#ধূসর_রঙে_আকাশ
#পর্ব_৯
লিখা: Sidratul Muntaz
আমীর তোহাকে কোনোমতে ধরে বাসায় নিয়ে এলো। তোহার কান্না অবিরত চলছে। বুকের ভেতরটা মরুভূমির মতো হয়ে গেছে। এক ফোঁটা বর্ষণের জন্য মনটা তৃষ্ণায় আর্তনাদ করছে। ওদের নতুন বাসার ফ্ল্যাটটা লাভলীদের ভবনের পাশের ভবনেই। চারতলার বাসা। মোটামুটি কিছু ফার্নিচার দিয়ে ঘর ভরা হয়েছে। আমীর কাজের লোক ভাড়া করে বাসাটা পরিষ্কারও করিয়েছে। ডাইনিং রুমে বড় মাপের একটা ডাইনিং টেবিল আর ফ্রীজ। বেডরুমে শুধু একটা বিছানা, বিছানার পাশ ঘেঁষে ল্যাম্প টেবিল আর দূরে একটা ওয়্যারড্রোপ। দ্বিতীয় বেডরুমে একটা বিছানা আর আলমারি। ড্রয়িংরুমে এলোমেলো ভাবে কয়েকটা সোফা আর কার্টুনের মধ্যে কিছু জিনিস পড়ে আছে। সেসব এখনো গোছানো হয়নি। আমীর তোহাকে নিয়ে বিছানায় বসালো। তারপর ল্যাম্প টেবিল থেকে ঠান্ডা পানির বোতল নিয়ে পানি খাওয়ালো। তোহা চুপ করে খেল। তারপর হেচকি উঠার মতো কাঁদতে লাগল। আমীর মাথা নিচু করে বসে রইল। তোহার হঠাৎ মনে পড়ায় বলল,
” আচ্ছা, আপনি মিথ্যে বললেন কেন?”
আমীর তাকিয়ে ভাবলেশহীন গলায় বলল,
” কি মিথ্যে? ”
” ওইযে তখন মাকে বললেন আমি প্র্যাগন্যান্ট? আমি তো প্র্যাগন্যান্ট না। এতোবড় মিথ্যে কেন বললেন?
তোহার নাক-মুখ ফুলে লাল হয়ে আছে। চোখে কৌতুহল আর অবিশ্বাস। আমীর তোহার চোখের পানি এক আঙুলে মুছে দিতে দিতে বলল,
” সিম্প্যাথি পাওয়ার জন্য বলেছিলাম তোহা। আমার মনে হয়েছিল, একথা শুনে আন্টি দূর্বল হয়ে যাবেন।”
” মা দূর্বল হোন নি। আরও রেগে গিয়েছে।”
আমীর ঠোঁট প্রসারিত করে একটু হাসল। আত্মবিশ্বাসী গলায় বলল,
” রাগেন নি। উনি আসলেই দূর্বল হয়েছেন। মনে করে দেখো তোহা, আমি এই কথা বলার পরেই কিন্তু আন্টি কিছুটা শান্ত হয়েছিলেন। মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনেছেন এবং আমাকেও বুঝিয়েছেন।যদি উনি দূর্বল না হতেন, তাহলে আমাদের কোনো কথাই শুনতেন না। আর না আমাদের সাথে কোনো কথা বলতেন। শুধু রাগ দেখাতেন। যেমনটা প্রথমদিকে করতে যাচ্ছিলেন। আমার মাথাতেই আসছিল না কিভাবে আন্টিকে ঠান্ডা করবো। তারপর হঠাৎ এই বুদ্ধি মাথায় আসল। এই কথা শুনার পরেই কিন্তু আন্টি আমাদের সাথে কষ্টের কথা শেয়ার করেছেন,কেঁদেছেন। যদি না কাঁদতেন তাহলে ভয় ছিল। কিন্তু উনি যেহেতু কেঁদেছেন মানে কিছুটা হলেও নরম হয়েছেন। তাই ভয়ের কিছু নেই। খুব শীঘ্রই সব ঠিক হবে।”
