ধর্ষিতা বউ পর্ব-১৭

0
4307

গল্প —- ধর্ষিতা বউ
পর্ব —- ১৭
লেখক —- মাহমুদ
*********”***************************
পার্ট ১৬ এর পর
প্রাপ্তি আর তূর্য রুমে গেলো।তূর্য প্রাপ্তিকে নিয়ে বেডে বসালো।তারপর প্রাপ্তির দুইহাত চেপে ধরে তূর্য প্রাপ্তির সামনে ওর দিকে তাকিয়ে বসলো।বলল
-প্রাপ্তি আমি তোকে কোনোভাবে জোর করতে চাইনা।তুই রাজি না থাকলে এখনই বলতে পারিস।প্লিজ চাপে পড়ে বিয়েতে রাজি হয়ে আমাকে করুনা করিস না।কালকে রাতে আমার উত্তরটা ঠিকভাবে না দেওয়ার কারনে আমার মনটা খুব ছটফট করছিলো।বারবার মনে হচ্ছিলো তুই বিয়েতে রাজি না,তুই চাপে পড়ে সব করছিস।এই কথাগুলো বলার জন্য -ই তোকে এখানে নিয়ে এসেছি।যদি তুই মন থেকে রাজি থাকিস তাহলে আয়।আমি যাচ্ছি।আর নাহলে বাইরে আসার দরকার নেই আর।
কথাগুলো বলেই তূর্য উঠে চলে যাচ্ছিল।প্রাপ্তি উঠে দাঁড়িয়ে ওর হাত ধরে বলে
-আমি রাজি তূর্য।
তারপর তূর্য প্রাপ্তির কাছে আসলো।ওকে পেছনে ঘুরিয়ে ওর মাথার ঘোমটা খুলে দিলো।তারপর ওর পকেট থেকে কাঠবেলী ফুলের একটা মালা বের করে প্রাপ্তির খোপায় গুজে দিলো।তারপর প্রাপ্তিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে আবার ওর ঘোমটা তুলে দিলো।
তারপর দুজনে একসাথে রুম থেকে বের হলো।তূর্য আর প্রাপ্তির বিয়েটা সম্পন্ন হলো।

প্রাপ্তির দাদী আর বাবা মায়ের অনুরোধে তারা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বিকালে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বাসায় তূর্যের বোন তুসি বধুবরনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। অনেক যত্নসহকারে প্রাপ্তিকে তার শ্বাশুড়ি মা বরন করে নিলেন।তারপর তাকে তার রুমে পাঠিয়ে দিলেন তুসি কে দিয়ে।বেশ কিছুক্ষন পরে তূর্য রুমে গিয়ে দেখে প্রাপ্তি তার বিয়ের সাজপোশাক নিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে।তখন প্রায় রাত ৮ টা বাজে।
তূর্য কিছুক্ষন প্রাপ্তির পাশে বসে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলো

