘুমাতে ও পারেনা,
এমনিতেই পেটের খুদা তাকে ঘুমাতে দিচ্ছে না,
তার উপরে এই ভাবে চিল্লাচিল্লি সে তো আর ভয়ংকর,
তাই রাসেল উঠে একটু একটু করে সামনে এগিয়ে দেখতে থাকে এই চিল্লাচিল্লির শব্দ কোথা থেকে আসে,
একটু পরে পেয়ে ও যায় দেখে সামনের এক বাড়ি থেকে চিল্লাচিল্লির শব্দ আসতেছে,
শুধু কারেন্ট কারেন্ট টাই স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে বাকি সব রাসেলের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,

রাসেল:-কারেন্ট কারেন্ট বলে কেনো চিল্লাচিল্লি করতেছে কে আটকে যায়নি তো আবার,
না যায় একটু দেখে আসি,

রাসেল তখন ধিরে ধিরে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়,
এসে দাঁড়িয়ে থাকা একটা লোক কে জিগ্গেস করে,

রাসেল:-আচ্ছা ভাই এইভাবে কারেন্ট কারেন্ট বলে চিল্লাচিল্লি করছে কেনো,

লোকটা তখন রাসেলের দিকে তাকায়,
আর বলে,

লোকটি:-আসলে হয়েছেকি,,,,,,,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣

আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝……….চলবে……..
💝

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here