” তুমি মানুষের মন খুব ভালো বোঝো।”
আমীর মৃদু হাসল। তোহা মাঝে মাঝে ওকে আপনি করে বলে আর মাঝে মাঝে তুমি করে। আমীর এর কারণটাও জানে। তোহা আপনি করে তখনি বলে যখন অবিশ্বাস করে। আর তুমি করে তখনি বলে যখন আমীর ওর বিশ্বাস জিতে নেয়।
তোহা চোখ ছোট করে কি যেন চিন্তা করলো। খানিক সময় বাদে বলল,
” আচ্ছা, মা যদি সত্যিই দূর্বল হয়ে থাকেন আর তারপর জানতে পারেন আমি আসলে প্র্যাগনেন্ট না, সব মিথ্যে ছিল তখন কি আরও বেশি কষ্ট পাবে না?এই মিথ্যেটা না বললেই ভালো হতো।”
তোহা মুখে হাত দিয়ে কেঁদে ফেলল। আমীর ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
” ডোন্ট ক্রাই। আমি শুধু একথা বলে আন্টিকে দূর্বল করতে চেয়েছি। পৃথিবীর কোনো মা মেয়ের মাতৃত্বের খবর শুনে কঠিন হয়ে থাকতে পারেনা। যত গাঢ় রাগই হোক, পাহাড়ের মতো সেই রাগ জমিয়ে রাখা যায়না। ঝর্ণার মতো সব উপচে পড়তে থাকে। নিঃশেষ হয়ে যায়। আন্টির রাগও কমে যাবে।যখন সব ঠিক হয়ে যাবে, তোমার সাথে আন্টির সম্পর্কটাও সহজ-,স্বাভাবিক হবে, তখন সত্যিটা বলে দিও।”
” তখন যদি মা রেগে যায়?”
” রেগে গেলে বলবে মজা করেছো। তারপর বুঝিয়ে বলবে যে বাচ্চাটা মিস ক্যারেজ হয়ে গেছে। এই কথা জানিয়ে মাকে তুমি কষ্ট দিতে চাওনি এজন্য মিথ্যে বলছিলে। আর যদি না রাগেন, তাহলে কিছু বলার দরকার নেই। আন্টি সত্যিটাই জানবে।”
” এতোবড় মিথ্যে আমি একটা নিষ্পাপ বাচ্চা নিয়ে বলবো? আমার পাপ হবে।”
” সব পাপে পাপ হয়না।”
তোহার আবার দম বন্ধকর অনুভূতিটা হচ্ছে। নিঃশ্বাস আটকে করুন গলায় চোখে দৃঢ় অবিশ্বাস নিয়ে তোহা প্রশ্ন করল। যে প্রশ্নটা সে সবসময় করে,
” আচ্ছা, আমাদের কি সত্যিই বিয়ে হয়েছিল?”
আমীর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। একই উত্তর দেয়,
” আর কতবার শুনতে চাও? হ্যা হয়েছিল।”
তোহা দুইহাত মাথায় দিয়ে উন্মাদের মতো বলল,
” আমার কিছু মনে পড়ে না কেন?”