ইশ কি নিষ্পাপ লাগছে মেয়েটাকে।মানুষ কিভাবে এতোটা নিষ্ঠুর হতে পারে।কিভাবে এতো অত্যাচার করতে পারে মানুষের প্রতি।তাও আবার নিজের বিবাহিত স্ত্রীর প্রতি।
হঠাৎ করেই প্রাপ্তির ঘুম ভেঙে গেলো।দেখে তূর্য ওর পাশে বসে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।থতমত খেয়ে উঠে বসে।
-কি হলো উঠে গেলি যে?
-আমাকে ডাকিস নি কেনো?
-ঘুমাচ্ছিলি তাই।
-এইভাবেই চোখ লেগে গেলো একটু ডাক দিবি না!!
-আচ্ছা এবার চেঞ্জ করে নে তুই।
-হুম তুই বাইরে যা।
-কেনো?
-আমি চেঞ্জ করবো তাই।
-আমি তো এখন তোর স্বামী।আমি থাকলে সমস্যা কি!
-তুই যাবি?
-আচ্ছা বাবা গেলাম।
তারপর প্রাপ্তি চেঞ্জ করে একটা হালকা গোলাপী রঙের শাড়ী পড়ে নিলো।কালো রঙের ব্লাউজ।চুলগুলো আচড়ে খোপা করে নিলো।কিছুক্ষন পরে তূর্য আসলো।
-যাক হয়েছে তাহলে তোর।
-হুম।তুই চেঞ্জ করিস না কেনো?
-সময় কই পাইলাম!তুই-ই তো পুরো রুম দখল করে নিলি।
-ওহ আচ্ছা যা এবার চেঞ্জ করে নে।
দুইজনে চেঞ্জ করে ড্রইং রুমে গেলো।তুসি সবে ইন্টারে উঠলো।প্রাপ্তির সাথে গল্প জমিয়েছে।রাতে সবাই খাবার টেবিলে বসলো।প্রাপ্তি আস্তে আস্তে খাচ্ছিলো।তূর্য বলল
-কিরে এতো আস্তে খাচ্ছিস যে?কোনো সমস্যা?
-না কোনো সমস্যা না।
-এখনো ওকে “তুই” করে বলবি?(তূর্যর মা)
-তো কি হয়েছে মা?
-এখন থেকে ওকে তুমি করে বলবি।ও এখন তোর স্ত্রী।
-আচ্ছা বাবা ঠিক আছে।
-বাবাহ এতো সহজে মেনে গেলি ভাইয়া?(তুসি)
-দেখতেছিস না?
-না তুই তো আবার একটু জেদি।কারো কথা শুনতে চাস না।তাই আর কি।হুমম বুঝি বুঝি।
-চুপচাপ খা তো!বেশি কথা বলছিস।
-যা বাবা কি বললাম এতো বেশি?(মুখ বাকিয়ে)
-তুসি চুপচাপ খা।একদিন বলেছি না খাওয়ার সময় এত কথা না!(মা)
খাওয়া শেষ করে সবাই যার যার রুমে চলে গেলো।কিছুক্ষন পরে তূর্যর রুমে কে যেনো নক করলো।তূর্য বিছানা গোছাচ্ছিলো।প্রাপ্তি সোফায় বসে ছিলো। তূর্য বিছানা গোছানো রেখেই গিয়ে দরজা খুলে দেখে তুসি একটা বাটি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
-কিরে এখন এখানে কি?
-আমার বয়েই গেছে এখানে আসতে।
-তাহলে এসেছিস কেনো?
-মা স্যুপ পাঠিয়েছে ভাবীর জন্য।বলেছে তোকে খাইয়ে দিতে।
স্যুপের বাটিটা তূর্যর হাতে দিয়েই তুসি চলে গেলো।।
তারপর তূর্য বাটিটা বেডের পাশের টেবিলে রেখে দিলো।বিছানা গোছানো শেষ করে প্রাপ্তিকে বেডে নিয়ে বসালো।তারপর ওর পাশে বসে ওকে স্যুপ খাইয়ে দিলো। তারপর তূর্য প্রাপ্তিকে শুইয়ে দিলো,ওর গায়ে কম্বল মুড়িয়ে দিলো।তারপর তূর্য সোফায় শুয়ে পড়লো।প্রাপ্তি বলল
-ওখানে ঘুমাচ্ছিস যে?
-এমনি।তুই ঘুমা।তোর অসুবিধা হবে নাহলে।চিন্তা করিস না আমি এখানেই আছি।
-আমার কোনো অসুবিধা হব্র না।তুই চাইলে বেডে শুতে পারিস।
তারপর তূর্য বেডে গিয়ে এক পাশ হয়ে শুয়ে পড়লো।

-তূর্য, এই তূর্য….
ঘুমভর্তি চোখ নিয়ে তূর্য বলল
-কিরে এতো রাতে ডাকছিস কেনো?ঘুমাস নি এখনো?
-না আসলে হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেলো।অনেক্ষন যাবত চেষ্টা করলাম ঘুম আসছে না।
-রাত ২ টা বাজে।(ঘড়ির দিকে তাকিয়ে)
-হ্যাঁ।জানি তো।
তারপর দুইজনে উঠে বসলো।
-ছাদে যাবি??
-এখন??
-তুই-ই তো বললি তোর ভালো লাগছে না,ঘুম আসছেনা।চল ছাদে গিয়ে একটু ঘিরে আসি।
-নাহ বাইরে যাবোনা। তার চেয়ে বরং বারান্দায় চল।তোদের বারান্দা গুলো খুব সুন্দর খোলামেলা।
-আচ্ছা চল।
তারপর তূর্য প্রাপ্তিকে বেড থেকে নামতে সাহায্য করলো।তারপর দুজনে গিয়ে বারান্দায় বসলো।তূর্যর বারান্দায় একটা দোলনা আছে,এক পাশে অপরাজিতা ফুলের টব আরেক পাশে বেলী ফুলের টব আছে।উপরে কয়টা পাতাবাহারের লতা ছড়িয়ে আছে।
দুইজজে বেশ কিছুক্ষন গল্প করলো বসে।

সকালে উঠে প্রাপ্তি ভার্সিটি এর জন্য রেডি হচ্ছিলো।তখনই ওর শ্বাশুড়ী ডাকতে আসলো নাস্তা করার জন্য।
-কিরে মা কোথাও যাচ্ছিস?
-ওই আর কি আজকে ক্লাস ছিলো ভার্সিটি তে।
-আজকে না গেলে হবে না?
-হ্যাঁ মা হবে।কারো কাছ থেকে নিয়ে নিবো সাজেশন্স।
-আচ্ছা তাহলে আজকে যাস না ভার্সিটি তে।কয়টাদিন পরে যা।আর তোর অবস্থাও তো বেশি ভালোনা।
-হ্যাঁ মা ৮ মাস হলেই ছুটি নিয়ে নিবো ভার্সিটি থেকে ৩ মাসের জন্য।তাহলেই তো হবে তাইনা?
-তোর এখন কয় মাস চলে?
-এইতো এখন ৬ মাস ২৫ দিন চলে।
-আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে।
-জ্বী মা।
-আচ্ছা নাস্তা করতে আয়।৯ টা তো বেজে গেছে।
-জ্বী মা আসছি।
-তূর্য কোথায়?
-ও শাওয়ারে গেছে।
-আচ্ছা একসাথে আয় তোরা আমি আর তুসি অপেক্ষা করছি।
-আচ্ছা মা আপনি যান আমরা আসছি।
তারপর তূর্য শাওয়ার শেষ করে তারা দুইজন একসাথে নাস্তা করতে গেল।

তূর্যের মা প্রাপ্তির খুব খেয়াল রাখছে।ওর জন্য সময়মতো স্যুপ,পুষ্টিকর খাবারের প্রতি যথেষ্ট যত্নবান তিনি।পাশাপাশি তুসি কে দিয়েও সব খেয়াল রাখছিলেন।প্রতিটি মুহুর্ত তিনি প্রাপ্তির প্রতি সচেতন ছিলেন।খুব বেশি-ই যত্নবান ছিলেন।নিজের হলেও কেউ এতটা কেয়ার করে না।যতটা কেয়ার তিনি প্রাপ্তির করে যাচ্ছেন।