আমীর তোহার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,” মনে পড়বে তোহা। একটু ধৈর্য্য ধরো। আস্তে আস্তে সব মনে পড়বে তোমার।”
তোহা বিকৃত মুখে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
” আমার একদম বিশ্বাস হয়না আমি মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে তোমার সাথে পালিয়ে গেছিলাম।”
” আমারও বিশ্বাস হয়না যে তুমি আমাকে ভুলে গেছো। বিগত এক বছরের সব স্মৃতি তুমি ভুলে গেছো। আমি তোমার ব্রেইন থেকে পুরোপুরি মুছে গেছি। ডিলিট হয়ে গেছি। এটা আমারই বিশ্বাস হয়না।”
তোহা মাথা নিচু করে চোখের জল ফেলছে। আমীর ওর মাথায় হাত বুলানো থামিয়ে সোজা হয়ে বসল। এক ধ্যানে বারান্দার জানালায় তাকিয়ে গল্প বলা শুরু করল। যে গল্পটা সে সবসময় বলে। তোহা শুনতে শুনতে মুখস্ত করে ফেলেছে। তাও তার মন মানতে চায়না। গল্পটা এমন, কোনো এক ঝড়ের রাতে তোহা আর আমীর লংড্রাইভে বের হয়েছিল। তখন ওদের বিয়ের আড়াইমাস চলে।তোহা খুব খুশি ছিল। বারবার গাড়ির জানালা খুলে দিচ্ছিল। পানির ঝাপটা এসে তোহার শাড়ি, আমীরের শার্ট ভিজিয়ে দিচ্ছিল। তোহা উচ্ছ্বাসে জানালা থেকে মাথা বের করে বৃষ্টি উপভোগ করার উদ্দেশ্যে। আনন্দের চিৎকার দেয়। আমীর শতবার নিষেধ করার পরেও তোহা একই কাজ করছিল। ঝড়ের রাতে সবকিছু ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাতাসের শনশন আর বৃষ্টির ঝিরিঝিরি শব্দ ছাড়া কিছু শোনা যায়না৷ আর না কিছু দেখা যায়। আচমকা পেছন থেকে একটা ট্রাক এসে ধাক্কা মারে। ব্যালেন্স হারিয়ে তোহা গাড়ি থেকে উলটে পড়ে। তারপর ভয়ানক বজ্বপাত!
তোহা মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছিল। ডাক্তাররা ধারণা করেন, এই আঘাতের কারণে তোহা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলবে। আমীর তখন অবলীলায় নিজের চোখ দুটো তোহার জন্য ডোনেট করতে প্রস্তুত হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, তোহা দৃষ্টিশক্তি হারায়নি। স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে। বিগত এক বছরের সব স্মৃতি, আমীরের সাথে কাটানো মুহুর্ত,ওদের ভালোবাসা, সব তোহা ভুলে গেছে। তাই এসব মনে করতে গেলেও তোহার মাথায় অদ্ভুত যন্ত্রণা হয়। যদিও তোহা মনে করে যন্ত্রণাটা মাথার না। যন্ত্রণাটা মনের। তার মস্তিষ্ক সহজেই আমীরের সব যুক্তি মেনে নিতে চায়। কিন্তু মন মানতে চায়না। কেন এমন হয়? তাদের ভালোবাসা যদি সত্যি হতো, তাহলে হৃদয়ের টানটাই তো সবার আগে আসতো। তোহার নিজেকে উন্মাদ মনে হয়। পাগল পাগল লাগে। সে কেন কিছু মনে করতে পারে না? শুধু এতটুকু মনে আছে, কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারল পাশে শুয়ে থাকা মানুষটি তার স্বামী। আর অতীতের গল্পটা এমনি অবিশ্বাস্য। তোহার মানতে প্রচন্ড কষ্ট হয়। বুক জ্বালা-পোড়া করে৷ মা-বাবার মনে গুরুতর কষ্ট দেওয়ার জন্য নিজেকে ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে হয় প্রতিনিয়ত। আমীর বলল,