এইভাবেই বেশ কয়েকটা দিন কেটে যায়।

একদিন রাতে ঘুমানোর সময় প্রাপ্তি তূর্য কে জিজ্ঞেস করে
-অনেক দিন ধরেই একটা কথা বলবো করে ভাবছিলাম।
-কি কথা বলো?
-মা এতটা কেয়ারিং,এতটা ভালো আমি কল্পনাও করতে পারিনা।আমার প্রতিটা বিষয় তিনি অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।আমার কোথায় সমস্যা হচ্ছে,কোথায় কি হচ্ছে,আমার একটু অশান্তি লাগলেও তিনি বুঝে যান।
-হুম।ডাক্তার বলে কথা।
-কি??
-হ্যাঁ মা তো গাইনী বিশেষজ্ঞ।
-তুই কখনো বলেছো আমাকে এগুলো?আর মা-কে তো খুব একটা বাইরেও যেতে দেখিনা।
-হ্যাঁ যায় না তেমন।বিশেষ প্রয়োজনে যায়।কারন আমি চাইনা মা এই বয়সেও বাইরে গিয়ে কাজ করুক যদিও তিনি শখ করেই করেন।
-এমন কেনো তুমি?
-কেমন?
-মা একজন ভালো বিশেষজ্ঞ আর তুমি ওনাকে ঘরে বসিয়ে রেখেছো কেনো?জানো এমন ভালো গাইনী ডাক্তারের অভাবে মেয়েদের কত সমস্যা ভুগতে হয়?
-আমার ওসব জেনে কাজ নেই এত।
-তূর্য!! কি বলছো এসব।মেয়েদের কত রকমের সমস্যা থাকে তুমি জানো??আর মায়ের সে মেধা আছে।তুমি কেনো এইভাবে ওনার মেধাটা নষ্ট হতে দিচ্ছো,কেনো মেয়েদেরকে বঞ্চিত করছো ভালো চিকিৎসা থেকে?
-আচ্ছা তুমি-ই বলো এই বয়েসে মা রোজ মেডিকেলে যাবে,রোগী দেখবে মায়ের শরীরে আছে কি!!
-ঠিক আছে মায়ের যেতে হবে না।।যাদের সমস্যা তারা বাসায় আসবে।মায়ের থেকে ভালো পরামর্শ নিবে।সে ব্যবস্থা করো।
-প্রাপ্তি প্লিজ!!এসব ভালো লাগছে না।এটা আমার বাসা।কোনো হাসপাতাল না।(উচ্চ শব্দে)
-আস্তে কথা বলো তূর্য!! আমি খারাপ কোনো কিছু বলছি না তোমাকে।তুমি যা-ই বলো আমি মায়ের সাথে কথা বলবো এই ব্যাপারে।
-তোমার জেদটাই তোমার কাছে বড়।যত্তসব!!!
বলেই অন্যদিকে মুখ করে ঘুমিয়ে পড়লো।কিছুক্ষন পরে আবার একটু প্রাপ্তির দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল
-সকালে তৈরি হয়ে থেকো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো চেকাপ করাতে।
প্রাপ্তি কোনো জবাব দেয়নি।

পরদিন সকালে তূর্য ঘুম থেকে উঠে দেখে প্রাপ্তি পাশে নেই।
তারপর ও উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো।নিচে গেলো নাস্তা করে প্রাপ্তিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে।কিন্তু প্রাপ্তি কোথায়!!

তূর্যর মা ওকে নাস্তা বেড়ে দিলো।ও মাকে প্রাপ্তির কথা জিজ্ঞেস করবে তখনই ওর মা বলে
-প্রাপ্তির আইডিয়াটা কিন্তু খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
-কিসের আইডিয়া?
-কাল রাতে আপনার সাথে যা নিয়ে কথা হয়েছে!
-এইভাবে বলছো কেনো মা??আর তোমার কাছে ভালো লাগবেই তো।এখন তো ছেলে পর বউ আপন হয়ে গেছে।আমার কিন্তু এসব একদম ভালো লাগছে না।
-ও কিন্তু বুদ্ধিটা খারাপ দেয়নি।তুই বেশি বাড়াবাড়ি করছিস।আমি তো পুরা হাসপাতাল খুলে বসবো না।বিশেষ সমস্যা গুলো দেখবো।আমার মেডিকেলের সিরিয়াল অনুযায়ী ডাক্তাররা যাদের সমস্যা সমাধান করতে পারবেনা শুধু সে রোগীগুলোকে দেখবো আর কিছুনা।
-জানিনা।যা ভালো লাগে করো।যাও এখন তোমার আদরের বউকে বলো আসতে আমার অফিস আছে।