” সেদিন যদি তুমি স্মৃতি না হারিয়ে দৃষ্টি হারাতে, আমি নিজের দৃষ্টি দিয়ে হলেও তোমাকে সুস্থ করতাম। আগের মতো স্বাভাবিক করে তুলতাম। কিন্তু তুমি তো স্মৃতি হারিয়েছো। আচ্ছা আমার স্মৃতি তোমাকে দেওয়ার কি কোনো ব্যবস্থা নেই? যদি পারতাম, তাহলে আমার ব্রেইনের সব স্মৃতি তোমাকে দিয়ে দিতাম। আমার মানতে কষ্ট হয় তোহা। তুমি আমাকে চিনতে পারছো না, আমাদের সব মোমেন্টস তুমি ভুলে গেছো। এটা মানতে খুব কষ্ট হয় আমার।”
তোহা কিছুটা দূরে সরে বসল। আমীর পকেট থেকে ফোন বের করে তোহার হাতে দিয়ে বলল,
” নাও দেখো।”
তোহা দ্রুত মোবাইলটা নিয়ে নেশাগ্রস্তের মতো গ্যালারিতে ঢুকল। তারপর তার সাথে আমীরের সুন্দর মুহুর্তগুলোর ছবি দেখতে লাগল। কত শত খুনশুটিময় স্মৃতি,ভিডিও,মায়া! এসব দেখলে তোহা আর অবিশ্বাস করে থাকতে পারেনা। মস্তিষ্কের নার্ভগুলো দূর্বল হয়ে যায়। হার মেনে নেয়। আমীরকে স্বামী হিসেবে মানতে বাধ্য হয়। কিন্তু তবুও কোথ থেকে জানি একটা দ্বিধা কাজ করে। একটা সংকোচ হয়। তোহা ঢোক গিলে বলল,
” তুমি যেমন চেয়েছো আমি তেমনই করেছি। মা-বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমাকে এখানে নিয়ে আসার জন্য থ্যাংকস। কিন্তু একটা কথা বলতে পারবে? তুমি কেন আমার অসুস্থতার কথা কাউকে জানাতে চাওনা? তুমি চাও না, মা-বাবা জানুক আমি সব ভুলে গেছি? ওরা যখন আমাকে দোষারোপ করে আমার খুব কষ্ট হয়। যে দোষের কথা আমি জানিও না সেই দোষ মাথা নিচু করে স্বীকার করতে হয়। অনুভূতিটা যে কত যন্ত্রণাদায়ক তুমি বোঝো?”
” বুঝি তোহা। সবই বুঝি। কিন্তু কি করবো? আমার ভয় হয়। যদি সবাই জানতে পারে তুমি সব ভুলে গেছো, তুমি আমাকেও ভুলে গেছো, স্বামী হিসেবে মানতে পারছো না, তখন হয়তো সবাই বলবে আমাকে ছেড়ে দিতে। তোমার এখন যে কন্ডিশন তুমি হয়তো তাতেই রাজি হয়ে যাবে। কিন্তু আমার কি হবে? আমি তো তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। তুমি হয়তো এখন পারবে, আমাকে ছাড়া খুব সুখেই থাকবে। কিন্তু একদিন না একদিন তো তোমার সব মনে পড়বে তাইনা? তখন তুমিও আর পারবে না আমাকে ছেড়ে থাকতে। আমার কাছে ছুটে আসতে চাইবে। আর তখন যদি সেই উপায় না থাকে? যদি পায়ে শিকল পড়িয়ে দেয় তোমার পরিবার? অন্যকারো মায়ায় আটকে যাও তুমি! সেই ভয়ানক পরিস্থিতি দেখতে চাইনা বলেই তোমার অসুস্থতার কথা সবার কাছে গোপন রাখতে বলেছি। প্লিজ তোহা, কাউকে কখনো বলবে না। ভুলেও বলবে না যে তোমার কিছু মনে নেই।”
তোহার মায়া লাগছে। সে আমীরের মাথা হাত বুলিয়ে দিল। আমীর তোহার হাতটা নিয়ে আলতো একটা চুমু দিল। তারপর তৃপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। তোহা তাকিয়ে রইল মায়ার দৃষ্টিতে। হঠাৎ খেয়াল করল, দরজার সামনে লম্বামতো কেউ দাড়িয়ে ওদের দেখছে৷ এক ধ্যানে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে৷ তোহা ভ্রু কুচকে বলল,
” কে আপনি?”
তোহার প্রশ্ন শুনে আমীরও ঘুরে তাকালো। মেয়েটার গায়ে সাদা আর সবুজের মাঝামাঝি রঙের সেলোয়ার কামিজ। লম্বা, শ্যামলা, ছোটখাটো মুখ,হরিণী চোখ। বেশ সুন্দরী। তোহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আমীর বলল,
” আপনি কে?”
মেয়েটা জবাব দিল না। চুপ করে হেঁটে চলে গেল। তোহার কাছে রহস্যের মতো লাগল। আমীরের দিকে তাকিয়ে বলল তোহা,
” উনি ভিতরে ঢুকলেন কিভাবে?”
আমীর হাসার চেষ্টা করে বলল,” কি জানি? আমিই হয়তো মেইন দরজা লক করতে ভুলে গেছি।”
তোহা বলল,” ও। ”
” আচ্ছা তুমি বসে থাকো, আমি দেখছি।”
আমীর রিম্মির পিছু নিল। রিম্মি ডাইনিং রুমে এসে দাড়িয়েছে। মেইন দরজা আসলেই খোলা। আমীর যেই না রিম্মিকে ডাকতে যাবে ওমনি নীলাভ্র এলো। রিম্মি নীলাভ্রর সামনে গিয়ে দাড়াল। নীলাভ্র একহাতে রিম্মির কাধ স্পর্শ করল। তারপর আমীরকে উদ্দেশ্য করে বলল,
” আপনি কি তোহার হাসব্যান্ড?”
আমীর ভ্রু কুচকে হ্যাসূচক মাথা নাড়ল। নীলাভ্র বলল,
” তোহার এখন কি অবস্থা? এখনো কি কান্নাকাটি করছে?”
আমীর উত্তর দিতে পারল না। এর আগেই অঘটন ঘটল৷ রিম্মি হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। নীলাভ্র তড়িঘড়ি করে ওকে ধরে। বিচলিত গলায় ডাকে,” রিম্মি! রিম্মি!”
আমীর তেড়ে আসল। রিম্মিকে ধরতে চাইল। উতলা হয়ে বলল,
” কি হয়েছে তোমার?”
নীলাভ্র মাথা তুলে তাকিয়ে বলল,” আমার গার্লফ্রেন্ড। ওর শরীরটা ভালো নেই।”
একথা বলে রিম্মিকে পাঁজাকোলায় নিল নীলাভ্র। আমীরের কানে শব্দটা প্রতিধ্বনিত হয়,” আমার গার্লফ্রেন্ড!” আমীর ঠিক শুনেছে তো? বিস্ময়ে ঠোঁটদ্বয়ের মাঝখানে ভাগ সৃষ্টি হয়। নীলাভ্র রিম্মিকে নিয়ে পাশের রুমে চলে গেল। সেখানে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল। আমীর চোয়াল শক্ত করে দাড়িয়ে দেখল। নীলাভ্র রিম্মির গালে, হাতে,পায়ে ম্যাসাজ শুরু করল। একটু পর রিম্মি স্বাভাবিক ভাবেই চোখ খুলে তাকালো। নীলাভ্রর বুকের অবাধ তান্ডব শুরু হয়েছিল৷ এবার একটু স্বস্তি আসে। প্রশান্তির শ্বাস ছাড়ে। রিম্মি হঠাৎ উঠে নীলাভ্রর গলা জড়িয়ে ধরে গালে আলতো করে চুমু দেয়। নীলাভ্র হতভম্ব হয়ে যায়। রিম্মি নির্বিকার দৃষ্টি মেলে আমীরের দিকে তাকায়। আমীর তখনো চোয়াল শক্ত করে দাড়িয়ে ছিল। নীলাভ্র রিম্মির দৃষ্টিকে অনুসরণ করে দরজার দিকে তাকাতেই দেখল আমীরকে। অস্বস্তিতে পড়ে গেল বেচারা।
চলবে
(গত পর্ব পড়ে যারা যারা আমাকে ভুল বুঝছিলেন এখন সরি বলেন।🤨)