তারপর তারা দুইজন ডাক্তারের কাছে গেলো।চেকাপ শেষে ডাক্তার বলল
-প্রায় ৮ মাস হতে চলল।এখন থেকে আপনি একটু বেশি রেস্ট নিবেন।আর চলাফেরাউ সাবধানে থাকবেন।
তারপর তূর্য প্রাপ্তিকে বাসায় ড্রপ করে দিলো। ওর মা এসে নিয়ে গেলো ভেতরে।

ইদানীং তূর্য প্রাপ্তির প্রতি আরো বেশি কেয়ারিং হয়ে উঠেছে।যতক্ষন বাসায় থাকে তার সম্পূর্ণ সময় প্রাপ্তিকে দেয়।এক সেকেন্ডের জন্য ও কেউ এখন প্রাপ্তিকে হাতছাড়া করেনা।রাতে প্রাপ্তি ঘুমালেও তূর্য ওর পাশে শুয়ে বসে থাকে কিন্তু নিজে ঘুমায় না।প্রাপ্তি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেও তূর্য অস্থির হয়ে পড়ে।সামান্য উহু শব্দ প্রাপ্তির মুখ দিয়ে বের হলেও দৌড়ে গিয়ে মা কে ডেকে আনে।নিজে অস্থির হয়ে যায়।প্রেগন্যান্সির শেষ ২ টা মাস প্রাপ্তির খুব ভয়ানকভাবে যাচ্ছে।এতোটাই দূর্বল হয়ে পড়েছে যে পানিও খেতে ওর খুব কষ্ট হয়।কিন্তু তূর্য আর ওর মায়ের যত্নে প্রাপ্তির যন্ত্রনাগুলো কিছু পরিমান হলেও কম অনুভব হয়।প্রাপ্তি রুম থেকে খুব একটা বের হতে পারেনা এখন।ওর শ্বাশুড়ি মায়ের কড়া নিষেধ।
এদিকে প্রাপ্তির শ্বাশুড়ির চিকিৎসা ভালোই যাচ্ছে ইদানিং।প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ জন আসে তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে।

প্রাপ্তির আর ভালো লাগেনা সারাদিন একটা রুমে শুয়ে বসে থাকতে।বন্দী পাখির মতো লাগে নিজেকে তাই একদিন বিকালে খুব কষ্ট করে নিনের রুম থেকে বের হলো।বাইরে।ড্রইং রুমে এসে দেখে শ্বাশুড়ি মা বেশ কয়েকজন রোগী দেখছে।তার মধ্যে একজন দম্পত্তি ছিলো।তারা সোফায় বসে ছিলো।শুনে মনে হচ্ছিলো লোকটার স্ত্রীর কোনো সমস্যা হয়েছে।সেটা নিয়েই এসেছেন।প্রপ্তির শ্বাশুড়ী মা তাকে দেখেই জোর গলায় বলে উঠলো,
-প্রাপ্তি তুই রুম থেকে বেরিয়েছিস কেনো??নিষেধ করেছিলাম না তোকে রুম থেকে বের হতে?তুসি এই তুসি দেখিস না তোর ভাবীর কি লাগবে?ও রুম থেকে বেরলো কেনো?
তারপর প্রাপ্তির শ্বাশুড়ি উঠে ওকে এগিয়ে নিয়ে আসলো।এনে সোফায় বসালো নিজের পাশে।বসেই প্রাপ্তি সেই দম্পত্তির দিকে চোখ পড়লো।খুব বেশি অবাক হয়ে গেলো তারা একে অপরকে দেখে।দম্পত্তিটি আর কেউ না সায়ান আর রিয়া ছিলো।

পার্ট ১৮ এর অপেক্ষায়…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here